নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
ঝড়েরও লাইভ স্ট্রিমিং হয় এখন
গতকাল ৩১ মার্চ বিকেলে সন্ধ্যা হতে তখনও প্রায় পৌনে এক ঘন্টা বাকি। খুবই অল্প সময়ের ভেতরে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে যায়। নেমে আসে অন্ধকার। প্রচন্ড বাতাস ধূলি উড়িয়ে গোটা এলাকা আচ্ছন্ন করে দেয়। কিছুক্ষনের মধ্যে বৃষ্টিসহ শুরু হয় প্রচন্ড ঝড়। আর তখনই দেখতে পাই, কিছু লোকের ভিন্ন চিত্র। অবস্থা দর্শনে মনে হল, দিনকে দিন ঠিকই পাল্টে যাচ্ছে আমাদের অবস্থা। একদিকে শুরু হয়েছে প্রচন্ড বাতাসসহ ধূলি ঝড় আর বৃষ্টি। আর অন্যদিকে চলছে, মোবাইল ভিডিও।
ভিডিও করতে ব্যস্ত এক ইঞ্জিনিয়ারকে জিজ্ঞেস করলাম, 'কি করছেন?'
নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে তার উত্তর- 'ফেসবুকে লাইভ দিচ্ছি।'
'লাইভ স্ট্রিমিং নাকি ফেসবুক বন্ধ করার কথা বলছে? এখনও করেনি?' -জানতে চাইলাম তার কাছে।
'কেন বন্ধ করবে?' -উল্টো প্রশ্ন করলেন তিনি।
'কেন, নিউজিল্যান্ড হামলার পরে এমন খবরই তো শুনেছিলাম। আপনি শোনেননি?' -তিনি কি উত্তর করেছেন শুনিনি।
একই সময়ে কেউ কেউ দেখলাম ছবি তুলছেন। ঝড়ের ছবি তোলার কাজে ব্যস্ত তারা। আচ্ছা, ঝড়-ঝঞ্ঝা-তুফান এলে কি তার ছবি তোলা আর লাইভ স্ট্রিমিং করাই আমাদের কাজ? না কি ঝড়ের মূহুর্তে এর ক্ষতি থেকে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের অারও কোনো করণীয় থাকতে পারে? এ ব্যাপারে ইসলামী শরিয়াহ কি বলে? ঝড়-তুফান এলে আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি করতেন? এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বেঁচে থাকার জন্য তাঁর আমল কি ছিল? আসুন, দেখা যাক হাদিসের আলোকে বিষয়টিতে কি কোনো শিক্ষনীয় কিছু রয়েছে কি না।
এগুলো আল্লাহ পাকের পরিক্ষা
প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা পৃথিবীতে নানা আপদ-বিপদ ও মুসিবত দিয়ে বান্দাকে পরীক্ষা করেন। সব রকম বিপদ-আপদে আত্মরক্ষার কলা-কৌশল, দুআ এবং জিকির-আজকারও বর্ণিত হয়েছে কুরআন হাদিসে। মেঘের গর্জন, ঝড়-তুফান, অনাবৃষ্টি কিংবা অতিবৃষ্টির অনিষ্ট থেকে হিফাজতে থাকার জন্যও রয়েছে দুআ ও আমল।
ঝড়-তুফান এলে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আমল কেমন ছিল?
হাদিসের ভাষ্যে জানা যায়, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মেঘের গর্জন শুনলে বা বিদ্যুতের চমক দেখলে সঙ্গে সঙ্গেই ভীতিবিহবল হয়ে পড়তেন। তাঁর চেহারায় পরিবর্তনের ছাপ পরিলক্ষিত হতো। আল্লাহ পাকের দরবারে দুআয় মগ্ন হতেন তিনি। ঝড়-বৃষ্টির ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সকাতর মিনতি করতেন। পক্ষান্তরে আমরা আজ ঝড়-বৃষ্টিসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের মূহুর্তে আল্লাহ পাককে স্মরণ করা ভুলে গিয়ে, তাকে ডাকার পরিবর্তে মোবাইলে লাইভ স্ট্রিমিং আর ছবি তোলার মত অনর্থক কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। এ অবস্থা কাম্য নয়। আমাদের ফিরে আসতে হবে। রাসূলে মাকবুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পথেই মুক্তি, তাঁর দেখানো পথেই শান্তি। সেপথেই হোক আমাদের প্রত্যাবর্তন।
ঝড়-তুফান থেকে রক্ষা পাওয়ার নববী শিক্ষা
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু তাআ'লা আনহু বলেছেন, রাসূলে মাকবুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মেঘের গর্জন শুনলে বা বিদ্যুতের চমক দেখলে সঙ্গে সঙ্গেই এই দুআ করতেন-
اللَّهُمَّ لا تَقْتُلْنَا بِغَضَبِكَ ، وَلا تُهْلِكْنَا بِعَذَابِكَ ، وَعَافِنَا قَبْلَ ذَلِكَ
উচ্চারণ- 'আল্লা-হুম্মা লা- তাক্বতুলনা- বিগদাবিকা ওয়া লা-তুহলিকনা- বিআ’জা-বিকা, ওয়া আ’-ফিনা- ক্ববলা জা-লিকা।'
অর্থ : 'হে আমাদের প্রভু! আপনার ক্রোধের বশবর্তী হয়ে আমাদের মেরে ফেলবেন না, আর আপনার আযাব দিয়ে আমাদের ধ্বংস করবেন না। বরং এর আগেই আমাদেরকে ক্ষমা ও নিরাপত্তার চাদরে আবৃত করে নিন।' (তিরমিজি)
হজরত আব্দুল্লাহ ইবন যুবাইর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু যখন মেঘের গর্জন শুনতেন তখন কথা বলা বন্ধ করে দিতেন এবং কুরআনুল কারিমের এই আয়াত তিলাওয়াত করতেন-
سُبْحَانَ الَّذِي يُسَبِّحُ الرَّعْدُ بِحَمْدِهِ، والـمَلائِكَةُ مِنْ خِيْفَتِهِ
উচ্চারণ : 'সুবহানাল্লাজি ইউসাব্বিহুর রা`দু বিহামদিহি ওয়াল মালাইকাতু মিন খি-ফাতিহ।'
অর্থ : 'পাক-পবিত্র সেই মহান সত্তা- তাঁর প্রশংসা পাঠ করে বজ্র এবং সব ফেরেশতা, সভয়ে।' (মুয়াত্তা)
ঝড়-তুফানের ক্ষতি থেকে বেঁচে থাকার জন্য বুখারি শরিফের হাদিসে নিচের দুআ পাঠের কথা বলা হয়েছে-
اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلاَ عَلَيْنَا
উচ্চারণ : `আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়ালা আলাইনা’
অর্থ : 'হে আল্লাহ! আমাদের থেকে ফিরিয়ে নিন, আমাদের ওপর দিবেন না।' (বুখারি)
এছাড়া ঝড়-তুফানের সময় এ দুআ বেশি বেশি পাঠ করা যেতে পারে-
اللهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا، وَخَيْرَ مَا فِيهَا، وَخَيْرَ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا، وَشَرِّ مَا فِيهَا، وَشَرِّ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ
উচ্চারণ : `আল্লাহুম্মা ইন্নী আস্আলুকা খায়রাহা ওয়া খায়রা মা ফিহা- ওয়া খায়রা মা উরসিলাত বিহি; ওয়া আউযুবিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি মা ফিহা ওয়া শাররি মা উরসিলাত বিহ।`
অর্থ : 'হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট এর মঙ্গল, এর মধ্যকার মঙ্গল ও যা নিয়ে তা প্রেরিত হয়েছে তার মঙ্গল কামনা করছি এবং এর অমঙ্গল, এর ভেতরকার অমঙ্গল ও যা নিয়ে তা প্রেরিত হয়েছে, তার অমঙ্গলসমূহ হতে পানাহ চাই।'
আল্লাহ পাক আমাদের সুন্নাতের পথে পরিচালিত করুন
ঝড়-তুফান এলে কেউ কেউ আনন্দ প্রকাশ করেন। কোনো কোনো দেখা যায়, কিছু মানুষ বাহাদুরি প্রদর্শনের জন্য ঝড়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাইরে ছুটে বেড়ান। এসব মোটেই উচিত নয়। ঝড়-তুফান দেখলে বরং নিজেকেও নিরাপদ আশ্রয়ে রাখতে হবে; পাশাপাশি বিপদে নিপতিত অন্যদেরও রক্ষায় সাধ্যমত এগিয়ে আসতে হবে।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা আত্মবিস্মৃত মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত দুআ ও আমলগুলো যথাযথভাবে পালনের মাধ্যমে ঝড়-তুফানসহ যাবতীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে হেফাজতে থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।
ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:০০
নতুন নকিব বলেছেন:
বাহ! সুন্দর মন্তব্য। আপনার প্রার্থনায় সহমত। শুধু যোগ করতে চাই - মানব সৃষ্ট সকল দুর্যোগ থেকেও যেন আল্লাহ পাক আমাদের জান-মাল হেফাজত করেন।
প্রথম মন্তব্যে আপ্লুত! কৃতজ্ঞতাসহ শুভকামনা।
২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সাধে কি বলি ভায়া মুসলমান পান কই?
পোষাকে?
লেবাসে?
দাড়িতে?
টুপিতে?
বিশ্বাসে যে পূর্ন মুসলিম সে আপনার বর্ণিত রাসুলের সুন্নাহতেই আপনাতেই মগ্ন থাকবে।
কারণ তার সঠিক বিম্বাসই তার চেতনাকে তাড়িত করবে।
যে ফিতরাতে বর্ণনা দিয়েছেন, তা তাদের বিম্বাসেরই প্রচ্ছায়া!
তাইতো দরিদ্র নাইম পলিথিনের মতো ক্ষুদ্র বস্তু দিয়ে তার আন্তরিকতার বিশাল প্রমান রাখে- যখন বাকী সকলে তাদের স্ব স্ব ফিতরাতে মগ্ন! আর তার প্রশংসা পুরস্কার দেখুন আল্লাহ কিভাবে পৃথিবীন দূর দূর প্রান্ত থেকে তাকে সম্মানিত করছে।
হয়রত আবদুল্লাহ ইবনে যুবায়ের রা: এর পাঠকৃত আয়াতের সত্যতা যদি মানুষ অনুভব করতো।!
আহা কি দারুন সত্য। বন্ধ কানের দুয়ার খুলে গেলে আপনাতেই সিজদাবনত হয় হৃদয়!
হৃদয় উচ্চারে মহান সেই সত্য - লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, মোহাম্মদ রাসুল আল্লাহ!
প্রকৃতির ক্ষমতার কাছে মানুষ এখনো শিশুর মতো অসহায়!
তা ক্যালিফোর্নিয়ার আগুন হোক বা ফ্লোরিডার ঝড়ের তান্ডবে! বা ইন্দোনেশিয়া জাপানের সুনামী বা ভূমিকম্পে!
বিজ্ঞান প্রযুক্তি কেবলই অসহায় দর্শক।
মহান সৃষ্টার হাজারো লক্ষ কোটি নিদর্শনের পরো আমরা এদের দোহাই দিয়েই অবিশ্বাসী হয়ে যাই
আর ধ্বংসের প্লাবনে ভেসে যাই নূহের অবিশ্বাসী সম্প্রদায়ের মতো!
হে মালিক, তুমি আমাদের ক্ষমা করো। দয়া করো। নিশ্চয়ই তুমি পরম দয়ালু।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৬
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ, প্রিয় ভাই
মন্তব্যেও বিদ্রোহের তেজ যেন উপচে পড়ে
বিদ্রোহী কাব্যিক মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা অনি:শেষ!
কিছু কিছু মন্তব্যও যেন কাব্য-কবিতা হয়ে যায়!
মুগ্ধতায় পড়ি সেসব, আবার পড়ি, পুনরায় ফিরে এসে পড়ি-
আহ! কি দরদমাখা অভিব্যক্তি!
কি হৃদ্যতায় পূর্ণ ভাব ও ভাবনা!
উম্মাহর বেদনায় কাঁদে কোন ক্রন্দসী!
উম্মাহর কল্যান কামনায় ব্যথিত হৃদয়েরই এ যেন আহত দীর্ঘশ্বাস!
এই কল্যানকামিতাই তো দ্বীন!
এর নামই তো শুদ্ধ হৃদয়, ক্কলবে ছালীম!
এই কল্যানের ব্রত জাগানিয়া অন্তরই তো আল্লাহ পাক চান!
কিন্তু অন্তরের এই জখমও কি এমনি এমনি লাভ হয়?
কারও ক্ষেত্রে হলেও সবাই কি তা পায়?
সবাই পায় না, সবার হয় না
এর জন্য চাই বিনিয়োগ, কিছু ত্যাগ, কিছু বিসর্জন
কিছু পথ ও পদ্ধতির দৃঢ় অবলম্বন
সুন্নতের পাবন্দি
পূর্ণতায়-পরিপূর্ণতায়
সূরতে সীরাতে, আমলে আখলাকে
ভেতরে বাহিরে সবটাতেই প্রয়োজন সাযুজ্য
সবটার সমন্বিত রূপই তো প্রকৃত দ্বীন, পরিপূর্ণ ইসলাম
কিছু মেনে নেয়া আর কিছু ছেড়ে দেয়ার জন্য বাহানা তালাশ করা-
কি করে হতে পারে শুদ্ধতালাভের পথ ও পাথেয়?
বিনীত কৃতজ্ঞতা আবারও।
শুভকামনা নিরন্তর।
৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: গতকাল আমি ঝড়ের মধ্যে পড়েছিলাম।
একমনে শুধু আল্লাহকে ডেকেছি।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৩
নতুন নকিব বলেছেন:
গতকাল আপনি ঝড়ের মধ্যে কেন পড়লেন, বুঝলাম না। গতকাল যে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা, তার পূর্বাভাস জানিয়ে গত পরশুই তো ছাতা নিয়ে বাইরে যাওয়ার জন্য লোকজনকে আপনি সতর্ক করেছিলেন।
যাক, আল্লাহ পাককে ডেকে কাজটা অবশ্যই ভালো করেছেন। ঝড়-বৃষ্টির দিনে সাবধানে চলা ফেরা করা উচিত।
অনেক ধন্যবাদ।
৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৫৩
ওসেল মাহমুদ বলেছেন: সময়োপযোগী লেখা ,জাযা'ক আল্লাহ খায়রান !
যমুনা নদীগর্ভে একবার আর পদ্মার পাড়ে,ফেরীতে ঝড়ে পড়েছি ,মহান আল্লাহপাক কে একান্ত মনে ডেকে নিরাপদে তীরে এসেছি ! আল্লাহপাক আমাদের সর্বদা স্মরণীয় আর বিপদের সময় বলে দিতে হয় না !
০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৫৯
নতুন নকিব বলেছেন:
জাজাকুমুল্লাহু তাআ'লা। আপনার দুআ আল্লাহ পাক কবুল করে নিন।
বিপদে আল্লাহ পাক বান্দার ডাকে সারা দেন। আল্লাহপাক আমাদের সর্বদা স্মরণীয় আর বিপদের সময় বলে দিতে হয় না !
কৃতজ্ঞতাসহ শুভকামনা সবসময়।
৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:০৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: বাঙ্গালীর মোবাইলে ভিডিও ও ফটো তুলে ফেসবুকে পোস্ট করাটা অসুস্থতার পর্যায়ে চলে গেছে।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:০৩
নতুন নকিব বলেছেন:
অবস্থাদৃষ্টে তাই মনে হয়। সুন্দর বলেছেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ, ঢাবিয়ান ভাই।
নিরন্তর শুভকামনা।
৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৩
হাবিব বলেছেন: আল্লাহ আমাদের যেন সবসময় সহায় হোন।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:০৪
নতুন নকিব বলেছেন:
আল্লাহ পাক আপনার দুআ আমাদের সকলের জন্য কবুল করে নিন।
শুভকামনা।
৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:০০
তাজেরুল ইসলাম স্বাধীন বলেছেন: হুম। ভাল লেগেছে।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:০৬
নতুন নকিব বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ, শুভকামনা।
৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৬:৪৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নকিবভাই,
খুব সুন্দর পোষ্ট। আল্লাহপাক আমাদেরকে সব ধরনের বালা-মুসিবত থেকে রক্ষা করুন, আমিন।
আপনার জন্য অনেক দোয়া রইল।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:০৮
নতুন নকিব বলেছেন:
পোস্ট আপনার নিকট সুন্দর মনে হওয়ায় সত্যি মুগ্ধতা অনুভব করছি। কৃতজ্ঞতা অনি:শেষ, পোস্ট পাঠ এবং আন্তরিক মন্তব্যে।
আপনার জন্যও পরিবার-পরিজন সকলকে নিয়ে অনেক অনেক স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ জীবনের দুআ।
৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:০৯
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আমীন,
আল্লাহ সকলকে মাফ করুক, সুবুদ্ধি দিক।
কিন্তু, কেউ যদি আল্লাহর দরবারে হেফাজতের দোয়া পাঠ করেন এবং কৌতুহলী হয়ে ঝড়ের দৃশ্য রেকর্ড করে রাখার ব্যবস্থা করেন তাহলে কি পাপ হবে ? (আমার জানতে মন চাইল, তাই)
০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৩৯
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, আল্লাহ পাক সকলকে মাফ করে দিন, সুবুদ্ধি দিয়ে ধন্য করুন, এটাই আমাদেরও বিনীত চাওয়া। পোস্টে লাইক দেয়ায় এবং সুন্দর মন্তব্যে আসায় কৃতজ্ঞতাসহ অভিনন্দন।
কিন্তু, কেউ যদি আল্লাহর দরবারে হেফাজতের দোয়া পাঠ করেন এবং কৌতুহলী হয়ে ঝড়ের দৃশ্য রেকর্ড করে রাখার ব্যবস্থা করেন তাহলে কি পাপ হবে ? (আমার জানতে মন চাইল, তাই)
হেফাজতের দুআ পাঠ করা এই ক্ষেত্রে ফরজ বা অত্যাবশ্যক কোনো বিষয় নয়। এটা সুন্নত একটি আমল। এখানে পোস্টে মূলত: যা বুঝাতে চেয়েছি, আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঝড়-বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের মূহুর্তগুলোতে আল্লাহ পাকের প্রতি মনোনিবেশ করতেন। তাঁর অভিমুখী হতেন। তাঁর দরবারে কাকুতি-মিনতিসহকারে ঝড়-তুফানের ক্ষয়-ক্ষতি এবং ধ্বংসের হাত থেকে সৃষ্টিকূলকে রক্ষা করার জন্য ফরিয়াদ করতেন।
আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অনুসরণ-অনুকরণে এই একই কাজ করা আমাদেরও কর্তব্য। তাঁর অনুকরণে আমাদেরও এই সময়গুলোতে বিনীত হওয়া চাই। হৈ হুল্লোড়, আনন্দ প্রকাশের পরিবর্তে তখন তাওবা ইস্তেগফার বেশি বেশি পাঠ করা উচিত। ইদানিং বজ্রপাতে মৃত্যুর হার অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে পুরো বর্ষার সিজনে দু'চার জনের মারা যাওয়ার খবরেই আমরা বিচলিত হয়ে পড়তাম। এখন এই মৌসুম এলে প্রতি দিন ডজন ডজন মানুষের মৃত্যুর সংবাদ পাই। গত বছর শুধু বজ্রপাতে মৃত্ লোকের সংখ্যা সম্ভবত: শতের কোটা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ইদানিং এত মৃত্যু কেন? আমার ধারণা, এসবের পেছনে আমাদের অসতর্কতা, ধর্মীয় শৃঙ্খলা না মেনে ঝড়-তুফানের সময় আনন্দ-উল্লাস, লম্ফ-ঝম্ফ এবং হৈ-হুল্লোড় করা ইত্যাদি দায়ী।
সঙ্গত কারণে বিশেষ প্রয়োজনে ছবি তোলা কিংবা ভিডিও করার অনুমতি রয়েছে। যেমন- সংবাদকর্মীগন তাদের পেশাগত প্রয়োজনে ছবি বা ভিডিওধারণ করে থাকেন। এটা তাদের দায়িত্ব। এখানে পারমিশন রয়েছে। কিন্তু নিছক শখের বশে, নিজের খেয়ালের বশে ঝড়-তুফান-বজ্রপাতসহ ইত্যাদি বিপদাপদেরর ভয়ঙ্কর সব ছবি তোলা বা এগুলো ফেসবুক লাইভ স্ট্রিমিংয়ে আনা কোনো সচেতন বিশ্বাসী ব্যক্তির কাজ হওয়া উচিত নয়।
আশা করছি, আপনাকে মূল বিষয়টি বুঝাতে পেরেছি।
অনেক ভালো থাকুন।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:২৯
নতুন নকিব বলেছেন:
ঠিকই বলেছেন। অবস্থা দেখে তো তাই মনে হয়।
অসংখ্য ধন্যবাদ, শুভকামনা।
১১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৩৪
স্রাঞ্জি সে বলেছেন: দোয়া গুলো দিয়া ভাল কইরাছেন। আগেকার মক্তবের পোলাপানদের এইসব দোয়াকালাম শিখাইতো। এখন মক্তবের সংখ্যা কমে গেছে। ঘরে ঘরে হুজুর রাইখা শুধু কোরআনটা শিখাইয়া হাজার টাকা লইয়া ভাগে। ভাল করে দোয়াকালাম।শিখাইব তা না। ঠিকমতো নামাজও শিখাইনা আজকাল হুজুরগুলা
তো নকিব ভাই কথাগুলো বুইঝাছেন তো।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৫৬
নতুন নকিব বলেছেন:
মন্তব্যে আসার জন্য ধন্যবাদ।
আসলেই এখন মক্তবের সংখ্যা কমে যাওয়ার ফলে এর একটি বিরুপ প্রভাবও সমাজে পরিলক্ষিত হচ্ছে। অসংখ্য মানুষ আমাদের আশপাশে রয়েছেন, যারা নিত্যপ্রয়োজনীয় সূরাহ কালাম, দুআ দরূদ জানেন না। ছোটবেলা মক্তবে যেতে না পারার ফল এটা। বাস্তবের মক্তবের অভাব ডিজিটাল মক্তবে কি আর পূরণ হবে?
অনেক দিন পরে আপনাকে পেলাম। কেমন ছিলেন?
শুভকামনা।
১২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:০৭
নতুন বলেছেন: ভাই পরিবত`ন আসবেই। আগের দিনে মানুষ প্রকৃতির কাছে পুরাপুরি অসহায় ছিলো তাই দোয়া করা ছাড়া উপায় ছিলো না।
এখন প্রযুক্তির অবদানে আমাদের মানুষ সচেতন হচ্ছে ফলে মৃত্যুর ভয় আগের চেয়ে কম... আর এই ভয় কমার ফলে এখন মানুষ প্রাথ`না কম করে সেটাই সাভাবিক।
আমাদের দেশে মানুষ বেশি মারা যায় কারন আমাদের দেশের মানুষ নিজের জীবনের মূল্য কমদেয়... নিরাপদ থাকার জন্য যা করা দরকার সেটা মানেনা।
প্রযুক্তির ব্যবহার আরো বাড়বে.... গত কাল এক ট্রাফিক সা`জেনের ভিডিওর ফলে তার সাজা হতে যাচ্ছে... আগে ঐ লোক সৃস্টিকতার কাছে বিচার চাওয়া উপায় ছিলো না... এখন তারা বিচার পাচ্ছে.... এই রকমের অনেক ঘটনাই মানুষকে আরো প্রযুক্তি নিভার করে ফেলবে... ( এটা একটা উদাহরন মাত্র)
তাই এটা নিয়ে হতাস হবেন না... পরিবত`ন আসেবেই... এখন ২০১৯ এখন মানুষ ৬২৩ সালের মতন আচরন করবেনা।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৭
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: বাহ সুন্দর পোস্ট, যে কোন প্রকৃতিক দুর্যোগ থেকে আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন।