নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাদিসে বর্ণিত এক জান্নাতী মানুষের গল্প

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬



অন্যান্য দিনের মত একদিন। নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। উপবিষ্ট মসজিদে নববীতে। সাহাবীগনও তাঁর সামনে। অধীর আগ্রহে অপেক্ষমান। সবার মনে তাঁর কথা শোনার আগ্রহ। নিরবতা ভেঙ্গে কথা বলে উঠলেন নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। বললেন,

يَطْلُعُ عَلَيْكُمُ الْآنَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْجَنّةِ.

‘তোমাদের মাঝে এখন আসবে একজন জান্নাতী মানুষ।’

নবীজীর মুখে একথা শুনে সবাই খুব উৎসুক হয়ে উঠেছিলেন, কে সেই সৌভাগ্যবান মানুষটি যাকে প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জান্নাতী বললেন -তা দেখার জন্য। ইতিমধ্যে একজন আগমন করলেন, যিনি সবেমাত্র উযু করেছেন। দাড়ি বেয়ে ফোঁটা ফোঁটা পানি ঝরছে তাঁর। জুতা জোড়া বাম হাতে ভাঁজ করা। ধীরে ধীরে মসজিদের দিকে আসছেন। এ দরোজা দিয়েই প্রবেশ করলেন তিনি। নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মজলিসে শরীক হওয়ার জন্য। এবং বসে পড়লেন নবুয়তের ঐশী আলোয় উদ্ভাসিত মোবারক সেই জমায়েতে।

দ্বিতীয় দিন। নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ঘিরে বসে আছেন সবাই। পিনপতন নিরবতা দরবারে নববীজুড়ে। মৌমাছির মত জমে বসে আছেন অসংখ্য সাহাবী। তবু যেন কেউ নেই। প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গত দিনের মতই বললেন-

يَطْلُعُ عَلَيْكُمُ الْآنَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْجَنّةِ.

‘এখন তোমাদের মাঝে একজন জান্নাতী মানুষের আগমন ঘটবে।’

দেখা গেল। এদিনও এলেন সেই মানুষটি। যিনি এসেছিলেন আগের দিন।

তৃতীয় দিন। গত দু’দিনের মত আজও। নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন। পূর্বের মত। সেই একই কথা। দেখা গেল নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথার পরে। আজও আগমন ঘটলো। সেই একই ব্যক্তির। সেই মানুষটিই মজলিসে আগমন করলেন আজও।

কে এই সৌভাগ্যবান ব্যক্তি? যিনি তিন তিনটি দিন, তিন তিনবার নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মুখে জান্নাতী হওয়ার সনদ পেলেন? তিনি আর কেউ নন। তিনি হচ্ছেন প্রখ্যাত সাহাবী হযরত সা‘দ ইবনে আবী ওয়াক্কাস রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু।

হ্যাঁ, হযরত সা‘দ ইবনে আবী ওয়াক্কাস রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু! কেমন ছিলেন তিনি? কী ছিল তাঁর গুণ-বৈশিষ্ট্য? নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাঁর সম্পর্কে এই মহাসুসংবাদ দিলেন তার পরের জীবনটুকু কীভাবে কেটেছে? সংক্ষেপে বললে তিনি ছিলেন নবীজীর অত্যন্ত প্রিয় ও বিশ্বস্ত সাহাবী। স্বয়ং নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে গভীর মহব্বত করতেন। তিনিও নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালবাসতেন প্রাণ দিয়ে। মাত্র সতের বছর বয়সে তিনি ইসলাম কবুল করেন। তাঁর ইসলাম কবুলের বিবরণও খুবই চমৎকার। দ্বীন-ঈমানের জন্য অতুলনীয় ত্যাগ স্বীকার করেছেন তিনি। জিহাদের ময়দানে ছিল তাঁর অসাধারণ নৈপুণ্য। নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সমরকুশলতার প্রশংসা করেছেন। ইসলামের ইতিহাসে তিনিই সর্বপ্রথম শত্রুর বিরুদ্ধে তীর নিক্ষেপ করেছেন।

বদর, ওহুদসহ বড় বড় যুদ্ধে নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে থেকেছেন। অংশগ্রহণ করেছেন গুরুত্বপূর্ন প্রতিটি জিহাদে। সেনাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন বিভিন্ন যুদ্ধে।

ইলমের দিগন্তে তিনি ছিলেন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। অনেক হাদীস বর্ণনা করেছেন তিনি।

খলীফাতুল মুমিনীন হযরত উমর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু -এর আমলে তিনি কুফার খণ্ডকালীন গভর্নর ছিলেন। এই সব কিছু সত্বেও তিনি ছিলেন সাদামাটা স্বভাবের একজন মানুষ। ৫৫ হিজরী সনে ৮২ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন। (দ্র. সিয়ারু আলামিন নুবালা, যাহাবী)

তাঁর জীবনটিই প্রমাণ করে নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর বাণী কত সত্য। তিনি যাকে জান্নাতী বলেছেন বাস্তবেও তাঁর জীবন জান্নাতী আমলের মধ্যেই অতিবাহিত হয়েছে।

যে ঘটনাটি বলার জন্য সামনে এগুচ্ছিলাম- নবী পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মুখে হযরত সা‘দ রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু সম্পর্কে এই মহা সুসংবাদ ঘোষিত হওয়ার পর যা ঘটলো; মজলিস শেষে হযরত সা‘দ রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু যখন বাড়ির পথে রওয়ানা হলেন তখন সাহাবী হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু তাঁর পিছু পিছু হাঁটতে লাগলেন। তাঁর মনে একটিই প্রশ্ন- হযরত সা‘দ রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু কী আমল করেন? কোন্ আমলের গুণে তিনি এই মহা সৌভাগ্য অর্জন করলেন? যে করেই হোক, এ প্রশ্নের উত্তর তাকে খুঁজে বের করতেই হবে! রহস্য উদঘাটনে তিনি একটুখানি কৌশল করলেন।

হযরত সা‘দ রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু -এর কাছে গিয়ে বললেন, চাচা, কিছু সমস্যা থাকার কারনে ভেবেছিলাম, তিন দিন বাড়িতে যাব না। তো মেহেরবানী করে কি এই তিন দিন আমাকে আপনার ঘরে থাকতে দিবেন?

-ঠিক আছে, থাকো। কোনো অসুবিধা নেই।

হযরত আবদুল্লাহ একে একে তিন রাত হযরত সা‘দ রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু এর বাড়িতে থাকলেন। কৌতুহলের এ তিন রাতে তিনি যা কিছু আবিষ্কার করতে পারলেন তার মুখেই শোনা যাক সেই বিবরণ-

' তাঁর বাড়িতে আমি তিন রাত কাটালাম। তাঁকে রাত জেগে জেগে তাহাজ্জুদও তেমন পড়তে দেখলাম না। তবে রাতে ঘুম ভাঙ্গলেই পাশ ফেরার সময় আল্লাহু আকবার বলতেন; আল্লাহর যিকির করতেন; এরপর ফজরের সময় হলে নামাযের জন্য উঠে পড়তেন।'

'তবে এ তিন দিন তাঁকে কোনো অর্থহীন শব্দ বা বাক্য বলতে শুনিনি। শুধু ভালো কথাই বলতে দেখেছি।' আব্দুল্লাহ বিন আমর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু যোগ করলেন।

তিনি বলে চলেছেন-

'তিন রাত কাটানোর পর তাঁকে বললাম- চাচা, বাড়িতে আসলে তেমন কোনো সমস্যা আমার ছিল না। শুধু আপনার সাথে কিছু সময় থাকা এবং আপনার আমল পর্যবেক্ষণ করাই ছিল আমার উদ্দেশ্য। কারণ পর পর তিন দিন আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

يَطْلُعُ عَلَيْكُمُ الْآنَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْجَنّةِ.

‘এখন তোমাদের মাঝে একজন জান্নাতী মানুষের আগমন ঘটবে।’

'তিন বারই দেখা গেল আপনার আগমন হয়েছে। তখন থেকেই আমি সংকল্প করেছি, আপনার সাথে থেকে আপনার ‘আমল’ পর্যবেক্ষণ করব এবং সে মোতাবেক আমল করে আমিও জান্নাতী হব।' তিনি বলে যাচ্ছেন।

'কিন্তু চাচা, আপনাকে তো বেশি কিছু আমল করতে দেখলাম না! তাহলে কী এমন বিষয়, যা আপনাকে নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পাক যবানে উচ্চারিত এই সৌভাগ্য এনে দিল?' জানতে চাইলেন আব্দুল্লাহ বিন আমর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু।

সা‘দ রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু বললেন, 'ভাতিজা! আমার আমল তো ঐটুকুই যা তুমি দেখেছ!'

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু বোধ হয় কিছুটা আশাহত হলেন। ফিরে যাওয়ার সময় পেছন থেকে ডাক এলো- 'আবদুল্লাহ!'

আব্দুল্লাহ বিন আমর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু ফিরে তাকালেন। হযরত সা‘দ রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু বললেন, 'ভাতিজা, তুমি আমাকে যেমন দেখেছ আমার আমল তো ঐটুকুই। তবে একটি বিষয় আছে।'

হযরত আবদুল্লাহ বিন আমর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু আগ্রহ যেন হঠাত বহুগুনে বেড়ে গেল। তন্ময় হয়ে শুনতে লাগলেন তিনি। হযরত সা‘দ রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু বললেন, 'কোনো মুসলিম ভাইয়ের প্রতি আমি অন্তরে কোনো কূট চিন্তা পোষণ করি না। আর আল্লাহ পাক যাকে যে নিআমত দান করেছেন তার কারণে কাউকে হিংসা করি না। এক কথায় সকলের দাবি দাওয়া ছেড়ে দিয়ে প্রতি রাতে আমি ঘুমুতে যাই। কোনো মাখলূকের প্রতি আমার কোনো দাবি অবশিষ্ট রাখি না। সকলকে মাফ করে দিয়ে প্রতিটি দিন পার করি।'

এ কথা শুনে হযরত আবদুল্লাহ বিন আমর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু বলে উঠলেন, 'হ্যাঁ, এই একটি গুণই ঐ মহাসৌভাগ্যের অধিকারী হওয়ার জন্য যথেষ্ট। এই গুনটিই আপনাকে জান্নাতী মানুষে পরিনত করেছে। আর এটিই আমরা পারি না।' –মুসনাদে আহমাদ ৩/১৬৬, হাদীস ১২৬৯৭; কিতাবুয যুহদ, হাদীস : ৬৪৬

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:২১

নজসু বলেছেন: মানুষের অন্যতম একটি খারাপ গুণ হলো হিংসা।
ইসলামে হিংসা কিংবা বিদ্বেষ পোষনকারীকে খুবই নিকৃষ্ট চোখে দেখা হয়েছে।
হিংসা মানুষকে শুধুমাত্র প্রতিপন্নই করে না বরং হিংসুকের জীবন কখনই সুখের হয় না।

আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করুন।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৪

নতুন নকিব বলেছেন:



দারুন কথা বলেছেন। প্রথম মন্তব্যে মুগ্ধতা। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

অনেক ভাল থাকার প্রার্থনা।

২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩২

আন্নীআক্তার৭৮৬ বলেছেন: সুবহান আল্লাহ!!! আল্লাহ আমাদের সবাইকে যেন নেক আমল করার তৌফিক দেন করে।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:২৯

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার বিনীত প্রার্থনা কবুল করুন মালিক মহিয়ান।

কৃতজ্ঞতা এবং শুভকামনা অন্তহীন। মন্তব্যে +++

৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৯

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: তাঁর জীবনটিই প্রমাণ করে নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর বাণী কত সত্য।
আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করুন।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৩১

নতুন নকিব বলেছেন:



সেটাই, তাঁর জীবনটিই প্রমাণ করে নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর বাণী কত সত্য।

দারুন বলেছেন। প্রার্থনা কবুল করুন মালিক মহিয়ান।

কৃতজ্ঞতাসহ শুভকামনা। মন্তব্যে +++

৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সুন্দর একটি হাদিস আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ নকিব ভাই।
বর্তমানে আমাদের মন হিংসায় ভরা।অন্যর ক্ষতি কি করে করব,কার কি ভাবে অনিষ্ট করা যায় সারাক্ষন সেই চিন্তায় থাকি।আর কেই সামন্য আমাদের সাথে খারাপ কিছু করলে তাকে সহজেই মন থেকে ক্ষমা করতে পারিনা।বরং তাকে বার বার গালি দেই,অভিসাপ দেই।
হাদিসটির মর্মার্থ বোঝার তৌফিক মহান আল্লাহ আমাদের দান করুন।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৫

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনাকেও অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য রেখে যাওয়ায় শুভকামনাসহ কৃতজ্ঞতা।

বর্তমানে আমাদের মন হিংসায় ভরা। অন্যের ক্ষতি কি করে করব, কার কিভাবে অনিষ্ট করা যায় সারাক্ষন সেই চিন্তায় থাকি।আর কেউ আমাদের সাথে সামান্য খারাপ কোনো আচরন করলে তাকে সহজেই মন থেকে ক্ষমা করতে পারি না। বরং তাকে বার বার গালি দেই, অভিশাপ দেই।

--- একদমই সত্য বলেছেন। আমাদের মনের সংকীর্নতা বিদূরিত করা দরকার।

হাদিসটির মর্মার্থ বোঝার তৌফিক মহান আল্লাহ আমাদের দান করুন।

--- প্রার্থনা কবুল করুন মালিক মহিয়ান।

কৃতজ্ঞতা এবং শুভকামনা। মন্তব্যে +++

৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০

আরোগ্য বলেছেন: ঘটনাটা কিছু জানতাম,বিস্তারিত দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ । বর্তমানে দেখা যায় ফরয ইবাদতের চেয়ে বেশি মানুষ নফল ইবাদত করে,তাদের ধারণা অধিক নফল ইবাদত পাপ মার্জনা করবে এবং জান্নাতের পথ সুগম করবে। আল্লাহু আ' লাম।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



ঘটনাটা কিছু জানতাম, বিস্তারিত দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।

--- নতুন করে জেনে নেয়ায় অনেক ধন্যবাদ। কৃতজ্ঞতা পাঠ এবং মন্তব্যে আসায়।

বর্তমানে দেখা যায়, ফরয ইবাদতের চেয়ে বেশি মানুষ নফল ইবাদত করে, তাদের ধারণা, অধিক নফল ইবাদত পাপ মার্জনা করবে এবং জান্নাতের পথ সুগম করবে।

--- প্রিয় ভাই, তাদের ধারনা যদি এটিই হয়ে থাকে, তাহলে তো তারা সঠিক পথেই আছেন। অবশ্যই তারা ঠিক কাজটিই করে যাচ্ছেন। কারন, হাদিসে বলা হয়েছে, বান্দার ফরজ আমলের ঘাটতি বা কমতি হলে তার নফল কোনো আমল রয়েছে কি না তা খুঁজে দেখা হবে। নফল আমল পাওয়া গেলে তা দিয়ে ফরজের ঘাটতি পূরন করে দেয়া হবে। আল্লাহু আকবার। এটি বান্দার প্রতি মহান মনিবের দয়া ছাড়া আর কিছু নয়। তিনি তার প্রিয় বান্দা-বান্দীকে শাস্তির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য নফলগুলো দিয়ে ফরজের ঘাটতি পূরন করে দেন। এটা তার শ্রেষ্ঠতম দয়ালু হওয়ার প্রমান বহন করে।

অনেক ভাল থাকবেন, প্রার্থনা নিরন্তর। মন্তব্যে +++

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রসঙ্গত: আরোগ্য -এর ৬ নং মন্তব্যটিও প্রনিধানযোগ্য। তিনি সুন্দর বলেছেন। দেখে নিতে পারেন।

৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৪

ঢাকার লোক বলেছেন: সুন্দর একটি হাদিস আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ নকিব ভাই।
আরোগ্যের মন্তব্য প্রসঙ্গে বলা যায় এটা ঠিক যে ,"অধিক নফল ইবাদত পাপ মার্জনা করবে এবং জান্নাতের পথ সুগম করবে"। তবে ফরজ ইবাদতগুলো করা বেশি জরুরি, কোম্পানির একজন কর্মচারী বোনাসের যোগ্য হতে পারে , যে কর্মচারীই না সে বোনাস পায় না । ফরজ ইবাদাত আপনাকে কর্মচারী বানাবে, তার পর নফল আপনাকে বোনাস দিবে !

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৬

নতুন নকিব বলেছেন:



মোবারকবাদ। কৃতজ্ঞতা, আমার হয়ে আরোগ্যকে তার জিজ্ঞাসার জবাবটি সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দেয়ায়।

দারুন বলেছেন। অনেক ভাল থাকবেন। মন্তব্যে +++

৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৮

নেয়ামুল নাহিদ বলেছেন: একজন জান্নাতি মানুষ সম্পর্কে জানলাম, ভালোবাসা।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার জন্যও ভালোবাসা এবং কৃতজ্ঞতা।

অনেক ভাল থাকার প্রার্থনা। মন্তব্যে +++

৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২২

বাকপ্রবাস বলেছেন: জান্নাত আমাকে কাছে টানেনা, কারন অতি ভাল জান্নাত, অতি জিনিসটার প্রতি আমার আগ্রহ কম। আমি নিশ্চিত জাহান্নামে যাব। জাহান্নাম ও অতি খারাপ। সেখানেও যাওয়ার কোন আগ্রহ নাই। সমস্যা হল জান্নাতে যেতে না পারলে অবধারিত জাহান্নাম।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:০২

নতুন নকিব বলেছেন:



দারুন দর্শন আপনার। শুভকামনা এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন।

'অতি' জিনিষটার প্রতি আগ্রহ থাকা না থাকা বিষয় নয়। প্রকৃত বিষয় হচ্ছে, সৃষ্টিকর্তার বিধান মোতাবেক নিজের জীবন চালানো। জান্নাত না কি জাহান্নাম, কোথায় কাকে রাখা সঠিক, তিনিই সবচে' ভাল জানেন। তাঁর ফায়সালাকে মেনে নেয়াই আমাদের কাজ।

পার্থিব জগতে চিন্তা চেতনায় আমরা স্বাধীন। ইচ্ছে করলে মহান মালিক সৃষ্টিকর্তাকে মানতে পারি। ইচ্ছে করলে অস্বীকারও করতে পারি। এই স্বাধীনতা দিয়েছেন আমাদের পরিক্ষা করার উদ্দেশ্যে। এই স্বাধীনতা না দিলে পরিক্ষা হত না। দুনিয়াতে তাঁর নির্দেশ অবনত মস্তকে মেনে নেয়া উচিত। বুদ্ধিমানরা তাই করে থাকেন।

পক্ষান্তরে আখিরাতের অবস্থা সম্পূর্ন ভিন্ন। সেখানে কাউকে স্বাধীনতা দেয়া হবে না। পরিক্ষার হলের সাথে তুলনা করা যায়। ঘাড় ফেরানোর উপায় থাকবে না। খেল তামাশার সুযোগ থাকবে না। বাকপটুদের বোবা-মূক করে দেয়া হবে। মহান মালিকের ফায়সালা সকলকে মেনে নিতে হবে। অবনত মস্তকে। সকলে মানতে বাধ্য হবেন। কারন, স্বেচ্ছাচারিতার কোনো সুযোগ সেখানে কাউকে দেয়া হবে না।

তাই আমাদের কাজ হচ্ছে, তাঁর নির্দেশ মেনে জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত অতিবাহিত করার চেষ্টায় আত্মনিয়োগ করা। জান্নাত জাহান্নাম তো তাঁরই ইচ্ছাধীন।

অনেক ভাল থাকবেন, প্রার্থনা।

৯| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩০

saif sakib বলেছেন: খুব সুন্দর একটি পোস্ট।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:০৫

নতুন নকিব বলেছেন:



মোবারকবাদ। ধন্যবাদ।

শুভকামনা অনি:শেষ।

১০| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: তুমি যখন দুর্বলের উপর হাত উঠাও, তখন এ কথা কেন ভুলে যাও যে, এ মানুষটিকে যিনি সৃষ্টি করেছেন, তিনি তোমার চেয়ে অনেক বেশী শক্তিশালী।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:১৩

নতুন নকিব বলেছেন:



দার্শনিক স্টাইলের মন্তব্যে ধন্যবাদ।

কিছু যদি মনে না করেন একটা কথা জিজ্ঞেস করি, আপনার কি অনেক মন্তব্য টাইপ করা অবস্থায় হাতে রেডি থাকে? যাতে যে কোনো নতুন পোস্টে মুহূর্তের মধ্যে মন্তব্যটি বসিয়ে দেয়া যায়?

ইদানিং কিন্তু আমার কাছে তাই মনে হচ্ছে। আপনার সাথে যার বেশি সখ্যতা, তিনিও কিন্তু মন্তব্যের ক্ষেত্রে দারুন এই দার্শনিক তত্ত্বে বিশ্বাসী। আমিও এই দর্শন আয়ত্বে নিতে চাই। দলে যোগ দেয়ার তরিকা বাতলে দিতেন যদি।

বি. দ্র. আমার মতে দার্শনিক স্টাইলের মন্তব্য মানে, পোস্টের লেখার বিষয়ের সাথে যে মন্তব্য আদৌ যায় না।

আবারও শুভকামনা। অনেক ভাল থাকুন নিরন্তর।

১১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৪১

কাতিআশা বলেছেন: খুব ভালো একটা পোস্ট! শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ!

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:১৪

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ। পাঠ এবং মন্তব্যে অভিনন্দন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.