নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কথক

The world's biggest power is the youth and beauty of a woman.

নাজিমুদ্দিন পাটোয়ারী

I am very simple, complaisant

নাজিমুদ্দিন পাটোয়ারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মনোমুগ্ধকারী আমার গ্রাম

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:১৯





যখন বিষন্ন হয়ে যায় মন; শ্বাসরুদ্ধকর শহুরে আবহাওয়ায় মন হয়ে যায় এগঘেয়েমি; তখনি ছুটে যাই আমার সে ছোট্র গ্রামে। যে গ্রাম আমাকে সতেজতায় ভরে দেয়; দেহমনে ফিরিয়ে দেয় উদ্যম আর প্রাণচঞ্চলটা। শিকড়ে ফিরে আসার আনন্দ সব আনন্দকে ছাড়িয়ে যায়। প্রদোষকালে নীড়ে পাখি ফিরে আসার স্বস্থির মতই স্বস্থির আওয়াজ তুলি। গাঁয়েই আমার সবকিছু। আমার রক্তের সম্পর্কের আত্বার মানুষগুলোর চাঁদের হাট সেখানেই।



গ্রামের প্রধান আকর্ষন তার নয়নাভিরাম সতেজ প্রকৃতি। সবুজ-শ্যামল ছাড়াঢাকা গ্রামে পাখির কুহুতান আর নির্মল সমীরণের গুঞ্জন মন ভরে দেয়।









গ্রামে রয়েছে নানা চেনা-অচেনা ফুলের সমাহার। ঘাস্ফুল থেকে শুরু করে বাগানে জংলি গাছের মধ্যে ফোটা নানা পুস্পের আলিঙ্গনে গ্রাম হয়েছে সুন্দর।





আমার অপার সৌন্দর্যমাখা গ্রামখানির প্রাকৃতিক দৃশ্য অবলোকন করে যে কেউ বিমুগ্ধ চিত্তে তাকিয়ে থাকবে।







কবি জসিম উদ্দিনের কবিতায় বাংলাদেশের গ্রাম প্রকৃতির যে ছবি অংকিত হয়েছে তা আমার গ্রামের দিকে তাকালে সহজেই অনুধাবন করা যায় –





কবির ভাষায়-

“গলাগলি ধরি কলা বন; যেন ঘিরিয়া রয়েছে তায়,

সরু পথ খানি সুতায় বাঁধিয়া

দূর পথিকেরে আনিছে টানিয়া,

বনের হাওয়ায়, গাছের ছায়ায়, ধরিয়া রাখিবে তায়,

বুকখানি তার ভরে দেবে বুঝি, মায়া আর মমতায়!

ঘন কালো বন - মায়া মমতায় বেঁধেছে বনের বায়।“







তো গ্রামে গেলেই হয়ে যাই বড্ড ভবঘুর। বন্ধুদের সঙ্গে শুধু এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ানো আর খেলাধুলায় মেতে উঠা- সারাদিন কাটে এভাবেই। আমি শহরে যেন খাচাবন্দী পাখি হয়ে যাই। আর গ্রাম আমাকে দেয় মুক্তি; মনের আনন্দে আমি ঘুরে বেড়াই। ভবঘুর স্বভাব আর অনিয়মিত অন্ন গ্রহনের কারনে মায়ের কত যে বকুনি খেয়েছি তার হিসাব বোধহয় অসম্ভব।











শহরে এসে আমি হয়ে গেছি ইটের তলায় আলো আর বাতাস বঞ্চিত বর্নহীন ঘাসের মত।









শেষ করব আমাদের গ্রাম নিয়ে ছোট্ট একটি কবিতা দিয়ে



"সুনিবিড় ছায়া ঢাকা গ্রাম খানি মোর ।

সবুজশ্যামলে ঘেরা পাখি ডাকা ভোর ।

এঁকে বেঁকে পথখানি মিলায় সুদূর ।

দু'পাশের গাছে গাছে ফল আর ফুল ।

অপরূপ এ গ্রামখানি ছবিতে আঁকা ।

শিল্পীর মায়াময় এক সুষমা মাখা ।



সোনালী ধানের ক্ষেত ফসলের বান ।

শীতল বাতাসে পাবে সরিষার ঘ্রাণ ।

রাতের আকাশে পাবে তারা, সুধাকর ।

প্রকৃতির রূপ দেখে কাটাই প্রহর ।

সাজানো গোছানো সব প্রভুরই গড়া ।

আমাদের গ্রামখানি মমতায় ভরা ।

যখন বিষন্ন হয়ে যায় মন; শ্বাসরুদ্ধকর শহুরে আবহাওয়ায় মন হয়ে যায় এগঘেয়েমি; তখনি ছুটে যাই আমার সে ছোট্র গ্রামে। যে গ্রাম আমাকে সতেজতায় ভরে দেয়; দেহমনে ফিরিয়ে দেয় উদ্যম আর প্রাণচঞ্চলটা। শিকড়ে ফিরে আসার আনন্দ সব আনন্দকে ছাড়িয়ে যায়। প্রদোষকালে নীড়ে পাখি ফিরে আসার স্বস্থির মতই স্বস্থির আওয়াজ তুলি। গাঁয়েই আমার সবকিছু। আমার রক্তের সম্পর্কের আত্বার মানুষগুলোর চাঁদের হাট সেখানেই।



গ্রামের প্রধান আকর্ষন তার নয়নাভিরাম সতেজ প্রকৃতি। সবুজ-শ্যামল ছাড়াঢাকা গ্রামে পাখির কুহুতান আর নির্মল সমীরণের গুঞ্জন মন ভরে দেয়।









গ্রামে রয়েছে নানা চেনা-অচেনা ফুলের সমাহার। ঘাস্ফুল থেকে শুরু করে বাগানে জংলি গাছের মধ্যে ফোটা নানা পুস্পের আলিঙ্গনে গ্রাম হয়েছে সুন্দর।





আমার অপার সৌন্দর্যমাখা গ্রামখানির প্রাকৃতিক দৃশ্য অবলোকন করে যে কেউ বিমুগ্ধ চিত্তে তাকিয়ে থাকবে।







কবি জসিম উদ্দিনের কবিতায় বাংলাদেশের গ্রাম প্রকৃতির যে ছবি অংকিত হয়েছে তা আমার গ্রামের দিকে তাকালে সহজেই অনুধাবন করা যায় –





কবির ভাষায়-

“গলাগলি ধরি কলা বন; যেন ঘিরিয়া রয়েছে তায়,

সরু পথ খানি সুতায় বাঁধিয়া

দূর পথিকেরে আনিছে টানিয়া,

বনের হাওয়ায়, গাছের ছায়ায়, ধরিয়া রাখিবে তায়,

বুকখানি তার ভরে দেবে বুঝি, মায়া আর মমতায়!

ঘন কালো বন - মায়া মমতায় বেঁধেছে বনের বায়।“







তো গ্রামে গেলেই হয়ে যাই বড্ড ভবঘুর। বন্ধুদের সঙ্গে শুধু এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ানো আর খেলাধুলায় মেতে উঠা- সারাদিন কাটে এভাবেই। আমি শহরে যেন খাচাবন্দী পাখি হয়ে যাই। আর গ্রাম আমাকে দেয় মুক্তি; মনের আনন্দে আমি ঘুরে বেড়াই। ভবঘুর স্বভাব আর অনিয়মিত অন্ন গ্রহনের কারনে মায়ের কত যে বকুনি খেয়েছি তার হিসাব বোধহয় অসম্ভব।











শহরে এসে আমি হয়ে গেছি ইটের তলায় আলো আর বাতাস বঞ্চিত বর্নহীন ঘাসের মত।









শেষ করব আমাদের গ্রাম নিয়ে ছোট্ট একটি কবিতা দিয়ে



"সুনিবিড় ছায়া ঢাকা গ্রাম খানি মোর ।

সবুজশ্যামলে ঘেরা পাখি ডাকা ভোর ।

এঁকে বেঁকে পথখানি মিলায় সুদূর ।

দু'পাশের গাছে গাছে ফল আর ফুল ।

অপরূপ এ গ্রামখানি ছবিতে আঁকা ।

শিল্পীর মায়াময় এক সুষমা মাখা ।



সোনালী ধানের ক্ষেত ফসলের বান ।

শীতল বাতাসে পাবে সরিষার ঘ্রাণ ।

রাতের আকাশে পাবে তারা, সুধাকর ।

প্রকৃতির রূপ দেখে কাটাই প্রহর ।

সাজানো গোছানো সব প্রভুরই গড়া ।

আমাদের গ্রামখানি মমতায় ভরা ।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৬

শামসুদ্দীন হাবিব বলেছেন: কিছুক্ষণের জন্য হারিয়ে গিয়েছিলাম অন্য জগতে

২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৮

নাজিমুদ্দিন পাটোয়ারী বলেছেন: :)

৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: সুন্দর অনুভূতি হলো পোস্টটা পড়ে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.