নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তানজীনা

আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম। জাপানে গবেষনায় আছি। জাপানে আমার চাকরী গবেষনা সবই জাপানী উন্নত প্রযুক্তি উন্নয়নশীল দেশের সাধারণ মানুষের কাছে সুলভে কিভাবে পৌঁছে দেয়া যায় তাই নিয়ে। এ কাজ করতে করতে দেখেছি আমার দেশের অনেক অনেক ক্ষেত্রে অনেক কাজ বাকী রয়ে গেছে এবং আমার দেশের এই গরীব মানুষগুলির ট্যাক্সের পয়সায় আমি পড়াশোনা করে এ পর্যায়ে এসেছি। তাই, আমি জানি এই দেশের প্রতি, এই মানুষগুলির প্রতি “আমার অনেক ঋণ আছে”। তারই একটা ধাপ এই ব্লগে লেখা।

তানজীনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে?

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৩০

তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা শেষ কিংবা কাছাকাছি।
সিগন্যালে গাড়ী থেমেছে। যথারীতি ফকির জানালার পাশে দাড়িয়ে গেছে।
” লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ ( মুসলমান সেটা আগে প্রমাণ দিয়ে নেবে। নাহলে ভিক্ষা পাবেনা? কে বানিয়েছে এই নিয়ম কে জানে!)। আপা--আ -/ আম্মা --- সাত দিন ধইরা কিছু খাইনা-- ।” এই জাতীয় কিছু।
গাড়ীর গ্লাস বন্ধ , কান তো আরো বন্ধ। এইটাই নিয়ম ( এই নিয়মও যে কার বানানো!)। তাকানোর তো প্রশ্নই ওঠে না। কি অসহ্য বিরক্তি!
হঠাৎ খেয়াল করলাম ড্রাইভার খুব সন্তর্পণে জানালা সামান্য ফাঁক করে ভিক্ষার টাকা গুঁজে দিল। সেই থেকে আমার অবজারভেশন চালু। অসংখ্যবার অসংখ্য সব ড্রাইভারকে দেখেছি। সরু চোখে তাকিয়ে ভাবতাম তারা কি মালিককে দেখানোর জন্য এটা করে যে , “ আপনি টাকায় বড়লোক হইতে পারেন, মনের দিক দিয়ে একটা ছোটলোক। “ ??
বছরখানেক পর কক্সবাজারে অফিস ট্যুরে গেলাম। কিছু একটা জমায়েত ছিল পথে। বিরক্তিকর মাইকিংএ হঠাৎ কানখাড়া হলো।
“ এই মাত্র একজন ট্রাক ড্রাইভার ভাই আমাদের এতিমখানার জন্য এতো টাকা দিয়ে গেলেন।” এবং যতক্ষণ মনে আছে শ্রমজীবী শ্রেণীর দানের ঘোষণাই শোনা গেল। বিষয়টা তখন বিশ্লেষন করলাম।
আসলে ওরা যখন অভাবের কথা, ক্ষুধার কথা বলে আমরা ভাবি নাটক করছে, ভিক্ষা দেয়া অনুচিত ইত্যাদি হেন তেন চুলচেরা সহী গলদের হিসাব করতে বসি । কিন্তু শ্রমজীবী শ্রেণীর একজন জানে ক্ষুধা লাগাটা আসলে কেমন লাগা? অভাববোধটা আসলে কেমন? মিথ্যা বলে ভিক্ষা পাবার পরেও তাদের জীবনের সবটাই কতটা অমানবিক।
একারণেই সবচেয়ে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসতে পারে যে কখনো ভালবাসা পায়না। সে জানে এর কাঙ্গালিত্ব। একটা পথশিশুকে দেখবেন ফুটপাতে বসে বেওয়ারীশ কুকুরকে কিভাবে আদর করছে। কারণ সে ঠিক ঐভাবে ভালোবাসা পাওয়ার জন্য হাহাকার করতে থাকে।
সত্য মিথ্যা জানিনা গল্প শুনেছিলাম , হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী তখনও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হননি , মুসলীম লীগের সাধারণ সম্পাদক। ২য় বিশ্বযুদ্ধে সময় তখন বাংলায় ইংরেজসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ । জানানো হলো “ বাংলার মানুষ ভাত খেতে পাচ্ছেনা” ।
তিনি অবাক হয়ে জবাব দিলেন “ তাহলে পোলাও খেতে বলো !”

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩

সুমাইয়া আলো বলেছেন: ঘটনা সত্য মিথ্যা যা হোক, এই ক্ষেত্রে আমার কাছে ভিন্নত্ব আছে আমি বরং তাদেরকে নগদ টাকা দিই না, বরং হোটেলে গিয়ে যা খেতে যায় তাই খাওয়ায়।।। কারণ ৬০% ফকির এই টাকা দিয়া নেশা করে।।।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:১৪

তানজীনা বলেছেন: সুন্দর বলেছেন, পরের উত্তরে সামান্য ব্যাখ্যা দিয়েছি।

২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৪

সুমাইয়া আলো বলেছেন: ঘটনা সত্য মিথ্যা যা হোক, এই ক্ষেত্রে আমার কাছে ভিন্নত্ব আছে আমি বরং তাদেরকে নগদ টাকা দিই না, বরং হোটেলে গিয়ে যা খেতে যায় তাই খাওয়ায়।।। কারণ ৬০% ফকির এই টাকা দিয়া নেশা করে।।।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:১২

তানজীনা বলেছেন: অবশ্যই ভিক্ষাবৃত্তি সমর্থনযোগ্য নয় এবং তার বদলে তার অভাবটা দূর করাটাই সর্বোত্তম। কিন্তু আমাদের ১% এরও সেই সময় , মানসিক বা অবস্থানগত সামর্থ্য হয়না। আপনার টাকায় সে হয়তো নেশাই করবে, কিন্তু আপনি কি কোন নিজের কোন আনন্দ বিলাসিতায় এক পয়সাও নষ্ট করেন না? কোটি টাকার লুটেরাদের কাছে ব্যাংকে সর্বস্ব গচ্ছিত রাখতে এতো সহী গলদের হিসাব করিনা তো , নিদেনপক্ষে সূদ হারাম তাহলে ব্যাঙ্কে টাকা রাখবো কিনা এইসব! কেন যেন আমাদের সব বিচার বিশ্লেষন ক্ষমতাহীনদের ক্ষেত্রেই এসে বেশী জাগ্রত হয়। আমি নিজে এ ধরণের যেকোন দানে নিজে কিনে দিয়ে হস্তান্তর করি বলে অনেকগুলি দাতব্য সংস্থায় যুক্ত থেকে দেখেছি এমন আহবানে সাহায্য করার লোকের কি নিদারুন হাহাকার পরে যায়!

৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: রাস্তার ফকিরকে ভিক্ষা দেয়ার সমর্থক আমিও নই। বরং রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে তার একটা কর্মসংস্থান করা যায় কি না, সে ব্যাপারে চেষ্টা করে থাকি। অথবা, সুমাইয়া আলো যেমনটি বলেছেন, তাদেরকে একবেলা খাওয়ানো, কিংবা কিছু পুরনো কাপড় চোপড় দিয়ে সাহায্য করা যায় কিনা, ইত্যাদি অনেক সময় বিবেচনা করি। প্রফেশনাল ফকিরদেরকে ভিক্ষা দেয়া অনুচিত এবং সমাজের জন্য ক্ষতিকারক।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:১৩

তানজীনা বলেছেন: ভাল বলেছেন । ধন্যবাদ। অবশ্যই ভিক্ষাবৃত্তি সমর্থনযোগ্য নয় এবং তার বদলে তার অভাবটা দূর করাটাই সর্বোত্তম। কিন্তু আমাদের ১% এরও সেই সময় , মানসিক বা অবস্থানগত সামর্থ্য হয়না। আপনার টাকায় সে হয়তো নেশাই করবে, কিন্তু আপনি কি কোন নিজের কোন আনন্দ বিলাসিতায় এক পয়সাও নষ্ট করেন না। কোটি টাকার লুটেরাদের কাছে ব্যাংকে সর্বস্ব গচ্ছিত রাখতে এতো সহী গলদের হিসাব করেন, নিদেনপক্ষে সূদ হারাম তাহলে ব্যাঙ্কে টাকা রাখবো কিনা এইসব? কেন যেন আমাদের সব বিচার বিশ্লেষন ক্ষমতাহীনদের ক্ষেত্রেই এসে বেশী জাগ্রত হয়। আমি নিজে এ ধরণের যেকোন দানে নিজে কিনে দিয়ে হস্তান্তর করি বলে অনেকগুলি দাতব্য সংস্থায় যুক্ত থেকে দেখেছি এমন আহবানে সাহায্য করার লোকের কি নিদারুন হাহাকার পরে যায়! আপনার চেষ্টা অব্যহত থাকুক। কৃতজ্ঞতা।

৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৪০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অনেক বড়লোককেই দেখি কেউ ভিক্ষা চাইলে "মাফ করেন" বলে কেটে পড়েন । অবস্থা এমন ২, ৫, ১০ টাকা দান করলে বৈভব কমে যাবে!

৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৩২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট ,ভাল লাগল । যার ক্ষুদা সেই জানে ক্ষুদার কি জ্বালা!

৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৫

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: অনেক দিন থেকে আমি আমার কাজের সহায়কদেরকে এমন ভাবে সাহায্য করি যেন তার পরিবারটি স্বনির্ভর হয়ে উঠতে পারে আর প্রতিদিন তাকে
বেতনের অতিরিক্ত হিসাবে তাকে ব্যালেন্স ডায়েট দিয়ে থাকি । আমি মনে করি এটি আমার সাধ্যের মধ্যে ভাল কাজ করছি । আপনার জন্য রইল অনেক
শুভ কামনা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.