নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
হযরত উমার রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুর জামানা। তখন তিনি খলিফাতুল মুমিনীন। অর্ধ পৃথিবীর খলিফা। শাসক। প্রেসিডেন্ট।
অর্ধ পৃথিবীর খলিফা হলেও তিনি কিন্তু আমাদের সময়কার শাসকদের মত ছিলেন না। এতবড় বিশাল বিস্তীর্ন অঞ্চলের শাসনকর্তার আসনে সমাসীন থাকা সত্বেও এক ফোটা অহংকার তাকে স্পর্শ করতে পারেনি কখনও। প্রজা সাধারণের সুখ-দু:খের কথা স্বয়ং নিজেই শুনতেন। সমাধানও করতেন সাধ্যমত। কারও বাধা ছিল না তার দরবারে যেতে। তো একদিনের ঘটনা, এক ব্যক্তি নিজের স্ত্রীর উগ্রমেজাজী কথায় খুবই আহতবোধ করলেন। নিজের আত্মসম্মানে আঘাত লাগায় একপর্যায়ে অতিষ্ট হয়ে খলিফা উমর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুর কাছে এলেন স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার উদ্দেশ্যে।
খলিফাতুল মুমিনীনের ঘরের সামনে এসে দাঁড়ালেন আগন্তুক ব্যক্তি। হঠাতই তিনি উমার রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুর ঘরের ভেতর থেকে মহিলার রাগত কন্ঠস্বর শুনতে পান। তিনি অনুমান করলেন, অন্য কোনো দম্পতির কথোপকথন হয়তো এটা। কিন্তু না, অল্পক্ষনের ভেতরেই ভুল ভেঙে গেল তার। রাগান্বিত স্বরে যারা কথা বলছিলেন তারা স্বয়ং খলিফা দম্পতি। খলিফার সাথে কথা বলছেন তার স্ত্রী। স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিচারপ্রার্থী আগন্তুক ব্যক্তি রীতিমত হতবাক। একরাশ হতাশা তাকে ঘিরে ধরলো। ভাবলেন, কার কাছে বিচার দেব? তিনি নিজেই তো আমার মত বউয়ের হাতে নাকাল। মনের দু:খ মনে চেপে খলিফাকে কিছু না বলে সোজা ফিরে চললেন বাড়ির দিকে।
কয়েক পা যেতেই পেছনে তাকিয়ে দেখলেন, ঘরের দরজা খুলে বাইরে এলেন খলিফা উমার রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু। ঐ ব্যক্তিকে কিছু না বলে চুপি চুপি চলে যেতে দেখে ডাক দিলেন। কাছে ডেকে এনে জানতে চাইলেন, 'কেনো তিনি এসেছিলেন আর কেনোই বা কিছু না বলেই চলে যাচ্ছেন এমনভাবে!'
আগন্তুক নিতান্ত অনিচ্ছায় বললেন, 'আমিরুল মুমিনীন, আমি এসেছিলাম আমার স্ত্রীর উগ্র মেজাজের কথাবার্তার বিষয়ে আপনার নিকট অভিযোগ জানাতে কিন্তু এসে অবাক হয়ে শুনলাম আপনার স্ত্রী আপনাকে আরো বেশী কথা শোনাচ্ছেন। তাই কি আর করব, আপনি নিজেই যেহেতু আমার মত একজন ভুক্তভূগী, তাই অভিযোগ করে লাভ হবে না ভেবে ফিরে যাচ্ছিলাম।'
একটু থেমে ভদ্রলোক আবার বলতে শুরু করলেন- 'আচ্ছা, আমিরুল মুমিনীন, একটি কথা বুঝে আসছে না, বড় বড় বীর পুরুষরা পর্যন্ত যেখানে আপনাকে বাঘের মত ভয় পায়, বাঘে-মহিষে যে উমারের নাম শুনলে এক ঘাটে পানি পান করে, রোম এবং পারস্য সম্রাটরা পর্যন্ত যেখানে আপনার ভয়ে থরথর কম্পমান- সেখানে একজন মহিলা হয়ে আপনার ঘরের স্ত্রী আপনাকে কি করে কথা শোনানোর সাহস পায়?'
এবার হযরত উমার রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু অনন্য সুন্দর একটি উত্তর দিবেন। যে উত্তরটি এতই গুরুত্বপূর্ণ যে, এই উত্তরটি না জানা থাকার ফলে ঘরে ঘরে আজ কলহ-বিবাদ। স্বামী-স্ত্রী দ্বন্ধ। ঝগড়াঝাটি-মারামারি। কলহ-বিভেদ। আত্মীয়তার সম্পর্ক পর্যন্ত ছিন্ন হয়ে যায় যে একটিমাত্র উত্তর না জানার কারণে। আমিরুল মুমিনীন বলেন, 'ভাই ঐ মহিলা (আমার স্ত্রী) -র অনেক হক্ব রয়েছে যা আমি আদায় করতে পারিনি। তাছাড়া এই মহিলা আমার রান্না করেন। ঘরবাড়ি, কাপড়-চোপর পরিস্কার করেন। সন্তানদের প্রতিপালন করেন। এমনি সংসারের আরও অনেক অনেক কাজ তিনি প্রতিনিয়ত করে থাকেন, মূলত: যা করতে তিনি বাধ্য নন।'
'ভাই, এসব কাজ করে তিনি আমার প্রতি ইহসান করে থাকেন। অতএব তিনি আমার নিকট একজন পাওনাদার। আর জানেনই তো, আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ হচ্ছে- পাওনাদারের দু' কথা বেশী বলার অধিকার রয়েছে।' -বলে চলেছেন আমিরুল মুমিনীন।
বিচারপ্রার্থী আগন্তুক বললেন, 'হায় হায়! আমার স্ত্রীও তো ঘর গৃহস্থালীর এসব যাবতীয় কাজ করে থাকে এবং আমিও তো তার অনেক হক্বই আদায় করতে পারি না। তাহলে তিনিও তো আমার নিকট একজন উত্তম পাওনাদারের মর্যাদা পেতে পারেন।'
খলিফা এবার হাসি মুখে বললেন, 'তাহলে ভাই, একটু সহ্য করুন।'
আমিরুল মুমিনীন সাইয়্যিদিনা উমার রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুর জীবনে সংঘটিত ছোট্ট এই উদাহরণটি চিন্তা করলেই বোঝা যায়, নারীদের প্রতি কেমন ছিল ইসলামের সূর্যসন্তানদের অনুভূতি! কতটা আন্তরিকতা দিয়ে তারা নারীকে বুঝার চেষ্টা করতেন! ইসলাম কতটুকু সম্মান দিয়েছে নারীদের! মায়ের জাতিকে!
আজ ঘরে ঘরে অশান্তির ঝঞ্ঝাবায়ু বয়ে যায় যেন। স্বামী এক কথা বললে স্ত্রী তিন কথা বলে বসেন। স্ত্রী একটি কটু কথা বললে স্বামী ছয়টি গালি ছুঁড়ে দেন। কথায় কথায় তালাক। উঠতে বসতে গালিগালাজ। মারামারি রক্তারক্তি পর্যন্ত অহরহ ঘটতে দেখা যায়। পরস্পর পরস্পরের প্রতি সহনশীলতার অভাব, আন্তরিকতার অভাব, ধর্মীয় শিক্ষার ঘাটতিসহ নানান ধরণের ব্যাধি আমাদের আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেছে। আজ সমাজ-সংসারের সুখ-শান্তি নষ্ট হওয়ার জন্য একতরফাভাবে নারীদের উপর দোষ চাপাতেও দেখা যায় কিছু মানুষকে। তাদের বলি, শুধুমাত্র নারীদের প্রতি দোষ না চাপিয়ে, নিজের দুর্বল দিকগুলোও ভাবুন। নারীদের অধিকার আপনি কতটুকু দিচ্ছেন আর বিপরীতে তাদের নিকট থেকে কতটুকু বুঝে নিচ্ছেন তার হিসাব মেলালেই এই রুক্ষ্ম আচরণে পরিবর্তন এসে যেতো। আসুন, মায়ের জাতিকে তাদের প্রাপ্য সম্মান দিয়ে তাদের প্রতি সহযোগিতা আর সহমর্মিতার মনোভাব পোষণ করি। এই মনোভাবই কেবল উপহার দিতে পারে হাস্যোজ্জ্বল আলোকিত একটি সমাজ-সংসার।
স্ত্রী তো আপনার গোস্ত কেটে নেননি! তিনি তো আপনাকে প্রহারও করেননি! তাহলে? তাহলে মাঝে-সাজে একটু আধটু রেগে গেলে আপনিও চটে যান কেন? আরে ভাই, শান্তি কে না চায়! আসুন না, উমার রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুর চমকপ্রদ শিক্ষা অনুসরণ করে একটু চুপ থেকে, সামান্য ধৈর্য্যধারণ করে যদি সংসারে শান্তি পাওয়া যায়, তাহলে কেন নয়...!!!
ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৫৮
নতুন নকিব বলেছেন:
অনর্থকই মাথা ফাটাফাটি করি আমরা। দেখবেন, বেশিরভাগ সংসারে স্বামী-স্ত্রীর ভেতরে ঝগড়াঝাটি হয় তুচ্ছ কথা কাটাকাটির রেশ ধরেই।
ধন্যবাদ, প্রথম মন্তব্যে আপনাকে পেয়ে ভালো লাগলো। পোস্টে লাইক দেয়ায় কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকুন।
২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৫৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
এগুলো ঠিক সঠিক ইতিহাস নয়; খলিফা ওমরের সময়, মুসলমানদের সাথে পারসিক ও রোমানদের যুদ্ধ লেগেইছিলো; তিনি যুদ্ধক্ষেত্রের আশেপাশে থাকতেন ও সেনা পরিবেষ্টিত থাকতেন।
উনার প্রজারা নিশ্চয় বউ'এর বিপক্ষ নালিশ করার জন্য আলেকসান্দ্রিয়া থাকে মদিনা আসতে পারতেন না; এগুলো লজিকহীন কথাবার্তা; সর্বোপরি, উনার মৃত্যু দেখেন, এত জনপ্রিয় খলীফার মৃত্যু কি এভাবে হওয়ার কথা?
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:০৩
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনি ইতিহাস না জেনে কথা বলছেন। দয়া করে ইতিহাস না জেনে মিথ্যে এবং ফালতু কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।
লজিক মানে বুঝেন আপনি? আলেকজান্দ্রিয়া থেকে মদিনা আসতে হবে কেন? মদিনায় লোকজন ছিল না? উমারের নাম শুনলে আপনার গাত্রদাহ হয় কেন? ধর্মীয় পোস্ট আপনার মাথা খারাপ করে দেয় কেন? সত্য মিথ্যা না জেনেই ধর্মীয় পোস্ট দেখলেই হামলে পড়তে হবে? যদি পড়তে হয়, মেহেরবানী করে দাদা, তা আমার পোস্টে নয়, আপনি মিথ্যের পক্ষে যুদ্ধ করে শান্তি পেলে অন্য কোথাও করুন।
ধন্যবাদ।
৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:১১
চাঁদগাজী বলেছেন:
ধর্মীয় পোষ্ট ও খলীফা ওমর ( রা: ) সম্পর্কে রূপকথা লিখা নিশ্চয় এক নয়; আমাদের যুগে, মানুষকে সঠিক বিষয়ে সঠিক ধারণা দিতে হবে; না হয়, সবাইকে দীর্ঘদিন আরবদেশ ও অন্য দেশে দাস হিসেবে কাজ করতে হবে; আমরা ভুল ইতিহাস, ভুল বিজ্ঞান জেনে আমরা পেছনে থেকে যাবো আজীবন।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৩৯
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ, পুনরায় ফিরে এসে মতামত দিয়ে যাওয়ায়।
এই পোস্টে সমস্যাটা কোথায়? যদি স্পেসিফিকভাবে বলতেন তাহলে ভালো হতো।
উমারের জীবনে ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা আলোচনা করলে আপনার আপত্তির বিষয়টি বোধগম্য নয়। ধর্ম মানলেই দাসের জীবন হয়ে যায়, একথায় আমরা বিশ্বাসীী নই। সমস্যা যদি আপনি এই পোস্ট দেয়ার পূর্ব থেকেই লালন করে এসে থাকেন, তাহলে তেমন কিছু বলারও নেই।
ভালো থাকুন।
৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:২৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
আরবদের সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকাতে আমাদের মেয়েদের আরব পাঠাচ্ছে কাজ কাজ করতে; ভারতের লোকেরা আরবদের ভালোভাবে জানে; ফলে, তাদের মেয়েদের সেই দেশে কাজে পাঠায় না; ওদের মেয়েরা আমেরিকা, ইউরোপে কাজ করে।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৫৭
নতুন নকিব বলেছেন:
এই কথাটা ভালো লাগলো। আবারও ধন্যবাদ।
বর্তমান আরবদের গুনকীর্তনের উদ্দেশ্যে এই পোস্ট নয়। ওদের নীতি আদর্শের সাথেও আমাদের অনেক ভিন্নতা।
উমারের যুগ থেকে হঠাৎ এক লাফে দেড় হাজার বছর পেরিয়ে তেল আর গোল্ড বেচা অর্থে আপাদমস্তক বিলাসিতায় মগ্ন হাল আমলের অধিকাংশ উচ্ছন্নে যাওয়াদের কাছে চলে এলেন!!!
আর আপনার ইউরোপ আমেরিকাও কি দুধে ধোয়া তুলসীপাতা?
৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৪৪
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: নারীদের সাথে আদব লেহাজ আর তাদের হক সম্পর্কে আমাদের আলেমরা তেমন সরব নন।
সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ নিন জনাব।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:১৪
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ, লিটন ভাই। মন্তব্যে অনুপ্রেরণা রেখে গেলেন।
নারীদের সম্মান বজায় রাখার স্বার্থে দেয়া পোস্টেও দুর্যোগের আলামতে বিরক্ত।
ভালো থাকুন।
৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৩৩
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অনেক সুন্দর পোস্ট। যাযাকাল্লাহ খায়রান।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৪৩
নতুন নকিব বলেছেন:
যাযাকুমুল্লাহু তাআ'লা আহসানাল যাযা।
মন্তব্যে আসায় কৃতজ্ঞতা।
শুভকামনা জানবেন।
৭| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:০৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এটা অনেক দীর্ঘ আলোচনার বিষয়।
আনকন্ডিশনাল চুপ থাকা ভালো কিছু না। স্ত্রীর অন্যায় কার্যকলাপেও চুপ থাকলে কিভাবে হবে! চেক এন্ড ব্যালেন্স দরকার। তাছাড়া, ইসলামের প্রথম যুগে রাসুল (সাঃ), খলিফা কিংবা সাহাবাগনের সংস্পর্শে থাকা মুসলমানেরা যেমন সহনশীল ছিলেন, উনাদের সহধর্মীনিরাও তেমনি সহনশীল ছিলেন। বর্তমান চিত্র তো অনেক ভিন্ন।
এখন সব বিষয়েই চুপ থাকলে বিবিগন মাথায় উঠে যাবে.....নামাতে পারবেন না। কিংবা ভাইস-ভার্সা।
এখন সহনশীলতার বড়ই অভাব। সামাজিক প্রেক্ষাপটও তখনকার তুলনায় আকাশ-পাতাল। তবে, দু-পক্ষকেই সবকিছুতে আলোচনা করতে হবে। ভালো-মন্দ বিচার করতে হবে।
আর ইসলামিক দৃষ্টিকোন থেকে আপনার এই পোষ্টের মতো বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৫৫
নতুন নকিব বলেছেন:
ভাই,
একপক্ষেরটা বলেছি। আর এর অর্থ এই নয় যে, একজন শুধু ছাড় দিয়ে যাবে আর অন্যজন যাচ্ছেতাই করেই যাবে। অবশ্যই সম্পর্কটা হতে হবে পারস্পারিক সহমর্মিতা, সহযোগিতা এবং সহানুভূতির সমন্বয়ে ভারসাম্যপূর্ণ।
সুন্দর মন্তব্যে অভিনন্দন।
কৃতজ্ঞতাসহ শুভকামনা।
৮| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: আমার সংসারে চিল্লাচিল্লি হয় না। কারন আমরা দু'জন দুজনকে খুব ভালো বুঝি। সবচেয়ে বড় কথা আমরা ছাড় দিতে জানি। ত্যাগ করতে জানি।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:০৩
নতুন নকিব বলেছেন:
শুভকামনা। আপনারা ভালো থাকুন।
এই পোস্টের মূল বক্তব্যই পারস্পরিক বোঝাপড়া আর ছাড় দেয়ার মানসিকতা তৈরি করা।
৯| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৩২
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আচ্ছা ভাই, ধরেন, একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী ব্লগার, ইসলাম সংক্রান্ত পোষ্ট পেলেই, আউল ফাউল আলাপ, প্রোপাগান্ডা শুরু করে দেয়----
উনাকে কি, সাম্প্রদায়িক বলা যায় না?
ইসলামোফবিক ও বলা যায়, বোধ হয়? তাই না?
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৫১
নতুন নকিব বলেছেন:
যা যা লক্ষ্মণ বললেন, এসব জটিল ব্যাধি কারও ভেতরে বাসা বেধে থাকলে তার তো চিকিৎসা নেয়া জরুরি। অসুস্থ লোককে এসব বললে কি কোনো ফায়দা হবে? কাউকে ঘৃণা নয়, সুপথগামী হওয়ার লক্ষ্যে, হেদায়েতপ্রাপ্তির দৃঢ় প্রত্যয়ে শুভকামনা জানানোই হোক আমাদের একমাত্র কাজ।
লাইকসহ সুন্দর মন্তব্যে ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময়।
১০| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৬
মা.হাসান বলেছেন:
ইসলাম , মুসলমান, মোহাম্মাদ, আবু বকর, উমর, ওসমান , আলী, খিলাফত এসব শব্দ শুনলেই কারো কারো চুলকানির উদ্রেক হয়। টারজান০০৭ ভাইয়ের ভাষায় কিছু পাঁঠাকে সামু প্রতিপালনের দায়িত্ব নিয়েছে, এদের দুর্গন্ধে এদের পোস্ট বা কমেন্টের কাছে যাওয়া দুষ্কর। এরা ওমেগা পয়েন্ট থেকে শুরু করে বিগ ক্রাঞ্চ সব কিছুর বিষয়ে এদের জ্ঞানগর্ভ উপদেশ বিতরণ করে কিন্তু লেখা পড়ার দৌড় ১৯৭২এর ম্যাট্রিক ফেলের সমতুল্য। যদি জিজ্ঞাসা করেন এটা পড়েছেন- ওটা পড়েছেন- দেখবেন কিছুই পড়া নাই।এই সমস্ত লোকের যখন কবুল বলে একটি মুসলমান মেয়ের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয় তখন সমাজ এবং মেয়ে দুইয়ের সাথেই প্রতারনা করে। বিয়ের শখ থাকলে এদের সিভিল ম্যারেজ করা উচিৎ।
ডারউইন সাহেবকে সালাম। বিবর্তন সত্য। মানুষের চেহারায় বানরের মগজধারিদের কথায় ব্লগে অহরহ বিবর্তনের প্রমান মিলে।
নকিব ভাই, অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি বিষয় তুলে আনার জন্য । সংসার একজনের কতৃত্ব করার জন্য এবং একজনের পরাধীন থাকার জন্য এমন না। দুই পক্ষের সমঝোতার বিষয়। যে বিষয়টি আমাকে বড় বিস্মিত করে তা হলো একজন মেয়ে তার পরিচিত জগৎ ছেড়ে একজন নতুন লোকের বাসায় সব কিছু ছেড়ে চলে আসে। পুরুষের উচিৎ নারীর কষ্ট বোঝার চেষ্টা করা। অধিকাংশ নারীই চায় একটু ভালো ব্যবহার ও স্বীকৃতি। আল্লাহ সকলকে সৎ পথে হালাল ভাবে চলার তৌফিক দিন।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৩৭
নতুন নকিব বলেছেন:
দেরিতে উত্তরে আসায় দু:খিত।
সুদীর্ঘ অসাধারণ একটি মন্তব্যের জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি। আপনার প্রতিটি মন্তব্য একাধিকবার পড়ার মত। শিক্ষনীয় উপাদানে উপাদেয়।
ঠিক বলেছেন, ইসলাম , মুসলমান, মোহাম্মাদ, আবু বকর, উমর, ওসমান , আলী, খিলাফত এসব শব্দ শুনলেই কারো কারো চুলকানির উদ্রেক হয়।
এদের জন্য আপনার প্রেসক্রিপশন সুন্দর। রাস্তা-ঘাটে পাগলা মলম বিক্রেতাদের নিকট থেকে এই মলমের যেসব গুণাবলীর কথা শুনেছি, এটা লাগালে অবস্থা গুরুচরণ! তবে এদের পথপ্রাপ্তি আর কল্যান কামনায় আমাদের দুআই হোক নিরন্তর প্রত্যাশা।
এই সমস্ত লোকের যখন কবুল বলে একটি মুসলমান মেয়ের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয় তখন সমাজ এবং মেয়ে দুইয়ের সাথেই প্রতারনা করে।
আসলেই, এটা স্রেফ প্রতারণা। দারুন বলেছেন।
পোস্টটিকে সমৃদ্ধ করার জন্য এমন একটি মন্তব্যে আপ্লুত। কৃতজ্ঞতাসহ শুভকামনা সবসময়।
১১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৩
অন্তরা রহমান বলেছেন: মন্তব্য করতে এসে দেখলাম ভুয়া মফিজ ভাইয়া সব বলে দিয়েছেন। তাই 'সহমত ভাই' বলা ছাড়া আর কিছু লেখার উপায় নেই।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৪০
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে। ভুয়া মফিজ ভাই কিন্তু আসলে ভুয়া নন। তিনি চৌকষ লিখিয়ে। রম্যেও দারুন। তার লেখায় আকর্ষন থাকে।
মন্তব্যে আসায় কৃতজ্ঞতা। শুভকামনা সবসময়।
১২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৪২
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ঠিক আছে। তবে অবদমন সবসময় ভাল কিছু নয়।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৪২
নতুন নকিব বলেছেন:
ব্যালেন্স রক্ষা করে চলা উচিত।
মন্তব্যে আপনি আসায় আনন্দিত। আশা করছি, ভালো আছেন।
কৃতজ্ঞতাসহ শুভকামনা।
১৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:২৩
আখ্যাত বলেছেন:
নারীরা সমঅধিকারে খুশি থাকলে তারা সরল বোকা
পুরুষরা সমঅধিকারের কথা বললে তারা নির্মম চালাক
১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:১৫
নতুন নকিব বলেছেন:
সেটাই।
১৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৩৩
ল বলেছেন: ঘরে বাইরে সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধে মনোভাবটির আজ বড়ই অভাব।
বিয়ের পর স্বামী বা স্ত্রীর অভ্যাস নিজের একেবারে বিপরীত দেখলে মনে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে মানিয়ে নিতে পারব তো? রোজকার ছোটখাটো অভ্যাসগুলো তখন আরও বড় ও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। হয়ত মশারি ছাড়া আপনি ঘুমাতে পারেন না, আবার আপনার সঙ্গীর মশারির মধ্যে দম বন্ধ হয়ে আসে। আবার তেল-মসলা ছাড়া আপনি খেতে পারেন না। আপনার সঙ্গীর বার বার পাতলা ঝোল খাওয়ার অভ্যাস। তাও সব সময় প্রশ্ন থেকে যায়, কে মানিয়ে নেবে? আর এই মানিয়ে নেয়া থেকেই শুরু হয় টেনশন, একে অপরের প্রতি রাগ, বিরক্তি।
অহিংসবাদের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধ বলেছিলেন, বৈরিতা দিয়ে বৈরিতা, হিংসা দিয়ে হিংসা কখনো প্রশমিত হয় না
১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:১৭
নতুন নকিব বলেছেন:
ঘরে বাইরে সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধে মনোভাবটির আজ বড়ই অভাব।
বিয়ের পর স্বামী বা স্ত্রীর অভ্যাস নিজের একেবারে বিপরীত দেখলে মনে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে মানিয়ে নিতে পারব তো? রোজকার ছোটখাটো অভ্যাসগুলো তখন আরও বড় ও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। হয়ত মশারি ছাড়া আপনি ঘুমাতে পারেন না, আবার আপনার সঙ্গীর মশারির মধ্যে দম বন্ধ হয়ে আসে। আবার তেল-মসলা ছাড়া আপনি খেতে পারেন না। আপনার সঙ্গীর বার বার পাতলা ঝোল খাওয়ার অভ্যাস। তাও সব সময় প্রশ্ন থেকে যায়, কে মানিয়ে নেবে? আর এই মানিয়ে নেয়া থেকেই শুরু হয় টেনশন, একে অপরের প্রতি রাগ, বিরক্তি।
সুন্দর বলেছেন। কৃতজ্ঞতাসহ ধন্যবাদ।
১৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:২৭
সোহানী বলেছেন: চমৎকার বিষয় এবং তার প্রয়োজনীয় সমাধান। হায়, আমাদের স্বামীকূল যদি একটু বুঝতো আপনার লিখার সত্যতা তাহলে দেশের ৯০ ভাগ নারী ও শিশু নির্যাতন কমে যেত।
গল্পটি সত্য কি মিথ্যে সে তর্কে কখনই যাবো না। কারন যে গল্প সমাজকে সুস্থির হতে সাহায্য করে সে গল্প এর পিছনে ইতিহাস খুঁজতে যাওয়া বোকামী। তাই গাজীভাইকে আবারো পুরো বিষয়টি পড়ার অনুরোধ থাকলো। হয়তো উনি না পড়েই মন্তব্য করেছেন।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:১৯
নতুন নকিব বলেছেন:
চমৎকার বিষয় এবং তার প্রয়োজনীয় সমাধান। হায়, আমাদের স্বামীকূল যদি একটু বুঝতো আপনার লিখার সত্যতা তাহলে দেশের ৯০ ভাগ নারী ও শিশু নির্যাতন কমে যেত।
গল্পটি সত্য কি মিথ্যে সে তর্কে কখনই যাবো না। কারন যে গল্প সমাজকে সুস্থির হতে সাহায্য করে সে গল্প এর পিছনে ইতিহাস খুঁজতে যাওয়া বোকামী। তাই গাজীভাইকে আবারো পুরো বিষয়টি পড়ার অনুরোধ থাকলো। হয়তো উনি না পড়েই মন্তব্য করেছেন।
এককথায় অসাধারণ মন্তব্য। কৃতজ্ঞতাসহ ধন্যবাদ।
১৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৫:১৬
এম এ কাশেম বলেছেন: কুকুরের কাজ কুকুর করেছে
কামড় দিয়েছে পায়
তাই বলে কুকুরেরে কামড় দেয়া
মানুষের কি শোভা পায়?
১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২০
নতুন নকিব বলেছেন:
ঠিক তাই। সুন্দর বলেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ।
১৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৩৬
নাসির ইয়ামান বলেছেন: আচ্ছা মেয়েপক্ষ যদি মিথ্যের আশ্রয় নিয়েই সংসার গঠন করায় ,পরবর্তীতে সত্য উন্মোচন করলে কী করা যেতে পারে?
১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২৬
নতুন নকিব বলেছেন:
ন্যায় বিচারের স্বার্থে এক্ষেত্রে উভয় পক্ষের অভিভাবকশ্রেণির ব্যক্তিবর্গের পারস্পারিক আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধান করা যেতে পারে। এতে কাজ না হলে দেশে আইন-আদালত রয়েছে। শেষ ভরসা হিসেবে আইনের আশ্রয় নেয়া যেতে পারে। প্রতারণার জন্য নারীর প্রতি নিষ্ঠুরতা কিংবা আইন হাতে তুলে নিয়ে অন্যায় অবিচারমূলক আচরণ কখনোই কাম্য নয়।
অসংখ্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৫৪
হাবিব বলেছেন: যাদের সংসারে অশান্তি তাদের সংসারে শান্তি এবার আসবেই। খুবই ভালো লাগলো। অসাধারন পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া