নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

উইঘুর মুসলিমদের ওপর নিপীড়ন ও নির্যাতন: বিশ্ব বিবেক নিরব কেন?

০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫১



চীন সরকারের বিরুদ্ধে উইঘুর মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ পুরনো। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে এর মাত্রা পূর্বের যে কোনো সময়ের চেয়ে উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। নির্যাতনের নানান কালা কানূন তারা নিরীহ মুসলিমদের উপর প্রয়োগ করতে উঠেপড়ে লেগেছে। চীনের কট্টরপন্থী নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ায় নির্যাতনের সকল সংবাদ প্রকাশ হওয়ার সুযোগ নেই। ছিটেফোটা যা ফাঁক ফোকর গলে প্রকাশিত হয়ে পড়ে, তাতেই পরিস্থিতির ভয়াবহতা আন্দাজ করা যায়। প্রকাশিত সংবাদে জানা যায় তাদের নির্যাতনের বহুরূপী কলাকৌশল। তার মধ্যে রয়েছে-

১. বন্দী শিবিরের ভেতরে আটকে রাখা

চীনা সরকার বিপুল সংখ্যক উইঘুর মুসলিমকে কতোগুলো বন্দী শিবিরের ভেতরে আটকে রেখেছে। গত অগাস্ট মাসে জাতিসঙ্ঘের একটি কমিটি জানতে পেরেছে যে ১০ লাখের মতো উইঘুর মুসলিমকে পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজিয়াং অঞ্চলে কয়েকটি শিবিরে বন্দী করে রাখা হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এসব ক্যাম্পে তাদেরকে 'নতুন করে শিক্ষা' দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বেইজিং সরকারের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। কিন্তু একইসাথে শিনজিয়াং প্রদেশে বসবাসকারী লোকজনের ওপর চীন সরকারের নিপীড়নমূলক নজরদারির তথ্যপ্রমাণ ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। উইঘুরদের বেশিরভাগই মুসলিম। চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজিয়াং অঞ্চলে এদের সংখ্যা প্রায় এক কোটি দশ লাখ। আত্মপরিচয়ের বেলায় তারা নিজেদেরকে সাংস্কৃতিক ও জাতিগতভাবে মধ্য এশীয়র লোকজনের কাছাকাছি বলে মনে করেন। তাদের ভাষা অনেকটা তুর্কী ভাষার মতো।

তবে গত কয়েক দশকে সংখ্যাগুরু চীনা হান জাতির বহু মানুষ শিনজিয়াং অঞ্চলে গেছেন সেখানে বসবাস করতে। উইগর সম্প্রদায়ের লোকজন মনে করছেন এর ফলে তাদের সংস্কৃতি ও জীবনযাপন হুমকির মুখে পড়েছে।



২. নিখোঁজ আতঙ্কে দিন কাটে উইঘুর মুসলিমদের

চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের হাজার হাজার উইঘুর মুসলিমকে সরকারি রাজনৈতিক আশ্রয়কেন্দ্রে আটকে রাখা হচ্ছে। সংখ্যালঘু এ জনগোষ্ঠী সন্ত্রাসবাদে জড়িয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ করে তাদেরকে আটকে রাখার খবর পাওয়া যাচ্ছে। সংখ্যালঘু প্রান্তিক এ সম্প্রদায়ের লোকজন কয়েক বছরে ব্যাপকহারে নিখোঁজ হয়েছেন। চীন সরকার অভিযোগ করছে, সন্ত্রাসবাদে জড়িয়ে পড়ছেন উইঘুর মুসলিমরা। তবে উইঘুররা জানিয়েছে, সরকারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে।

তুর্কি ভাষাভাষী এক কোটি উইঘুরের জিনজিয়াং প্রদেশ এখন কার্যত পুলিশি রাজ্যে পরিণত হয়েছে। প্রতিণেই সেখানে টহল পুলিশ, সাঁজোয়া যান ও ২৪ ঘণ্টার নজরদারি সামগ্রী ব্যবহার করে তাদের সব কিছুই পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ২০১৩-১৪ সালে কয়েক দফা সহিংস ঘটনার জেরে উইঘুরদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান শুরু করে দেশটির সরকার। স্থানীয় কর্তৃপ বলছে, সন্ত্রাসবাদের মূলোৎপাটনের লক্ষ্যেই এ কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে সেখানে।

৩. ধর্মীয় বিধি-বিধান পালন করতে দেয়া হয় না উইঘুর মুসলিমদের

রমজান মাসে রোজা রাখা নিষিদ্ধ করেছে দেশটির মতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি। এ ছাড়া জিনজিয়াংয়ের মসজিদগুলোতে আজান, লম্বা দাড়ি রাখা, ইসলামি স্কার্ফ পরা ও তুর্কি ভাষা ব্যবহারেও সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও অনুষ্ঠান না শুনলে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হয় উইঘুর মুসলিমদের। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে উইঘুরদের তথ্য-উপাত্ত, ত্রিমাত্রিক পোর্টেইট, কণ্ঠ শনাক্ত, ডিএনএ ও আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করছে সরকার। এ ছাড়া অত্যাধুনিক নজরদারি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জিনজিয়াংয়ে।



শিনজিয়াং কোথায়?

এটা চীনের একেবারে পশ্চিম প্রান্তে। এবং একই সাথে এই অঞ্চল চীনের সবচেয়ে বড় প্রদেশ। এর সীমান্তের ওপাশে আছে আরো কয়েকটি দেশ- ভারত, আফগানিস্তান এবং মঙ্গোলিয়া।

তিব্বতের মতো শিনজিয়াংও স্বায়ত্তশাসিত এলাকা। তার অর্থ হচ্ছে, কাগজে কলমে হলেও, বেইজিং-এর বাইরেও তারা নিজেদের মতো করে অনেক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এই দুটো এলাকাই চীনের কেন্দ্রীয় সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়।

শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে শিনজিয়াং এর অর্থনীতি কৃষি ও বাণিজ্যের ওপর নির্ভরশীল। কারণ এই অঞ্চলের শহরগুলোর ভেতর দিয়েই গেছে সিল্ক রোড।

বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে উইগররা নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করে। কিন্তু এই অঞ্চলটিকে ১৯৪৯ সালে চীনের নতুন কমিউনিস্ট সরকারের পুরো নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়।



শিনজিয়াং-এ কী হচ্ছে

জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার বিষয়ক একটি কমিটি ২০১৮ সালের অগাস্ট মাসে জানতে পারে যে চীন সরকার উইঘুরদের স্বায়ত্তশাসিত এলাকাকে মূলত একটি বন্দী শিবিরে পরিণত করেছে। সেখানে ১০ লাখের মতো মানুষকে বন্দী করে রাখা হয়েছে।

এসব তথ্যের সাথে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অভিযোগের মিল পাওয়া যায়। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, যেসব লোকজনের ২৬টি তথাকথিত 'স্পর্শকাতর দেশের' আত্মীয় স্বজন আছেন তাদেরকে এসব ক্যাম্পে আটকে রাখা হয়েছে।

এসব দেশের মধ্যে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, কাজাখস্তান এবং তুরস্কসহ আরো কিছু দেশ।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, এছাড়াও যারা মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বিদেশের কারো সাথে যোগাযোগ করেছে তাদেরকে টার্গেট করেছে কর্তৃপক্ষ।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো আরো বলছে, এসব ক্যাম্পে যাদেরকে রাখা হয়েছে তাদেরকে চীনা ম্যান্ডারিন ভাষা শেখানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর অনুগত থাকতে। আরো বলা হচ্ছে, তাদের নিজেদের ধর্মীয় বিশ্বাসের সমালোচনা করতে অথবা সেই ধর্ম পরিত্যাগ করতে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, উইঘুর সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। তাদের বাড়িঘরের দরজায় লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ কোড, বসানো হয়েছে মুখ দেখে সনাক্ত করা যায় এরকম ক্যামেরা।

ফলে কোন বাড়িতে কারা যাচ্ছেন, থাকছেন বা বের হচ্ছেন তার উপর কর্তৃপক্ষ সতর্ক নজর রাখতে পারছে। তাদেরকে নানা ধরনের বায়োমেট্রিক পরীক্ষাও দিতে হচ্ছে।



নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া: পদদলিত মানবাধিকার

শিনজিয়াং-এ সংবাদ মাধ্যম নিষিদ্ধ। ফলে সেখান থেকে প্রকৃত তথ্য পাওয়া কঠিন।

তবে বিবিসির সাংবাদিকরা বেশ কয়েকবার ওই এলাকায় যেতে পেরেছেন। তখন সেখানে বেশ কিছু ক্যাম্প এবং প্রত্যেকটি স্তরে পুলিশের উপস্থিতি চোখে পড়েছে।

দেখা গেছে, সরকারি কর্মকর্তারা লোকজনের মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে দেখছেন।

এসব ক্যাম্প থেকে পালিয়ে অন্য দেশে চলে যেতে সক্ষম হয়েছেন এরকম কয়েকজনের সাথেও কথা বলতে পেরেছে বিবিসি।

ওমির নামে তাদের একজন বলেছেন, "তারা আমাদের ঘুমাতে দেয়নি। কয়েক ঘণ্টা ধরে আমাকে ঝুলিয়ে রেখে পেটানো হতো। কাঠ ও রবারের লাঠি দিয়ে পেটাতো। তার দিয়ে বানানো হতো চাবুক। সুই দিয়ে শরীরে ফুটানো হতো। প্লাইয়ার দিয়ে তুলে নেয়া হতো নখ। আমার সামনে টেবিলের ওপর এসব যন্ত্রপাতি রাখা হতো। এসময় অন্যরা যে ভয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করত সেটাও আমি শুনতে পেতাম।"

সহিংসতার ব্যাপারে কী জানা যায়

চীন সরকারের দাবি তারা বিচ্ছিন্নতাবাদী একটি ইসলামপন্থী গ্রুপের সন্ত্রাসী তৎপরতা মোকাবেলা করছে।

বেইজিং বলছে, উইঘুর মুসলিমদের কেউ কেউ জঙ্গি গ্রুপ ইসলামিক স্টেটে যোগ দিয়েছে।

কিন্তু মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, সেখানকার লোকজনের ওপর চীনের দমন-পীড়নের কারণেই সেখানে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে।

সেখানকার আঞ্চলিক রাজধানী উরুমকিতে ২০০৯ সালের দাঙ্গায় প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ২০০ জন। তাদের বেশিরভাগই চীনা হান। তারপর থেকে সেখানে আরো কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলা হয়েছে পুলিশ স্টেশন এবং সরকারি ভবনেও। ২০১৪ সালে এরকম কিছু হামলায় নিহত হয়েছে ৯৬ জন।

সরকারের পক্ষ থেকে এসব হামলার জন্যে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দায়ী করা হয়েছে। বেইজিং বলছে, শিনজিয়াং-এর বিচ্ছিন্নতাবাদীরা চীনের অন্যত্রও হামলা চালিয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে তারা তিয়েনানমেন স্কয়ারে গাড়ি দিয়েও হামলা করেছিল।

২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শিনজিয়াং-এ ছুরি দিয়ে চালানো হামলায় পাঁচজন নিহত হওয়ার পর সরকার সেখানে নতুন করে অভিযান চালাতে শুরু করে। এসময় সেখানকার কমিউনিস্ট পার্টির নেতাও 'সন্ত্রাসীদের' বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।



কী বলছে চীন

চীন বলছে তারা 'জাতিগত বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সন্ত্রাসীদের অপরাধমূলক তৎপরতা' মোকাবেলা করছে।

জেনেভায় ২০১৮ সালের অক্টোবরে জাতিসংঘের এক অধিবেশনে চীনা কর্মকর্তা বলছেন, ১০ লাখ উইগরকে বন্দী শিবিরে আটকের রাখার খবর 'সম্পূর্ণ মিথ্যা।'

কিন্তু তারপরে চীনের একজন কর্মকর্তা লিও শিয়াওজুন সাংবাদিকদের বলেছেন, চীন সেখানে কিছু প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলেছে যেখানে লোকজনকে নানা ধরনের শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, অনেকেই হয়তো এটাকে উত্তম পদ্ধতি বলবেন না। কিন্তু মনে রাখতে হবে সন্ত্রাস মোকাবেলায় পশ্চিমা বিশ্ব ব্যর্থ হয়েছে।

শিনজিয়াং-এ কী হচ্ছে সেব্যাপারে চীনের সরকারি তরফ থেকে কখনো পরিষ্কার করে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। সেখানে যেহেতু সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণ সেকারণে আসলেই কী হচ্ছে সেবিষয়ে নিরপেক্ষ খবর পাওয়া খুব কঠিন।

কী করছে বিশ্ব

উইঘুর মুসলিমদের সাথে আচরণ নিয়ে চীন সরকারের সমালোচনা ক্রমশ বাড়ছে। তবে নিন্দা করে বিবৃতি দেয়া ছাড়া কোন দেশ তেমন কিছু করেনি।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে ২০১৮ সালের শুরুর দিকে চীন সফরে যাওয়ার আগে শিনজিয়াং প্রদেশে মুসলিমদের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রে চীন বিষয়ক কংগ্রেসের একটি কমিটির পক্ষ থেকে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে শিনজিয়াং-এ যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে জড়িত তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্যে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান মিশেল ব্যাশেলেটও দাবি জানিয়েছেন শিনজিয়াং-এর পরিস্থিতি দেখতে পর্যবেক্ষকদের সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্যে।

তবে এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে বেইজিং সরকার।



উইঘুর মুসলিমদের পেছনের কথা

উইঘুর চীনের সর্ববৃহৎ নৃতাত্ত্বিকগোষ্ঠী। চীনের পশ্চিমাঞ্চলের সর্ববৃহৎ প্রদেশ ও ফসল উৎপাদনের প্রধান কেন্দ্র জিংজিয়াংয়ে এদের বাস। এলাকাটি বিপুল তেল ও খনিজসম্পদে পূর্ণ। ১৬ লাখ ৪৬ হাজার ৪০০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের জিংজিয়াংয়ে বসবাসরত ২.২ কোটি মানুষের ১.২ কোটিই মুসলমান।

বর্তমান চীনে দুই কোটি ৩০ লাখেরও বেশি মুসলিম বাস করে। সেখানে বসবাসরত মুসলমানরা দুই ধরনের। ‘হুই’ মুসলমান ও ‘উইঘুর’ মুসলমান। ‘হুই’দের পূর্বপুরুষরা মূলত পারস্য, সিরিয়া, ইরাক ও আনাতোলিয়া থেকে চীনে এসেছিল কাজ করতে। চীনে এসে চীনা ‘হান’ মেয়েদের বিয়ে করে এখানেই থেকে যায়। তাদের সন্তানরাই ‘হুই’ বলে প্রসিদ্ধ। আর ‘উইঘুর’রা মূলতই জিংজিয়াং বা কাশগর এলাকায় হাজার বছর ধরে বসবাস করে আসছে। তারাই এ এলাকার মূল অধিবাসী। জিংজিয়াং চীনের অধিকারে ছিল না, তা ছিল মুসলমানদের স্বাধীন ভূমি। মুসলমানদের শাসনে থাকাকালে এ এলাকার নাম ছিল উইঘুরিস্তান বা পূর্ব তুর্কিস্তান। জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ৪৫ শতাংশ। আনুষ্ঠানিকভাবে জিনজিয়াং তিব্বতের মতো চীনের স্বশাসিত অঞ্চল।

পশ্চিম চীনে তুর্কি উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়ন হলো দেশটির নয়া সাম্রাজ্যবাদী নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। গোপন বন্দিশালায় ১০ লাখ মানুষকে বন্দী করে রাখার বিষয়টিও এর অন্তর্ভূক্ত। চীনা সাম্রাজ্যের গতিবিধি বুঝতে পারলেই এই নির্মমতার হেতু উপলব্ধি করা সম্ভব।

শিনজিয়াং, চীনের যে প্রদেশে লাখ লাখ উইঘুরের বসবাস, সেটি অনুবাদ করলে দাঁড়ায় ‘নয়া রাজত্ব’। ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিকভাবে এই অঞ্চল পূর্ব তুর্কিস্তান নামে পরিচিত। যদিও চীনা রাষ্ট্র টিকে আছে সাড়ে ৩ হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে। কিন্তু শিনজিয়াং প্রথম চীনের কিং রাজবংশের অন্তর্ভূক্ত হয় ১৮ শতাব্দীর মাঝামাঝি। তখন থেকেই এই অঞ্চলের পরিস্থিতি ছিল, বৃটিশ পরিব্রাজক ফিটজরয় ম্যাকলিনের ভাষায়, ‘স্থায়ীভাবে বিরোধপূর্ণ।’

উইঘুরদের অধিকার আদায়ের পথ সুগম হতে জাগ্রত হোক বিশ্ব বিবেক। নিরবতা ভেঙ্গে কথা বলে উঠুক বিশ্ব নেতৃত্বে থাকা সকল মহল। নিপীড়ন নির্যাতনের স্টীম রোলারে নিষ্পেষিত লক্ষ লক্ষ উইঘুর যাতে ফিরে যেতে পারেন তাদের স্বাভাবিক জীবনে, পুনরায় কায়েম হোক কাঙ্খিত সেই পরিবেশ।

ব্লগের প্রবীন ব্যক্তি, মত এবং আদর্শের ভিন্নতা সত্বেও যিনি ক্ষুদ্রতা ভুলে ব্লগার পরিচয়টিকে বড় করে দেখে সকলের সাথে মিশে চলেন- সেই চাঁদগাজী ভাইকে এই পোস্ট।

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:১১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে লিখছেন আপনি। এদের সম্বন্ধে বিশ্বের মানুষ তেমন একটা জানে না। সে এলাকায় বিদেশী সাংবাদিক, মিডিয়া ইত্যাদির প্রবেশাধিকার নেই। এরা টার্কিশ বংশোদ্ভূত। চীনাদের সাথে তাদের ভাষা ও সংস্কৃতি কোন মিল নেই। চীনারা জোর করে এ অঞ্চলটি দখল করে আছে।



০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৫১

নতুন নকিব বলেছেন:



কাওসার ভাই, আপনার উপস্থিতি সবসময়ই আনন্দদায়ক। প্রেরনা রেখে গেলেন। দারুন একটি মন্তব্যে আন্তরিক সমর্থন দেয়ায় কৃতজ্ঞতা। অনেক ভাল থাকুন। সুন্দর থাকুন।

মন্তব্যে +++

২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: পাপের পাল্লাটা যখন ভারী হয়ে যায় শাস্তি তখন অনিবার্য হয়ে পড়ে। আল্লাহ মহানুভব, সর্বশক্তিমান। তিনি কাউকেই তার পাওনা থেকে বঞ্চিত করেন না।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৫২

নতুন নকিব বলেছেন:



সঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ।

৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৭

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ নতুন নকিব - জনাব,

ইয়েমেনী মুসলিমদের উপর সৌদী আরবের তিনবছর ধরে বোমা বর্ষণ : আলেম-উলেমা-পীর-মাশায়েখ-শায়খুল হাদিসদের বিবেক নীরব কেন ?

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৩

নতুন নকিব বলেছেন:



ইয়েমেনের নির্যাতিত শিশুদের নিয়ে পোস্ট দেব ভাবছি। ধন্যবাদ।

খালি অন্যদের দিকে তাকিয়ে না থেকে আপনিও চেষ্টা করুন না কিছু করার।

৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:১০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভাই, বিশ্ব বিবেকের কাছ থেকে কি আশা করেন? মুসলমানরাই তো মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু!
রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে মুসলিম বিশ্ব কি করেছে? উইঘুর মুসলিমদের ব্যাপারে বিশ্ব বিবেক বাদ দেন, মুসলিম বিবেক কোনদিন কিছু বলেছে? ইয়েমেনে মুসলমান ভাইদেরকে কারা হত্যা করছে?
বিশ্ব বিবেকের কি ঠ্যাকা পড়েছে মুসলিমদেরকে নিয়ে চিন্তা করার?
পাপ বাপকেও ছাড়ে না। মুসলমানদের পাপ এতো বেশী যে, এখন খৃষ্টান, ইহুদী, হিন্দু, বৌদ্ধ সবারই প্যাদানী খেতে হয়। এর সাথে বিধর্মীদের প্যারা তো আছেই।
সাধারন ও প্রকৃত ধার্মিক মুসলমানদের এখন এই পৃথিবীতে কোথাও যাওয়ার জায়গা নাই। :(

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৭

নতুন নকিব বলেছেন:



সাধারন ও প্রকৃত ধার্মিক মুসলমানদের এখন এই পৃথিবীতে কোথাও যাওয়ার জায়গা নাই। :(

--- মন্তব্যে যদিও ক্ষোভের প্রকাশ। বাস্তব কথাগুলো বলে গেলেন। এটাই এখন বাস্তবতা। এই নিদারুন বাস্তবটাকেই এখন সত্য বলে ধরে নিতে হচ্ছে।

অনেক অভিনন্দন সত্য অনুভূতি তুলে ধরায়। ভাল থাকুন নিরন্তর।

মন্তব্যে +++

৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:১৭

রাকু হাসান বলেছেন:

খুব দুঃখজনক । এমন পরাশক্তিদের হাত থেকে কবে মুক্তি পাবে ! এ নিয়ে বিশ্বনেতাদের কথা বলতেও ে দেখি না । ভিষণ বিপদের সম্মুখিন ! এমন একটি পোস্ট দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৮

নতুন নকিব বলেছেন:



মন্তব্যে +++

অভিনন্দন। শুভকামনা আপনার জন্য।

৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:২০

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: এই অত্যাচারীরাই হয়তো ইয়াজুজ মাজুজ সম্প্রদায়ভুক্ত! সর্ব শক্তিমান; সর্বজ্ঞানী যিনি তিনিই সু-পথ দেখাবেন।

-----চন্দ্র-কলা, আমবশ্যা, মত-পথের পথিক যারা খুঁত শুধু খুঁজেই সারা;
জ্ঞানে-বিজ্ঞানে দিক্-হারা;
পরম দয়ালু রহীম রহমান-
ক্ষমা করে দিও ভ্রান্তদের কু-গান।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৮

নতুন নকিব বলেছেন:



পাঠ এবং মন্তব্যে আসায় কৃতজ্ঞতা। অনেক ভাল থাকবেন।

৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:২৪

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: @ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ,

সহমত। সব অন্যায়ের নিন্দা করি। অত্যাচারিরা নিপাত যাক।


@নতুন নকিব
ফাযায়েলে হজ্জ নিয়ে একটা প্রশ্ন করেছিলুম....


০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৯

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ। শুভকামনা।

মনে আছে। প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আসার চেষ্টা রয়েছে।

৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৪

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:

চীন সরকার নিজেই সকল ক্ষমতার উৎস। তারা মার্ক্সবাদের কথা বলে কিন্তু একই ব্যক্তি সুদীর্ঘ দিন ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে চলেছে। তাদের দেশে মিডিয়া মোটেও স্বাধীন নয়। এজন্য দেশের অভ্যন্তরীণ কোন খবর আন্তর্জাতিক মহলে তেমন প্রকাশ পায় না!

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:০১

নতুন নকিব বলেছেন:



সঠিক বলেছেন। আন্তর্জাতিক মহলগুলোর কঠোর ভূমিকা ব্যতিত এই দুষ্টগনের লাইনে আসার সম্ভাবনা ক্ষীন।

ধন্যবাদ। শুভকামনা।

৯| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১

কে ত ন বলেছেন: অন্যের খবর জিজ্ঞাসা করার আগে নিজের খোঁজ নেন? আপনারা (মুসলমানেরা) নীরব কেন? এরদোগান বাবাজি তো নিজেকে মুসলিম জাতির রক্ষাকর্তা মনে করে। কেন সে এই ব্যাপারে একটা বিবৃতি দেয়ারই প্রয়োজন মনে করেনি?

উইঘুরদের সমর্থনে বিশ্বের কোথাও তো একটাও মিছিলিও বের হয়নি। অথচ পূজার সময়ে একটা মূর্তি ভাংলেও তো ওপারের দাদাদের লাফালাফির চোটে দেশের সীমানা হুমকির মুখে পড়ে। দক্ষিণ সুদান ও পূর্ব তিমুরে কোন অত্যাচার হয়েছে কি হয়নি - তাদেরকে জোর করেই প্রভাব খাটিয়ে স্বাধীন করে দিয়েছে তাদের জাত ভাইয়েরা।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:০২

নতুন নকিব বলেছেন:



ভাল বলেছেন। ধন্যবাদ। শুভকামনা।

১০| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪

সৈকত জোহা বলেছেন: সংখ্যালঘুরা সবসময় নিপীড়িত হয়। স্থান কাল ধর্ম সময় ভেদে সব ঘটনা একই

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:০২

নতুন নকিব বলেছেন:



ঠিক সেটাই ঘটে। ধন্যবাদ। কৃতজ্ঞতা।

১১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:১২

সাইন বোর্ড বলেছেন: বিশ্ব বিবেক বলে কি এখনো কিছু অাছে ?

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:০৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আমারও একই প্রশ্ন। তবু এড়িয়ে না গিয়ে এই কথাটাই লিখলাম।

১২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:২০

বিজন রয় বলেছেন: খুবই দুঃখজনক।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:০৪

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, সেটাই। ধন্যবাদ। শুভকানা।

১৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৬

সনেট কবি বলেছেন: খুবই দুঃখ জনক । আল্লাহ তাদেরকে হেফাজতে রাখুন।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:০৫

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, আমরাও দুআ করছি, আল্লাহ পাক তাদেরকে হেফাজতে রাখুন।

১৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:১৬

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ইউঘুরদের কষ্টের কথা প্রায়ই পত্রিকায় পড়ি। মনটা খারাপ হয়ে যায়।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:০৬

নতুন নকিব বলেছেন:



চীনাদের সম্ভবত: মনই নেই। রোবটের আবার অনুভূতি কিসের? তাদের মন খারাপ হওয়ার প্রশ্ন আসে না সম্ভবত:।

ভাল থাকুন ভাই সত্যের ছায়া।

১৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৪৪

প্রামানিক বলেছেন: উইঘুর মুসলিমদের অনেক আগে থেকেই চীন সরকার কষ্ট দিয়ে আসছে। খুবই দুঃখজনক ঘটনা।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:০৯

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, এখানে ইউরোপ আমেরিকা টু শব্দটি পর্যন্ত উচ্চারন করছে না। কিন্তু, ইসরাইলকে নিয়ে দেখুন তাদের আস্ফালন। পূর্ব তিমুরকে তারা স্বাধীন করে দিয়েছে। সহজ কথায় মুসলিম স্বার্থ যেখানে হুমকির সম্মুখীন তারা সেখানে বরাবর নিরব।

১৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৫৩

মাহিরাহি বলেছেন: সারা পৃথিবীতে মুসলমানেরা নির্যাতিত এবং মুসলমানদেরকেই আক্রমন করা হচ্ছে জংগী বলে।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:১২

নতুন নকিব বলেছেন:



এটাই আশ্চর্যের। নির্যাতিত যারা হয়, সেই তাদেরই গায়ে জঙ্গী তকমা পড়িয়ে দেয়া হয়। আসলে এগুলো বলে বলেই, বিপথগামী অদূরদর্শী কিছু মুসলিমকে জঙ্গী সাজিয়ে, বিশ্বব্যাপী মুসলিম নিধনের পথ রচনা করে চলেছেন এরা।

কৃতজ্ঞতা। শুভকামনা।

১৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:১৭

অগ্নিবেশ বলেছেন: আমি এই কমেন্ট সাংহাই থেকে লিখছি। এদেশে কোনরকম আঞ্চলিকতা চলে না। চীনে থাকতে গেলে সব গরু গাধাকেই এক ঘাটে পানি খেতে হবে। সবাইকে সরকারের কঠোর নিয়ম নীতি মেনে চলতে হবে। এভাবেই চীন শক্তিশালী হয়েছে। ইসলামকে আলাদা ছাড় দেবে কেনো? আর ইসলাম কারো সাথেই তো সহাবস্থান করতে পারে না। চুনের থেকে পান খসলেই তো দাঙ্গা হাঙ্গামা শুরু করে দেয়। দালাইলামা তাও কিছুটা বিদেশী সাপোর্ট পাবে তাঁর অহিংস নীতির কারনে। চীনের মুসলমানেদের হিংসাত্বক কার্যকারনে তারা হয়ত বেঘোরে মারা পড়বে নয়ত রোহিঙ্গাদের মত অবস্থা হবে।
আসলে মুসলমানের মনে করে জগতে তারাই সেরা, অন্যেরা সব চ্যাটে** বা**, অভিশপ্ত। এই মানসিকতা থেকে বের না হয়ে আসলে, কারো সাথেই সহাবস্থান করতে পারবে না, পৃথিবীটা সবার, এটা মনে রাখতে হবে। জাগতিক উন্নয়ন মূলক কাজে ধর্ম বাধা হয়ে দাড়ালে, ধর্মের অংশবিশেষ অবশ্যই বাদ দিতে হবে। না পারলেে এক সময় সেই ধর্মটাই বাতিল হয়ে যাবে। বেহস্তের হুর পরীর চেয়ে তিন বেলা খাওয়া জরুরী, উন্নত চিকিতসা জরুরী, শিক্ষা জরুরী। সকলের সাথে তাল মিলিয়ে না চলতে পারলে ইসলাম নামক চিন্তাধারা ক্রমে ক্রমেই বিলীন হয়ে যাবে।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:২৯

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ।

চীন যেভাবেই শক্তিশালী হোক না কেন, আপনি চীনের দমন নীতিকে কিভাবে সমর্থন করবেন? একটি দেশে অনেক ধর্মের, অনেক মতের লোক থাকতে পারে। তারা মুসলমানদের রমজান মাসের রোজা রাখতে বিধি নিষেধ আরোপ করেছে। তারা দাড়ি রাখার উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তারা মুসলিম মহিলাদের বোরকা হিজাব ইত্যাদিতে বাধ্য বাধকতা চাপিয়ে দিয়েছে। শুধুমাত্র মুসলিম হওয়ার অপরাধে হাজার হাজার মানুষকে গুম করা হয়েছে। জেলে পুড়ে রাখা হয়েছে। হত্যা করা হয়েছে। অনেক ফ্যামিলির একমাত্র উপার্জনক্ষম পুরুষ লোকটিকে গায়েব করে দিয়ে সেই পরিবারটিকে পথে বসিয়ে দেয়া হয়েছে। শারীরিক মানসিক সকল প্রকারের নির্যাতন চালানো হয়েছে তাদের উপর। অনেকের নখ তুলে নেয়া হয়েছে।

জাগতিক উন্নয়নের প্রয়োজন অবশ্যই রয়েছে। কিন্তু বিনয়ের সাথে জানাচ্ছি, আপনার সকল মতের সাথে একমত হতে পারছি না। বেহস্তের হুর পরীর চিন্তা বাদ দেন। আগে পৃথিবীতে বাঁচার অধিকার দেন। চীনাগন তো মুসলমানদের বাঁচতেই দিতে নারাজ। সেখানকার মুসলমানদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে কেন? ইনিয়ে বিনিয়ে হয়তো বলবেন, তারা ওমুক করেছে, তমুক করেছে, আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে, ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু আসল সত্যটা হচ্ছে, তারা যে মুসলিম, এই পরিচয়টিই তাদের দুর্ভাগ্যের একমাত্র, কেবলমাত্র এবং বাস্তবসম্মত কারন।

তিন বেলা খাওয়া জরুরী, উন্নত চিকিতসা জরুরী, শিক্ষা জরুরী। এটা ঠিক। কিন্তু এর জন্য কি ধর্মকে বাদ দেয়ার শর্তারোপ করতে হবে!!??

আপনি চীনের সাংহাই থেকে লিখছেন, ভাল কথা। তবে, আপনার কথা মেনে নিলে তো ধর্মীয় পরিচয় বাদ দিয়ে চীনে বসবাস করতে হবে। সেটার চেয়ে উইঘুরদের বেঘোরে মরে যাওয়া শ্রেয় মনে করি।

আবারও ধন্যবাদ।

১৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৩

অগ্নিবেশ বলেছেন: শেষের কথাটাই ঠিক বলেছেন। এ দেশের উত্থানের ইতিহাস যদি পড়ে দেখেন তাহলে বুঝবেন, মাও এর নেতৃত্বে বিপ্লবের সময় প্রাচীন মন্দির থেকে দেব-দেবীর মুর্তি ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এই দেশের উন্নয়নে ধর্ম যদি বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় তাহলে সে ধর্মকে এরা ছুঁড়ে ফেলে দেবে, আপাতত এদের আটকানোর কেঊই নেই। উইঘুররা যদি প্রানে বাঁচতে চায় তবে সরকারের সাথে একটা রফা করতে হবে। হিজাব, দাড়ি না রাখতে পারলেও হয়ত তিনবেলা নামাজটা পড়তে পারবে। আর যদি তথাকথিত জিহাদ শুরু করে তাইলে মনে করেন সব শেষ। আপনাদের এই অশ্রু, অভিশাপ ইহজীবনে কিছু কাজে আসবে না। পরকালে বিশ্বাসীরা হয়ত পরকালের কথা ভেবে কিছুটা শান্ত্বনা পাবেন। আবারো বলি এদেশের নিয়মে ব্যক্তিগত বা দলগত অধিকার বলে কিছু নেই, তাই ইসলামের জন্য আলাদা কোনো কোটা নেই। অন্য কোনো ধর্মের জন্যও নেই।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:০৮

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ।

আমরাও চাই, উইঘুররা একটা সহনশীল অবস্থানে পেীঁছে যাক। নিরুপদ্রব ধর্মীয় অনুশাসন মেনে ন্যূনতম বাঁচার অধিকারটুকু তারা অন্তত: যাতে পেতে পারেন। আর সেটা সম্ভব আলোচনার মাধ্যমেই। চীনা সরকারকে এর জন্য নমনীয় হতে হবে। দমন পীড়নের বর্তমান অবস্থান থেকে সরে আসতে হবে।

আমার একটা জিনিষ বুঝে আসে না, রমজান মাসে মুসলিম উইঘুররা রোজা রাখলে চীনাদের কি এমন ক্ষতি হয়? তারা রোজা রাখা, দাড়ি রাখার মত বিষয়গুলোতে হস্তক্ষেপ করছে কেন? না কি তারা ভাবেন যে, রোজা রাখলে লোকজন ক্ষুধায় ক্লান্ত হওয়ার কারনে কাজকর্ম সঠিকভাবে করতে অক্ষম হবে কিংবা রোজা ব্যতিত অন্য সময়ের চেয়ে তুলনামূলক কম করবে, যা দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে!

আসেলেই এগুলো কি চীনের উন্নয়নের জন্য বাধা? আপনার জানা থাকলে দয়া করে উত্তরে আসুন।

১৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৪

অগ্নিবেশ বলেছেন: কি কি কারনে সরকার ধর্মপালনে বাঁধা দিচ্ছে এটা সরকার ছাড়া কেউই বলতে পারবে না কারন স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করা এখানে বারন যদি সেটা সরকারের বিপক্ষে যায় তাহলে তো কথাই নেই। তবে আপাত দৃস্টিতে ইসলামের যে জিনিসগুলি পার্থিব উন্নয়নে বাঁধা হয়ে দাড়ায় তাঁর কিছু নমুনা দিচ্ছি মিলিয়ে নেন।
১। সার্বজনীন শিক্ষা ছেড়ে ধর্মীয় শিক্ষার উপর জোর দেওয়া
-- ফলস্বরুপ জ্ঞান বিজ্ঞানে পিছিয়ে পড়া, টেকনোলোজীতে পিছিয়ে পড়া, অকর্মন্য হয়ে দেশের বোঝা বারানো।
২। দেশের প্রচলিত আইন কানুনের চাইতে ধর্মীয় আইন কানুন প্রাধান্য দেওয়া
-- প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থা ঘৃনা করা, বহুবিবাহ করা, তিন তালাক দেওয়া, পাব্লিক প্লেসে মুখ ঢেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা
হুমকির মধ্যে ফেলা, মহিলাদের কর্মক্ষেত্রে যেতে বাঁধা দেওয়া, কাজের সময় নামাজ পড়ে কার্য্যঘন্টা নষ্ট করা, মাসজুড়ে রোজা
রেখে দুর্বলশরীরে উতপাদন ক্ষমতা হ্রাস করা, বিচিত্র খাদ্যাভাসের জন্য সার্বজনীন খাবার না খাওয়া।
৩। বিধর্মীদের প্রতি ধর্মীয় কারনে তীব্র বিদ্বেষ পোষন করা।
-- নিজেদের সেরা মনে করা, অন্যদের জাহান্নামী ধরে নিয়ে তা আচার আচরনে প্রকাশ করা। সার্জনীন বা সংখ্যাগুরুদের উতসব অনুষ্ঠানে না যাওয়া। তাদের কাফির, মুনাফেক ইত্যাদি আখ্যা দিয়ে সমাজ থেকে নিজেদের আলাদা করে নেওয়া।

----- এই কারন গুলোকি চীন কেন যে কোনো দেশের উন্নয়নে বাঁধা হয়ে যাওয়ার পক্ষে যথেষ্ট নয়?

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬

নতুন নকিব বলেছেন:



অাবারও কষ্ট করে উত্তর রেখে যাওয়ায় ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। যদিও অাপনার বিশ্বাসের সাথে অামাদের বিস্তর ফারাক।

সর্বাবস্থায় ভাল থাকুন।

২০| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৫:৩৮

ওসেল মাহমুদ বলেছেন: পাগলের প্রলাপ শুনছি ! আজগুবী চিন্তাধারার মানুষ সভ্যতা ভুলে গিয়ে যা তা লিখে যাচ্ছে !
বিবিসি'র ডকুমেন্ট্রি আমি দেখেছি ! লেখকের সাথে আমি একমত :যে মুসলিমরা নির্যাতিত যারা হয়, সেই তাদেরই গায়ে জঙ্গী তকমা পড়িয়ে দেয়া হয়। আসলে এগুলো বলে বলেই, বিপথগামী অদূরদর্শী কিছু মুসলিমকে জঙ্গী সাজিয়ে, বিশ্বব্যাপী মুসলিম নিধনের পথ রচনা করে চলেছেন এরা।জায়োনিস্ট দের পেইড দালাল রাই চীনের এমন দমননীতি কে সাধুবাদ জানাতে পারে ! মানবতা নয় তথাকথিত উন্নয়নের নামে মুসলিম জণগোস্ঠী কে নিপীড়ণ কে বড় করে দেখে ! কোথায় বিবেক?! কোথায় সভ্যতা ?!

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৩১

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ, অান্তরিক মন্তব্যে।

শুভকামনা। ভাল থাকুন নিরন্তর।

২১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৬

এ আর ১৫ বলেছেন: এতদিন পরে ঠিক কথা বলেছেন ---- জী উইঘুর মুসলমান নিপীড়ন জাতীগত নিপীড়ন নহে ধর্মগত নিপীড়ন কিন্তু এর আগে আপনারা রহিঙ্গা নিপীড়নকে ধর্মীয় নিপীড়ন বলে কেওয়াস শুরু করেছিলেন এবং রহিঙ্গাদের পশ্চিমাদের সাহায্য থেকে বন্চিত করার পয়তারা করেছিলেন , একটা জাতীগত নিপীড়নকে ধর্মীয় নিপীড়ন বলে জাহির করার জন্য ।
চাুয়নাতে উইঘুর মুসলমানদের উপর ধর্মগত কারনে নির্যাতন হচ্ছে । এই নির্যাতনের শিকার এখন মুসলমানরা , এর আগে অন্য ধর্মের মানুষরাও বাধার সন্মুখিন হয়েছে । যদি কোন ধর্মীয় রীতি, রিচুয়াল ঐ দেশের আদর্শের বা অগ্রযাত্রার পরিপন্থী হয় , সাথে সাথে ঐ দেশের সরকার সেটা বাধা দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে ।
এমন কি সংখ্যা গরিষ্ঠ বৌদ্ধ ধর্মের মানুষরা ও রক্ষা পায় নি । ভিন্ন ধর্মের মানুষ সরকারি বিধি নিষেধ মেনে নেওয়াতে তাদের উপর ধর্মীয় কারনে নিপীড়ন বন্ধ হয়ে গেছে কিন্তু মুসলমানরা সরকারী বিধি নিষেধ মানতে নারাজ তাই তাদের উপর নিপীড়ন চলছে । চিনা সরকার মনে করে ৩০ দিন রোজা রাখলে মানুষের কর্ম শক্তি লোপ পায় , অলস হয়ে যায় - তাই তারা সেটা বন্ধ করে দিয়েছে , তারা কেয়ার করে না ধর্মের বিধান কি বলেছে । মাইকে আজান দিতে দেয় না শব্দ দূষনের অজুহাতে , অফিস আয়ারে নামাজ পড়া বন্ধ করে দিয়েছে সময়ের অপচয়ের কারন দেখিয়ে ।
মুসলমানরা যদি সরকারি বিধি নিষেধ না মানে তাহোলে নিপিড়ন করবেই , এই নিপিড়ন সব ধর্মের মানুষের উপর করা হয়েছে যতক্ষন না তারা সরকারের অনুগত হয় ।
দুনিয়াতে যেখানে মুসলমান আছে সেখানেই কিছু না কিছু জংগিবাদি চর্চা হয় এবং সেই তথাকথিত জিহাদি চর্চার আলামত চায়নাতেও পাওয়া গিয়েছে , সেই কারনে চায়না সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে ।

এই বিষয়ে ১৮ এবং ১৯ নং কমেন্টে অগ্নিবেশ যা বলেছেন সেটা সাথে দ্বিমত করার কোন কারন নেই ।

আপনার পোষ্টিং এর টাইটেল --- উইঘুর মুসলিমদের ওপর নিপীড়ন ও নির্যাতন: বিশ্ব বিবেক নিরব কেন?

আপনার মুসলিম বিশ্বের বিবেকের কাছে প্রশ্ন না করে সমগ্র বিশ্ব বিবেককে নিয়ে টানাটানি কেন ? পশ্চিমা বিশ্বের তো মুসলিম ফোবিয়া আছে, তারা তো মুসলমান নাম শুনলেই ১০০ হাত পিছাবে , তাহোলে তাদের কাছে সাহায্যের প্রত্যাশা কেন ? রহিঙ্গাদের ব্যপারটাকে তো জাতীগত নিধন, ধর্মীয় নিধন নহে, বলে চলান গেছে কিন্তু উইঘুরদের টাকে জাতিগত নিপীড়ন বলার কোন উপায় নেই, এইটা পুরোপুরি ধর্মীয় নিপীড়ন !
এই ঘটনা যদি ভারত বা বার্মাতে হোত তাহোলে তো আপনাগো জিহাদ সাত আসমান ছুয়ে ফেলতো কিন্তু চায়নার প্রকৃত মুসলমান নিপিড়ন নিয়ে, আকাশ চুম্বি লম্ফ ঝম্পের কোন মহড়া দেখিনা কেন ?

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৩০

নতুন নকিব বলেছেন:



লম্ফ-ঝম্ফ! তাতে তো মা-শাঅাল্লাহ অাপনিই এগিয়ে! বেশ চালিয়ে যান! দারুন উপভোগ্য!

উদ্ধত অাচরনকারীর অবান্তর কোনো কমেন্টের উত্তর দেয়া হবে না।

ভাল থাকুন।

২২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৩১

নজসু বলেছেন: তুর্কি উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়ন হলো
চীনের নয়া সাম্রাজ্যবাদী নীতির একটি অংশ।

সারা পৃথিবীতে মুসলিমরাই সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৫২

নতুন নকিব বলেছেন:



ঠিক বলেছেন। আমরা চাই এই অব্যহত নির্যাতনের হাত থেকে উইঘুর মুসলিমরা মুক্তি পাক।

আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ মন্তব্যে আসায়। অনেক ভাল থাকুন।

২৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:১১

এ আর ১৫ বলেছেন: উদ্ধত অাচরনকারীর অবান্তর কোনো কমেন্টের উত্তর দেয়া হবে না।

কোনটা উদ্ধত আচরন আর কোনটা নহে সেটা বোঝার মত মেধা আপনার নাই ,যদি থাকত তাহোলে রহিঙ্গাদের জাতীগত নিপীড়নকে ধর্মীয় নিপীড়ন হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার পায়তারা করতেন না এবং রহিঙ্গাদের উপকারের বদলে বহিবিশ্বের সাহায্য বন্চিত করে তাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করতেন না ।
আপনারা না কথায় কথায় বলেন ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা ? এই দুইটার মধ্যে পার্থক্য বোঝার মত মেধা কি আপনাদের মত মানুষের আছে ? এই যে চায়না সরকার ঐ দেশের সকল ধর্মের মানুষের সাথে যে আচরন করছে তার নাম হোল ধর্মহীনতা , ধর্মনিরপেক্ষ দেশে কখনো সরকার কোন ধর্মের মানুষকে তাদের ধর্ম পালনে বাধা দেয় না এবং সরকারি ভাবে বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা করে । আপনাদের মতে ধর্ম নিরপেক্ষতা মানি ধর্মহীনতা তার মানি ধর্মীয় অধিকারের ব্যপারে পশ্বিমা বিশ্বের সরকার এবং চায়না সরকারের কার্যকলাপ এক , সেই কারনে ধর্ম নিরপেক্ষতা এবং ধর্মহীনতা এক জিনিস ?

আপনি লিখেছেন --- ইয়েমেনের নির্যাতিত শিশুদের নিয়ে পোস্ট দেব ভাবছি। ধন্যবাদ।


তাই নাকি ? জীবনে ও সেটা দিবেন না , সেটা আমরা জানি কারন মুসলমানরা মুসলমানদের মারতেছে তাই । আপনাকে বহু বার বহু জনে তালেবান আই এস আই কর্তৃক মুসলমান হত্যার বিষয়ে, চুপচাপ থাকার ব্যপারে প্রশ্ন করেছে কিন্তু মুসলমান কর্তৃক মুসলমান নিপীড়নের ব্যপারে, আজ পর্যন্ত কোন টু শব্দ করেন নি এবং ভবিষ্যতে ও করবেন না । আপনি শুধু টু শব্দ করবেন যখন অমুসলিমদের হাতে মুসলমানরা নির্যাতিত হয় তখন এবং সেই সাথে বিখ্যাত ভাঙ্গা রেকর্ড মুসলমানদের দ্বারা মুসলমান নির্যাতনকে ইহুদি নাসার ষড়যন্ত্র বলে বাজানো ।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪০

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি বলতে থাকুন। ধন্যবাদ।

২৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:১২

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: আমাদেরও দোষ আছে। আমরা মুসলিমরা হাতের উওপ্র হাত রেখে বসে আছি। সৌদি আরব আর দুবাইকে নিয়ে কিছু বলার নেই।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২

নতুন নকিব বলেছেন:



ঠিক বলেছেন। আমাদের তো দোষ অবশ্যই আছে। আমরাই তো সমস্যার সমাধান চাই না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.