নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

২৪ ঘণ্টায় ওমরাহর ই-ভিসা সিস্টেমকে স্বাগত; স্বল্প খরচে ওমরাহ পালন করার বিষয়ে কিছু পরামর্শ

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫১



২৪ ঘণ্টায় ভিসাপ্রাপ্তি : ওমরাহ এখন অনেক সহজ
অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও সমাপ্ত হয়ে গেল পবিত্র হজ ২০১৯। আর ইতোমধ্যেই বরাবরের মত আবার শুরু হয়েছে ওমরাহর প্রস্তুতি। সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, ইতোমধ্যে ওমরাহ এজেন্সিগুলো তাদের লাইসেন্স নবায়নের জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ে আবেদনপত্র জমা দিয়েছে এরইমধ্যে। প্রয়োজনীয় যাচাই বাছাই শেষে ধর্ম মন্ত্রণালয় বৈধ ওমরাহ এজেন্সির নাম প্রকাশ করার পরে সৌদি ওমরাহ কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়াসহ আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করবে এজেন্সিগুলো। চলতি সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি নাগাদ ওমরাহর ভিসাপ্রক্রিয়া শুরু করার আশা করছে এজেন্সিগুলো।

এখন থেকে ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে ওমরাহ ভিসা:
অবশ্য ইতোমধ্যে ওমরাহযাত্রী যেতে শুরু করেছেন সৌদি আরবে। এ বছরের হজ-পরবর্তী ওমরাহ মওসুমের প্রথম ওমরাহযাত্রীরা সৌদি আরব পৌঁছে যান ১ লা সেপ্টেম্বরেই। অগ্রবর্তীদলের এই ওমরাহযাত্রীগন এসেছেন মালয়েশিয়া থেকে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য দেশের ওমরাহ যাত্রীগন আসার প্রক্রিয়ায় রয়েছেন। সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হচ্ছে, এ বছর হতে ওমরাহর জন্য আবেদনের ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ভিসা ইস্যুর কার্যক্রম শুরু করার কথা জানিয়েছে সৌদি সরকার। আর এ লক্ষ্যে স্থাপন করা হয়েছে বিশেষ অনলাইন ওয়েসাইট। এর ফলে ওমরাহ ভিসার জন্য দূতাবাস বা কনসুলেটে যাওয়া এবং ভিসা স্ট্যাম্পলিংয়েরও কোনো প্রয়োজন হবে না ওমরাহ যাত্রীদের। নতুন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে ২৪ ঘণ্টা ই-ভিসা সুবিধা দেবে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। সৌদি দৈনিক ওকাজে প্রকাশিত খবরে ‘দ্য সেন্ট্রাল প্লাটফর্ম ফর দ্য ইলেকট্রনিক ইস্যুয়েন্স অফ ওমরাহ ভিসাস’ (The central platform for the electronic issuance of Umrah visas) নামক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনের ওমরাহ ভিসা দেয়া হবে বলে জানানো হয়।

ওমরাহর নামে মানব পাচারের ফলে ভিসা বন্ধ করে দেয় সৌদি সরকার:
ইতোপূর্বে এই ওমরাহ নিয়েও আমাদের রয়েছে তিক্ত কিছু অভিজ্ঞতা। ওমরাহর নামে মানব পাচারের অভিযোগে সৌদি সরকার গত ২০১৫ ইং সালের ২২ মার্চ থেকে বাংলাদেশের জন্য ওমরাহ ভিসা ইস্যু বন্ধ করে দিয়েছিল। বাংলাদেশের ১০৪ ওমরা এজেন্সির মাধ্যমে যাওয়া ১১ হাজার ৪৮৫ জন ওমরাহ যাত্রী দেশে ফেরত আসেনি মর্মে সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে তখন তালিকা দেয়া হয়। সৌদি সরকারের কাছ থেকে তালিকা পাওয়ার পর ধর্ম মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটির মাধ্যমে অভিযোগ খতিয়ে দেখে সর্বশেষ ৯৫ টি এজেন্সির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনও করেছিল তখন এবং এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের বিষয়টি সৌদি কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েও দেয়া হয়। এরপর একই বছরের ১৪ ডিসেম্বর সৌদি সরকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে বাংলাদেশকে পুনরায় ওমরাহ ভিসা প্রদানের সিদ্ধান্তের কথা জানায়। ফলে দীর্ঘ প্রায় বছরখানিক বন্ধ থাকার পরে পুনরায় হাসি ফোটে ওমরাহ যাত্রীদের মুখে।

ওমরাহ আদায়কারীদের সাম্প্রতিক খতিয়ান ও আমাদের অবস্থান:
চলতি ২০১৯ সালে সারা বিশ্বের এক কোটি লোক পবিত্র ওমরাহ পালন করবেন এমন টার্গেট নিয়ে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১৬ আগস্ট থেকে ওমরাহ কার্যক্রম শুরু করেছে সৌদি সরকার। ২০৩০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ৩ কোটিতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে দেশটির। ইতোপূর্বে পবিত্র হজ মওসুম শুরু হওয়ায় গত ১৭ জুন থেকে পরবর্তী দুই মাসের জন্য ওমরাহ ভিসা প্রদান বন্ধ রেখেছিল সৌদি সরকার। সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়- গত ওমরাহ মওসুমে সৌদি সরকার সর্বসাকুল্যে ৭৬ লাখ ৫০ হাজার ৭৩৪ টি ওমরাহ ভিসা ইস্যু করেছিল। তার মধ্যে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন ৭৩ লাখ ৯৩ হাজার ৬৫৭ জন ওমরাহ যাত্রী।

অবশ্য উল্লেখ করতেই হয়, বাংলাদেশ অন্যতম মুসলিম সংখ্যাগুরু দেশ হওয়া সত্বেও সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ওমরাহ আদায়কারীদের সংখ্যার দিক থেকে শীর্ষ ১০ টি দেশের তালিকায় নাম ছিল না বাংলাদেশের। সংশ্লিষ্টদের থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশী ওমরাহযাত্রীদের জন্য সর্বমোট ইস্যুকৃত ভিসার সংখ্যা ছিল এক লাখ ১৫ হাজারের মতো। অন্যদিকে ওমরাহ পালনে শীর্ষে ছিল পাকিস্তান। ১৬ লাখ ৫৭ হাজার ৭৭৭ জন ওমরাহ পালন করেন দেশটি থেকে। এরপরে ইন্দোনেশিয়ার ৯ লাখ ৫৭ হাজার ১২৫ জন, ভারতের ৬ লাখ ৫০ হাজার ৪৮০ জন, মিসরের ৫ লাখ ৩৯ হাজার ৪৫ জন, আলজেরিয়ার ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬২৮ জন, ইয়েমেনের ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৬১৮ জন, তুরস্কের ৩ লাখ ২১ হাজার ৪৯৪ জন, মালয়েশিয়ার ২ লাখ ৭৮ হাজার ৬৭৪ জন, ইরাকের ২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৭১ জন ও জর্দানের ২ লাখ ১৬ হাজার ১৬৫ জন ব্যক্তি ওমরাহ পালন করেন।

তবে আশার কথা, বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রীর পাশাপাশি ওমরাহযাত্রীর সংখ্যাও প্রতি বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সংখ্যা এত দিন ৫০ হাজার বা এর আশপাশেই সীমিত ছিল। কিন্তু গত দুই বছর ধরে এ সংখ্যা লাখের কোটা অতিক্রম করেছে।

২০১৯ সালের হজের সংক্ষিপ্ত পরিসংখ্যান:
চলতি ২০১৯ সালে বছর পবিত্র হজ পালন করেছেন মোট ২৪ লাখ ৮৯ হাজার ৪০৬ জন লোক। এর মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজীর সংখ্যা ১৮ লাখ ৫৫ হাজার ২৭ জন এবং বাকি ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৩৭৯ জন সৌদি আরবের নাগরিক। বাংলাদেশ থেকে হজ পালনে যান এক লাখ ২৭ হাজার ১৫২ জন ব্যক্তি।

আহলান সাহলান হে ওমরাহযাত্রীগন:
আগেই উল্লেখ করেছি, এ বছরের পবিত্র হজ সমাপ্ত হওয়ার পর গত ১ লা সেপ্টেম্বর মওসুমের প্রথম ওমরাহযাত্রীরা সৌদি আরব গিয়ে পৌঁছান। মালয়েশিয়া থেকে আগত এই ওমরাহযাত্রীগন জেদ্দা কিং আবদুল আজিজ বিমানবন্দরে পৌঁছালে সৌদি আরবের ঐতিহ্য অনুযায়ী গোলাপ ফুল এবং জমজমের পানি দিয়ে আহলান সাহলান জানানো হয় তাদেরকে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওমরাহযাত্রীদের ভিসাপ্রাপ্তির সুবিধা বিবেচনায় সৌদি সরকার গৃহীত ই-ভিসা কার্যক্রমের যুগান্তকারী পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই।

স্বল্প খরচে ওমরাহ করবেন যেভাবে:
ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের কাছে ওমরাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বাংলাদেশে বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সীগুলো ওমরাহ পালনের জন্য যাবতীয় প্যাকেজ অফার করে। কিন্তু এসব প্যাকেজের মূল্য তুলনামূলক বেশি। তাই ওমরাহর যাবতীয় কাজগুলো যদি আপনি নিজেই করে নিতে পারেন তাহলে ওমরাহর খরচ কমিয়ে আনতে পারেন অনেকখানি।

বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সীর সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, চলতি বছরে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে ওমরাহ করার জন্য জনপ্রতি গড়ে খরচ হবে এক লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে এক লাখ বিশ হাজার টাকার মত। এক্ষেত্রে ওমরাহর জন্য সময় পাওয়া যাবে ১০ থেকে ১৪ দিন।

অভিজ্ঞতার আলোকে বলা যায়, রমজান মাসে এই খরচ কিছুটা বেড়ে যায়। তখন এটা দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তবে এজেন্সীর বদলে যদি নিজেই ওমরাহর বিষয়াদি সম্পন্ন করতে সক্ষম হন তাহলে এই খরচ কমিয়ে আনতে পারেন অনেকখানি। খরচের লাগামটা যদি বুঝেশুনে ধরতে পারেন তাহলে মাত্র ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকায় আরামসে ওমরাহ পালন করে আসতে পারেন।

যা যা করতে হবে:

ভিসা প্রসেস:
ওমরাহ পালনের জন্য অবশ্যই আপনাকে সৌদি আরবের ওমরাহ ভিসা নিতে হবে। এই কাজটি এখন থেকে অনলাইনেই করে নিতে হবে। আগের মত ঝক্কি-ঝামেলা নেই। অনলাইনে হওয়ার ফলে আগে যেখানে এজেন্সীর মাধ্যমে করালে এজেন্সীগুলোর ভিসা প্রসেসিং ফীসহ ভিসা বাবদ এজেন্সীভেদে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হতো, এখন এজেন্সীর ফী এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত না থাকায় সেটি আরও কিছুটা কমবে বলে ধরে নেয়া যায়।

এয়ার টিকেট:
ভিসা পেয়ে গেলে এবার আপনার দরকার হবে এয়ার টিকেট। বাংলাদেশ থেকে দেশীয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং সৌদির সৌদি এয়ারলাইন্স সরাসরি বিমান পরিচালনা করে। তবে এগুলো সরাসরি বিমান হওয়ায় বিমান ভাড়া অপেক্ষাকৃত বেশি। এসব এয়ারলাইন্সে জনপ্রতি টিকিটের মূল্য ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা।

সরাসরি বিমানে যাওয়ার আকাংখা দমিয়ে যদি কানেক্টিং ফ্লাইটে সৌদি যেতে পারেন তাহলেই ওমরাহ পালন হবে সাশ্রয়ী মূল্যে। বাংলাদেশ থেকে এমিরেটস এয়ারলাইনস, কাতার এয়ারলাইন্স, কুয়েট এয়ারওয়েজ, এতিহাদ এবং গালফ এয়ারওয়েজের কানেক্টিং ফ্লাইটে সাশ্রয়ী মূল্যে সৌদি আরব যেতে পারেন। রিটার্ন টিকিটসহ খরচ হবে মাত্র ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকার মতো।

বিমান যোগে সৌদি আরবের মদিনায় গিয়ে নামতে পারেন। সেখানে নবী মোহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর রওজা জিয়ারত করে চলে আসতে পারেন মক্কায়। মক্কায় আসা যাবে বাসে।

আরও নয়তো ঢাকা থেকে গিয়ে আগে নামতে পারেন সৌদি আরবের জেদ্দায়। সেখান থেকে সড়কপথে মক্কা এবং মক্কা থেকে সড়ক পথে মদিনা। মক্কা থেকে মদিনা অথবা মদিনা থেকে মক্কায় সড়ক পথে বাসে জনপ্রতি খরচ হবে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা।

হোটেল খরচ:
মক্কা ও মদিনায় ওমরাহ পালনকারীদের জন্য থাকার সুব্যবস্থা আছে। ঢাকা থেকে হোটেল বুক করে গেলে এসি রুম প্রতি রাতের জন্য এক হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে। ট্রাভেল এজেন্সীগুলো এই রুমগুলোর জন্যই দেড় থেকে দুই হাজার টাকা ভাড়া রাখে।

তবে আপনি চাইলে সৌদি আরবে গিয়ে একটু ঘুরে ফিরে রুম খুঁজে নিতে পারেন। অনেক সময় কটেজের মতো বাসাও পেয়ে যেতে পারেন। আর এমন জায়গায় প্রতি রুমের জন্য এক রাতে খরচ হতে পারে বাংলাদেশী টাকায় মাত্র ৫০০ টাকা। অর্থ্যাত ১০ রাত সৌদিতে অবস্থান করলে থাকা বাবদ আপনার খরচ হবে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা।

খাবার খরচ:
মক্কা ও মদিনা দুই জায়গাতেই খাওয়া খরচ অনেকটা সাশ্রয়ী। মক্কায় হারাম শরীফের কাছে খাবারদাবারের মূল্য একটু বেশি হলেও একটু দূরের এলাকাগুলোতে খাবারের দাম অনেকটাই কম।

মক্কার হারাম শহর থেকে হাটা পথে প্রায় ১০ মিনিট দূরত্বে মিসফালা নামক একটি এলাকা আছে। এখানেই মক্কায় বাংলাদেশী হজ্ব কাউন্সিলের কার্যালয়। এই এলাকার রেস্টুরেন্টগুলোতেও খাবারের দাম অনেক কম। এখানে বাংলাদেশী ও পাকিস্তানি মালিকানাধীন রেস্টুরেন্ট আছে। এখানকার ওভার ব্রীজের পাশে পাবেন এসব রেস্টুরেন্ট।

মক্কা ও মদিনায় একজন ব্যক্তির তিন বেলা খাওয়া বাবদ বাংলাদেশী মুদ্রায় খরচ হতে পারে মাত্র আড়াইশ থেকে চারশ টাকা। অনেক সময় মদিনাবাসী ওমরাহ ও হজ্জ্ব পালন করতে আসা ব্যক্তিদের মাঝে খাবার বিতরণও করে থাকেন। এভাবে আপনি চাইলে খুব সহজেই বাংলাদেশী মুদ্রায় ৫০/ ৬০ হাজার টাকার মধ্যে ওমরাহ পালন করে আসতে পারেন।

প্রতারণা থেকে সাবধান:
ওমরাহ পালনে সহায়তার নামে অনেক ট্রাভেল ও হজ্জ্ব এজেন্সী মুসল্লীদের সাথে প্রতারণা করে আসছে এমন গুরুতর অভিযোগও অহরহ রয়েছে। বিশেষ করে খুবই অল্প টাকায় ওমরাহ পালনের সব বিষয়ের দায়িত্ব নেওয়ার চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে ঠকিয়ে থাকেন মুসল্লীদের। আকর্ষণীয় এসব বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে পত্রিকায় অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লোভনীয় থ্রী স্টার হোটেল, সৌদি আরবে গাইড, পরিবহণ ইত্যাদি সেবা দেওয়ার কথা থাকলেও সেখানে গিয়ে মুসল্লীরা এর কোনটিই পান না। উপরন্তু সরকারি ট্যাক্সের ভুয়া অজুহাতে মুসল্লীদের একরকম জিম্মী করেই অর্থ হাতিয়ে নেয় কিছু সংখ্যক এজেন্সী। সুতরাং এসব প্রতারক এজেন্সী বা গাইড থেকে সাবধান থাকুন। আর অল্প খরচেই সম্পন্ন করুন পবিত্র ওমরাহ। এছাড়া সৌদি আরবেও দালালচক্র বেশ সক্রিয়। বিভিন্ন ধরণের সেবা বা দর্শনীয় স্থান পরিদর্শনের নামে পর্যটকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় তারা। তাই এদের থেকেও সতর্ক থাকুন ওমরাহ পালনকালীন সময়ে।

অবশ্য এভাবে ওমরাহ পালন করতে গেলে জানাশোনা অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কারও সাথে যাওয়া কিংবা এরকম জানাশোনা কাউকে নিয়ে কয়েকজন মিলে দলগতভাবে যাওয়াই উত্তম। অন্যথায় অচেনা নতুন দেশে এবং অজানা পরিবেশ প্রতিবেশে বিবিধ বিষয়ে হোচট খাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।

বাংলাদেশ, ভারত পাকিস্তানসহ অনেক দেশই নেই ই-ভিসা তালিকায়:
ই-ভিসা তালিকায় বাংলাদেশ, ভারত পাকিস্তানসহ অনেক দেশেরই নাম নেই আপাতত:। তবে https://www.saudiarabiavisa.com পোর্টালটিতে প্রকাশিত আর্টিকেলে বলা হয়েছে- 'যদিও যোগ্য দেশগুলির তালিকা চূড়ান্ত হয়নি'। এ কথা থেকে আশা করা যায়, সৌদি সরকারের ই-ভিসা সুবিধা অন্যান্য দেশের নাগরিকদের জন্যও পর্যায়ক্রমে উম্মুক্ত করা হবে। এখন পর্যন্ত তালিকায় যুক্ত ৩৫ টি দেশ হচ্ছে-

১. Australia
২. Austria
৩. Belgium
৪. Brunei
৫. Czech Republic
৬. Denmark
৭. Estonia
৮. Finland
৯. France
১০. Germany
১১. Greece
১২. Hungary
১৩. Iceland
১৪. Italy
১৫. Japan
১৬. Latvia
১৭. Liechtenstein
১৮. Lithuania
১৯. Luxembourg
২০. Malaysia
২১. Malta
২২. Netherlands
২৩. Norway
২৪. Poland
২৫. Portugal
২৬. Singapor
২৭. Slovakia
২৮. Slovenia
২৯. South Africa
৩০. South Korea
৩১. Spain
৩২. Sweden
৩৩. Switzerland
৩৪. Taiwan
৩৫. United States

সূত্র:
১. Click This Link
২. https://www.saudiarabiavisa.com/
৩. http://saudigazette.com.sa/article/574787
৪. Click This Link
৫. https://m.priyo.com/external-news/1105674
৬. Click This Link

ছবি: http://www.gettyimages.com থেকে নেয়া।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১১

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট টা আমার জন্য ভালো হয়েছে।
আমি ওমরা করতে চাই।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২৫

নতুন নকিব বলেছেন:



অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। পোস্ট আপনার সামান্য কাজে লাগলে ধন্য হব। আপনার ওমরাহ করার ইচ্ছে পূরণ হোক।

অনেক ভালো থাকবেন।

২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৮

রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি পোস্ট। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২৮

নতুন নকিব বলেছেন:







ধন্যবাদ আপনাকেও। পোস্ট আপনার কাছে প্রয়োজনীয় মনে হওয়ায় কৃতজ্ঞতা।

ওমরাহ করার আপনার মনের সুপ্ত ইচ্ছে বাস্তবে রূপদান করুন মহান আল্লাহ তাআ'লা।

অনেক অনেক শুভকামনা।

৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
প্রয়োজনীয় তথ্যপুর্ণ পোষ্টটি প্রিয়তে তুলে রাখলাম।
সম্ভব হলে ওমরাহ ভিসা সংক্রন্ত সৌদী ভিসা অফিসের
ওয়েব সাইটির লিংক দিলে বাধিত হব ।

শুভেচ্ছা রইল

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৩৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আলী ভাই,
প্রথমেই আপনাকে আন্তরিক সালাম। আপনার প্রতি আল্লাহ পাক রহমত নাযিল করুন। আপনি পোস্টে এসেছেন দেখে অনেক ভালো লাগছে। লাইকসহ পোস্ট প্রিয়তে নেয়ায় কৃতজ্ঞতা।

ওয়েব লিঙ্কটি গতকাল পোস্ট দেয়ার সময়ই দিতে চেয়েছিলুম। কিন্তু ওয়েবটি কাজ করছিল না দেখে দিইনি। আজও সেখানে ঢুকতে পারিনি। আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে হয়তো। সম্ভবত: তারা পরিক্ষামূলক পর্যবেক্ষনে রেখে থাকতে পারেন। স্বাভাবিক হয়ে গেলে এই পোস্ট আপডেট করে ইনশাআল্লাহ লিঙ্ক যুক্ত করে দেব।

পরামর্শের জন্য আবারও ধন্যবাদ। জাজাকুমুল্লাহু তাআ'লা।

অনেক অনেক ভালো থাকুন।

৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৫

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: গত কয়েক দিন ধরে উমরাহ করার কথাই ভাবছিলাম। খুবই উপকারে লাগলো আপনার এই পোস্ট। অনেক ধন্যবাদ।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৪০

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় ভাই,
লাইকসহ পোস্ট প্রিয়তে নেয়ায় সবিশেষ কৃতজ্ঞতা। গত কয়েক দিন ধরে আপনি ওমরাহর কথা ভাবছিলেন জেনে আনন্দিত হলাম। আশা করছি, খুব শিঘ্রই বাইতুল্লাহর মেহমান হয়ে পবিত্র হারামাইন শরিফাইন ঘুরে আসার তাওফিকলাভে ধন্য হবেন ইনশাআল্লাহ। আমাদের জন্য দুআর দরখাস্ত থাকলো।

পোস্ট আপনার সামান্য উপকারে এলে অনেক খুশি হব।

আল্লাহ পাক পরিবার পরিজনসহ আপনাকে ভালো রাখুন। আপনার মনের প্রতিটি পূন্য বাসনা বাস্তবে রূপায়িত করার তাওফিক দান করুন।

৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৩

ইসিয়াক বলেছেন: অনেক প্রয়োজনীয় পোষ্ট ।
ধন্যবাদ

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৯

নতুন নকিব বলেছেন:



অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। সবসময়ই পাশে পাই আপনাকে। পোস্টটি আপনার নিকট প্রয়োজনীয় মনে হয়েছে জেনে আনন্দিত।

কৃতজ্ঞতা জানবেন। শুভকামনা অন্তহীন।

৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪১

নতুন বলেছেন: বাংলাদেশীদের মনে হয় ইভিসা দেয় না। লিস্টে তো নাম দেখলাম না।

আমার ভগ্নিপতি ওমরাতে যেতে চাইছে। উনার জন্য তথ্য জোগাড় করছি। যেন উনি নিজেই ওমরা করে আসতে পারেন।

প্রিয়তে রাখলাম কাজে লাগবে।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩২

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার ধারণা সঠিক। আপাতত: বাংলাদেশীদের ই-ভিসা দিচ্ছে না। আশায় আছি। দেখা যাক, অচিরেই বাংলাদেশকেও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে কি না সৌদি সরকার।

আপনার আগমনে মুগ্ধতা। শুভকামনা সবসময়।

৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩০

হাবিব ইমরান বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ,
২০১৯ এর রমজানে ওমরাহ করার সৌভাগ্য হয়েছিল।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৭

নতুন নকিব বলেছেন:



শুকরিয়া। আলহামদুলিল্লাহ।

২০১৯ এর রমজানে আপনার উমরাহ করার সৌভাগ্য হয়েছিল- জেনে খুশি হলাম। আপনি নিশ্চয়ই সৌভাগ্যবান। কারণ, রমজানে উমরাহ করা বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেকটাই কঠিন। আল্লাহ পাক আপনাকেসহ আমাদেরকে বারবার এই সৌভাগ্য দান করুন।

৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:২৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , আপনার পোষ্টে দেয়া লিংক ফলো করে সেদিনই দেখেছি । লিংকটি কাজ করে । এখন পর্যন্ত তারা মাত্র ৩৫ টি দেশের জন্য এই ই ভিসা চালু করেছে । এখন পর্যন্ত বংলাদেশ , পাকিস্তান , ভারত এমনকি ধনীদেশ যুক্তরাজ্যকেও এর আওতায় আনেনি ।তবে পর্যায়ক্রমে দেশের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে সেখনে বলা হয়েছে । তাই বলেছিলাম তারা যদি আরো দেশকে এর আওতায় আনে তাহলে সে লিংকটি দেয়ার জন্য , যাহোক আমি মাঝে মধ্যে তাদের লিংকে ঢুমেরে দেখব তারা কোন আডডেট করেছে কিনা । তবে আমার মনে হয় ওমারা ভিসা সার্ভিসের জন্য পাকিস্তান , ভারত, বাংলাদেশ ও যুত্তরাজ্যের ট্রেভেল এজেন্সি বেশী থাকায় ও তাদের তৎপরতার কারণে হয়ত এ সমস্ত দেশকে ই -ওমরা ভিসার আওতার বাইরে থাকতে হবে আরো অনেক দিন । যাহোক, ই- ভিসা সার্ভিস পাওয়া না গেলেও সুযোগতো তৈরী হয়েছে, সৌভাগ্যবানগন এখন ইচ্ছা করলে যেতে পারবে । আল্লাহ ইচ্ছুক সকলের মনোবাসনা পুর্ণ করুন এ কামনাই থাকল ।

শুভেচ্ছা রইল

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



পুনরাগমনে কৃতজ্ঞতা, প্রিয় আলী ভাই। আপনার এই মন্তব্যটা দেখার পরেই আবারও ঘুরে এলাম সৌদি হজ ও উমরাহ ওয়েবসাইটে এবং পোস্ট এডিট করে তালিকাটি এখানে যুক্ত করে দিলাম। পরবর্তীতে যদি আপনি কোনো আপডেট জানতে পান, আশা করি আমাদের জানিয়ে বাধিত করবেন। যেমনটা আপনি আপনার মন্তব্যেও বলে রেখেছেন।

অসংখ্য ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান মতামত অবহিত করে যাওয়ায়।

কল্যানের দুআ সবসময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.