নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন সংগ্রামে হেরে যাওয়ার মাঝে কোনো বীরত্ব থাকেনা; তাই জীবনের এই যুদ্ধ ক্ষেত্রে সাহসীকতার সাথে লড়াই করার মাঝেই জীবনের প্রকৃত বীরত্ব লুকিয়ে থাকে, আর ভাগ্য সবসময় সাহসীদের পক্ষেই কাজ করে।

নৈশ শিকারী

আমার এই জন্মভূমিকে খুব ভালোবাসি আর এমন দেশের স্বপ্ন দেখি যে দেশে দারিদ্র্যতা, ক্ষুধা আর পথশিশু থাকবেনা। আর এই প্রকল্প বাস্তবায়নে আমৃত্যু কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।

নৈশ শিকারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলাম কি বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক? আসুন এ ব্যাপারে কিছু যৌক্তিক আলোচনা, ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করি!

২৯ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:১০


বিজ্ঞানের উত্থানকে সাধারণভাবে কয়েক শতকের একটি বিস্ময়কর ঘটনা হিসেবে দেখা হয়। ধরে নেয়া হয়, মানব সভ্যতার ইতিহাসে ধর্মীয় আধিপত্যবাদের যুগ অবসানের পরই বিজ্ঞানের অগ্রগতির সূচনা। বিজ্ঞান, পার্থিব উন্নতি ও ধর্মকে পৃথক করে দেখার এ মানসিকতার উদ্ভব হয়েছে আজকের পশ্চিমা সভ্যতা সম্পর্কে আমাদের অগভীর ধারণা থেকে। কারণ এ সভ্যতা গড়ে উঠেছে ধর্মীয় কাঠামো ও প্রভাবের সম্পুর্ণ বাইরে। তাই পশ্চিমা প্রচারণার ডামাডোলে বিজ্ঞান ও ইসলামের সম্পর্ক বিষয়ক অসংখ্য প্রশ্নের সমাধান আমাদের মনে অজানা রয়ে গেছে। যেমনঃ

১। ইসলাম আধ্যাত্মিক জগত নিয়ে কাজ করে যেখানে বিজ্ঞান কাজ করে বস্তুজগৎ নিয়ে। এই দুইয়ের মধ্যে সমন্বয়সাধন কিভাবে সম্ভব?

২। কিছু বৈজ্ঞানিক মতবাদ রয়েছে যা ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ।কিভাবে এই দুইয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য হবে?

৩। ইসলাম মূলত পরকালীন জীবনকে প্রাধান্য দেয়, সেখানে কিভাবে বিজ্ঞানের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রেরণা পাওয়া সম্ভব?

৪। বর্তমান মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোতে এমন কোন উদাহরণ নেই যারা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানে অগ্রগণ্য। এটা কি সম্ভব যে শুধুমাত্র ইসলামের ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত কোন দেশ শিল্প ও বিজ্ঞানে উন্নতি করতে পারে?

ইউরোপের পুরো ইতিহাস জুড়ে দেখা যায় সাধারণ মানুষ এবং বিশেষ করে বিজ্ঞানী ও চার্চের মতবাদের বিরোধী চিন্তাশীল ব্যাক্তি ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের নির্মম অত্যাচারের শিকার হয়েছে।স্বাভাবিকভাবেই বৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনা স্থবির হয়ে গিয়েছিল এবং ফলাফলস্বরূপ ধর্ম মানব সভ্যতার উন্নতির পথে অনুপযুক্ত বলে গণ্য হল। ধর্মকে দেখা হল অবাস্তব, অনমনীয় ও স্ববিরোধী এক প্রতিপক্ষ হিসেবে। কিন্তু শুধু ইউরোপীয় খ্রিস্টানদের এ অভিজ্ঞতার মাধ্যমেই কি এ সরলীকৃত সিদ্বান্তে আসা যায় যে উন্নতির একমাত্র সোপান হচ্ছে মানুষের নিজেদের তৈরী করা শাসন ব্যবস্থা এবং সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত জীবনব্যবস্থা অপর্যাপ্ত এবং ত্রুটিপূর্ণ? অথচ ইসলামের সাথে খৃষ্টবাদ ও ইহুদীবাদের চরম বৈপরীত্য হচ্ছে যে, ইসলাম শুধুমাত্র একটি ধর্ম বা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের সমষ্টি নয় বরং ইসলাম সেই মহান বাণী যা একক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার পক্ষ থেকে রাসুল (সা) এর প্রতি প্রেরিত হয়েছে।ইসলাম হচ্ছে এক পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা যা মানুষেরজীবনের সমস্ত বিষয় তথা জাগতিক, বুদ্ধিভিত্তিক ও আধ্যাত্মিক বিষয়ের প্রতি দিক নির্দেশনা দেয়। ইসলামের শক্তিশালী বুদ্ধিভিত্তিক চিন্তাভাবনা মুসলিমদের জীবনকে দারুণভাবে গতিশীল করে তোলে। ইসলাম কোন সনাতন অন্ধবিশ্বাস নয় কিংবা অনুকরণের উপর গড়ে উঠেনি বরং তা মানবজাতিকে তার নিজের অস্তিত্ব ও তার চারপাশের পরিবেশ সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তাভাবনার দিকে আহবান করে।

“নিঃসন্দেহে আসমান জমীনের সৃষ্টির মাঝে, রাত দিনের এই আবর্তনের মাঝে, মহাসাগরে ভাসমান জাহাজসমূহে যা মানুষের জন্য কল্যাণকর দ্রব্যসামগ্রী নিয়ে ঘুরে বেড়ায়, ( এসবকটিতে) আল্লাহ তায়ালার নিদর্শন মজুদ রয়েছে, (আরও রয়েছে) আল্লাহ তায়ালা আকাশ থেকে (বৃষ্টি আকারে) যা কিছু নাজিল করেন সেই বৃষ্টির পানির মাঝে, ভূমির নির্জীব হওয়ার পর তিনি এ পানি দ্বারা তাতে নতুন জীবন দান করেন, অতঃপর তিনি এ ভূখণ্ডে সব ধরণের প্রাণীর আবির্ভাব ঘটান, অবশ্যই বাতাসের প্রবাহ সৃষ্টি করার মাঝে এবং সে মেঘমালা যা আসমান জমীনের মাঝে বশীভূত করে রাখা হয়েছে, তার মাঝে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শন রয়েছে”।
[সুরা বাকারাহ, ২:১৬৪]

আর এ সবই আমাদেরকে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের ব্যাপারে সুনিশ্চিত প্রমাণ দেয়। ইসলাম মানুষকে এসব বিষয় নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা ভাবনার দিকে উদাত্ত আহবান জানায় এবং একক সৃষ্টিকর্তার সত্যতার ব্যাপারে স্বাক্ষ্য প্রদান করে। ইসলাম অতীত ও বর্তমানের অন্যান্য ধর্মযাজকদের মত মানুষকে শুধুমাত্র ধর্মীয় বিষয় নিয়ে চিন্তা করার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে না বরং চিন্তা করাকে তার জীবনের অন্যতম প্রয়োজনীয় বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসলাম মানুষের কোন প্রবৃত্তিকে, চাহিদা ও আকাংখাকে অস্বীকার করে না বরং তা সুশৃঙ্খল করে যা মানুষকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে বৈষয়িক উন্নতির দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। প্রকৃতপক্ষে বিজ্ঞান হচ্ছে বাস্তব বিষয়ের পর্যবেক্ষণ। বিজ্ঞান আমাদের অক্সিজেনের গঠন পদ্ধতি বলে দেয় কিন্তু এটা বলে না যে, অক্সিজেন কে তৈরী করেছে।

তাই বিজ্ঞান ও ইসলাম নিয়ে সংঘাতের কোন সুযোগ নেই। নিরেট বিজ্ঞান মানুষের জীবন দর্শন নিয়ে মাথা ঘামায় না, হোক তা পুঁজিবাদ, সমাজতন্ত্র বা ইসলামী জীবনাদর্শ। নিরেট বিজ্ঞান সকল মানুষের কাছে একইভাবে গ্রহণযোগ্য হয়। আর এইদৃষ্টিভঙ্গির কারণেই প্রথম যুগের মুসলিম বিজ্ঞানীরা বিজ্ঞানের সকল শাখায় প্রভূত উন্নতি লাভ করেছিল এবং নতুন নতুন শাখায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল। মুসলিমরা ইসলামের প্রথম যুগথেকেই ইসলাম সম্প্রচার, দুনিয়াব্যাপী ব্যাপকভাবেপরিভ্রমণ করেছে। তারা যেখানে গিয়েছে ও অধিবাসীহয়েছে সেখানকার সামাজিক, রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক,ভৌগলিক, অর্থনৈতিক ও কৃষিজাত সহ অন্যান্য সকল বিষয়ের তথ্য সংগ্রহ করেছে।

বিদেশী ভাষায় বৈজ্ঞানিক কাজগুলো সহজে বোঝার জন্য মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে অনুবাদের জন্য অসংখ্য প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছিল। আব্বাসিয় খিলাফতের সময় বিশেষ করে খলীফা আল মানসুর ও খলীফা আল মামুনের সময় বৈজ্ঞানিক কাজের ক্ষেত্রে ব্যাপক অনুবাদ ও প্রস্তুতির কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করা যায়। দশম শতাব্দীর শেষাংশে এসব বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন হয়েছিল। অনুবাদকরা ছিলেন বিভিন্ন ধর্ম ও গোত্রের। উদাহরণস্বরূপ নওবখত ছিলেন পারস্যের অধিবাসী, মোহাম্মদ ইবনে ইব্রাহিম আল ফাজারী ছিলেন একজন আরব এবং হুমায়ুন ইবনে ইসহাক ছিলেন হিরার একজন নেষ্টোরিয়ান খ্রিষ্টান।

মুসলিম বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে অন্যদের বৈজ্ঞানিক সমাধানগুলো গ্রহণ করেন এবং নতুনভাবে পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে নতুন বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব আবিষ্কার করেন। মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যেমনঃ দামাস্কাস, বাগদাদ ও নিশাপুরে জ্যোতির্বিজ্ঞানের জন্য পর্যবেক্ষন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। অঙ্গ ব্যবচ্ছেদ বিদ্যার বাস্তব জ্ঞানের জন্য মৃতদেহের সরবরাহের ব্যবস্থা রাখা হতো।খলীফা মুহতাসিম এ কারণে চিকিৎসকদের বানর সরবরাহ করতেন। হাসপাতালগুলোতে ছাত্রদের বাস্তব শিক্ষার জন্য শল্যচিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হতো। একাদশ ও দ্বাদশ শতকের মধ্যে মুসলিমদের মধ্যে শিক্ষার এক উঁচুমান স্থাপিত হয়েছিল। সে যুগের বৈজ্ঞানিক চেতনা শিহাব আল দীন আল কিরাফীর দৃষ্টি সংক্রান্ত কাজের মাধ্যমে প্রকাশিত হয় যিনি একাধারে ছিলেন কায়রোর একজন ইসলামী আইন ও বিচার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ এবং তিনি দৃষ্টি সংক্রান্ত পঞ্চাশটির মত সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন। ইবনে খুরদাদবে মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের অক্ষাংশ্ ও দ্রাগিমাংশ নির্ণয় করেন। আল বিরুনী বিভিন্ন বস্তুর সুনির্দিষ্ট ভর নিরূপণ করেন।

ইসলামী শাসন ব্যবস্থার অধীনে থাকার সময় বিজ্ঞানীরা শুধুমাত্র বৈজ্ঞানিক তত্ত্বেরইআবিষ্কার করেনি বরং বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারগুলোকে প্রযুক্তিতে রূপান্তর করেছেন। তারা গ্রহ নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং নৌ চলাচলের জন্য তারকা মানচিত্র তৈরী করেছেন। ইবনে ইউনুস সময় পরিমাপের জন্য পেন্ডুলাম তৈরী করেন, ইবনে সিনা বাতাসের তাপমাত্রা মাপার জন্য বায়ুমাপক যন্ত্র আবিষ্কার করেন। কাগজ, কম্পাস, বন্দুক,গান পাউডার, অজৈব অম্ল ও ক্ষারীয় পদার্থের আবিষ্কার হচ্ছে মুসলিম বিজ্ঞানীদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত আবিষ্কার যেগুলোমানব সভ্যতায় অসামান্য অবদান রেখেছিল। মুসলিম বিজ্ঞানীরা এলজেবরা আবিষ্কার করেন যেটা গণিতের একটি স্থায়ী শাখায় পরিণত হয়। এলজেবরা শব্দটি উৎসারিত হয়েছে আরবী শব্দ জাবর থেকে। মুসলিম বিজ্ঞানীরা সমতল এবং গোলাকর ভূমির জন্য ত্রিকোণমিতি আবিষ্কার করেন এবং তা জ্যোতির্বিজ্ঞানে প্রয়োগ করা হয়। তারা জ্যোতিষশাস্ত্র থেকে জ্যোতির্বিজ্ঞানকে আলাদা করেন কারণ ইসলামে মানুষের ভাগ্যের উপর তারকাদের প্রভাব জাতীয় বিশ্বাসকে নিষিদ্ধ বলে গণ্য করা হয়। ফলে জ্যোতিষশাস্ত্রের অন্ধ-বিশ্বাস থেকে জ্যোতির্বিজ্ঞানকে নিরেট বৈজ্ঞানিক গবেষণার বিষয়ে পরিণত করা হয়।

সহস্র বছরের এই গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের পরেও মুসলিম বিশ্ব আজ চিহ্নিত হয়েছে ব্যর্থতা ও অনৈক্যের প্রতীক হিসেবে এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে নেমে এসেছে স্থবিরতা। মুসলিমদেরপ্রচুর ধন সম্পদ থাকার পরও তারা বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা তদোপরি শিল্পায়নে পিছিয়ে আছে। এ দুঃখজনক পরিণতির কারণ ইসলামের অনুসরণ না করার প্রত্যক্ষ্য ফলাফল, ইসলাম বোঝার ও প্রয়োগের ক্ষেত্রে আমাদের শৈথিল্য। কোন জাতির বৈজ্ঞানিক বা অন্য কোন ক্ষেত্রে উন্নতি করতে পারেনা যতক্ষণ না সে কোন মতাদর্শকে আঁকড়ে ধরে, মুসলিমরাও এই নিয়মের বাইরে নয়। পশ্চিমা বিশ্ব পুঁজিবাদকে তাদের আদর্শকে ধারণ করেছে এবং তার ফলে জীবনের নানা ক্ষেত্রে তারা উন্নতি লাভ করেছে। প্রাচ্যে সমাজতন্ত্র জোর করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং তারাও বৈষয়িক কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে স্বল্পসময়ে উন্নতি লাভ করেছিল।

মুসলিমরাও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আবারো চালকের আসনে ফিরে আসতে পারে যদি তারা ইসলামকে জীবনাদর্শ তথা জীবনের সকল ক্ষেত্রে প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রকৃতপক্ষে ইসলামের সুমহান বাণীকে সারা দুনিয়াতে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মুসলিমদের নেতৃত্বঅবশ্যই প্রয়োজনীয়। ইসলাম দ্বারা পরিচালিত একটি রাষ্ট্রে বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও উন্নয়ন সহায়ক পরিবেশ তৈরী হবে। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত উপকরণ সরবরাহ করা হবে। সে রাষ্ট্রের মূলনীতি ও উদ্দেশ্য হবে যান্ত্রিক বিষয়ের সমাধান, শিল্প পদ্ধতি উন্নয়ন সাধন, রোগ প্রতিরোধের উপায় এবং যতদূর সম্ভব জীবনকে সমৃদ্ধ করার পদ্ধতি ও উপায়-উপকরণ অনুসন্ধান করা।

জীবনব্যবস্থার মানোন্নয়নের জন্য বিভিন্ন চিন্তা ভাবনাকে বাস্তবে রূপদান করার জন্য উৎসাহিত করা হবে। প্রকৃতপক্ষে শিল্পায়ন হবে ইসলামী রাষ্ট্রের অন্যতম উদ্দেশ্য এবং এ বিষয়ে সন্দেহের বিন্দুমাত্র অবকাশ নেই যে ইসলামী রাষ্ট্র অতিদ্রুত সময়ে শিল্প ও বিজ্ঞানে বিশ্বে আবারো নেতৃস্থানীয় অবস্থান তৈরী করে নেবে এবং সে রাষ্ট্র পরিণত হবে তথ্য প্রযুক্তি গবেষণা, চিকিৎসা, প্রাকৃতিক পর্যবেক্ষণ, মহাশূন্য ও জিন গবেষণাসহ মানুষের জীবনের সকল প্রয়োজনীয় সমস্যার সমাধানের এক আকর্ষণীয় কেন্দ্রবিন্দু। তাই এ ধারণা ঠিক নয় যে ইসলাম বৈজ্ঞানিক উন্নতির সাথে অসামঞ্জস্যশীল। ইসলামের প্রথম যুগে বিজ্ঞান উন্নতি লাভ করেছিল এবং একটি সত্যিকার ইসলামী রাষ্ট্রে বিজ্ঞান আবারো উন্নতি লাভ করবে। ইউরোপের খ্রিষ্টবাদ ও বিজ্ঞানের মধ্যকার তিক্ত অভিজ্ঞতা মুসলিমদের জন্য প্রযোজ্য করে তোলার প্রয়াস সুস্থ স্বাভাবিক মস্তিষ্কের নয়।তাই ইসলামকে সঠিকভাবে বোঝার জন্য এবং সামগ্রিকভাবে আমাদের সমাজে প্রতিষ্ঠা তথা খিলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার করার জন্য এখনই উপযুক্ত সময়। তাহলে আমরাও প্রথম যুগের মুসলিমদের মত সত্যিকার ইসলামের অনুসারী হতে পারবো যারা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি লাভ করেছিল।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৭:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:
পড়ার মতো কিছু নেই

২| ৩০ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৮:০৬

আমি সোহান !! বলেছেন: আপনার বিজ্ঞান সম্পর্কে আরও জানতে হবে

৩| ৩০ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৮:০৭

যোগী বলেছেন:
ফাউল লেখা যত কম লেখা যায় ততোই ভালো।

৪| ৩০ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৯:০৮

নৈশ শিকারী বলেছেন: পড়ার মতো কিছু নাই তবুও কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ, ভাই ব্যাপারটা মুসলিমদের প্রসংশা করা হইছে তাই আপনাদের এরকম মনে হওয়াই স্বাভাবিক, এই পোষ্টের মর্ম উদ্ধার কর্তে গেলে আগে আপনাকে মুক্ত চিন্তার মুখোশ খুলতে হবে তাহলে আপনার দিব্য চক্ষু খুলে যাবে জনাব, @চাঁদ গাজী

৫| ৩০ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৯:২৯

নৈশ শিকারী বলেছেন: হয়তো আপনি বিজ্ঞানের ছাত্র তাই বিজ্ঞান ভালো বুঝেন কিন্তু আল্লাহ পাকের রহমতে বিজ্ঞান সম্পর্কে আমার ধারনাও একদম মন্দনা, বিজ্ঞান ও ইসলামের প্রাসঙ্গিকতা প্রসঙ্গে আমার পূর্বের করা কিছু পোস্টের লিংক দিলাম তাহলে একটু ক্লিয়ার হতে পারবেন, @সোহান Click This Link Click This Link Click This Link Click This Link Click This Link Click This Link

৬| ৩০ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৯:৩৯

নৈশ শিকারী বলেছেন: আপনাদের মুক্ত চিন্তা দর্শন না গেলে মুসলিমদের প্রসংশনীয় যেকোনো কিছুই ফাউল মনে হতে, আগে এই মুক্ত দর্শন চেতনা বন্ধ করুন তাহলে দেখবেন আপনাদের অন্তর চক্ষু খুলে যাবে, @যোগি

৭| ৩০ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৯:৪৬

ভয়ংকর বিশু বলেছেন: পুরাই ফাউল। কয়দিন পরে কইবা মুসলিমরা আই ফোন আবিষ্কার করসিলো ২০০০ বছর আগেই।

৮| ৩০ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১০:২৫

নৈশ শিকারী বলেছেন: আচ্ছা তোমার কাজ খালি আঁতেল মার্কা কমেন্ট করা? আজ পর্যন্ত একটা প্রাসঙ্গিক এবং ভালো কমেন্ট তোমাকে করতে দেখলাম না, @বিশু

৯| ৩০ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১১:১৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: নৈশ শিকারী



আপনি একটি বিশেষ মতবাদের পক্ষে থেকে এ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রসঙ্গ তুলেছেন যা স্বভাবতই পক্ষপাতদুষ্ট । পবিত্র কোরআনের যে আয়াত সমুহ তুলে ধরেছেন তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা যে কি হতে পারে তা বলেন নি । আপনার মূখ্য উদ্দেশ্য খিলাফত প্রতিষ্ঠা জায়েজ করা । কোরআন ও বিজ্ঞান সাংঘর্সিক কিনা তা যুক্তি দিয়ে বোঝাতে পারেন নি । আপনার উদ্দেশ্য কোরানিক শান্তি প্রতিষ্ঠা নয় মোটেও । সে কারনেই আপনার পোষ্ট অধিকাংশ ব্লগারদের মাঝেই বিতৃষ্ণার জন্ম দিয়েছে ।
যেমন – মহাসাগরে ভাসমান জাহাজসমূহে যা মানুষের জন্য কল্যাণকর দ্রব্যসামগ্রী নিয়ে ঘুরে বেড়ায়…. এই অতি সরলীকৃত বাক্যটি যে আধুনিক বিজ্ঞানের ধারনা দেয় তা তুলে ধরেননি বা হতে পারে এ ব্যাপারে আপনার কোনও ধারনাই নেই ।
তেমনি সাতটি স্তর বিশিষ্ট আসমান তৈরীর ( পোষ্টের শিরোনামের ছবিতে উদ্বৃত আয়াতটি...) অতি সাধারন এই কথার কি অর্থ তা বুঝতে আপনাকে অনেক জানতে হবে ।
কোরআনের এই আয়াতটি ----“ তার মাঝে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শন রয়েছে”। এই রকম আয়াত কোরআনে ভুরি ভুরি রয়েছে । এটা সাধারন মানুষের জন্যে নয়, শুধুমাত্র চিন্তাশীল ও জ্ঞানীদের জন্যে । কেন নয় তার ব্যাখ্যা বিশাল । এই ছোট্ট পরিসরে আলোচনা সম্ভব নয় বলে বিরত রইলুম ।
আপনার উদ্বৃত সব আয়াতেরই বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে যা বিজ্ঞান ও প্রাসঙ্গিক বিষয়ের সাথে কোনও মতেই সাংঘর্ষিক নয় । বরং ১৬০০ বছর আগে প্রনীত কোরআনের আলোকেই বর্তমান বিজ্ঞানকে সমর্থন দেয়া সম্ভব ।
তবুও আপনার লেখার জন্যে সাধুবাদ । আরো নিরপেক্ষ হতে হবে । চিন্তাশীল হতে হবে যদি মানুষের কল্যানই আপনার একমাত্র কাম্য হয় । একচক্ষু হলে আপনার উদ্দেশ্য ( খিলাফতের মাহাত্য প্রচারের উদ্দেশ্যই বেশী, কোরআনের মাহত্য বোঝাতে সে রকম আগ্রহ প্রকাশ পায়নি । ) একচোখা হবে । যদি আপনার উদ্দেশ্য কোরানিক ব্যাখ্যার দিকে ঝুঁকে থাকে তবে সাধারন মানুষের জন্যে আয়াত সমূহের ব্যাখ্যা দেয়ার দিকেই আপনি ঝুঁকবেন । কারন কোরআন একটি ক্লাসিক ধর্মগ্রন্থ । মুক্তচিন্তার সাথে আপনার একদর্শী চিন্তা মেলাতে যাবেন না ।
নৈশ শিকারী নাম নিয়ে জল ঘোলা করে

আর নয় । চিন্তাশীল ও জ্ঞানী পাঠকরাই বুঝবেন আমি কি বলতে চেয়েছি ।
শুভেচ্ছান্তে ।

১০| ৩০ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১১:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: নৈশ শিকারী ,



আপনি একটি বিশেষ মতবাদের পক্ষে থেকে এ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রসঙ্গ তুলেছেন যা স্বভাবতই পক্ষপাতদুষ্ট । পবিত্র কোরআনের যে আয়াত সমুহ তুলে ধরেছেন তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা যে কি হতে পারে তা বলেন নি । আপনার মূখ্য উদ্দেশ্য খিলাফত প্রতিষ্ঠা জায়েজ করা । কোরআন ও বিজ্ঞান সাংঘর্সিক কিনা তা যুক্তি দিয়ে বোঝাতে পারেন নি । আপনার উদ্দেশ্য কোরানিক শান্তি প্রতিষ্ঠা নয় মোটেও । সে কারনেই আপনার পোষ্ট অধিকাংশ ব্লগারদের মাঝেই বিতৃষ্ণার জন্ম দিয়েছে ।
যেমন – মহাসাগরে ভাসমান জাহাজসমূহে যা মানুষের জন্য কল্যাণকর দ্রব্যসামগ্রী নিয়ে ঘুরে বেড়ায়…. এই অতি সরলীকৃত বাক্যটি যে আধুনিক বিজ্ঞানের ধারনা দেয় তা তুলে ধরেননি বা হতে পারে এ ব্যাপারে আপনার কোনও ধারনাই নেই ।
তেমনি সাতটি স্তর বিশিষ্ট আসমান তৈরীর ( পোষ্টের শিরোনামের ছবিতে উদ্বৃত আয়াতটি...) অতি সাধারন এই কথার কি অর্থ তা বুঝতে আপনাকে অনেক জানতে হবে ।
কোরআনের এই আয়াতটি ----“ তার মাঝে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শন রয়েছে”। এই রকম আয়াত কোরআনে ভুরি ভুরি রয়েছে । এটা সাধারন মানুষের জন্যে নয়, শুধুমাত্র চিন্তাশীল ও জ্ঞানীদের জন্যে । কেন নয় তার ব্যাখ্যা বিশাল । এই ছোট্ট পরিসরে আলোচনা সম্ভব নয় বলে বিরত রইলুম ।
আপনার উদ্বৃত সব আয়াতেরই বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে যা বিজ্ঞান ও প্রাসঙ্গিক বিষয়ের সাথে কোনও মতেই সাংঘর্ষিক নয় । বরং ১৬০০ বছর আগে প্রনীত কোরআনের আলোকেই বর্তমান বিজ্ঞানকে সমর্থন দেয়া সম্ভব ।
তবুও আপনার লেখার জন্যে সাধুবাদ । আরো নিরপেক্ষ হতে হবে । চিন্তাশীল হতে হবে যদি মানুষের কল্যানই আপনার একমাত্র কাম্য হয় । একচক্ষু হলে আপনার উদ্দেশ্য ( খিলাফতের মাহাত্য প্রচারের উদ্দেশ্যই বেশী, কোরআনের মাহত্য বোঝাতে সে রকম আগ্রহ প্রকাশ পায়নি । ) একচোখা হবে । যদি আপনার উদ্দেশ্য কোরানিক ব্যাখ্যার দিকে ঝুঁকে থাকে তবে সাধারন মানুষের জন্যে আয়াত সমূহের ব্যাখ্যা দেয়ার দিকেই আপনি ঝুঁকবেন । কারন কোরআন একটি ক্লাসিক ধর্মগ্রন্থ । মুক্তচিন্তার সাথে আপনার একদর্শী চিন্তা মেলাতে যাবেন না ।

নৈশ শিকারী ছদ্মনাম নিয়ে জল ঘোলা করে শিকার করা ইসলাম সমর্থন করেনা । পিতৃপ্রদত্ত নাম রেখে ছদ্মনাম ব্যবহার সত্যের অপলাপ । অর্থাৎ আপনি বিসমিল্লাতেই গলদ করে বনে আছেন ।

আর নয় । চিন্তাশীল ও জ্ঞানী পাঠকরাই বুঝবেন আমি কি বলতে চেয়েছি ।

শুভেচ্ছান্তে ।

( আগের মন্তব্যটিতে লাইন বাদ পড়ে গেছে বলে এটা দিতে হলো )

১১| ৩০ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৪৬

ভয়ংকর বিশু বলেছেন: এত কম আই কিউ নিয়া লিখো কেমনে? ধর্ম নিয়া লাফাও, লাফ দিয়া ৭২ টা ভার্জিন ধর।

১২| ৩০ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১:০২

নৈশ শিকারী বলেছেন: ইসলাম বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক কি না এই ব্যাপারটা আপনি পোস্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অন্তরধ্যান দিয়ে পড়লেই বুঝতে পারবেন, আমি ব্যপারটা যেভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছি অনেকে সেভাবে বুঝতে সক্ষম হয়নাই তাই একটু বিরক্ত হয়েছে , ইসলাম যদি বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক হতো তাহলে মুসলিম বিজ্ঞানীরা বিজ্ঞান চর্চা থেকে বিরত থাকতেন, তাছাড়া পবিত্র কোরানের বিভিন্ন জায়গায় বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ এবং ব্যাখ্যা দেয়া আছে, আমার এই পোস্টের মূল উদ্দেশ্য আধুনিক বিজ্ঞান চর্চায় ইসলাম এবং কোরান বাঁধা প্রদান না করে বরং উৎসাহিত করে, তবে তা ইসলামকে জেনে এবং মেনে করতে হবে এই বিষয়টাই আলোচ্য, আপনার মূল্যবান পরামর্শ এবং সৌহার্য পূর্ণ সমালোচনার জন্য ধন্যবাদ। জনাব, @আহমেদ জী এস

১৩| ৩০ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১:১৮

নৈশ শিকারী বলেছেন: বিশু তুমি তোমার অশ্লীলতার সীমা অতিক্রম করতেছ, হয়ত আমার আই কিউ কম কিন্তু তোমার মতো আঁতেল অন্তত না, ধর্ম নিয়ে যদি এতো চুলকানি থাকে তাহলে হিন্দু, খ্রিষ্টর মতো অন্য সব ভূল ধর্ম নিয়ে করো, ইসালাম ধর্ম নিয়ে আঁতলামি করতে এসোনা, কারন এর ফলে তোমার চুলকানি থেকে ঘা হয়ে যেতে পারে!! @বিশু

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.