নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন সংগ্রামে হেরে যাওয়ার মাঝে কোনো বীরত্ব থাকেনা; তাই জীবনের এই যুদ্ধ ক্ষেত্রে সাহসীকতার সাথে লড়াই করার মাঝেই জীবনের প্রকৃত বীরত্ব লুকিয়ে থাকে, আর ভাগ্য সবসময় সাহসীদের পক্ষেই কাজ করে।

নৈশ শিকারী

আমার এই জন্মভূমিকে খুব ভালোবাসি আর এমন দেশের স্বপ্ন দেখি যে দেশে দারিদ্র্যতা, ক্ষুধা আর পথশিশু থাকবেনা। আর এই প্রকল্প বাস্তবায়নে আমৃত্যু কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।

নৈশ শিকারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

পবিত্র কোরআনের আলোকে বিজ্ঞান। (পর্ব:- ৭) ব্ল্যাকহোল প্রসঙ্গ ও কোরানের ভাষ্যমত।

০৩ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫২

বর্তমানে মহাকাশ বিজ্ঞান একের পর এক অজানা তথ্য উদঘাটন করে চলেছে। অসীম বিস্তৃতিতে আবিষ্কারের পাল্লা যতই ভারি হচ্ছে, আমাদের অস্তিত্বটা যেন ততই ক্ষুদ্রতর হিসেবে প্রতীয়মান হচ্ছে। এই ক্ষুদ্র গন্ডির মধ্যে আবদ্ধ থেকেও বিজ্ঞানীরা দূর দূরান্তে ছুটে চলা গ্রহ, নক্ষত্রসমূহের গতি প্রকৃতি অবলোকন করছে। অবলোকন করছে নক্ষত্রগুলোর জন্ম, মৃত্যু বা অন্তিম দশা। আবিষ্কার করছে মহাকাশে ছড়িয়ে থাকা শ্বেত-বামুন, নিউট্রন-তারকা ও ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বরের মত মহাজাগতিক বিস্ময়গুলোকে। সর্বাধুনিক বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি হাবল টেলিস্কোপ এর সহায়তায় মহাকাশের যে সমস্ত চমকপ্রদ তথ্য উদঘাটিত হচ্ছে সেগুলোর সাথে প্রায় ১৪৫০ বছর পূর্বে নাযিলকৃত আল-কোরআনে প্রদত্ত বিজ্ঞান বিষয়ক ঐশী তথ্যগুলোর যে অদ্ভুত মিল খুঁজে পাওয়া যায় তা প্রতিটি চিন্তাশীল মানুষকে ভাবিত ও অভিভূত না করে পারে না। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ্ প্রদত্ত বৈজ্ঞানিক তথ্য ও ইংগিতের সাথে সমন্বয় সৃষ্টির সাথে সাথে আমার নিজস্ব কিছু বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তা-ভাবনার বহিঃপ্রকাশই এই আলোচনার মূল বিষয়বস্তু। প্রকৃত খবর মহাজ্ঞানী মহান আল্লাহতায়ালাই ভাল জানেন।

বিজ্ঞান:
স্টিফেন ডব্লু হকিং-এর সাড়া জাগানো গবেষণাধর্মী A Brief History of Time এবং Black hole And Baby Universes And Other Essays:- শত্রুজিত দাশগুপ্ত কর্তৃক বাংলায় অনুবাদকৃত কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও কৃষ্ণগহ্বর এবং শিশু-মহাবিশ্ব ও অন্যান্য রচনা নামক পুস্তক দুটি থেকে সংগৃহিত তথ্য অনুসারে:- সূর্যের জ্বালানী ক্রমশ ফুরিয়ে যাচ্ছে এবং ইতিমধ্যে তার জ্বালানীর প্রায় অর্ধেকটা জ্বালীয়ে ফেলেছে। বাকী জ্বালানী দিয়ে সম্ভবত আরও পাঁচশত কোটি বছর পর্যন্ত চলবে। সূর্যের চেয়ে অনেক বেশী ভরসম্পন্ন বড় বড় তারকাগুলো ইতিমধ্যে তাদের জ্বালানী জ্বালীয়ে শেষ করেছে। একটি তারকার জ্বালানী শেষ হয়ে গেলে সেটি শীতল হতে থাকে এবং আরও সংকুচিত হতে থাকে। তবে যে সব তারকার ভর সূর্যের ভরের দ্বিগুণের চাইতে কম সেগুলো সংকুচিত হওয়া বন্ধ করে সুস্থির অবস্থায় স্থিতি লাভ করে। এ রকম তারকাগুলো তাদের অন্তিম দশায় হয় শ্বেতবামন রূপে অথবা নিউট্রন তারকা রূপে স্থিতিলাভ করে।

শ্বেতবামনকে রক্ষা করে এর মধ্যকার পদার্থের ইলেকট্রনগুলোর এবং নিউট্রন তারকাকে রক্ষা করে এর মধ্যকার পদার্থের নিউট্রন ও প্রোটনের অপবর্জনত্বত্ত্বভিত্তিক বিকর্ষণ। শ্বেতবামনের ব্যাসার্ধ হয় কয়েক হাজার মাইল এবং তাদের মধ্যকার জমাট বাধা পদার্থের ঘনত্ব হয় প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে কয়ক শত টন। আর নিউট্রন তারকার ব্যাসার্ধ হয় মাাত্র দশ মাইলের মত, কিন্তু তাদের ঘনত্ব হয় প্রতি ঘন ইঞ্চিতে কোটি কোটি টন। প্রথম যে কটি শ্বেতবামন আবিষকৃত হয়েছিল তাদের মধ্যে একটি রাতের আকাশের উজ্বলতম তারকা সিরিয়াস কে প্রদক্ষিণ করে। আমাদের নিহারিকায় এরকম বহু শ্বেতবামন রয়েছে। ১৯৬৭ সালে পালসার নামে বস্তুপিন্ড আবিষকৃত হয়, যা থেকে নিয়মিত বেতার তরঙ্গ নির্গত হয়। এই বস্তুপিন্ডগুলো ছিল আসলে ঘূর্ণায়মান নিউট্রন তারকা। বিজ্ঞানের সহায়তায় আমরা অবগত হয়েছি যে, শেষ পর্যন্ত সূর্যের পারমাণবিক জ্বালানী ফুরিয়ে যাবে এবং এরজন্য আরও প্রায় পাঁচশত কোটি বছর সময় লাগবে।

যে সমস্ত তারকার ভর সূর্যের ভরের চেয়ে অধিক, তারা তাদের জ্বালানী আরো দ্রুত জ্বালীয়ে শেষ করবে। তবে সূর্যের ভরের দ্বিগুনের চেয়ে কম ভর-সম্পন্ন তারকাগুলো শেষে সংকুচিত হওয়া বন্ধ করবে এবং একটা সুস্থির অবস্থায় স্থিতি লাভ করবে। এরকম একটি অবস্থার নাম শ্বেত- বামন এবং আর একটি অবস্থার নাম নিউট্রন-তারকা। আমাদের নিহারিকায় বহু শ্বেত-বামন ও নিউট্রন-তারকা পর্যবেক্ষণ করা যায়। নিউট্রন- তারকাগুলো ১৯৬৭ সালের আগে দেখা যায়নি। যেহেতু সূর্যের জ্বালানী ধীরে ধীরে কমে আসছে, সুতরাং এর তাপ বিকিরণ তথা আলোক বিকিরণের পরিমাণও ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে অর্থাৎ সূর্যটা আস্তে আস্তে নিসপ্রভ হয়ে আসছে। কিন্তু সূর্যের আলোর ঔজ্জ্বল্য এত বেশী যে, এই হ্রাসপ্রাপ্তি সূহ্ম বৈজ্ঞানিক গবেষণা ছাড়া খালি চোখে বা বাহ্যিকভাবে অনুভব করা যায় না। অথচ এই বিষয়টি অনেক কাল আগেই আল- কোরআনের ছোট্ট একটি আয়াতে কত সুন্দরভাবে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে আল-কোরআনে,

"সূরা তাকভীর-সূরা নং-৮১, আয়াত নং-১ (৮১:১) অর্থ:- যখন সূর্য জ্যোতিহীন বা নিস্প্রভ হবে। (81 : 1) "When the sun will be lusterless or dim."

তাছাড়া ধীরে ধীরে যে আকাশে নক্ষত্রগুলো স্তিমিত হবে ও নিভে যেতে থাকবে অর্থাৎ অসংখ্য শ্বেত-বামন ও নিউট্রন-তারকার সন্ধান পাওয়া যাবে তা আল-কোরআনে প্রদত্ত এই আয়াত দুটি থেকে বুঝে নেয়া যায়,

"সূরা তাকভীর-সূরা নং-৮১, আয়াত নং-২ (৮১:২) অর্থ:- যখন নক্ষত্ররাজি স্তিমিত হবে বা অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে বৃহদাকৃতির ঢেলায় পরিণত হবে। (81 : 2) "And when the stars will be lusterless or turned in to gigantic lumps ( of mass) after being covered with darkness."

সূরা মুরসালাত–সূরা নং–৭৭, আয়াত নং–৮ (৭৭:৮) অর্থ:- যখন নক্ষত্ররাজি নিভে যাবে বা আলোবিহীন হবে। (77 : 8) "So when the stars will be extinguished."

বর্তমানে মহাকাশে ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত আবিষকৃত বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক তথ্যাদির আলোকে এবিষয়ে অতি সংক্ষেপে ধারণা দেয়া হলো বর্তমানে মহাকাশে ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত আবিষকৃত বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক তথ্যাদির আলোকে এবিষয়ে অতি সংক্ষেপে ধারণা দেয়া হলো, *কৃষ্ণগহ্বর এবং শিশুমহাবিশ্ব ও অন্যান্য রচনা এবং কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস – থেকে সংগৃহিত তথ্য অনুসারে,

"সূর্যের চেয়ে প্রায় দ্বিগুন বেশি ভরসম্পন্ন কোন তারকা কোনও কোনও ক্ষেত্রে বিস্ফোরিত হয়ে যথেষ্ট পরিমাণ পদার্থ নিক্ষেপ করার ফলে নিজের ভর এর চেয়ে নিচে নামিয়ে আনতে পারে। কিন্তু সব সময় এরকম ঘটে না। কোনও কোনও তারকা অতি ক্ষুদ্র হয়ে যায়। ফলে তাদের মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রগুলো আলোককে বাঁকিয়ে সেই তারকাতেই আবার ফিরিয়ে আনে, কোনও আলোক বা কোনও কিছুই সেখান থেকে পালাতে পারে না। এই তারকাগুলো কৃষ্ণগহ্বরে রূপান্তরিত হয়। কৃষ্ণগহ্বর থেকে কণিকা উৎসর্জন হলে এর ভর ও আকার স্থির হারে হ্রাস পায়। ফলে আরও অধিক সংখ্যক কণিকার ছিদ্রপথে নির্গমন সহজ হয় এবং ক্রমবর্ধমান হারে চলতে থাকে, যতক্ষণ না কৃষ্ণগহ্বরটির অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়। শেষ পর্যন্ত মহাবিশ্বের সমস্ত কৃষ্ণগহ্বরই এভাবে উবে যায়। এই মহাবিশ্বে হয়ত বেশ কিছু সংখ্যক অধিকতর ক্ষুদ্র কৃষ্ণগহ্বর ছড়িয়ে আছে যেগুলো তারকা চুপসে গিয়ে সৃষ্টি হয়নি। এগুলো সৃষ্টি হয়েছে উত্তপ্ত ঘন মাধ্যমের অত্যন্ত উচ্চ চাপগ্রস্ত অঞ্চল চুপসে যাওয়াতে।

কোয়ান্টাম ক্রিয়া সাপেক্ষে এই আদিম কৃষ্ণগহ্বর গুলোর যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। কোন তারকা কৃষ্ণগহ্বরের খুব কাছাকাছি এলে তার নিকটতর ও দূরতর অংশে মহাকর্ষীয় আকর্ষণের পার্থক্যের জন্য তারকাটি ছিন্ন হয়ে যায়। এর অবশিষ্টাংশ এবং অন্যান্য তারকা থেকে যে সমস্ত বায়বীয় পদার্থ নির্গত হয় সবই গিয়ে পড়ে ঐ কৃষ্ণগহ্বরে। কৃষ্ণগহ্বর থেকে যা বেরিয়ে আসে সেটি কিন্তু সেখানে যা পড়ে তার থেকে পৃথক। শুধুমাত্র শক্তিটা একরূপ থাকে। কৃষ্ণগহ্বর থেকে কণিকা এবং বিকিরণ নির্গত হলে এর ভর হ্রাস পায়। ফলে এটি আরও ক্ষুদ্রতর হয় এবং কণিকাগুলো দ্রুততর গতিতে বাহিরে প্রেরিত হয়। শেষ পর্যন্ত এর ভর শুন্যে পরিণত হয়ে কৃষ্ণগহ্বরটি সম্পূর্ণ মিলিয়ে যায়। যে বস্তুগুলো কৃষ্ণগহ্বরের ভিতরে পড়ে সেগুলো তাদের নিজস্ব ক্ষুদ্র একটি শিশু-মহাবিশ্বে চলে যায়।"

*দৈনিক ইনকিলাব– ৬ মে ১৯৯৮ইং- (পৃথিবী পাশে বিরাট ব্ল্যাকহোল-এর সন্ধান লাভ)-রয়টারস:- গত ১৪ মে নাসা জানায়, হাবল মহাশুন্য টেলিস্কোপ বিশাল সেন্টারাস তারকাপুঞ্জের মাঝখানে একটি ব্ল্যাকহোল-এর ছবি তুলেছে। পৃথিবী থেকে এক কোটি আলোক বর্ষ দূরে এই ব্ল্যাকহোল-এ এক অভূতপূর্ব ছবিতে তারকা জন্মের এক ভয়ঙ্কর অগ্নিঝড় প্রত্যক্ষ করা গেছে।


*দৈনিক ইনকিলাব – ২০ জুন ১৯৯৮ইং-(৩৭০০ আলোকবর্ষ বিস্তৃত ধূলি চাকতি আবিষকৃত)-রয়টারস:- সুদূর তারকাপুঞ্জের মাঝখানে এক ব্ল্যাকহোলকে ঘিরে মহাশুন্যে বিরাট আকৃতির চক্রাকার টুপির মত একটি ধূলি চাকতি দৃষ্টিগোচর হচ্ছে। গত ১৮ জুন হাবল মহাশুন্য টেলিস্কোপ থেকে এই ছবিটি প্রেরণ করা হয়। ধূলির এই চাকতি ব্যাসার্ধে প্রায় ৩৭০০ আলোকবর্ষ বিস্তৃত। এটি অতি প্রাচীনকালের তারকাপুঞ্জের সংঘর্ষজনিত ফলশ্রুতি হতে পারে। মহাশুন্য বিজ্ঞান টেলিস্কোপ ইনস্টিটিউট হাবল ছবি বিশ্লেষণ করে তাদের মতে, এই চাকতিটি গঠিত হবার পর কয়েক কোটি বছরে এই ব্ল্যাকহোল তাকে গ্রাস করে। এই ব্লকহোল ৩০০ সূর্যের সমাহার। এটি তারকাপুঞ্জ এনজিসি ৭০৫২-এর মাঝখানে। এটি পৃথিবী থেকে ১৯ কোটি ১০ লাখ আলোকবর্ষ দূরে।


আমরা বিজ্ঞানের সহায়তায় অবগত হয়েছি যে, কোন নক্ষত্র কৃষ্ণগহ্বরের আওতায় এলে তা ছিন্ন হয়ে যায় এবং তা থেকে নির্গত বায়বীয় পদার্থ সহ সবই কৃষ্ণগহ্বরে পতিত হয়। সুতরাং বকহোল বা কৃষ্ণগহ্বরকে নক্ষত্রসমূহের পতিত হওয়ার স্থান হিসেবে ধরে নেয়া যেতে পারে। এই তথ্যটি আল-কোরআনে মহান স্রষ্টা আল্লাহতায়ালা প্রদত্ত ঐশী ইংগিত থেকে সহজেই বুঝে নেয়া যায়।

আল-কোরআন,
"সূরা ওয়াকিয়া-সূরা নং-৫৬, আয়াত নং-৭৫ ও ৭৬ (৫৬:৭৫)-ফালা – উক্বছিমু বিমাওয়া- ক্বিইন নুজূম। {মাওয়াকিউন – পতিত হওয়ার স্থান- কোরআনের অভিধান -মুনির উদ্দীন আহমদ-৩৪০পৃষ্ঠা }

(৫৬:৭৫) অর্থ:- আমি শপথ করছি নক্ষত্রসমূহের পতিত হওয়ার স্থানের। (56 : 75) Then I swear by the place where the stars are fallen down.

(৫৬:৭৬)- অ ইন্নাহূ লাক্বাছামুল লাও তা'লামূনা আজীম। (৫৬:৭৬)- অবশ্যই এটা এক মহাশপথ, যদি তোমরা জানতে। (56 : 76) And if you know that is mighty oath.

সূরা তাকভীর-সূরা নং-৮১, আয়াত নং-১৫ ও ১৬ (৮১:১৫)- ফালা – উক্বছিমু বিল খুন্নাছিল {খান্নাছুন – যেসব তারকা গোপন হয়ে যায়- কোরআনের অভিধান -মুনির উদ্দীন আহমদ-১৮৪পৃষ্ঠা }

(৮১:১৫) অর্থ:- আমি শপথ করি – গোপন হয়ে যাওয়া তারকা বা নক্ষত্রের, (81 : 15) Then I swear by the hiding stars.

(৮১:১৬)- জাওয়া- রিল কুন্নাছ। (৮১:১৬) অর্থ:–যা অদৃশ্য হয়ে প্রত্যাগমণ করে। (81 : 16) Which become invisible and then coming back."

আলোচনা,
(৫৬:৭৫) ও (৫৬:৭৬) নং আয়াতে যেহেতু কৃষ্ণগহ্বরের বৈশিষ্ট্যধারী স্থান অর্থাৎ নক্ষত্রসমূহের পতিত হওয়ার স্থানকে নিয়ে মহাশপথ করা হয়েছে। সুতরাং আদিম কৃষ্ণগহবরগুলো অল্লাহতায়ালার আদেশে অনেক আগেই সৃষ্টি হয়ে গেছে। (৮১:১৫) নং আয়াতে সম্ভবত দুটি বিষয়ের প্রতি ইংগিত দেয়া হয়েছে :-প্রথমত সূর্যের চেয়ে দ্বিগুণ বেশি ভরসম্পন্ন কোন নক্ষত্র যখন (নব) কৃষ্ণগহ্বরে রূপান্তরিত হয় তখন তা থেকে বিপরীত কনিকা উৎসর্জনের ফলে এর ভর হ্রাস পায় এবং অত্যন্ত সংকুচিত হয়ে ক্ষুদ্রতর অবস্থায় বিরাজ করে অর্থাৎ আমাদের দৃষ্টির আড়ালে চলে যায় বা গোপন হয়ে যায়। দ্বিতীয়ত কোন নক্ষত্র কৃষ্ণগহ্বরের আওতায় এলে তা ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় এবং এর সমূদয় পদার্থ সহ নক্ষত্রটি কৃষ্ণগহ্বরে পতিত হয়। ফলে এটিও দৃষ্টির আড়ালে চলে যায় অর্থাৎ গোপন হয়ে যায়।

(৮১:১৬) নং আয়াতে সম্ভবত এই ইংগিত দেয়া হয়েছে যে, যেহেতু কৃষ্ণগহ্বর থেকে কণিকা নির্গমনের ফলে অবশেষে এর ভর শুন্য হয়ে যায় অর্থাৎ এটি সম্পূর্ণরূপে মিলিয়ে যায় বা এর অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়। সুতরাং যে নক্ষত্রটি (সূর্যের চেয়ে দ্বিগুণ বেশি ভরসম্পন্ন) কৃষ্ণগহবরে রূপান্তরিত হয় এবং যে নক্ষত্রটি কৃষ্ণগহবরে পতিত হয়ে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়, এরা উভয়েই অবশেষে অদৃশ্য শক্তিরূপে এই মহাবিশ্বের কোন অজ্ঞাত অঞ্চলে (তথাকথিত শিশু- মহাবিশ্বে) প্রত্যাগমণ করে ( to return back)| যে বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে মহাকাশে ব্ল্যাকহোলের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা যায়, তা হলো এটির প্রচন্ডতম ধ্বংসাত্মক আকর্ষণ ক্ষমতা। কারণ এগুলো এতই সংকুচিত হয়ে ক্ষুদ্রতর অবস্থায় থাকে যে এদের অবস্থান নির্ণয় করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। তবে এদের প্রচন্ডতম আকর্ষণ ক্ষমতার আওতায় আসা ধ্বংসপ্রাপ্ত নক্ষত্রগুলোর ছিন্ন ভিন্ন দশা ও পতন প্রবাহ দেখে পতনমুখি স্থানে আকর্ষণকারী কৃষ্ণগহ্বরের উপস্থিতি নির্ণয় করা সহজ হয়। আল- কোরআনে এই তথ্যটিও উল্লেখিত হয়েছে,

আল-কোরআন,
"সূরা নাযিয়াত-সূরা নং-৭৯,আয়াত নং-১ ও ২ (৭৯:১)- অন্না-যি আ-তি গ্বারক্বাওঁ {এখানে (নাযিআতি) শব্দটি (নাযউন) থেকে উদ্ভুত, অর্থাৎ কোন কিছুকে উৎপাটন করা। (গারক্বান) ও (আগারাকান) এর অর্থ কোন কাজ নির্মমভাবে করা - পবিত্র কোরআনুল করীম (বাংলা অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত তফসীর)-মূল:- তফসীর মাআরেফুল ক্বোরআন -১৪৩৪ পৃষ্ঠা–। {নাযউন=(অর্থ)-উৎপাটন করা, নামিয়ে আনা, পদচ্যুত করা ইত্যাদি - আল-কাওসার -(আরবী বাংলা অভিধান)-মদীনা পাবলিকেশন্স। }

(৭৯:১) অর্থ:- শপথ তাদের, যারা নির্মমভাবে উৎপাটন করে বা পদচ্যুত করে বা নামিয়ে আনে। (79 : 1) By those who extract or dismissed or bring down severely/vehemently,

(৭৯:২)- অন্না – শিত্বা-তি নাশতাওঁ , {এখানে, নাশতুন=(অর্থ)-বন্ধন খোলা বা (মুক্ত করা) – ৩৫৬পৃষ্ঠা এবং নাশিতাতুন=(অর্থ) বাঁধন যারা খুলে দেয় – ৩৪৫পৃষ্ঠা – কোরআনের অভিধান – মুনির উদ্দীন আহমদ।} (৭৯:২) অর্থ:– এবং যারা বাঁধন খুলে বন্ধন মুক্ত করে দেয়। (79 : 2) And those who loosen the binding and then set free from all ties of the world."

আলোচনা,
এই আয়াত দুটিতে সম্ভবত আল্লাহতায়ালা তাঁর এমন ধরনের বিশেষ সৃষ্টিকে নিয়ে শপথ করেছেন যার সাথে ব্ল্যাকহোলগুলোর প্রচন্ড শক্তি ও ধ্বংসাত্মক প্রকৃতির মিল খুঁজে পাওয়া যায়। বিজ্ঞানের বর্ণনায় আমরা দেখেছি যে, ব্ল্যাকহোলগুলোই বিশালকায় কোন নক্ষত্র সহ গ্রহ, উপগ্রহ ইত্যাদি সব কিছুকে তাদের আওতায় পেলে প্রচন্ড আকর্ষণে টেনে নিয়ে গতানুগতিক কক্ষপথের (৭৯:২) বাঁধন থেকে মুক্ত করে দেয় অর্থাৎ নির্দিষ্ট কক্ষপথ থেকে (৭৯:১) পদচ্যুত বা উৎপাটন করে নির্মমভাবে নামিয়ে আনে। এর ফলে অবশেষে সেগুলো সূরা ওয়াকিয়ার (৫৬:৭৫) নং আয়াতে বর্ণিত নক্ষত্রসমূহের পতিত হওয়ার স্থান অর্থাৎ কৃষ্ণগহ্বরে পতিত হয়।

বিজ্ঞান,
*কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস – থেকে সংগৃহিত তথ্যমতে:–কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাকহোল কিভাবে তৈরী হয় সেটা বুঝতে হলে একটি তারকার জীবনচক্র সম্পর্কে ধারণা নেয়া প্রয়োজন। শেষ পর্যন্ত একটি তারকার হাইড্রোজেন ও অন্যান্য পারমাণবিক জ্বালানী ফুরিয়ে যায়। একটি স্ববিরোধী ব্যাপার হলো, শুরুতে একটি তারকার জ্বালানী যত বেশী থাকে, তার জ্বালানী ফুরিয়েও যায় তত তাড়াতাড়ি। এর কারণ, তারকাটির ভর যত বেশী হয় মহাকর্ষীয় আকর্ষণের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষার জন্য তাকে তত বেশী উত্তপ্ত হতে হয়। আর তারকাটি যত বেশী উত্তপ্ত হয় তার জ্বালানীও তত তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যায়।

আল-কোরআন,
"সূরা নযিয়াত:-সূরা নং-৭৯, আয়াত নং-৩, ৪ ও ৫(৭৯:৩)- আছ্jছা-বিহা-তি ছাবহা, [এখানে, সাবেহুন=(অর্থ)-সন্তরণকারী ও সা বেহা-তুন=(অর্থ)-তারকা – আল- কাওসার – মদীনা পাবলিকেশন্স।]

(৭৯:৩) অর্থ:- শপথ, সন্তরণকারী তারকাসমূহের, (79 : 3) I swear by the swimming stars,

(৭৯:৪)- ফাছ্jছা-বিক্বা-তি ছাবক্বা। (৭৯:৪) অর্থ:- যারা দ্রুত কার্য সম্পন্ন করে। (79 : 4) Those who perform their business quickly.

(৭৯:৫)- ফাল মুদাব্বিরা-তি আমরা। (৭৯:৫) অর্থ:- যারা নির্দেশিত সকল কার্যনির্বাহ করে – তোমরা পুণরুত্থিতহবেই। (79 : 5) Those who fulfill their duties according to the commend/direction you shall rise again from the dead."

আলোচনা,
আমরা পূর্বেই দেখেছি যে, সূরা নাযিয়াতের (৭৯:১) ও (৭৯:২) নং আয়াতে ব্ল্যাকহোলের বিশেষ বৈশিষ্ট্যের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এর পরপরই (৭৯:৩) নং আয়াতে সন্তরনকরিী তারকাসমূহের দিকে মনোযোগ আকর্ষণ করা হয়েছে। কারণ আমরা জানি যে, তারকাগুলোই পরবর্তীতে কৃষ্ণগহ্বরে রূপান্তরিত হয়। তারপর (৭৯:৪) নং আয়াতে কোন ধরনের তারকা সেই দিকে ইংগিত দেয়া হয়েছে। বিজ্ঞানের বর্ণনায় আমরা জেনেছি যে, তারকার কাজ হলো পারমাণবিক জ্বালানী জ্বালীয়ে শেষ করা এবং যে তারকার ভর যত বেশী সেই তারকা তার জ্বালানী তত দ্রুত জ্বালীয়ে শেষ করে। সুতরাং (৭৯:৪) নং আয়াতে দ্রুত কার্য-সম্পন্নকারী তারকা বলতে যে সমস্ত তারকা তাদের জ্বালানী দ্রুত জ্বালীয়ে শেষ করে সেগুলোকে বোঝানো হয়েছে, অর্থাৎ পরোক্ষভাবে এখানে অধিক ভরসম্পন্ন তারকার প্রতিই ইংগিত দেয়া হয়েছে। আমরা এটাও জানি যে, সূর্যের চেয়ে দ্বিগুণ বেশী ভরসম্পন্ন তারকাগুলো অবশেষে কৃষ্ণগহ্বরে রূপান্তরিত হতে পারে।

সুতরাং অধিক ভরসম্পন্ন তাবকাদের মধ্য থেকে যেগুলো কৃষ্ণগহ্বরে রূপান্তরিত হচ্ছে এদের কাজ সম্পর্কেও (৭৯:৫) নং আয়াতে ইংগিত দেয়া হয়েছে। অল্লাহতায়ালার নির্দেশমত বিশেষ বিশেষ কাজগুলো সুচারুরূপে সম্পন্ন করার জন্য যে তারা নিয়োজিত, এই বিষয়টি এখানে ফুটে উঠেছে। যেহেতু এই আয়াতের শেষে পুণরুত্থানের বিষয়টি এসেছে। সুতরাং প্রতি-বস্তু জগৎ সৃষ্টি এবং কিয়ামত বা মহাপ্রলয় সংঘনের কোন বিশেষ প্রক্রিয়ার সাথে মহান আল্লাহপাক এগুলোকে নিয়োজিত রেখেছেন বলে ধরে নেয়া যেতে পারে।

এখানে একটি বিষয়ের প্রতি বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। পূর্বে ভাবা হত যে, ব্ল্যাকহোল থেকে কোন কিছু- এমনকি আলোকও বেরিয়ে আসতে পারে না। আর এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে এগুলোর নাম দেয়া হয় ব্ল্যাকহোল অর্থাৎ অন্ধকার গহ্বর বা কৃষ্ণগহ্বর । কিন্তু পরবর্তীতে বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণের আলোকে জানা যায় যে, ( কৃষ্ণগহ্বর এবং শিশু-মহাবিশ্ব ও অন্যান্য রচনা- মহাবিশ্বের ভবিষ্যৎ -১২ অধ্যায় ) আশ্চর্যের বিষয় হলো বিজ্ঞানের দেয়া নাম ব্ল্যাকহোল-এর সম্পর্কে ১৪৫০ বছর পূর্বে আল-কোরআনে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করা হলেও এই “ব্ল্যাক অর্থাৎ কৃষ্ণ – বৈশিষ্ট্যটির বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি। কারণ ব্ল্যাকহোলের স্রষ্টা সর্বজ্ঞ মহান অল্লাহপাক ভালভাবেই জানেন যে, ব্ল্যাকহোলগুলো প্রকৃত অর্থে ব্ল্যাক অর্থাৎ কৃষ্ণ নয়। পবিত্র কোরআনে এমন কোন বৈজ্ঞানিক তথ্য নেই যা ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছে। জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারণে কিছুদিন পূর্বেও মানুষ যে সমস্ত তথ্য সম্পর্কে বিভ্রান্তিতে ছিল, জ্ঞান সাধনার ফলে তার অনেকটাই আজ সত্যের আলোয় উদ্ভাসিত হয়েছে।

এভাবে আল্লাহতায়ালা বার বার প্রমাণ করে দেখান যে, আল-কোরআনে প্রদত্ত বৈজ্ঞানিক ঐশী তথ্যগুলো যেমন সত্য, ঐশী আইন-কানুনগুলোও তেমনই অকাট্য ও সত্য এবং সর্বকালেই কল্যাণকর। মহান স্রষ্টা চান, বিশ্বাসী মানুষেরা যেন এইসব ঐশী তথ্য সম্পর্কে চিন্তা- গবেষণাব মধ্য দিয়ে আধুনিক আবিষ্কারগুলোকে যাঁচাই করে নিয়ে প্রকৃত সত্যের সন্ধান লাভ করতে পারে এবং আল্লাহর মহত্ব ও করুণার কথা স্মরণ করার সাথে সাথে একমাত্র তাঁরই কাছে মাথা নত করে কৃষ্ণগহ্বরগুলোকে যত কৃষ্ণবর্ণ বলে প্রচার করা হয় আসলে গহ্বরগুলো তত কৃষ্ণ নয়। কারণ কণাবাদী বলবিদ্যার অনিশ্চয়তার নীতি অনুসারে, একটি কণিকা যদি কৃষ্ণগহ্বরে থাকে তাহলে এর দ্রুতি আলোকের দ্রুতির চেয়ে বেশী হওয়া সম্ভব। এর ফলে অনেক বেশী সময় লাগলেও পরিনামে কণিকাটি কৃষ্ণগহ্বর থেকে পলায়ন করতে পারবে।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১১

খালিদ১৪ বলেছেন: fine

২০ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৩৩

নৈশ শিকারী বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০৩ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৪

নৈশ শিকারী বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ০৩ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৫

নৈশ শিকারী বলেছেন:

৪| ০৩ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮

নৈশ শিকারী বলেছেন:

৫| ০৩ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৮

ক্থার্ক্থা বলেছেন: দারুন ভালো লাগলো ।

২০ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৩৪

নৈশ শিকারী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

৬| ০৩ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩

নৈশ শিকারী বলেছেন: কষ্ট করে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। @কথা

৭| ০৩ রা জুন, ২০১৫ রাত ৮:০৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আল্লাহু আকবার!

কি সুবিশাল সৃষ্টি তাঁর.. কি সুবিন্যস্ত এবং সামঞ্জস্যশীল!!!

অথচ নির্বোধরা দৈহিক জৈবিক উত্তাপে অস্বীকার করতে চায় সেই সত্বাকে যিনি অমর অব্যয় অবিনশ্বর! যার কোন শলীক নেই। অথচ অহংকার কারী নির্বোধরা কত দ্রতুই না ধূলা বা ছাইয়ে পরিণত হয়!!!

আপনার নিয়মিত পোষ্টের জণ্য ধন্যবাদ্

২০ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৩৫

নৈশ শিকারী বলেছেন: ধৈর্য
সহকারে পড়েছেন সেজন্য
ধন্যবাদ, আপনার মন্তব্যের সাথে
সহমত। অবিশ্বাসীদের আল্লাহ
পাককে বিশ্বাস না করার জন্য যে
যুক্তিহীন কারন গুলো দাড় করায়
তারচেয়ে আল্লাহ পাককে বিশ্বাস
করা অনেক সহজ। এই পৃথিবীতে
একটা রিকশা চালকের সহায়তা ছাড়া যদি রিকশা
চলতে না পারে তাহলে এই এতো বড়ো মহাবিশ্ব
কিভাবে এমনি এমনি চলতে পারে এই ব্যাপারটা
অবিশ্বাসীদের মোটা মাথায় কেন আসেনা এটা
বুঝিনা।

৮| ০৩ রা জুন, ২০১৫ রাত ৮:৪৬

নৈশ শিকারী বলেছেন: ধৈর্য সহকারে পড়েছেন সেজন্য ধন্যবাদ, আপনার মন্তব্যের সাথে সহমত। অবিশ্বাসীদের আল্লাহ পাককে বিশ্বাস না করার জন্য যে যুক্তিহীন কারন গুলো দাড় করায় তারচেয়ে আল্লাহ পাককে বিশ্বাস করা অনেক সহজ। এই পৃথিবীতে একটা রিকশা চালকের সহায়তা ছাড়া যদি রিকশা চলতে না পারে তাহলে এই এতো বড়ো মহাবিশ্ব কিভাবে এমনি এমনি চলতে পারে এই ব্যাপারটা অবিশ্বাসীদের মোটা মাথায় কেন আসেনা এটা বুঝিনা। জনাব, @বিদ্রোহী

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.