নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তানজীনা

আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম। জাপানে গবেষনায় আছি। জাপানে আমার চাকরী গবেষনা সবই জাপানী উন্নত প্রযুক্তি উন্নয়নশীল দেশের সাধারণ মানুষের কাছে সুলভে কিভাবে পৌঁছে দেয়া যায় তাই নিয়ে। এ কাজ করতে করতে দেখেছি আমার দেশের অনেক অনেক ক্ষেত্রে অনেক কাজ বাকী রয়ে গেছে এবং আমার দেশের এই গরীব মানুষগুলির ট্যাক্সের পয়সায় আমি পড়াশোনা করে এ পর্যায়ে এসেছি। তাই, আমি জানি এই দেশের প্রতি, এই মানুষগুলির প্রতি “আমার অনেক ঋণ আছে”। তারই একটা ধাপ এই ব্লগে লেখা।

তানজীনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুদ্ধের গল্প

০৫ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৬

একবার গৌতম বুদ্ধ তাঁর কয়েকজন অনুসারীদের নিয়ে ভ্রমণ করছিলেন ।
পথে এক হ্রদ পড়লে বুদ্ধ তাঁর শিষ্যদের একজনকে বললেন, "আমি তৃষ্ণার্ত। আমার জন্য হ্রদ থেকে কিছু পানি আনো।"

শিষ্য হ্রদে গিয়ে পৌঁছানো মাত্র একটি গরুর গাড়ি হ্রদ অতিক্রম করতে শুরু করে। ফলে পানিতে ঘূর্ণন ওঠে এবং তা কর্দমাক্ত হয়ে যায়।

শিষ্য ভাবলো " এই পানি আমি বুদ্ধকে কি করে পান করতে দেব ?"

তাই তিনি ফিরে আসেন এবং বুদ্ধকে বলেন, "সেখানে পানি খুব ময়লা। এটা পান করার উপযুক্ত না ।"

প্রায় আধা ঘন্টা পর বুদ্ধ আবার একই শিষ্যকে যেতে বলেন
লেকের দিকে.

শিষ্য গিয়ে দেখলেন যে কাদা এখনও জমে গেছে।

তিনি ফিরে আসেন এবং একই কথা বুদ্ধকে জানান।

কিছুক্ষণ পরে, আবার বুদ্ধ শিষ্যকে পানি আনতে যেতে বললেন।

এই সময়, শিষ্য দেখলো , কাদা স্থির হয়ে গেছে, এবং জল পরিষ্কার।
অতঃপর তিনি একটি পাত্রে কিছু পানি সংগ্রহ করে বুদ্ধর জন্য নিয়ে এলেন।

বুদ্ধ পানির দিকে তাকিয়ে শিষ্যকে বলেন,
"দেখ, এই জল পরিষ্কার করার জন্য তুমি কি করেছ? কিছুই না । কেবল অপেক্ষা করেছ ,আর কাদাগুলি নিজ থেকেই স্থির হয়ে নীচে জায়গামত ফিরে গেছে এবং তোমার আজলায় পরিষ্কার জল এসে গেছে।"

তোমার মনও ঠিক তেমন ! যখন এটি অস্থির , অশান্ত , বিক্ষুব্ধ হবে তখন শুধু মনকে একটু সময় দেবে। এটা নিজে থেকেই স্থির হবে।

আর এই অশান্ত মনকে শান্ত করার কোন প্রচেষ্টা বা জবরদস্তিরই প্রয়োজন নাই। এটি স্থির হবেই, কোনো প্রচেষ্টা ছাড়াই হবে।

তেমন তোমার প্রিয় মানুষ বা প্রিয় বস্তু হারিয়ে গেলে ভেঙ্গে না পরে স্থির থাকা খুব কষ্টসাধ্য, জানি, কিন্তু অসম্ভব নয়।

প্রেমে পড়া তোমার নিয়ন্ত্রণে নাও থাকতে পারে, কিন্তু সেই প্রেম আঁকড়ে থাকা অবশ্যই নিশ্চিতভাবেই একটি পছন্দ মাত্র ... (Falling in love might not have been under your control, but staying in love is definitely only a choice..)

সময় সবকিছু নিরাময় করে !! তাই যা তোমার কাছে এসেছে তা ইতিবাচক ভাবে দেখো এবং মন শান্ত করতে হলেও বিশ্বাস করো যে সব কিছুর জন্যই একটি উচ্চতর কারণ রয়েছে।

এমনকি উপরের সবগুলি কথাও যদি ভুল বলে মনে করো তবুও নিশ্চিত হবে যে একদিন তুমি বুঝতে পারবে এবং সেই দিন তুমি জানবে, যে আমি আসলে কী বোঝাতে চেয়েছি ।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:০৩

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: কথাগুলো অনেক উচ্চুমানের।

২| ০৫ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সমাজ বাস্তবতায় বিভিন্ন নৈতিক উপদেশ দিয়েছিলেন বৌদ্ধ ধর্মের প্রবাদপুরুষ গৌতম বুদ্ধ। তাঁর সম্পর্কে মুল্যবান কিছু গল্প কথা এখানে তুলে ধরায় পাঠে ভাল লাগল । ত্রিপিটকের গ্রন্থসমূহে সংকলিত তার আরো অনেক মুল্যবান কথামালা তথা বানী রয়েছে যথা- মা যেমন তার একমাত্র পুত্রকে নিজের জীবন দিয়ে রক্ষা করে থাকে, সেরূপ সকল প্রাণীর প্রতি মৈত্রীভাব পোষণ করা। রাগের সমান অগ্নি নেই, দ্বেষের সমান গ্রাসকারী নেই, মোহের সমান জাল নেই, তৃষ্ণার সমান নদী নেই, তাই রাগ-দ্বেষ-মোহ ও তৃষ্ণা পরিত্যাগ করতে হবে। আরোগ্য পরম লাভ, সন্তুষ্টি পরম ধন, বিশ্বাস পরম জ্ঞাতি, নির্বাণ পরম সুখ। মাতা-পিতার সেবা করা, স্ত্রী-পুত্রের উপকার সাধন করা এবং নিষ্পাপ ব্যবসা বাণিজ্য দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করা উত্তম মঙ্গল। ক্রোধ সংবরণ কর, অহংকার পরিত্যাগ কর, সকল বন্ধন অতিক্রম কর, নিজেই নিজের ত্রাণ কর্তf অন্য কেউ নয়। নিজেকে সুসংহত করতে পারলে মানুষ নিজের মধ্যেই দুর্লভ আশ্রয় লাভ করতে পারে।

যাহোক, অনুমিত হয়, তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর অনুগামীরা তাঁর জীবনকথা, শিক্ষা ও বৌদ্ধ সংঘের সন্ন্যাস-বিধি লিপিবদ্ধ করেন। তাঁর শিক্ষাগুলি প্রথম দিকে মুখে মুখে প্রচলিত হলেও বুদ্ধের মৃত্যুর প্রায় চারশো বছর পর এগুলি লিপিবদ্ধ করা হয়। তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলি সম্বন্ধে যত কথা উল্লেখ রয়েছে, তাঁর সবগুলিই বেশ গুরুত্বপুর্ণ , বিশেষ করে তাঁর সম্পর্কে বলা গল্প কথায় প্রাচীন ভারতের সংস্কৃতি ও দৈনন্দিন জীবন সম্বন্ধে ধারণা পাওয়া যায় যেমন খ্রিস্টজন্মের ১৬০০ থেকে ১৫০০ বছর আগেই সিন্ধু অববাহিকা ও ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে গরুর গাড়ির যে প্রচলন ছিল তা বৌদ্ধ বিষয়ক এ পোষ্টের গল্পেও উঠে এসেছে । সর্বোপরি তাকে নিয়ে বলা কাহিনীর মধ্যে থেকে খুব কম তথ্যই ইতিহাস নির্ভর হলেও স্বয়ং গৌতম বুদ্ধের ঐতিহাসিকতা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই এ কথা নির্ধিদায় বলা যায়। ধন্যবাদ মুল্যবান কথামালা সমৃদ্ধ পোষ্টটির জন্য ।

শুভেচ্ছা রইল

০৬ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৬

তানজীনা বলেছেন: "রাগের সমান অগ্নি নেই, দ্বেষের সমান গ্রাসকারী নেই, মোহের সমান জাল নেই, তৃষ্ণার সমান নদী নেই, " !! বাহ কি অসাধারণ !! অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা আপনাকেও

৩| ০৫ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৪

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: সুন্দর +

৪| ০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ১২:৫৬

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: চমৎকার শিক্ষণীয় বিষয়।

৫| ০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ১:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


এইগুলো প্রচলিত কথা; বুদ্ধ বললে ভালো, উনি না বললেও ভালো, এগুলো প্রচলিত থাকবে।

৬| ০৬ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:৫৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ধর্মের ভাল দিকগুলো মানুষ ভুলে যেতে বসেছে তাইতো বিশ্ব মাঝে এত হানাহানি, মারামারি, কাটাকাটি।

৭| ০৬ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:১২

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: খুব ভালো গল্প লিখলেন,ধন্যবাদ ও রমযানের শুভেচ্ছা জানিবেন। চিরকুট পড়ার দাওয়াত রইলো।

০৬ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৭

তানজীনা বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা , নিশ্চয়ই পড়বো ।

৮| ০৬ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:০৯

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: শিক্ষনীয় চিন্তা-জাগানিয়া গল্প....

৯| ০৬ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: এরকম পোষ্ট মনকে ভরসা দেয়।

১০| ০৮ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১২:২২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার !

১১| ১০ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:০৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভালো লাগলো। সেই সাথে ডঃ এম এ আলী সাহেবের মন্তব্যটিও।

১২| ১৩ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:২৯

অজ্ঞ বালক বলেছেন: একমাত্র ধর্ম প্রবর্তক যাকে সবচাইতে কাছের মানুষ, খুব পরিচিত বলে মনে হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.