নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কথক

The world's biggest power is the youth and beauty of a woman.

নাজিমুদ্দিন পাটোয়ারী

I am very simple, complaisant

নাজিমুদ্দিন পাটোয়ারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে খেজুর গাছ, আসুন একটি করে খেজুর গাছ রোপন করি।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২৪



খুব বেশি নয়, ১০ বছর আগের কথা। গ্রামের রাস্তার দু পাশে, ক্ষেতের আইল এবং ভিটায় সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকত যে গাছটি তা আজ বিলুপ্তির পথে। সরিষা, মটরশুঁটি এবং ধান ক্ষেতের পাশে খেজুর গাছ গ্রামের প্রকৃতির এক চেনা রূপ। এই রূপটি শতদুর পাড়ি দিলেও এখন আর দেখা যায়না। শীত ঋতুতে খেজুর গাছ কর্তন, গাছিরা কাঁধে নিয়ে হেলে ধুলে রসের ঠিল্লা বাজারে বইয়ে নিয়ে যাওয়া – এ যেন আমাদের সংস্কৃতির অনন্য সৌন্দর্যের দিক। শীত আসলেই এই বৃক্ষটির কদর অনেক বেড়ে যায়। কারন এই গাছটিই আমাদের শীতকালে মধুময় রস উপহার দেয়। শীতের সকালে খেজুর রস দিয়ে ফিন্নি খেতে কার না ভাল লাগে। খেজুর রস প্রোটিন-সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর এবং মুখরোচক একটি পানীয়। কিন্তু খেজুর রস এখন অনেকের নাগালের বাইরে। ৫ বছর আগেও ১ ঠিল্লা রসের দাম ছিল ৪০-৫০ টাকা। আর এখন টাকা নিয়ে বসে থাকলেও অনেক সময় পাওয়া যায় না।

এই মধুবৃক্ষটির বিলুপ্তির প্রধান কারন বোধহয় রোপন স্বল্পতার কারনে। আমাদের পুর্বপুরুষগন যা রোপন করে গেছেন তাই আমারা এখন ভোগ করে যাচ্ছি। আমাদের দাদা-নানারা একটা আমের আঁটি অথবা খেজুর দানাও ফেলতেন না। অতি যত্নে তা মাটিতে পুতে রাখতেন; সেখান থেকেই হত নতুন বৃক্ষ। আর আমরা ডিজিটাল সমাজ তো রোপন দুরের কথা আম এবং খেজুর খাওয়ার পরে দানাটি অপরের গাঁয়ে নিক্ষেপ করি। ফলে যে গাছটি মারা যাচ্ছে অথবা কেটে হচ্ছে তা শূন্যতা আর পুরন হয় না। তাই এই জন্যই বলি, আগামী ১০ বছর পরে খেজুর গাছ হবে এক ঐতিহ্যের নাম।খুব বেশি নয়, ১০ বছর আগের কথা। গ্রামের রাস্তার দু পাশে, ক্ষেতের আইল এবং ভিটায় সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকত যে গাছটি তা আজ বিলুপ্তির পথে। সরিষা, মটরশুঁটি এবং ধান ক্ষেতের পাশে খেজুর গাছ গ্রামের প্রকৃতির এক চেনা রূপ। এই রূপটি শতদুর পাড়ি দিলেও এখন আর দেখা যায়না। শীত ঋতুতে খেজুর গাছ কর্তন, গাছিরা কাঁধে নিয়ে হেলে ধুলে রসের ঠিল্লা বাজারে বইয়ে নিয়ে যাওয়া – এ যেন আমাদের সংস্কৃতির অনন্য সৌন্দর্যের দিক। শীত আসলেই এই বৃক্ষটির কদর অনেক বেড়ে যায়। কারন এই গাছটিই আমাদের শীতকালে মধুময় রস উপহার দেয়। শীতের সকালে খেজুর রস দিয়ে ফিন্নি খেতে কার না ভাল লাগে। খেজুর রস প্রোটিন-সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর এবং মুখরোচক একটি পানীয়। কিন্তু খেজুর রস এখন অনেকের নাগালের বাইরে। ৫ বছর আগেও ১ ঠিল্লা রসের দাম ছিল ৪০-৫০ টাকা। আর এখন টাকা নিয়ে বসে থাকলেও অনেক সময় পাওয়া যায় না।

এই মধুবৃক্ষটির বিলুপ্তির প্রধান কারন বোধহয় রোপন স্বল্পতার কারনে। আমাদের পুর্বপুরুষগন যা রোপন করে গেছেন তাই আমারা এখন ভোগ করে যাচ্ছি। আমাদের দাদা-নানারা একটা আমের আঁটি অথবা খেজুর দানাও ফেলতেন না। অতি যত্নে তা মাটিতে পুতে রাখতেন; সেখান থেকেই হত নতুন বৃক্ষ। আর আমরা ডিজিটাল সমাজ তো রোপন দুরের কথা আম এবং খেজুর খাওয়ার পরে দানাটি অপরের গাঁয়ে নিক্ষেপ করি। ফলে যে গাছটি মারা যাচ্ছে অথবা কেটে হচ্ছে তা শূন্যতা আর পুরন হয় না। তাই এই জন্যই বলি, আগামী ১০ বছর পরে খেজুর গাছ হবে এক ঐতিহ্যের নাম।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সতয়িই খেজুর গাছ এখন অনেক কমে গেছে

২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪৭

জুন বলেছেন: এই মধুবৃক্ষটির বিলুপ্তির প্রধান কারন বোধহয় রোপন স্বল্পতা নয় এর প্রধান কারন ব্যাংএর ছাতার মত শহর গ্রামে গজিয়ে ওঠা ইটের ভাটা ।

৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫৯

আহলান বলেছেন: হুম ...গুরুত্ব পূর্ন পোষ্ট ...টেলপে ১৮+ লাগালে দেখতেন কতজনে হুমড়ি খেয়ে পড়তে আসতো .... ;)

৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:০১

ঢাকাবাসী বলেছেন: বিলুপ্তির প্রধান কারণ ইটের ভাটা আর ভাটা হচ্ছে অতিরিক্ত মানুষের বাসস্হান আর নগরায়নের জন্য। মানুষ উৎপাদন কমলে সব ঠিক হতো। ভোট বাড়াবার জন্য সরকার মানুষ উৎপাদন কমাতে চায় না!

৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:১১

জ্যানাস বলেছেন: খেজুড় বা আম গাছের মত দেশি গাছের বদলে এখন তো বিদেশি গাছ লাগান তে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে যে গুলি পরিবেশ এর জন্য ক্ষতিকর।

৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৫৫

তুষার কাব্য বলেছেন: আসলেই খেজুর গাছ বিপুপ্তির পথে...আমার বাড়িতে একটা আছে যদিও কিন্তু পুরো গ্রামের কথা যদি বলি তবে আশাহত হই ।

৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৬

সুমন জেবা বলেছেন: আমার গ্রামের বাড়িতে এক সময় অনেক ছিল ।শীতের সকালে গ্লাস হাতে নিয়ে দাড়িয়ে থাকতাম রস খাবো বলে.. এখন যদিও ২/১ টা আছে তাও কদিন পর আর থাকবেনা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.