নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিঃসঙ্গ অভিযাত্রিক

Never lose hope...., Never Stop Expedition....

নিঃসঙ্গ অভিযাত্রিক

ঘুরে বেড়ানো আমার একটা ভয়ংকর মাত্রার নেশা। আর আমার এই নেশার যোগানদাতা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সব দুঃসাহসিক অভিযাত্রিকেরা। ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ডের বিয়ার গ্রাইলস তাদের লিডার। এই মানুষটার জন্যই আমার মাথাটা খারাপ হয়ে গেছে। ঘোরার নেশা আমাকে গ্রাস করে বসেছে। একা পথচলা আমার খুব পছন্দ। একা চলায় কষ্ট আছে সত্য, কিন্তু তা আনন্দের কাছে চাপা পড়ে যায়।The one who follows the crowd will usually get no further than the crowd. The one who walks alone is likely to find himself in places no one has ever been.

নিঃসঙ্গ অভিযাত্রিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওনডিন্স কার্সঃ রূপকথার আদলে নামাঙ্কিত এক ভয়ংকর রোগ

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২৮



ফ্রান্স দেশের এক রূপকথা। একদা এক দেবী প্রেমে পড়লো পেলিমন নামের মর্ত্যলোকের নশ্বর যুবকের। প্রতিদিন তার আসা-যাওয়ার পথে নজর রাখতো সেই জলের দেবী। একদিন পেলিমনেরও দৃষ্টি আটকালো সেই দেবী পানে। দেবী প্রেক্ষণে বিস্ময়াবিভূত পেলিমন রূপের আতিশয্যে হতবাক হয়ে গেলো। এ যে স্বচ্ছ জলের মাঝে ফুটে থাকা এক কান্তিমান সৌকর্য। কামুক কায়ার শিলীন্ধ্রার চোখে ধরা দিলো পূর্ণিমার শশাঙ্কের উদ্ভাসিত শশিকর। রিপু দুর্বল মানবের জৈবিকতার তাড়নার কাছে হার মানলো তার নিভৃতচারী প্রচ্ছন্ন বিবেক। রক্ত-মাংসের যুবক পেলিমন তাই ছেড়ে চলে গেলো তার বাগদত্তাকে। অথচ সম্ভ্রান্তবংশীয় ঘরের মেয়ে ছিল পেলিমনের বাগদত্তা হবু স্ত্রী বার্থা। রূপের বীণার তারে বেজে উঠলো ভাঙনের করুণ রাগিণী। দেবীসকাশে পাণিবদ্ধ হল পেলিমন। পরিণয়কালে পেলিমন এই বলে শপথ নিলো যে, “প্রতিটি জাগ্রত নিঃশ্বাস তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা আর বিশ্বস্ততায় হয়ে রবে পরিকীর্ণ।” কিন্তু বাস্তবতার অমোঘ নিষ্ঠুরতা মানবের মনকে করলো বিক্ষিপ্ত, বিচ্যুত। বছর ঘুরতেই তাদের ঘরে আসলো এক ফুটফুটে শিশু। ছেলের জন্মের পর থেকেই দেবীর রূপ-মাধুর্যে ভাঁটার টান আসতে লাগলো। বয়সের ভার বলিরেখায় প্রতীয়মান হতে থাকলো। এককালের চোখধাঁধানো সৌন্দর্যের অকাল অবনমন পেলিমনের মনকে অন্যদিকে আকৃষ্ট করলো। সে আবার ফিরে গেলো তার প্রয়াত বাগদত্তার সমীপে। বিষয়টা দেবী বধূর অক্ষির অগোচরে থেকে গেলো; কিন্তু তা স্বল্প সময়ের জন্য। একদিন বিষয়টা ধরা পড়ে গেলো তার কাছে। পেলিমনের বাহুবন্ধনে বার্থাকে দেখে দুঃখে ও ক্রোধে দিশেহারা হয়ে গেলো এককালের সৌন্দর্যের অধিষ্ঠাত্রী দেবী । যার জন্য সে তার অমরত্বকে বিসর্জন দিয়ে মর্ত্যলোকে নেমে সংসার পেতেছে, যে অনিত্য আত্মার প্রতি প্রেমাসক্ত হয়ে সে হারিয়েছিল তার চিরকৌমার্যকে, আজ সে কিসের লোভে সেই পবিত্র বিশ্বাসে আঘাত করলো, অটুট বন্ধনে চির ধরালো! অভিশাপ দিয়ে বসলো দেবী। “তুমিই তো প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিলে আমাকে তোমার প্রতিটি জাগ্রত নিঃশ্বাসে ভালোবাসার কথায়, তবে তথাস্তু। যতক্ষণ তুমি জাগবে নিঃশ্বাস তোমার সঙ্গী থাকবে। কিন্তু যেই মাত্র তুমি ঘুমিয়ে পড়বে, তোমা থেকে সে বিদায় নেবে।” রূপকথা মতে, সেই দেবীর অভিশাপে নাকি পেলিমন কখনোই আর ঘুমাতে পারেনি। ফরাসী রূপকথার এই জলদেবীর নাম ছিল ওন্ডিন। আর তার সেই অভিশাপকে বলা হয় ওনডিন্স কার্স।





ফ্রেডেরিক ডে লার লেখা এই রূপকথায় এক লোভাতুর, বিশ্বাসঘাতক প্রেমিকের উপর দেবী ওন্ডিনের অভিশাপ পড়লেও চিকিৎসা বিজ্ঞান যাকে ওনডিন্স কার্স বলে অভিহিত করে থাকে তার সিংহভাগ ভুক্তভোগীই কিন্তু নিষ্পাপ শিশু। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি ঘুমের ভিতর নিঃশ্বাস নিতে ভুলে যায়। পরিণতিতে ঘুম ভেঙে যায় অসময়ে। ওনডিন্স কার্সকে বলা হয় কনজেনিটাল সেন্ট্রাল হাইপোভেনটিলেশন সিনড্রোম অথবা প্রাইমারী অ্যালভিওলার হাইপোভেনটিলেশন। খুবই দুর্লভ মাত্রার এই রোগটি প্রতি দুই লাখ শিশুর মধ্যে মাত্র একজনের হয়। এই রোগটি মূলত কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের যে অংশটি স্বয়ংক্রিয় নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে সেখানে সৃষ্ট ঝামেলার কারণে তৈরি হয়। ঘুমের মধ্যে অ্যাপনিয়া (Apnea) দেখা দেয়। অ্যাপনিয়া হলে বহিঃশ্বসন প্রক্রিয়ায় বাধাগ্রস্ততা আসে। শ্বসনতন্ত্রের পেশিকলার নড়াচড়া থেমে যায়। ফলে ফুসফুস তার স্বাভাবিক প্রক্রিয়া আর চালু রাখতে পারে না। ওনডিন্স কার্স ছেলে বা মেয়ে যে কারো ক্ষেত্রেই হতে পারে।



ওনডিন্স কার্সে নিপতিত জন নানা রকম সমস্যায় ভোগে; একটা তো বললামই। এছাড়া তার ডিসফ্যাগিয়া (Dysphagia) দেখা দেয় যার ফলে তার খাবার গিলতে কষ্ট হয়। দেখা দিতে পারে হির্শপ্রুংস রোগ (Hirschsprung's disease) যার ফলে পরিপাকতন্ত্রের বিশেষত বৃহদান্ত্রের বিশাল অংশ জুড়ে কোন স্নায়ুবিক সংযোগ থাকে না। এর ফলে শরীরে তৈরি হওয়া স্টুল বের হবার জন্য যে দু’টি প্লেক্সাস (Plexus) এর প্রয়োজন তারা ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। পরিপাকতন্ত্রের স্নায়ুতন্ত্রে এই দুই রকমের প্লেক্সাসের একটি হল আউরবাখ্স প্লেক্সাস (Auerbach's plexus); আরেকটা মেইসনার্স প্লেক্সাস (Meissner's plexus) নামে পরিচিত। কিছু ক্ষেত্রে সিমপ্যাথেটিক গ্যাংলিয়াতে টিউমার দেখা দিতে পারে যাকে নিউরোব্লাস্টোমা বলে। শরীরে স্বল্প মাত্রায় অক্সিজেন যাওয়ার কারণে ত্বক বিবর্ণ হয়ে যায়। এছাড়া মাথাব্যথা, ঝিমানি ভাব ও উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিতে পারে।



ঠিক কি কারণে এই রোগটা হয় তা সম্পূর্ণরূপে বের করা যায়নি এখনো। তবে পিএইচওএক্স২বি (PHOX2B) নামক একটা ট্রান্সক্রিপশন ফ্যাক্টরের এক্ষেত্রে জড়িত থাকার বিষয়টি কিছুটা প্রমাণ করা গেছে। এই ফ্যাক্টরটি অটোনমিক নার্ভাস সিস্টেমের ডেভেলপমেন্টের সাথে বিশেষভাবে জড়িত। এখানে মিউটেশন হলে প্রায় ৯১% কেসেই এই রোগটি হয়ে থাকে দেখা গেছে। এই রোগের রোগীদের বেঁচে থাকার জন্য সারাজীবন যান্ত্রিক ভেন্টিলেশন প্রক্রিয়া অবলম্বন করে থাকতে হয়। তবে এটার একটা সমস্যাও আছে। এই পদ্ধতিতে ট্রাকিয়োটমি (Tracheotomy) করতে হয়। এটি এক ধরণের সার্জিক্যাল প্রক্রিয়া। তবে অধুনা বাইফেসিক কুইরাস ভেন্টিলেশন (Biphasic Cuirass Ventilation) নামে আরেকটি পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে যেখানে এই ট্রাকিয়োটমি করতে হয় না। এছাড়া ফ্রেনিক নার্ভ পেসিং (Phrenic Nerve Pacing) নামেও আরেকটি পদ্ধতি আছে। তবে এই সব প্রক্রিয়াই অনেক ব্যয়বহুল যা বহু সাধারণ্যের নাগালের বাইরে থেকে যায়। ফলে অনেক শিশুই হয় ঘুমের মধ্যেই কিংবা না ঘুমাতে না ঘুমাতে নানাবিধ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অকালেই চলে যায় চির ঘুমের দেশে।





একদম উপরের ছবিটা একটা থাই আর্টিকেল থেকে নেওয়া। আর শিরোনামে ইংরেজিতে কি লেখা দেখেছেন? My daughter will die, if she sleeps. বাক্যটার বঙ্গানুবাদ দরকার? মনে হয় দরকার নেই।



-----

লেশ-নাইহান সিনড্রোম: একটি আত্মবিধ্বংসী রোগের নাম

-----

Genetic Engineering and Biotechnology Club - GEBC- সমাজের সকল স্তরে জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তির ব্যাপক পরিচিতিকরণ ও প্রচলন এবং এ সংক্রান্ত সকল বিষয় নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের একমাত্র পেইজ।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৫

হেডস্যার বলেছেন: B:-) ভয়ঙ্কর।
ঘুমের মধ্যে নিঃশ্বাস নিতে ভুলে যাওয়ার কারনে আমার ও কয়েকদিন ঘুমাতে সমস্যা হয়েছিলো।
এখন সমস্যা নেই।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪১

নিঃসঙ্গ অভিযাত্রিক বলেছেন: বলেন কি!!!! B:-) B:-) B:-)

২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৭

আমিনুর রহমান বলেছেন:



অনেক গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট +++

খুবই দুর্লভ মাত্রার এই রোগটি প্রতি দুই লাখ শিশুর মধ্যে মাত্র একজনের হয়। সংখ্যাটা একেবারে কমও না।

ওনডিন্স কার্স সম্পর্কে আগে কখন শুনিনি। জানানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৪৯

নিঃসঙ্গ অভিযাত্রিক বলেছেন: অবশ্যই সংখ্যাটা একেবারে কমও না।

আর আপনাকেও ফিরতি ধন্যবাদ... :) :) :)

৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৮

হেডস্যার বলেছেন:
জ্বী সত্যি বলছি।
এমনকি রাস্তার পাশে দেয়ালে বিজ্ঞাপন পর্যন্ত দেখেছি যে কোন এক কোম্পানী হাঁপানি, পলিপ/নাকের গোটা ইত্যাদি হাবিজাবি রোগের সাথে নাকি এইরোগের চিকিৎসা ও করে। তারা রোগের নাম উল্ল্যেখ না করে খালি বলেছে "ঘুমের মধ্যে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া"

কিন্তু আপনার দেয়া হিসাব অনুযায়ী ২ লাখের মধ্যে একজন এই সমস্যায় ভোগে। একটু কনফিউজড হয়ে গেছিলাম। তাছাড়া আমি তো শিশু ও না।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৪৫

নিঃসঙ্গ অভিযাত্রিক বলেছেন: রাস্তার পাশের বিজ্ঞাপনগুলো তো সব মাউন্টিব্যাঙ্করা দেয়। ওরা এগুলোর কি জানে? ওদের চিকিৎসা তো যদি লাইজ্ঞা যায় টাইপ।

আর হ্যাঁ, তাই তো আপনি তো এখন আর শিশু না। :D :D :D তবে কি জানেন, ঘুমের মধ্যে শ্বাস আরো অনেক রোগের কারণে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে এখন আপনার এই সমস্যা নেই জেনে ভালো লাগলো।

৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৫৩

শুঁটকি মাছ বলেছেন: ্কি ভয়াবহ রোগ!!!!!
পড়েই হাসফাস লাগছে!

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:০৬

নিঃসঙ্গ অভিযাত্রিক বলেছেন: আসলেই, হাঁসফাঁস লাগার মতোই একটা রোগ এটা। :( :( :(

৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:১৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভয়ঙ্কর রোগ, চমৎকার পোস্ট।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১৪

নিঃসঙ্গ অভিযাত্রিক বলেছেন: পোস্টটি ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।

আমার ডিপার্টমেন্টের একটা পেইজ আছে। ওখানে আমরা এরকম আরো অনেক পোস্ট দিই। আপনি ঘুরে আসতে পারেন। :) :) :)

Genetic Engineering and Biotechnology Club - GEBC

৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৫৯

অপু তানভীর বলেছেন: ভয়ংকর রোগ !! :|| :|| :|| :||

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:০৯

নিঃসঙ্গ অভিযাত্রিক বলেছেন: আসলেই ভয়ংকর একটা রোগ!!! :|| :|| :||

৭| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৩৩

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ভয়াবহ !

চমৎকার পোষ্ট !

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৪৩

নিঃসঙ্গ অভিযাত্রিক বলেছেন: পোস্টটি ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।

আমার ডিপার্টমেন্টের একটা পেইজ আছে। ওখানে আমরা এরকম আরো অনেক পোস্ট দিই। আপনি চাইলে ঘুরে আসতে পারেন। :) :) :)

Genetic Engineering and Biotechnology Club - GEBC

৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৫৩

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: ওন্ডিন্স কার্স সম্বন্ধে রূপকথার গল্পটার ধারা বর্ণনায় আপনি শব্দ ব্যবহারে দারুণ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। তবে গল্পটা কিন্তু আপনার প্রধান উপজীব্য ছিল না, ওটা ছিল গৌণ আর মুখ হল ওন্ডিন্স কার্স রোগটা সম্বন্ধে মানুষকে সচেতন করা। তাই গল্পটাতে সহজ শব্দের ব্যবহার দরকার ছিল, যাতে সহজেই সকলে বুঝতে পারে।
রোগটা সম্বন্ধে আমারও কোনরূপ ধারণা পূর্বে ছিল না। এর যেসব বৈশিষ্ট্য পড়লাম, তাতে বেশ ভয়াবহ মনে হল। বিশেষ করে শিশুদের যেহেতু হয়, তাই অনেক সময় এটা মা বাবার নজরে পড়ার আগেই হয়তো দেখা যাবে শিশুটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে। এই রোগে আক্রান্ত রোগীকে সনাক্ত করাও অনেক সময় দুরূহ বলে মনে হল। পোস্টটা পড়ে রোগ সম্বন্ধে কিছুটা ধারণ হল। আর হ্যাঁ, রূপকথার গল্পটা অনেক ভালো লাগলো। লোভীদের জন্য শাস্তিটা যথার্থই দিয়েছিল জল দেবী।
গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ নিঃসঙ্গ অভিযাত্রী।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:১৩

নিঃসঙ্গ অভিযাত্রিক বলেছেন: গল্পটা প্রধান উপজীব্য ছিল না বিধায়ই তো এখানে সাহিত্যরস প্রয়োগের একটু দুঃসাহস দেখাবার চেষ্টা করেছি। ;) :) :#) আর এটা মূলত লেখা হয়েছে আমাদের বিভাগের যে ফেসবুক পেইজ (Genetic Engineering and Biotechnology Club - GEBC) আছে তার জন্য। যদিও পেইজটাতে এই আর্টিকেলটা এখনো যায়নি। সামনে যাবে আশা করি। আসলে এখানে সাহিত্যিক কিছু শব্দ ব্যবহার করার উদ্দেশ্য হল মানুষকে বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞানের সাথে একটু রসবোধ নিয়ে পরিচিত করিয়ে দেওয়া। যাতে তাদের কাছে মনে না হয় বিজ্ঞান মানেই জটিল জটিল সব টার্ম। বেশিরভাগ মানুষের কাছেই সাহিত্যিক শব্দের জটিল প্রয়োগের চাইতে বিজ্ঞানভিত্তিক শব্দের স্বাভাবিক প্রয়োগ বেশ কঠিন ও জটিল মনে হয়। তাই বিজ্ঞানকে বিশেষ করে অ্যাডভান্স বায়োসাইন্সকে আরো সহজতর উপায়ে উপস্থাপনের নিমিত্তে সাহিত্যের এই কিঞ্চিৎ জটিলতর প্রবর্তন।

আর আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার প্রাগুক্ত সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য। আসলে এরকম গঠনমূলক মন্তব্য আমাদের আরো সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে এবং করবে। :) :) :)

৯| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:২৭

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আপনাদের ফেবু পেজকে লাইক দিয়েছি। ফেবুতে আমাকে 'ঘাস ফুল' নামে পাবেন। 'ঘাস ফুল'ই আমার আসল নিক। কিন্তু এখানে সেটা পাইনি বলে বর্তমান নামটা নিয়েছি। ভালো থাকবেন।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৪১

নিঃসঙ্গ অভিযাত্রিক বলেছেন: আপনাকে ফেসবুকে রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছি। :) :) :)

১০| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:০১

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
প্রথমের গল্পটা বেশ সুন্দর।

শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৪৬

নিঃসঙ্গ অভিযাত্রিক বলেছেন: ওহ, খুশি হলাম। আর আপনাকেও ধন্যবাদ। :) :) :)

১১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৫১

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: নাও দ্যাটস এ গ্রেট পোস্ট। + এবং প্রিয়তে।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০৩

নিঃসঙ্গ অভিযাত্রিক বলেছেন: ধন্যবাদ :) :) :)

১২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৩৫

সোহানী বলেছেন: এতো চমৎকারভাবে এতো ভয়াবহ রোগের বর্ননা করলেন.... অতুলনীয় আপনার লিখার হাত.......... নতুন কিছু জানলাম... অনেক অনেক ধন্যবাদ।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:১২

নিঃসঙ্গ অভিযাত্রিক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে :) :) :)

১৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১৬

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ভয়ানক রোগ!

আচ্ছা ওনডিন্স কার্স আর আমাদের দেশে যে বোবায় ধরা নামে একটা ব্যাপার আছে ২টা কাছাকাছি কিছু? জানা থাকলে জানাবেন প্লিজ

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:০৭

নিঃসঙ্গ অভিযাত্রিক বলেছেন: প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি দেরিতে উত্তর দেওয়ার জন্য। কাল ও আজ টানা দুইটা মিডটার্ম থাকায় আপনার কমেন্ট দেখা সত্ত্বেও উত্তর দেওয়ার পর্যাপ্ত সময় ও সুযোগ পাইনি। :(

হুম, ভয়ানক রোগ। :( :( :(

আমাদের দেশের বোবায় ধরা আর এই ওন্ডিন্স কার্স দুটো ভিন্ন জিনিস। বোবায় ধরাকে বলে স্লিপ বা হিপন্যাগগিক প্যারালাইসিস। এতে আক্রান্ত ব্যক্তি ঘুমের মধ্যে নড়াচড়া করতে পারে না। এটি মূলত নিদ্রা ও জাগরণের একটি মধ্যবর্তী অবস্থা।

১৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৫১

হাসান মাহবুব বলেছেন: এখন তো ঘুমাতেই ভয় লাগতেছে!

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:০৯

নিঃসঙ্গ অভিযাত্রিক বলেছেন: ইতা কিতা কন!!!!!! :|| B:-) :|

১৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৮

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: হুম! শেয়ারের জন্য সাধুবাদ

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬

নিঃসঙ্গ অভিযাত্রিক বলেছেন: ... আর আপনাকে ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.