নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

নামাজ রোজার গুরুত্বপূর্ণ ৩ টি মাসআলাঃ

১০ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:০১

ছবিঃ মদিনাতুল মুনাওওয়ারায় মসজিদে নববীতে অবস্থিত প্রিয় নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রওজায়ে আতহারের উপরে সবুজ গম্বুজ। কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

নামাজ রোজার গুরুত্বপূর্ণ ৩ টি মাসআলাঃ

এক. মাস্ক পরিধান করে নামায পড়ার হুকুমঃ
অনেকেই মাসআলাটি জানতে চেয়েছেন। বর্তমান করোনাকালে এই মাসআলাটি জানার প্রয়োজনীয়তা স্বাভাবিক কারণেই বেড়ে গেছে। এ বিষয়ে কথা হচ্ছে- কোন কারণ ছাড়া নাক মুখ ইত্যাদি কাপড় দ্বারা ঢেকে নামায পড়া মাকরূহ। তবে কোন ওজরের কারণে ঢাকলে মাকরূহ হবে না। সেই হিসেবে বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে প্রতিরক্ষার পদ্ধতি হিসেবে কেউ যদি মাস্ক পরিধান করে নামায পড়ে তাহলে মাকরূহ হবে না। তবে শর্ত হল, সিজদায় নাক ও কপাল জমিনে ঠেকাতে হবে। যদি মাস্ক ব্যবহার করার কারণে নাক ও কপাল জমিনে না ঠেকে, তাহলে নামায হবে না।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: «نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُغَطِّيَ الرَّجُلُ فَاهُ فِي الصَّلَاةِ»

আবূ হুরাইরাহ রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে কোন ব্যাক্তিকে সালাতরত অবস্থায় তার মুখমন্ডল ঢাকতে নিষেধ করেছেন। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৯৬৬, সুনানে আবূ দাউদ,হাদীস নং-৬৪৩]

فيكره التلثم وتغطية الأنف والفم فى الصلاة، لأنه يشبه فعل المجوس (حاشية الطحطاوى على مراقى الفلاح-350-351)
وإمساك فمه عند التثائب…… فإن لم يقدر غطاه بيده….. أو كمه لأن التغطية بلا ضرورة مكروهة (رد المحتار-2176، الفقه الاسلامى وأدلته، كتاب الصلاة، آداب الصلاة عند الحنفية-1760)

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: «كُنَّا نُصَلِّي مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي شِدَّةِ الحَرِّ، فَإِذَا لَمْ يَسْتَطِعْ أَحَدُنَا أَنْ يُمَكِّنَ وَجْهَهُ مِنَ الأَرْضِ بَسَطَ ثَوْبَهُ، فَسَجَدَ عَلَيْهِ»

আনাস ইবনু মালিক রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রচন্ড গরমের মধ্যে আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে সালাত আদায় করতাম। আমাদের কেউ মাটিতে তার চেহারা (কপাল) স্থির রাখতে সক্ষম না হলে সে তার কাপড় বিছিয়ে তার উপর সাজদাহ্ করত। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১২০৮]

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، ” أُمِرَ النَّبِيُّ صلّى الله عليه وسلم أَنْ يَسْجُدَ عَلَى سَبْعَةِ أَعْضَاءٍ، وَلاَ يَكُفَّ شَعَرًا وَلاَ ثَوْبًا: الجَبْهَةِ، وَاليَدَيْنِ، وَالرُّكْبَتَيْنِ، وَالرِّجْلَيْنِ “

ইবনু ‘আববাস রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ আমি সাতটি অঙ্গের দ্বারা সাজদাহ্ করার জন্য নির্দেশিত হয়েছি। কপাল দ্বারা এবং তিনি হাত দিয়ে নাকের প্রতি ইশারা করে নাককে এর অন্তর্ভুক্ত করেন, আর দু’হাত, দু’হাঁটু এবং দু’পায়ের আঙ্গুলসমূহ দ্বারা। আর আমরা যেন চুল ও কাপড় গুটিয়ে না নেই। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৮১২] হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,

فَسَجَدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الطِّينِ وَالمَاءِ حَتَّى رَأَيْتُ أَثَرَ الطِّينِ فِي أَرْنَبَتِهِ وَجَبْهَتِه

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাদা-পানির মাঝে সিজদা করলেন। এমনকি আমি তাঁর কপালে ও নাকে কাদার চিহ্ন দেখতে পেলাম। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-২০৩৬]

দুই. মহিলাদের মাসিক ঋতুস্রাব অবস্থায় ছুটে যাওয়া রোজার বিধানঃ
ঋতুস্রাব থেকে পবিত্র হওয়ার পর উক্ত রোজা কাযা করতে হবে। 'উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহা বলেন, আমাদেরকে রোজা কাযা করার আদেশ দেয়া হতো নামাজ কাজা করার আদেশ দেয়া হতো না।' সহীহ মুসলিম, হাদিস নং: ৩৩৫।

أخرج الإمام مسلم في “صحيحه” رقم الحديث: 789، بسنده المتصل عن معاذة قالت سألت عائشة فقلت ما بال الحائض تقضى الصوم ولا تقضى الصلاة فقالت أحرورية أنت قلت لست بحرورية ولكنى أسأل. قالت كان

তিন. গোসল ফরজ থাকা অবস্থায় সাহরী খাওয়া ও রোযা রাখার হুকুমঃ
গোসল ফরয অবস্থায় (নাপাক অবস্থায়) সাহরী খাওয়া হলে তাতে রোযা সহিহ হবে। শরীর পাক ও নাপাকের সাথে সাহরী ও রোযার কোন সম্পর্ক নেই। কিন্তু এইক্ষেত্রে অনেকের বেলায় যে বিষয়টি ঘটে থাকে, দেখা যায়, সংকোচ কিংবা লজ্জাবশতঃ রাতের বেলা গোসল ইত্যাদি এড়ানোর জন্য তারা ফজরের নামায আদায় না করেই ঘুমিয়ে পড়েন এবং পরবর্তীতে দিনের বেলা উক্ত নামাজ করেন। এটি করা কোনোক্রমেই ঠিক নয়। কারণ, নামাজ কাযা করার কারণে এতে গোনাহ হবে। বরং, এসব ক্ষেত্রে উচিত ফজরের সময় থাকা অবস্থায় গোসল করে ফজরের নামায আদায় করে নেয়া। আল কুরআনে ইরশাদ হয়েছে-

أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَىٰ نِسَائِكُمْ ۚ هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَأَنتُمْ لِبَاسٌ لَّهُنَّ ۗ عَلِمَ اللَّهُ أَنَّكُمْ كُنتُمْ تَخْتَانُونَ أَنفُسَكُمْ فَتَابَ عَلَيْكُمْ وَعَفَا عَنكُمْ ۖ فَالْآنَ بَاشِرُوهُنَّ وَابْتَغُوا مَا كَتَبَ اللَّهُ لَكُمْ ۚ وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ۖ ثُمَّ أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ [٢:١٨٧]

রোযার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ। আল্লাহ অবগত রয়েছেন যে, তোমরা আত্নপ্রতারণা করছিলে, সুতরাং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন এবং তোমাদের অব্যাহতি দিয়েছেন। অতঃপর তোমরা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর এবং যা কিছু তোমাদের জন্য আল্লাহ দান করেছেন, তা আহরন কর। আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রোযা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত। [সূরা বাকারা-১৮৭]

واصبح جنبا وان بقى كل اليوم لم يفطر، (رد المحتار، كتاب الصوم، باب ما يفسد الصوم ومالا يفسده-3/372، مطلب فى حكم الاستمناء بالكف)

عَنْ نَوْفَلِ بْنِ مُعَاوِيَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” مَنْ فَاتَتْهُ الصَّلَاةُ فَكَأَنَّمَا وُتِرَ أَهْلَهُ وَمَالَهُ

হযরত নওফেল বিন মুআবিয়া রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যার নামায ফউত হয়ে গেল, যেন তার পরিবার ও সম্পদ সবই ধ্বংস হয়ে গেল। [মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২৩৬৪২}

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মে, ২০২০ দুপুর ২:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমি রোজা রাখি না। আসলে রোজা রাখতে পারি না। কিন্তু সেহেরি আর ইফতারি খুব আগ্রহ নিয়ে খাই। যথাসময়ে ইফতারী ও সেহেরি করার জন্য নিশ্চয়ই আমি কিছু সোয়াব পা্বো?

১০ ই মে, ২০২০ দুপুর ২:২৮

নতুন নকিব বলেছেন:



হ্যাঁ, সাওয়াব আশা করা যায়। কিন্তু আপনি কি জীবনে কোনো বছরই রোজা রাখেননি?

২| ১০ ই মে, ২০২০ রাত ৮:৪০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: Good

৩| ১৩ ই মে, ২০২০ সকাল ৯:৩৭

জাফরুল মবীন বলেছেন: প্রথম বিষয়টি নিয়ে কনফিউসন হচ্ছে।মাস্ক পরা অবস্থায় সর্বক্ষেত্রেই নাক ঢাকা থাকে।এ অবস্থায় কী নামাজ মাকরুহ হবে?জয়নামাজে নামাজ পড়লেও তো নাক ও কপাল মাটি তথা জমিন স্পর্শ করে না।এক্ষেত্রে শরীয়তের বিধান কি?

১৩ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



জয়নামাজে নামাজ পড়লেও তো নাক ও কপাল মাটি তথা জমিন স্পর্শ করে না।

-কোনো সমস্যা নেই। এখানে মাটি অর্থে মূলতঃ জায়নামাজ অথবা যা কিছুর উপরে সিজদা দেয়া হয় তার সবকিছুকেই অন্তর্ভূক্ত করে।

অনেক শুকরিয়া। আপনার জন্য অনেক দুআ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.