নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন মানুষ ।

দুর্গম পথের যাত্রী

দুর্গম পথের যাত্রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমেরিকার নির্দেশে আল কায়েদার \' ভুয়া \' ভিডিও বানাত ব্রিটিশ ফার্ম ....তাহলে আই এস , আল কায়েদা, তালেবান এসব কি মিথ্যা ???

১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:১৬


ইরাক যুদ্ধ নিয়ে বিশ্বে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এমনকি খোদ মার্কিন মুলুকেও। সমালোচিত ভয়াবহ সেই যুদ্ধ শেষ হলেও তার প্রভাব এখনো ব্যাপকভাবে বিদ্যমান। বিতর্কিত যুদ্ধে ভেঙ্গে পড়া ইরাকি আর্থ-সামাজিক অবস্থা, কাঠামো, প্রশাসন, সার্বভৌমত্ব ইত্যাদি সবকিছু চরম হুমকির মুখে। বিভিন্ন সময়ের অনেক আলোচনা-সমালোচনায় উঠে এসেছে ইরাকে মার্কিন বাহিনীর অনেক ন্যাক্কারজনক ঘটনাসমূহ।এবারে ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন জার্নালিজমের তদন্তে উঠে এসেছে মার্কিনিদের আরেকটি বড় রকমের ভন্ডামি, যা তারা নির্লজ্জের মত ব্যবহার করেছিল ইরাক যুদ্ধের সময়।

ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন জার্নালিজম প্রকাশ করেছে যে পেন্টাগন যুক্তরাজ্যের একটি পাবলিক রিলেশন ফার্মকে প্রায় ৫৪০ মিলিয়ন ডলার প্রদান করেছিল ইরাকে আল-কায়েদার ‘ফেইক’ ভিডিও বানানোর জন্য!

বেল পটিঙ্গার, ফার্মটি যুক্তরাষ্ট্রে অন্যতম সফল একটি পাবলিক রিলেশন ফার্ম। মনে করা হয় মার্গারেট থ্যাচারের ইস্পাত কঠিন ভাবমূর্তি উপস্থাপনে ও তিনটি নির্বাচনে কনজার্ভেটিভ পার্টির জয়ে তাদের ভূমিকা ছিল। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি কাজ করেছে সিরিয়ান প্রেসিডেন্ট বাশারের স্ত্রীর হয়েও।

পেন্টাগনের হয়ে বেল পটিঙ্গারের অন্যতম কাজ ছিল স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভুয়া ভিডিও তৈরি করা যা দেখে মনে হবে তা কোনো আরব টিভি নেটওয়ার্কের তৈরি এবং এরকম আরো ভিডিও তৈরির মাধ্যমে কারা সেগুলো দেখছে তাদের অবস্থান নির্ণয় করা। হতবাক করে দেওয়া এইসব তথ্য ফাঁস করেছে বেল পটিঙ্গারের সাবেক এক কর্মকর্তা, যিনি এই গোপন মিশনে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। সর্বোচ্চ পর্যায়ের এই গোপন প্রক্রিয়ায় উচ্চপদস্থ মার্কিন মিলিটারি কর্মকর্তাদের সাথে পাশাপাশি থেকে বাগদাদের ক্যাম্প ভিক্টোরিতে কাজ করেছে ফার্মটির কর্মকর্তারা।

বেল পটিঙ্গারের সাবেক চেয়ারম্যান লর্ড টিম ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোর সাথে কাজ করা সানডে টাইমসকে নিশ্চিত করেছেন তার প্রতিষ্ঠান ‘গোপন’ মিলিটারি অপারেশনের সাথে যুক্ত ছিল যা বিভিন্ন গোপন কাগজপত্রে লিপিবদ্ধ আছে।ইরাকে বেল পটিঙ্গারের কার্যক্রমের নিয়মিত রিপোর্ট পেত পেন্টাগন, সিআইএ এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা।

প্রথমবারের মতো পাবলিক রিলেশন ফার্মটির একজন কর্মকর্তা, মার্টিন ওয়েলস ইরাকে মার্কিন মিলিটারির হয়ে কাজ করার কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন বাগদাদের ক্যাম্প ভিক্টোরির সময়টি ছিল- ‘প্রচন্ড ধাক্কা, চোখ খুলে দেওয়া ও জীবন বদলে দেওয়ার মতো’ ফার্মের কার্যক্রমের তদারকি করতো ইরাকে তৎকালীন মার্কিন কোয়ালিশন বাহিনীর কমান্ডার ডেভিড পেট্রিয়াস এবং ক্ষেত্রবিশেষে হোয়াইট হাউজও জড়িত ছিল বেল পটিঙ্গারের কর্মকান্ডের সাথে।

বেল পটিঙ্গারের উপর ব্যাপক তদন্ত, তাদের মিলিটারি সংক্রান্ত প্রচারণা, আর্থিক লেনদেন এবং প্রচুর সাক্ষাতকার নেয় ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন জার্নালিজম। দীর্ঘ এই প্রক্রিয়ায় উঠে আসে মার্কিন সরকারের অন্ধকার দিক।

বেল পটিঙ্গারের কাজের সাথে পরিচিত এক সামরিক কর্মকর্তা বলেন,“সে সময়ে ইরাকে তিন ধরণের মিডিয়া অপারেশন করা হতো। সাদা রঙের সিল উপস্থাপন করা হয়েছে, লেভেলে লিখা থাকতো ‘কে তা উপস্থাপন করেছে’; ধূসর ছিল ‘উপস্থাপন করা হয়নি’ এবং কালো রঙ ছিল ‘মিথ্যে উপস্থাপনের প্রতীক’। এই ধরণের গোপন অপারেশন থেকে এসব নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু কারা দেখছে তাদের চিহ্নিত করা ছিল নিয়মিত কাজের অংশ।”

ইরাকে বেল পটিঙ্গারের একটি মিথ্যা ও ভূয়া মিডিয়া অপারেশন পরিচালনার জন্য খরচ হয়ে যেত প্রায় একশ মিলিয়ন ডলারের উপরে, দেখা গেছে প্রতিষ্ঠানটির হয়ে কাজ করেছে প্রায় ৩০০ ব্রিটিশ ও ইরাকি।

ইরাকে মার্কিনবাহিনীর অভিযানের পরপরই লন্ডনভিত্তিক এই পাবলিক রিলেশন ফার্মটি দায়িত্ব পায় ইরাকের ‘গণতান্ত্রিক নির্বাচনের’অস্থায়ী কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করার। এরপর থেকে প্রতিষ্ঠানটি ধীরে ধীরে বড় ধরণের কাজ হাতে নেওয়া বন্ধ করে দিতে থাকে। পেন্টাগনের সাথে বেল পটিঙ্গারের ২০০৬ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে প্রায় ৫৪০ মিলিয়ন ডলারের লেনদেন হয়। শুরুতেই প্রায় ১২০ মিলিয়ন ডলারের বড় রকমের চুক্তি দিয়েই শুরু হয় এই গোপন কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক পথচলা।বিপুল পরিমানের অর্থ খরচ করা হতো ‘ভুয়া’ তথ্য উৎপাদন ও তা প্রচারে।

amraসাবেক বেল পটিঙ্গার কর্মকর্তা মার্টিন ওয়েলস জানিয়েছেন, ২০০৬ এর মে মাসে যখন ফার্মটিতে চাকরির জন্য সাক্ষাৎকার দেন, তখন তার কোন ধারণাই ছিল না কিসের মধ্যে জড়িয়ে যাচ্ছেন। প্রতিষ্ঠানটি থেকে যখন মার্টিন ডাক পান তখন তিনি একজন ফ্রিল্যান্স ভিডিও সম্পাদক, তাকে ফোন করে লন্ডন যেতে বলা হয় এবং জানানো হয় মধ্যপ্রাচ্যে তার জন্যে নতুন সম্ভাবনার কাজ রয়েছে।সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য তাকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি নেভি পোস্টের বিল্ডিংয়ের ছয় তলায়। মার্টিনের ভাষ্যমতে, যখন তিনি সেখানে পৌছালেন কড়া নিরাপত্তা দেখে তিনি দারুণ বিষ্মিত হন। অল্প বিস্তর কথাবার্তার পর মার্টিন যখন জানতে চান তিনি কাজটি পেতে যাচ্ছেন কি না, তখন তাকে বলা হয়, “তুমি ইতোমধ্যে তা পেয়ে গিয়েছে, আমরা তোমার অতীত রেকর্ড দেখে নিয়েছি।”

মাত্র ৪৮ ঘন্টা পরেই মার্টিনকে বাগদাদের বিমানের তুলে দেওয়া হয়, বাগদাদ বিমানবন্দর থেকে তাকে সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় ইরাকে আমেরিকার মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স অপারেশনের প্রাণকেন্দ্র বাগদাদ ক্যাম্প ভিক্টোরিতে। অবশেষে মার্টিন বুঝতে পারে ব্রিটিশ পাবলিক রিলেশন ফার্মটি যারা তাকে নিয়োগ দিয়েছে তারা আসলে কাজ করছে পেন্টগনের হয়ে।

মার্টিন যখন ইরাকে পৌছান তখন ব্যাপক বিশৃঙ্খলা চারপাশে, এক মাসের মধ্যে ৫টি আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে বাগদাদ শহরে।এমন পরিস্থিতিতে কর্মক্ষেত্রে নিজের প্রথম অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে মার্টিন জানান, “বিল্ডিংটি ছিল কড়া নিরাপত্তা বলয়ে ঘেরা। বাইরে লিখা, ভিতরে আসবেন না, সংরক্ষিত এলাকা, যদি না আপনি অনুমোদিত হন তাহলে ভিতরে আসতে পারবেন না।” এই কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই কাজ করেছেন মার্টিন এবং বিল্ডিংটির দুই-তিনটি রুমের ভিতরে এক পাশে কাজ করতো বেল পটিঙ্গার কর্মকর্তারা ও অন্যপাশে ইউ এস মিলিটারি।

দ্রুতই মার্টিন বুঝতে পারলেন তার কাজ শুধু মাত্র খবরের ভিডিও সম্পাদনার চেয়েও বেশি কিছু। মূলত তিন রকমের কাজ করতে হত। প্রথমত টেলিভিশনের বিজ্ঞাপন তৈরি করা যেখানে আল কায়েদা বিরোধী প্রচারণা চালনো হতো। দ্বিতীয়ত এমন কিছু খবর তৈরি করা যেগুলো দেখে মনে হবে যেন তা আরব মিডিয়ার তৈরি। বেল পটিঙ্গার লোক পাঠিয়ে আল কায়েদার বোমা বিস্ফোরণ কিংবা এই সংক্রান্ত ঘটনা নিম্নমানের করে ভিডিওতে ধারণ করে নিয়ে আসত, এরপর তা সম্পাদনা করা হত খবরের অংশ হিসেবে, যোগ করা হতো আরবি ভাষা এবং বিভিন্ন টিভি স্টেশনে পাঠিয়ে দেওয়া হতো প্রচারের জন্যে। বেশিরভাগ সময়ে গোপন রাখা হতো এসব খবর ও ভিডিওগুলোর মূল সূত্র।

সর্বশেষ কাজটি ছিল সবচেয়ে গোপনীয় এবং কাজটি হলো আল কায়েদার ভুয়া ভিডিও তৈরি করা। মার্টিন জানান তাদের নির্দিষ্ট করে আদেশ দিয়ে দেওয়া হতো কীরকমের ভিডিও তাদের বানাতে হবে, সেক্ষেত্রে মডেল ভিডিও হিসেবে আল কায়েদার সত্যিকার ভিডিও ফুটেজ ব্যবহার করা হতো। “আমাদের দশ মিনিটের ভিডিও লাগবে, এটা এই ফাইল ফরম্যাটের হতে হবে এবং আমাদের এইভাবে এনকোড করে দিতে হবে।”

ইউএস মেরিন পটিঙ্গারের বানানো সিডি সাথে করে নিয়ে যেত অপারেশনের সময়, নির্দিষ্ট জায়গায় ঝটিকা হামলার নাম করে ফেলে আসতো সিডিগুলো। ওয়েলস ব্যুরোকে দেওয়া সাক্ষাতকারে বলেন, “তারা যদি কোন বাড়িতে অভিযান চালাতো, সেখানে তো গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের খুজে তছনছ করে ফেলা হতো। অবশেষে সেখানে সিডি ফেলে রেখে চলে আসা হতো।”

ওয়েলস ব্যাখ্যা করে বলেন কিভাবে পুরো অপারেশনটি আসলে কাজ করে, ”সিডিটি এমনভাবে তৈরি করা হতো যেন তা চালাতে হলে‘রিয়াল প্লেয়ার’’ ব্যবহার করতেই হয়। এটি একটি জনপ্রিয় মিডিয়া প্লেয়ার ছিল যা চালাতে ইন্টারনেটের দরকার হতো। সিডিটিতে এমনভাবে কোড করা থাকতো যেন তা যেখানে চালানো হচ্ছে সেই আইপি এড্রেস মার্টিনের কাছে পৌছায়। এই তালিকা শুধুমাত্র মার্টিন, পটিঙ্গারের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ইউএস মিলিটারির একজন কমান্ডারের কাছে পৌছাত।

এই ভুয়া ভিডিও তৈরি করে আদতে কি লাভ হয়েছে? দেখা গেল আজকে একটি ভিডিও দেখা হয়েছে বাগদাদে, এরপর হয়তো ৪৮ ঘন্টা অথবা ৭ দিন পর তা চলছে আমেরিকা অথবা সিরিয়ায়। এইটাই ছিল পেন্টাগনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারা কিছু সুনির্দিষ্ট ধারণা পেতে সাহায্য করত। ইরান, সিরিয়া, আমেরিকাসহ বিশ্বের অনেক প্রান্তে দেখা হত এইসব সিডি।

যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে বেল পটিঙ্গার পেন্টাগনের সাথে কাজ করেছে স্বীকার করলেও তাদের দাবি তারা যা প্রকাশ করেছে সবকিছু সত্যি। পটিঙ্গারের সাবেক চেয়ারম্যান লর্ড বেল ‘ট্র্যাকিং ডিভাইস’ ব্যবহারের ব্যাপারে অবগত ছিলেন না বলে জানান।

ইরাক ছিল পাবলিক রিলেশন ফার্ম গুলোর জন্যে বিশাল এক খনি, তদন্তে বের হয়ে আসে ২০০৬ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে প্রায় চল্লিশের বেশি কোম্পানিকে অর্থ প্রদান করা হয়েছে টিভি, রেডিওতে খবর প্রকাশের জন্য, বিলবোর্ড ও ভিডিও তৈরির জন্যে এবং জনমত গড়ে তোলাসহ জনমত সংগ্রহের জন্যে। এইসব প্রচার-প্রচারণার মূল উদ্দেশ্যই ছিল ইরাকে মার্কিন হামলার পক্ষে ইতিবাচক দিক তুলে ধরা। এইসব কোম্পানির মধ্যে ব্রিটিশ, আমেরিকা ও ইরাকি কোম্পানিও ছিল। সবচেয়ে বড় অংকের অর্থে চুক্তিটি ছিল বেল পটিঙ্গারের, যারা ইরাকে পেন্টাগনের হয়ে কাজ করেছে ২০০৬ থেকে ২০১১ পর্যন্ত। মার্কিন বাহিনী যেদিন ইরাক ছাড়ে সেদিনই শেষ হয় ব্রিটিশ ফার্মটির দীর্ঘ ইরাক যাত্রা। ২০১২ সালে ফার্মটির মালিকানায় পরিবর্তন আসে এবং বর্তমান অংশটি মার্টিনের কাজের সাথে কোনভাবে যুক্ত নয় বলে জানিয়েছে।

দুই বছরেরও কম সময় ইরাকে থাকার পর মার্টিন নির্মম যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে বাড়ি চলে আসেন। তিনি মনে করেন বেল পটিঙ্গারের মূল কাজ ছিল আল কায়েদার হিংস্রতা, নির্মমতা ও নেতিবাচক দিক জনসাধারণের সামনে তুলে ধরা। ইরাকে কাজ করার সময় মার্টিন মনে করতেন তিনি হয়তো সঠিক কাজটিই করছেন, কিন্তু এখন, “বিবেকের কোথায় গিয়ে যেন বাঁধে, কাজটি সঠিক ছিল কি না!”

পেন্টাগনের হয়ে পটিঙ্গারের করা কাজ কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌছাতে পেরেছে কি না তা হয়তো সাধারণ কেউ কখনো জানতে পারবে না। তবে পেন্টাগনের নির্লজ্জ কর্মকান্ড প্রকাশের ঘটনা নতুন নয়, এর আগেও উইকিলিকসে প্রকাশিত গোপন নথিতে বের হয়ে এসেছে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ও গোপন অপারেশনের তথ্য। সর্বশেষ সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল বিভিন্ন বন্ধু রাষ্ট্র প্রধানের ফোনে আড়ি পাতার ঘটনা ফাস হওয়ায় পেন্টাগন ও হোয়াইট হাউজের নাক কাটা যাওয়া।

(তথ্যসূত্র: দ্য ডেইলি বিস্ট )

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:০০

আশাবাদী অধম বলেছেন: লিংক ছাড়া দেয়া তথ্যের মূল্য নেই।

২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:২৭

দুর্গম পথের যাত্রী বলেছেন: https://www.facebook.com/egiyecholo/

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.