নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তানজীনা

আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম। জাপানে গবেষনায় আছি। জাপানে আমার চাকরী গবেষনা সবই জাপানী উন্নত প্রযুক্তি উন্নয়নশীল দেশের সাধারণ মানুষের কাছে সুলভে কিভাবে পৌঁছে দেয়া যায় তাই নিয়ে। এ কাজ করতে করতে দেখেছি আমার দেশের অনেক অনেক ক্ষেত্রে অনেক কাজ বাকী রয়ে গেছে এবং আমার দেশের এই গরীব মানুষগুলির ট্যাক্সের পয়সায় আমি পড়াশোনা করে এ পর্যায়ে এসেছি। তাই, আমি জানি এই দেশের প্রতি, এই মানুষগুলির প্রতি “আমার অনেক ঋণ আছে”। তারই একটা ধাপ এই ব্লগে লেখা।

তানজীনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

রিশা, তনু থেকে রামপাল- সমস্যাটা সম্পূর্ণ শ্রদ্ধাহীনতার।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:০৬

সমস্যাটা সম্পূর্ণ শ্রদ্ধাহীনতার। সবক্ষেত্রে।
অন্যের ভাবনা, চিন্তা, জ্ঞান গরিমা, অর্জন , সিদ্ধান্ত সব্কিছুর প্রতি শ্রদ্ধাহীনতার।

উদাহরণ -১। শ্রেনীভেদ আর যোগ্যতার মাপকাঠির বাইরেও আপনার কাউকে ভাল লাগতেই পারে, , ভালাবাসতেই পারেন । ঠিক তেমনি তারও আপনাকে একদমই ভাল না বাসার, না ভাল লাগার সম্পুর্ণ অধিকার আছে। এটা কি বাজারের সদাই যে ১০ টাকা দিলেন , ১০ টাকার আলু দিতেই হবে?
যে দেশে প্রথম সারীর অভিনেতার সিনেমার নাম “ ভালবাসা দিবি কিনা বল “ - তো বাদ বাকীর আর কি মন মানসিকতা হবে?

উদাহরণ -২। নিজ যোগ্যতায় যে বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ হয়েছে ছাত্র সেই ক্লাসে গিয়েই ভাবে “ স্যার একটা কি পড়ায় , জানে না কিছু না !” তা সে বিদেশে পিএইচডি করতে গিয়েও তাই ভাবে। ট্রাস্ট মি— আমরা নিজেরাই এখানে এই মনোভাব দেখি অহরহ! দেশেও আবার স্যার ভাবেন “ছাত্র কতগুলা গরু -গাধা -ছাগল ! ছাত্র ছিলাম হইলো আমরা ! “ তো সেখানে শিক্ষা দান আর গ্রহণটা কতটুকু ফলপ্রসু হতে পারে?

উদাহরণ -৩ । আমার এক্জন প্রাক্তন কলীগ কোম্পানীর ডিরেক্টর সম্পর্কে বলতেন ,” এর কি যোগ্যতা? মুটে বওয়ানো দরকার এরে দিয়ে? রিক্সা চালানো দরকার তারে দিয়ে।” তো এমন বসের অধীনে বা এমন অশ্রদ্ধা নিয়ে উনি কিভাবে তার নির্দেশনা মেনে কাজ করবেন আর কি আউটপুট দেবেন ? জানি দেশের অনেক শীর্ষস্থানীয় পর্যায়ে এমন অনেকেই অধিষ্টিত হন। অধিনস্তরা রাগে চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করতে করতে কাজ করে আর ভাবে ব্যাটা মরলে মাজারে সিন্নি দিব।
এদিকে পদাসীনরাও এখনো মাস্টার স্লেইভ নীতিতেই আছেন; অধিনস্ত সবাই হলো আসলে উচ্চপদ্স্থ চাকর আর বুয়া। কেউই কলীগ না।

শেষ উদাহরণে আসি,
উদাহরণ -৪ । রাজনীতিতে যুক্তি ওমুক নীতির অধিকারীর যেমন আছে, তেমন তমুক পন্থীদেরও থাকতে পারে । কেন অরাজী শুনে দেখি! বিসমিল্লাতেই আমিই সহী , বাকীরা সব গলদ ধরে নিয়ে কান বন্ধ করে ফেললাম। বক্তৃতায় দাড়িয়ে আগে ভিন্ন মতালম্বীদের গালী দিয়ে রাগ প্রধান সংগীতের ৮ থেকে ১৬ মাত্রার আলাপে গলা সপ্তমে চড়িয়ে রেওয়াজ করে নিলাম ।( ** বঙ্গবন্ধুর “অসমাপ্ত আত্মজীবনী” তে এই পন্থা কতটা ভুল তা তিনি বিষদ লিখে গেছেন। ) এসবই জাতিগত শ্রদ্ধাহীনতার চূড়ান্ত রূপ ।

আমরাও যেন সবসময়ে যেকোন নতুন কিছু প্রনয়নে শুরুতেই “মানিনা , মানবোনা” বলতে বলতে এখন রাখাল ছেলের গল্প হয়ে গেছি । রাখাল ছেলের আর্তনাদে উদ্ধারকারী আর কানও দেয়না - বরং বাঘের দিকে ঠেলে দেয় “ আরে এইটা বাঘ না , ওভার সাইজ্ড বিড়াল। একটু খায়ে দায়ে মোটা হইছে , কিন্তু খুবই উপকারী বিড়াল! ” আর আমরা সাহায্যের আশায় বিভ্রান্ত দিকভ্রান্ত নানাদিকে দৌড়াতে গিয়ে নিজের আত্মরক্ষার শক্তি আর সময়টুকুও খুইয়ে বাঘের সহজ স্বীকার হচ্ছি। বাঘ আরামসে ঠিকই ঘাড় মটকে খেতে আসছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.