নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কথক

The world's biggest power is the youth and beauty of a woman.

নাজিমুদ্দিন পাটোয়ারী

I am very simple, complaisant

নাজিমুদ্দিন পাটোয়ারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘাসফুলের রাজ্য

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১০




অসংখ্য ফুল-ফল আলিঙ্গন করে আছে আমাদের গ্রামকে। কিছু থাকে জানা, হাজারো থাকে অজানা। অজানাকে জানার মধ্যে অনেক আনন্দ , অনেক উতসুক তাহাতে বিরাজমান। এই অজানাকে জানতে গিয়ে নতুন এক সৌন্দর্যের দেখা মেলে।



মানুষ সাত সাগর তের নদী পাড়ি দিয়ে পৃথিবীর সৌন্দর্য অবলোকন করতে চায়। কিন্তু ক্ষীণ সামর্থ্য আমাদের সেই ইচ্ছাকে সীমা টেনে দেয়। দেখা হয়না পৃথিবীর অপার সৌন্দর্যের লীলা। কিন্তু দেখতে জানলে যে আমাদের খুব কাছেই রয়েছে প্রকৃতির পরম সৌন্দর্য।



রবিন্দ্রনাথের ছোট কবিতাটি সহজেই মনে পড়ে-

‘বহু দিন ধরে বহু ক্রোশ দূরে
বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে
দেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা
দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু।
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দু পা ফেলিয়া
একটা ধানের শীষের উপরে
একটি শিশির বিন্দু।’




গ্রামের পথ, আইল, বিল কিংবা জলে অসংখ্য ঘাসফুল তাহাদের মনোহরে আমাদের বরণ করে নেয়। সুবাস ছড়িয়ে মনে পুলক তৈরি করে প্রকৃতিতে হারানোর আকুল আহবান জানায়।




ছোট্র ঘাসের মাথায় ক্ষুদ্রপুষ্প হৃষ্টপৃষ্ট হৃদয়ে যেন চেয়ে তাহকে আমাদের দিকে। নানান রঙ বেরঙের ঠং সে ধারণ করে সৌরভ চাড়িয়ে শ্রীহীনতা ছেড়ে সুন্দর উদার হৃদয়ের দিকে অনুপ্রেরণা জোগায় আমাদের।



এই হাজারো ঘাস্ফুলের হাজারো নাম আমার কাছে এখনো অজানা। গ্রামের গেলে এই অজানা সৌন্দর্যকে খুজতে বের হই। সাথে থাকে তাদের ধারণ করার জন্য মুঠোফোন। এই ঘাস্ফুল্গুলো আমার কাছে বড় সেলিব্রিটি তাহাদের সান্নিধ্যে ফটোগ্রাফ না তুললে অর্থহীন হয়ে যাবে। তাই তাদের কেমরাবন্দী করার অপার সুযোগ মিস করিনা।



এই ঘাসফুলগুলোর মধ্যে কিছু গাছ গ্রামের লোকেরা শাক হিসেবেও খায়। গ্রামের নারীরা এই শাক তুলতে বিলের মধ্যে হন্ন হয়ে খুজে বেড়ায়।



এই ঘাস্ফুল্গুলো গ্রামের বিভিন্ন বগান এবং বিশেষকরে বিলের আঙ্গিনায় দেখা যায়। ধান কাটার পর অসংখ্য ঘাস জন্ম নেয় রোদ্রের উত্তাপ থেকে জমির আদ্রতাকে রক্ষার জন্য। আর এই ঘাসগুলোর মুন্ডে যোগ হয় বাড়তি সেনসেশন, সেটা হল নানান রঙের ফুল।



এই ফুল্গুলোকে দূর থেকে খালি চোখে দেখা যায় না, তাই তাদের সৌন্দর্য ও অনুভব হয় না। কাছেই গেলেই তাদের সৌন্দর্যের মনোহর বুঝা যায়।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব ভালো লেগেছে।

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪১

নাজরুল ইসলাম পাটওয়ারী বলেছেন: সুন্দর প্রণালীর প্রান্তর
আসুন্দর সুন্দরের মাঝে লোকায়িত।

৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫২

বিজন রয় বলেছেন: চমৎকার।
++++

৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৬

দ্যা রয়েল বেঙ্গল টাইগার বলেছেন: একদম মেঠো পথ থেকে উঠে আসা একটা ছবি ব্লগ! খুব ভাল লাগলো!
বেশ কয়েকটা ফুল চিনি, বাকিটা অজানা ছিল। আপনার পোস্ট থেকে সেটা জেনে নিলাম।

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ!
শুভ কামনা জানবেন!

৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৫

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:

ঘাসফুলছবি সৌন্দর্যের সংগাটাই বদলে দেয়। পাহাড় সাগর চুলোয় যাক।

লেখাও ভালো লাগার উপকরণ। তবে কিছু বানানে ভুল আছে।

৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৪

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: চমৎকার নাম না জানা ফুলের ছবি, যার অনেকগুলোই চিনি।
যেখানে ছবিগুলো তুলেছেন, সেই অঞ্চলে এদের নাম কি, জেনে নিয়ে,নামগুলো লিখলে আরো ভাল হতো!!!

প্রথম ফুলটা আমি কখনও দেখি নাই, আর সবগুলোই চিনি।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ভাই!!!

৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫

প্রামানিক বলেছেন: খুব ভাল লাগল। ধন্যবাদ

৮| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৪

সুমন কর বলেছেন: ভালো লাগা রইলো। প্লাস।

৯| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৪

উল্টা দূরবীন বলেছেন: অনেক সুন্দর

১০| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: নাজিমুদ্দিন পাটোয়ারী ,




অবহেলায় অযত্নে পড়ে থাকা এই নয়নকাড়া ফুলগুলি যেন অবহেলিত গ্রামবাংলাকেই মনে করিয়ে দিয়ে গেলো । তবুও আঙুলে তোলা বেগুনী ফুলটির মতো এই গ্রামবাংলা এখনও প্রকৃতিতে নান্দনিক , মন ভোলানো ।

সুন্দর ছবি ব্লগ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.