নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তানজীনা

আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম। জাপানে গবেষনায় আছি। জাপানে আমার চাকরী গবেষনা সবই জাপানী উন্নত প্রযুক্তি উন্নয়নশীল দেশের সাধারণ মানুষের কাছে সুলভে কিভাবে পৌঁছে দেয়া যায় তাই নিয়ে। এ কাজ করতে করতে দেখেছি আমার দেশের অনেক অনেক ক্ষেত্রে অনেক কাজ বাকী রয়ে গেছে এবং আমার দেশের এই গরীব মানুষগুলির ট্যাক্সের পয়সায় আমি পড়াশোনা করে এ পর্যায়ে এসেছি। তাই, আমি জানি এই দেশের প্রতি, এই মানুষগুলির প্রতি “আমার অনেক ঋণ আছে”। তারই একটা ধাপ এই ব্লগে লেখা।

তানজীনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার তৃতীয় বই , ঋদ্ধি ।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০৩



বইঃ ঋদ্ধি। ( অতিপ্রাকৃত উপন্যাস) । ছেপেছেনঃ আদর্শ।
স্টল নংঃ ৪৯৬-৪৯৭ , সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলার মূল মাঠে; বইমেলা ২০১৭।

মেলায় বই “এসেছে? আসেনি?”র ধাঁধায় অনেকেই গিয়ে বা রকমারীতে ফোন করে হতাশ হন, হয়েছেন।সেলেব্রেটি লেখকদের জন্য এতো কষ্ট স্বার্থক হয়, বই প্রকাশে প্রায় সদ্যজাত কারো এতো কষ্ট দেবার ধৃষ্টতা থাকতে পারেনা।। তাই শপথ করেছিলাম বই মেলায় প্রাপ্য না হলে বইয়ের গল্পটা বলবোনা।

** বইমেলায় বই পা রেখেছে। তো এবার গল্পটা শোনাই।

রক্তমাংসের ভগ্নাংশ যে জন, এক জনমের ছায়াসঙ্গী কিংবা বটের ছায়া - যাতে ক্লান্ত শরীর হেলে দিয়ে তাপিত হিয়া জুড়ায় - সেই মানুষটা হঠাৎ রিটার্ন টিকেট ছাড়া হারিয়ে গেলে ঠিক কেমন বোধ হয়?
ছায়াহীন শরীরি খাঁচায়বন্দী নিজ আত্মাকে ধারণ । চেনা জগতের সব অচেনা অসহায়। মাথার ভেতরে সব লন্ডভন্ড!!
বোবা অসহায় সেই মুহুর্তেই আটকে গেল এক ৯ বছরের শিশু ,ঋদ্ধি।

বুদ্ধিদীপ্ত প্রাপ্তমনস্ক শিশুটির কাছে সেই হারানো মানুষটার জগতটাই হয়ে গেল বাস্তব, অন্যসব পরাবাস্ত্বব।
মনের অসুখও বড় নাজুক অসুখ। পাছে কেউ জেনে যায় সেই দুঃশ্চিন্তাই বড়, রোগ সাড়ানোর চেয়েও গুরুতর।
দানবিক চেহারায় অনেকখানি মানবিকতা নিয়ে হাত বাড়ালেন গোমড়ামুখী এক কালো সাহেব, কীর্তিমান মনস্তত্ববিদ, প্যারানরমাল সাইকোলজী যার মূল বিষয়।

শিশু মনের সেই জট খুলতে গিয়ে তিনি টের পেলেন, এই নাজুক সুতার গিঠ আটকে আছে বহুদূরে, ছোট এক মফস্বল শহরের প্রতাপশালী এক মানুষের “সুলতান মঞ্জিল” এ । ছেলেটির মায়ের জন্ম , বেড়ে ওঠা সেখানে , আর , সকল অস্বাভাবিকতার শেকড়ও সেখানে । যেই শেকড়ের টান মা তার বয়ঃসন্ধিতে রাজধানীতে পালিয়ে এসেও উপড়ে ফেলতে পারেনি।

---------------------------------
অনেকেই বলেন আমি যে জীবন যাপন করিনি , দেখিনি , তেমন দুরুহ সব বিষয় নিয়ে এতো কষ্ট করে কেন লিখি ? উত্তর একটাই , লেখক বাহুল্য আর পাঠক স্বল্পতার যুগে আমার মত অখ্যাত একজনের বই নজরে আনতে। অপরিচিতরা গল্প শুনে পড়তে গিয়ে যদি দৈবত ভাল লেগে যায় , যদি আরো ৫ জনকে বলে, তো এভাবেই ধীরে ধীরে আমার পাঠক জন্ম নেবে। বিধাতার মায়াবী হাতের ছোঁয়ায় অলৌকিকভাবে যদি কোনদিন বড় লেখক হতে পারি ত সেদিন আমার যাপিত জীবনের সহজ গল্প লেখার দুঃ সাহস করবো।
আজ পাশে থাকুন! আপনাদের ধার দেয়া সাহ্স আর মায়ায় একটা একটা করে নুড়ির মতই ভালবাসা কুড়াচ্ছি , একদিন গোটা বালুচর গড়ে ফেলবো , সেই আস্পর্ধায়!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৮

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: বইটা তো গল্পগ্রন্থ, তাইনা?

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৩৪

তানজীনা বলেছেন: না, উপন্যাস। আমার তিনটাই উপন্যাস। এটা অতিপ্রাকৃত।

২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৩৬

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: বইটির পাঠক সফলতা কামনা করছি। দেশে থাকলে এক কপি কিনে সংগ্রহে রাখতাম। সহব্লগার এর বই কিনা চাই।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৩৬

তানজীনা বলেছেন: অনুপ্রেরণার জন্য ধন্যবাদ। হুম , প্রবাসী সহব্লগার , বন্ধু সবার জন্য পেইড ই-বুকে পিডিএফ বা বইটাই প্রাপ্য করার আয়োজন হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.