নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

আবু সাঈদ খুদরী রা. বর্নিত কয়েকখানা হাদিস

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬



জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমনদ প্রসঙ্গে

৪৮৩৮-[২৭] আবূ সাঈদ (রাঃ) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উক্তি বলে বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আদম সন্তান সকালে ঘুম থেকে উঠলে, তার সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ জিহ্বার কাছে অনুনয়-বিনয় করে বলে, আমাদের ব্যাপারে তুমি আল্লাহকে ভয় করো। কেননা আমরা তোমার সাথে জড়িত। তুমি ঠিক থাকলে আমরাও ঠিক থাকব, আর তুমি বাঁকা পথ অনুসরণ করলে আমরাও বাঁকা পথ অনুসরণ করব। (তিরমিযী)[1] পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) / অধ্যায়ঃ পর্ব-২৫ঃ শিষ্টাচার (كتاب الآداب) হাদিস নম্বরঃ ৪৮৩৮ | 4838 | ٤۸۳۸

জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমনদ প্রসঙ্গে

৪৮৭৪-[৬৩], ৪৮৭৫-[৬৪] আবূ সা‘ঈদ আল খুদরী ও জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তাঁরা বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ‘‘গীবত’’ ব্যভিচারের চেয়েও ভয়ঙ্কর। সহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞেস করলেনঃ হে আল্লাহর রসূল! গীবত ব্যভিচার হতে ভয়ঙ্কর কিভাবে হতে পারে? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ মানুষ ব্যভিচার করে, অতঃপর তাওবাহ্ করে এবং আল্লাহ তা‘আলা অনুগ্রহ করে তাওবাহ্ কবুল করেন। অপর এক বর্ণনায় আছে যে, অতঃপর ব্যভিচারী তাওবাহ্ করে, আল্লাহ তা‘আলা তাকে ক্ষমা করেন; কিন্তু পরোক্ষ নিন্দাকারীকে আল্লাহ তা‘আলা ক্ষমা করেন না, যতক্ষণ না যার নিন্দা করা হলো সে ক্ষমা করে।[1] পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) / অধ্যায়ঃ পর্ব-২৫ঃ শিষ্টাচার (كتاب الآداب) হাদিস নম্বরঃ ৪৮৭৪ | 4874 | ٤۸۷٤



ভালো কাজের আদেশ

৫১৩৭-[১] আবূ সা‘ঈদ আল খুদরী (রাঃ) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোন শারী‘আত বিরোধী কার্যকলাপ হতে দেখে, সেটাকে যেন নিজ হাতে পরিবর্তন করে দেয়। যদি নিজ হাতে সেগুলো পরিবর্তন করার ক্ষমতা না থাকে, তাহলে মুখে নিষেধ করবে। আর যদি মুখে নিষেধ করারও সাধ্য না থাকে, তাহলে অন্তরে সেটা ঘৃণা করবে। এটা সবচেয়ে দুর্বল ঈমানের পরিচায়ক। (মুসলিম)[1] পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) / অধ্যায়ঃ পর্ব-২৫ঃ শিষ্টাচার (كتاب الآداب) হাদিস নম্বরঃ ৫১৩৭ | 5137 | ۵۱۳۷

[1] সহীহ : মুসলিম ৭৮-(৪৯), আবূ দাঊদ ১১৪০, তিরমিযী ২১৭২ ইবনু মাজাহ ৪০১৩, নাসায়ী ৫০০৮, সহীহ আত্ তারগীব ২৩০২, মুসান্নাফ ‘আবদুর রাযযাক ৫৬৪৯, আহমাদ ১১১৫০, মুসনাদ আবূ ইয়া‘লা ১২০৩, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩০৭, সুনানুন্ নাসায়ী আল কুবরা ১১৭৩৯, হিলইয়াতুল আওলিয়া ১০/২৮, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৬৪২৩। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

মানুষের মধ্যে সেই মু’মিন মুজাহিদই উত্তম, যে নিজের জান দিয়ে ও মাল দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করে

وَقَوْلُهُ تَعَالَى: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا هَلْ أَدُلُّكُمْ عَلَى تِجَارَةٍ تُنْجِيكُمْ مِنْ عَذَابٍ أَلِيمٍ تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَتُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ بِأَمْوَالِكُمْ وَأَنْفُسِكُمْ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَ يَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَيُدْخِلْكُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الأَنْهَارُ وَمَسَاكِنَ طَيِّبَةً فِي جَنَّاتِ عَدْنٍ ذَلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ

আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ ‘‘ওহে যারা ঈমান এনেছ? আমি কি তোমাদেরকে এমন এক বাণিজ্যের কথা বলে দিব, যা তোমাদেরকে রক্ষা করবে এক যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে? তা এই যে, তোমরা ঈমান আনবে আল্লাহর প্রতি ও তাঁর রাসূলের প্রতি এবং জিহাদ করবে আল্লাহর পথে তোমাদের ধন-সম্পদ ও তোমাদের জীবন দিয়ে। এটাই তোমাদের জন্য শ্রেয়, যদি তোমরা জানতে। আল্লাহ্ ক্ষমা করে দিবেন তোমাদের গুনাহসমূহ এবং দাখিল করবেন জান্নাতে, প্রবাহিত হতে থাকবে যার নিম্নদেশে নহরসমূহ এবং এমন মনোরম গৃহ যা রয়েছে অনন্তকাল বাসের জন্য। এটাই মহা সাফল্য।’’ (আস্ সফ ১০-১২)

২৭৮৬. আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জিজ্ঞেস করা হলো, ‘হে আল্লাহর রাসূল! মানুষের মধ্যে কে উত্তম?’ আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘সেই মু’মিন যে নিজ জান ও মাল দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করে।’ সহাবীগণ বললেন, ‘অতঃপর কে?’ তিনি বললেন, ‘সেই মু’মিন আল্লাহর ভয়ে যে পাহাড়ের কোন গুহায় অবস্থান নেয় এবং স্বীয় অনিষ্ট থেকে লোকদেরকে নিরাপদ রাখে।’ (৬৪৯৪) (মুসলিম ৩৩/৩৪ হাঃ ১৮৮৮, আহমাদ ১১৮৩৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৮০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৯২) পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ) / অধ্যায়ঃ ৫৬/ জিহাদ ও যুদ্ধকালীন আচার ব্যবহার (كتاب الجهاد والسير) হাদিস নম্বরঃ ২৭৮৬ | 2786 | ۲۷۸٦



আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করার ফাযীলাত।

২৮৪২. আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মিম্বারে দাঁড়ালেন এবং বললেন, আমি আমার পর তোমাদের জন্য ভয় করি এ ব্যাপারে যে, তোমাদের জন্য দুনিয়ার কল্যাণের দরজা খুলে দেয়া হবে। অতঃপর তিনি দুনিয়ার নিয়ামতের উল্লেখ করেন। এতে তিনি প্রথমে একটির কথা বলেন, পরে দ্বিতীয়টির বর্ণনা করেন। এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘হে আল্লাহর রাসূল! কল্যাণও কি অকল্যাণ বয়ে আনবে?’ নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নীরব রইলেন, আমরা বললাম, তাঁর উপর ওয়াহী নাযিল হচ্ছে। সমস্ত লোকও এমনভাবে নীরবতা অবলম্বন করল, যেন তাদের মাথার উপর পাখী বসে আছে। অতঃপর আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মুখের ঘাম মুছে বললেন, সেই প্রশ্নকারী কোথায়? তা কী কল্যাণকর? তিনি তিনবার এ কথাটি বললেন। কল্যাণ কল্যাণই বয়ে আনে। আর এতে কোন সন্দেহ নেই যে, বসন্তকালীন উদ্ভিদ পশুকে ধ্বংস অথবা ধ্বংসের মুখে নিয়ে আসে। কিন্তু যে পশু সেই ঘাস এ পরিমাণ খায় যাতে তার ক্ষুধা মিটে, অতঃপর রোদ পোহায় এবং মলমূত্র ত্যাগ করে, অতঃপর আবার ঘাস খায়। নিশ্চয়ই এ মাল সবুজ শ্যামল সুস্বাদু। সেই মুসলিমের সম্পদই উত্তম যে ন্যায়সঙ্গতভাবে তা উপার্জন করেছে এবং আল্লাহর পথে, ইয়াতীম ও মিসকীন ও মুসাফিরের জন্য খরচ করেছে। আর যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে অর্জন করে তার দৃষ্টান্ত এমন ভক্ষণকারীর মত যার ক্ষুধা মিটে না এবং তা কিয়ামতের দিন তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে। (৯২১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬৩২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৬৪২) পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ) / অধ্যায়ঃ ৫৬/ জিহাদ ও যুদ্ধকালীন আচার ব্যবহার (كتاب الجهاد والسير) হাদিস নম্বরঃ ২৮৪২ | 2842 | ۲۸٤۲

টাখনুর নিচে যা যাবে তা জাহান্নামে যাবে

৪৩৩১-[২৮] আবূ সা‘ঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, মু’মিনের ইযার (লুঙ্গি, পেন্ট ও পায়জামা) পায়ের অর্ধনলা পর্যন্ত থাকা চাই, তবে তার নিচে টাখনু বা গিরার উপর পর্যন্ত হওয়ার মধ্যে কোন দোষ নেই। কিন্তু টাখনুর নিচে যা যাবে তা জাহান্নামে যাবে। এ কথাটি তিনি তিনবার বলেছেন। তিনি আরো বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অহংকারবশতঃ ইযার হেঁচড়িয়ে চলে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা তার প্রতি দৃষ্টি করবেন না। (আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহ)[1]

[1] সহীহ : আবূ দাঊদ ৪০৯৩, ইবনু মাজাহ ৩৫৭৩, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ২০১৭, সহীহ আল জামি‘উস্ সগীর ৯২১, মুওয়াত্ত্বা মালিক ৩৩৯০, মুসনাদে আহমাদ ১১৩৯৭, সহীহ ইবনু হিব্বান ৫৪৪৭, শু‘আবুল ঈমান ৬১৩৩, আল মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ২৪৭, আল মু‘জামুল আওসাত্ব ৫২০৪। পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি / গ্রন্থঃ মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) / অধ্যায়ঃ পর্ব-২২ঃ পোশাক-পরিচ্ছদ (كتاب اللباس ) হাদিস নম্বরঃ ৪৩৩১ | 4331 | ٤۳۳۱



আল্লাহর জন্য ভালবাসা

রেওয়ায়ত ১৪. আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) অথবা আবু হুরায়রা (রাঃ)[1] হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, যেই দিন আল্লাহর (আরশের) ছায়া ব্যতীত অন্য কোন ছায়া থাকিবে না, সেই দিন আল্লাহ তা’আলা সাত প্রকারের মানুষকে তাহার ছায়াতলে স্থান দান করিবেন-(১) ন্যায় বিচারক ইমাম (শাসনকর্তা), (২) ঐ যুবক, যে আল্লাহর ইবাদতের ভিতর দিয়া লালিত-পালিত হইয়াছে, (৩) ঐ ব্যক্তি, যে নামায পড়িয়া মসজিদ হইতে বাহির হইলে পর আবার মসজিদে কখন যাইবে, এই চিন্তায় তাহার মন মসজিদের প্রতি আকৃষ্ট থাকে অর্থাৎ আবার কখন মসজিদে যাইবে এই কথা বার বার তাহার মনে জাগে, (৪) সেই দুই ব্যক্তি, যাহারা পরস্পরকে আল্লাহর জন্য ভালবাসে, তাহারা একত্র হয় আল্লাহর জন্য এবং আল্লাহর জন্যই পৃথক হয়, (৫) যেই ব্যক্তি নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং আল্লাহর ভয়ে তাহার দুই চক্ষু অশ্রুসিক্ত হয়, (৬) সেই ব্যক্তি, যাহাকে কোন সম্ভ্রান্ত পরিবারের রূপসী রমণী (স্বীয় কামভাব চরিতার্থ করার নিমিত্ত) আহবান করে, তবে সে এই বলিয়া (উক্ত আহবান) প্রত্যাখ্যান করে যে, আমি আল্লাহকে ভয় করি, (৭) সেই ব্যক্তি, যে (আন্তরিকতা সহকারে) কিছু সদকা এমনভাবে গোপনে করিয়াছে যে, তাহার ডান হস্ত কি সদকা করিয়াছে উহা তাহার বাম হস্ত পর্যন্ত জানিতে পারে নাই।[2] পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ মুয়াত্তা মালিক / অধ্যায়ঃ ৫১. চুল বিষয়ক অধ্যায় (كتاب الشعر) হাদিস নম্বরঃ ১৭৭৬ | 1776 | ۱۷۷٦

ভিক্ষা করা হইতে বিরত থাকা প্রসঙ্গ

রেওয়ায়ত ৭. আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, আনসারের কিছু লোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের নিকট কিছু চাহিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাদেরকে কিছু দান করিলেন; তাহারা পুনরায় কিছু চাহিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবার কিছু দান করিলেন। এইভাবে তিনবার দান করিলেন; এমন কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের নিকট যাহা কিছু ছিল, সব নিঃশেষ হইয়া গেল। অতঃপর তিনি বলিলেন, আমার নিকট যেই পরিমাণ মাল থাকিবে, উহা তোমাদের না দিয়া আমি কখনও জমা করিয়া রাখিব না। তবে যে ভিক্ষা চাওয়া হইতে বিরত থাকিবে, আল্লাহ্ তাহাকে রক্ষা করেন। যে সবর করিয়া কাহারও মুখাপেক্ষী নহে বলিয়া কার্যত প্রকাশ করিবে, আল্লাহ্ তাহাকে ধনী করিয়া দিবেন। যে সবর করিবে, আল্লাহ তা’আলা তাহাকে সবরের তওফীক দান করিবেন। মানুষকে যাহা কিছু দান করা হইয়াছে, তন্মধ্যে সবরের চাইতে বড় ও উত্তম আর কিছু নাই। পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন / গ্রন্থঃ মুয়াত্তা মালিক / অধ্যায়ঃ ৫৮. সদকা সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب الصدقة) হাদিস নম্বরঃ ১৮৭৮ | 1878 | ۱۸۷۸

দাজ্জাল মাদীনায় প্রবেশ করতে পারবে না।

১৮৮২. আবু সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সামনে দাজ্জাল সম্পর্কে এক দীর্ঘ হাদীস বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত কথাসমূহের মাঝে তিনি এ কথাও বলেছিলেন যে, মদিনার প্রবেশ পথে অনুপ্রবেশ করা দাজ্জালের জন্য হারাম করে দেয়া হয়েছে। তাই সে মাদ্বীনার উদ্দেশে যাত্রা করে মদিনার নিকটবর্তী কোন একটি বালুকাময় জমিতে অবতরণ করবে। তখন তার নিকট এক ব্যক্তি যাবে যে উত্তম ব্যক্তি হবে বা উত্তম মানুষের একজন হবে এবং সে বলবে, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, তুমিই হলে সে দাজ্জাল যার সম্পর্কে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে অবহিত করেছেন। দাজ্জাল বলবে, আমি যদি একে হত্যা করে পুনরায় জীবিত করতে পারি তাহলেও কি তোমরা আমার ব্যাপারে সন্দেহ করবে? তারা বলবে, না। এরপর দাজ্জাল লোকটিকে হত্যা করে পুনরায় জীবিত করবে। জীবিত হয়েই লোকটি বলবে, আল্লাহর শপথ! আজকের চেয়ে অধিক প্রত্যয় আমার আর কখনো ছিল না। অতঃপর দাজ্জাল বলবে, আমি তাকে হত্যা করে ফেলব। কিন্তু সে লোকটিকে হত্যা করতে আর সক্ষম হবে না। (৭১৩২, মুসলিম ৫২/২১, হাঃ ২৯৩৮, আহমাদ ১১৩১৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৭৪৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৭৫৭ )

পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ) / অধ্যায়ঃ ২৯/ মদীনার ফাযীলাত (كتاب فضائل المدينة) হাদিস নম্বরঃ ১৮৮২ | 1882 | ۱۸۸۲



অপরাধের শাস্তি।

وَقَوْلِ اللهِ تَعَالَى { وَلاَ تَحْسَبَنَّ اللهَ غَافِلاً عَمَّا يَعْمَلُ الظَّالِمُونَ إِنَّمَا يُؤَخِّرُهُمْ لِيَوْمٍ تَشْخَصُ فِيهِ الأَبْصَارُ مُهْطِعِينَ مُقْنِعِي رُءُوسِهِمْ } رَافِعِي الْمُقْنِعُ وَالْمُقْمِحُ وَاحِدٌ وَقَالَ مُجَاهِدٌ {مُهْطِعِينَ} مُدِيمِي النَّظَرِ وَيُقَالُ مُسْرِعِينَ {لاَ يَرْتَدُّ إِلَيْهِمْ طَرْفُهُمْ وَأَفْئِدَتُهُمْ هَوَاءٌ} يَعْنِي جُوفًا لاَ عُقُولَ لَهُمْ { وَأَنْذِرْ النَّاسَ يَوْمَ يَأْتِيهِمْ الْعَذَابُ فَيَقُولُ الَّذِينَ ظَلَمُوا رَبَّنَا أَخِّرْنَا إِلَى أَجَلٍ قَرِيبٍ نُجِبْ دَعْوَتَكَ وَنَتَّبِعْ الرُّسُلَ أَوَلَمْ تَكُونُوا أَقْسَمْتُمْ مِنْ قَبْلُ مَا لَكُمْ مِنْ زَوَالٍ وَسَكَنْتُمْ فِي مَسَاكِنِ الَّذِينَ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ وَتَبَيَّنَ لَكُمْ كَيْفَ فَعَلْنَا بِهِمْ وَضَرَبْنَا لَكُمْ الأَمْثَالَ وَقَدْ مَكَرُوا مَكْرَهُمْ وَعِنْدَ اللهِ مَكْرُهُمْ وَإِنْ كَانَ مَكْرُهُمْ لِتَزُولَ مِنْهُ الْجِبَالُ فَلاَ تَحْسِبَنَّ اللهَ مُخْلِفَ وَعْدِهِ رُسُلَهُ إِنَّ اللهَ عَزِيزٌ ذُو انْتِقَامٍ }

আল্লাহ তা‘আলার বাণীঃ ‘‘আর তুমি কখনও মনে করো না যে, যালিমরা যা করে সে সম্বন্ধে আল্লাহ বেখবর। তবে তিনি তাদেরকে অবকাশ দেন সেদিন পর্যন্ত, যেদিন চক্ষুসমূহ বিস্ফারিত হবে। ভীত-বিহবল চিত্তে মস্তক ঊর্ধ্বমুখী করে তারা দৌড়াতে থাকবে, নিজেদের দিকে তাদের দৃষ্টি ফিরে আসবে না এবং তাদের অন্তর হবে শূন্য।’’ {لاَ يَرْتَدُّ إِلَيْهِمْ طَرْفُهُمْ وَأَفْئِدَتُهُمْ هَوَاءٌ} অর্থাৎ উপরের দিকে তাদের মাথা তুলে। ﴿الْمُقْنِعُ﴾ এবং ﴿الْمُقْمِعُ﴾ সমার্থক শব্দ। মুজাহিদ (রহ.) বলেন, {مُهْطِعِينَ} অর্থ দৃষ্টি অবনত করে। ﴿هَوَاءٌ} শব্দের অর্থ জ্ঞানশূন্য।

আল্লাহ তা‘আলার বাণীঃ ‘‘কাজেই মানুষকে সতর্ক কর সেদিনের ব্যাপারে যেদিন তাদের উপর ‘আযাব আসবে। যারা জুলুম করেছিল তারা তখন বলবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে অল্পদিনের জন্য সময় দাও, আমরা তোমার আহবানে সাড়া দিব আর রাসূলদের কথা মেনে চলব।’ (তখন তাদেরকে বলা হবে) তোমরা কি পূর্বে শপথ করে বলনি যে, তোমাদের কক্ষনো পতন ঘটবে না? অথচ তোমরা সেই লোকগুলোর বাসভূমিতে বসবাস করছিলে যারা নিজেদের প্রতি জুলুম করেছিল আর তোমাদেরকে স্পষ্ট করে দেখিয়ে দেয়া হয়েছিল আমি তাদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করেছিলাম। আর আমি বহু উদাহরণ টেনে তোমাদেরকে বুঝিয়েও দিয়েছিলাম। তারা যে চক্রান্ত করেছিল তা ছিল সত্যিই ভয়ানক, কিন্তু তাদের চক্রান্ত আল্লাহ্‌র দৃষ্টির ভিতরেই ছিল, যদিও তাদের চক্রান্তগুলো এমন ছিল যে, তাতে পর্বতও টলে যেত। (অবস্থা যতই প্রতিকূল হোক না কেন) তুমি কক্ষনো মনে কর না যে, আল্লাহ তাঁর রাসূলগণকে দেয়া ওয়া‘দা খেলাপ করবেন, আল্লাহ মহা প্রতাপশালী, প্রবল প্রতিশোধ গ্রহণকারী।’’ (ইবরাহীমঃ ৪২-৪৭)

২৪৪০. আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মু’মিনগণ যখন জাহান্নাম হতে মুক্তি পাবে, তখন জান্নাত ও জাহান্নামের মাঝখানে এক পুলের উপর তাদের আটকে রাখা হবে। তখন পৃথিবীতে একের প্রতি অন্যের যা যা জুলুম ও অন্যায় ছিল, তার প্রতিশোধ গ্রহণের পরে যখন তারা পরিচ্ছন্ন হয়ে যাবে, তখন তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে। সেই সত্তার কসম! যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ, নিশ্চয়ই তাদের প্রত্যেকে পৃথিবীতে তার আবাসস্থল যেরূপ চিনত, তার চেয়ে অধিক তার জান্নাতের আবাসস্থল চিনতে পারবে। (৬৫৩৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৭৮) পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ) / অধ্যায়ঃ ৪৬/ অত্যাচার, কিসাস ও লুণ্ঠন (كتاب المظالم) হাদিস নম্বরঃ ২৪৪০ | 2440 | ۲٤٤۰

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬

আবু আফিয়া বলেছেন: মহানবী (সা।) এর হাদীস উপস্থাপন করছেন ধন্যবাদ কিন্তু আগে নিজে এর ওপর আমল করা উচিত। আপনি গীবত সংক্রান্ত হাদিস উপস্থাপন করেছেন অথচ আরেকটি লেখায় একটি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অনেক মিথ্যা মন্তব্য করেছেন যা গীবতের পর্যায় যায়, তাই কারো বিষয়ে না জেনে মন্তব্য করাটা কি গীবত নয়? তাই আগে নিজে পালন করার চেষ্টা করুন, তারপর অন্যকে বলুন।
হাদীসে এটিও উল্লেখ আছে কাউকে নিন্দা না করার তাহলে আপনার বিষয়টি কি দাঁড়ায়? তাই প্রকৃত ইসলাম বুঝার চেষ্টা করুন, ইসলাম কাউকে খোঁটা দেয়া বা কষ্ট দেয়ার জন্য আসে নি, ইসলাম সবাইকে ভালবাসতে শিখায়, ইসলাম সবার মাঝে শান্তি স্থাপন করতে চায়।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:২৯

নতুন নকিব বলেছেন:



এ জাতির দুর্ভাগ্য, যে আমাদের শিক্ষিত শ্রেনির অনেকেই আমরা জানি না, কোন্ কাজকে গীবত বলে।

জাতির ঈমান রক্ষার মহান দায়িত্বকে আপনি বলছেন 'গীবত'! আমাদের ইসলামী জ্ঞানের এই দীনতা দেখে শুধু আফসোসই হয়! পেটের ধান্দায়, দুনিয়া লাভের আশায়, গোগ্রাসে ইংলিশ গিলতে গিয়ে আমাদের এই দুরবস্থা। গীবত কাকে বলে আমরা তাও জানি না। তবে, অন্যকে উপদেশ দেয়ার ব্যাপারে একটুও হাত কাঁপে না আমাদের।

মন্তব্যে আসায় আপনাকে ধন্যবাদ।

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:২৪

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: আবু আফিয়া সাহেবকে তাঁর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আহমদীয়া মুসলিম জামাতের বিরুদ্ধে নকিব সাহেবের চরম মিথ্যাচার ও নোংরা বানোয়াট অভিযোগপূর্ণ পোস্টগুলোর সবগুলো পুরোপুরি পড়ে রিপোর্ট করার জন্য সকল ন্যায়পরায়ণ ও বিবেকবান মুসলমানকে অনুরোধ করছি। আপনাদের এটাও অনুরোধ করছি, কোনও পরিচিত আহমদী বন্ধুর কাছ থেকে এসব মিথ্যা তথ্য যাচাই করে নিন ও সত্যটা জানুন।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনাকে আগে থেকেই জানি। আপনি কাদিয়ানী পচা জিনিষ ফেরি করে ফেরেন সামু ব্লগে। এখন থেকে আপনি আমার ব্লগে না এলে খুশি হব। মিথ্যা নবী দাবীদার কাদিয়ানীর কোনো উম্মতের এখানে প্রয়োজন নেই।

৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৩

আবু আফিয়া বলেছেন: মহানবী (সা।) গীবতের বিষয়ে যা বলেছেন তা না বুঝে এখন নতুন করে আপনাদের মত ধর্মান্ধদের কাছে গীবতের ব্যাখ্যা বুঝতে হবে।
এটাই দোয়া থাকবে এসব ধর্মান্ধদের হাত থেকে আমাদের রক্ষা কর।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনাকে চিনতে পেরেছি। আপনি এখন আমার ব্লগ থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন। মিথ্যা নবী দাবীদার কাদিয়ানীর কোনো উম্মতের এখানে প্রয়োজন নেই।

৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪

আবু আফিয়া বলেছেন: আপনাদের মত লোকদেরই উম্মতে খুব প্রয়োজন বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য, তাই নয় কি

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৬

নতুন নকিব বলেছেন:



বিভেদের এই বীজ তো কাদিয়ানী ভন্ড নবী বৃটিশ প্রভূদের অর্থ বিত্তের লোভে বুনে গেছে। ওরে জিজ্ঞেস করে দেখুন।

৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের নবীজি (স.) মাছের গন্ধ সহ্য করতে পারতেন না। তিনি কখনো মাছ খান নি। একবার ইয়েমেনে তাকে মাছ খেতে দেয়া হয়েছিল। দুর্গন্ধ বলে তিনি সরিয়ে রেখেছিলেন।

এই হাদীস টি কি ভুল?

০১ লা মে, ২০১৮ সকাল ৯:০১

নতুন নকিব বলেছেন:



এরকম কোনো হাদিস আমি পাইনি। তবে খুঁজে পেলে আপনাকে জানাবো ইনশা-আল্লাহ।

অনেক ভাল থাকবেন সবসময়।

৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:২৭

আলোর পথে বিডি বলেছেন: সর্ব শেষ নবি মুহাম্মদ ( সাঃ )এর নবি দাবিদার গোলাম আহমেদ কাদিয়ানি নিজেকে শুধু নবি ই দাবি করেন নি , একইসাথে তিনি নিজেকে ইমাম মেহেদি ও দাবি করেছেন । ওদের সাথে কথা বলে লাভ নেই , তারা যে ভুলের অন্ধকারে হাবুডুবু খাচ্ছে তারা তা বুঝবে না।

কয়েকটি হাদিস দিয়েছেন ,যা মুসলিম উম্মার জন্য গুরুত্ব বহন করে । জাজাক আল্লাহ খাইরান ।

০১ লা মে, ২০১৮ সকাল ৯:১১

নতুন নকিব বলেছেন:



সুন্দর বলেছেন।

ওদের সাথে কথা বলে লাভ হয়তো নেই, ঠিকই। কিন্তু আমার ধারনা, ওদের ভেতরেও কিছু মানুষ হয়তো রয়েছেন, অন্তর যাদের একেবারে মরে যায়নি, যাদের স্বাভাবিক জ্ঞান বিবেক, ভাল মন্দের তফাত করার বোধ, বিচার এবং চিন্তা শক্তি লোপ পায়নি, এমন কেউ কেউ হয়তো এইসব লেখনির মাধ্যমে তাদের ভ্রান্ত মতবাদের অসারতা নিয়ে ভাববার অবকাশ পাবেন এবং ফিরে আসবেন সত্যের আলোয়। আর যাদের অন্তরে মোহর লেগেছে, সেই পথচ্যূতরা কোনো দিন ফিরে আসবে না তাও জানি।

কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা, ওদের সুগভীর চক্রান্ত থেকে জাতির সরল প্রান মানুষদের বাঁচাবে কে? আমাদের কিছু ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা যদি অনেকের ঈমান হেফাজতের কারন হয়, সে আশায় এই বিষয়ে কলম ধরা।

আপনাকে পাশে পেয়ে আনন্দিত। ভাল থাকবেন নিরন্তর।

৭| ০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫

নীল আকাশ বলেছেন: নকিব ভাই দারুন একটা হাদিসের সংকলন দেবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আবু আফিয়া বা নাঈমুর রহমান আকাশ সরাসরি কাদিয়ানী মতবাদের প্রচারক। এদের কথা বাদ দিন। এদের নেতা সহ সবাই বিভ্রান্ত ও ভূল ধারনার উপর আছে।

আমি দৃর ভাবে বিশ্বাস করি অন্তত একবার হলেও, বাংলাতে হলেও প্রত্যেক মুসলমান এর সহীহ বুখারী বা সহীহ মুসলিম শরীফ পড়া উচিত। আমাদের দেশে হাদিস নিয়ে অনেক, অনেক ভূল ধারনা আছে। আমারও ছিল। ছোট বেলা থেকে মুখে মুখে প্রচুর ভুল হাদিস শুনে এসেছি। সবার এই ভূল গুলি সংশধন করা উচিৎ।

সবশেষে, আল্লাহ আপনাকে অসীম রহমত দান করুন। আমীন।

০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার সুচিন্তিত মতামত ভাল লাগলো। আপনার বিশ্বাস অনন্য। আপনার নেক দুআ আল্লাহ পাক কবুল করে নিন।

তবে শুধু বুখারি শরিফ মুসলিম শরিফ নয়, সিহা সাত্তার বাকি চার কিতাবসহ হাদিসের নির্ভরযোগ্য প্রতিটি কিতাব আমাদের পাঠ্যসূচীর আওতায় থাকা প্রয়োজন। নির্ভরযোগ্য হাদিসের কিতাবগুলোতে দখল না থাকায় প্রায়শই সমস্যার সৃষ্টি হয়। বুখারি শরিফ এবং মুসলিম শরিফের বিশুদ্ধতা সর্বজনবিদিত। সেকথায় আমাদের বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। কিন্তু বাকি কিতাবগুলো, যেমন- মুসনাদে ইমাম আহমদ, মুয়াত্তা ইমাম মালেক, সুনান আদ দারেমী, মিশকাতুল মাসাবীহ, সুনান আদ দারে কুতনী, মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক, মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবাহ, সহীহ ইবনে খুযাইমা, সহীহ ইবনে হিব্বান, কানযুল উম্মাল, আল মুসতাদরাক আলাস সহীহাইন, মাজমাউল যাওয়ায়িদ, আল মু'জামুল কাবির, রিয়াদুসস-লিহীন, বুলূগুল মারাম, তালকীসুল মুসতাদরাক, তাহযিবুল আছার, আল আদাবুল মুফরাদ, মুসনাদ ইমাম শাফি, মুসনাদ ইমাম আযম, মুসনাদ আবূ ইয়া'লাসহ উল্লেখযোগ্য হাদিসের অনেক কিতাবেরই আমরা খবর রাখি না। এমনটা হওয়া অনুচিত। হাদিসের পরিপূর্ন ধারনা লাভের জন্য এসব কিতাবের মুতালাআ' প্রয়োজন।

অনেক ভাল থাকবেন।

৮| ০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৫৮

নীল আকাশ বলেছেন: আপনাকেও আল্লাহ পাক কবুল করে নিন। আমি সহীহ বুখারী বা সহীহ মুসলিম শরীফ দুটির কথা বলেছি কারন সহীহ বুখারী এবং সহীহ মুসলিম শরীফ কে একত্রে "সাহীহাইন" বলে গন্য করা হয়। বিশুদ্ধতম হাদিস গ্রন্থ হিসেবে এই দুটি কে বিবেচনা করা হয়।
অবশ্যই আমাদের সীহা সিত্তার সব গুলি গ্রন্থই পড়া উচিৎ। আমি সবার কথা চিন্তা করে অন্তত বাংলায় প্রকাশিত সহীহ বুখারী এবং সহীহ মুসলিম শরীফ পড়তে বলেছি। মুসনাদ বা সনদের দিক থেকে এই দুটি গ্রন্থ পড়াই সবার্ধিক গ্রহনযোগ্য।

আপনি যে বই গুলির কথা বলেছেন সেগুলি কি বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে, তাহলে আমি সেগুলি ধাপে ধাপে পড়তে আগ্রহী। প্রত্যেক মুসলমানের মৃত্যু পর্যন্ত জ্ঞান অর্জনের চেস্টা করা উচিৎ। আমীন।

০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৩

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, শুকরিয়া। হাদিসের কিতাবগুলো পাঠে আপনার আগ্রহের কথা জেনে আনন্দিত হলাম। সবগুলোর ব্যাপারে বলতে পারছি না। তবে অনেকগুলো কিতাবের বাংলা অনুবাদ হয়েছে। বাজারে খোঁজ নিলে আশা করি, জানতে পারবেন।

আর এটা ঠিক, আমি আগের প্রতিমন্তব্যেও বলেছি, বুখারী এবং মুসলিম শরিফের বিশুদ্ধতা সর্বজন বিদিত। তাই বলে কি অন্যান্য হাদিসের কিতাব পাঠ করা যাবে না? আমাদের সমাজে এক শ্রেনির লোক দেখবেন, তাদের জ্ঞানের বহর বুখারি ছাড়িয়ে যায় না। গেলেও মুসলিম শরিফ পর্যন্ত গিয়ে ঠেকে। এদের কোনো কোনো লোকই সম্ভবত: বাংলা বুখারি শরিফ পড়ে নিজেদের মুহাদ্দিস ভেবে বসেন! আলেম-উলামাদের পর্যন্ত হাদিস শেখাতে যান। এদের ন্যূনতম ভদ্রতা, কার্টেসি কিংবা আদব কায়দারও তোয়াক্কা করতে দেখা যায় না। তাদের স্বভাবগত এই দৈন্যতা দেখে মাঝে মাঝে আফসোস হয়। ভাবসাব দেখে মনে হয়, পৃথিবীতে হাদিসের কিতাব বলতে বুঝি শাইখাইনের এই দুই কিতাবই বর্তমান!

সময় সুযোগ হলে আপনাকে ইন্টারনেট থেকে হাদিসের কিতাবের বাংলা অনুবাদ (পিডিএফ ভার্সন) সংগ্রহে নেয়ার লিঙ্ক দেয়ার চেষ্টা থাকবে। অনেক ভাল থাকবেন।

৯| ১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪২

নীল আকাশ বলেছেন: "সময় সুযোগ হলে আপনাকে ইন্টারনেট থেকে হাদিসের কিতাবের বাংলা অনুবাদ (পিডিএফ ভার্সন) সংগ্রহে নেয়ার লিঙ্ক দেয়ার চেষ্টা থাকবে। অনেক ভাল থাকবেন। "

জ্বি, শুকরিয়া। আমি অপেক্ষায় থাকবো। সবশেষে, আল্লাহ আপনাকে অসীম রহমত দান করুন। আমীন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.