নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তানজীনা

আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম। জাপানে গবেষনায় আছি। জাপানে আমার চাকরী গবেষনা সবই জাপানী উন্নত প্রযুক্তি উন্নয়নশীল দেশের সাধারণ মানুষের কাছে সুলভে কিভাবে পৌঁছে দেয়া যায় তাই নিয়ে। এ কাজ করতে করতে দেখেছি আমার দেশের অনেক অনেক ক্ষেত্রে অনেক কাজ বাকী রয়ে গেছে এবং আমার দেশের এই গরীব মানুষগুলির ট্যাক্সের পয়সায় আমি পড়াশোনা করে এ পর্যায়ে এসেছি। তাই, আমি জানি এই দেশের প্রতি, এই মানুষগুলির প্রতি “আমার অনেক ঋণ আছে”। তারই একটা ধাপ এই ব্লগে লেখা।

তানজীনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সহজে শীত মোকাবেলা

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৮



ধনী দেশে শীত গ্রীষ্ম কোনটাই তেমন দুর্ভোগের বিষয় না। তবুও নিজেদের সংস্কৃতিতে আবদ্ধ জাপানে এখনো কিছু প্রাচীন বা ঘরোয়া সরঞ্জামে শীত মোকাবেলা করা হয়।
আমাদের দেশে শীত খুব সামান্য; তবুও যেহেতু উন্নত দেশের মত ঘরে ঘরে হিটিং সিস্টেম চালু হয়নি, তাই ঘরোয়া এসব পদ্ধতি শেয়ার করলাম , যদি কারো কাজে লাগে:

১। ইউতানপোঃ এর প্রচলিত নাম আমরা জানি “হট ওয়াটার ব্যাগ” । আমি ছোট থেকেই দেখতাম বুড়ো মানুষ এসব ব্যাথা বেদনা উপশমে ব্যবহার করেন। জাপানে শীতের দিনে লেপের নীচে, অফিসে বা ঘরে টেবিলে বসে কোম্বল মুড়িয়ে কোলে রেখে শরীর বা পা গরম রাখে ।
** সাবধানতাঃ ব্যাগে ছিদ্র বা মুখ ঢিলা যেন না থাকে, তাহলে লেপ গরম পানিতে ভেসে গিয়ে দুর্ভোগ আরো বাড়বে!)

২। কোলের কোম্বলঃ আমাদের দেশে এমন ছোট সাইজের কোম্বল বোধহয় পাওয়া যায়না। তো পুরাতন কোম্বল কেটে বা ভারী শাল দিয়ে অফিসে বা ঘরে টেবিলে বসে কাজের সময় পায়ের উপর রেখে পা গরম রাখা। পায়ে মোজা ( বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের) পরে মোটা কাপড়ের ইন্ডোর জুতাও আমাদের দেশে ঘরেই বানাতে পারেন।

৩। কোতাতসুঃ অত্যন্ত জনপ্রিয় এক হিটিং সিস্টেম। টেবিলের নীচে আগের দিনে গর্ত করে কয়লা, লাকড়ী, কেতলী ইত্যাদি জ্বালানো হতো। এখন টেবিলের আন্ডারনিথ ইলেকট্রিক হিট জেনেরেশন সিস্টেম থাকে। এই টেবিলে কোম্বল মুড়িয়ে এতে শরীর ঢেকে খাওয়া, ঘুম সবই করা হয়।

৪। কাপড়ের পুতুলঃ এটা সবচেয়ে সহজলভ্য ও সুলভ। কাপড়ের পুতুল বা যে কোন শেইপের কিছু কেটে এর ভেতরে গম ভরে সেটা তাওয়ায় সেঁকে ( বা মাইক্রওয়েভে ) গরম করে কোলে, পায়ের নীচে, হাতের মুঠোয় রেখে শীত মোকাবেলা।

উপরের সবগুলিই আমি নিজেই ট্রাই করেছি, বিশেষ করে ১,২,৪ অফিসে সবসময়েই করি।
অত্যন্ত কার্যকর এদের তুষারপাতের দিনেও।
শুভকামনা।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৯

শিখণ্ডী বলেছেন: শীতকাতুরেদের জন্য দরকারি পোস্ট। আমি গরম পানির ব্যাগ পায়ের কাছে রেখে দেই। তবে পুতুলের মধ্যে গম ভাজা রাখলে কী সুবিধা? বাদাম দিলে হয় না? পুতুল ফুটো করে খাওয়া যেত :)

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১৪

তানজীনা বলেছেন: হি হি হি --খেয়ে ফেললে তো আর শীত নিবারণ হবে না!

২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: শহরে এত শীত পড়ে না...

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১৫

তানজীনা বলেছেন: আমি তো আজীবন ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে থাকতাম, তাও শীতে কাহিল থাকতাম।

৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.