নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন সংগ্রামে হেরে যাওয়ার মাঝে কোনো বীরত্ব থাকেনা; তাই জীবনের এই যুদ্ধ ক্ষেত্রে সাহসীকতার সাথে লড়াই করার মাঝেই জীবনের প্রকৃত বীরত্ব লুকিয়ে থাকে, আর ভাগ্য সবসময় সাহসীদের পক্ষেই কাজ করে।

নৈশ শিকারী

আমার এই জন্মভূমিকে খুব ভালোবাসি আর এমন দেশের স্বপ্ন দেখি যে দেশে দারিদ্র্যতা, ক্ষুধা আর পথশিশু থাকবেনা। আর এই প্রকল্প বাস্তবায়নে আমৃত্যু কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।

নৈশ শিকারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

পবিত্র কুরআনের আশ্চর্য এবং বিস্ময়কর কিছু গানিতিক বাখ্যা!!!!!

১১ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ২:১৮

আপনারা হয়তো অনেকেই পবিত্র কোরানের ১৯ সংখ্যার মীরাকেল সম্পর্কে জানেন; তবে আজ আমি আপনাদের কাছে ১৯ সংখ্যার যে মীরাকেল গুলো প্রকাশ করলাম এগুলো আমার নিজের পরীক্ষা করা । আপনারা জেনে খুব বিস্মিত হবেন পবিত্র কুরআনের আয়াত গুলোর মধ্যে ১৯ সংখ্যাটির কারুকার্য অত্যন্ত নিখুঁতভাবে গেঁথে দেওয়া হয়েছে কুরআন যদি কোন রক্ত মাংসের মানুষ দ্বারাই রচিত হত তবে এতে এমন নিখুঁত গানিতিক হিসাব থাকত না । মানুষের চিন্তাশক্তির একটা সীমা আছে, কিন্তু কুরআনের এই নিখুঁত হিসাব সেই সীমাকে অতিক্রম করে অসিমে চলে যায় আর প্রমান করে এক মহাশক্তির অস্তিত্বের সত্যতা। সেই মহাশক্তিই হল মহান আল্লাহ সুবহানওয়াতায়ালা । পুরোটা পড়ার পর আপনার মাথা তাঁর প্রতি শ্রদ্ধায় নত হয়ে আসবে ।

১।আরবীতে “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” লিখতে ঠিক ১৯টা হরফ লাগে ।

২। কুরআনে মোট ১১৪টি সূরা আছে । ১১৪ সংখ্যাটি ১৯ দিয়ে বিভাজ্য (১১৪=১৯x৬)।

৩। প্রথম যে সূরাটি (সূরা আলাক) নাযিল হয় তার অবস্থান শেষের দিক থেকে ১৯ তম ।

৪। প্রথম যে পাঁচটি আয়াত (সূরা আলাকের) নাযিল হয় তাতে ঠিক ১৯ টি শব্দ আছে ।

৫। সূরা আলাকে মোট আয়াত আছে ১৯টি । আর এই ১৯ আয়াতে আছে মোট ২৮৫টি শব্দ যা কিনা বিস্ময়করভাবে ১৯ দিয়ে নিঃশেষে ভাগ করা যায় (২৮৫=১৯x১৫)।

৬। নাযিলকৃত দ্বিতীয় সূরাটির (সূরা আল-কালাম, কুরআনে অবস্থান ৬৮তম) শব্দসংখ্যা ৩৮(১৯x২) টি।

৭। নাযিলকৃত তৃতীয় সূরাটির (সূরা আল-মুজাম্মিল, কুরআনে অবস্থান ৭৩তম) শব্দসংখ্যা ৫৭(১৯x৩) টি।

৮। আবার সব শেষে নাযিল হওয়া ‘সূরা আন-নাসর’ এ আছে মোট ১৯টি শব্দ । আর এই সূরার প্রথম আয়াতে (আল্লাহ্র কাছে সাহায্য চাওয়া হয়েছে এই আয়াতে) আছে ঠিক ১৯টি হরফ।

৯।কুরআনে ‘আল্লাহ্’ নামটি উল্লেখ করা হয়েছে মোট ১৩৩বার যা কিনা ১৯ দিয়ে বিভাজ্য (১৩৩=১৯x৭)।

১০। কুরআনে মোট তিরিশটি পূর্ণসংখ্যার উল্লেখ আছে যাদের যোগফল ১৯ দিয়ে বিভাজ্য ।

১১। আর দশমিক ভগ্নাংশ আছে মোট ৮টি 1/10,1/8, 1/6, 1/5, 1/4, 1/3, 1/2 এবং 2/3.। তাহলে কুরআনে মোট ৩৮ টি সংখ্যার উল্ল্যেখ আছে (৩৮=১৯x২)।

১২। ১১৩টি সূরার আগে “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” আছে । শুধুমাত্র সূরা আত-তাওবা এর আগে “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” নেই আর সূরা আন-নামল এর আগে আছে “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” দুইবার করে আছে । তাহলে কুরআনে “বিসমিল্লাহ রাহমানির রাহিম” আছে মোট ১১৪(১৯ x৬)বার । সূরা আত-তাওবা কে প্রথম ধরে যদি গুনে গুনে পরবর্তী দিকে যেতে থাকেন তবে সূরা আন-নামল পাবেন ঠিক ১৯তম স্থানে ! আরও একটু অবাক হওয়া যাক, ১৯ এর গুনিতক-তম সূরার আয়াতগুলির (“বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” সহ) যোগফলও ১৯ এর গুনিতক মানে ১৯ দিয়ে বিভাজ্য !

১৩ । প্রথম দিক থেকে হিসেব করে যেতে থাকলে ১৯ আয়াত সম্বলিত প্রথম সূরা হচ্ছে সূরা আল-ইনফিতার । এই সুরাটির শেষ শব্দ হল ‘আল্লাহ্’ । আপনি যদি শেষের দিক হতে আল্লাহ্শব্দটি গুনেগুনে আসতে থাকেন আপনি তাহলে সূরা আল- ইনফিতারের শেষে ‘আল্লাহ্’ এর অবস্থান হবে একদম ঠিক ১৯তম স্থানে ! আল্লাহ্ আকবর ।

১৪ । ৫০ এবং ৪২তম সূরার প্রত্যেকেই শুরু হয়েছে কাফ দিয়ে । অবাক হবেন সূরা দুটির প্রত্যেকটিতে মোট কাফের সংখ্যা(৫৭=১৯ x৩) সমান । আবার ৫০তম সূরায় আয়াত আছে ৪৫টি, যোগ করুন ৫০+৪৫=৯৫(১৯x৫) । একইভাবে ৪২তম সূরায় আয়াত আছে ৫৩টি, ৪২+৫৩=৯৫(১৯ x৫) । আবার পুরো কুরআনে কাফ হরফটি আছে মোট ৭৯৮ বার যা কিনা ১৯ দিয়ে বিভাজ্য এবং ভাগফল হয় ৪২ । আর দেখতেই পেয়েছি যে ৪২ তম সুরাটি শুরুও হয়েছে কাফ দিয়ে । শুধু কাফ না ‘নুন’ হরফটির ক্ষেত্রেও এরকম বেপার আছে । যেমন নুন দিয়ে যে সূরাটি শুরু হয়েছে তাতে নুনের মোট সংখ্যাও (১৩৩) ১৯ দিয়ে বিভাজ্য (১৩৩=১৯x৭) । কুরআনে সূরা আল-মুদ্দাসিরের ৩০ নম্বর আয়াতে চ্যালেঞ্জ করে বলা আছে “There are nineteen in charge of it.” (Qur’an, 74:30)।

অর্থাৎ ১৯ সংখ্যাটি এর দায়িত্তে আছে । অর্থাৎ কেউ ইচ্ছা করলেই কুরআনকে বিকৃত করতে পারবে না । ১৯ এর বেপার গুলো হিসেব করলেই সব বের হয়ে আসবে এটাকে কেউ বিকৃত করেছে কিনা! একটু চিন্তা করুন কেউ একটা বই লিখে সেই বইয়ের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে এমন একটা চ্যালেঞ্জ করতে পারবে? আপনি অনেক প্রতিভাবান লেখক আপনি পারবেন শব্দ,বর্ণ,বাক্যর সংখ্যা নিয়ে এরকম একটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে একটা বই লিখতে ? এসবই প্রমাণ করে কুরআন কোন মানুষের তৈরি কাকতালীয়ভাবে মিলে যাওয়া বই না। এটা সৃষ্টিকর্তার নিজের কথা ও বানী । একারণেই আদ্যবধি যেমন কুরআন বিকৃত হয়নি তেমনি কেয়ামতের আগ পর্যন্তও হবে না। মহাশক্তিধর আল্লাহ্ নিজেই যে এর রক্ষক। পোস্টটি শেয়ার করে অন্যদেরও জানার সুযোগ করে দিন।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ২:৩৯

হাম্বা বাবা বলেছেন: Click This Link

২| ১১ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ২:৫৭

নৈশ শিকারী বলেছেন: এই ব্যাপারটি নিয়ে এখনো বিভিন্ন, সমালোচনা তর্কও এবং দ্বীমত আছে তাই এটা উইকিপিডিয়াতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নাই, @হাম্বা

৩| ১১ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:০৭

নৈশ শিকারী বলেছেন: আপনি যদি মীরাকেল গুলোর সত্যতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অনলাইনে কুরান থেকে দেখতে পারেন, আপনি মাত্র ১০মিনিট টাইম দিলেই মীরাকেল ১-৪ পর্যন্ত খুব সহজে মিলাতে পারেন। @হাম্বা

৪| ১১ ই জুন, ২০১৫ রাত ৯:২৬

ভয়ংকর বিশু বলেছেন: তুমি কি গুহা মানব? ব্লগ দিয়া ইন্টারনেট চালাও?

৫| ১১ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:৪৮

নৈশ শিকারী বলেছেন: ব্লগ দিয়ে ইন্টারনেট চালায় নাকি ইন্টারনেট দিয়ে ব্লগ চালায়? অপ্রাসঙ্গিক কমেন্ট করা কি তোমার স্বভাব হয়ে গেছে? আমি আধুনিক যুগেই বাস করি কিন্তু তোমার আচরন দেখে মনে হচ্ছে তুমিই গুহা মানব, একরকম কমেন্ট সব পোষ্টে করতে হয়? তাও যদি প্রাসঙ্গিক হতো একটা কথা ছিল। এখনো সময় আছে ছাগু গিরি ছেড়ে ভালো হয়ে যাও। @বিশু

৬| ১২ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৩৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল লাগল্

৭| ১২ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১১:০৫

নৈশ শিকারী বলেছেন: সময় নিয়ে কষ্ট করে পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ। :-) @ঢাকাবাসী

৮| ১২ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:০৯

আওলাদ হোসেন জয় বলেছেন: পবিত্র কুরআন কখনই বিকৃত হবেনা। আল্লাহ্ স্বয়ং এটার হিফাজতকারী।

৯| ১২ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৫

নৈশ শিকারী বলেছেন: আল্লাহ পাক আমাদের সবায়কে পবিত্র কুরান সঠিক ভাবে বোঝার এবং আমল করার তৌফিক দান করুক। আমিন @আওলাদ হোসেন

১০| ১২ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:১০

নতুন বলেছেন: Rashad Khalifa কুরআনের এই ১৯ নম্বারের বিষয়টি নিয়ে আস। তিনি আরো কিছু জিনিসও প্রচার করেছেন এই ১৯এর সম্পক।

তিনি দাবী করেছেন তিনিও একজন নবী এবং জিব্রাইল আ তাকে বলেছেন যে কুরআনের ৩৬ নং সুরার ৩ নং আয়াতে তার কথা বলা হয়েছে।
তিনি সুরা তাওবার শেষ ২টা আয়াত কুরানের অংশ না কারন এই দুইটা ১৯ নম্বরের যুক্তির সাথে যায় না।তাই তার অনুসারীরা এই দুইটা আয়াতে বিশ্বাস করেনা।

এখন আপনিও কি ১৯ এর যাদুকরী মিল দেখার জন্য সুরা তওবার শেষ দুই আয়াতকে ভুয়া এবং পরে যুক্ত বলে মনে করবেন??? লেখক রাসেদ খলিফা তাই মনে করতেন...

রাসেদ খলিফার সম্পকে আরো জানতে উইকিপিডিয়াতে দেখুন http://en.wikipedia.org/wiki/Rashad_Khalifa

১১| ১২ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:১৩

আজাদ মোল্লা বলেছেন: অনেক ভালো লেগেছে । ভালো লেখালিখি চালিয়ে যান ।

১২| ১২ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:২৬

নৈশ শিকারী বলেছেন: আমি রাশেদ খলিফাকে কখনোই মুসলিম হিসেবে দেখিনি বরং তাকে আমি মুরতাদ হিসেবেই দেখেছি, আপনি হয়তো আমার পুরো পোস্টটা পড়েন নাই, এখানে ১৯সংখ্যার যে মীরাকেল গুলো প্রকাশ করেছি সেগুলো বারং বার পরীক্ষা করা, ১৯সংখ্যার মীরাকেল আরো আছে কিন্তু সন্দেহ থাকায় ঐগুলো প্রকাশ করি নাই, এখানে সেটাই প্রকাশ করা হয়েছে যেটা ১০০% সত্য, রাশেদ খলিফার মতো ১৯সংখ্যার জন্য কোরানের আয়াত অস্বীকার করবো এরকম মুসলিম আমি না, তবে পবিত্র কোরানুল কারিম ১৯ সংখ্যার মীরাকেলের সত্যতা আছে এটা অনস্বীকার্য। @নতুন

১৩| ১২ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৩২

নৈশ শিকারী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, আপনাদের উৎসাহই আমাদের লেখা-লেখির অনুপ্রেরণা। জনাব, @আজাদ মোল্লা

১৪| ১৩ ই জুন, ২০১৫ রাত ১২:১১

নৈশ শিকারী বলেছেন: মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিয়ে পবিত্র কোরানের সত্যকে অনুধাবন এবং বাস্তব জীবনে আমল করার তৌফিক দান করুক। (আমিন)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.