নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

অবশেষে সিদ্ধান্ত; ১৪৪১ হিজরীতে পালিত হবে হজ; অংশ নিতে পারবে ২০ শতাংশ হজযাত্রী

০৯ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:১১



অবশেষে সিদ্ধান্ত; ১৪৪১ হিজরীতে পালিত হবে হজ; অংশ নিতে পারবে ২০ শতাংশ হজযাত্রী

অবশেষে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে সউদী সরকার। ১৪৪১ হিজরীতে পালিত হবে হজ; অংশ নিতে পারবে ২০ শতাংশ হজযাত্রী। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারীতে ১৪৪১ হিজরীতে প্রত্যেক দেশের মাত্র ২০ শতাংশ হজযাত্রীকে হজ করার সুযোগ দিবে সউদী সরকার। বাকি ৮০ শতাংশ হজযাত্রী এবার হজে যাওয়ার অনুমতি পাচ্ছেন না। এছাড়া বয়স্ক হজযাত্রীদেরও এবার হজে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হবে না। বয়স্ক যাত্রীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সাথে সম্পৃক্ত অনেক কম বয়স্ক নিবন্ধিত যাত্রীরাও হজে যাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। খবর আল জাজিরা, খালিজ টাইমস ও রয়টার্সের।

সউদী আরবের বড় ধরণের আর্থিক ক্ষতিঃ

হজ এবং ওমরাহ থেকে সউদী আরব প্রায় ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে থাকে প্রতি বছর। চলমান করোনা ভাইরাসের কারণে হজযাত্রী কমানোর ফলে এবার সেটা নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাবে। বলা বাহুল্য, অল্প সংখ্যক হজযাত্রীকে হজের সুযোগ দেয়ায় দেশটির আর্থিক ক্ষতির পরিমান হবে বেশ বিপুল।

হজ ও ওমরাহ এজেন্সিগুলোর করুণ অবস্থাঃ

হজ এবং ওমরাহ ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এজেন্সিগুলো কোটি কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। জানা গেছে, বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারি মিলে প্রায় ৬৫ হাজার হজযাত্রী চলতি বছর হজে যাওয়ার জন্য নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছিলেন। কিন্তু করোনার কারণে নিবন্ধিত যাত্রীগণের অনেকেই তাদের হজ গমনের বিষয়ে দ্বিধাগ্রস্থ অবস্থায় রয়েছেন বলে জানা গেছে। অনেকেই নিবন্ধনের জন্য জমাকৃত টাকা ফেরত নেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

করোনা মহামারীর লকডাউনের কারণে প্রায় ১৩ শতাধিক হজ এজেন্সি ও ৪ শতাধিক ওমরাহ এজেন্সি গত ৩ মাস যাবত অফিস খুলতে পারছে না। হজ ও ওমরাহ কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ থাকায় এসব এজেন্সি অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়ার পথে। কর্মকর্তা কর্মচারিদের বেতন ভাতা পরিশোধ করতে পারছে না এজেন্সিগুলো। এছাড়া সউদী আরবে ওমরাহ বন্ধ হওয়ায় দেশটির ব্যাংকে অনলাইনে পাঠানো কোটি কোটি টাকা এবং বিভিন্ন বাজেট ক্যারিয়ারে অব্যবহৃত টিকিটের কোটি কোটি টাকা এখনো ফেরত পাচ্ছে না। এ নিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও হাব যথাযথ উদ্যোগ না নেয়ায় এজেন্সির মালিকরা চরমভাবে ক্ষুদ্ধ। আসন্ন জাতীয় বাজেটে ক্ষতিগ্রস্ত হজ, ওমরাহ ও ট্রাভেলস এজেন্সিগুলোকে প্রণোদনা দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের জোর দাবি জানিয়েছেন একাধিক বৈধ হজ ও ওমরাহ এজেন্সির মালিক। এদিকে, এবার হজযাত্রায় অনিশ্চয়তা দেখা দেয়ায় লকডাউনের মাঝেই বিভিন্ন হজ এজেন্সির নিবন্ধিত হজযাত্রী হজের টাকা ফেরত দেয়ার জন্য হজ এজেন্সির মালিকদের দফায় দফায় চাপ দিচ্ছেন। কিন্ত নিবন্ধিত হজযাত্রীর হজের জন্য প্রদত্ত টাকা সরকারি ব্যাংকে জমা থাকায় তা ফেরত দেয়ার কোনো সুযোগও পাচ্ছেন না এজেন্সি মালিকগন।

করোনা সউদীতেও সক্রিয়ঃ

এদিকে সউদীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ইতোমধ্যে লাখ ছাড়িয়েছে। দেশটিতে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৫ হাজার ২৮৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। মারা গেছেন ৭৪৬ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৭৪ হাজার ৫২৪ জন।

বিদ্যমান সংকটময় পরিস্থিতিতে দেশটি পরিকল্পনা করেছে এবার কম সংখ্যক হজযাত্রীকে হজের সুযোগ দেয়ার। হজ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত সউদীর দু’টি সূত্র জানিয়েছে, প্রতি বছর ২.৫ মিলিয়ন অর্থাৎ ২৫ লাখ হজযাত্রীকে হজ করার সুযোগ দেয়া হয়। এবার সেই সংখ্যা মাত্র ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। অর্থাৎ ২৫ লাখের জায়গায় মাত্র ৫ লাখ হজযাত্রী হজ করার সুযোগ পাবেন। বাকি ২০ লাখ হজযাত্রী হজে গমনের সুযোগ এ বছর পাবেন না। এছাড়া বয়স্ক হজযাত্রীদেরও হজে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হবে না। যারা হজের সুযোগ পাবেন তাদের কঠোর নিয়ম নীতি ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই হজ পালন করতে হবে।

গত বছর প্রায় ২ কোটি হজযাত্রী ওমরাহ পালন করেন। হজ করেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ২৬ লাখ লোক।

চাই সর্বোচ্চ সতর্কতাঃ

এবছরের হজের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে সউদী সরকার সাহসের পরিচয় দিয়েছে। করোনা ভাইরাসকে ভয় নয়, জয় করতে হবে সতর্কতার মাধ্যমে। সচেতনতার দ্বারা। তবে যারাই হজে যাওয়ার সুযোগ পাবেন, তাদের উচিত সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে হজের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করার চেষ্টা করা। কোনো অবস্থায়ই যাতে অসতর্কতার কারণে কোনো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সে জন্য সার্বিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা একান্তভাবে বাঞ্চনীয়।

সংবাদ সূত্রঃ

১৪৪১ হিজরীতে হজের সুযোগ পাচ্ছে ২০ শতাংশ হজযাত্রী

হজের অনুমতি সীমিত আকারে দিতে পারে সৌদি



ছবিঃ অন্তর্জাল।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: হজ্বের উপরেই কি সৌদি বেঁচে আছে?

০৯ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:২২

নতুন নকিব বলেছেন:



সেভাবেই বেঁচে থাকতে হতো যদি তাদের অঢেল তেল আর স্বর্ণ না থাকতো।

আপনি হজে যাওয়ার চিন্তা করছেন মনে হয়।

২| ০৯ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫৬

লোনার বলেছেন: Good news - at least একদম না হবার চেয়ে ভালো!

১১ ই জুন, ২০২০ সকাল ৯:৪৬

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, সেটাই। হজ হবে না- কথাটা শুনলেই তো বুকটা ধক করে ওঠে!

আল্লাহ পাক সবকিছু স্বাভাবিক করে দিন। আমিন।

৩| ০৯ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশ থেকে 'করোনা রোগীদের' হজে পাঠালে ভালো হবে; হজে গেলে তারা সুস্হ হয়ে যাবে।

১১ ই জুন, ২০২০ সকাল ৯:৫০

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার হজে যাওয়ার ইচ্ছে হয়?

কিন্তু.... ওখানে যে ওপেনে ঐরকম আডডা মারার সুযোগ টুযোগ নেই! বিশেষ করে সুপার স্টোর মেস্টোরে তো যুবতীই নেই যে, তাদের সাথে গায়ে পড়ে ঝগড়া পাকানোর সুযোগ হবে! তাহলে!!!

৪| ০৯ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: আমি হজ্ব করবো।
অবশ্য সমস্যা আছে।
আমার স্ত্রী আছে। সে তো আমাকে একা যেতে দিবে না।

১১ ই জুন, ২০২০ সকাল ৯:৫১

নতুন নকিব বলেছেন:



তাকে নিয়েই যাবেন। আরও ভালো হবে।

৫| ০৯ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪২

সুপারডুপার বলেছেন:



@চাঁদগাজী সাহেব, করোনা মুক্ত না হলেও তারা সব গুনাহ মুক্ত হবে + হাজী টাইটেল পাবে। আপনি হজ করতে পারেন , তখন আপনাকে সবাই হাজী চাঁদগাজী ডাকবে।
---------
@লেখক, সৌদি আরব ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ থেকে ইউরোপিয়ান -আমেরিকান নাগরিকদের ই -ভিসা / অন এরাইভাল ট্যুরিস্ট ভিসা দেওয়া শুরু করেছে। করোনা কেটে গেলে সৌদিতে ঘুরতে + হজ করতে যাওয়া যেতে পারে। ঘোরা হবে, গুনাহ মুক্ত হবে ও সওয়াব ইনকাম করা যাবে। এতো লোভনীয় অফার আর কোথাও ভ্রমনে নাই।

জাযাকাল্লাহু খাইরান। (আসুন 'ধন্যবাদ/থ্যাংক ইউ' না বলে 'জাযাকাল্লাহু খায়রান' বলা অভ্যাস করি ।)

১১ ই জুন, ২০২০ সকাল ৯:৫৩

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ। সেটাই। আসুন 'ধন্যবাদ/ থ্যাংক ইউ' না বলে 'জাযাকাল্লাহু খায়রান' বলা অভ্যাস করি।

৬| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:১৫

নতুন বলেছেন: সউদী আরবের বড় ধরণের আর্থিক ক্ষতিঃ

হজ এবং ওমরাহ থেকে সউদী আরব প্রায় ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে থাকে প্রতি বছর।


ইসলামের প্রধান একটা স্তম্ভের উপরে ভিক্তি করে সৌদি বছরে ১২ বিলিওন ডলার আয় করছে? বাংলাদেশের বাজেটের ৫ ভাগের এক ভাগ তারা তো এখান থেকেই আয় করছে।


চমতকার।

১১ ই জুন, ২০২০ সকাল ৯:৫৭

নতুন নকিব বলেছেন:



ইসলামের প্রধান একটা স্তম্ভের উপরে ভিক্তি করে সৌদি বছরে ১২ বিলিওন ডলার আয় করছে? বাংলাদেশের বাজেটের ৫ ভাগের এক ভাগ তারা তো এখান থেকেই আয় করছে।

-না করেই বা উপায় কি? ফ্রি হজ সিস্টেম চালু করলে তো কয়েক কোটি মানুষ প্রতি বছর হজ আদায় করতে যেতে চাইবে। আগেকার দিনের মত পদপিষ্ট হয়ে আবার মৃত্যুর মিছিল শুরু হতে পারে তাতে।

আপনি সামুতে খোঁচা দেয়ার জন্য আমার মতে, নাম্বার ওয়ান পজিশনে। এইজন্য আপনার প্রতি অশেষ শ্রদ্ধা। সবসময়।

ভালো থাকবেন প্রিয় ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.