নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাদিয়ানী আহমদীদের ধোঁকা থেকে বাঁচতে হলে তাদের অসারতা অনুধাবন অপরিহার্য্য পর্ব-০৪

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২০



সেকালের স্বদেশ প্রেমিক পাক-ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের জানবাজ গনমানুষের সাথে গাদ্দারী করে দখলদার বৃটিশ তোষামোদে অতুলনীয় পারদর্শীতা প্রদর্শন অত:পর বৃটিশ কর্তৃক জায়গীর, নিরাপত্তা, নানাবিধ সুবিধাদি এবং ভূয়া নবুয়তলাভকারী মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর কবর।

মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর নিজের সম্মন্ধে কৃত দাবীসমূহ:
মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী কখনও নিজেকে নবী দাবী করেছেন তো, কখনও ইমাম মাহদী। আবার কখনও দাবী করেছেন, তিনিই মাসীহে মাওউদ। এমনিভাবে তার নিজের সম্মন্ধে তার যে কত উদ্ভট এবং হাস্যকর দাবী রয়েছে, দেখলেই ধারনা করা যায়, কোন সুস্থ্য ব্যক্তির পক্ষে এরূপ বিভ্রান্তিকর, বৈপরিত্বপূর্ন, অযৌক্তিক, অবান্তর, উদ্ভট এবং সর্ব্বৈ মিথ্যা দাবীর প্রশ্নই ওঠে না। তার দাবীর সংখ্যা হিসেব করলে তা পঞ্চাশের কোটা স্পর্শ করে। এসব দাবীর ভেতরে কোন কোনটা পরষ্পর বিরোধী, আবার বিচিত্রতায় ভিন্নতাও ছিল। কয়েকটি দাবীর কথা তার ভাষ্য থেকে তুলে ধরা হল:

১। মুজাদ্দিদ হওয়ার দাবী। সূত্র: কামালাতে ইসলাম, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, পৃষ্ঠা-৪২৩।

২। ইমাম হওয়ার দাবী। সূত্র: প্রাগুক্ত।

৩। খলীফা হওয়ার দাবী। সূত্র: প্রাগুক্ত।

৪্। ইমাম মাহদী হওয়ার দাবী। সূত্র: প্রাগুক্ত, তার প্রায় সব গ্রন্থেই এর উল্লেখ রয়েছে।

৫। ঈসা ইবনে মারইয়াম হওয়ার দাবী। সূত্র: আনজাম আথাম, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, পৃষ্ঠা-৫৯, হাক্কীকতুল ওহী, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, পৃষ্ঠা-৭২, আঞ্জুমান ইশাআতে ইসলাম লাহোর ১৯৫২।

৬। ঈসা ইবনে মারইয়ামের অবতার হওয়ার দাবী। সূত্র: কাদিয়ানী মাযহাব (নতুন সংস্করন) জানুয়ারি ২০০১, ইলিয়াস বরনী, পৃষ্ঠা-৪৩৪-৪৩৫, দমিমাহ রিসালাহ ..., পৃষ্ঠা-৭২, রূহানী খাযায়েন, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, পৃষ্ঠা-২৭-২৮।

৭। মসীহ মাওউদ (প্রতিশ্রুত মাসীহ) হওয়ার দাবী। তিনি বলেন, 'কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে হযরত ঈসা মসীহের আসমান হতে অবতরন করার যে কথা হাদীসে উল্লেখ আছে, তা আমি।' হাক্কীকতুল ওহী, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, পৃষ্ঠা-১৯৪, আঞ্জুমান ইশাআতে ইসলাম লাহোর ১৯৫২।

৮। যিল্লী নবী বা বুরূজী নবী অর্থাত, ছায়া নবী হওয়ার দাবী। মুবাহাসাহ রাওয়ালপিন্ডি, মাসনাফাহ, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, লেখক, সৈয়দ মুহাম্মাদ বাকির খোশনুস কাদিয়ান, পৃষ্ঠা-১৩৪।

৯। উম্মতী নবী হওয়ার দাবী। সূত্র: হাক্কীকতুল ওহী, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, পৃষ্ঠা-৩৯০, আঞ্জুমান ইশাআতে ইসলাম লাহোর ১৯৫২।

১০। ইলহামী নবী হওয়ার দাবী। মুবাহাসাহ রাওয়ালপিন্ডি, মাসনাফাহ, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, লেখক, সৈয়দ মুহাম্মাদ বাকির খোশনুস কাদিয়ান, পৃষ্ঠা-১৩৭।

১১। নবী হওয়ার দাবী। মির্জা বলেন: 'এই উম্মতের মধ্যে নবী নাম পাওয়ার জন্য আমাকেই নির্দিষ্ট করা হয়েছে।' হাক্কীকতুল ওহী, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, পৃষ্ঠা-৩৯১, আঞ্জুমান ইশাআতে ইসলাম লাহোর ১৯৫২।

১২। রাসূল হওয়ার দাবী। মির্জা বলেন: 'আল্লাহ আমার সম্মন্ধে বলেছেন: 'আমি তোমাকে রাসূল রূপে প্রেরন করলাম'। হাক্কীকতুল ওহী, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, পৃষ্ঠা-১০১।

১৩। তার নিকট ওহী আসার দাবী। মির্জা বলেন: 'অামি যা কিছু আল্লাহর ওহী থেকে প্রাপ্ত হই, খোদার কসম, তাকে সব রকম ত্রুটি থেকে পবিত্র মনে করি। কুরআনের ন্যায় আমার ওহী ভুল-ত্রুটি মুক্ত। এটা আমার ঈমান ও বিশ্বাস। খোদার কসম, এটাও আল্লাহ পাকের মুখ নি:সৃত বাণী।' সূত্র: নুযূলুল মাসীহ, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, পৃষ্ঠা-৯৯।

১৪। তার উপর ২০ পারার মত কুরআন নাযিল হওয়ার দাবী। সূত্র: মির্জা বলেন: 'আমার উপর আল্লাহর কালাম নাযিল হয়েছে, যা লেখা হলে বিশ পারার চেয়ে কম হবে না'। হাক্কীকতুল ওহী, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, পৃষ্ঠা-৩৯০, আঞ্জুমান ইশাআতে ইসলাম লাহোর ১৯৫২।

১৫। ঈসা আলাইহিসসালাম এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ হওয়ার দাবী। সূত্র: মির্জা বলেন: 'ইবনে মারইয়াম (ঈসা আলাইহিসসালাম) -এর কথা ছেড়ে দাও। গোলাম আহমদ তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ।' নুযূলুল মাসীহ, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, পৃষ্ঠা-১৩১।

তিনি নিজেকে ঈসা আলাইহিসসালাম এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ প্রমান করার জন্য হযরত ঈসা আলাইহিসসালাম সম্মন্ধে জঘন্য ধরনের মন্তব্য করেছেন। যেমন, তিনি বলেছেন: ঈসা মাসীহের তিন দাদী ও তিন নানী (বেশ্যা) ছিল। নাউযুবিল্লাহ। সূত্র: যমীমা আঞ্জামে আথহাম, পৃষ্ঠা-০৫।

অন্যত্র বলেছেন: ঈসা মাসীহের মিথ্যা বলার অভ্যাস ছিল। সূত্র: যমীমা আঞ্জামে আথহাম, পৃষ্ঠা-০৫।

১৬। সকল নবীর সমকক্ষ হওয়ার দাবী। সূত্র: মির্জা বলেন: 'যদিও দুনিয়ায় অনেক নবী আবির্ভূত হয়েছেন, কিন্তু, বিচক্ষনতায় আমি কারুর চেয়ে কম নই।' নুযূলুল মাসীহ, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, পৃষ্ঠা-৯০।

১৭। তিনি আদম, শীস, নূহ, ইবরাহীম, ইসহাক, ইসমাঈল, ইয়া'কুব, ইউসুফ, মূসা, দাউদ, ঈসা আলাইহিমুসসালাম প্রমুখসহ বিভিন্ন নবী হওয়ার দাবী করেছেন। সূত্র: তিনি বলেন: 'আদম আলাইহিসসালাম থেকে নিয়ে শেষ নবী পর্যন্ত সব নাম তাকে দেয়া হয়েছে।' নুযূলুল মাসীহ, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, পৃষ্ঠা-০৫।

১৮। কোন কোন নবী থেকে শ্রেষ্ঠ হওয়ার দাবী। মির্জা কাদিয়ানী লিখেছেন: 'হাদিসে এসেছে, যদি মূসা ও ঈসা জীবিত থাকতেন তাহলে মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লামের অনুসরন করা ব্যতিত গত্যন্তর থাকতো না। কিন্তু, আমি বলি, মাসীহে মাওউদের সময় মূসা ও ঈসা জীবিত থাকলে মাসীহে মাওউদ (মির্জা কাদিয়ানী) এর অবশ্যই ইত্তেবা অনুসরন করতে হত।' কাদিয়ানী মাযহাব (নতুন সংস্করন, জানুয়ারি ২০০১), মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, পৃষ্ঠা-৩১০, আখবারিল ফাদলি কাদিয়ান, খন্ড-০৩, পৃষ্ঠা-৯৮।

১৯। সমস্ত নবী রাসূল থেকে শ্রেষ্ঠ হওয়ার দাবী। সূত্র: মির্জা কাদিয়ানী বলেন: 'আমার আগমনে প্রত্যেক নবী জীবন লাভ করেছেন। সমগ্র রসূল আমার জামার মধ্যে লুকিয়ে আছেন।' নুযূলুল মাসীহ, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, পৃষ্ঠা-১০০।

অন্যত্র তিনি বলেন: 'অনেক নবী আগমন করেছেন কিন্তু, কেউই মারেফতে আমার অগ্রগামী হতে পারেন নি।' নুযূলুল মাসীহ, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, পৃষ্ঠা-১০০।

তিনি আরও বলেন: 'ঈসা আলাইহিসসালাম, মূসা আলাইহিসসালাম কিংবা মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম প্রমুখের চেয়ে আমার একীন বেশি'। নুযূলুল মাসীহ, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, পৃষ্ঠা-৯০-১১০।

২০। আহমদ হওয়ার দাবী। মির্জা কাদিয়ানী কুরআনের আয়াতে যে 'আহমাদ' নামের উল্লেখ আছে তা নিজের বলে দাবি করেছেন। হাক্কীকতুল ওহী, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, আঞ্জুমান ইশাআতে ইসলাম লাহোর ১৯৫২।

২১। মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম হওয়ার দাবী। হাক্কীকতুল ওহী, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, আঞ্জুমান ইশাআতে ইসলাম লাহোর ১৯৫২।

২২। মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ হওয়ার দাবী। মির্জা কাদিয়ানী বলেন: 'আমার বিশ্বাস হল, মাসীহে মাওউদ (মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী) এত পরিমান রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম এর নকশে কদমে চলেছেন যে, তিনিই মুহাম্মাদ হয়ে গেছেন।' নাউ'যুবিল্লাহ। অত:পর তিনি বলেন: 'কিন্তু উস্তাদ আর শাগরেদের মর্যাদা কি এক হতে পারে? যদিও শাগরেদ জ্ঞানে উস্তাদের সমকক্ষ হয়ে যায়? .... ঠিক, আঁ হযরত সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম ও মাসীহে মওউদের বাস্তবতাও অনুরূপ।' কাদিয়ানী মাযহাব (নতুন সংস্করন, জানুয়ারি ২০০১), মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, পৃষ্ঠা-৩১০।

২৩। তিনি জগতবাসীর জন্য আল্লাহর রহমত স্বরূপ। মির্জা বলেন: 'খোদা তাআ'লা আমাকে বলেছেন: তোমাকে আমি সারা জাহানের জন্য রহমতরূপে প্রেরন করলাম'। আঞ্জামে আথহাম, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, পৃষ্ঠা-৭৮।

২৪। তাকে সৃষ্টি করা না হলে আসমান যমীন কিছুই সৃষ্টি করা হত না। মির্জা বলেন: 'খোদা তাআ'লা আমাকে পাঠিয়েছেন যে, যদি তোমাকে পয়দা না করতাম, তবে আসমান জমীন কিছুই সৃষ্টি করতাম না'। হাক্কিকতুল ওহী, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, পৃষ্ঠা-৯৯ আঞ্জুমান ইশাআতে ইসলাম লাহোর ১৯৫২।

২৫। আল্লাহর প্রকাশ হওয়ার দাবী। তিনি বলেন: 'যার প্রকাশ খাস আল্লাহর প্রকাশ'। কাদিয়ানী মাযহাব (নতুন সংস্করন, জানুয়ারি ২০০১), মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, পৃষ্ঠা-৩২৮, আখবারিল ফাদলি কাদিয়ান, খন্ড-০৩, পৃষ্ঠা-১৪৬।

২৬। তিনি আল্লাহর পুত্রবত। নাউ'যুবিল্লাহ। কাদিয়ানী মাযহাব (নতুন সংস্করন, জানুয়ারি ২০০১), মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, পৃষ্ঠা-৩২৮, আখবারিল ফাদলি কাদিয়ান, খন্ড-০৩, পৃষ্ঠা-৪০৮।

২৭। শ্রী কৃষ্ণের অবতার হওয়ার দাবী। কাদিয়ানী মাযহাব (নতুন সংস্করন, জানুয়ারি ২০০১), মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, পৃষ্ঠা-৪৩২, রূহানী খাযায়েন,কাদিয়ানী মাযহাব (নতুন সংস্করন, জানুয়ারি ২০০১), মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, পৃষ্ঠা-৩২৮, আখবারিল ফাদলি কাদিয়ান, খন্ড-০৩, পৃষ্ঠা-৪০৮।

২৮। শ্রী কৃষ্ণ হওয়ার দাবী। সূত্র: মির্জা বলেন: 'আমি মুসলমানদের জন্য মাসীহ ও হিন্দুদের জন্য শ্রী কৃষ্ণ।' কাদিয়ানী মাযহাব (নতুন সংস্করন) জানুয়ারি ২০০১, ইলিয়াস বরনী, পৃষ্ঠা-৩৪৬-৩৪৭, রূহানী খাযায়েন, খন্ড-২০, পৃষ্ঠা-২২৮। তিনি আরও বলেন: 'যত নবী রাসূল অতিবাহিত হয়েছেন তাদের যাবতীয় বৈশিষ্ট্য আমার মধ্যে বিদ্যমান। হিন্দুদের মধ্যে কৃষ্ণ নামে যে নবী অতিবাহিত হয়েছেন, তারও বৈশিষ্ট্য এবং গুনাবলীও।' বারাহিনে আহমদিয়াহ, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, খন্ড-০৫।

২৯। যুলকারনাইন হওয়ার দাবী। সূত্র: বারাহিনে আহমদিয়াহ, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, পৃষ্ঠা-৯৮, আনওয়ারে আহমদিয়াহ, মাসমাইন প্রেস, কাদিয়ান, অক্টোবর ১৯০৮।

৩০। এছাড়াও তার দীর্ঘ দাবীর তালিকায় এক পর্যায়ে তিনি তার মধ্যে খোদার অবতারিত হওয়ার কথা এবং অন্যত্র (স্বপ্নযোগে) খোদা হওয়ারও দাবী করেছেন। সূত্র: মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী লিখেছেন, 'অামার সত্তার মধ্যে খোদা প্রবেশ করেছেন।' তাজকেরাহ ইয়া'নি অহীয়ে মুকাদ্দাস, পৃষ্ঠা-১৯৮।

তিনি আরও বলেছেন: 'অামি স্বপ্নে দেখলাম, আমি স্বয়ং খোদা এবং অামি বিশ্বাসও করলাম- আমি প্রকৃতই খোদ।' তিনি আরও লিখেছেন: 'স্বপ্নের ঘোরে আমি বললাম, জমীন ও আসমান আমিই তৈরি করেছি। .... আমি বললাম: আমিই প্রথম আসমানকে আলোকবর্তিকা দ্বারা সুসজ্জিত করেছি। ...... আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি সুন্দর গঠনে। সূত্র: রূহানী খাযায়েন, পৃষ্ঠা-৫৬৪-৫৬৫।

৩১। আল্লাহ পাকের যেমন ৯৯ টি নাম রয়েছে, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী দাবী করেছেন, তারও অনুরূপ ৯৯ টা নাম রয়েছে। সূত্র: কাদিয়ানী মাযহাব (নতুন সংস্করন) জানুয়ারি ২০০১, ইলিয়াস বরনী, পৃষ্ঠা-২৮৪-২৮৫।

তার অনুসারীরা মির্জা কাদিয়ানীর এসব দাবীর প্রতি ঈমান এনে তার উম্মতভুক্ত হয়েছে। তার অনুসারীরা তার কোন একটি দাবীকেও অস্বীকার করে নি। বরং, তাকে মুজাদ্দিদ, ইমাম মাহদী, মাসীহে মাওউদ (প্রতিশ্রুত মাসীহ), যিল্লী বা বুরূজী (ছায়া) নবী, উম্মতী নবী ও শরীআতের অধিকারী নবী হিসেবে মেনে আসছে।

কাদিয়ানীদের বর্ননামতে, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর এসব দাবীর মধ্যে প্রধান ছিল তার 'মাসীহে মাওউদ' তথা 'প্রতিশ্রুত মাসীহ' হওয়ার দাবী। অথচ সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমানিত যে, হযরত ঈসা আলাইহিসসালাম কিয়ামতের পূর্বে নাযিল হবেন এবং নবী হিসেবে নয় বরং শেষ নবী মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম এর উম্মতী শাসক হিসেবে রাজ্য পরিচালনা করবেন। বাবে লূদ নামক স্থানে দাজ্জালকে হত্যা করবেন। এবং অবশেষে ইন্তেকাল করবেন। মদীনা শরীফে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম এর কবর মুবারকের পাশে তাঁকে দাফন করা হবে। কিন্তু, অন্য কথা বাদ দিলেও ঈসা বা মাসীহে মাওউদ দাবীদার মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী মক্কাতুল মুকাররমা কিংবা মদীনাতুল মুনাওওরায় জীবনে যান নি। তার মৃত্যু হয়েছে পাঞ্জাবে এবং সেখানেই তার কবর। ঈসা মাসীহ হওয়ার দাবী করলে প্রশ্ন উঠতে পারতো যে, ঈসা আলাইহিসসালাম এর কোন পিতা ছিল না অথচ মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর পিতা রয়েছে। আরও প্রশ্ন উঠতে পারতো যে, ঈসা আলাইহিসসালাম এর মা ছিলেন মারইয়াম অথচ মির্জা কাদিয়ানীর মাতা অন্য মহিলা কেন? এসব প্রশ্নের জবাব দেয়ার জন্যই তিনি বলেছেন: ঈসা আলাইহিসসালাম এর পিতা ছিল। যার নাম ইউসুফ নাজ্জার। না'উযুবিল্লাহ। এতে করে পবিত্র কুরআন ঘোষিত সতী সাধ্বী মহীয়সী নারী মারইয়ামের নামে ব্যভিচারের জঘন্য অপবাদ দেয়া হয়েছে।

এবং দ্বিতীয় প্রশ্ন এড়ানোর জন্য তিনি নিজেকে দাবী করে বলেছেন যে, আমিই মারইয়াম। আমার থেকেই আমার আবির্ভাব হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছিল, মারইয়াম ছিলেন নারী অথচ আপনি পুরুষ? এর জবাবে তিনি বলেছিলেন: আমার মধ্যে নারীত্বও বিদ্যমান। প্রমান হল আমার হায়েয হয়। তিনি তার অর্শ রোগের দিকে ইংগিত করেই একথা বলেছিলেন। এমনসব হাস্যকর প্রলাপও তিনি বকেছেন।

তার আরেকটি প্রধান দাবী ছিল 'মাহদী' হওয়ার। প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম সত্যিকার মাহদীর বিস্তারিত বিবরন দিয়ে গেছেন। তিনি জন্মগ্রহন করবেন প্রিয় নবীর বংশে। তাঁর পিতার নাম হবে আব্দুল্লাহ, মাতার নাম হবে আমিনা। তার আত্মপ্রকাশ হবে মক্কা মুআজ্জমায়। পবিত্র কা'বা শরীফের চত্বরেই লোকেরা তাকে শনাক্ত করবে এবং তাঁর হাতে বাইআ'ত হবেন। তিনি কনস্ট্যান্টিনোপল জয় করবেন। ইত্যাদি। অথচ এর কোনটির সঙ্গেই মির্জা কাদিয়ানীর সামান্যতম মিলও নেই।

অনেক ধৈর্য্য নিয়ে যে ব্লগার বন্ধুগন এই সিরিজটি এগিয়ে নিতে সতত: প্রেরনা দিয়ে, সাহস দিয়ে, শুভকামনা জানিয়ে বাধিত করেছেন, প্রত্যেককে উষ্ণ অভিনন্দন। অভিনন্দন এবং কৃতজ্ঞতা আমার ভাই নাঈমুর রহমান আকাশকেও। তার কারনেই মূলত: এই পোস্টের বিষয়টি প্রথমত: চিন্তায় আসে। আশা করি, পরবর্তী পর্বটি দিয়ে এ আঁধারের পরিসমাপ্তিতে পৌঁছতে সক্ষম হব, ইনশাআল্লাহ। আমরা এই সিরিজের প্রতিটি লেখায় প্রয়োজনীয় তথ্যসূত্র সংযুক্ত করার চেষ্টায় ত্রুটি করি নি। এরপরেও আমাদের অনিচ্ছাকৃত কোন তথ্য বিভ্রাট কারও নজরে এলে সহৃদয়তার পরিচয় দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে, আমরা অবশ্যই তাকে স্বাগত জানাব। একজন ব্যক্তিও যদি এই সিরিজটিতে উপস্থাপিত তথ্যাদি দ্বারা উপকৃত হন, তাহলেই শ্রম স্বার্থক মনে করব। আল্লাহ পাক আমাদের ক্ষুদ্রতা, সীমাবদ্ধতা ও জ্ঞানের স্থুলতা ক্ষমা করুন।

আল্লাহ পাক বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী প্রত্যেক আপদ থেকে আমাদের ঈমান আমল হেফাজত করুন।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০৫

এভো বলেছেন: আপনার কি মনে হয়, সরকারের উচিৎ পাকিস্থানের মত, কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষনা করা ????

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০১

নতুন নকিব বলেছেন:



মুসলমানগন তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের প্রতিটি কথায় বিশ্বাস রাখেন। যে গোষ্ঠী মহাগ্রন্থ কুরআনে বর্নিত 'মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম সর্বশেষ নবী' এই দ্ব্যার্থহীন ঘোষনা অস্বীকার করে তারা কখনও মুসলিম হতে পারেন না।

এই সিরিজটিতে যদি আপনি একবার চোখ বুলিয়ে নেন, তাহলেই আশা করি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। যেহেতু কাদিয়ানীদের ধর্মীয় বিশ্বাস মুসলিমদের সাথে অনেকাংশে সাংঘর্ষিক, সেহেতু আমরা মনে করি, লুকোচুরির আশ্রয় না নিয়ে স্বেচ্ছায় ধর্মীয় পরিচয়ের জন্য নতুন নাম কাদিয়ানীদের নির্ধারন করে নেয়া উচিত। আর এতে করে তাদের সাথে মুসলমানদের সকল দ্বন্ধেরও অবসান হয়ে যেতে পারে। এটা হলে, কোন দেশকে অনুসরন করে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষনা করার প্রয়োজনও আর বাকী থাকে না।

আমরা আশা করতে চাই, আত্মসচেতনতার পরিচয় দিয়ে, সকল দ্বন্ধ অবসানের লক্ষ্যে কাদিয়ানীগন 'মুসলিম' পরিচয় বাদ দিয়ে তাদের বোধ-বিশ্বাসের সাথে সঙ্গতি রেখে স্বধর্মীয় পরিচয় ঠিক করে নিতে উদ্যোগী হবেন।

মন্তব্যে আসায় ধন্যবাদ।

২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩০

মরুসিংহ বলেছেন: চট্টগ্রাম শহরের অলি খাঁ মোড়ে কাদিয়ানীদের একটি উপাসনালয় আছে। আমি একদিন নামাজ পড়তে মসজিদ মনে করে ভুলে ঢুকে যাচ্ছিলাম। পরে খেয়াল করলাম উপাসনালয়টির ভেতরে বিশাল এলসিডি টিভি। আবার পুরো বিল্ডিংটা কেমন দুর্গ টাইপের। আর না ঢুকে বেরিয়ে পড়ি। সত্যি বলতে একটু ভয় লেগেছিল। বাইন্ধা রাখলে চিল্লানি দিলেও কেউ শুনবে না। ;) পরে পাশেই অলি খাঁ মসজিদে যাই।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৬

নতুন নকিব বলেছেন:



মসজিদেআবার টিভি! তাও আবার বিশালাকারের! কখনও যাই নি। জীবনে যাওয়ার ইচ্ছে নেই। আল্লাহ পাক মাফ করুন।

সত্যি বলতে একটু ভয় লেগেছিল।

-কারন কী?

বাইন্ধা রাখলে চিল্লানি দিলেও কেউ শুনবে না।

-রাখে টাখে না কি?

অনেক ধন্যবাদ, মরুসিংহ।

৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: বর্তমান বিশ্বে ইসলামকে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের অন্যতম কারণ বলে মনে করা হয়। বিশ্বজুড়ে একাধিক নজিরবিহীন সন্ত্রাসী হামলার সাথে মোহাম্মদের (সা) নামকে জড়ানো হয়েছে।

খুব সুন্দর পোস্ট। ভীষন ভালো লেগেছে।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি যদি সময় করে এই পোস্টের আদ্যোপান্ত দেখে থাকেন, তাহলে ধারনা করা সম্ভব হবে, মুসলমানগন কেন তাদের প্রতি ক্ষুব্ধ। তারা মুসলমানদের ঈমান-আকিদা, তথা বোধ-বিশ্বাসে আঘাত করেছে। মূলত: মুসলমানদের ভেতরে স্থায়ী দ্বন্ধ-সংঘাত সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই এইসব দল-উপদল সৃষ্টির কারন। সেদিক থেকে বৃটিশদের সফল বলা যায়। 'ভাগ কর, শাসন কর' নীতিকে সামনে রেখেই তারা এগুলো করেছিল। এর সুফল তারা এখনও ভোগ করছে। 'কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা'র কাজ এখন অটোমেটিক হয়ে যাচ্ছে।

পোস্ট ভাল লাগায় কৃতজ্ঞতা।

৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০২

টারজান০০০০৭ বলেছেন: মির্জা কাদিয়ানীর স্বপ্নদোষ হইত জানিতাম , হায়েজও হইত জানিতাম না ! হেতেতো দেহা যায় শীমেল আছিল ! মাইচ্চে !
আরো কি কি আছিল কে জানে, টুট টুট টুট টুট ..........

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৮

নতুন নকিব বলেছেন:



এসব কথা-বার্তা আলোচনা করতেও লজ্জা হয়। কিন্তু সত্য এড়িয়ে যাওয়ার উপায় কী? নিতান্ত নিরুপায় হয়েই সত্য তুলে ধরার স্বার্থে কিছু অপ্রিয় কথা উল্লেখ না করে পারি নি।

ক্ষমা করবেন।

৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৮

কবি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেছেন: দারুণ লিখেছেন।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২০

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ, অন্তহীন।

ভাল থাকুন।

৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৭

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: কাদিয়ানী দের বিরুদ্ধে সশস্ত্র জিহাদ করে দেখতে পারেন। শালারা কাফির। নবীজি কাফিরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করেছিলেন। উম্মতদের জন্য ওইটা সুন্নাত। করে দেখতে পারেন।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৪

নতুন নকিব বলেছেন:



সাপুড়ে,
কাদিয়ানীগন আত্মসচেতনতার পরিচয় দিয়ে 'মুসলিম' পরিচয় বাদ দিয়ে তাদের বোধ-বিশ্বাসের সাথে সঙ্গতি রেখে স্বধর্মীয় পরিচয় ঠিক করে নিলেই সকল দ্বন্ধ-সংঘাতের অবসান হয়ে যায়।

'সশস্ত্র জিহাদের' জন্য তো সামরিক জ্ঞানে দক্ষ জেনারেল প্রয়োজন। সেই জেনারেল কে হবে? আপনি?

'সশস্ত্র জিহাদ' কথাটা বলে আপনি যে উস্কানি দেয়ার চেষ্টা করেন নি - এটা বলতে পারবেন? উস্কানি কি ভাল কাজ, দাদা? কাদিয়ানীদের আপনি 'শালারা' বলে গালি দিচ্ছেন কেন? বিশ্বাস ভিন্ন হলেই তাদের গালি দিতে হবে? কোনও সম্প্রদায়ের বিশ্বাস ভিন্ন হলেই তাদের বিরুদ্ধে 'সশস্ত্র জিহাদ' করতে হবে? আর এ্টা সুন্নত, কে বলেছে আপনাকে?

দু:খিত! সাপুড়ে, আপনার নেতিবাচক মন্তব্য আমাকে আহত করেছে। যদিও আমরা আপনার নিকট থেকে আরও বুদ্ধিদীপ্ত গঠনমূলক মন্তব্য আশা করতে চাই।

আপনি ভাল থাকুন।

৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৩

টারজান০০০০৭ বলেছেন: সাপুড়ে রিভার্স খেলিতেছে, ভাইজান ! ইসলামের কিছু দেখিলেই সে বীণ বাজানো শুরু করে আর তাহার বিচি গর্ত হইতে বাহির হইয়া আসে !!!!

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১১

নতুন নকিব বলেছেন:



তাহাই তো দেখিতেছি, ভাইসাহেব! ইসলামের কোন কিছু দেখিলেই তাহার বীণ বাজানোর খেলাটা নতুন নয়। পুরনো। তাহাকে ইহার দিকেই ইঙ্গিত করিতে চাহিয়াছি। যদি তিনি বুঝে থাকেন, কিংবা আদৌ বুঝার চেষ্টা করেন। বীণ বাজানোর এই কসরত আসলে কাহার জন্য মঙ্গল বয়ে আনে, বলুন!

মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।

৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯

মরুসিংহ বলেছেন: আসলেই বেধে রাখে কিনা জানিনা। রাখার কথাও না। এটা ভাবলাম তাদের চারিদিক বন্ধ উঁচু দেয়াল দেখে। তবে সেইম অভিজ্ঞতা হয়েছিল এক বড় ভাইয়ের। তিনি মসজিদ মনে করে গেলেও গিয়েছিলেন এক বন্ধুর দাওয়াতে যিনি ওনাকে না জানিয়ে নামাজ পড়ার জন্য নিয়ে যায়। নামাজের পরে শুরু হয় ব্রেইন ওয়াস। ওনাকে ইসা (আঃ) সম্পর্কে ব্যাপক জ্ঞান ইঞ্জেক্ট করেছিল। পরে অবশ্য তাদের কুযুক্তি গুলো বুঝতে পারেন। আমার ধারনা এটাই ওদের কৌশল। আপনার সাথে ওপেন স্পেসে কথা বলবে না। আপনাকে ওদের সো কল্ড মসজিদে ডাকবে। এখন ওদের সো কল্ড মসজিদে তো আর আপনি রেফারেন্স নিয়ে যাবেন না যার ফলে হয়তো তাতক্ষণিক পালটা যুক্তি দেখাতে পারবেন না, যদি না আপনার সে ব্যাপারে আগে থেকে ভালো পড়াশোনা থাকে। সো দ্যাটস দ্যা ট্রিক। সামটাইমস ইট ওয়ার্কস, সামটাইমস ডাজন্ট। অবশ্য এটা আমার ধারণা। বাকিটা আল্লাহ ভালো জানেন।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:



সেইম অভিজ্ঞতা হয়েছিল এক বড় ভাইয়ের। তিনি মসজিদ মনে করে গেলেও গিয়েছিলেন এক বন্ধুর দাওয়াতে যিনি ওনাকে না জানিয়ে নামাজ পড়ার জন্য নিয়ে যায়। নামাজের পরে শুরু হয় ব্রেইন ওয়াস। ওনাকে ইসা (আঃ) সম্পর্কে ব্যাপক জ্ঞান ইঞ্জেক্ট করেছিল। পরে অবশ্য তাদের কুযুক্তি গুলো বুঝতে পারেন। আমার ধারনা এটাই ওদের কৌশল। আপনার সাথে ওপেন স্পেসে কথা বলবে না। আপনাকে ওদের সো কল্ড মসজিদে ডাকবে। এখন ওদের সো কল্ড মসজিদে তো আর আপনি রেফারেন্স নিয়ে যাবেন না যার ফলে হয়তো তাতক্ষণিক পালটা যুক্তি দেখাতে পারবেন না, যদি না আপনার সে ব্যাপারে আগে থেকে ভালো পড়াশোনা থাকে। সো দ্যাটস দ্যা ট্রিক। সামটাইমস ইট ওয়ার্কস, সামটাইমস ডাজন্ট।

-এটা আপনার ধারনা হলেও বাস্তবতাও এরকমই। আমি এই গোষ্ঠী সম্মন্ধে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে যতটুকু জানতে পেরেছি, তা এই রকমই।

ভাল থাকবেন।

৯| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৫

নতুন নকিব বলেছেন:



রাজীব নূর এর 'হে আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন' পোস্টে বাবুরাম সাপুড়ে১ এর নিম্নোক্ত মন্তব্যের জবাবটি এখানে প্রদান করা হল।

৩৩. ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৫ ০
বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: @নতুন নাকীব ,আপনি রাগ করেন কেন জনাব ? রাগ কি মোমিনদের সাজে ? ,আমি কাফির কিন্তু আপনি তো আল্লার বান্দা। আপনি পোস্টের পর পোস্টে কাদিয়ানীদের গাল -মন্দ করছেন। এইটা কি ঠিক? সৃষ্টিকর্তা একমাত্র সত্যধর্মের সত্য গ্রন্থে বলেছেন তিনি জ্বীন এবং ইনসানকে তৈরী করেছেন শুধুমাত্র তাঁর ইবাদত করার জন্য। বলেছেন কি বলেন নি ? আপনি তা না করে ইহুদী-কাফির দের আবিষ্কার করা ব্লগ ইন্টারনেটে সময় কাটাচ্ছেন ,কাদিয়ানীদের মন্দ-ভালো বলছেন --কি রকম ধর্ম-পালন আপনার? বলি দু দিনের দুনিয়াদারি তে আছেটা কি?? এসব পোস্ট লেখা, কমেন্ট করা বাদ দেন .....সবসময় চিন্তা করুন সেই আখিরাত... .সেই হাশরের মাঠ ....সেই অন্তহীন জীবন , সেই ৭২ ...আহাহা .....আমিন ! আমিন !
আচ্ছা কাফিরদের মাথার একহাত ওপরে সূর্য টা থাকবে না দু হাত ওপরে থাকবে? আপনি নাহয় আমার জন্য দুহাত ওপরে রাখার দোয়া করবেন , একহাত ওপরে থাকলে বড্ড বেশী গরম লাগবে।


-রাগ কে করলো? রাগ তো দেখা যায়, আপনি করছেন, দাদা। রাগ ভাল না। তা মুমিন আর বেমুমিন সকলের জন্যই। আপনার ধর্মেও মনে হয়, রাগকে নিরুতসাহিত করা হয়েছে।

দু:খিত! আপনাকে কাফির বলার ধৃষ্টতা আমি দেখাই নি! হতে পারে, আপনি মহান মালিকের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে আমার মত গোনাহগারের চেয়ে অধিক কল্যান লাভ করবেন। মালিকের অধিক প্রিয় হবেন। সুতরাং, আপনার প্রতি এই ধরনের শব্দ প্রয়োগ আমার চিন্তার পরিপন্থী!

আমরা পোস্টের পর পোস্টে কাদিয়ানীদের গাল -মন্দ করি নি। শুধুমাত্র তাদের মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে রাখা পাপকে সামনে আনার চেষ্টা করেছি। মুসলমানদের বিশ্বাস-চিন্তা-চেতনা তাদের থেকে সম্পূর্ন আলাদা, সুতরাং, তারা তাদের মত করে নতুন ধর্ম চালু করে নিক। কেন তারা নিজেদের মুসলিম পরিচয় দিয়ে সাধারন মানুষদের প্রতারনা করবে?

ধর্ম তো কিছু বিশ্বাসের সমষ্টি। মুসলমানদের বিশ্বাস যেহেতু তারা লালন করেন না, সুতরাং তারা মুসলিম নন। অতএব তাদের ধর্মের নাম কখনও ইসলাম হতে পারে না, তাদের জাতির নামও মুসলিম হতে পারে না। এই সহজ সমীকরনটি বুঝতে আপনার কষ্ট হওয়ার কথা নয়। আর এ সত্যগুলো তুলে ধরা বুঝি অপরাধ! এগুলো বলার অর্থ বুঝি কাদিয়ানীদের গালি দেয়া!

কাদিয়ানীদের নিয়ে দেয়া পোস্টগুলো পড়ে দেখুন, ওদের ধর্মীয় বই পুস্তক কিংবা রিলেটেড রেফারেন্স ছাড়া একটিও তথ্য দেয়ার চেষ্টা করি নি।

আপনিও তো পরকালে বিশ্বাস করলেন। ঠিক আছে, আপনার মাথার দুই হাত উপরে সূর্য থাকার ব্যাপারে দোআ করব। সাথে যদি আরেকটু বাড়িয়ে দোআ করি, তাহলে কি আবার রাগ করবেন? যদি বলি, আপনার মাথার উপরে কোন সূর্যই যেন না থাকে। আপনি যেন স্থান পেয়ে যান, আল্লাহ পাকের আরশের ছায়াতলে, তাহলে কি অনেক রাগ করবেন, দাদা? আমাদের তো মনে হয়, আপনি অবশ্যই ফিরে আসবেন! এবং আপনার 'সব কিছু দেখে শুনে ফিরে আসা'র সেই সময়টা এখন খুবই সন্নিকটে!

আপনার কল্যান কামনা করছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.