নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তানজীনা

আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম। জাপানে গবেষনায় আছি। জাপানে আমার চাকরী গবেষনা সবই জাপানী উন্নত প্রযুক্তি উন্নয়নশীল দেশের সাধারণ মানুষের কাছে সুলভে কিভাবে পৌঁছে দেয়া যায় তাই নিয়ে। এ কাজ করতে করতে দেখেছি আমার দেশের অনেক অনেক ক্ষেত্রে অনেক কাজ বাকী রয়ে গেছে এবং আমার দেশের এই গরীব মানুষগুলির ট্যাক্সের পয়সায় আমি পড়াশোনা করে এ পর্যায়ে এসেছি। তাই, আমি জানি এই দেশের প্রতি, এই মানুষগুলির প্রতি “আমার অনেক ঋণ আছে”। তারই একটা ধাপ এই ব্লগে লেখা।

তানজীনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

এলিয়েন আদৌ আছে কি নেই সেটা নিয়ে বিজ্ঞান কি বলে ?

৩১ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা নাসা’র প্রাক্তন গবেষক, বিশিষ্ট জোতির্বিবিজ্ঞানী, ক্যালিফোর্নিয়া রিভারসাইট কলেজের পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. দীপেন ভট্টাচার্যকে Dipen Bhattacharya ইমেইলে করা সাংবাদিক অঞ্জন আচার্য্যের দুটি প্রশ্ন ও তার উত্তর।

প্রশ্ন-১ : পৃথিবীর বাইরে কি আদৌ কোনো প্রাণের অস্তিত্ব আছে বলে আপনি মনে করেন? সৌরজগৎ বা এর বাইরে পৃথিবীর মতোই এমন প্রাণময় গ্রহের অস্তিত্ব থাকার সম্ভবনা কতখানি আছে? এ বিষয়ে বিজ্ঞানের সর্বশেষ তথ্য কী বলে?
প্রশ্ন-২ : ভিনগ্রহের প্রাণী, মানে এলিয়েন কি কেবলই মানুষের কল্পনাজাত একটি চরিত্র? নাকি এর বাস্তব কোনো ভিত্তি আছে? অনেক প্রতিবেদনে পড়েছি, এলিয়েনের নাকি অস্তিত্ব ছিল বা আছে। বিষয়টি কতখানি সত্য?

দীপেন ভট্টাচার্যের উত্তর :
পৃথিবীতে যেভাবে প্রাণের উদ্ভব ঘটেছে সেভাবে প্রাণের অবির্ভাব অন্য সৌরজগতের গ্রহে ঘটবে বা ঘটতে পারে, তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই। কথা হলো, তারা মানুষের মতো বা তার চেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণীতে বিকশিতে হবে কিনা- সেটা নিয়ে। এ পৃথিবীতে ডাইনোসোররা প্রায় ২০ কোটি বা ২০০ মিলিয়ন বছর ধরে বেশ ভালোভাবেই বেঁচেছিল। একটা উল্কাপিণ্ডের আঘাতে পৃথিবী বদলে না গেলে তারাই থাকতো আরো শত মিলয়ন বছর। এক্ষেত্রে স্তন্যপায়ী প্রাণীদের আগমন ঘটতো না। কাজেই বুদ্ধিমান প্রাণীর বিকাশ কোনো অবশ্যম্ভাবী ব্যাপার নয়। অন্যদিকে খুব আদিম ব্যাক্টেরিয়া বা এমনকি ডাইনোসর জাতীয় প্রাণীদের আবির্ভাব ঘটা অনেক সম্ভাবনাময় বলে মনে করি।

এদিকে আমাদের গ্যালাক্সিতে তারাগুলো এত দূরে দূরে যে সেগুলো থাকলেও তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ করা প্রায় অসম্ভব বলা যায়। সূর্য ছাড়া আমাদের নিকটবর্তী তারা থেকে পৃথিবীতে আলো এসে পৌঁছাতে প্রায় সাড়ে চার বছর লাগে। বিজ্ঞানের সর্বাধুনিক প্রকৌশল ব্যবহার করে সেখানে পৌঁছাতে সময় লাগবে প্রায় ৭৫ হাজার বছর। আমরা যে গাল্যাক্সিতে বাস করি, এর ব্যাস হলো এক লক্ষ আলোক বছর। [ভ্যাকুয়ামে, মানে শূন্যস্থানে আলো কোনো বাধা না-পেয়ে এক বছরে যে দূরত্ব অতিক্রম করে, তাকেই বলা হয় এক আলোক বছর। আলোর গতি হলো প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩ লাখ কিলোমিটার (২,৯৯,৭৯২ কিলোমিটার)। অর্থাৎ এক আলোকবর্ষ প্রায় ৬ ট্রিলিয়ন মাইলের সমান। কিলোমিটারে হিসাব করলে প্রায় ১০ ট্রিলিয়ন কিলোমিটার (৯,৪৬০,৭৩০,৪৭২,৫৮১ কিলোমিটার)।] অতএব এখানে ১০টা উন্নত সভ্যতা থাকলেও তারা একে অপরকে খুঁজে বের করার জন্য কোটি বছর লাগিয়ে দিতে পারে। ততদিন ঐ সভ্যতাগুলো টিকে থাকবে কিনা সন্দেহ, পৃথিবীসহ বলছি।
জ্যোতির্বিদরা অন্য নক্ষত্রদের কক্ষপথে অনেক গ্রহ আবিষ্কার করছেন। কয়েক হাজার গ্রহ পাওয়া গেছে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা পৃথিবীর মতো নয়, বা তাদের সূর্য থেকে প্রাণ সৃষ্টি হতে পারে এমন দূরত্বে নয়। বিজ্ঞানীরা এইসব গ্রহের কয়েকটির বায়ুমণ্ডল আছে, সেটা নির্ধারণ করেছেন ঠিকই, তবে সেখানে প্রাণ আছে কিনা নিশ্চিত করে না। এছাড়া গত প্রায় ৩০ বছর রেডিও তরঙ্গে কোনো সংকেত বাইরে থেকে আসছে কিনা সেটাও বিজ্ঞানীরা ক্রমাগতই দেখে যাচ্ছেন। কাজেই এলিয়েন আদৌ আছে কি নেই সেটা নিয়ে বিজ্ঞান concrete কিছু বলতে পারে না। যুক্তি বলছে থাকার কথা। আমরা খোঁজ করে চলছি, এটুকুই বলতে পারি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.