নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন মানুষ ।

দুর্গম পথের যাত্রী

দুর্গম পথের যাত্রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় : মেধার জোড়ে নয় টাকার জোড়ে হয় চান্স.....????

১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:১১

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় । দেশের 39 টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ।এ বিশ্ববিদ্যালয় জন্ম দিয়েছে দেশের অনেক জ্ঞানী গুণী ব্যক্তি ও বুদ্ধিজীবীদের।
দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মত এখানে ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয় । কিন্তু সেই ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আছে
নানান মহলে অনেক প্রশ্ন ও সমালোচনা এবং তা সত্য এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই ।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিফটি পার্সেন্ট স্টুডেন্টস ফেইক এবং অবৈধ ।মেধার জোরে চান্স পায় কিছু সংখ্যক ছাত্র ।
কারণ ভর্তি পরীক্ষা হয় চরম ত্রুটিপূর্ণ ও জালিয়াতির মাধ্যমে ।সেখানে নির্দিষ্ট কোন সিট প্লান থাকে না ।বলা হয় একশ থেকে দুইশ এই রুমে বসবে । তাই শিক্ষার্থীরা সুযোগ পায় পাশাপাশি বসে ওএমআর চেন্জ করার ও প্রশ্নপত্রে আন্সার দাগিয়ে দেয়ার ।
এছাড়া পরীক্ষার সময় জমজমাট হয় ফ্রক্সিবাজদের ব্যবসা ।20থেকে 50 হাজার টাকায় পাওয়া যায় পছন্দের সাবজেক্ট ।পরীক্ষার হলে নাই কোন কড়াকড়ি ।
পরীক্ষার আগের রাতে কিংবা হলে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয় উত্তরপত্র । সেটার আবার সিন্ডিকেট আছে এবং তা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের দ্বারা ।
বলা হয় এই চক্রটি সংশ্লিষ্ট ফ্যাকাল্টির ডিন কিংবা উচ্চপদস্থ কোন কর্মকর্তার সাথে কনট্রাক্ট করে প্রশ্ন বের করে । এবং তা বিক্রি হয় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ।
এভাবে প্রশ্নপত্র নিয়ে কিংবা ফক্সি পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি হয় অসংখ্য ছাত্র । যার কারণে প্রকৃত মেধাবীদের মূল্যায়ন হয় খুব কম ।
এ সব ঘটনা চট্টগ্রাম অঞ্চলে মোটামুটি ওপেন সিক্রেট ।তারপর ও নেওয়া হয় না কোন ব্যবস্থা ।কারণ ধারনা করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও এসব জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ।
গতকাল পত্রিকায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে একটি রিপোর্ট হয় টেন্ডারবাজি ও সেশন জেম নিয়ে তখন আমি বলতে বাধ্য হই যারা মেধার জোড়ে নয় এভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হয় তারা এসব কাজ ছাড়া আর কিই বা করবে ...?
আশা করি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষেের বোধোদয় হবে প্রশাসন এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবে এবং প্রকৃত মেধাবীদের মূল্যায়ন করবে ।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



দেশের সব ইউনিভার্সিটিতে ব্যুরোক্রেট, রাজনীতিবিদ, প্রশাসন ও ধনীদের ছেলেমেয়েরা ক্ষমতা ও টাকা দিয়ে ভর্তি হচ্ছে

২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৬

দুর্গম পথের যাত্রী বলেছেন: রং পারচেপশন...

৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০১

দুর্গম পথের যাত্রী বলেছেন: চাদগাজী..মন্তব্য অনলি প্রাইভেট ভার্সিটির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য । দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ মানে ঢাবিতে 85 পার্সেন্ট মধ্যবিত্ত অথবা নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান ।

৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৭

পথিক আদনান বলেছেন: আপনার অনুধাবন শক্তিতে কিছু ভুল আছে। কারন ৫০% ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি তে অবৈধ ও ফেইক বলেছেন। তাহলে এত ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে হতে মেধাক্রমে ৩ বা ২হাজার সিরিয়ালে লিষ্ট দিত না। আমি একজন সাংবাদিক হিসেবে আপনার লেখার সম্পুর্ন বিরোধীতা করছি। আমি চবির একজন চলমান ছাত্র।

৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২১

পথিক আদনান বলেছেন: চাদগাজি ভাই যা বলেছেন তা ও সম্পুর্ন ভুল ৯৫% ছাত্র-ছাত্রীদের অবস্থা মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত। কিছু সংখ্যক আছে যারা ধনীর দুলালীর ছেলে। টাকা পয়সা যাদের বেশি তারা ৯৮ % ছেলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে।

৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:১৪

সুমন কর বলেছেন: প্রমাণ ছাড়া এসব লেখার ভিত্তি নেই। সব ক্ষেত্রেই কম-বেশি জালিয়াতি হয়।

৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৩৭

রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: বহত খুব !!!

৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৫:০৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
আপনার লেখাকে ভিত্তিহীনই মনে হচ্ছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছে - তাদের কারো মুখেই এমন অনিয়মের বাণী শুনিনি।

প্রশ্ন ফাঁস একটা সমস্যা। এটা মনে হয় শুধু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় না, বেশ কয়েকটা বিশ্ববিদ্যালয়েরই বড় সমস্যা।

চাঁদ্গাজী ভাইয়ের কথাও সম্পূর্ণ ভুল, ধনীদের মেধাহীন ছেলেপেলের ১০০ ভাগই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। ধনীদের মেধাবী ছেলেমেয়েদের ৫০% এর মতও প্রাইভেটে পড়ে। সরকারী ভার্সিটিগুলোতে মফস্বল ও গরীব পরিবারের সন্তানই বেশি থাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.