নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফরজ নামাযের পর সম্মিলিত মুনাজাতের হুকুম কী? এটি কি আসলেই বিদআত? পর্ব-০১

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৩



প্রায়শই আমরা শুনে থাকি, ফরজ নামাজের পরে কোনো মুনাজাত নেই। সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করা বিদআত। যারা করেন তারা বিদআতী। বিষয়টি নিয়ে যেহেতু এক শ্রেনির ব্যক্তিবর্গ ফায়দা হাসিলের চেষ্টায় লিপ্ত, তাই এর বিধান সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা রাখা আবশ্যক। প্রথমেই বলে রাখা প্রয়োজন, ফরজ নামাযের পর মুনাজাতের বিষয়টি বুঝতে হলে তিনটি পয়েন্ট ভাল করে বুঝতে হবে। যথা-

১. ফরজ নামাযের পর মুনাজাত সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত কি না?
২. সম্মিলিত মুনাজাত প্রমাণিত কি না?
৩. ফরজ নামাযের পর সম্মিলিত মুনাজাতের হুকুম কী?

এবার চলুন, একে একে প্রতিটি পয়েন্টের উপর কিছুটা বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়া যাক। দেখি, হাদিসের আলোকে এর কোনো প্রামান্য তথ্যাদি পাওয়া যায় কি না।

১ নং ক্রমিকে বর্নিত বিষয়: ফরজ নামাযের পর মুনাজাত করা

একাধিক সহীহ হাদীস দ্বারা ফরজ নামাযের পর মুনাজাত করার বিষয়টি সুপ্রমাণিত। যেমন-

১ নং হাদিস-

وَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، إِذَا صَلَّيْتَ فَقُلْ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ فِعْلَ الخَيْرَاتِ، وَتَرْكَ الْمُنْكَرَاتِ، وَحُبَّ الْمَسَاكِينِ،

'হযরত ইবনে আব্বাস রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু থেকে বর্ণিত। আল্লাহ তাআ'লা বলেন, হে মুহাম্মদ! সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তুমি নামায পড়ে ফেলবে, তখন এ দুআ করবে- হে আল্লাহ! আপনার নিকট ভাল কাজের তাওফিক চাই এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে সাহায্য চাচ্ছি এবং আপনার দরবারের মিসকীন তথা আল্লাহওয়ালাদের মুহাব্বত কামনা করছি।' {সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-৩২৩৩}

২ নং হাদিস-

ইমাম বুখারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি স্বীয় কিতাব আততারীখুল কাবীরে এনেছেন-

عَنْ كاتب المغيرة رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْعُو في دبر صلاته

হযরত মুগিরা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামায শেষে দুআ করতেন। {আততারীখুল কাবীর, হাদীস নং-১৭৭২, ৬/৮০}

৩ নং হাদিস-

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: كَانَ مَقَامِي بَيْنَ كَتِفَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَكَانَ إِذَا سَلَّمَ قَالَ: «اللَّهُمَّ اجْعَلْ خَيْرَ عُمُرِي آخِرَهُ، اللَّهُمَّ اجْعَلْ خَوَاتِيمَ عَمَلِي رِضْوَانَكَ، اللَّهُمَّ اجْعَلْ خَيْرَ أَيَّامِى يَوْمَ أَلْقَاكَ»

হযরত আনাস বিন মালিক রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ছিলাম রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাঁধের পাশে। তখন রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাম ফিরিয়ে বললেন, হে আল্লাহ! তুমি আমার শেষ জীবনকে সবচে’ সুন্দর কর। হে আল্লাহ! তুমি আমার শেষ আমলকে তোমার সন্তুষ্টি অনুপাতে কর। হে আল্লাহ! তুমি তোমার সাথে আমার সাক্ষাতের দিনকে সর্বোত্তম দিন কর। {আলমুজামুল আওসাত লিততাবারানী, হাদীস নং-৯৪১১}

হযরত সাদ রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু বলেন,

وَيَقُولُ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَتَعَوَّذُ بِهِنَّ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلَاةٍ «اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبُخْلِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْجُبْنِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ أَنْ أُرَدَّ إِلَى أَرْذَلِ الْعُمُرِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الدُّنْيَا، وَعَذَابِ الْقَبْرِ»

রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি নামাযের পর এই শব্দে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইতেন, “হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে কৃপণতা থেকে পানাহ চাই। এবং অভাব থেকে পানাহ চাই এবং অশীতিপর বৃদ্ধাবস্থা থেকে পানাহ চাই এবং দুনিয়ার ফিতনা ও কবরের আজাব থেকে পানাহ চাই। {সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৫৪৭৯}

مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي يَحْيَى، قَالَ: رَأَيْتُ عَبْدَ اللهِ بْنَ الزُّبَيْرِ وَرَأَى رَجُلًا رَافِعًا يَدَيْهِ بِدَعَوَاتٍ قَبْلَ أَنْ يَفْرُغَ مِنْ صَلَاتِهِ، فَلَمَّا فَرَغَ مِنْهَا، قَالَ: «إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَكُنْ يَرْفَعْ يَدَيْهِ حَتَّى يَفْرُغَ مِنْ صَلَاتِهِ

হযরত মুহাম্মদ বিন আবী ইয়াহইয়া বলেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ বিন জুবায়ের রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুকে দেখলাম। তিনি এক ব্যক্তিকে নামাযের ভিতরে হাত তুলে দুআ করছেন। যখন লোকটি নামায শেষ করল। তখন তিনি তাকে বললেন, নিশ্চয় রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামায শেষ করার আগে হাত তুলে দুআ করতেন না। {আলমুজামুল কাবীর লিততাবরানী, হাদীস নং-৩২৪}

এছাড়া আরো অসংখ্য হাদীস রয়েছে যা প্রমাণ করে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরজ নামাযের পর হাত তুলে দুআ করতেন।

২ নং ক্রমিকে বর্নিত বিষয়: সম্মিলিত মুনাজাত প্রমাণিত কি না?

পূর্বের আলোচনা দ্বারা পরিস্কার হয়ে গেল যে, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরজ নামায শেষে হাত তুলে দুআ করতেন। এখন প্রশ্ন হল, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরাম রাঃ থেকে সম্মিলিতভাবে দুআ করা প্রমাণিত কি না?

নিচে কয়েকটি হাদীস দেয়া হল। যা পরিস্কারভাবে সম্মিলিত দুআ করা ও সম্মিলিত দুআর প্রতি উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে।

এক. أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، قَالَ: أَتَى رَجُلٌ أَعْرَابِيٌّ مِنْ أَهْلِ البَدْوِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الجُمُعَةِ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَلَكَتِ المَاشِيَةُ، هَلَكَ العِيَالُ هَلَكَ النَّاسُ، «فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَيْهِ، يَدْعُو، وَرَفَعَ النَّاسُ أَيْدِيَهُمْ مَعَهُ يَدْعُونَ»

হযরত আনাস বিন মালিক রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা একজন গ্রাম্য সাহাবী রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আসলেন জুমআর দিন। এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! জিনিস পত্র, পরিবার, মানুষ সবই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। একথা শুনে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উভয় হাত উত্তলোন করলেন দুআর উদ্দেশ্যে। উপস্থিত সবাই রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে দুআর জন্য হাত উত্তোলন করলেন। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১০২৯}

এ হাদীসে পরিস্কারভাবে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত প্রমানিত। লক্ষ্য করুন। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুআ করেছেন, আর উপস্থিত সাহাবীগণ আমীন আমীন বলে সম্মিলিত মুনাজাতে অংশ নিয়েছেন।

দুই. عَنْ حَبِيبِ بْنِ مَسْلَمَةَ الْفِهْرِيِّ – وَكَانَ مُسْتَجَابًا -: أَنَّهُ أُمِّرَ عَلَى جَيْشٍ فَدَرِبَ الدُّرُوبِ، فَلَمَّا لَقِيَ الْعَدُوَّ قَالَ لِلنَّاسِ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ – صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ – يَقُولُ: ” «لَا يَجْتَمِعُ مَلَأٌ فَيَدْعُو بَعْضُهُمْ وَيُؤَمِّنُ سَائِرُهُمْ، إِلَّا أَجَابَهُمُ اللَّهُ» “.

ثُمَّ إِنَّهُ حَمِدَ اللَّهَ، وَأَثْنَى عَلَيْهِ، وَقَالَ: اللَّهُمَّ احْقِنْ دِمَاءَنَا، وَاجْعَلْ أُجُورَنَا أُجُورَ الشُّهَدَاءِ،

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيُّ وَقَالَ: الْهَنْبَاطُ بِالرُّومِيَّةِ: صَاحِبُ الْجَيْشِ. وَرِجَالُهُ رِجَالُ الصَّحِيحِ غَيْرَ ابْنِ لَهِيعَةَ، وَهُوَ حَسَنُ الْحَدِيثِ.

হযরত হাবীব বিন মাসলামা আলফিহরী রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু, যিনি মুস্তাজাবুদ দাওয়া ছিলেন। তাকে একবার একটি বাহিনী প্রধান নিযুক্ত করা হয়। যুদ্ধের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের পর তিনি যখন শত্রুর সম্মুখিন হলেন। তখন লোকদের বললেন, আমি রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেন “যখনি কোন দল একত্র হয়, তারপর তাদের কথক দুআ করে, আর অপরদল আমীন বলে তখন আল্লাহ তাআলা তা কবুল করে নেন”।

এ হাদীস বলার তিনি [হাবীব বিন মাসলামা রাঃ] হামদ ও সানা পড়লেন। তারপর বললেন, হে আল্লাহ! তুমি আমাদের প্রাণ রক্ষা কর। আর আমাদের শহীদের সওয়াব দান কর।

{মাযমাউজ যাওয়ায়েদ, হাদীস নং-১৭৩৪৭, মুস্তাতাদরাক আলাস সহীহাইন, হাদীস নং-৫৪৭৮, আলমুজামুল কাবীর, হাদীস নং-৩৫৩৬}

আল্লামা হায়ছামী রহঃ বলেন, উক্ত হাদীসের সূত্রের প্রতিটি রাবী সহীহের রাবী। ইবনে লাহিয়াহ ছাড়া। কিন্তু সেও হাসান পর্যায়ের রাবী। {মাযমাউয যাওয়ায়েদ-১৭৩৪৭}

তিন. আরো একটি হাদীস উদ্ধৃত করছি। যা আলবিদায়া ওয়াননিহায়া গ্রন্থে আল্লামা ইবনে কাসীর রহঃ সনদসহ বর্ণনা করেছেন।

যার সারমর্ম হল, আলা বিন হাযরামী রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু মুস্তাজাবুদ দাওয়া সাহাবী ছিলেন। একদা বাহরাইনের জিহাদ থেকে ফেরার পথে এক স্থানে যাত্রাবিরতি করলে খাবার দাবার ও তাবুর রসদসহ উটগুলো পালিয়ে যায়। তখন গভীর রাত। সবাই পেরেশান। ফজরের সময় হয়ে গেলে আজান হল। সবাই নামায আদায় করলেন। নামায শেষে আলা বিন হাযরামী রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু সহ সবাই হাত তুলে সূর্য উদিত হওয়ার সূর্যের কিরণ গায়ে লাগা পর্যন্ত দীর্ঘ সময় দুআ করতে থাকেন। {আলবিদায়া ওয়াননিহায়া-৬/৩২৮-৩২৯}

উক্ত ঘটনাটির পূর্ণ বিবরণের আরবী পাঠ

وَقَدْ كَانَ الْعَلَاءُ مِنْ سَادَاتِ الصَّحابة الْعُلَمَاءِ العبَّاد مُجَابِي الدَّعوة، اتَّفق لَهُ فِي هَذِهِ الْغَزْوَةِ أنَّه نَزَلَ مَنْزِلًا فَلَمْ يَسْتَقِرَّ النَّاس عَلَى الْأَرْضِ حَتَّى نَفَرَتِ الْإِبِلُ بِمَا عَلَيْهَا مِنْ زَادِ الْجَيْشِ وَخِيَامِهِمْ وشرابهم، وبقوا على الأرض ليس معهم شئ سِوَى ثِيَابِهِمْ – وَذَلِكَ لَيْلًا – وَلَمْ يَقْدِرُوا مِنْهَا عَلَى بَعِيرٍ وَاحِدٍ، فَرَكِبَ النَّاس مِنَ الهمِّ والغمِّ مالا يُحَدُّ وَلَا يُوَصَفُ، وَجَعَلَ بَعْضُهُمْ يُوصِي إِلَى بَعْضٍ، فَنَادَى مُنَادِي الْعَلَاءِ فَاجْتَمَعَ النَّاس إِلَيْهِ، فَقَالَ: أيُّها النَّاس أَلَسْتُمُ الْمُسْلِمِينَ؟ أَلَسْتُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ؟

أَلَسْتُمْ أَنْصَارَ اللَّهِ؟ قَالُوا: بَلَى، قَالَ: فَأَبْشِرُوا فَوَاللَّهِ لَا يَخْذِلُ اللَّهُ مَنْ كَانَ فِي مِثْلِ حَالِكُمْ، وَنُودِيَ بِصَلَاةِ الصُّبح حِينَ طَلَعَ الْفَجْرُ فصلَّى بالنَّاس، فلمَّا قَضَى الصَّلاة جَثَا عَلَى رُكْبَتَيْهِ وَجَثَا النَّاس، وَنَصِبَ فِي الدُّعاء وَرَفَعَ يَدَيْهِ وَفَعَلَ النَّاس مِثْلَهُ حَتَّى طَلَعَتِ الشَّمْسُ، وَجَعَلَ النَّاسُ يَنْظُرُونَ إِلَى سَرَابِ الشَّمْسِ يَلْمَعُ مَرَّةً بَعْدَ أُخْرَى وَهُوَ يَجْتَهِدُ فِي الدُّعَاءِ

চার. عَنْ سَلْمَانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا رَفَعَ قَوْمٌ أَكُفَّهُمْ إِلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ يَسْأَلُونَهُ شَيْئًا، إِلَّا كَانَ حَقًّا عَلَى اللهِ أَنْ يَضَعَ فِي أَيْدِيهِمُ الَّذِي سَأَلُوا

হযরত সালমান রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যখন কোন জামাআত তাদের প্রয়োজন পূর্ণ করার আশায় আল্লাহর দরবারে হাত উঠায়, তখন আল্লাহর উপর হক হল প্রার্থিত বিষয় উক্ত জামাতকে প্রদান করা। {আলমুজামুল কাবীর লিততাবরানী, হাদীস নং-৬১৪২, আততারগীব ওয়াত তারহীব, হাদীস নং-১৪৪, মাযমাউয যাওয়ায়েদ, হাদীস নং-১৭৩৪১, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-৩১৪৫}

আল্লামা হায়ছামী রহঃ বলেন, এ হাদীসের সনদের সকল রাবীগণ সহীহের রাবী। {মাযমাউয যাওয়ায়েদ, হাদীস নং-১৭৩৪১}

এরকম আরো অসংখ্য বর্ণনা প্রমাণ করে সম্মলিত মুনাজাত এটি দুআ কবুলের আলামত। সেই সাথে উত্তম আমল। যা কিছুতেই বিদআত হতে পারে না। যে সম্মলিত মুনাজাত রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে করেছেন সাহাবীদের নিয়ে, সাহাবায়ে কেরাম সাথিবর্গকে নিয়ে যে সম্মলিত মুনাজাত করেছেন, তা কী করে বিদআত হতে পারে?

সুতরাং বুঝা গেল যে, সম্মিলিত মুনাজাত করাও রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবায়ে কেরাম রাঃ থেকে প্রমাণিত। সেই সাথে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করতে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরিস্কার ভাষায় উৎসাহ প্রদান করেছেন।

৩ নং ক্রমিকে বর্নিত বিষয়: ফরজ নামাযের পর সম্মিলিত মুনাজাতের হুকুম কী?

আসলে পূর্বের দু’টি বিষয় পরিস্কার হবার পর আপনি নিজেই এর সমাধান বের করে নিতে পারেন। নামাযের পর দুআ রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে করেছেন। আর সম্মিলিত দুআ কবুল হয় মর্মে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন। তিনি নিজেও সম্মিলিতভাবে দুআ করেছেন।

সুতরাং ফরজ নামাযের পর দুআ করলে সেটি বিদআত হবে কিভাবে?

তবে এক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় লক্ষ্যণীয়। যথা-

প্রথমত: ফরজ নামাযের পর দুআকে জরুরী মনে করা। দ্বিতীয়ত: দুআকে নামাযের অংশ মনে করা। তৃতীয়ত: এ ছাড়া নামায পূর্ণ হয় না- এই আকিদা রাখা। এ তিনটির কোনো একটি পাওয়া গেলে উক্ত দুআ বিদআত হবে। কারণ এর কোনো প্রমাণ নেই।

কিন্তু যদি উপরোক্ত কোনো কারণ পাওয়া না যায়। বরং যেহেতু রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরজ নামাযের পর দুআ করেছেন, সেই সাথে সম্মিলিতভাবে দুআ করতে উৎসাহ প্রদান করেছেন, সেই সওয়াব পাবার আশায় যদি ইমাম সাহেব সম্মিলিতভাবে দুআ করেন, তাহলে উক্ত সম্মিলিত দুআকে বিদআত বলার কোন সুযোগ নেই। যদি কেউ বলে তাহলে সে হাদীসে নববী সম্পর্কে অজ্ঞ ছাড়া আর কিছু নয়।

শেষের কথা: অবশ্যপালনীয় আমল মনে না করে ফরজ নামাজের পরে সম্মিলিতভাবে দুআ মুনাজাত করা যাবে। হাদিসে দুআকে ইবাদাত বলা হয়েছে। বরং, ইবাদাতের মগজ বা মূল আখ্যায়িত করা হয়েছে। সুতরাং, মুনাজাত ও সম্মিলিতভাবে দুআ করার বিষয়ে যারা বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত তাদের গুরুত্ব না দিয়ে আপনি আপনার আমল করতে থাকুন। এরা আল্লাহর কাছে নিজেরা প্রার্থনা করবে না, অন্যদেরও ফিরিয়ে রাখার চেষ্টা করবে। এরা আল্লাহর কাছে সাহায্যের জন্য হাত বাড়াবে না, গর্ব কিংবা অহমে, অন্যরা হাত বাড়িয়ে মুঠি মুঠি রহমত কুড়িয়ে ধন্য হোক তাও চাবে না।

তবে, কারও কারও ভেতরে এমন জটিল রোগেরও দেখা মেলে যে, ফরজ নামাজ শেষে সম্মিলিত মুনাজাতে অংশ না নেয়ায় মসজিদ থেকে মুসল্লিদের বের পর্যন্ত করে দেয়া। এই ধরনের জঘন্য কূপমন্ডুকতার স্থান ইসলামে নেই। উদারতা, মানবতা এবং মানবিকতার যে মহান শিক্ষা ইসলাম তুলে ধরে তার কোথাও এ ধরনের আচরনের দূরতম সম্পর্কও নেই।

আল্লাহ পাক আমাদের মূর্খতা দূর করুন। আমাদের আমালে সালেহগুলো কবুল করুন। বেশি বেশি আমালে সালেহ করার তাওফিক দান করুন।

কৈফিয়ত: নিবন্ধের কলেবর বৃদ্ধির আশঙ্কায় আলোচনা সংক্ষিপ্ত করতে হলো। উপস্থাপিত বিষয়ে পরবর্তীতে কোনো পোস্টে আরও বিস্তারিতভাবে লেখার ইচ্ছে থাকলো। আল্লাহ পাক সকলের কল্যান করুন।

২য় পর্বে যাওয়ার লিঙ্ক-

ফরজ নামাযের পর সম্মিলিত মুনাজাতের হুকুম কী? এটি কি আসলেই বিদআত? পর্ব-০২

নিবন্ধটি তৈরিতে সহযোগিতা নেয়া হয়েছে যেসব সূত্র থেকে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা:
আলবিদায়া ওয়াননিহায়া
আহলে হক মিডিয়া।
মাযমাউয যাওয়ায়েদ।
বুখারি শরিফ।
মুসলিম শরিফ।
তিরমিযি শরিফ।
নাসায়ি শরিফ।
মুস্তাতাদরাক আলাস সহীহাইন।
আলমুজামুল কাবীর।
আলমুজামুল কাবীর লিততাবরানী।
আততারগীব ওয়াত তারহীব।
কানযুল উম্মাল।
আলমুজামুল আওসাত লিততাবারানী।
আততারীখুল কাবীর।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: এই বিষয়টা নিয়ে মনের মধ্যে দ্বিধা দ্বন্দ ছিল।
আজ পরিস্কার হলো।
ধন্যবাদ নকিব ভাই।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৬

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ। শুকরিয়া, আপনার কাছে বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে জেনে। অনেকেরই এসব বিষয়ে মনের ভেতরে খটকা লেগে থাকে, সেকারনেই ক্লিয়ার করার চেষ্টায় এই পোস্ট।

২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৮

মাকার মাহিতা বলেছেন: ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসী পাঠ করা মোনাজাত করার চেয়ে নাকি বেশি কার্যকর?
আপনার মতামত কি?

পুনশ্চঃ আজ ফজর নামাজ পড়তে পারি নাই।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৪

নতুন নকিব বলেছেন:



ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসী পাঠ করা মোনাজাত করার চেয়ে নাকি বেশি কার্যকর?
আপনার মতামত কি?


--- সুন্দর মন্তব্যে মোবারকবাদ।

আপনি যেটা জেনেছেন, ফরজ নামাজের পরে আয়াতুল কুরসী পাঠের যেমন ফজিলত হাদিস দ্বারা প্রমানিত, দুআ মুনাজাত করাও হাদিসের আলোকে সুসাব্যস্ত। আয়াতুল কুরসী হচ্ছে পবিত্র কোরআন শরীফের দ্বিতীয় সুরা আল বাকারার ২৫৫তম আয়াত। এতে সমগ্র মহাবিশ্বের উপর আল্লাহ পাকের জোরালো ক্ষমতার কথা বর্ণনা করে।

আয়াতুল কুরসী পাঠের ফযীলতঃ

আবু উমামা রাদিঅআল্লাহু তাআ'লা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতি ফরয নামায শেষে আয়াতুল কুরসী পড়ে, তার জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া কোনো কিছু বাধা হবে না। [নাসায়ী]

হজরত আলী রাদিঅআল্লাহু তাআ'লা আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ সালাতের পর আয়াতুল কুরসী নিয়মিত পড়ে, তার জান্নাত প্রবেশে কেবল মৃত্যুই অন্তরায় হয়ে আছে। যে ব্যক্তি এ আয়াতটি বিছানায় শয়নের সময় পড়বে আল্লাহ তার ঘরে, প্রতিবেশির ঘরে এবং আশপাশের সব ঘরে শান্তি বজায় রাখবেন। [সুনানে বায়হাকী]

মর্যাদাসম্পন্ন মহান আয়াত: আবু জর জুনদুব ইবনে জানাদাহ রাদিঅআল্লাহু তাআ'লা আনহু রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, হে আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনার প্রতি সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন কোন আয়াতটি নাজিল হয়েছে? রাসূল সা. বলেছিলেন, আয়াতুল কুরসী। [নাসায়ী]

উবাই বিন কাব রাদিঅআল্লাহু তাআ'লা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উবাই বিন কাবকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তোমার কাছে কুরআন মজীদের কোন আয়াতটি সর্ব মহান? তিনি বলেছিলেন, (আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুআল্ হাইয়্যূল কাইয়্যূম) তারপর রাসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ হাত দ্বারা তার বক্ষে আঘাত করে বলেন: আবুল মুনযির! এই ইলমের কারণে তোমাকে ধন্যবাদ। [সহীহ মুসলিম]

শয়তানের প্রভাব থেকে বাঁচার আয়াত: হযরত আবু হুরায়রা রাদিঅআল্লাহু তাআ'লা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সূরা বাকারায় একটি শ্রেষ্ঠ আয়াত রয়েছে, যে ঘরে আয়াতুল কুরসী পাঠ করা হবে সেখান থেকে শয়তান পালাতে থাকে।

পুনশ্চঃ আজ ফজর নামাজ পড়তে পারি নাই।

--- যুহরের নামাজের আগে পড়ে নিন।

৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: নামাজের পর দোআ কবুল হয় । এটা তো দোয়া কবুলের মোক্ষম সুযোগ বলা চলে। সুন্দর পোস্ট।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৪

নতুন নকিব বলেছেন:



পাইকারিভাবে যাচাই বাছাই ছাড়াই সবকিছুকে বিদআত বলার প্রবনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এসব পরিহার করা উচিত। একটি কাজকে বিদআত কখন বলা হবে, কোন্ কোন্ কারনে কোনো কাজ বিদআতের সংজ্ঞায় পড়বে, এগুলো জানা দরকার আগে।

মূল্যবান মন্তব্যে অভিনন্দন এবং কৃতজ্ঞতা।

৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫২

আশাবাদী অধম বলেছেন: আগে জানতাম এলেম যত বেশি অর্জন করা যাবে ততই কল্যাণ। এখন বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখে মনে হয় এলেম কম থাকাই ভালো। এদেশ যার এলেম যত বেশি। তার গরমভাব, দলাদলি, গীবত আর বিদ্বেষ ছড়ানোর প্রবণতাও তত বেশি।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১০

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার মন্তব্য কার উদ্দেশ্যে, ক্লিয়ার নই। যাই হোক, এই পোস্ট যদি আপনার কষ্টের কারন হয়ে থাকে, সেজন্য ক্ষমাপ্রার্থী।

এই পোস্টে কি কারও গীবত করা হয়েছে? শতাব্দির পর শতাব্দি যাবত আচড়িত সুসাব্যস্ত কোটি কোটি মানুষের আমলকে এককথায় যারা উইদাউট রেফারেন্স বিদআত বলে উড়িয়ে দিতে চান, তারা কি সঠিক কাজটি করছেন? তাদের ব্যাপারে আপনার মত বিদ্যান ব্যক্তির স্পষ্ট মতামত আশা করছি।

সর্বোপরি পোস্টে আপনার আগমন আনন্দিত করলো। শুভাশীষ অন্তহীন।

৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৭

নীল আকাশ বলেছেন: নকীব ভাই কে দারুন একটা বিষয়ে আমাদের প্রচলিত ভূল ধারনা ভেন্গে দেবার জন্য ধন্যবাদ।
মাকার মাহিতা বলেছেন: ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসী পাঠ করা মোনাজাত করার চেয়ে নাকি বেশি কার্যকর? - ২ টাই পরবেন। আগে না হয় পরে। আমি ২ টাই পড়ি রেগুলার।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬

নতুন নকিব বলেছেন:



অনেক অনেক মোবারকবাদ। আপনার দারুন মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা। দু'টোর উপরই আপনার আমল ঠিক আছে। প্লিজ, কন্টিনিউ করুন সুন্দর এ আমলগুলো। আরও কিছু আমল আছে। পরবর্তী পোস্টে দেয়ার চেষ্টা থাকবে, ইনশাঅাল্লাহ।

৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০১

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আজকাল অনেক মানুষই সালাতের চাইতে মোনাজাত করাকে বেশি গুরুত্বপূর্ন মনে করে।দেখেন না আখেরি মোনাজাতে কেমন মানুষের ঢল নামে।সেখানে যারা মোনাজাত করতে যাই তাদের কজন নিয়মিত সালাত আদায় করে?
আর আল্লাহর রাসূল কি ফরজ সালাতের পরে নিয়মিত সম্মিলিত ভাবে হাত তুলে মোনাজাত করতেন?

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১

নতুন নকিব বলেছেন:



ইজতেমার মোনাজাতে অংশ নেয়ার কথা যা বলেছেন, তা ঠিকই আছে। অনেকের নামাজের খবর নেই, কিন্তু আখেরী মোনাজাতে মিস নেই।

আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিয়মিত করেননি। আমরাও নিয়মিত করি না। ফরজ ওয়াজিবও মনে করি না। ফরজ সালাতের পরে যেহেতু দোআ কবুলের সম্ভাবনা বেশি এজন্য হাত তুলে দুআ করি। যারা বাদ বিচার ছাড়া মোনাজাতকে বিদআত বলেন, তারা হাদিস অস্বীকার করছেন।

অনেক অনেক ধন্যবাদ, সোহেল ভাই। কৃতজ্ঞতা পোস্টে উপস্থিতি জানান দিয়ে যাওয়ার জন্য।

৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৪

মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেছেন: আল্লাহর রাসূল সাঃ কি ফরজ সালাতের পরে সম্মিলিত ভাবে হাত তুলে মোনাজাত করতেন?

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



এই পোস্টটি দয়া করে যদি একবার পড়ে দেখতেন! ৬ নং প্রতিমন্তব্যে আপনার প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়েছে। আপনার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।

৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: সুন্দর আলোচনা করেছেন। সম্মিলিত প্রার্থনা কেন বি'দাত হবে? দিনের শুরুতে এরকম প্রার্থনা অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে শান্তি ও প্রফুল্লতা এনে দেয় এবং স্রষ্টার উপর ভরসা বাড়িয়ে দেয়। প্রার্থনা মঞ্জুর করার মালিক একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন। তিনিই ভাল জানেন, আমাদের চেষ্টা করতে দোষ নেই। তবে জোর দিতে হবে ভাল কাজ করার এবং মন্দ কাজ প্রতিহত করার, নিদেনপক্ষে মন্দ কাজকে নিরুৎসাহিত করার কিংবা মন্দ কাজ হতে দূরে থাকার উপর।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭

নতুন নকিব বলেছেন:



ঢালাওভাবে একশ্রেনির মানুষ এই বিদআত বিদআত বলে সমাজে অহেতুক শোরগোল তৈরি করছে। আপনার অনবদ্য মন্তব্যে মন ভরে গেল। সত্যিকারার্থে প্রার্থনা মানুষকে আল্লাহ পাকের নিকটবর্তী করে দেয়। নামাজ পুরোটাই দুআ। তারপরেও কেউ যদি মুনাজাত করেন, তাকে নিরুতসাহিত করার যৌক্তিক কি কারন থাকতে পারে? উপরন্তু যেহেতু বিষয়টি হাদিস দ্বারা প্রমানিত!

কৃতজ্ঞতাসহ শুভকামনা আপনার জন্য।

৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: নামাজের পর সম্মিলিতভাবে দোয়া করা বা না করার বিষয়টা কি এতটাই জরুরী? বাধ্যতামূলক কিছু তো নয়। যার ইচ্ছে হয় করবে, না ইচ্ছে হলে করবে না। আমাদের দেশে একটা প্রচলিত বিশ্বাস আছে যে মোনাজাতটা নামাজেরই অংশ। আমার মনে হয়, মোনাজাতের বিপক্ষে যারা, তারা এই প্রচলিত বিশ্বাসটারই বিপক্ষে বলেন।

আমি যে মাসজিদে জুমার নামাজ পড়ি, একবার আমি ঘড়িতে হিসাব রেখে দেখলাম জুমার দুই রাকাত শেষ করতে এই ৬ থেকে ৭ মিনিট লাগিয়েছেন এরপর মোনাজাত করেছেন ১০ থেকে ১১ মিনিট। উনি সবসময় এমনই করেন। এই একই ট্রেন্ড অসংখ্য মাসজিদে আছে। এটাকে জাস্টিফাই করার কোনো সুযোগ আছে কি? নামাজ নিজেই তো একটা দোয়া।

ভালো থাকবেন।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২২

নতুন নকিব বলেছেন:



ফরজ নামাজের পরে মোনাজাত কররা খুব জরুরী এই বিষয়টি বুঝানোর উদ্দেশ্যে এই পোস্ট দেই নি। পোস্ট দেয়ার কারন হচ্ছে, বিষয়টি যাতে সর্ববোধগম্য হয়। ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়। আপনি মূল কথাটি তুলে ধরেছেন দেখে ভাল লাগলো। আমিও এই কথাগুলোই বলতে চেয়েছি একটু ব্যাখ্যাসহকারে।

আপনার মূল্যবান মন্তব্য পেয়ে প্রীত হলাম। অনেক শুভকামনা জানবেন।

১০| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯

ফেনা বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। অনেক প্রশ্নের উত্তর পেলাম।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৩

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। পোস্ট থেকে কিছু জানতে পেরেছেন জেনে আনন্দিত। শুভকামনা আপনার জন্য।

১১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৯

পলাশবাবা বলেছেন: পদ্ম পুকুর বলেছেনঃ আমি যে মাসজিদে জুমার নামাজ পড়ি, একবার আমি ঘড়িতে হিসাব রেখে দেখলাম জুমার দুই রাকাত শেষ করতে এই ৬ থেকে ৭ মিনিট লাগিয়েছেন এরপর মোনাজাত করেছেন ১০ থেকে ১১ মিনিট। উনি সবসময় এমনই করেন।

<<< কেন ভাই ।। ব্যাপারটা তো ভাল। ৬ থেকে ৭ মিনিটে আল্লাহর হুকুম সারলেন । তারপর বেশী সময় নিয়ে নিজের চাহিদার লিস্টি পেশ করলেন। এটা চাই , ওটা চাই , এটা লাগবে , ওটা লাগবে ইত্যাদি। চাহিদার তো আসলে শেষ নাই।

এটাকে জাস্টিফাই করার কোনো সুযোগ আছে কি? নামাজ নিজেই তো একটা দোয়া।
<<< কে কাকে কি জাস্টিফাই করবে বলেন।
নামায কিভাবে নিজেই একটা দোয়া বুঝায় বললে ভাল হত।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৩

নতুন নকিব বলেছেন:



একবার আমি ঘড়িতে হিসাব রেখে দেখলাম জুমার দুই রাকাত শেষ করতে এই ৬ থেকে ৭ মিনিট লাগিয়েছেন এরপর মোনাজাত করেছেন ১০ থেকে ১১ মিনিট। উনি সবসময় এমনই করেন।

--- ঠিকই বলেছেন। এই ব্যাপারগুলো অহরহ চোখে পড়ে।

১২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৬

আশাবাদী অধম বলেছেন: না নকিব ভাই, আপনাকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলিনি। দেশের সার্বিক অবস্থার প্রেক্ষিতে কথাটা বললাম। এখন আলেম সমাজের কাজই হয়ে গেছে একে অপরের প্রতি কাঁদা ছোড়াছুড়ি। আর কিছু মনে করবেন না, এই জাতীয় লেখা তা যে পক্ষেরই হোক দেখলে কেন জানি আমার ভালো লাগে না।

সোজা কথায় ফরজ নামাজের পরে মুনাজাত জায়েয ক্ষেত্রবিশেষ মুস্তাহাব। এ সময় দোয়া কবুল হয়। যার ইচ্ছা হয় করবে যার ইচ্ছা হয় করবেনা। তবে স্থায়ীভাবে নিয়ম বানিয়ে নেয়া অথবা বাধ্যতামূলক মনে করা কিংবা কেউ না করলে সমালোচনা করা এটা বিদআত। কিন্তু এটা কোনমতেই সুন্নাত-ফরজ না। হারামও না। তাহলে এটা নিয়েও কি পক্ষে বিপক্ষে বহাস লেখালেখি করতে হবে?

আপনার প্রতি আমার সম্মান রয়েছে। আমার কথাগুলো ব্যক্তিগতভাবে নিয়েন না। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি যা তাই বললাম।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৫

নতুন নকিব বলেছেন:



অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা পুনরায় এসে বিষয়টি ক্লিয়ার করে দেয়ার জন্য।

অনেক ভাল থাকবেন।

১৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৬

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ নতুন নকিব - জনাব, সামু ব্লগকে মাদ্রাসার ক্লাস বানানোর জন্য আপনাকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানাই। আশাকরি, মোমিন ভাইয়েরা মাদ্রাসা বাদ দিয়ে আপনার ব্লগে যোগ দিয়ে সহীহ্ ইসলামী শিক্ষা লাভ করবে ।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৩

নতুন নকিব বলেছেন:



গোস্তাখি মাফ করবেন জনাব, ইচ্ছে করলে আপনিও ভর্তি হতে পারেন। ইউ আর মোস্ট ওয়েলকাম। একাডেমিক মাদরাসা হাজার হাজার রয়েছে এদেশে। যারা একাডেমিক মাদরাসায় অধ্যয়নের সুযোগ পাননি তারা ব্লগ থেকে ধর্মের কিছু বিষয়ের খোঁজ-খবর যাতে জানতে পারেন সেজন্য এই চেষ্টা। ব্লগ নিশ্চয়ই ফেরেশতা পড়ে না। মানুষ পড়ে। ব্লগের লেখক পাঠক সবাই মানুষ। তো, ব্লগ থেকে মানুষ ধর্মের বিষয়াদি টুকটাক জেনে নেয়ার সুযোগ পেলে আপনি ব্যথিত হচ্ছেন কেন, জনাব? আপনার মোমিন ভাইদের সাথে সহিহ ইসলাম শেখার প্রচেষ্টায় আপনিও আমন্ত্রিত। যদিও আপনার ধারনা হয়তো এরকমই যে, আপনার অজানা তেমন কিছু নেই। সবই শেখা। ঘটনা যদি তা হয়েও থাকে, তাতে কি? আসুন না, আমরা না হয় আপনার থেকে কিছু শেখার সুযোগ নিলাম।

ধন্যবাদ।

১৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৫

আশাবাদী অধম বলেছেন: @ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ
তবুও ভালো উনি সামু ব্লগকে মাদরাসার ক্লাস বানানোর চেষ্টা করছেন। উদাসী স্বপ্নদের মতো ব্লগটাকে বস্তি বানানোর চেষ্টা করছেননা।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭

নতুন নকিব বলেছেন:



তিনি ঐসব পোস্টে কখনও প্রতিবাদী মন্তব্য করেছেন, এমনটা দেখিনি।

১৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৭

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ নতুন নকিব @ আশাবাদী অধম -

জনাব ,বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস)-এর সর্বশেষ তথ্য অনুসারে সারা দেশে 13,902-টি কওমি মাদ্রাসায় বর্তমানে প্রায় চৌদ্দ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে।

আলিয়া মাদ্রাসার অধীনে বর্তমানে ইবতেদায়ী মাদ্রাসার সংখ্যা 6,822-টি,দাখিল মাদ্রাসা 9,221-টি,আলিম মাদ্রাসা 2,688-টি,ফাযিল মাদ্রাসা 1300-টি ও কামিল মাদ্রাসা 1940-টি ।

তারপর-ও কি আপনারা তৃপ্ত নন ?




১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৮

নতুন নকিব বলেছেন:



ভাল তথ্য দিয়েছেন। কাজের জিনিষ। আপনার কাজের প্রশংসা করতে হয়। আপনাকে ধন্যবাদ।

১৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন:
ধন্যবাদ। শুকরিয়া, আপনার কাছে বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে জেনে। অনেকেরই এসব বিষয়ে মনের ভেতরে খটকা লেগে থাকে, সেকারনেই ক্লিয়ার করার চেষ্টায় এই পোস্ট।

আপনার চেষ্টা সার্থক হয়েছে।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আলহামদুলিল্লাহ। জাজাকুমুল্লাহ।

১৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৫

ঢাকার লোক বলেছেন: প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আমাদের দেশে যেভাবে ইমাম সাহেব দুআ করেন এবং মুক্তাদিয়া সবাই আমিন আমিন করেন অনেক উলামাগণ এর কোনো সুন্নাতী দলিল নেই মনে করেন . যারা মক্কা মদিনা বা আরব দেশ গুলোতে গেছেন তারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন আমাদের বাংলাদেশ ভারত পাকিস্তান ছাড়া অন্য কোথাও নামাজের পর ইমামগণ এভাবে মুনাজাত করেন না. সত্যিকারে সুন্নাত হলে আরব দেশে, মক্কা মদিনায় কেন নেই ? আরো দেখুন , https://islamqa.info/en/93757
https://www.youtube.com/watch?v=gBbiJfPl7Kc

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪১

নতুন নকিব বলেছেন:



মোনাজাত বাংলাদেশ ভারত পাকিস্তানে হয় না। নামাজের পরে মোনাজাত আমেরিকাতেও হয়। আফ্রিকা, ইউরোপেও হয়। তুরস্ক, ইরাক, ইরানসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশসহ দূরপ্রাচ্যের মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমান এই আমল করে থাকেন। কিন্তু আমরা যারা এই আমল করে থাকি, আমাদের লক্ষ্য রাখা উচিত, এটাকে যেন আমরা নামাজের অংশ কিংবা অবশ্যপালনীয় বিষয় মনে করে না বসি।

ধন্যবাদ।

১৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩

ঢাকার লোক বলেছেন: ভাই, আপনাকে ধন্যবাদ , ভালো খোঁজ নিলে আপনি জানতে পারবেন আমেরিকায় যে মসজিদগুলো বাঙালি পাকিস্তানিদের দ্বারা পরিচালিত , যেমন নিউ ইয়র্কে জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার , পার্কচেস্টার মসজিদ বা মিশিগানের হ্যামট্রমাকে বায়তুল মুকাররম, ট্রয় এ আমডা ইত্যাদি বাংলাদেশী পরিচালিত মসজিদে প্রতি ওয়াক্তে নামাজ শেষে দলীয় মুনাজাত হয় . আরবিদের পরিচালিত কোনো মসজিদে আমি দেখিনি নামাজ শেষে দলীয় মুনাজাত হতে. ইউরোপে ও তাই , মালয়েশিয়ায় দেখেছি অনেক লোক আমাদের দেশীয় তাবলীগ জামাতের দ্বারা প্রভাবিত এবং তারা অনেকেই ঢাকার ইস্তেমায় আসে তাদের কেউ কেউ হয়তোবা ঐরকম মুনাজাত করে . ইন্দোনেশিয়া সম্বন্ধে আমি তেমন জানিনা. যাই হোক কে করে বা না করে সেটা বড় কথা নয়, আমি বেশ কিছু বিশিষ্ট আলেম, (ড . কাজী সাইফুল্লাহ , ড . আ ব ম জাকারিয়া , ড. মঞ্জুর এলাহী , মুফতি কাজী ইব্রাহিম ইত্যাদি যারা ঢাকার বিভিন্ন টিভিতে দর্শকের প্রশ্নোত্তর দিয়ে থাকেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রফেসর ড. আবুল্লাহ জাহাঙ্গীর এবং সৌদি আরবে দাওয়া সেন্টারের বক্তা শেখ মতিউর রহমান মাদানী ) কে বলতে শুনেছি যে রাসূল (স) জীবনে যে শত শত ওয়াক্ত নামাজ পড়েছেন তার কোনো একটিতেও এরকম সম্মিলিত মুনাজাত করেছেন তার কোনো সহি দলিল নেই !
আপনি এ ভিডিওটিতে দয়া করে দেখুন , https://www.youtube.com/watch?v=RJ3ZfOHN3tY

১৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৭

শামছুল ইসলাম বলেছেন: আমি মাঝে মাঝেই সম্মিলিত মোনাজাতে অংশগ্রহণ করি না ।
এটা ফরজ যাতে না হয়, সেই জন্য এই প্রচেষ্টা ।

তথ্যবহুল পোস্ট ।

আজকাল বিতর্ক এড়িয়ে চলতে চাচ্ছি ।
যে টুকু গ্রহণ করতে মনে সায় দেয় না, সেই বিষয় বা সেই ব্যক্তিকে এড়িয়ে চলি ।
শান্তি - আমার কাছে মানসিক শান্তিটা মুখ্য ।

আল্লাহ আপনার প্রচেষ্টাকে কবুল করুন । আমীন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.