নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তানজীনা

আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম। জাপানে গবেষনায় আছি। জাপানে আমার চাকরী গবেষনা সবই জাপানী উন্নত প্রযুক্তি উন্নয়নশীল দেশের সাধারণ মানুষের কাছে সুলভে কিভাবে পৌঁছে দেয়া যায় তাই নিয়ে। এ কাজ করতে করতে দেখেছি আমার দেশের অনেক অনেক ক্ষেত্রে অনেক কাজ বাকী রয়ে গেছে এবং আমার দেশের এই গরীব মানুষগুলির ট্যাক্সের পয়সায় আমি পড়াশোনা করে এ পর্যায়ে এসেছি। তাই, আমি জানি এই দেশের প্রতি, এই মানুষগুলির প্রতি “আমার অনেক ঋণ আছে”। তারই একটা ধাপ এই ব্লগে লেখা।

তানজীনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুক ক্লাব

১০ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে হুমায়ুন আহমেদ স্যার ছাড়া আর কেউ লেখাকে পেশা হিসেবে নিতে পেরেছেন কিনা বা লেখার জন্য ঢাবির শিক্ষকতার মত পেশাকে ছেড়ে দিতে পেরেছেন কিনা জানা নাই। তবে উন্নত দেশে এর উদাহরণ প্রচুর।

হ্যারি পটার খ্যাত জে কে রাওলিং সকাল ৯টায় রীতিমত তাঁর নিজের বাড়িতেই নিজস্ব অফিসরুমে চেয়ার টেবিলে বসে ৯-৬টা লেখালেখি করেন ! ( কি ইন্সপায়ারিং)
কোরিয়ান আমেরিকান লেখিকা মিন জিন লি ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় আর জর্জটাউনের ডিগ্রী নিয়ে কর্পরেট আইনজীবির চাকরী ২ বছরের মাথায় ইস্তফা দিয়েছেন, লেখালেখি বিঘ্নিত হয় বলে। ৪ বছর জাপানে এসে থেকেছেন মূলত স্রেফ একটা বই লিখতে!

একজন সবার্থক অভিনয় শিল্পী যত ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেন ততগুলিই জীবন যাপনের স্বাদ পান।
অপরদিকে সাধারণ হিসেবে মানুষ কল্পনাতেও নিজের চেয়ে খুব বেশী কিছু ভাবতে পারেনা। একজন নিরন্ন কৃষক কোটিপতির জীবনের গল্প জানেনা। আজন্ম ধনবানও লিখতে পারেনা ক্ষুধার স্বরূপ ।
এমনকি মানুষ পড়তে বা ম্যুভি দেখতে বসলেও কিন্তু নিজের বা নিজের কল্পনার মত না হলে বসে না। কিন্তু বই পাঠে অনেকগুলি জীবনে ট্রাভেল করা যায়।
কিন্তু মুখবই ( ফেইসবুক) পড়ার বদভ্যাসে আসল বই পাঠ সবার আশঙ্কাজনক ভাবে কমে গেছে। দেশে আমার বুকশেলফগুলি সমৃদ্ধ ছিল, কিন্তু জাপানে নতুন না পড়া বই জমেছে !

জোর করে তাই সেই সুঅভ্যাস ফিরিয়ে আনতে আমাদের এখানের নন- জাপানীজ শিক্ষক গবেষকদের একটি বুক ক্লাবে জয়েন করলাম । আমেরিকান শিক্ষক বন্ধু পরিবারের আমন্ত্রণে ।

বুক ক্লাব দেশে বা যে কোনওখানে যে কেউ করতে পারে।
মাসে বা নির্দিষ্ট সময়ে সুনির্দিষ্ট বইয়ের পাঠ প্রতিক্রিয়া, আলোচনার মাধ্যমে অজানা বা খটকা লাগা কোনো জায়গা নিয়ে প্রশ্ন করে জানা। খুবই আনন্দময় একটা মুহুর্ত, ট্রাস্ট মি!

সম্প্রতি শেষ করেছি মিন জিন লি"র " পাচিনকো" । অসাধারণ !! অসাধারণ !!!! ( সম্ভব হলে বাংলায় অনুবাদ করে সবাইকে পড়তে দিতাম) !

মনে করতে পারিনাই শেষ কবে একটা বই পড়ে এত আনন্দ পেয়েছি, এত বুঁদ হয়ে গেছি !
বলতে পারেন সময় পেলাম / পাব কোথায়?
- আমি অডিবল ডট কম এ ( বই পড়ে শোনানোর অপশনে) কাজ করতে করতে শুনেই ৪ দিনে শেষ করেছি, ৫০০ পাতার বই।
কাজেই আপনারা বিছানায় শুয়ে বা জ্যামে বসেও পারবেন।

এই যে ফেইসবুকের জন্মদাতা , তিনিও সপ্তাহে / দুই সপ্তাহে একটা বই শেষ করেন। এই বিষয়ে তাঁর অনুপ্রেরণা বিল গেইটস পড়েন ৫ দিনে ১টা, আবার গেইটস এর অনুপ্রেরণা ধনবান ওয়ারেন বাফেট পড়েন দিনে ৫০০ পাতা আর ৫টা পত্রিকা ( ৬ ঘন্টা) ।

* উল্লেখ্য , বিশ্বের সবচেয়ে বড় বই " দ্য ব্লাহ স্টোরি" ছিল ১৭ হাজার ৮৬৮ পাতা। ( অবশ্যই আমি পড়িনাই) ।
আর , অল টাইম ক্লাসিক ওয়ার এন্ড পিস , লা মিসারেবল, গোন ইউথ দ্য উইন্ড ১১০০ পাতার

তো শুরু করে দিন!

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:১৪

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: বইয়ের লিস্টটা কাজে দিবে.....
প্রযুক্তির উৎকর্ষে মানুষ আজ বই পড়ে না...... সময় কাটানোর জন্য অসংখ্য মাধ্যম এখন।

অডিবল বা পডকাস্ট বা TTS দিয়ে অনায়াসে বড়সড় বই পড়ে ফেলা যায়। বর্তমানে অনেক PDF রিডারে শোনার অপশনটা আছে।

পাচিনকো মনে হয় জাপানে মাইগ্রেট করা কোরিয়ার কোনো ফ্যামিলির ঐতিহাসিক মহাকাব্য.........

সুন্দর লেখা......

আমিও বই পড়ি। নিয়মিতই। দিনে বইয়ের ছোঁয়া থাকবেই........

১০ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:৩৩

তানজীনা বলেছেন: জী , পাচিনকো আমেরিকায় ইমিগ্রেন্ট কোরিয়ান লেখিকার লেখা ৪ পুরুষের মহাকাব্য , সেই জাপান যখন কোরিয়াকে তাদের কলোনী বানিয়েছিল সেই সময়ে শুরু , এরপর জাপানে আসা। তবে মূল শুরুটা ১ম বিশ্বযুদ্ধের পরেই। আমি অনেক অলটাইম ক্লাসিক পড়তে গিয়েও অমনযোগী হই , বোর হই মাঝে মাঝে -- কিন্তু পাচিনকো আমি স্রেফ নাকে মুখে গিলে গেছি, তাও পর পর দুইবার পড়েছি---- এত্ত এত্ত সুন্দর!! এটি ছিল একেবারেই আমার বই!

২| ১০ ই মে, ২০১৯ সকাল ১১:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদ জাস্ট গ্রেট।
বাকি লেখকরা সবাই চাকরী করে। কারন তাদের লেখার জোর হুমায়ূন আহমেদের মতোন না।

১০ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৫

তানজীনা বলেছেন: তাই কি? আখতারুজ্জামান ইলিয়াশ ? শওকত আলী ? আহমেদ ছফা! আহমেদ ছফা ফেলে ত ওঠাই যায়না!

৩| ১০ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:০৮

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম আপনার এমন পোস্টে, ধন্যবাদ।

১০ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৩

তানজীনা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

৪| ১০ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:০০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এক সময় আমিও প্রচুর বই পড়তাম, এখন সময় আর পরিবেশ বদলে গেছে

৫| ১০ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:০৮

নীল আকাশ বলেছেন: ভাল লিখেছেন তবে হুমায়ুন আহমেদ যা করেছেন সেটা বাকি সবার এইদেশে করা সম্ভব না। এই দেশে বই কেনে কয়জন? পড়ার ইচ্ছে করলে গুগল দিয়ে পিডিএফ নামিয়ে নিলেই হয়। এটা এই দেশে সবচেয়ে বেশী হয়। লেখকরা তো না খেয়ে, না বাজার করে, চলতে পারবেন না, তাইনা?

১০ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৩

তানজীনা বলেছেন: সেটা তো অবশ্যই , সেটা মোটামুটি মেলায় প্রতিবার কাছ থেকে দেখেই জানি। হতাশা ..।

৬| ১০ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:০৮

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: কোন একটি লিখা পড়তে হলে প্রথমে আগ্রহ থাকতে হবে।সবাই আগ্রহী কিন্তু মনের মতন লেখা উপহার না দিতে পারায় বাকীরা পিছলে পড়েছেন।

৭| ১০ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:৪৪

চাঙ্কু বলেছেন: বই লিখে অনেকেই বড়-লোক হইছে কিন্তু খালি বই পড়ে কেউ বড়লোক হয় নাই বরং গরিব হইছে। এইজন্য বই পড়া ক্ষেমা দিছি!!

৮| ১১ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৪

ডার্ক ম্যান বলেছেন: বই চাইলেই সবাই পড়তে পারে না। আর্থিক নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রবীন্দ্রনাথ হুমায়ন তাঁদের আর্থিক নিরাপত্তা ছিল বলেই এত জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন লেখালেখি করে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.