নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তানজীনা

আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম। জাপানে গবেষনায় আছি। জাপানে আমার চাকরী গবেষনা সবই জাপানী উন্নত প্রযুক্তি উন্নয়নশীল দেশের সাধারণ মানুষের কাছে সুলভে কিভাবে পৌঁছে দেয়া যায় তাই নিয়ে। এ কাজ করতে করতে দেখেছি আমার দেশের অনেক অনেক ক্ষেত্রে অনেক কাজ বাকী রয়ে গেছে এবং আমার দেশের এই গরীব মানুষগুলির ট্যাক্সের পয়সায় আমি পড়াশোনা করে এ পর্যায়ে এসেছি। তাই, আমি জানি এই দেশের প্রতি, এই মানুষগুলির প্রতি “আমার অনেক ঋণ আছে”। তারই একটা ধাপ এই ব্লগে লেখা।

তানজীনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিবতু

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৪

আমার লেখার জমিনের প্রথম ফসল, "তোরসা" এখনো সেইখানেই আছে- ‘জাগৃতি প্রকাশনী’- যেখানে তার সুপ্ত অজানা বীজকে সব রকম প্রভাবক দিয়ে পরম মমতায় এক মহৎ প্রাণ অভাবনীয় সার্থক এক মহীরুহ করে তুলেছিলেন।
এই বইমেলাতেও সেই জমিনে নবান্নের ফসল আসছে । অনেক বেশি যত্নের সেই ফসল ; তাই গোলা ভেঙ্গে অন্যের হাতে তা তুলে দিতে খুব দেরিই হয়ে গেল। তবুও প্রতিপালকের ইশারায় শেষ মুহূর্তের দ্বিধা থরথর চূড়ের সেই অমরাবতী “আদর্শ প্রকাশন” এ “সিবতু” নামে এসেছে । স্রষ্টার মমতাময় ছোঁয়া যদি এবারেও স্পর্শ বুলিয়ে দেন- সেই ফসল `সিবতু` গেলবারের মতোই হয়তো অনেক আগ্রহী পাঠক নেড়ে চেড়ে দেখবে, কিনেও নিয়ে যাবে।

বই পরিচিতিঃ
উপন্যাসঃ সিবতু। প্রকাশনীঃ আদর্শ প্রকাশন,
প্রকাশকালঃ বইমেলা -২০১৬। স্টলঃ ৫৭৫-৫৭৬, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।

** সম্ভাব্য প্রাপ্তিলগ্নঃ ৮ই ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা, অথবা ৯ই ফেব্রুয়ারী বিকেল। ( রকমারী অনলাইন সহ আরও
(২) আদর্শের সাইট - http://www.adarshabd.com/(৩) ইনগর ডট কম। https://enogor.com/
(৪) বই-ওয়ালা - http://boi-wala.com/ (৫) বইমেলা - http://boi-mela.com এ প্রাপ্য হবে )

কাহিনী সংক্ষেপঃ
হাজার বছরের এক সভ্যতার ইতিহাস, জাপানের যোদ্ধা জাতি ‘সামুরাই’“The server” । তাঁরা দেশের সর্বোচ্চ শ্রেণীর মর্যাদায় আসীন, দেশরক্ষার জন্য নিয়োজিত আমৃত্যু সেবা। যুদ্ধক্ষেত্রে শেষ রক্তবিন্দু অবধি লড়তে লড়তে বীরের মৃত্যুবরণ যাঁদের পরম আরাধ্য জীবনাবসান। কারণ, ব্যর্থতায় দুঃসহ যন্ত্রণাময় “হারাকিরি”র আত্মহনন!
সমস্যার উদয় হলো ১৮৬৮ সালে। ১৪ বছর বয়সে সম্রাট মেইজীর অভিষেক হলে তিনি আধুনিক জাপান তৈরির লক্ষ্যে যখন শ্রেণী বিভাজন তুলে দিয়ে সামুরাই শ্রেণী অবলুপ্ত ঘোষণা করে তাঁদের অস্ত্র সমর্পণের আদেশ দিলেন।
শুরু হলো রক্তগঙ্গার আরেক ইতিহাস। শৌর্যবীর্য হারিয়ে যোদ্ধা জাতি সম্রাটের আদেশে শ্রেণীভেদে প্রশাসনিক পদে আসীন হলো।
শুধু মেনে নিতে পারলোনা একজন। তাচিবানা সাগোই। বিলুপ্ত প্রাচীন জীবনশৈলী আকড়ে বেঁচে রইলেন আধুনিক জাপানে একমাত্র জীবন্ত সামুরাই – যেন এক চলমান অশরীরি।

গল্পের আরেক পটভূমি বাংলাদেশ।
দেশের পার্বত্য এলাকায় সংগঠিত এক বিদ্রোহী দলের নাম উন্মোচিত যাদের লড়াইয়ের মাধ্যম মার্শাল আর্ট, আগ্নেয়াস্ত্র নয়; আক্রমণের কৌশল “ নিনজা” । প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সীমান্তবর্তী দেশ ঘুরে উঠে আসলো নিনজা শ্রেণীর জন্মস্থল জাপানের নাম। স্বভাবতই সন্দেহের তীর নিশানাবদ্ধ হোল জাপানের একমাত্র জীবিত সামুরাইয়ের দিকেই ।
তদন্তে দায়িত্ত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার দুই কর্মকর্তার ভেতরে পুরুষ কর্মকর্তা যাবার পথেই হাওয়ায় মিলিয়ে গেলেন। একের পর এক জটিলতার চোরাবালিতে ডুবে যেতে লাগলো মিশনে নিযুক্ত সহকর্মী নারী কর্মকর্তা । প্রতি মুহুর্তের প্রতিটি ঘটনা যেন তাঁর চলার পথের প্রতিটি বাঁকে সম্পূর্ণ ভিন্ন মোড় এবং অজানা দিক উন্মোচন করতে লাগলো।
তাঁর বাগদত্ত সেই পুরুষ সহকর্মী ফিরলেন সম্পূর্ন অলৌকিকভাবে- অন্তহীন নিস্তব্ধ ভিন্ন মানুষ হয়ে!

একা লড়াই করতে করতে ক্লান্ত মেয়েটি কোন পথটি সঠিক- কোনটি ভুল , কে সত্য - কে অলীক যুঝতে যুঝতে বিধ্বস্ত হয়ে নিজেও যেন হয়ে উঠলো আরেক সামুরাই, যুদ্ধক্ষেত্রে মৃত্যবরণ ছাড়া যার কোন পথ খোলা নেই।
-----------------------------------------------------------------------------------------------
বইয়ের ফেইসবুক পেইজঃ Click This Link
e-mail: [email protected]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.