নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুখের বুলিসর্বস্ব নয়, সত্যিকারের মানবাধিকার ইসলামের ছায়াতলেই রয়েছে- ইসলাম অন্যের দরজা-জানালায় উঁকি দেওয়াকেও পাপ সাব্যস্ত করেছে

০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:০৬

ছবিঃ অন্তর্জাল।

মুখের বুলিসর্বস্ব নয়, সত্যিকারের মানবাধিকার ইসলামের ছায়াতলেই রয়েছে- ইসলাম অন্যের দরজা-জানালায় উঁকি দেওয়াকেও পাপ সাব্যস্ত করেছে

আজকে যারা মানবাধিকারের কথা বলে বলে মুখে ফেনা তোলেন। ইসলামকে সেকেলে, মধ্যযুগীয়, বর্বর ইত্যাকার কুরুচিপূর্ণ ভাষায় নিন্দা জ্ঞাপন করতে পিছপা হন না, তাদের সত্যি সত্যিই জানাতে ইচ্ছে হয় যে, ইসলামের মানবাধিকারের স্বরূপটি আসলে কেমন। ইসলাম মানবাধিকারের যে রূপরেখা প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্বে বিশ্ববাসীর কল্যান ও মুক্তির লক্ষ্যে দিয়ে রেখেছে; অন্য কোনো মতবাদ কিংবা মতাদর্শ কি তার ধারেকাছে যেতে পেরেছে? এর একটি জ্বলন্ত প্রমান ইসলামের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক নিরাপত্তার দিকটি। ইসলামের প্রতিটি বিধানই যৌক্তিক এবং মানবতার কল্যানের নিদর্শনে পরিপূর্ণ। ইসলাম মানুষের সম্মান, ব্যক্তিত্ব ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা রক্ষায় নানাবিধ বিধি-বিধান প্রণয়ন করেছে। এসব বিধি-বিধান পালন করে চললে সত্যিকারার্থেই মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত তথা, সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব বলা বিধেয় হতে পারে। ইসলাম মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত তথা, সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব উপাধিতে ভূষিত করার পেছনেও রয়েছে যৌক্তিক বহুবিধ কারণ।

অনুমতি ছাড়া কারও ঘরে প্রবেশ নয়ঃ

মানুষকে আল্লাহ তাআলা সম্মান-মর্যাদা, বুদ্ধিমত্তা, বিবেক-বিবেচনা, জ্ঞান-প্রজ্ঞা ইত্যাদি উপকারী বিষয়াবলী দান করে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে আসীন করেছেন। সৃষ্টিকুলের উত্তম সৃষ্টির মর্যাদা ও সন্মান দান করেছেন। বস্তুতঃ এই সম্মান রক্ষায় ইসলাম কার্যকর উদ্যোগও গ্রহণ করেছে। মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষায় ইসলাম গিবত তথা, পরনিন্দা কারও পেছনে তার দোষ বলার মত ঘৃণিত বিষয়াবলীকে নিষিদ্ধ সাব্যস্ত করেছে এবং এমনকি অন্যের ঘরে বিনানুমতিতে প্রবেশ পর্যন্ত নিষিদ্ধ করেছে। বিনানুমতিতে অন্যের ঘরে প্রবেশ করলে বিব্রতকর ও বিরক্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, যা ওই ব্যক্তির জীবনকে অসম্মান, লজ্জাষ্কর কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে হুমকির সম্মুখীনও করে তুলতে পারে। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করা হয়েছে-

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَدْخُلُوا بُيُوتًا غَيْرَ بُيُوتِكُمْ حَتَّى تَسْتَأْنِسُوا وَتُسَلِّمُوا عَلَى أَهْلِهَا ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُونَ

হে মুমিনগণ, তোমরা নিজেদের গৃহ ব্যতীত অন্য গৃহে প্রবেশ করো না, যে পর্যন্ত আলাপ-পরিচয় না কর এবং গৃহবাসীদেরকে সালাম না কর। এটাই তোমাদের জন্যে উত্তম, যাতে তোমরা স্মরণ রাখ। -সূরা আন নূর, আয়াত ২৭

O ye who believe! enter not houses other than your own, until ye have asked permission and saluted those in them: that is best for you, in order that ye may heed (what is seemly).

মহান আল্লাহ তাআ'লার এই নির্দেশনার কারণ হচ্ছে, ঘরে কখনো একান্ত ব্যক্তিগত কাজ করা হয়, যা অন্য কারো দৃষ্টিগোচর হওয়া ঘরের বাসিন্দার কাছে বিব্রতকর বিষয় বলে মনে হতে পারে। আবার ঘরোয়া জীবনে পোশাক পরিধানে প্রত্যেকের আলাদা রুচি ও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ কাজ করে, অনেকের দেহে শয্যা যাপনের পোশাক থাকে বা পরিহিত পোশাকের অংশ বিশেষ খোলা থাকতে পারে—এসব পরিস্থিতিতে ঘরের ভেতরের অবস্থা অবলোকনের উদ্দেশ্যে দরজা ও জানালা দিয়ে উঁকি দিলে কিংবা অনুমতি ছাড়া ঘরে প্রবেশ করলে ঘরের অধিবাসী খুবই বিব্রতকর ও লজ্জিতকর অবস্থায় পড়তে পারেন। কাউকে এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার অধিকার ইসলাম দেয়নি।

ইসলাম ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমুন্নত করেছেঃ

বর্তমান আধুনিক জীবনে এসে মানুষের গৃহাভ্যন্তর অপেক্ষাকৃত আরও সংকুচিত হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে শহুরে জীবনে অধিকাংশ মানুষই স্বল্প পরিসরে পরিবার পরিজন নিয়ে পরিমিত স্থানে বসবাস করতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন। আর শহর কিংবা গ্রাম সর্বস্থানেই, ঘরের ভেতরে অবস্থানকালীন সময়ে মানুষ পরিবার পরিজনের সাথে ঘরোয়া সময়টাকে নিজেদের মত করে কাটাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন, এটাই স্বাভাবিক। নানা প্রয়োজনে বারান্দা বা বেলকনিতে এসে বসতে পারেন। কাজ কর্ম করতে পারেন। এসব ক্ষেত্রে ঘরে থাকা লোকদের বিনানুমতিতে উঁকি দিয়ে তাদের দিকে তাকিয়ে থাকা বা কোনো ধরণের ডিস্টার্ব করা নিতান্তই অন্যায় এবং গর্হিত অপরাধ। ইসলাম এসবের অনুমোদন দেয়নি।

এতব্দ্যতিত, কারও ঘর-বাড়িতে হঠাৎ কেউ ঢুকে গেলে বা কারো দরজা-জানালা দিয়ে দৃষ্টি দিলে মাহরাম নয়, এমন কোনো পুরুষ বা নারীর ওপর দৃষ্টি পড়তে পারে। এতে দৃষ্টিদানকারী ব্যক্তির কবিরা গুনাহে লিপ্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়, যা থেকে এড়িয়ে চলা একান্তভাবেই প্রয়োজন।

কুরআনের নির্দেশ- অনুমতি না পেলে ফিরে যাওঃ

এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ইসলাম অন্যের ঘরে প্রবেশের জন্য অনুমতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। বিনা অনুমতিতে অন্যের ঘরে প্রবেশ করা নাজায়েজ। এটি সাধারণ ভদ্রতা ও শিষ্টাচারপরিপন্থী। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন,

فَإِن لَّمْ تَجِدُوا فِيهَا أَحَدًا فَلَا تَدْخُلُوهَا حَتَّى يُؤْذَنَ لَكُمْ وَإِن قِيلَ لَكُمُ ارْجِعُوا فَارْجِعُوا هُوَ أَزْكَى لَكُمْ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ

যদি তোমরা গৃহে কাউকে না পাও, তবে অনুমতি গ্রহণ না করা পর্যন্ত সেখানে প্রবেশ করো না। যদি তোমাদেরকে বলা হয় ফিরে যাও, তবে ফিরে যাবে। এতে তোমাদের জন্যে অনেক পবিত্রতা আছে এবং তোমরা যা কর, আল্লাহ তা ভালোভাবে জানেন। -সূরা আন নূর, আয়াত ২৮

If ye find no one in the house, enter not until permission is given to you: if ye are asked to go back, go back: that makes for greater purity for yourselves: and Allah knows well all that ye do.

অনুমতি ছাড়াও প্রবেশ করা যায় যে ঘরেঃ

মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা ইরশাদ করেন,

لَّيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَن تَدْخُلُوا بُيُوتًا غَيْرَ مَسْكُونَةٍ فِيهَا مَتَاعٌ لَّكُمْ وَاللَّهُ يَعْلَمُ مَا تُبْدُونَ وَمَا تَكْتُمُونَ

যে গৃহে কেউ বাস করে না, যাতে তোমাদের সামগ্রী আছে এমন গৃহে প্রবেশ করাতে তোমাদের কোন পাপ নেই এবং আল্লাহ জানেন তোমরা যা প্রকাশ কর এবং যা গোপন কর। -সূরা আন নূর, আয়াত ২৯

It is no fault on your part to enter houses not used for living in, which serve some (other) use for you: And Allah has knowledge of what ye reveal and what ye conceal.

মাহরাম ব্যক্তিদের ঘরে যেতেও অনুমতি নিতে হবেঃ

অন্যের গোপনীয়তা ও ব্যক্তিগত জীবনাচারের স্বাধীনতা ইসলামের দৃষ্টিতে এতই গুরুত্বপূর্ণ যে, মাহরাম ব্যক্তিদের ঘরেও অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করা নিষিদ্ধ করেছে ইসলাম। মাহরাম আত্মীয়দের (যাদের পারস্পরিক বিবাহ হারাম) পরস্পরের মধ্যে পর্দার বিধান না থাকলেও একে অন্যের ‘সতর’ বা 'গোপনাঙ্গ' দেখা নাজায়েজ। তাই প্রাপ্তবয়স্ক মাহরামদেরও একে অন্যের ঘরে গেলে অনুমতি নিতে হবে। মাতা-পিতা, প্রাপ্তবয়স্ক ভাই-বোন, ছেলে-মেয়ে সকল মাহরামের ক্ষেত্রেই এই বিধান প্রযোজ্য। তবে সাবালকত্বে পৌঁছেনি- এমন শিশুরা যেহেতু সাধারণতঃ ঘরে ছোটাছুটি করে, তাই তারা শুধু ওই সময়ে অনুমতি নেবে যে সময়ে বড়রা বিশ্রাম ও একান্তে অবস্থান করে। মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা ইরশাদ করেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لِيَسْتَأْذِنكُمُ الَّذِينَ مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ وَالَّذِينَ لَمْ يَبْلُغُوا الْحُلُمَ مِنكُمْ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ مِن قَبْلِ صَلَاةِ الْفَجْرِ وَحِينَ تَضَعُونَ ثِيَابَكُم مِّنَ الظَّهِيرَةِ وَمِن بَعْدِ صَلَاةِ الْعِشَاء ثَلَاثُ عَوْرَاتٍ لَّكُمْ لَيْسَ عَلَيْكُمْ وَلَا عَلَيْهِمْ جُنَاحٌ بَعْدَهُنَّ طَوَّافُونَ عَلَيْكُم بَعْضُكُمْ عَلَى بَعْضٍ كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمُ الْآيَاتِ وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ

হে মুমিনগণ! তোমাদের দাসদাসীরা এবং তোমাদের মধ্যে যারা প্রাপ্ত বয়স্ক হয়নি তারা যেন তিন সময়ে তোমাদের কাছে অনুমতি গ্রহণ করে, ফজরের নামাযের পূর্বে, দুপুরে যখন তোমরা বস্ত্র খুলে রাখ এবং এশার নামাযের পর। এই তিন সময় তোমাদের দেহ খোলার সময়। এ সময়ের পর তোমাদের ও তাদের জন্যে কোন দোষ নেই। তোমাদের একে অপরের কাছে তো যাতায়াত করতেই হয়, এমনি ভাবে আল্লাহ তোমাদের কাছে সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ বিবৃত করেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। -সূরা আন নূর, আয়াত ৫৮

O ye who believe! let those whom your right hands possess, and the (children) among you who have not come of age ask your permission (before they come to your presence), on three occasions: before morning prayer; the while ye doff your clothes for the noonday heat; and after the late-night prayer: these are your three times of undress: outside those times it is not wrong for you or for them to move about attending to each other: Thus does Allah make clear the Signs to you: for Allah is full of knowledge and wisdom.

মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা একই সূরার পরবর্তী আয়াতে ইরশাদ করেন,

وَإِذَا بَلَغَ الْأَطْفَالُ مِنكُمُ الْحُلُمَ فَلْيَسْتَأْذِنُوا كَمَا اسْتَأْذَنَ الَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمْ آيَاتِهِ وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ

তোমাদের সন্তান-সন্ততিরা যখন বায়োপ্রাপ্ত হয়, তারাও যেন তাদের পূর্ববর্তীদের ন্যায় অনুমতি চায়। এমনিভাবে আল্লাহ তাঁর আয়াতসমূহ তোমাদের কাছে বর্ণনা করেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। -সূরা আন নূর, আয়াত ৫৯

But when the children among you come of age, let them (also) ask for permission, as do those senior to them (in age): Thus does Allah make clear His Signs to you: for Allah is full of knowledge and wisdom.

এ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু হাদিসঃ

অনুমতি ছাড়া কারো গৃহাভ্যন্তরে তাকানো এবং দরজা-জানালায় উঁকি দেওয়া অমার্জনীয় অপরাধ। আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি কারো ঘরে বিনা অনুমতিতে উঁকি দেবে, তার জন্য ওই ব্যক্তির চোখ ফুঁড়ে দেওয়া বৈধ।’ -মুসলিম, হাদিস ২১৫৮

অন্য এক হাদিসে এসেছে, রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যদি কেউ তোমার ঘরে তোমার অনুমতি ছাড়া উঁকি মারে আর তুমি পাথর মেরে তার চক্ষু ফুটা করে দাও, তাতে তোমার কোনো গুনাহ হবে না।’ -বুখারি, হাদিস : ৬৮৮৮

যদিও এই হাদিসের ব্যাখ্যায় মুজতাহিদ ইমাম ও মুহাদ্দিসদের বক্তব্যে ভিন্নতা রয়েছে; কিন্তু এ কথায় কারো দ্বিমত নেই যে, অন্যের ঘর, দরজা ও জানালা দিয়ে উঁকি দেওয়া গুরুতর অপরাধ।

হাদিসটির ব্যাপারে ফকিহ ইমামগণের অভিমতঃ

ইমাম শাফেয়ি রহিমাহুল্লাহু -এর মতে, কেউ অনুমতিবিহীন কারো ঘরে উঁকি দিলে সে যদি পাথর মেরে তার চোখ নষ্ট করে দেয়, তাহলে এর কোনো ক্ষতিপূরণ দিতে হবে না। ইমাম মালেক রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, অন্যের ঘরে উঁকি দেওয়া পাপ হিসেবে বিবেচিত। ইমাম আবু হানিফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি -এর মতে, উল্লিখিত হাদিসের বক্তব্য ধমকিস্বরূপ। কেউ অনুমতিবিহীন কারো ঘরে উঁকি দিলে সে যদি পাথর মেরে তার চোখ নষ্ট করে দেয়, তাহলে এর ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তবে উঁকি দেওয়া অন্যায় ও অপরাধ।

নবীজীর জীবনে সংঘটিত একটি ঘটনাঃ

রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর জীবনে এই হাদিসের ওপর আমল করার দৃষ্টান্ত রয়েছে। এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে- সাহল ইবনে সাদ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু বলেন, একবার এক ব্যক্তি রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর কোনো একটি কক্ষে উঁকি দেয়। তখন রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর কাছে একটা ‘মিদরা’ তথা, এক ধরনের চিরুনি ছিল, যা দিয়ে তিনি তাঁর মাথা চুলকাচ্ছিলেন। তখন তিনি বলেন, যদি আমি জানতাম যে, তুমি উঁকি দিচ্ছ, তাহলে এটা দিয়ে তোমার চোখ ফুঁড়ে দিতাম। আর তাকানোর জন্য অনুমতি গ্রহণের বিধান দেওয়া হয়েছে। -বুখারি, হাদিস ৬২৪১

আমরা বিনীতভাবে তাওফিকপ্রার্থীঃ

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা ইসলামের এসব অনন্য সৌন্দর্য্য আমাদেরকে অনুধাবন করার মত বোধ ও বিবেক দান করুন। বাস্তব জীবনে আমল এবং অনুশীলনের মাধ্যমে এর অফুরন্ত কল্যান লাভ করার তাওফিক প্রদান করুন।

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:



মানবাধিকার সৌদী, সিরিয়া, ইয়েমেন, পাকিস্তানে সঠিক আছে, নাকি জাপান, কানাডা, সুইডেনে সঠিক আছে?

০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:২৫

নতুন নকিব বলেছেন:



মানবধিকার বুঝতে হবে আগে। আপনার মানবাধিকার বুঝার সময় এখনও হয়তো হয়ে ওঠেনি। জাপান, কানাডা, সুইডেন ধনী দেশ। এগুলোর বিপরীতে সৌদী, সিরিয়া, ইয়েমেন, পাকিস্তানকে দাঁড় করে ভুল করেছেন। একই সমান অর্থবিত্ত রয়েছে এমন দেশের তুলনা করা হলে সেটা সঠিক হতো। তা পারেননি।

আর কোনো দেশ নিয়ে এই পোস্ট নয়। ইসলামের বিধি-বিধান নির্দিষ্ট কোনো দেশের জন্য নয়। এটা সার্বজনীন। সকলের তথা, মানবতার কল্যানের জন্য এই বিধান। কোনো দেশ মানলেও ইসলামের বিধান পরিবর্তন হবে না, না মানলেও না। ইসলামের বিধান যা রয়েছে তা-ই থেকে যাবে। সুতরাং, ইসলামের এসব অসাধারণ বিধান দেখে মাথা গরম করেও লাভ হবে না।

তবে, আবোল তাবোল না বকে, ক্ষমতায় কুলোলে মানবাধিকারের এমন অনন্য একটি বিধান আপনার জ্ঞাতি ভাই বোন বন্ধুদের কোনো মিথ টিথ থেকে তুলে এনে দেখান। না পারলে, অপ্রাসঙ্গিক আগডুম বাগডুম করার প্রয়োজন নেই।

ধন্যবাদ।

২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



মানবাধিকার সঠিকভাবে প্রণীত হয়েছে ইউরোপ, অষ্ট্রেলিয়া, কানাডা ও জাপানের রাষ্ট্রীয় আইনে ও সংবিধানে।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:২৭

নতুন নকিব বলেছেন:



মানবাধিকার কোথায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আর কোথায় হয়নি সেটা বলতে এই পোস্ট নয়। ইসলামের মানবাধিকার বিষয়ক একটি ছোট বিধান উল্লেখ করা হয়েছে এখানে।

ইসলামের অনন্য এই সৌন্দর্য্য দেখে কষ্ট হচ্ছে খুব?

৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



রাজতন্ত্রের সময় কোন ধরণের হিউম্যান রাইট ছিলো না; ইসলামের সময় পরাজিতদের দাস ও দাসী বানাতো।

মাত্র ১৯৪৮ সালে "হিউম্যান রাইটস" এর প্রয়োগ শুরু হয়, এর আগে মানুষ এই ধরণের কোন কিছু সঠিকভাবে বুঝতো না।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৩৫

নতুন নকিব বলেছেন:



রাজতন্ত্র ফাজতন্ত্র এখন নেই। এখন গণতন্ত্রের দিন। ওগুলো বলে লাভ নেই।

দাসপ্রথা ইসলাম চালু করেনি। এই প্রথা চলে এসেছে হাজার হাজার বছর পূর্ব থেকে। ইসলাম দাসপ্রথা বিলুপ্তির পথ তৈরি করেছে। অসংখ্য দাস দাসীদের মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুক্ত করে স্বাধীন জীবনে ফিরিয়ে দিয়েছেন। সাহাবিদের অনেকে এই কাজের নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত রেখেছেন।

ইচ্ছে করে চোখ বন্ধ করে অন্ধ হয়ে থাকার ভান করলে, কেউ আপনাকে দেখাতে পারবে না।

ইসলামের কালজয়ী আদর্শ দেখলে কষ্ট লাগে? লাগলেও কিছু করার নেই।

ধন্যবাদ।

৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি বলেছেন, "আর কোনো দেশ নিয়ে এই পোস্ট নয়। ইসলামের বিধি-বিধান নির্দিষ্ট কোনো দেশের জন্য নয়। "

-৪৬টি মুসলিম দেশে মানুষের কোন প্রকার অধিকার আছে বলে মনে হয় না, মানব অধিকার তো দুরের কথা।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৩৮

নতুন নকিব বলেছেন:



৪৬টি মুসলিম দেশে মানুষের কোন প্রকার অধিকার আছে বলে মনে হয় না, মানব অধিকার তো দুরের কথা।

-মুসলিম দেশ যে ৪৬ টি, এই তথ্য আপনি কোথায় পেয়েছেন? বিশ্বস্ত সূত্র দিতে পারবেন?

অধিকার নেই তো কি আছে সেসব দেশে? আপনার ধারণা মতে, সেসব দেশের লোকদের বেঁচে থাকারই কথা নয়। তারা মরে গেছে সব?

৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



আল-কায়েদা ও আইএসএস কিছুটা ইসলামিক মানবাধিকার চালু করেছে; বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে জামাতও কিছুটা চালু করেছিলো।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৫২

নতুন নকিব বলেছেন:



আগেই বলেছি, ইসলামের বিধান চিরন্তন। কেউ মানুন অথবা, না মানুন।

আল কায়েদা বা আইএস এর সন্ত্রাস এর সাথে ইসলাম ধর্মের বিধানকে গুলিয়ে ফেলা অন্যায়। আল কায়েদা বা আইএস যা করেছে তা ইসলামের নির্দেশে করেছে- এটা আপনি কোথায় পেয়েছেন? কিংবা ১৯৭১ সালে আমাদের উপরে পাকিস্তানীদের নিষ্ঠুর বর্বরতাকে ইসলামের বিধান ধরে নিয়ে এগুলোকে ইসলামের কাজ দাবি আপনি কেন করছেন? এটা ইসলাম ধর্মের নামে স্পষ্ট অপবাদ। এবং একটি ধর্মের নামে অপবাদ প্রদান করা গর্হিত পর্যায়ের অন্যায়।

যদিও এসব অন্যায় আপনি অভ্যাসগতভাবেই এই ব্লগে করে থাকেন। এবং বারবার এই ধরণের সীমালঙ্ঘনের কারণে ব্লগের মাননীয় এডমিনের পক্ষ থেকে আপনাকে সতর্ক করার পরেও আপনার লম্ফঝম্ফ একটুও কমে না। বড় জোর, সামান্য কিছু দিন একটু দমে থাকেন। পরে আবার সময় মত আবির্ভূত হন আসল রূপে, অরিজিনাল চেহারায়।

ইসলামে সন্ত্রাসের স্থান নেই। আপনি না জেনে থাকলে ভালোভাবে পড়াশোনা করে জেনে নেন।

ধন্যবাদ।

৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি বলেছেন, "ইসলামের অনন্য এই সৌন্দর্য্য দেখে কষ্ট হচ্ছে খুব? "

-ইসলাম যারা প্রচার করেছেন, তারা এই ধরণের কঠিন শব্দ জীবনে শুনেনি; শুনলে, আজকের মুসলিম দেশগুলোতে উহা থাকতো; ইউরোপ ইহা সম্প্রতি বুঝতে পেরেছে, তাই চালু করেছে।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৫৫

নতুন নকিব বলেছেন:



এই পোস্ট দেখার পরপরই আপনার মাথা ঝিমঝিম করছে সম্ভবতঃ।

আপনি দয়া করে একটু রেস্ট নিন। আয়াতুল কুরছি জানা থাকলে পাঠ করে বুকে একবার ফুঁ দিয়ে নিতে পারেন।

পুরোপুরি সুস্থবোধ করলে পরে আবার মন্তব্য করবেন। সে পর্যন্ত আপনাকে অবসর দিতে সম্মত আছি।

ধন্যবাদ।

৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:




ইসলাম এসেছে 'সামন্তবাদে' বেদুইনদের দেশে; সেখানে মাথা ও হাত কাটা ছিলো নিয়ম, কিসের মানবাধিকারের গল্প আপনি বলছেন?

০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৫৭

নতুন নকিব বলেছেন:



দয়া করে আপনি এলোমেলো কথা বলা পরিহার করলে খুশি হব।

ধন্যবাদ।

৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:





আপনি বলেছেন, "দাসপ্রথা ইসলাম চালু করেনি। এই প্রথা চলে এসেছে হাজার হাজার বছর পূর্ব থেকে। ইসলাম দাসপ্রথা বিলুপ্তির পথ তৈরি করেছে। "

-দাস প্রথা ইসলামের আগেও ছিলো, ইসলামেও ছিলো; সীমিত দাসপ্রথা এখনো আছে আফ্রিকায় ও ভারতে; দাসপ্রথা বিলুপ্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৫৭

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনি সঠিক ইতিহাস পাঠ করুন মেহেরবানি করে।

৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৪৪

জাহিদ হাসান বলেছেন: সৌদি, কাতার, কুয়েত, বাহরাইন, জর্ডান, লেবানন এরা খুবই ধনী দেশ।
সৌদির সম্পদের সামনে জাপান,সুইডেন কিছুই না ভাই। আগে তো এটা ভালো করে জানুন।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:০৫

নতুন নকিব বলেছেন:



ঠিক আছে, সউদির কথা মেনে নিলাম, এটা ধনী দেশ। কিন্তু সিরিয়া, ইয়েমেন আর পাকিস্তানের ব্যাপারে তো আপনি কিছুই বললেন না !

১০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৪৭

জাহিদ হাসান বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:-দাস প্রথা ইসলামের আগেও ছিলো, ইসলামেও ছিলো; সীমিত দাসপ্রথা এখনো আছে আফ্রিকায় ও ভারতে; দাসপ্রথা বিলুপ্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন।


ঠিক বলেন নাই । ইসলাম দাসপ্রথাকে অনুৎসাহিত করেছে। সেই থেকে ধীরে ধীরে কমতে থাকে দাসপ্রথার প্রচলন। পরে আধুনিক সময়ে আব্রাহাম লিংকন আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত ঘোষণা করে। আব্রাহাম লিংকনের ঘোষণার আগেই প্রায় বিলুপ্ত হয়েই গেছিল দাসপ্রথা।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:০৮

নতুন নকিব বলেছেন:



উত্তরটি আপনিই দিলেন। যতটুকু বলেছেন ভালো বলেছেন। সঠিক ইতিহাস না জেনে প্রায় প্রত্যেক বিষয়ে মিথ্যাচার করে যাওয়া এক শ্রেণির লোকের মজ্জাগত স্বভাব। বিশেষ করে ইসলামকে দমিয়ে দেবার জন্য যা যা বলার দরকার তাদেরকে তার সবই বলতে দেখবেন।

ধন্যবাদ।

১১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৫১

নীল আকাশ বলেছেন: ধর্মীয় পোস্ট দেখে যাদের দেশে চুলকানী হয় তাদের মন্তব্যের উত্তর দেবেন না।
এদের মূল উদেশ্য হচ্ছে পোস্টের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়া। আপনি যত উত্তর দিবেন তত পেঁচাবে।
এত দারুন একটা পোস্টে এসে ইচ্ছে করে এইসব মন্তব্য করেছে।
এরা আদতে ১০০% ধান্দাবাজ, যখন যা দরকার পরে সেটাই বলে।
যখন কাজের মেয়ে যৌন নির্যাতন নিয়ে কথা উঠে তখন আরবরা খারাপ। আবার যখন ভাস্কর্য নিয়ে কথা উঠে তখন আবার এদের উদাহরণ দেখায়।
বান্দর'র পাত্তা দিলে মাথায় উঠে। ভুলে যান কেন?

০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:১২

নতুন নকিব বলেছেন:



বান্দর'র পাত্তা দিলে মাথায় উঠে।

-ভুলে গিয়েছিলাম। স্মরণ করিয়ে দিলেন বলে কৃতজ্ঞতা।

গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য রেখে যাওয়ায় অসংখ্য ধন্যবাদ। লাফালাফি দেখে হাসি পায়। পোস্টটা দেখে, বেচারা যেন পাগল হয়ে গিয়েছিল। তার সুস্থতার জন্য দোআ করবেন। আমিও করছি। আল্লাহ তাআ'লা তাকে সুস্বাস্থ্যে দীর্ঘায়ু করুন। সঠিক পথে পরিচালিত করুন।

১২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



কোন রাজতন্ত্রে কোন মানবাধিকার ছিলো না; কেহ এই ধরণের শব্দও শোনেনি তখন। ইসলাম রাজতন্ত্রের সময় জন্ম নিয়ে আরবী রাজতন্ত্র পত্তন করেছিলো; সুতরাং ওখানে কোন মানবাধিকার থাকার প্রশ্নই উঠে না।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:



আগেই বলিয়াছিলাম, আগডুম বাগডুম ছড়া শোনানোর দরকার নেই। তারপরেও কষ্ট করে সেই কাজটিই করে যা্চ্ছেন। মুখস্ত করা এইসব আগডুম বাগডুম আর কাহাতক?

আপনি যাহা লিখিয়াছেন, নিজে ইহার মানে বোঝেন?

ধন্যবাদ।

১৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট পড়লাম। মনে মনে ভেবেছিলাম একটা হাদীসের কথা লেখায় আসবে। আসেনি।

হাদিসটা এই রকমঃ একলোক নতুন বিয়ে করেছে। কিন্তু জনৈক ব্যক্তি নতুন দম্পতির ঘরে উঁকি দেয়।
স্বামী বেচারা নবিজি (স.) এর কাছে নালিশ করলো। নবিজি বললেন, তাকে বুঝিয়ে বলো। ঘরে যেন উঁকি না দেয়।
স্বামী জনৈক ব্যাক্তিকে বুঝিয়ে বললেন। কিন্তু লাভ হলো না। সে আবার দম্পতির ঘরে উঁকি দিলো।
স্বামী আবার নবিজি (স.) এর কাছে নালিশ দিলো। নবিজি (স.) বললেন, আবার বুঝিয়ে বলো।
স্বামী বুঝিয়ে বলল, কিন্তু লাভ হলো না। রাতে জনৈক্য ব্যক্তি আবার দম্পতির ঘরে উঁকি দিলো।
স্বামী আবার নবিজি (স.) কাছে নালিশ দিলো। নবিজি (স.) এবার রেগে গিয়ে বললেন, ওর চোখ উপরে ফেলো।

আমি জানি না, হাদীশটা সঠিক না জাল।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:২১

নতুন নকিব বলেছেন:



এরকম হাদিস আমি কখনও পড়িনি। তাই আপনার উপস্থাপিত বক্তব্যটা হাদিস কি না, এ সম্মন্ধে আমার ধারণা নেই, দুঃখিত!

এর কোনো সূত্র আপনার জানা আছে? মানে, কোন হাদিসগ্রন্থ থেকে এটি সঙ্কলিত সেই তথ্য। থাকলে জানাবেন আশা করি।

ধন্যবাদ।

১৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৩৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ন্যায় , মানবাধিকার সব নিজের ভিতর । প্রথমে নিজে ঠিক হতে হবে নিজের পরিবার এবং সমাজে এইসব প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। বগ্লে নানা মত অমতের ভিতরও আপনি ইসলাম নিয়ে লিখে যাচ্ছেন । কেউ কেউ সকালে ইসলাম চিন্তাবীদ বিকালে পোষ্ট দেয় নাস্তিকের। আপনাকে আল্লাহ ইসলামের খেদমত করার তৌফিক দিন।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৩৮

নতুন নকিব বলেছেন:



চমৎকার অভিমত রেখে গেলেন।

জাজাকুমুল্লাহ।

১৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৪৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ইসলামের প্রতিটা বিধি-বিধান প্রণীত হয়েছে মানব জাতির কল্যান তথা মুসলমানদের কল্যাণে।

ইসলাম এমন সব কাজ-কর্ম নিরুৎসাহিত করে যাতে-যার মাধ্যমে সমাজে পাপের বিস্তার ঘটতে পারে বা পাপ কাজের সুযোগ ঘটে।আর তাইতো ইসলাম অনুমতি ছাড়া অন্যের ঘরে প্রবেশ বা অন্যের ঘরে উকি দেয়া নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছে।তা সবার কল্যাণ এবং মংগলের জন্যই।

অথচ কিছু মানুষ এর ভূল বা অপব্যাখ্যা করে কিন্তু তার অর্ন্তঃনিহিত তাৎপর্য অনুধাবন করতে চায়না।এটাই সমস্যা।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৩৮

নতুন নকিব বলেছেন:



শুকরিয়া অর্থপূর্ণ মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।

জাজাকুমুল্লাহ।

১৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:০৮

অগ্নিবেশ বলেছেন: চুরিকে নিরুৎসাহিত করার জন্য চোরাই মাল কিনেছে।
ঘরে দাস দাসী পুষে মানবাধিকারের কথা বলছে, হাস্যকর।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



চোরাই মাল কিনলো আবার কে?

ঘরে দাস দাসী পোষার ব্যাপকতা যে সমাজে মহামারির মত ছড়িয়ে ছিল। সেখানে পাঁচজনের পরিবর্তে একজন রাখলে ক্ষতি কি? কমাতে কমাতে একসময় শুন্যতে নেমেছে। বিশ্ব দাস মুক্ত হওয়ার স্বপ্ন দেখতে সক্ষম হয়েছে একটা সময়ে এসে।

আসলে বিশ্ব এখনও, আজকের এই আধুনিক সময়ে এসেও সত্যিকারার্থে দাসমুক্ত হতে পেরেছে কি? কর্পোরেট দাস, অভিবাসী দাস, চাকরির নামে দাস, শিল্প উন্নয়নের নামে দাস ব্যবসা- নব্য কত আইটেমের দাস ব্যবসা যে চালু হয়েছে, সেগুলোর ব্যাপারে কখনও প্রশ্ন জাগে না মাথায়?

ধন্যবাদ।

১৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:২২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: এরকম হাদিস আমি কখনও পড়িনি। তাই আপনার উপস্থাপিত বক্তব্যটা হাদিস কি না, এ সম্মন্ধে আমার ধারণা নেই, দুঃখিত! এর কোনো সূত্র আপনার জানা আছে? মানে, কোন হাদিসগ্রন্থ থেকে এটি সঙ্কলিত সেই তথ্য। থাকলে জানাবেন আশা করি।
ধন্যবাদ।

না এই মুহুর্তে তথ্যটা আমার মনে আসছে না।
খেজুর কাটা দিয়ে একটা মানুষের চোখ উপরে ফেলবে!!! কি ভয়ানক কথা।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ রাত ৮:১৯

নতুন নকিব বলেছেন:

'খেজুর কাঁটা'র কথা তো কোনো হাদিসের ভাষ্য ছিল না। আপনি এটা কোথায় পেলেন?

১৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ রাত ১০:৩৬

ইসিয়াক বলেছেন: পোস্ট ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার।

০৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:



শুকরিয়া।

কল্যানের দুআ প্রিয় কবি।

১৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ রাত ১১:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন:

'খেজুর কাঁটা'র কথা তো কোনো হাদিসের ভাষ্য ছিল না। আপনি এটা কোথায় পেলেন?

পড়েছি কোথাও না কোথাও। কিন্তু এখন মনে করতে পারছি না। মনে পড়লে আপনাকে জানাবো।

০৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:১৬

নতুন নকিব বলেছেন:



জ্বি, জানাবেন আশা করি।

ধন্যবাদ।

২০| ০৫ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:২৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ইসলামের বেশিরভাগ বিষয়ই মানবাধিকার বিরোধী।অনেক গুলো আছে দন্ডনীয় অপরাধ।

০৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:২০

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় ভাই,

আপনি দয়া করে সঠিকভাবে ইসলামকে জানুন। আমি নিশ্চয়তা দিতে পারি, আপনার এসব অভিযোগের উত্তর অবশ্যই খুঁজে পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।

নিরন্তর শুভকামনা আপনার জন্য। ধন্যবাদ।

২১| ০৫ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১:১৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: চাঁদগাজির প্রশ্নের উত্তর আপনি সঠিক ভাবে দিচ্ছেন না। নাকি দিতে পারছেন না। দিলে আলোচনাটা আরো উপভোগ্য হতো।

০৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:২৮

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় ভাই,

ঠিকই বলেছেন। এর পেছনে হয়তো দু'টো কারণই থেকে থাকতে পারে।

সর্বোপরি আপনার আগমন ভালো লাগলো।

সময়ের সংক্ষিপ্ততা, জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা, ধৈর্য্যের অপর্যাপ্ততা- ইত্যাদি নানান বিষয় আমাদের উপস্থাপনাকে সীমিতাকার দিচ্ছে। ইসলামের সত্যিকারের সৌন্দর্য্য আভাকে বাস্তবিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হচ্ছি না। ইসলামের সত্যিকারের আদর্শকে বোধগম্য ভাব এবং ভাষায় তুলে ধরতে পারছি না।

দুঃখিত! এতসব দুর্বলতার জন্য নিঃশর্তভাবে আল্লাহ তাআ'লার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আপনাদের কাছেও। প্রিয় চাঁদগাজী ভাইয়ের কাছেও।

অনেক ভালো থাকবেন, প্রার্থনা।

২২| ০৫ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৪:২৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
জাহিদ হাসান বলেছেন - আব্রাহাম লিংকনের ঘোষণার আগেই আরবে বিলুপ্ত হয়েই গেছিল দাসপ্রথা।

একদম ভুল কথা।
আব্রাহাম লিংকন দাসপ্রথা বিলুপ্ত করার পরও সৌদিআরবে দাসপ্রথা দাস ব্যাবসা চালু ছিল, আইনের মাধ্যমেই দাসদাসী বেচাকেনা চলতো। সৌদিআরব দাসপ্রথা বিলোপ করেছি ১৯৬৩ সালে, এরপরও লুকিয়ে ব্যাবসা চলেছে।

২৩| ০৫ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৭:০৮

অগ্নিবেশ বলেছেন: কর্পোরেট দাস বৈধ হলে ইসলামেও দাসপ্রথা বৈধ ব্যপারটা এইরকম তাইকি?
শুকর খাওয়া যেমন হারাম, দাসপ্রথাও হারাম করে দিলে হতো না?
নাকি শুকরের গোস্ত ১ কেজির কম খেলে অসুবিধা নেই, পাঁচটা
দাস রাখা হারাম কিন্ত একটা রাখা হালাল, এমন গাঁজাখুরি নিয়ম
করার অর্থ কি? আপনাদের পুরো ব্যাপারটাই পরস্পরবিরোধী।
দাস টাস ঠিকই পুষছে আবার মানবাধিকার টানবাধিকার বলছে,
আবার একজন বলছে সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

২৪| ০৫ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:১৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমাদের নবীর ঘরে কেউ উঁকি দেওয়াতে তিনি চিরুনি দিয়ে তার চোখ উপরে ফেলতে চেয়েছেন! সামান্য এই কারনে তিনি চোখ উপরে ফেললে বাংলাদেশের অর্ধেক মানুষ অন্ধ হয়ে যাবে।

২৫| ০৫ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৪৩

জাহিদ হাসান বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী সৌদি আরবের মানুষ দিয়ে ইসলামকে বিচার করা ঠিক না। আপনি দেখবেন ইসলামী শাস্ত্রগুলো কি বলে আর নবীর জীবনাদর্শ।

২৬| ০৫ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৩৫

অগ্নিবেশ বলেছেন: জাহিদ হাসান, সৌদি দেখে ইসলাম বিচার করা ঠিক না ভালো কথা কিন্ত গাছ চিনবেন কি করে? ফুল দেখে না ফল দেখে না পাতা দেখে? দেশে দেশে মুসলমানদের এই দুর্দশার কারন কি? সবই কি ইহুদিদের ষড়যন্ত্র না মুসলমানেরা পরলোকের সুখের আশায় ইহজগত ভূলে গেছে? চিন্তা করতে শিখুন, প্রশ্ন করতে শিখুন।

২৭| ০৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৩১

এভো বলেছেন:

২৮| ২৯ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:৫৮

সোনালি কাবিন বলেছেন: কিছু দুস্ট ব্লগার লেখকরে ভালোই ডলা দিছে :P

২৯| ২৯ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:২১

মৃন্ময়ী শবনম বলেছেন: #রাজীব নুর হুমায়ূন আহমেদের গল্পে ও তার নাটকে খেজুর কাঁটা দিয়ে চোখ উঠানোর গল্প আছে। মূল অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর। গল্পের নাম চোখ। নাটকের নাম চোখ / মতি মিয়া চোর বা এই ধরনের কিছু একটা হবে।

#রাজীব নুর ধর্ম ও রাসুল নিয়ে আর উল্টা পাল্টা মন্তব্য করবেন না।

#চাঁদগাজী সাহেব, মানবাধিকার কোন দেশে আছে? নাম বলুন আমরা জানতে চাই বিশ্বের কোন দেশে মানবাধিকার আছে?


৩০| ২৯ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৮:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



@মৃন্ময়ী শবনম,

সুইডেন, নরওয়ে, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ড, কানাডা, সুইজারল্যান্ড ...

৩১| ২৯ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:০৮

মৃন্ময়ী শবনম বলেছেন: #চাঁদগাজী সাহেব,
সুইস ব্যাংকগুলো কিভাবে টাকা আত্মসাৎ করে ! আপনার উত্তর এখানে দেওয়া হয়েছে। ধন্যবাদ।।

৩২| ৩০ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:০৯

পাঁচ-মিশালি বলেছেন: হজরত ,
কাফের ,বিধর্মীদের মানবাধিকারের ধারণা এবং ইসলামের মানবাধিকারের ধারণা এক নয়। কাফেরদের ধারণার পরিবর্তন হতে পারে ,কিন্তু ইসলামের এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রদর্শিত পথ -সেটা মানবাধিকার সংক্রান্তই হোক অথবা অন্য বিষয় সংক্রান্ত -তা কেয়ামত পর্যন্ত অপরিবর্তিতই থাকবে।

সবাই সহীহ ইসলাম প্রদর্শিত পথে চলার তাওফিক প্রাপ্ত হউন। একটা সহীহ হাদিস পড়া যাক :

গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) | অধ্যায়ঃ ৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) | হাদিস নাম্বারঃ ৩৮৭৮ (৪১৯২)

২২০০. উকল ও উরায়না গোত্রের ঘটনা

৩৮৭৮। আবদুল আ’লা ইবনু হাম্মাদ (রহঃ) ... কাতাদা (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আনাস (রাঃ) তাদেরকে বলেছেন, উকল এবং উরায়না গোত্রের কতিপয় লোক মদিনাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে কালেমা পড়ে ইসলাম গ্রহণ করল। এরপর তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলল, হে আল্লাহর নবী! আমরা দুগ্ধপানে অভ্যস্ত লোক, আমরা কৃষক নই। তারা মদিনার আবহাওয়ায় তাদের নিজেদের জন্য অনুকূল বলে মনে করল না।

তাই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে একজন রাখালসহ কতগুলো উট দিয়ে মদিনার বাইরে মাঠে চলে যেতে এবং ওইগুলোর দুধ ও পেশাব পান করার নির্দেশ দিলেন। তাঁরা যেতে যেতে হাররা নামক স্থানে পৌঁছে ইসলাম ত্যাগ করে পুনরায় কাফের হয়ে যায়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এ সংবাদ পৌঁছালে তিনি তাদের অনুসন্ধানে তাদের পিছনে লোক পাঠিয়ে দেন। (তাদের পাকড়াও করে আনা হলে) তিনি তাদের প্রতি কঠিন দণ্ডাদেশ প্রদান করলেন। সাহাবীগণ লৌহ শলাকা দিয়ে তাদের চক্ষু উৎপাটিত করে দিলেন এবং তাদের হাত কেটে দিলেন। এরপর হাররা এলাকার এক প্রান্তে তাদেরকে ফেলে রাখা হল। অবশেষে এ অবস্থায়ই তারা মারা গেল।

কাতাদা (রহঃ) বলেন, এ ঘটনার পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রায়ই লোকজনকে সাদকা প্রদান করার জন্য উৎসাহিত করতেন এবং মুসলা থেকে বিরত রাখতেন। শুবা, আবান এবং হাম্মাদ (রহঃ) কাতাদা (রহঃ) থেকে উরায়না গোত্রের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। ইয়াহইয়া ইবনু আবূ কাসীর ও আইয়ুব (রহঃ) আবূ কিলাবা (রহঃ) এর মাধ্যমে আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, উকল গোত্রের কতিপয় লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসেছিল।

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
https://www.hadithbd.com/

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:১৬

নতুন নকিব বলেছেন:



দাদা ভাই,

শুধু একটি হাদিসের উল্লেখ করে উরাইনা বা উকল গোত্রের আট ব্যক্তিকে শাস্তি প্রদানের ঘটনাটির আদ্যোপান্ত অনুধাবন করার সুযোগ নেই। এই কারণে উক্ত উরাইনা বা উকল গোত্রের আট ব্যক্তির নির্মম পরিণতির নেপথ্যের ঘটনা জানতে হলে প্রথমে দয়া করে নিচে উল্লেখিত ঘটনার প্রকৃত বিবরণ পড়ুন, পারলে তারপরে মন্তব্যে আসুন-

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চরিত্রের অভাবনীয় উদারতার প্রতি অভিযোগ আরোপ করার পূর্বে সঠিক ইতিহাস এবং হাদিসের আলোকে প্রতিটি বিষয় ঠিকঠিকভাবে জানা থাকা জরুরি। অন্যথায়, একটি ঘটনার আগের পরের ঘটনা পরম্পরা পুরোপুরি না জেনে, কোনো একটি হাদিসের উদ্ধৃতি প্রদান উদ্দেশ্য প্রণোদিত মনে হওয়া স্বাভাবিক এবং এ জাতীয় প্রচেষ্টা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার অবকাশ থেকেই যায়।

সহিহ বুখারিসহ বিভিন্ন হাদিস গ্রন্থে একটি ঘটনা পাওয়া যায় যে, উরাইনা গোত্রের (কোন কোন বর্ণনা অনুযায়ী উকল গোত্রের বা উভয় গোত্রের) ৮ জন লোক ইসলাম গ্রহণ করে, কিন্তু মদিনার আবহাওয়া তাদের জন্য অনুকূল না হওয়ায় তারা রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের মদিনার বাইরের একটা জায়গায় পাঠান এবং (চিকিৎসাস্বরূপ) সেখানকার সদকার উটের দুধ এবং মূত্র পান করতে বলেন। তারা সেখানে যায় এবং উটের দুধ ও মূত্র পান করে, ফলে তাদের রোগমুক্তি ঘটে এবং তারা মোটাসোটা হয়ে ওঠে। অত:পর তারা ইসলাম পরিত্যাগ করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর নিযুক্ত উটের রাখালকে হত্যা করে এবং উটগুলো নিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি বাহিনী পাঠিয়ে তাদের পাকড়াও করে নিয়ে আসেন এবং তাদের শাস্তি দেন।

তাদের যে শাস্তির কথা হাদিসে এসেছে তা হলো:

১. তাদের হাত-পা কেটে দেওয়া হয়।

২. তাদের চোখ উত্তপ্ত লৌহ-শলাকা দিয়ে গলিয়ে দেয়া হয় বা বের করে ফেলা হয়।

৩. তারা পিপাসার্ত হয়ে পানি চেয়েছিল, কিন্তু তাদের পানি দেয়া হয়নি।

৪. তাদেরকে মৃত্যু পর্যন্ত ‘আল-হাররা’ নামক প্রস্তরময় স্থানে ফেলে রাখা হয়।

এখানে একটা অভিযোগ আসে, হত্যার বিনিময় হত্যা না হয় করা হলো, কিন্তু এত নির্মমভাবে কেন? বিচারের চেয়ে হিংস্রভাবে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করাই কী তবে এই ঘটনায় প্রাধান্য পেয়েছে? এবার আসুন, দেখে নেই, উরাইনা বা উকল গোত্রের লোকগুলোর কৃতকর্মের সাথে তাদেরকে প্রদানকৃত শাস্তির তুলনামূলক অবস্থাটা মূল্যায়ন করি।

প্রথমেই দেখা দরকার যে, তারা কী কী অপরাধ করেছিল?

এক. হাদিস হতে:

আনাস রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের চোখ উপড়ে ফেলেন। কারণ, তারাও রাখালের চোখ উপড়ে ফেলেছিল। -সূত্র: Muslim Book: 16, Chapter: 2, Number: 4137

দুই. ইতিহাস গ্রন্থ হতে:

তারা (বর্ণনাকারিগণ) বলেন: উরাইনাহর ৮ জনের একটি দল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে এলো এবং ইসলাম গ্রহণ করলো, কিন্তু মদিনার আবহাওয়া তাদের জন্য অনুকূল হলো না। ফলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদেরকে তাঁর দুগ্ধবতী উটসমূহের কাছে বসবাস করতে আদেশ দিলেন যেগুলো মদিনা হতে ৬ মাইল দূরে ‘আইর’ এর নিকটবর্তী ‘কুবা’র সংলগ্ন ‘যুল জাদর’ নামক স্থানে চরে বেড়াত। আরোগ্যলাভ করে মোটা হয়ে যাওয়া অবদি তারা সেখানে অবস্থান করলো। একদিন সকালে তারা উটের পালের ওপর হামলা চালালো এবং সেগুলোকে তাড়িয়ে নিয়ে গেল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর রাখাল ইয়সার একটি দল নিয়ে তাদের ধাওয়া করলেন। তিনি তাদের সাথে লড়াই করলেন। তারা তার [রাখালের] হাত-পা কেটে দিলো এবং তার জিহ্বা এবং চোখ কাঁটা দিয়ে খোঁচালো, যার ফলশ্রুতিতে তিনি মারা গেলেন। -সূত্র: ইবনে সা’দের ‘ কিতাব আত তাবাক্বাত আল কাবির’, ২ খ:, পৃ: ১১৪, (ইংরেজি অনুবাদ- এস মঈনুল হক

আমরা না হয় ভুলে গেলাম উরাইনা বা উকল গোত্রের লোকগুলোর অকৃতজ্ঞতার কথা, ভুলে গেলাম তাদের কৃতঘ্নতার কথা, ভুলে গেলাম তাদের ধর্মদ্রোহিতা কিংবা রাষ্ট্রদ্রোহিতার কথা, ভুলে গেলাম তাদের বিশ্বাসঘাতকতা এবং ডাকাতির কথা; কিন্তু তাদের যে অপরাধগুলোর কথা ভুলে যাওয়া যায় না, ভুলে যাওয়ার অবকাশ থাকে না, ভুলে গেলে চলেই না, তা হলো-

১. তারা রাখালের হাত-পা কেটে দিয়েছিল।

২. তারা কাঁটা দিয়ে রাখালের জিহ্বা এবং চোখ খুঁচিয়ে তার মৃত্যু ঘটিয়েছিল।

৩. ক্ষত-বিক্ষত জিহ্বা নিয়ে ঐ রাখাল যখন মারা যাচ্ছিল তখন সেও তো নিশ্চয়ই পিপাসার্তই ছিল। তাকে কি এই ডাকাতের দল এক ফোঁটা পানি পান করিয়েছিল?

তাহলে কি এই প্রশ্ন আসতে পারে না যে, উরাইনা বা উকল গোত্রের লোকগুলোকে শাস্তি প্রদানের সময় পিপাসার্ত অবস্থায় কেন পানি দেয়া হবে? অথচ তারা নির্মমভাবে খুঁচিয়ে রাখালের জিহ্বাকে ক্ষত-বিক্ষত করেছিল, তাদের তো সৌভাগ্য যে তাদের জিহ্বাও একইভাবে ক্ষত-বিক্ষত করা হয়নি!

তারা যেমন নির্মম, নিষ্ঠুর, নির্দয়ভাবে কষ্ট দিয়ে দিয়ে রাখালকে হত্যা করেছিল, শাস্তিস্বরূপ ঠিক একই পরিণতি তারাও বরণ করেছে। বরং, তাদেরকে কিছু ক্ষেত্রে রাখাল ইয়াছারের চেয়ে কিছুটা কমই শাস্তি ভোগ করতে হয়েছে।

একটি বিষয় বুঝতে হবেঃ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষ হিসেবে সর্বাধিক দয়ালু, এতে সন্দেহ নেই। অসংখ্য অপরাধীকে ক্ষমা করার ঘটনা তার স্পষ্ট প্রমান। যুক্তির খাতিরে তাই বলতে হয়, তিনি মানুষ হিসেবে সর্বাধিক দয়ালু হতে পারেন, রহমাতুল্লিল আলামিন হতে পারেন, নিজের হত্যা চেষ্টাকারীকে তিনি মাফ করে দিতে পারেন, তার খাবারে কেউ বিষ মিশিয়ে দিলে তাকেও তিনি ছেড়ে দিতে পারেন, ঘুমন্ত অবস্থায় তার মাথার ওপর তলোয়ার উত্তোলনকারীর প্রতিও দয়া দেখাতে পারেন; কিন্তু তিনি যখন বিচারকের আসনে বসেন তখন নির্মম, নিষ্ঠুর, পাশবিক হত্যাকাণ্ড সংঘটনকারীদের প্রতি দয়া, সহানুভুতি বা সহমর্মিতা দেখাবার কোন অধিকার শুধু তাঁর নয়, কারোরই থাকতে পারে না। কোনো অবস্থায়ই থাকা উচিত নয়। থাকার প্রশ্নই উঠতে পারে না। যারা তার ব্যক্তিগত জীবনে কারও নিকট থেকে ব্যক্তিগত বিষয়াবলীতে ক্ষমার অসংখ্য দৃষ্টান্তকে বিচারের ক্ষেত্রগুলোতেও দেখতে চান, দুঃখজনকভাবে এটাকে তাদের নির্বুদ্ধিতা ছাড়া আর কিছু বলার অবকাশ থাকে না। অতএব, অনর্থক না জেনে, ইতিহাস না পড়ে, সঠিক তথ্য ও তত্ত্ব উপলব্ধি না করে বৃথা মায়াকান্না না করে আসুন, জ্ঞানের পরিধিকে প্রশস্ত করি। দৃষ্টিভঙ্গিকে সমুন্নত করি। কারও সমালোচনা করার পূর্বে কিঞ্চিত ভাবনার অবকাশ গ্রহন করি। আল্লাহ তাআ'লা আমাদের তাওফিক দান করুন।

এই ঘটনার বিবরণ বিভিন্ন হাদিসে এসেছে। আরও বেশি জানতে হাদিসের কিতাবগুলোতে দেখে নিতে পারেন। ঘটনাটির উল্লেখ রয়েছে এমন কিছু হাদিসের সূত্র এখানে যুক্ত করা হলো-

Bukhari Vol.1, Book 4, No.: 234; Bukhari Vol.2, Book 24, No.: 577; Bukhari Vol.4, Book 52, No.: 261; Bukhari Vol.5 Book 59, No.: 505; Bukhari Vol.7, Book 71, No.: 589; Bukhari Vol.7, Book 71, No.: 590; Bukhari Vol.7, Book 71, No.: 623; Bukhari Vol.8, Book 82, No.: 794; Bukhari Vol.8, Book 82, No.: 796; Bukhari Vol.8, Book 82, No.: 797; Muslim Book: 16, Chapter: 2, Number: 4130; Muslim Book: 16, Chapter: 2, Number: 4137

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.