নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তানজীনা

আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম। জাপানে গবেষনায় আছি। জাপানে আমার চাকরী গবেষনা সবই জাপানী উন্নত প্রযুক্তি উন্নয়নশীল দেশের সাধারণ মানুষের কাছে সুলভে কিভাবে পৌঁছে দেয়া যায় তাই নিয়ে। এ কাজ করতে করতে দেখেছি আমার দেশের অনেক অনেক ক্ষেত্রে অনেক কাজ বাকী রয়ে গেছে এবং আমার দেশের এই গরীব মানুষগুলির ট্যাক্সের পয়সায় আমি পড়াশোনা করে এ পর্যায়ে এসেছি। তাই, আমি জানি এই দেশের প্রতি, এই মানুষগুলির প্রতি “আমার অনেক ঋণ আছে”। তারই একটা ধাপ এই ব্লগে লেখা।

তানজীনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলাম ধর্মের সাথে ইহুদী,খ্রীষ্টান ধর্মের দ্বন্দের মূল উসিলা।

০৩ রা জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:০৭

এক মরম্যান (খ্রীষ্টান্ ধর্মের এক বিশেষ প্রশাখা) বন্ধুর বাড়ির দাওয়াতে চার্চের এক সিস্টারের সাথে পরিচিত হলাম । ২০/২২ বছরের সুন্দর মেয়েটি মিশনারীর মিশনে মাস কয়েকের জন্য জাপানে এসেছে। জাপানী ভাষা শিখেই এসেছে। এখন ঘুরে ঘুরে ধর্ম প্রচার করে।
আমাকে খুব বলল “একটু শুনাই আমাদের বাইবেল থেকে?” – বাড়িতে স্যূট - প্যান্ট পরে মিষ্টভাষী মিশনারীর লোক প্রায়ই আসে- ভদ্রভাবে শুরুতেই বিদায় দিয়ে দি। কিন্তু, মেয়েটা ডিনারের সময় আমার পাশে এতো আগ্রহ নিয়ে বসেছে দেখে ভাবলাম –“দেখি তো বিশেষ কি শোনাতে চায়? ”।
মিনিট খানেক শুনেই বুঝলাম নতুন কিছু নেই।
বললাম “ দেখো তোমাদের যীশুর সম্বন্ধে আমাদের নতুন করে জানার কিছুই নেই- ঈসা (আঃ) আমাদেরও অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় একজন নবী। মা মরিয়ম –মানে তোমাদের Mother Marry আমাদের ধর্মে সবচেয়ে শ্রদ্ধেয়া পাঁচজন নারীর একজন। মা মরিয়ামের গর্ভে কিভাবে ঈসা (আঃ) এলেন-ওনাকে কি কি মাজেজা ( excellence) দেয়া হয়েছিল এবং পরিশেষে কিভাবে তাঁকে ইহুদীদের ক্রুশবিদ্ধ হয়ে নিহত হবার পূর্বেই আল্লাহ (SWT) তাঁকে তুলে নিলেন আমরা জানি। মা মরিয়ামের বাবার নামে আমাদের আল কোরানে ৩য় পারায় “সুরা আল ইমরান” নামে এক পূর্নাঙ্গ সুরা আছে। সেখানে ঈসা (আঃ) পূর্বপুরুষের ইতিহাস থেকে সব কিছুই আমরা জানি এবং মানি।
কিন্তু দুঃখের বিষয় তোমরা আমাদের মোহাম্মদ (সাঃ) এর নামও বেশীর ভাগই জাননা। অথচ তোমাদের New Testament, Old testament (Hebrew Bible- Tawrah, Jabur) সবখানেই এর উল্লেখ আছে। Deuteronomy 18:15- 18:18 (বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্টের পঞ্চম গ্রন্থ) এ উল্লেখকে তোমার অনেক তর্ক দিয়ে উড়িয়ে দাও- কিন্তু king Solaiman (PBUH) (son of Kind David (PBUH)/ হজরত দাউদ (আঃ)) এর গানে Prophet Mohammad নাম হিব্রু ভাষায় পরিষ্কার লেখা আছে- তাঁর নাম আছে ডেড সি তে উদ্ধারকৃত গুম করে রাখা হিব্রু বাইবেলের স্ক্রলে। আমরা এও জানি কেন তোমরা তাঁকে জানতে বা মানতে চাওনা। কিন্তু তোমরা জাননা “ কি এই দ্বন্দের ইতিহাস” । একজনের মহীমা বা অস্তিত্ত্ব অস্বীকার করলেই আরেকজন বড় হয়ে যায়না। তাই মুসা (আঃ), ঈসা (আঃ), দাউদ (আঃ)- সবাই আমাদেরও নবী এবং আল্লাহ (SWT) বলেছে্ন নবী –রাসুলদের মধ্যে কাউকে অধিকতর মহিমান্বিত বলে অন্যকে অসন্মান করা যাবে না। তোমার যীশুও আমাদের কাছে তাই তেমনি সন্মানিত”।

মেয়েটির জন্য মনে হয় একসাথে অনেক বেশী জ্ঞানের ওভারডোস পড়ে গেছিল। তাই আর “এই দ্বন্দের ইতিহাস” শোনানোর অবকাশ পেলাম না। যা বললাম তাই আগে সে যাচাই বাছাই করুক- নচেৎ একসাথে এতো বেশী দিলে বদহজম হয়ে যাবে। অর্থাৎ জানার আগ্রহ নষ্ট হয়ে উল্টো যা দিয়েছি তাই বমি করে উগরে দেবে। আর ইতিহাস পরে জানতে চাইলে (?) জানানোর জন্য তোলা থাকলো!

ব্লগের পাঠকদেরই না হয় বলি।

আমরা সবাই হজরত ইব্রাহীম (আঃ) এর বংশ- যাদের বলা হয় “ইব্রাহীমিক ফেইট” । ইব্রাহীম (আঃ) এবং তাঁর স্ত্রী বিবি সারাহ’র যখন কোন সন্তানাদি হচ্ছিল না তখন বিবি সারাহ তার পিত্রালয় থেকে একজন দাসী এনে ইব্রাহীম ((আঃ) কে অনুরোধ করলেন তাদের বংশবিস্তারে অগ্রসর হতে উক্ত দাসী বিবি হাজেরার মাধ্যমে। বিবি হাজেরার গর্ভে ইসমাইল (আঃ) জন্মগ্রহন করবার প্রায় ১২ বছর পর বিবি সারাহ ৯০ বছর বয়সে আল্লাহর পাকের ইশারায় গর্ভবতী হলেন এবং ইব্রাহীম (আঃ) এর ৯৯ বছর বয়সে হজরত ইসহাক (আঃ) এর জন্ম হল।তাঁর জন্মের পর ইসমাইল (আঃ) এতো বৃদ্ধার গর্ভের সন্তান নিয়ে কিছু হাসি – তামাশা করেছিলেন। বিবি সারা এতে অত্যন্ত ক্ষ্রুদ্ধ হয়ে বিবি হাজেরা এবং তাঁর সন্তান ইসমাইল (আঃ) কে গৃহত্যাগ করতে এবং ইব্রাহীম (আঃ) এর তাবদ সম্পত্তি থেকে খারিজ করতে বললেন। ইব্রাহীম (আঃ) এতে অত্যন্ত রুষ্ঠ হলেন , কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহ পাকের কাছ থেকে ওহী আসলো , যে, “ তুমি তোমার স্ত্রী’র উপর রুষ্ঠ হয়ও না। তুমি তার কথা নির্ভয়ে পালন কর- কারন, তোমার এই ছেলের ভিতরেই এই জাহানের সর্বশেষ রাসুল এবং সর্বশ্রেষ্ঠ মানবের বীজ আছে”।
এখানে উল্লেখ্য, হজরত ইব্রাহীম (আঃ) এর বংশেই সকল নবী –রাসুল আসবেন এই দোয়া তিনি আল্লাহ পাকের কাছ থেকে চেয়ে নিয়েছিলেন তাঁর পূন্যময় জীবনের বিনিময়ে।
আমাদের রাসুল (সাঃ) ইসমাইল (আঃ) এর বংশজাত , অপরদিকে ইসহাক (আঃ) এর বংশজাত ইসরাইল (আঃ) এর বংশে মুসা(আঃ), ঈসা (আঃ) এর জন্ম। কাজেই ইহুদী এবং খ্রীষ্টানদের এক প্রকার অহমবোধ যে ইসরাইল (আঃ) এর বংশ হল হজরত ইব্রাহীম (আঃ) এর আইনগত স্ত্রীর বংশ – অপর পক্ষে ইসমাইল (আঃ) হল “বাদী তরফের সন্তান” – কাজেই নব্যুওতে সেই বংশের কোন শরীক নাই।
তাদের আরেক খোঁড়া যুক্তি ছিল হজরত ইসমাইল (আঃ) এর জন্মের অনেক পরে হযরত ইসহাক (আঃ) এর জন্মের আগেই আদি পিতা ইব্রাহীম (আঃ) আদিষ্ট হন মুসলমানি করতে। এরপর ওনার ঔরসে ইসহাক (আঃ) কে বিবি সারাহ গর্ভে ধারণ করেন। মুসলমানি রক্তের ধারাকে পরিশোধিত করে, সুতরাং এর আগে পিতা ইব্রাহীমের রক্তের ধারা পুরোপুরি বিশুদ্ধ ছিলনা। কাজেই হযরত ইসমাইল (আঃ) পুরোপুরি পবিত্র রক্তের ধারক নন ( যদিও পিতার ইব্রাহীমের সাথে তাঁরও মুসলমানি করানো হয়েছিল); হযরত ইসহাক (আঃ) ই একমাত্র পবিত্র রক্তের ধারক। তাই হযরত ইসহাক (আঃ) এর বংশই একমাত্র নব্যুওতের ধারক।
সেই অহমবোধে তারা বরাবর অবিচল- কাজেই মুসা (আঃ) এর উপর নাজিলকৃত তাওরাত ( Hebrew Bible/ Old Testament) এর সেই বিশেষ স্ক্রল যেখানে রাসুল( সাঃ) এর নাম ও আগমনের কথা পরিষ্কার উল্লেখ আছে তা ডেড সী’তে গুম করে ফেলা হয়েছিল। আর একই ধারাবাহিকতায় পরবর্তী সকল কিছুকেই অস্বীকার তারা করেই চলেছে।
এবং আজকে ইসলামের নামে নাসকতা তৎপরতা চালানোর মূল চক্র ISIS – ইসরাইলের মদদেই সৃষ্টি!

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৫০

নক্‌শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: কে কার বংশধর তাতে কি যায় আসে? এটা কোন মতেই ধর্মের দ্বন্দ্বের মূল কারন হতে পারেনা।

০৩ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:০১

তানজীনা বলেছেন: এটা তাদের উছিলা – ইসলামকে খাটো করে দেখার এবং ও রাসুল (সাঃ) এর মাহাত্য, শ্রেষ্ঠত্যকে এমনকি তাঁর নব্যুওতকেও অস্বীকার করার।

২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৫৪

মদন বলেছেন: দারুন একটি জিনিস জানলাম।

৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:০১

নতুন বলেছেন: সমস্যাটা আধিপত্য বিস্তারের....

যদি খৃস্টানেরা মোহাম্মদ সা: কে মেনে নেয় তবে তাদের আধিপত্য খব` হবে....

এই জন্যই কখনোই সব ধমে`র মানুষ এক হবে না...

আর যার যার ধম` তার তার কাছে সেরা...

০৩ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭

তানজীনা বলেছেন: –সত্যিই সমস্যাটা আধিপত্য বিস্তারের। কে শ্রেষ্ঠতর – এই নিয়ে। এমনকি ঐ ছোট্ট প্রশাখা মরম্যানরাও ভাবে “একদিন পৃথিবীর সবাই মরম্যান হয়ে যাবে”! তবে বিক্ষুব্ধ হই তখনি টেস্টামেন্ট তীব্রভাবে বিকৃত হয়ে হয়তো এখন এই ফরম্যাটেই এসেছে যে নিজেদের ধর্মের প্রবক্তা ছাড়া সকলকেই অসন্মান করা। কিন্তু আল কুরান শতভাগ অবিকৃত রয়েছে বলে আমরা জানি সকল নবী –রাসুল পয়গম্বরদেই সন্মান করতে। তারা কি এই শ্রদ্ধাবোধটাও দেখতে পায়না- খালী টেররিস্টদেরই দেখতে পায়?

৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫

রন৬৬৬ বলেছেন: You are a true patriot. By the way, I don't pray and fast during ramadan!

৫| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৩১

সোহানী বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম তবে ধর্মের এ আধিপত্য শুধুমাত্র বংশগত দন্দ নয় নিশ্চয় এর পিছনে সাম্রাজ্য বিস্তার ও বড় ভূমিকা রাখে।

ধন্যবাদ...

৬| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:১৩

নীলতিমি বলেছেন: সত্যিই অসাধারন। লেখার জন্য ধন্যবাদ। :)

০৩ রা জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫০

তানজীনা বলেছেন: অনুপ্রেরণা যোগানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ!

৭| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৫৮

রাতুল_শাহ বলেছেন: জানলাম

৮| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:০৫

গাধা গরু বলেছেন: ওই চার্চের সিস্টারের সাথে কি এরপরে কথা হয়েছিল?

০৩ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৩৩

তানজীনা বলেছেন: হা হা হা – না ভাই, কারণ, আমার সেই প্রতিবেশী মরম্যান বান্ধবী ( যার বাড়িতে দাওয়াত ছিল ) নিজেও খুব ধার্মিক এবং অল্প বয়সে এসব মিশনারীর কাজ করে বেড়িয়েছে ( স্বেচ্ছাসেবা হিসেবে, পেশায় ইংরেজী সাহিত্যের অধ্যাপিকা)। সে আমাকে বেশ ভালই জানে- এবং আমি কতটা ধার্মিক এবং আমার মত মক্কেলের পাল্লায় আর বেশীবার পড়লে স্বধর্ম ভুলে যাবার আশঙ্কা আছে তা সে জানে। তাই ঐদিন সিস্টার বিদায় বেলায় আমাকে চার্চে Thanks Giving Day’র দাওয়াত দিতে ফোন নম্বর চাইলে আমার বান্ধবী “ আচ্ছে, আচ্ছা – আমিই তোমাকে জানাব ক্ষন” বলে সিস্টারকে কাটিয়ে দিয়েছিল।

৯| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:১১

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আমি যত দূর জানি বিবি হাজেরাও হযরত ইব্রাহীম আঃ এর পূর্নাংগ স্ত্রীই ছিলেন, কোন দাসী বাদি নন!!

যাই হোক নান কে বুঝিয়ে ভালো করেছেন

১০| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:১৯

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হুমম, অনেক কিছু জানলাম। মুদদাকির ভাইয়ের মন্তব্যের ব্যাপারটা যাচাই করে জানাবেন কি?

০৩ রা জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৯

তানজীনা বলেছেন: এ ব্যাপারটা কিছুটা ধোঁয়াশা- কারণ, আল কুরানে “সুরা ইব্রাহীমে” ইব্রাহীম (আঃ) কোন বিবির নামই উল্লেখ নেই। শুধু উল্লেখ আছে (Sura Ibrahim 14:37) “হে আমাদের পালনকর্তা, আমি, তোমার পবিত্র গৃহ কাছাকাছি একটি অকর্ষিত উপত্যকায় আমার কিছু বংশধরদের বসতি স্থাপন করেছি”।বিভিন্ন ইস্লামিক সাইটে উল্লেখ আছে ইব্রাহীম (আঃ) এর সারাহ, হাজেরা, কেতুরাহ নামক তিন স্ত্রী ছিলেন- তন্মধ্যে কেতুরাহকে তিনি বিবি সারাহ মারা যাবার পর বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু বিবি হাজেরা’র কথা Book of Genesis 16:3 ( Old Testament) এ এভাবে হিব্রু থেকে ইংরেজীতে অনুবাদিত হয়ে এসেছে যে, “Sarai his wife took her Egyptian slave Hagar and gave her to her husband to be his wife.” – পরিতাপের বিষয় ইহুদী-নাসারাদের ধর্মগ্রন্থে এর উল্লেখ থাকলেও এর বিরূদ্ধচারন কি্ন্ত তারাই করছে। এসবই উসিলা!

১১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:১৫

নতুন বলেছেন: তারা কি এই শ্রদ্ধাবোধটাও দেখতে পায়না- খালী টেররিস্টদেরই দেখতে পায়?

ধম` আফিমের মতন..... মানুষকে নিয়ন্ত্রয়ের জন্য ধমে`র চেয়ে কাযক`র কোন হাতিয়ার আর নাই...

রােমান সম্রাজ্যের হাত থেকে প্রতিরোধের একটা হাতিয়ার ছিলো খ্রস্টান ধম`...

১২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:০৮

অলিন্দ বলেছেন: তাঁর জন্মের পর ইসমাইল (আঃ) এতো বৃদ্ধার গর্ভের সন্তান নিয়ে কিছু হাসি – তামাশা করেছিলেন।

এটার সোর্স কি? কাউকে হাসি তামাশা করা নবুয়তের পরিপন্থি...নবীরা এসব থেকে মুক্ত ছিলেন(নবীরা সবাই নিস্পাপ ছিলেন)।

ইসমাইল(আঃ) সম্পর্কে এই আপত্তিকর কথাটা অসাবধানতা বসত হলে এডিট করুন। আর ইচ্ছাকৃত হলে কিছুই বলবো না.... ব্লগে উগ্র নাস্তিক বা উগ্র আস্তিকদের কর্মকান্ড সম্পর্কে ভালোভাবে অবহিত আছি।

০৫ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:১৪

তানজীনা বলেছেন: মুল সোর্স দেয়া হলো; http://en.wikipedia.org/wiki/Ibrahim - “Sarah found Ishmael mocking; an observation that would begin to clarify the birthright of Isaac. (Genesis 21:8-13)” সঙ্গে Book of Genesis (Old Testament) এর সোর্সও – আমার জানায় ভুল থাকলে শোধরাতে পারি হাজারবার- ইচ্ছাকৃ্ত অপবাদ নবী –রাসুলদের নামে দেবার মতন দুঃসাহস আমার মত তুচ্ছ বান্দার ইনশাল্লাহ নাই।

১৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৩

অলিন্দ বলেছেন: Book of Genesis (Old Testament)
তার মানে আপনার কাহিনীটা ওল্ড টেস্টামেন্ট থেকে নেয়া। তাইতো বলি কোরান বা হাদিসে নবীদের সম্পর্কে অসম্মানজনক কিছু তো থাকা সম্ভব নয়।

১৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ২:১২

নীল জোসনা বলেছেন: জেনে নিলাম ।

নান এর জন্য মায়া লাগছে ।আহা বেচারী !

১৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩২

বিদেশ পাগলা বলেছেন: একসাথে এতো বেশী দিলে বদহজম হয়ে যাবে। আজকে ইসলামের নামে নাসকতা তৎপরতা চালানোর মূল চক্র ISIS – ইসরাইলের মদদেই সৃষ্টি ! ধন্যবাদ ম্যাডাম

১৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৫

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: আমিতো জানি ইসমাঈলকে মক্কায় রেখে আসছিলো শিশু থাকাকালীন ।তাহলে সে কিভাবে তামশা করবে ।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১২

তানজীনা বলেছেন: জী, ইসলাম ধর্মমতে তাই। আল কুরআন মতে বিবি হাজেরা’র সাথে হজরত ইসমাইল (আঃ) শিশু কালেই ( তখনও তিনি মাতৃদুগ্ধ পান করতেন) কাবা’র নিকট আল্লাহ পাকের নির্দেশে হজরত ইব্রাহীম (আঃ) কর্তৃক প্রেরিত হন ( সুরা আল ইব্রাহীম, ১৪ঃ৩৭- ৩৮)। কিন্তু হিব্রু বাইবেল অথবা বুক অব জেনেসিস এবং উইকিপিডিয়া মতে, হজরত ইসমাইল (আঃ) গর্ভে থাকা অবস্থাতেই বিবি হাজেরা "শূর" নামক পূর্ব মিশরের প্রান্তবর্তী মরু অঞ্চলে চলে যান বিবি সারাহ’র অসন্তষ্টির কারণে। পরে তিনি আবার প্রত্যাবর্তন করেন। হজরত ইসহাক (আঃ) এর জন্মের পর বিবি সারাহ’র হুকুমেই এবং আল্লাহ পাকের ঐশী বাণী প্রাপ্তির পর হজরত ইব্রাহীম (আঃ) পুত্র ইসমাইল (আঃ) এর ১৪ বছর বয়সে মা বিবি হাজেরার সাথে তাঁদের "বিয়ারশিবা" নামক ইসরাইলের এক অঞ্চলে পাঠান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.