নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তানজীনা

আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম। জাপানে গবেষনায় আছি। জাপানে আমার চাকরী গবেষনা সবই জাপানী উন্নত প্রযুক্তি উন্নয়নশীল দেশের সাধারণ মানুষের কাছে সুলভে কিভাবে পৌঁছে দেয়া যায় তাই নিয়ে। এ কাজ করতে করতে দেখেছি আমার দেশের অনেক অনেক ক্ষেত্রে অনেক কাজ বাকী রয়ে গেছে এবং আমার দেশের এই গরীব মানুষগুলির ট্যাক্সের পয়সায় আমি পড়াশোনা করে এ পর্যায়ে এসেছি। তাই, আমি জানি এই দেশের প্রতি, এই মানুষগুলির প্রতি “আমার অনেক ঋণ আছে”। তারই একটা ধাপ এই ব্লগে লেখা।

তানজীনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেধা ও জীবন উন্নত করুন উন্নত দেশের মতন খুব সহজ পদ্ধতিতে। শিশুগুলির অন্তরে ঘুমিয়ে থাকা পিতাগুলোকে প্রাণ ভিক্ষা দিন।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২০

বড় বড় মানুষেরা লিখছেন- জাফর স্যার কচ্ছপের কামড়ের মতো কামড়ে ধরেছেন। ভাল কিছুর সুতীব্র আশায় উন্মুখ আছি। এই অচলায়তন ভাঙতেই হবে!



পিএসসিতে প্রশ্ন আউট। শিক্ষক/ মা-বাবারাই জোগাড় করে দিচ্ছে ছেলে মেয়েদের এসব প্রশ্ন! উত্তরপত্র বিলি হয়েছে- সম্মিলিত ভাবে বাচ্চারা গোল বৈঠক করে উত্তর দিচ্ছে- আহ, স্বাধীন বাংলাদেশ! গোটা এক জেনেরেশন মেধাশূন্য হয়ে যাচ্ছে বাবা-মা, শিক্ষক আর প্রশাসনের নিজেদের “মুখ” রক্ষার্থে! সবারি একটাই চাওয়া – “চির উন্নত মম শীর” – সেই শীর উন্নত হতে যত অনৈতিক পথের কাছেই গোপনে শীর নত হোক না কেন আখেরে তো রেজাল্টটাই দেখছে সবাই! মেধা? হু কেয়ারস!



আমার শুধুই জানতে ইচ্ছে করে দেশে আজকের বাচ্চাদের মনে ঠিক কেমন ভাবনা খেলা করে? ফ্ল্যাটবন্দী কম্পিউটার, কার্টুনে মুখ গুজে- ইংলিশ মিডিয়ামের মাঠহীন ইনডোর গেইমসে ফার্মের মুরগীর মত বেড়ে ওঠা আর ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে উত্তর দেয়া বাচ্চাগুলোর চিন্তাগুলিই না জানি কেমন!



জাপানে বাচ্চাদের হাই স্কুলে (১০ম স্রেণীতে) ভর্তি হবার পরীক্ষাই “প্রথম পরীক্ষা”। এখানে প্রথম পরীক্ষা বলতে “ প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা” কিংবা প্রথম “বোর্ড পরীক্ষা” শুধু না, স্রেফ বার্ষিক পরীক্ষার প্রথম বড় পরীক্ষাও সেই প্রথম। এর আগে প্রাইমারী ( ষষ্ঠ শ্রেণী) পর্যন্ত কোন পরীক্ষাই নেই।



নিয়মিত ক্লাসের পড়ার পাশে আদব কেতা, সামাজিক রীতি –নীতি, ঘড় ঝাড়ু মোছা, টয়লেট ক্লিনিং, রান্না- বাড়া, পিয়ানো, বাস্কেটবল, সকার ইত্যাদি- সব সেখানো হয়।



জুনিয়র হাই স্কুলে ( ষষ্ঠ – নবম শ্রেণী) সারা বছর ৩ মাসে একবার ক্লাস টেস্ট জাতীয় পরীক্ষা। তাতে পাশ- ফেলে কিছুই যায় আসেনা। রিপোর্ট কার্ড বাসায় যাবে- অভিভাবক বাচ্চার মেধার মান উন্নত করতে চাইলে বাচ্চাকে আবার পরীক্ষা দেয়াবে কিংবা কোচিং ক্লাসে পাঠাবে।

ছোট ছোট বাসা, জায়গা বাঁচাতে প্রচুর কলোনি প্যাটার্নের সাড়ি সাড়ি বাড়ী। কিন্তু পার্কের পর পার্ক, স্কুলে মাঠের পর মাঠ। সব স্কুল জুনিয়র হাই স্কুল পর্যন্ত ( নবম শ্রেনী) একই মান। নির্দিষ্ট এলাকার বাচ্চা এলাকার স্কুলে পড়তে বাধ্য এবং সেটা ২০/২৫ মিনিটের হাটার দূরত্বের ভেতরে হতে হবে কারণ, হেটে স্কুলে যাওয়াই বাধ্যতামূলক। কাজেই উত্তরায় থাকা বাচ্চাকে ২ ঘন্টা ধরে গভর্ম্যান্ট ল্যাবরেটরি যেতে হবে না। একটা ছোট্ট প্রাইমারী লেবেলের ইংরেজী স্কুলেও ১০০ টা বাচ্চার জন্য রোজ ১০০ গাড়ীর জ্যাম লেগে যাবেনা।



উন্নত সব দেশেই এমন ভুরি ভুরি নিয়মই চালু আছে যা আমাদের নীতি নির্ধারকরা সহজেই বেছে নিলে আমাদের শিশুগুলির অন্তরের ঘুমন্ত শিশুর পিতাগুলি প্রাণ পেত। নিজের লাশ বয়ে বেড়ানো জীবন যাপন করতে হতো না।

~~” আজ যে শিশু পৃথিবীর আলোয় এসেছে~ আমরা তাঁর তরে একটি সাজানো বাগান চাই”~~

রেনেসার গানটা দেয়ালে দেয়ালে প্রতিদ্ধনিত হয়ে ফিরে আসে।



তবুও আশায় আছি, এই জীবনে সোনার বাংলা দেখেই যাব।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫০

আমিনুর রহমান বলেছেন:




চমৎকার লিখেছেন।


তাইতো আমাদের অভিভাবকদের একটা আক্ষেপ প্রায়ই শুনা যায়- এতো কষ্ট করে সন্তানকে লালন-পালন করে শিক্ষিত করলাম কিন্তু মানুষ করতে পারলাম না !!!!!!!

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭

তানজীনা বলেছেন: সেই, আমরা আর আমাদের বাবা-মারা কষ্টই করে যায়। কষ্টটা সঠিক পাত্রে করছেন না অপাত্রে/ অস্থানে করছেন তাও ভেবে দেখেননা!
নীতি নির্ধারকদের ভূমিকা যেমন, অভিভাবকদের ভূমিকাও সন্তানদের মানসিক মৃত্যুতে আরও বেশী দায়ী। সবাই দিনশেষ ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হয়- মানুষ আর কেউ হয়না!!

২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন:


তবুও আশায় আছি, এই জীবনে সোনার বাংলা দেখেই যাব।

হ্যা আশাই আমাদের বেঁচে থাকার শেষ সম্বল।

৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮

তানজীনা বলেছেন: কি বলে যে "আশায় বাচে চাষা"।যেদিন এই আশাটাও থাকবে না, স্বপ্ন দেখতে পারবনা- সেদিনই প্রকৃত মৃত্যু ঘটবে!

৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬

আলম দীপ্র বলেছেন: আমিনুর রহমান বলেছেন:




চমৎকার লিখেছেন।


তাইতো আমাদের অভিভাবকদের একটা আক্ষেপ প্রায়ই শুনা যায়- এতো কষ্ট করে সন্তানকে লালন-পালন করে শিক্ষিত করলাম কিন্তু মানুষ করতে পারলাম না !!!!!!! [/sb

একদম সঠিক !

৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৬

তুষার কাব্য বলেছেন: ভালো লিখেছেন।আমরা সবাই একটা সুন্দর বাংলা দেখার প্রত্যাশায় আছি...

৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৪

ওয়্যারউলফ বলেছেন: আরে ভাই এসব শিক্ষা-টিক্ষা নিয়ে ওনাদের এত ভাবার সময় কোথায় ?ওসব নিয়ে ভাবতে গেলে গনত্ন্ত্রের কি হবে? ধর্মের কি হবে? এসব ভাবনা বাদ দিয়ে প্রশ্নের পিছনে দৌড়ান । কাজে লাগবে!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.