নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-২৪)

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬



মসজিদে কুবা রাসূলের পরশের অন্যতম ছায়া,
মদিনার পথে হেটে মদিনার তরে বাড়ে শুধু মায়া।

মদিনা মুনাওওয়ারাহর বিখ্যাত ঐতিহাসিক কিছু মসজিদ

মসজিদে নববী মদিনার প্রানকেন্দ্রে অবস্থিত। বিশ্ব মুসলিমের প্রানের স্পন্দন মহিমান্বিত এই মসজিদ ছাড়াও মদিনা মুনাওওয়ারাহয় রয়েছে আরও অনেক বিখ্যাত এবং ঐতিহাসিক মসজিদ। আলহামদুলিল্লাহ, অনেকগুলোতে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে এবং সালাত অাদায় করারও তাওফিক হয়েছে। এসবের অধিকাংশ মসজিদে সালাত আদায় করেছেন রাসূলে মাকবুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। এই মসজিদগুলোতে সালাত আদায়ে সিক্ত হয় হৃদয় মন। মন হারিয়ে যায় ইসলামের সেই সোনালী দিনগুলোতে। চলুন, দেখা-অদেখা কিছু মসজিদে ঘুরে আসি আজ।

মসজিদে আবু যার রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু Masjid Abu Dhar al-Ghifari مسجد ابي ذر الغفاري

এই মসজিদের আরেক নাম মসজিদ আসসাজদাহ। মসজিদে নববী থেকে উত্তরে উহুদ পাহাড়ের পথে এর অবস্থান। মসজিদে হারাম থেকে দূরত্ব ৯০০ মিটার। এই মসজিদের পাশেই ছিল আমাদের থাকার ব্যবস্থা। হোটেল থেকে বেরুলেই এই মসজিদ। এখানে বেশ ক'দিন সালাত আদায়ের সৌভাগ্য হয়েছে। ছোটখাট কিন্তু শৈল্পিক অবকাঠামোয় নির্মিত বেশ মনোরম এই মসজিদ। এই মসজিদে প্রবেশ করলেই দেখা যায়, বিভিন্ন জাতের চার পাঁচ আইটেমের খেজুর বড় বড় পাত্রে রাখা হয়েছে। পানি পানের সুন্দর ব্যবস্থা তো সবখানেই রয়েছে। মসজিদের ভেতরে অনেকগুলো ফ্রিজ। ফ্রিজে মুসল্লিদের জন্য জুস, কোমল পানীয় ইত্যাদি ভর্তি। প্রতি নামাজের পরে এখান থেকে মুসল্লিগন যার যার চাহিদামত খেজুর, পানি, কোমল পানীয়, লাবান ইত্যাদি নিয়ে নিচ্ছেন। আমরা এখান থেকে খেজুর খেয়েছি। অনেক সুস্বাদু মদিনাতুত্বয়্যিবাহর বরকতপূর্ন খেজুর। প্রানভরে পান করেছি শীতল পানীয়।



মসজিদে আবু যর কিবা আসসাজদাহ নামে চেনা,
রাসূলের স্মৃতির পরশ এইখানে হয় বেচা কেনা।

যিয়ারতে মদিনা

মদিনা মুসলমানদের প্রাণের ভূমি। মদিনা প্রিয়তম রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর শহর। শান্তির নগর। রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে আমার রওজা জিয়ারত করল, তার জন্য আমার শাফায়াত ওয়াজিব হয়ে গেল।’ (সহিহ মুসলিম)।

তিনি আরও বলেন, 'যে হজ করল কিন্তু আমার রওজা জিয়ারত করল না; সে আমার প্রতি জুলুম করল। (তিরমিজি)

ফকিহগণের মতে, হাজির জন্য মদিনা শরিফ জিয়ারত করা সুন্নত। আল্লামা ইউসুফ ইসলাহি আসান ফিকাহ গ্রন্থে লিখেছেন, হাজি সাহেবদের জন্য রওজা শরিফ জিয়ারত করা ওয়াজিব।

ইসলাম-পূর্ব যুগে মদিনার নাম ছিল ইয়াসরিব। রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর হিজরতের পর এই শহরের নাম হয় মদিনাতুন্নবী বা নবীর শহর। সংক্ষেপে বলা হয় মদিনা। মদিনা শরিফ রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর আশ্রয়ভূমি; প্রেম, ধৈর্য ও আত্মত্যাগের উজ্জ্বল দৃষ্টান্তের অনুপম পাদপীঠ। জগতময় সত্যের প্রতিষ্ঠা ও অসত্যের বিলোপ সাধনে অদ্বিতীয় এবং দৃষ্টান্তহীন কর্মক্ষেত্র। মদিনাতে দেখেছি, মদিনাবাসীর ব্যবহার অতি মধুর, তাঁদের বাক্যালাপ অতি মিষ্ট এবং তাঁদের সঙ্গ অতি পবিত্র। প্রত্যেক হাজি সাহেবানের সর্বদা সতর্ক থাকা উচিত যেন মদিনা শরিফে কোনোরূপ বেয়াদবি না হয়। মদিনাবাসীকে সব সময় ইজ্জত ও সম্মান প্রদর্শন করা দায়িত্ব মনে করা একান্ত কর্তব্য।

মদিনায় অবস্থানকালীন সময়ের কিছু কথা

মদিনায় অবস্থানকালে প্রথম এবং প্রধান কর্তব্য হচ্ছে মসজিদে নববিতে নিয়মিত হাজিরা দেওয়া। প্রিয় নবীজীর হাতে গড়া এই মসজিদে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া। এখানে একাদিক্রমে ৪০ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে নববিতে জামাতের সঙ্গে পড়ার চেষ্টা অনেকেই করে থাকেন। আমাদের কাফেলার কেউ কেউ শুধুমাত্র এই চল্লিশ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে নববীতে আদায় করার মানসে কাফেলার সাথে মদিনা শরিফে না গিয়ে আগে ভাগে নিজ খরচে মক্কা শরিফ থেকে রওয়ানা হয়ে সেখানে পৌঁছে গেছেন। এটা যদিও ফরজ ওয়াজিব কোনো বিষয় নয়, তবু মনের টান, আবেগের স্থান সবকিছুর উপরে। এই ৪০ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে নববীতে পড়ার ফজিলত সম্মন্ধে একখানা হাদিস পাওয়া যায়। যদিও এর বিশুদ্ধতা সম্মন্ধে আমার তাহকিক নেই। নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার মসজিদে চল্লিশ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেছে আর কোনো নামাজ কাজা করেনি, সে নিফাক (মোনাফিকি) আর দোজখের আজাব থেকে নাজাত পাবে।’ মসজিদে নববিতে এক রাকাত নামাজের সওয়াব পঞ্চাশ হাজার রাকাত নামাজের সমান।



মদিনার প্রিয় স্মৃতি মুমিনের হৃদয়ে প্রশান্তির পরশ,
মদিনার ধুলোমাটি জান্নাতের খুশবুদার অনন্ত সরস।

রওজা শরিফের যিয়ারত

মসজিদে নববির সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ স্থান নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর রওজা শরিফ। হজরত আয়েশা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা -এর হুজরার মধ্যে তাঁর পবিত্র রওজা শরিফ অবস্থিত। তাঁরই পাশে হজরত আবু বকর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু ও হজরত উমর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু -এর মাজার। (এর পাশে আরেকটি কবরের জায়গা খালি আছে, এখানে হজরত ঈসা আলাইহিস সালাম -এর সমাধি হবে)। রওজা শরিফ জিয়ারতের মাহাত্ম্য সম্পর্কে আরও বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর ওফাতের পর তাঁর রওজা মোবারক জিয়ারত করল, সে যেন রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জীবদ্দশায় দর্শন করল।



সবুজ গম্বুজের নিচে প্রশান্তির নিদ্রামগ্ন শাহে দোজাহান,
উম্মতের তরে কেঁদে কেঁদে বেকারার, আজও হয়রান।

মসজিদে নববী এবং রওজা শরিফের আরও কিছু বর্ননা

মসজিদে নববির পশ্চিম পাশের প্রবেশপথকে বাবুস সালাম বলা হয়। এ দরজা দিয়ে মসজিদে নববিতে প্রবেশ করতে হয়। মসজিদে নববির পূর্ব পাশের বহির্গমন দরজাকে বাবে জিবরাইল বলা হয়। এখানে হজরত জিবরাইল আলাইহিস সালাম ওহি নিয়ে এসে প্রায়ই অপেক্ষা করতেন। তাই এ দরজাটির এই নাম হয়েছে।

রওজা শরিফ এবং এর থেকে পশ্চিম দিকে রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মিম্বর পর্যন্ত স্বল্প পরিসরের স্থানটুকুকে রিয়াজুল জান্নাত বা বেহেশতের বাগিচা বলা হয়। এটি দুনিয়াতে একমাত্র জান্নাতের অংশ। এই স্থানে স্বতন্ত্র রং (ধূসর সাদাটে) কার্পেট বিছানো থাকে। রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমার রওজা ও মিম্বরের মধ্যবর্তী স্থানে বেহেশতের একটি বাগিচা বিদ্যমান।’ এখানে প্রবেশ করা মানে জান্নাতে প্রবেশ করা। রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে স্থানে দাঁড়িয়ে নামাজের ইমামতি করতেন, সেই মেহরাবকে মেহরাবুন নবী বা নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মিহরাব বলা হয়। হজরত জিবরাইল আলাইহিস সালাম যে স্থানে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়েছেন, সেখানকার মেহরাবটি মেহরাবে জিবরাইল বা হজরত জিবরাইল আলাইহিস সালাম -এর মিহরাব নামে পরিচিত।



স্বর্নগাত্র রওজায়ে আতহারপানে যতটাই তাকাই,
মিটে না স্বাদ, হৃদয়ের মাঝে গাঢ় প্রেম টের পাই।

জান্নাতুল বাকি

মসজিদে নববির পূর্বদিকে অবস্থিত জান্নাতুল বাকি গোরস্থানে অসংখ্য সাহাবা, আউলিয়া, বুজুর্গ এবং ধার্মিক মুসলমানদের মাজার রয়েছে। এর মধ্যে হজরত ফাতিমা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা, হজরত উসমান রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু, উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা, হুজুর সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর চাচা হজরত আব্বাস রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু, হুজুরের ছাহেবজাদা হজরত ইব্রাহিম রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু, হজরত হাসান রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু, হজরত জয়নুল আবেদিন রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা, হজরত উসমান ইবনে মজউন রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা, হুজুরের ছাহেবজাদি হজরত রোকাইয়া রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা, হজরত আলী রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু, হজরত আবদুর রহমান ইবনে আউফ রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু, হজরত সাআদ ইবনে আবিওয়াক্কাছ রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু, হজরতের দুধমা হালিমা সাদিয়া রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা, ইমাম মালিক ইবনে আনাস রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু, ইমাম জাফর সাদিক রহমাতুল্লাহি আলাইহি, হজরত বাকির রহমাতুল্লাহি আলাইহি প্রমুখের মাজার শরিফ উল্লেখযোগ্য। হুজুর সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রায়ই শেষ রাতে জান্নাতুল বাকিতে যেতেন এবং দোয়া করতেন।

বেদনার স্মৃতি জাগানিয়া উহুদ পাহাড়

পবিত্র মদিনা শহরের ঠিক উত্তর-পূর্ব দিকে ঐতিহাসিক ওহুদ পাহাড় অবস্থিত। মসজিদে নববি হতে এর দূরত্ব মাত্র পাঁচ কিলোমিটার। এই ওহুদ প্রান্তরেই বিধর্মীরা নির্মমভাবে রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর দন্ত মোবারক শহীদ করে। এই রণক্ষেত্রে নবীজির চাচা মহাবীর হজরত হামজা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু এবং হজরত আকিল ইবনে উমাইয়া রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুসহ সত্তরজন সাহাবা শহীদ হয়েছিলেন। হজরত আমির হামজা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু ও হজরত আকিল রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুকে একই কবরে দাফন করা হয়। এখানে একটি মসজিদ আছে। শহীদানদের মাজার জিয়ারত করা উচিত।

মসজিদে কিবলাতাঈন

মসজিদে কিবলাতাঈন হচ্ছে সেই মসজিদ, যেখানে বসে তখনকার কিবলা বায়তুল মোকাদ্দাসের দিকে জোহরের নামাজ পড়ার সময় নবীজির কাছে ওহি নাজিল হয় যে ‘আপনি এখনই এই অবস্থায় কাবার দিকে কিবলা করে নামাজ সমাধা করুন।’ (সূরা বাকারা, আয়াত: ১৪৪)। রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাত্র দুই রাকাত ফরজের ইমামতি করেছেন। আদেশ পাওয়ামাত্র তিনি কাবা শরিফের দিকে ঘুরে বাকি দুই রাকাত নামাজ সমাধা করেন।

মসজিদে কোবা

মসজিদে কোবা হচ্ছে ইসলাম জগতের সর্বপ্রথম মসজিদ। এটা হজরত রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিজ হাতে তৈরি। মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববি ও মসজিদুল আকসার পরই মসজিদে কোবার সম্মান। এখানে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়লে এক উমরাহর সওয়াব পাওয়া যায়।

কাছাকাছি পাশাপাশি ছয় মসজিদ

খন্দক প্রান্তরের পাশে অল্প পরিসর স্থানে কাছাকাছি রয়েছে ছয়টি মসজিদ। এগুলো হচ্ছে মসজিদে ফাত্তাহ, মসজিদে সালমান ফারসি রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু, মসজিদে আবু বকর সিদ্দিক রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু, মসজিদে উমর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু, মসজিদে আলী রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু ও মসজিদে ফাতিমা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা।

মসজিদে জুমুআ

বনি সালেম মহল্লায় অবস্থিত মসজিদে জুমুআ মসজিদেই হজরত রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথম জুমার নামাজ পড়েন।



মসজিদে জুমুআহ, প্রথম জুমুআহর স্মৃতির মিনার,
এভাবেই খুঁজে মন কত স্মৃতি প্রিয়তমের মদিনার।

মসজিদে গামামা

রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে মসজিদে ঈদের জামাতে ইমামতি করেছেন এবং একসময় বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার (বৃষ্টি প্রার্থনা) নামাজ পড়েছিলেন, তা মসজিদে গামামা নামে পরিচিত। গামামা হচ্ছে মেঘ। এ জন্য এই মসজিদের নামকরণ করা হয়েছে মসজিদে গামামা। বদরের যুদ্ধের সময় হজরত রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে সাকিয়ায় নামাজ পড়েছিলেন এবং মদিনাবাসীর জন্য দোয়া করেছিলেন।



মদিনায় রাসূলের স্মৃতি ঘেরা মসজিদে গামামা,
তুমিতো সেই বীর 'শীর দেগা নেহি দেগা আমামা'।

বাকি মসজিদ এবং সেগুলোর ক্যাপশন পরে যুক্ত করা হবে ইনশা-আল্লাহ। সকলে ভাল থাকবেন। সুন্দর থাকবেন। ঈদ মুবারাক।

ইচ্ছে করলে ঘুরে আসতে পারেন এই সিরিজের পেছনের পর্বগুলোয়-

বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-২)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৩)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৪)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৫)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৬)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব৭)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৮)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৯)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১০)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১১)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১২)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৩)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৪)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৫)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৬)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৭)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৮)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৯) ব্লগে দেড়শোতম পোস্ট
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-২০)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-২১)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-২২)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-২৩)


মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: আমি চাকরি জীবন থেকে অবসর নেওয়ার পর বিশ্বে বড় বড় সব মসজিদে দুই রাকাত করে হলেও নামাজ পড়বো ইনশাল্লাহ।

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:১০

নতুন নকিব বলেছেন:




দারুন প্রত্যাশা। পূরন হোক।


শুভকামনা।

২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:২৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
যত বলি মনে হয়
হলোনা কিছূই বলা
শতজনমেও বুঝি
যাবেনা সে কথা বলা।

প্রেম যত গভীর, যাতনাও তত
তোমারই বিরহে মন পোড়ে নিত্য
হে প্রিয়তম
নেবেনা কি কাছে ঢেকে, চরণে চুমু খেতে
এ পাপীর ভাগ্যে দাও সেই নিয়ামত।।

বাসতে পারিনা ভাল তবু আছে ভরসা
তুমিতো দয়ার সাগর সকলের শেষ আশা
হে দয়াল
দেবেনাকি দেখা তুমি, কাঁদি এ অধম আমি
নিত্য দয়ায় রাখ, দিয়ে ওয়াহদানিয়াত।

আপনার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। আপনার একেকটা পোষ্ট হৃদয়ে এমন দোলা দেয়
একটা করে নাত বেরিয়ে আসে। রাসুল প্রেমের ঢেউ কলকল করে ওঠে!
জোয়ার জাগিয়ে দেন দেহে-মনে :)
আবারো অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

রাসুল আপনার প্রতি দয়া পরবশ হোন। উনার রহম ও করম দৃষ্টিতে শাফায়াতের দরজা খুলে যাক।

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:৩০

নতুন নকিব বলেছেন:



অসাধারন হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া কথামালায় প্রিয়তম রাসূলের প্রতি আপনার বুকের গহীনে লালিত গভীর প্রেম, অব্যক্ত প্রগাঢ় ভালবাসার অনিন্দ্য সুন্দর প্রকাশ ঘটালেন কবি!

কবিতায় প্লাস।

একটা জিনিষ বুঝি না, আপনি যা লিখেন তাই তো দেখি কবিতা হয়ে যায়। কবিদের কলমের কি যে মহিমা! আকাআকিও যেন গান আর সঙ্গীতের মূর্চ্ছনায় মূর্ত হয়ে ওঠে!

মোবারকবাদ। ঈদ মোবারক। ভাবীসহ পরিবারের সকলকে নিয়ে ঈদের দাওয়াত নিন। তাদের প্রতি সালাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.