নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তানজীনা

আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম। জাপানে গবেষনায় আছি। জাপানে আমার চাকরী গবেষনা সবই জাপানী উন্নত প্রযুক্তি উন্নয়নশীল দেশের সাধারণ মানুষের কাছে সুলভে কিভাবে পৌঁছে দেয়া যায় তাই নিয়ে। এ কাজ করতে করতে দেখেছি আমার দেশের অনেক অনেক ক্ষেত্রে অনেক কাজ বাকী রয়ে গেছে এবং আমার দেশের এই গরীব মানুষগুলির ট্যাক্সের পয়সায় আমি পড়াশোনা করে এ পর্যায়ে এসেছি। তাই, আমি জানি এই দেশের প্রতি, এই মানুষগুলির প্রতি “আমার অনেক ঋণ আছে”। তারই একটা ধাপ এই ব্লগে লেখা।

তানজীনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

জ্যামের মধ্যে কিভাবে ভাল থাকা যায়।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০

“ When life gives you lemon, make lemonade” – আমার খুব প্রিয় একটা প্রবচন। নিজে মানতে কতটা পারি জানিনা, আওড়াতে চেষ্টা করি। কোয়ান্টাম মেথডের ‘ বেশ ভাল আছি’ আওড়াতে আওড়াতে সত্যিই ভাল থাকবার অনুভূতি লাভের মতন।
ঢাকার নাগরিক জীবনে ‘ট্রাফিক জ্যাম’ এখন অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত- রাস্তায় নামলেই ‘জ্যাম ফ্রি’। আপনি গ্রহনে যতই অনিচ্ছুক হন আপনাকে এই ফ্রি জিনিসটা নিতেই হবে।

এতে Man hour কর্মঘন্টা, অর্থাৎ, সময় এবং শারীরিক ক্ষমতার যে ব্যাপক অপচয় হয় তা কিভাবে পোশানো যায় তাঁর একটু ‘গায়ে মানে না আপনি মোড়ল’ হয়ে ফ্রি পরামর্শ দেই; (এটা অবশ্য আপনি ওয়াক থু করে শুরুতেই ফেলে দিতে পারেন)।

জ্যামে আক্রান্ত হবার পূর্ব প্রস্ততিঃ

১। মোবাইল, ল্যাপটপ এবং আপনি নিজে ফুল চার্জ আছে কিনা দেখে নেবেন , সঙ্গে হ্যান্ডস ফ্রি টাও। উল্লেখ্য অফিস/ ক্লাস শেষে ফুল চার্জ থাকার কোন কারণ নাই- তাই এখানে পেট ভরা আছে কিনা বোঝানো হয়েছে।
২। প্রকৃতির সামান্যতম ডাকেও ( কিংবা বিনা ডাকেও) পূর্ণমাত্রায় সাড়া দিয়ে বের হবেন।
৩। হাত মুখ ধুয়ে এবং নামাজীরা ওযু করে নেবেন।
৪। গাড়ীযাত্রী হলে ট্যাংক ফুল আছে কিনা দেখে নেবেন। ( ড্রাইভার কে সময়মতো স্মরণ করিয়ে রাখবেন)

জ্যামে আক্রান্ত হবার পরঃ

গাড়ী যাত্রী ( নিজে ড্রাইভ করলে অবশ্যই হ্যান্ডস ফ্রি নিয়ে)ঃ

১। স্ত্রী – পরিবার অন্যত্র থাকলে তাঁদের ফোন দিয়ে দৈনন্দিন কথা সেড়ে নেবেন।
২। বাবা- মা একবাড়ীতে না থাকলে ফোন দিয়ে তাঁদের হালনাগাদ নেবেন।
৩। আপনি বাড়ি পৌছাতে পৌছাতে আপনার ছেলে- মেয়ে হয়তো ঘুমের কোলে আচ্ছন্ন, তাই ফোন করে তার দিনলিপি শুনবেন- শুধু পরীক্ষার নম্বর না- কেমন কাটলো আজকের স্কুল, ‘কে বকেছে কে মেরেছে কে দিয়েছে গাল?’
৪। ফোন দিতে পারেন ভাই- বোন, কাছের মানুষ ( আত্মীয়, বন্ধু- যে কেউ; শুধু সম্পর্কে নয় মনের দিক থেকেও কাছের)।
৫। গৃহিনী হলে বুয়াকে ফোন করে রান্নার প্রস্তুতি এগিয়ে নিলেন, সকালে বলে আসা কাজ হয়েছে কিনা ( কাপড় বারান্দা থেকে তুলে ঘরে আনা, টবের গাছে পানি দেয়া ইত্যাদি---) তার তাগাদা দেবেন।
৬। বাসায় কিছু লাগবে কিনা জানবেন । ( ৩ ঘন্টা জ্যামে কাটিয়ে বাড়ি ফিরে – ‘আল্লাহ লবন তো নাই- কইতে ভুইলে গেছি’ শুনতে খুব আহ্লাদিত লাগার কথা না! )
৭। ড্রাইভার চালিত গাড়ীর আরোহী হলে এবং নামাজী হলে প্রথমেই নামাজ সময়মতো সেড়ে নেবেন, নিয়মিত দোয়া তদ্বির – কোরান পাঠের অভ্যেস থাকলে সেড়ে নেবেন। ফেইসবুকিং এর সকল কাজ সেড়ে রাখা, যাতে বাড়ি ফিরে নিজেকে, পরিবারকে সময় দেয়া যায়। খবরের কাগজ, ফিচার, গল্পের বই – চাই কি নাটক, সিনেমাও বাসা- অফিস থেকে আগে ডাউনলোড করে তখন দেখে নিলেন।

৮। কিছুই ভাল না লাগলে আমার মতো ইন্টেলেকচুয়াল মার্কা পোস্টও লিখতে পারেন। সময় মত সব ইন্টেলেক্ট চোয়াল দিয়ে বের করে ব্লগ এ পোস্ট করে দেবেন।

বাসযাত্রীঃ

১। প্রথমত; ইন্টারনেটে এক্সেস না থাকলে আমার এই পোস্টই আপনার পড়তে পারার কথা নয়। কাজেই সিটিং সার্ভিস বাসযাত্রী হলে গাড়ীওয়ালাদের প্রায় সবগুলি আপনার জন্য প্রযোজ্য, শুধু হেডফোন অত্যাবশ্যক।
২। মুড়ির টিন যাত্রী হলে এক হাতে হ্যান্ডেল ধরে অন্য হাতে ফেইসবুকিং, বই পঠন- ফেইসবুক এর মূল্যবান শেয়ার , ডাউনলোড করা বই , পেপারব্যাক, পাঠ্যপুস্তক। ভ্রু কুচকায়েন না, বিদ্যাসাগর রাস্তার ল্যাম্পপোস্টে বসে পড়তে পারলে আপনিও অবশ্যই পারবেন। আপনি বাঙালী, আরব শেখ না।
৩। গল্প লেখার অভ্যেস থাকলে একেকটা চরিত্রকে (অবশ্যই নেক নজরে) দেখে কাহিনীর শাখাপ্রশাখা বিস্তার করুন। যেমন; সামনের সিটে বসা ক্ষয়ে যাওয়া দাঁত, চুল, ত্বক এবং বেড়ে যাওয়া মেদ ভুড়ি সমৃদ্ধ মধ্যবয়স্ক লোকটার জীবন কাহিনী কেমন হতে পারে, ইত্যাদি।
৪। তাও না পারলে ঘোড়ার মত দাঁড়িয়ে ঘুমের অভ্যেস করুন, বাড়ি ফিরে কম ঘুমিয়ে কাজ করে পোশানো যাবে।

** বাসা খুব দূরে না হলে অবশ্যই ১১ নম্বর বাস অর্থাৎ হন্টন সবচেয়ে উপযুক্ত। সময়, শরীর চর্চার দারুন সমন্বয়।

বিঃ দ্রঃ কিছু বাদ পড়ে গেলে কমেন্ট এ লিখুন। ভুল পেলেও জানান।
এডিট করে নেবো- পোস্টও এবং নিজের ক্ষুদ্র মস্তিষ্ককেও।





মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪

আহমেদ সাব্বির পল্লব বলেছেন: :D :D :D......... জোশ... লেখা....

তবে সত্যি সত্যি হন্টনই এখন সবচেয়ে ভাল উপায়... B-))

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৬

তানজীনা বলেছেন: ধন্যবাদ! আসলেই হন্টনই সবচেয়ে ভাল উপায়। কিন্তু মতিঝিল-< উত্তরা হলে শরীর ভাল না হয়ে ' ভ্যানিশ' হয়ে যেতে পারে তো-- তাই কাছাকাছি হলেই হয়!

২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৯

হানিফঢাকা বলেছেন: আমি বই পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে যাই।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৮

তানজীনা বলেছেন: ভাল তো! বাসের ভ্যাপসা গরমেও, নাকি শুধু বিছানায়?

৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৯

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন: হনটন ই ভাল উপায় । ইদানিং এটাই করি ।

৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৩২

হানিফঢাকা বলেছেন: গাড়িতে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.