নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন সংগ্রামে হেরে যাওয়ার মাঝে কোনো বীরত্ব থাকেনা; তাই জীবনের এই যুদ্ধ ক্ষেত্রে সাহসীকতার সাথে লড়াই করার মাঝেই জীবনের প্রকৃত বীরত্ব লুকিয়ে থাকে, আর ভাগ্য সবসময় সাহসীদের পক্ষেই কাজ করে।

নৈশ শিকারী

আমার এই জন্মভূমিকে খুব ভালোবাসি আর এমন দেশের স্বপ্ন দেখি যে দেশে দারিদ্র্যতা, ক্ষুধা আর পথশিশু থাকবেনা। আর এই প্রকল্প বাস্তবায়নে আমৃত্যু কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।

নৈশ শিকারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাস্তিক্যবাদে বিশ্বাসি ভাইদের কাছে আমার কিছু প্রশ্ন; আশা করি সকলে উত্তর দিবেন।

২০ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৯

ভাই আমি অতি সাধারণ একজন মুসলমান, হয়তো আপনাদের মতো স্কলার ধারি শিক্ষিতও না অথবা অনেক বিষয়ে আপনাদের চেয়ে অনেক কম বুঝি তাই, স্রষ্টার অস্তিত্ব যদি সত্যিই না থাকে তাহলে আমার করা প্রশ্ন গুলোর সঠিক এবং প্রাসঙ্গিক উত্তর দিয়ে তা প্রমান করবেন বলে আশা রাখি।

আমার বিবেক যা বলে তাতে মনে হয় কোনও বুদ্ধিমান ব্যাক্তি স্রষ্টার চেয়ে কাল্পনিক বিগব্যাং কে না দেখে কিভাবে বিশ্বাস করে?অথচ ঈশ্বরকে বিশ্বাস করে না কোন যুক্তিতে? ১কোষী একটা জীব থেকে র‍্যান্ডম মিউটেশন এবং ন্যাচারাল সিলেকশনের মাধ্যমে পুরো প্রাণি কূলের সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপারটা অতিকাল্পনিক হয়ে যায়না? আপনাদের এই তত্ত্ব মেনে নিতে গেলেও তো ন্যাচারাল সিলেকশন এবং মিউটেশন পিছনে একটা অদৃশ্য শক্তির হাত লক্ষনীয় হয় কেননা প্রমিত হারে মিউটেশনের ফলে সৃষ্ট একটা নিদৃষ্ট প্রাণির জন্মের ক্ষেত্রে তথা ন্যাচারাল সিলেকশনের ক্ষেত্রে প্রাণির গঠন তন্ত্রে কোনও হেরফের হলোনা কেন? সাধারণত বিজ্ঞানীরা নতুন কোনও আবিস্কার, ল্যাবে পরীক্ষার জন্য শতবার বিফলের পরে সফল হয় কিন্তু প্রকৃতির নিয়ম কেনো র‍্যান্ডম মিউটেশনের ক্ষেত্রে নির্ভুল ভাবে প্রথম বারেই সফল হলো?

আর বিবর্তন বাদ যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে বিবর্তনের নিয়ম থেমে থাকার কথা না; তাহলে বিবর্তিত মানুষের ভবিষ্যৎ কি? আর পৃথিবির বর্তমান প্রানিকূলের ভবিষ্যৎ কি? মিউটেশনের ফলে বর্তমান যুগের অর্ধ বিবর্তিত প্রানি কূল কোথায়? এরকম কোনও প্রানি কেনো পাওয়া যাচ্ছেনা? মানব সৃষ্টির বয়স ২৬লাখ বছর হলে মানুষও তো বিবর্তিত হয়ে অন্য প্রাণীতে রূপ লাভ অথবা অর্ধ বিবর্তিত প্রাণীতে রূপ লাভের কোন লক্ষন কেন দেখা যাচ্ছেনা?

আরেকটা কথা পৃথিবীতে বিজ্ঞান আগে আসছে নাকি ধর্ম আগে আসছে? ধর্ম যদি আমাদের সমাজ বদ্ধতা না শিখাতো তাহলে আমাদের জীবনও সাধারণ পশুদের মত হত, পশু যেমন জৈবিক চাহিদার সময় নিজের মায়ের, বোনের সাথেও সহবাস করে আমরাও ঠিক তা করতাম, মা এবং বোন যে আমাদের আদরের এবং সম্মানের এই শিক্ষাটা আপনার বিজ্ঞান দেয়নাই; দিয়েছে ধর্ম, তাছাড়াও সততা, নৈতিকতা, শিষ্টাচার বোধ সবই আমরা ধর্ম থেকে পেয়েছি। তাই ধর্মকে অস্বীকার করে বিজ্ঞানকে আলিঙ্গন কিছুতেই যুক্তি যুক্ত হতে পারেনা, আর পৃথিবীর এতো প্রানিকূলের মধ্যে শুধু মানুষই কেনো একমাত্র বুদ্ধিমান জীব হলো? বুদ্ধির দিক দিয়ে মানুষের সমান অথবা মানুষের কাছাকাছি কোনও প্রাণির জন্ম কেনো হলোনা? এখন যদি বানর অথবা ডলফিনের উদাহরন দেন তাহলে বোকামি করবেন কেননা তারা মানুষের চেয়ে বুদ্ধির দিক দিয়ে রাত আর দিনের পার্থক্যের চেয়ে দূরে।

মহাবিশ্বের এই সুনিয়ন্ত্রিত পদ্ধতি, গ্রহ নক্ষত্রের নিয়ন্ত্রিত কক্ষ পথ পরিভ্রমণ এই সবকিছুই কি এমনি এমনি হচ্ছে? আর আমদের সৌর জগতের মধ্যে শুধু পৃথিবির মধ্যেই কেন প্রান ধারনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি হলো? পৃথিবির নিয়ন্ত্রিত বায়ু স্তর, তাপের সমতা এইগুলা সবই কি এমনিই পরিচালিত হচ্ছে? পৃথিবী যদি তার কক্ষ পথ থেকে একটু দূরে সরে যায় তাহলে বরফ শিতল হয়ে বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে, আর বর্তমান অবস্থা থেকে একটু উপরে চলে গেলে তাপ মাত্রা বেড়ে সব জ্বলে যাবে তবে এই সুনিয়ন্ত্রিত ব্যাবস্থা কার ধারা পরিচালিত হচ্ছে? পৃথিবী সহ অন্যান্য গ্রহের আকৃতি প্রায় নিখুঁত গোলাকার হলো কি করে? অবিশ্বাসীদের কাছে প্রশ্ন গুলো রইলো।

মন্তব্য ৯৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৯৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: অবিশ্বাসীদের মনে সব কিছু নিয়েই অবিশ্বাস৷ আপনার কথার যুক্তিগুলোও হয়ত তারা অনুমান নির্ভর দেওয়ার চেষ্টা করবে৷

২০ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৮

নৈশ শিকারী বলেছেন: যথার্থ বলেছেন ভাই।

২| ২০ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮

নতুন বলেছেন: স্রস্টা/মহাবিশ্ব/সৃস্টি এই বিষয় নিয়ে পুরো সত্য কখনোই কি পরিস্কার হবে?

ঈস্বরের মহাবিশ্ব সৃস্টি আর বিগব্যাং প্রায় একই রকমের ...

আর আমার মনে হয় সৃস্টিসম্পকে এই প্রশ্নের উত্তর মানুষের পক্ষে খুজে পাওয়া দুস্কর। অন্তত আমাদের জীবদশায় সম্ভবনা।

কিন্তু এই মহাবিশ্বের স্রস্টা মানুষের কাছে তার বানী প‌ৌছেছে স্বপ্নের মাধ্যমে, অদৃশ্য দেবদূতের মাধ্যমে যা কেবল সুধুই দি চোজেন ওয়ানই জানে এবং দেখেছে।

সেটা মানুষিক রোগের কারনে মস্তিকের কল্পনাও হতে পারে। ( বতমানে দেওয়ানবাগীও রাসুল সা:, আল্লাহের সাথে সরাসরি কথা বলে, উনি যদি সত্যি বলে থাকেন তবে তা মানুষিক রোগের কারনেই তার মনে হচ্ছে যে এই সব তিনি করতে পারেন।)


ধর্ম যদি আমাদের সমাজ বদ্ধতা না শিখাতো তাহলে আমাদের জীবনও সাধারণ পশুদের মত হত, পশু যেমন জৈবিক চাহিদার সময় নিজের মায়ের, বোনের সাথেও সহবাস করে আমরাও ঠিক তা করতাম, মা এবং বোন যে আমাদের আদরের এবং সম্মানের এই শিক্ষাটা আপনার বিজ্ঞান দেয়নাই
পৃথিবির শুরুটা কিন্তু হয়েছে ইনচেস্ট থেকেই।( আদি নর/নারী মাত্র ২জন ধম মতে) একটা সময় হয়তো কোন সমস্যার কারনে তারা এইটা থেকে সরে আসে। সেটা সামাজিক সমস্যা/রোগবালাই বা যে কোন কারনেই হতে পারে।

কারন ধম` যদি সংখ্যাবাড়ানোর জন্য ইনচেস্ট বৈধ করতে পারে তবে তা চালু রাখলে সমস্যা হবে কেন? সমস্যা হবে সমাজিক/রোগব্যাধী... আরেকটা জিনিস খেয়াল করুন পৃথিবির অনেক সমাজ আছে যেখানে এখনো আধুনিক সভ্যতার ছোয়া লাগেনাই। তারা কিন্তু সামাজিক নিয়ম তৌরি করে। সমাজ ধম` ছাড়াও গড়ে উঠতে পারে।

ধমে`র যতসব অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে তা অনেক আগের কথা। এখন বত`মানে এমন আর ঘটবেনা। এখন অলৌকিক ঘটার সম্ভবনা নাই। কারন আসলে অলৌকিক ঘটনা ঘটেনা।


আপনার মতে বিশ্বের ৭৬.৮% মানুষই কিন্তু ভুল ধারনায় আছে। এতো মানুষ একটা নিরেট সত্যের ব্যাপরে দ্বীধাদন্দিত কেন?
অনেকের বিশ্বাস হয়তো ভীনগ্রহের কোন বুদ্ধিমান প্রানী পৃথিবিতে মানুষের আবাদ করেছে? সাহাজ্য করেছে সভ্যতাকে এগিয়ে নিতে।
মিশরের পিরামিড/পেরুর মাচুপিচু সহ অনেক কিছুই এখনো রহস্যাবৃত কারন একটা পিরামিড এখনকার প্রযুক্তি দিয়ে বানাতে গেলেও সেটা বিরাট একটা বিষয় হবে।

আর আমদের সৌর জগতের মধ্যে শুধু পৃথিবির মধ্যেই কেন প্রান ধারনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি হলো?
goldilocks conditions শুধু আমাদের সৌর জগতের মাঝেই শুধুনেই। এপযন্ত ২০০+ গ্রহের সন্ধান পেয়েছে যেটা এই রকমের হতে পারে।

হয়তো ভবিশ্যতে আমাদের মতন আরো গ্রহ এবং প্রানের অস্তিত্য আবিস্কার হবে... হয়তো হাজার আলোকবষ` দূরে। আর পরে যেখানে মানুষ যেতেও পারবে।

তখন ধমের ব্যখ্যা কি পাল্টে যাবে?

২১ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ২:০০

নৈশ শিকারী বলেছেন: এই একটা বিষয়ে অন্তত আপনার সহমতের কারনে সুখ বোধ হচ্ছে, কারন আপনি পরোক্ষ ভাবে হলেও ঈশ্বরের অস্তিত্বের স্বীকার করেছেন,

অন্য ধর্মের ব্যাপারে জানিনা কিন্তু ইসলাম নিয়ে আপনার এই বক্তব্যের সাথে সহমত প্রকাশ করতে পারছিনা, রাসুল (সা: ) একজন নিরক্ষর ছিলো আর তার পক্ষে এতো উচ্চ ব্যাকরণ এবং এত বৈজ্ঞানিক উধ্বৃতি দিয়ে একটা গ্রন্থ রচনা সম্ভব না আর পাগলের প্রলাপ বললে সেইটা আদিখ্যেতারই নামান্তর হয়, কেননা একজন মানুষিক রোগীর পক্ষে সেটা আরো সম্ভব না, আর আপনি যেই দেওয়ানবাগির কথা বললেন সে একজন কাফিরের চেয়ে সমাজের জন্য ভয়ংকর একজন সহী মুসলিম তার কথা কিছুতেই মানবেনা।

ধর্মমতে আল্লাহ পাক জোড়ায় জোড়ায় আদম (আ: ) এর সন্তান প্রেরণ করছিলেন যাদের বিয়ে তাদের জোড়ার সাথেই বিয়ে হতো। পরবর্তী কালে যখন বিপুল সংখ্যক মানুষের বিস্তার লাভ করেছিলো তখন আল্লাহ পাক জোড়া সন্তান প্রেরণ বন্ধ করে দিয়েছিলেন এবং ঐশি বাণীর মাধ্যমে ভাই বোনের বিবাহ বন্ধ করে দিয়েছিলেন, আর রোগ বালাইয়ের কথা বললেন এটা গ্রহন যোগ্য না কারন তাহলে এটা অন্য প্রাণির ক্ষেত্রে হয়না কেন? আর 'হয়তো ছিল' আর 'ছিলোর' মধ্যে অনেক পারথক্য আছে কারন ব্যাপারটা নিশ্চিত না।

আর পৃথিবির অনেক জায়গায় বিভিন্ন মানুষ সভ্যতার থেকে দূরে থাকলেও তাদের অতীত যাচাই করে দেইখেন তারা পূর্ব পুরুষের মাধ্যমেই এই নিয়মানুবর্তিতা শিখেছে যারা কোনও না কোনও ভাবে সত্যি কারের ধর্মের সংস্পর্শে ছিলো। মানুষ ছাড়াও আরো সমাজ বদ্ধ প্রানি আছে যারা ভাই বোন এবং মায়ের সাথে তাদের যৌনতার অনৈতিকতার ব্যাপারটা মানেনা কেনো?

আপনি মিশরের পিরামিডের এবং মাচু পিচুর ব্যাপারে যা বক্তব্য দিলেন সেটা পোস্টের সাথে কোনও প্রাসঙ্গিকতা খুজে পেলাম না আর ভিনগ্রহের প্রানির ব্যাপারটাও। তবু বলছি এলিয়েনের ব্যাপারে পবিত্র কোরানে ও আংশিক আভাষ দেয়া হয়েছে, link: http://www.shodalap.org/sultan-mahmud/23432/

তাছাড়া ২০০ এর অধিক পৃথিবীর সাথে মিলে এমন গ্রহের সন্ধান পেলেও সেখানে প্রানের অস্তিত্বের ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত না তাছাড়া শুধু বাহ্যিক গঠন দেখেই কিন্তু পৃথিবীর অনুরূপ ভাবাটা ঠিক না, যদি কখনও এর রহস্য বিজ্ঞানীরা উৎঘাটন করতে পারে তখন ব্যাপারটা আরো জানা যাবে।

একটা ব্যাপারে আপনি আমাকে অবাক করেছেন সেটা হলোও আপনি রহস্য বিশ্বাস করেন, কারণ কিছুদিন আগেও আপনি আমার সাথে অন্য একটা পোস্টে তর্কে বলেছিলেন আপনি রহস্য বিশ্বাস করেন না। কাল্পনিক রহস্যই যখন বিশ্বাস করবেন তাহলে ঈশ্বর বিশ্বাসে সমাস্যা কি? পৃথিবীতে এমন অনেক রহস্য আছে যা স্রষ্টার অস্তিত্ব প্রমান করে। আর আপনি আমার সব প্রশ্নের উত্তর দেন নাই।

৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৩৩

ইমরান আশফাক বলেছেন: এইসব ওদের মাথায় ঢুকবে না।

২১ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ২:২৩

নৈশ শিকারী বলেছেন: ভাই উনাদের মাথায় ঠিকই ঢুকে কিন্তু মানতে চায়না, অনুমান নির্ভর অনেক কিছুই উনারা মানে কিন্তু যতো চুলকানি আছে সব ঈশ্বর আর ইসলামকে নিয়ে।

৪| ২১ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ২:৩৯

নতুন বলেছেন: একটা ব্যাপারে আপনি আমাকে অবাক করেছেন সেটা হলোও আপনি রহস্য বিশ্বাস করেন, কারণ কিছুদিন আগেও আপনি আমার সাথে অন্য একটা পোস্টে তর্কে বলেছিলেন আপনি রহস্য বিশ্বাস করেন না। কাল্পনিক রহস্যই যখন বিশ্বাস করবেন তাহলে ঈশ্বর বিশ্বাসে সমাস্যা কি? পৃথিবীতে এমন অনেক রহস্য আছে যা স্রষ্টার অস্তিত্ব প্রমান করে। আর আপনি আমার সব প্রশ্নের উত্তর দেন নাই।

রহস্যে বিশ্বাস করিনা। মানে কোন কিছু রহস্যময় হলেই বিশ্বাস করেনেই না। কারন খুজি।

আর সৃস্টিকতাকে অস্বীকার করিনা কিন্তু বতমানের ধমে যেই সৃস্টিকতার কথা বলা হয়েছে তাকেও পুরোবিশ্বাস হয়না।

মনে হয় আরো অন্য কোন ব্যক্ষা আছে।

২১ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:০৬

নৈশ শিকারী বলেছেন: ধন্যবাদ! আশা করি ইনশাআল্লাহ, মহান আল্লাহ পাক আপনাকে খুব তারাতারি সত্যের পথ প্রদর্শন করাবেন। ইসলামই হয়তো সেই শ্রেষ্ঠ পথ হতে পারে, মন থেকে কেউ কিছু জানার জন্য চেষ্টা করলে আল্লাহ পাক তাকে সঠিক পথ দেখাবেনই।

৫| ২১ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:০৯

ক্যাটম্যান বলেছেন: আমি নাস্তিক নই। স্রষ্টার অস্তিত্ব আছে কিনা সেটা আমার কাছে অজানা। তবে আপনার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার আমার কাছে প্রাসঙ্গিক মনে হল। ধন্যবাদ প্রশ্নগুলর জন্য।

মনে হয়না কোনও বুদ্ধিমান ব্যাক্তি স্রষ্টার চেয়ে কাল্পনিক বিগব্যাং কে না দেখে কিভাবে বিশ্বাস করে; অথচ ঈশ্বরকে বিশ্বাস করে না কোন যুক্তিতে?
বিগব্যাঙ কোন কাল্পনিক বিষয় না। বিজ্ঞানিরা অসংখ্যবার নিরপেক্ষভাবে পরীক্ষা চালিয়ে বের করেছে যে বিগব্যাঙ আসলেই হয়ছিল ১৩.৮ বিলিয়ন বছর আগে। তারা গামা-রে, গ্রহের থেকে নির্গত লাইটওয়েভ, ছায়াপথের গতিবিধি, মধ্যাকর্ষন ইত্যাদিকে গাণিতিকভাবে বিশ্লেষণ করে বের করেছে আর বিগব্যাঙ পদার্থবিজ্ঞানের কোন মৌলিক ধর্মের সাথে সাংঘসিকও না। বিগ ব্যাঙ থিউরি একটি সাইন্টেফিক ফ্যাক্ট।
বৈচিত্র্যময় ও কাঠামোবদ্ধ প্রকৃতি দেখে মনে হওয়াটা অস্বাভাবিক না যে এর পিছনে কারো হাত আছে। তবে উত্তরটা এত সহজও নয়। সুধুমাত্র বিষয়ের গভীরে না যাওয়ার কারনে সবকিছু স্রস্টায় কাছে গিয়ে থেকে যায়। কেনই বা এই বৈচিত্র্য ও কাঠামো হয়েছে এর গভীরে গেলে বুঝা যায় প্রান সব বিবর্তনের ফলে বৈচিত্র্য পেয়েছে, জড় থেকে প্রানের উৎপত্তিও হয়েছে কেমিক্যাল বিবর্তনের কারনে।
পৃথিবীতে প্রান কাজ করে সূর্য থেকে সঠিক দূরত্বের কারনে, সূর্য এসেছে নিউক্রিয়ার বিক্রিয়ার ফলে আর মহাবিশ্বের সবকিছু এসেছে বিগব্যাঙ থেকে। এখন কথা জাগতে পারে বিগব্যাঙ তাহলে স্রষ্টার কাজ। বৈজ্ঞানিকভাবে এটা পরীক্ষিত যে কোন প্রকার ক্রিয়ার প্রয়োজন নেই বিগব্যাঙ ঘটানোর জন্য আর বিগব্যাঙ এর আগে সময়ই ছিল না যে তখন স্রষ্টা বিগব্যাঙ ঘটাবে। বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমানিক যে স্রষ্টার দরকার নেই। মহাবিশ্ব নিয়ন্ত্রনের জন্যও দরকার নেই।
১কোষী একটা জীব থেকে র‍্যান্ডম মিউটেশন এবং ন্যাচারাল সিলেকশনের মাধ্যমে পুরো প্রাণি কূলের সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপারটা অতিকাল্পনিক হয়ে যায়না? আপনাদের এই তত্ত্ব মেনে নিতে গেলেও তো ন্যাচারাল সিলেকশন এবং মিউটেশন পিছনে একটা অদৃশ্য শক্তির হাত লক্ষনীয় হয় কেননা প্রমিত হারে মিউটেশনের ফলে সৃষ্ট একটা নিদৃষ্ট প্রাণির জন্মের ক্ষেত্রে তথা ন্যাচারাল সিলেকশনের ক্ষেত্রে প্রাণির গঠন তন্ত্রে কোনও হেরফের হলোনা কেন?
বিজ্ঞানে কাল্পনিক বলতে কিছু নাই। এখানে পরীক্ষিত প্রমানের উপর সব নির্ভরশীল। বায়োলজিস্টরা ফসিলগুলোর কাঠামো, ডিএনএ এবং আরও ১০টি নিয়মে পরীক্ষা করে দেখেছে বিবর্তন হয় আর Random Mutation আর Natural Selection এর মাধ্যমে হয়। এটা হতে ৪০০ কোটি বছর লেগেছে । মুল প্রশ্নে যাই, প্রজননের সময় এক প্রকারের জিন ডিএনএগুলো কপি করে, ঠিক যেমনটা প্রানির মা-বাবার মাঝে ছিল। জেনেটিক কম্বিনেশন অনুযায়ী কপি হয়, শরীরের অর্গানগুলোও সঠিক আকারে হয়, এটা একদমই স্বাভাবিক রাসয়নিক বিক্রিয়া, কোথাও কোনপ্রকার আলাদা হাতের প্রয়োজন নেই। কিন্তু সেখানেও ভুল হয়, যার কারনে আমরা আমাদের ভাইদের থেকে দেখতে অনেক আলাদা। যার কারনে আমাদের মাঝে প্রতিবন্ধি, বিকলঙ্গও হয়। প্রাকৃতিকভাবে না হয়ে যদি স্রষ্টা কাজটি করত তাহলে তো প্রকৃতির মাঝে একজন আসামিও লুকিয়ে থাকার কথা। কথা হচ্ছে নকশাকারী বলি বা আসামিই বলি আলাদা সেই হাতের প্রয়োজন নেই, জীববৈচিত্র্য পুরোটাই রসায়ন। রসায়নের কোন ধর্মের সাথে সাংঘসিক কোন কিছুই বিবর্তন বা প্রজননে হয় না।
সাধারণত বিজ্ঞানীরা নতুন কোনও আবিস্কার, ল্যাবে পরীক্ষার জন্য শতবার বিফলের পরে সফল হয় কিন্তু প্রকৃতির নিয়ম কেনো র‍্যান্ডম মিউটেশনের ক্ষেত্রে নির্ভুল ভাবে প্রথম বারেই সফল হলো?

আপনাকে কে বলেছে র‍্যান্ডম মিউটেশন নির্ভুল হয়? বিকলঙ্গ হওয়া বা অন্যকোন বৈচিত্র্য থাকাও তো র‍্যান্ডম মিউটেশন। মিউটেশনের পর সেটাই টিকে থাকে যেটা প্রাকৃতিকভাবে অনুকূল অবস্থা পায়। পৃথিবীর ৯৯.৯৯% প্রানি বিলুপ্ত হয়েছে। এভাবে চিন্তা করলে তো ০.০১% মিউটেশন নির্ভুল হওয়ার কথা, কারন এরাই তো ন্যাচারাল সিলেকশনে বেচে গিয়েছে। বাকি মিউটেশন তো কাজের আসেনি। একটা বৈজ্ঞানিক ল্যাব থেকে এটা কম কিসে।
আর বিবর্তন বাদ যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে বিবর্তনের নিয়ম থেমে থাকার কথা না; তাহলে বিবর্তিত মানুষের ভবিষ্যৎ কি? আর পৃথিবির বর্তমান প্রানিকূলের ভবিষ্যৎ কি? মিউটেশনের ফলে বর্তমান যুগের অর্ধ বিবর্তিত প্রানি কূল কোথায়? এরকম কোনও প্রানি কেনো পাওয়া যাচ্ছেনা? মানব সৃষ্টির বয়স ২৬লাখ বছর হলে মানুষও তো বিবর্তিত হয়ে অন্য প্রাণীতে রূপ লাভ অথবা অর্ধ বিবর্তিত প্রাণীতে রূপ লাভের কোন লক্ষন কেন দেখা যাচ্ছেনা?
মানুষও এখনও বিবর্তিত হচ্ছে। আফ্রিকার মানুষ যখন খাদ্যের সন্ধানে হাজার হাজার বছরে মহাবেশগুলোরে গিয়েছে। প্রকৃতির ভিন্নতার কারনে আমাদের গায়ের রঙ, দৈহিক কাঠামো ইত্যাদির পরিবর্তন এসেছে। অবশই আমরা ভিন্ন প্রজাতি হয়নি কারন মাত্র কয়েক হাজার বছরের এটা হয়েছে। আর ভবিষ্যতের কথা যদি বলি,বিভিন্ন স্টাডি থেকে এটা বের হয়ে এসেছে যে কয়েকলক্ষ বছর পরের মানুষের চোখ বড় হবে, ব্রেনের সাইজ ছোট হয়ে আসবে, পায়ের কনিষ্ঠ আঙ্গুল একবারে চলে যেতে পারে, আমরা আরও লম্বা হব, প্রাকৃতিকভাবে আয়ু অনেক বেশি থাকবে, গ্লোবাল কানেকশনের কারনে বর্ণগত অমিল আর থাকবে না। যদি মানুষ অন্যগ্রহে বাস করা শুরু করে তাদের বৈশিষ্ট্য হবে আরও অনেক ভিন্ন।

পৃথিবীর অন্য প্রানিকুলও বিবর্তিত হবে। একটা জিনিস শেয়ার করি। আপনি জানেন কিনা জানি না ২৬ বছরের মানুষের কারনে বেশ কিছু প্রানির বিবর্তনে বড় পরিবর্তন এসেছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে কুকুর। লক্ষ বছর ধরে মানুষ তাদের সঙ্গি ঠিক করে আসছে। এটাকে বলে আর্টিফিশিয়াল সিলেকশন। হাইব্রিড প্রানি, আমাদের অনেক গবাদি জাতের পশু এরাও এই প্রভাবের ছোঁয়া পেয়েছে। এমনকি অনেক কৃষি শস্য যেমন গম একসময় আগাছা জাতীয় ছিল, মানুষের চাষাবাদের বলে এদের মদ্ধে পরিবর্তন এসেছে।
আর্টিফিশিয়াল সিলেকশন হোক বা ন্যাচারাল সিলেকশন হোক বিবর্তন হবেই। আপনি এটা দেখতে পারবেন না কারন এটা হতে লক্ষ লক্ষ বছর লেগে যায়। আজ থেকে কয়েক লক্ষ বছর আগেও আমরা পাথর ধারালো করে মাংস কাটতে জানতাম। এপ ( হমিনিড প্রাইমেট)র পর্যায় যখন আমাদের পূর্ব পুরুষ গাছে থাকত ঐ অবস্থা ছিল প্রায় আড়াই কোটি বছর আগে। মাত্র এই এপ অবস্থা থেকে মানুষ অবস্থায় আসতেই আমাদের আড়াই কোটি বছর লেগে গিয়েছে। সেখানে আপনি রাতারাতি মানুষ থেকে অন্যপ্রানি দেখতে পারবেন এটা আশা করা যুক্তিযুক্ত হবে না।


আরেকটা কথা পৃথিবীতে বিজ্ঞান আগে আসছে নাকি ধর্ম আগে আসছে? ধর্ম যদি আমাদের সমাজ বদ্ধতা না শিখাতো তাহলে আমাদের জীবনও সাধারণ পশুদের মত হত, পশু যেমন জৈবিক চাহিদার সময় নিজের মায়ের, বোনের সাথেও সহবাস করে আমরাও ঠিক তা করতাম, মা এবং বোন যে আমাদের আদরের এবং সম্মানের এই শিক্ষাটা আপনার বিজ্ঞান দেয়নাই; দিয়েছে ধর্ম, তাছাড়াও সততা, নৈতিকতা, শিষ্টাচার বোধ সবই আমরা ধর্ম থেকে পেয়েছি। তাই ধর্মকে অস্বীকার করে বিজ্ঞানকে আলিঙ্গন কিছুতেই যুক্তি যুক্ত হতে পারেনা।
বিজ্ঞানের কাজ মানুষের মূল্যবোধকে ঠিক করা না। আমি এই ব্যাপারের সাথে সম্পূর্ণ একমত যে ধর্ম প্রবর্তকরা সমাজে শৃঙ্খলা আর একতা আনার জন্য ধর্ম এনেছে । তবে আদৌ কি ধর্মই একমাত্র উপায় মানুষকে শৃঙ্খল রাখার জন্য। আমরা প্রাকৃতিকভাবে “সহানুভুতি (empathy)” নিয়ে জন্মিয়েছি। আমাদের মূল্যবোধকে ঠিক রাখার পিছনে এই বিষয়ই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সবাই অবচেতনেই Utilitarianism অনুসরণ করি। বিবর্তনের শাখায় আমাদের নিকটবর্তি অনেক প্রজাতির প্রানির মধ্যেও মূল্যবোধ আছে। আপনি জানেন কিনা জানি না, তবে পরিসংখ্যান বলে পৃথিবীর সেইসব দেশ সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্থ যেখানে ধর্ম ছাড়া মানুষ সবচেয়ে বেশি। ১০টি দেশের মধ্যে ৯টিই দেশেই ধর্মহীনদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। প্রথম ১০টি দেশের নাম ও সেদেশে ধর্মহীনদের পারসেন্ট দিয়ে দিচ্ছি। (ট্রান্সপেরান্সি ইন্তারনেশনাল ২০১৪ ও ইউনিভার্সিটি অফ ক্যামব্রিজ প্রেসঃ এথিয়েজম কনটেম্পোরারি রেটস অ্যান্ড প্যাটার্ন )
১. ডেনমার্ক ৮০% ২. নিউজিল্যান্ড ২২% ৩. ফিনলান্ড ৬০% ৪. সুইডেন ৮৫% ৫. নরওয়ে ৭২% ৬. সুইজারল্যান্ড ২৭% ৭. সিঙ্গাপুর ১৩% ৮. নেদারল্যান্ড ৪৪% ৯. লাক্সামবার্ক ৬৪% ১০.কানাডা ৬১%

এরপরও আমি বলছি না ধর্ম মূল্যবোধ তৈরি করতে ব্যর্থ। অবশই না। মানবতাবোধের অনেক নিদর্শন আছে বুদ্ধধর্ম, জৈনধর্ম ও পৃথিবীর অন্য ধর্মগুলোতেও। তবে ধর্মই আবশ্যক না মূল্যবোধের জন্য, সুধু একটা প্রেষণার হাতিয়ার।
আর পৃথিবীর এতো প্রানিকূলের মধ্যে শুধু মানুষই কেনো একমাত্র বুদ্ধিমান জীব হলো? বুদ্ধির দিক দিয়ে মানুষের সমান অথবা মানুষের কাছাকাছি কোনও প্রাণির জন্ম কেনো হলোনা? এখন যদি বানর অথবা ডলফিনের উদাহরন দেন তাহলে বোকামি করবেন কেননা তারা মানুষের চেয়ে বুদ্ধির দিক দিয়ে রাত আর দিনের পার্থক্যের চেয়ে দূরে।
পৃথিবীর নানান প্রাণী নানান কারনে অন্য প্রাণী থেকে ভিন্ন। এখন আমাদের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হচ্ছে আমাদের বুদ্ধিমত্তা। বিষয়টাকে বুদ্ধিমত্তা না বলে "কালেকটিভ লারলিং" বললে বেশি প্রাসঙ্গিক হবে। এই ব্যাপারে আমরা অন্য প্রাণী থেকে অনেক ভাল। ইন্দ্রিয় ক্ষমতায় বাদুর হয়ত শ্রেষ্ঠ, কোলেবরেটিভ লার্নিং এর জন্য পিপড়া। এখন কথা হচ্ছে বুদ্ধিমত্তা যে কম সেটা আমরা নিশ্চয়তায় সাথে কিভাবে বলবেন। আমরা শারীরিকভাবে হাতিয়ার বানাতে সক্ষম। পাখির সেই শারীরিক সুবিধা সেই তাই হয়ত সে তার বুদ্ধিমত্তার সম্পূর্ণ ব্যবহার করতে পারে না। শুধুই ইনভেটিভ বাসা বানানোই তার ক্ষমতার পরিধির মধ্যে পড়ে। কথা হচ্ছে আমরা আসলে কিভাবে বুদ্ধিমত্তাকে বিচার করি সেটা কতটা সঠিক সেটা ভাবার বিষয়।

মহাবিশ্বের এই সুনিয়ন্ত্রিত পদ্ধতি, গ্রহ নক্ষত্রের নিয়ন্ত্রিত কক্ষ পথ পরিভ্রমণ এই সবকিছুই কি এমনি এমনি হচ্ছে?
মধ্যাকর্ষণের মাধ্যমে হচ্ছে। আলাদা কোন জাদুকরের প্রয়োজন নেই সেটা নিয়ন্ত্রন করার জন্য।


আর আমদের সৌর জগতের মধ্যে শুধু পৃথিবির মধ্যেই কেন প্রান ধারনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি হলো?
আমরা শুধুমাত্র একটা গ্রহের প্রানের সাথে পরিচিত হয়েছে তা হল, পৃথিবীর। সৌরজগতে প্রান আছে কিনা আমরা এখনো সিউর হয়নি। তবে এটার প্রমান মেলেছে যে শুক্র আর মঙ্গল গ্রহে জলাশয় ছিল তবে তা পানি ছিল না। তরল জলাশয় না থাকলে পৃথিবীতেও প্রান থাকতো না। মঙ্গল ও শুক্র গ্রহে সেই তরল জলাশয় কোটি কোটি বছর আগে নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে। হয়ত সেখানেও প্রান ছিল এখন আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি না। পৃথিবীর প্রান কোন অস্বাভাবিক মৌল দিয়ে তৈরি হয়নি। কার্বন দিয়ে হয়েছে যা মহাশূন্যে অভাব নেই। সৌরজগতে মাত্র কয়েকটি গ্রহ, এর উপর বেস করে যদি বলি বুদ্ধিমান প্রানি মহাশূন্যে নেই তাহলে বকামি হবে। আর প্রায় ১০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০ টি গ্রহ আছে মহাশূন্যে। সেখানে বুদ্ধিমান প্রান থাকতেই পারে না এমন ভাবাটা গাণিতিকভাবে অযৌক্তিক। তবে আমাদের কাছে এখনও সেই প্রজুক্তি আসেনি যে গ্রহে (প্রায় ২০০টি) প্রান আছে বলে আমরা ধারনা করছি সেখানে আমরা নভোযান পাঠাতে পারব।

পৃথিবির নিয়ন্ত্রিত বায়ু স্তর, তাপের সমতা এইগুলা সবই কি এমনিই পরিচালিত হচ্ছে? পৃথিবী যদি তার কক্ষ পথ থেকে একটু দূরে সরে যায় তাহলে বরফ শিতল হয়ে বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে, আর বর্তমান অবস্থা থেকে একটু উপরে চলে গেলে তাপ মাত্রা বেড়ে সব জ্বলে যাবে তবে এই সুনিয়ন্ত্রিত ব্যাবস্থা কার ধারা পরিচালিত হচ্ছে?
পৃথিবীর কেন্দ্র সম্পূর্ণ আইরনের। যার ম্যাগনেটিক ফিল্ড এর কারনে পৃথিবীর বায়ুস্তর এইরকম। এটা পরিচালিত হওয়ার কি আছে বুঝলাম না, চৌম্বকীয় আবেশের জন্যই এটা এমন। আসলে পৃথিবীতে সবসময় এমন তাপ থাকে না। Ice age যা প্রায় ২৬ লক্ষ বছর পর হয়। আদি মানুষরা বরফ যুগ মোকাবেলা করেছিল। তারা রাশিয়ার বরফ অংশ থেকে উত্তর আমেরিকায় পৌছায় এই বরফ যুগে। ভবিষ্যতেও আমাদের বরফজুগের মোকাবেলা করতে হবে। তাছাড়া পৃথিবীতে এমন অনেকবার বৈশ্বিক প্রাকৃতিক বিপর্যয় এসেছে যখন তাপমাত্রা ভয়ংকর মাত্রায় বেরে গিয়েছিল আর জিবের অস্তিত্ব প্রান নিশ্চিহ্ন হতে নিয়েছিল। পৃথিবীর উপর এত কাটাছেড়া গিয়েছে যে এটা সুনিয়ন্ত্রিত তো ভুলেও না।

পৃথিবী সহ অন্যান্য গ্রহের আকৃতি প্রায় নিখুঁত গোলাকার হলো কি করে?
শক্তির বিকেন্দ্রিকরনের কারনেই গ্রহ এবং নক্ষত্র আকারে গোল হয়ে থাকে। এর মানে, গ্রহ এবং নক্ষত্রগুলোর প্রচুর ভর রয়েছে। আর সে কারনেই তাদের অনেক মাধ্যাকর্ষণজনিত শক্তিও রয়েছে। আর এই শক্তি গ্রহ ও নক্ষত্রের প্রতিটি দিকে সমানভাবে পৌঁছে দিতে এগুলোর আকৃতি গোলাকারের হয়। তবে ছোটখাটো গ্রহাণুগুলোর শক্তি কম থাকার কারনে তারা গোল অবস্থায় নেই।

২১ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৩

নৈশ শিকারী বলেছেন: আপনি বুদ্ধি দীপ্ত উত্তর প্রদানের চেষ্টা করেছেন সেজন্য ধন্যবাদ, তবে আপনি যেই উত্তর গুলো প্রদান করেছেন প্রায় সবই অনুমান নির্ভর, বিগব্যাং শুরু হয়েছিল কোন শক্তির প্রভাবে? সময়ের অস্তিত্ব থাকা আর না থাকার মধ্যে বিগব্যাং ঘটার সম্পর্ক কি আর স্রষ্টার অস্তিত্বের সাথে সময়ের অস্তিত্বের সম্পর্ক কি? অবিনশ্বর স্রষ্টাকে সময়ের সীমা বদ্ধতায় বাঁধা কি যুক্তি যুক্ত? আর আমরা জানি বিগব্যাং এর পর কসমোলজিকাল বিবর্তনের মাধ্যমে সমগ্র মহা বিশ্বের গ্রহ নক্ষত্রের সৃষ্টি হয়েছে কিন্তু তবুও কথা থাকে যে বিগব্যাংটা কোনও অদৃশ্য শক্তি ছাড়া এমনিই হলোও? তারপর কসমোলজিকাল বিবর্তনের ফলে কোনও শক্তির প্রভাব ছাড়া এমনিই গ্রহ নক্ষত্রের রূপ লাভ করলো? তারপর সমগ্র গ্রহ নক্ষত্রের সুনিদৃষ্ট ক্রিয়া কলাপ নিজস্ব কক্ষ পথে পরিভ্রমণ সব কি এমনি হচ্ছে? এখন যদি বলেন যে গ্রহের মধ্যে অবস্থিত চৌম্বকত্ব এর জন্য এই সুনিদৃষ্টতা দায়ী তাহলে বলতে হয় এই চুম্বকত্ব কোন অদৃশ্য শক্তি প্রদান করলো?

আর এই চৌম্বকত্বের তথা আকর্ষনের তারতম্য হয়ে উপগ্রহ গুলো মূল গ্রহে ছিটকে পড়েনা কেন? ভাই যেখানে একটা রিকশাও চালক ছাড়া চলতে পারেনা সেখানে মহা বিশ্বের এতো বড় ইঞ্জিনিয়ারিং কিভাবে চলছে তাও কোন পরিচালক ছাড়া?

বিবর্তনের বিষয়ে তর্কে যাবনা আপনি দয়া করে এই ব্লগ দুটি http://www.shodalap.org/smraihan/23805/ Click This Link একটু পড়ে দেইখেন তাহলেই বুঝতে পারবেন, আর আমি ন্যাচারাল সিলেকশনের ব্যাপারে এতটুকুই বলব প্রানির বিকলাঙ্গ আর প্রতিবন্ধির হার কত পার্সেন্ট আর সুস্থতার হার কত পার্সেন্ট? তাহলে নির্দেশক হীন প্রকৃতি আধুনিক বিজ্ঞানীদের চেয়ে বুদ্ধিমান?

ন্যাচারাল সিলেকশন শুধু মানুষকে কেই কেনো সৃষ্টি করলো প্রায় মানুষের কাছাকাছি অথবা সমান কোনো প্রাণির উদ্ভব হলোনা কেনো? ন্যাচারাল সিলেকশনের এই ব্যাপারটা খুব অদ্ভুত, ধর্মের ব্যাপারে শুধু বুদ্ধ আর জৈন ধর্মের কথাই বললেন কেন? এগুলো ক্যাথলিক ধর্ম এজন্য? ইসলাম কি সুশীল সমাজ বদ্ধতা এবং নৈতিকতার শিক্ষা দেয়না?

৬| ২১ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:০৯

ক্যাটম্যান বলেছেন: তবে আপনি যেই উত্তর গুলো প্রদান করেছেন প্রায় সবই অনুমান নির্ভর
আমি খেয়াল করলাম যখনই কেউ অন্যপক্ষ থেকে উত্তর দেয় তখনই আপনি এই কথাটা বলেন। আমি আসলে জানতে চাই, "অনুমান"কে আপনি কিভাবে সংজ্ঞায়িত করেন।

বিগব্যাং শুরু হয়েছিল কোন শক্তির প্রভাবে? সময়ের অস্তিত্ব থাকা আর না থাকার মধ্যে বিগব্যাং ঘটার সম্পর্ক কি আর স্রষ্টার অস্তিত্বের সাথে সময়ের অস্তিত্বের সম্পর্ক কি?
বিগব্যাঙ এর মুহূর্তে, যখন সবকিছু Quantum Vacuum অবস্থায় ছিল, সেটা কিছু সময়ের সূচনা। মানে সেকেন্ড ০। সময় বলতে এর আগে কিছু ছিল না। কোন "কারন" বিগব্যাঙ ঘটাতে হলে সেই কারনের উৎপত্তি হতে হবে। কিন্তু কোন "কারন" উৎপত্তি হওয়া সম্ভব নয়, সময়ের অনুপুস্থিতির জন্য। তাই বিগব্যাঙ কোন শক্তির প্রভাবে হওয়াও সম্ভব নয়।

অবিনশ্বর স্রষ্টাকে সময়ের সীমা বদ্ধতায় বাঁধা কি যুক্তি যুক্ত?
হতে পারে সে সময়ের ঊর্ধ্বে। তবে যদি এমন হয় তাহলে তো এটাই সঠিক হবে সে স্রষ্টার অস্তিত্ব আসলেই নেই। কারন সে তো মহাবিশ্বের সময়ের বাইরে। তার তো আমাদের মহাবিশ্বের সময়ে হস্তক্ষেপ করারই কথা না। সময় বা স্থানের ঊর্ধ্বে থেকে "নিয়ন্ত্রন" করা তো অসম্ভব।

আমরা জানি বিগব্যাং এর পর কসমোলজিকাল বিবর্তনের মাধ্যমে সমগ্র মহা বিশ্বের গ্রহ নক্ষত্রের সৃষ্টি হয়েছে কিন্তু তবুও কথা থাকে যে বিগব্যাংটা কোনও অদৃশ্য শক্তি ছাড়া এমনিই হলোও? তারপর কসমোলজিকাল বিবর্তনের ফলে কোনও শক্তির প্রভাব ছাড়া এমনিই গ্রহ নক্ষত্রের রূপ লাভ করলো? তারপর সমগ্র গ্রহ নক্ষত্রের সুনিদৃষ্ট ক্রিয়া কলাপ নিজস্ব কক্ষ পথে পরিভ্রমণ সব কি এমনি হচ্ছে? এখন যদি বলেন যে গ্রহের মধ্যে অবস্থিত চৌম্বকত্ব এর জন্য এই সুনিদৃষ্টতা দায়ী তাহলে বলতে হয় এই চুম্বকত্ব কোন অদৃশ্য শক্তি প্রদান করলো?
ধর্মীয় বিশ্বাস মানুষের কাছে সবকিছুর একটা সিম্পল ব্যাখ্যা দিয়েছে সেটা হল এক অদৃশ্য শক্তি সবকিছু নিয়ন্ত্রন করে। মানুষ কেন আকাশে উড়ে যেতে পারে না ? স্রষ্টা দেইনি তাই। এটাই ছিল সহজ উত্তর। সহজই সর্বদা সত্য নয়। পরে আমরা জানতে পারি মধ্যাকর্ষণ সম্পর্কে। তখন ধার্মিকরা আবার বলে উঠে মধ্যাকর্ষণ স্রষ্টা করে। পরে আমরা জানতে পারি হিগস-বোসন পার্টিক্যাল সম্পর্কে, যা পদার্থকে ভর দেয়। তারপর ধার্মিকরা বললো হিগস-বসন স্রষ্টার কাজ। যেটা এখানে হচ্ছে সেটা হল "God of the Gap" মানে হচ্ছে অজ্ঞতার জায়গায়ই স্রষ্টা অবদান। জ্ঞান স্রষ্টার অবদানের পরিধিকে ছোট করে ফেলছে। এটা অবশই স্বীকার করি আমরা জগতের সব জ্ঞান নিয়ে ফেলিনি। তার মানে এই না জ্ঞানের শূন্যস্থানগুলোতে স্রষ্টাকে বসাবো।

এক অদৃশ্য হাত ছাড়া হয়েছে এটা আপনার ব্যাক্তিক দৃষ্টিতে বিশ্বাস অযোগ্য হতেই পারে। যার কারনে আপনি ধার্মিক। তবে এটাই যে সত্যই হতে হবে এটা ভাবা শুধুই আস্থার উপর নির্ভরশিল । আর আস্থা যেখানে স্থান পায় সেখানে যুক্তি প্রবেশ করানো কঠিন।

আর এই চৌম্বকত্বের তথা আকর্ষনের তারতম্য হয়ে উপগ্রহ গুলো মূল গ্রহে ছিটকে পড়েনা কেন?

এমন অনেক নজির আছে যে উপগ্রহ ছিটকে পড়েছে। আমাদের পৃথিবীর জন্মের ঊষালগ্নে চাঁদ পৃথিবীর সাথে সংঘস হয়েছিল। তখন চাঁদের সাথে পৃথিবীর দূরত্ব আরও অনেক অনেক গুন কম ছিল। তখন সমুদ্রের স্রোতও ছিল অনেক বেশি। তবে আইয়নের প্রভাবে চাঁদ কোটি কোটি বছরে আরও দূরে যেতে থাকে এখন এই অবস্থায় আছে। আপনি যদি গ্রাভিটেশনাল ওয়েভ সম্পর্কে জানেন তাহলে এটাও জানার কথা যে ৭ বিলিয়ন বছর পর সূর্য তার Red Dwarf Stage এ চলে আর আকারে আরও অনেক গুন বড় হয়ে যাবে তখন বুধ, শুক্র এমনকি পৃথিবীও সূর্যের কাছে গ্রাস হয়ে যেতে হবে।

ভাই যেখানে একটা রিকশাও চালক ছাড়া চলতে পারেনা সেখানে মহা বিশ্বের এতো বড় ইঞ্জিনিয়ারিং কিভাবে চলছে তাও কোন পরিচালক ছাড়া?
এটা খুব পুরানো আরগুমেন্ট। তাহলে প্রশ্ন আসতে পারে চালককে তাহলে কে চলালো? আর যদি উপমা থেকে বের হই তাহলে বলা যাবে তাহলে স্রষ্টাকে কে সৃষ্টি করলো ? ধার্মিকদের ক্ষেত্রে উত্তরটা ইনভেলিড কারন বিশ্বাসের ভিক্তিই হচ্ছে তিনি প্রথম। কোন প্রমান ছাড়া, বিশ্বাসের ভিক্তিতে। আর বিজ্ঞানরা বিগব্যাঙকে প্রমান করেছে প্রথম, প্রমানসহ।

প্রানির বিকলাঙ্গ আর প্রতিবন্ধির হার কত পার্সেন্ট আর সুস্থতার হার কত পার্সেন্ট? তাহলে নির্দেশক হীন প্রকৃতি আধুনিক বিজ্ঞানীদের চেয়ে বুদ্ধিমান?
যদি এটা বুঝাতে চাচ্ছেন যে স্রষ্টা মিউটেশন করিয়ে থাকে তাহলে, তাহলে স্রষ্টাকে আপনার "নির্ভুল" বলার কথা না। ০.০১% সঠিকভাবে কাজে লেগেছে মিউটেশনকে বিবর্তনে কাজে লাগাতে। যদি অদৃশ্য শক্তি ০.০০০০০০১% বিকলঙ্গ মিউটেড করে থাকে তাহলে সে "আল-বারী" বা "সঠিকভাবে সৃষ্টিকারি" হবার যোগ্যতা রাখে না।

ন্যাচারাল সিলেকশন শুধু মানুষকে কেই কেনো সৃষ্টি করলো প্রায় মানুষের কাছাকাছি অথবা সমান কোনো প্রাণির উদ্ভব হলোনা কেনো? ন্যাচারাল সিলেকশনের এই ব্যাপারটা খুব অদ্ভুত।
মানুষের কাছাকাছি অনেক হমিনিড ছিল, তবে এখন তারা এর নেই। এর শক্ত প্রমানও আছে। Neanderthal পশ্চিম ইউরোপে ছিল তারা ডিএনএর দিক থেকে আমাদের থেকে ভিন্ন ছিল যেমনটা সিপ্পাঞ্জি আমাদের থেকে ভিন্ন। তারা tools নির্ভর ছিল। আর আমাদের হাতিয়ার তাদের থেকে অনেক ভিন্ন ছিল। তবে তাদের ভোকাল কর্ড দেখে এটা ধারনা করা হয় সে তারা মানুষের মত কথা বলতে পারতো না। তারা আমাদের কাছাকাছি প্রতিপক্ষ ছিল বরফজুগের পূর্বে। বরফ জুগের পর তাদের কোন ফসিল এভিডেন্স পাওয়া যায়নি। এটা ধারনা করা হয় বরফ যুগে খাদ্যের অভাবে তারা বিলুপ্ত হয়। সাথে সাথে এটার প্রমান পাওয়া গিয়েছে যে তাদের সাথে মানুষের সঙ্গমও হয়েছে। এখন পৃথিবীর ৯% মানুষের দেহে তাদের ডিএনএ'র মিল পাওয়া যায়।

ধর্মের ব্যাপারে শুধু বুদ্ধ আর জৈন ধর্মের কথাই বললেন কেন? এগুলো ক্যাথলিক ধর্ম এজন্য? ইসলাম কি সুশীল সমাজ বদ্ধতা এবং নৈতিকতার শিক্ষা দেয়না?
আমি বলেছিলাম "মানবতাবোধের অনেক নিদর্শন আছে বুদ্ধধর্ম, জৈনধর্ম ও পৃথিবীর অন্য ধর্মগুলোতেও" এই দুই ধর্মের নাম বিশেষ করে বলেছি কারন তাদের ধর্মের মৌলিক আদর্শই অহিংস্রতা, তাও যেকোন প্রানের ক্ষেত্রে। আর এরা ক্যাথলিক ধর্ম কিভাবে হল এটা বুঝলাম না। অন্য ধর্মের মত ইসলামও সমাজ বদ্ধতা ও নৈতিকতার শিক্ষা দেয়। তবে যেটা আমি আগের কমেন্টে বললাম, ধর্মই আবশ্যক না মূল্যবোধের জন্য, সুধু একটা প্রেষণার হাতিয়ার।

২২ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ২:১৭

নৈশ শিকারী বলেছেন: অনুমান নির্ভর কথাটা বলতে বুঝিয়েছি বৈজ্ঞানিকদের অনুমানিক এবং কাল্পনিক বিশ্লেষণ কে, যা আপনি প্রয়োগ করেছেন। বিগব্যাং সম্পর্কিত তথ্য বিজ্ঞানিরা যেভাবে বিশ্লেষণ করেছেন সেটা ১০০% নির্ভরশীল কি করে হয়? যেখানে আজ অবধি বিজ্ঞানিরা নতুন বৈশিষ্ট সম্পন্ন বিভিন্ন নতুন গ্রহ আবিষ্কার করতেছেন সেখানে কিভাবে সমস্ত গ্রহ নক্ষত্রের গাণিতিক হিসেব বের করে ১৩.৮ বিলিয়ন বছর নির্ধারন করলো এবং সেটা কতটা নির্ভরশীল? বিগব্যাং এর কথা বাদ দেন সাধারণ একটা ছায়াপথ অথবা একটা ব্লাকহোল এর আয়তন নিরূপণ করলেও অঙ্কের শেষে একটা 'প্রায়' ব্যাবহার করে যা আপনি ব্যাবহার না করে নিশ্চিত করে বলেছিলেন।

আপনি 'কারন' সৃষ্টির ব্যাপারে যেই শূণ্য মাধ্যমের এবং সময়ের শূন্যতার কথা বলেছেন সেটা সেটা স্রষ্টার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে পারেন না কারন তিনি সৃষ্টির ক্ষেত্রে প্রয়োগ যোগ্য সমস্ত ক্রিয়াকলাপের উর্ধে, আর সম্ভব অসম্ভব ব্যাপারটা সৃষ্টি তথা আমি, আপনি, গ্রহ নক্ষত্র সময় অথবা সময়ের শূন্যতা এই সবকিছুই সৃষ্টির নিয়মের মধ্যে পরে। আর সময়ের শূন্যতায় দাড়িয়ে সবকিছুর নিয়ন্ত্রনের ক্ষমতার ব্যাপারটা এমন একটা বিষয় যা মানবীয় বুদ্ধি দিয়ে নির্ধারন সম্ভব না।

ভাই ইসলাম কিন্তু ধর্মীয় ভাবে বিজ্ঞান চর্চায় বাঁধা প্রদান করে নাই তাহলে সত্যের অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে বাঁধাটা কোথায়? ধর্ম না মেনেই বিজ্ঞানি হওয়া যায়; আর ধর্ম মানলে কি বিজ্ঞানী হওয়া যায়না?
বিজ্ঞানের শূন্যতায় ইশ্বরকে বসাবেন না সেটা আপনাদের ব্যাপার, তবে বিজ্ঞান কোনদিন সেই গ্যাপে পৌঁছতে পারবে কিনা সেটাই প্রশ্ন বিদ্ধ বিষয়। হ্যাঁ আমি স্রষ্টার প্রতি অবিচল বিশ্বাস রাখি তাই বলে বিজ্ঞানকেও অস্বীকার করিনা।

চাঁদের পৃথিবিতে ছিটকে যাওয়ার ঘটনাটার সত্যতা সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা কি শতভাগ নিশ্চিত চিলেন? নাকি এই বিষয়টাও বিগব্যাং তত্বের মতো অনুমানিক অংক কষার মতো বিষয়? আর যদি এটা সত্যিও হয়ে থাকে সেটা তখনকার যুগের জন্য কোন ব্যাপার ছিলনা কারন তখন সেটা সৃষ্টির প্রাক কালীন সময় ছিল আর পৃথিবীতে তখন প্রাণিকূলের বিপর্যয়েরও সম্ভাবনা ছিলনা, স্রষ্টার অস্তিত্ব না থাকলে বিষয়টা এযুগেও ঘটতে পারতো কেননা এযুগের প্রানের অস্তিত্ব রক্ষার ব্যাপারে মাথা ঘামানোর জন্য কারো কিছু আসত যেতনা আর এমন ঘটনা ঘটতেই পারতো।

এই মহাবিশ্ব স্রষ্টার মতো অবিনশ্বর না কিন্তু এর একদিন ধ্বংস অনিবার্য যাকে আমাদের ধর্মে কিয়ামত বলে, তাই এই মহা বিশ্বের ভবিষ্যৎও ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে, আর ধ্বংসের পূর্বে সূর্যের Red Dwarf Stage এই পর্যায়টা আসবে, এই ব্যাপারে পবিত্র কোরানেও উল্লেখ আছে, এই ব্যাপারে ব্লগটি পড়ে দেখতে পারেন, Click This Link

আমি আগেও বলেছি স্রষ্টা সকল জাগতিক সৃষ্টিশিল নিয়মের উর্ধে তাই স্রষ্টাকে চালানোর ব্যাপারটা এখানে প্রযোজ্যই হয়না। চালানোর নিয়মটা শুধু সৃষ্টির ক্ষেত্রেই হতে পারে।

যেই স্রষ্টা এতো নিয়ম মাফিক ভাবে সমগ্র ব্রহ্মাণ্ড পরিচালনা করতে পারেন তার পক্ষে সামান্য পৃথিবির প্রাণিকুলকে নিখুঁত ভাবে বানানো কি করে অসম্ভব হয়? আর সবচেয়ে বড় কথা হলোও আমি বিবর্তনবাদকেই বিশ্বাস করিনা। আর স্রষ্টার এই বিকলাঙ্গ পশু সৃস্টির ব্যাপারে কোন রহস্য লুকায়িত আছে তা আমাদের ব্রাইন এখনো পুরোপুরি আবিষ্কার করতে পারেনাই, তবে সম্ভাব্য কারন হতে পারে ভ্রুণের বিকাশে বাঁধা, উপযুক্ত পরিবেশের অভাব, আঘাত জনিত কারন ইত্যাদি।

যেহেতু আমি বিবর্তনবাদ মানিনা সেহেতু নিয়ন্ডারথালের ব্যাপারটাও আমার মানতে কষ্ট হয় যে তারা মানুষের প্রায় সমবুদ্ধির ছিল কারন DNA গত কাছাকাছি মিল থাকলেও তারা যে মানুষের প্রায় সম পর্যায়ের ছিল এটা ভূলও হতে পারে যেমন এযুগের হনুমানের সাথে আমাদে DNA প্রায় ৯৮% মিললেও তারা আমাদের থেকে অনেক পিছিয়ে, আর জেনেটিক ব্যাপারে খুব সামান্য অমিলও অনেক বড়ও ফ্যাক্ট হয়ে দাঁড়ায়। সবচেয়ে বড় কথা হলো মানুষের বিবেক বোধও বুদ্ধি এই জিনিস গুলোই আমাদের অন্যান্য প্রানি কূল থেকে আলাদা করেছে আশ্চর্য লাগে পৃথিবির এত প্রজাতির প্রাণির মধ্যে আমারাই কেন পোশাক পরিধান কারি সভ্য প্রানি হলাম? অদৃশ্য শক্তির নিদ্রিষ্ট উদ্দশ্য ছাড়া আমারা এমন হতে পারতাম না এটা আমার বিশ্বাস।

বুদ্ধু ধর্মে প্রাণিকুলের প্রতি সহানুভূতি শীল হতে বলা হলেও এযুগে সেটা অনেকেই মানেনা যেমন, চীন; সম্ভবত তারা পৃথিবির সবচেয়ে অদ্ভূত খাদ্য গ্রহন কারি জাতি যারা মানব ভ্রুণ খেতেও ঘৃনা করেনা, আর জৈন ধর্মের নিয়ম বর্তমান যুগের অনেকেই মানেনা যদিও মানবতার অনেক কথা গুরু নানক বলে গিয়েছিলেন। আর ক্যাথলিক বলার কারন এই দুই ধর্মের এক ধর্মও পরকাল কেন্দ্রিক না।

৭| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ২:৩৭

নতুন বলেছেন: ভাই ইসলাম কিন্তু ধর্মীয় ভাবে বিজ্ঞান চর্চায় বাঁধা প্রদান করে নাই তাহলে সত্যের অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে বাঁধাটা কোথায়? ধর্ম না মেনেই বিজ্ঞানি হওয়া যায়; আর ধর্ম মানলে কি বিজ্ঞানী হওয়া যায়না?

যদি সবাই বিশ্বাসই করে যে কুন বলাতেই দুনিয়া সৃস্টি... তবে তো গবেষনার দরকার নাই।

হ্যাঁ আমি স্রষ্টার প্রতি অবিচল বিশ্বাস রাখি তাই বলে বিজ্ঞানকেও অস্বীকার করিনা।

চাদ দ্বিখন্তিত হয়েছিলো এই বিশ্বাস কি কোন ভাবে পদাথ বিজ্ঞানের সুত্রানুযায়ী ভেবে দেখেছেন?

যেহেতু আমি বিবর্তনবাদ মানিনা সেহেতু নিয়ন্ডারথালের ব্যাপারটাও আমার মানতে কষ্ট হয়

আদম+হাওয়া যদি আদি মানুষ হয়... তবে এখন কার এতো রং/গোত্র/শারিরিক বৈশিস্টের মানুষ আসলো কিভাবে?
ভাই ইসলাম কিন্তু ধর্মীয় ভাবে বিজ্ঞান চর্চায় বাঁধা প্রদান করে নাই তাহলে সত্যের অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে বাঁধাটা কোথায়? ধর্ম না মেনেই বিজ্ঞানি হওয়া যায়; আর ধর্ম মানলে কি বিজ্ঞানী হওয়া যায়না?

যদি সবাই বিশ্বাসই করে যে কুন বলাতেই দুনিয়া সৃস্টি... তবে তো গবেষনার দরকার নাই।

হ্যাঁ আমি স্রষ্টার প্রতি অবিচল বিশ্বাস রাখি তাই বলে বিজ্ঞানকেও অস্বীকার করিনা।

চাদ দ্বিখন্তিত হয়েছিলো এই বিশ্বাস কি কোন ভাবে পদাথ বিজ্ঞানের সুত্রানুযায়ী ভেবে দেখেছেন?

যেহেতু আমি বিবর্তনবাদ মানিনা সেহেতু নিয়ন্ডারথালের ব্যাপারটাও আমার মানতে কষ্ট হয়

আদম+হাওয়া যদি আদি মানুষ হয়... তবে এখন কার এতো রং/গোত্র/শারিরিক বৈশিস্টের মানুষ আসলো কিভাবে?

এটাকি মানুষের বিবতন নয় কি? পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে গিয়ে মানুষের বৈশিস্টের পরিবতনের জন্যই এতো রং রুপের মানুষ আমাদের চারিপাশে...

এখন প্রকৃতিকে মিলিয়ন ...বিলিওন বছর সময় দিলে আরো কত কিছু করতে পারে।

২২ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:৪৭

নৈশ শিকারী বলেছেন: ভাই নতুন আমি খুব সাধারণ একজন মুসলিম, বিলাশ বহুল জীবন যাপন আমার কাছে অধরা, আমার স্মার্ট ফোন বা পিসিও নাই যে আপনাদের মত ৫মিনিটে একটা কমেন্ট লিখতে পারব, আমার ফোনে বাংলা কিবোর্ডও নাই www।banglatext.com দিয়ে লিখে কপি করে বহু কস্টে ব্লগে লিখি এবং কমেন্ট করি তাই দয়া করে আমাকে একই বিষয়ের পুনরাবৃত্তি করাইয়েন না, অনেক কষ্ট হয়! চন্দ্র দ্বিখণ্ডনের বিষয়টা এই Click This Link পোস্টেই করেছিলাম আপনার সাথে , আর আপনি যেই মানবীয় বিবর্তনের কথা বলতেছেন সেটা সম্ভব না ও হতে পারে কারন আদম (আ: ) জোড়া সন্তানদের মধ্যে কার গায়ের রঙ কেমন ছিল সেটা বলা দুষ্কর তাদের মাধ্যমেই বর্তমান মানব জাতি এসেছে (ধর্ম মতে), তাই এটাকে বিবর্তন বলা যুক্তি যুক্ত নয়, আপনাদের বিবর্তন থিউরি মতে আদি মানব মানবিদের গায়ের রঙ কি ছিল আপনি বলতে পারবেন? আর এতো বিবর্তন সঙ্গীত শুনাইতেছেন তাহলে কুমিরের বিবর্তন হলোনা কেনো? প্রায় ২০কোটি বছর ধরে কুমির বিবর্তনহিন এবং অপরিবর্তিত কিভাবে রইলো? এমন আরো বহু প্রানি রয়েছে যাদের বিবর্তনই হয় নাই। আর বিবর্তন যুক্তি না মানার পক্ষে এই পোস্টটেই অত্যন্ত যুক্তি যুক্ত ২টা ব্লগের লিংক দিয়েছি একটু কষ্ট করে পড়ে দেইখেন।

৮| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:০৪

মাসূদ রানা বলেছেন: ভালো আলোচনা ........ নৈশ শিকারীকে ধন্যবাদ । সাথে দুয়েকটা পয়েন্ট যোগ করি ......

ক্যাটম্যান বলেছে : সময় বা স্থানের ঊর্ধ্বে থেকে "নিয়ন্ত্রন" করা তো অসম্ভব।

ক্যাটম্যানের কাছে আমার প্রশ্ন : কেন সময় বা স্থানের ঊর্ধ্বে থেকে "নিয়ন্ত্রন" করা অসম্ভব ? আপনি কি নিজে কখোনো এটা পরীক্ষা করে দেখেছেন নাকি অনুমান নির্ভর হয়ে বলছেন ?

সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতাকে মানুষের ক্ষমতার আলোকে বিচার করা কতটুকু বদ্ধিদীপ্ত ?

আর নতুন বলছেন : আদম+হাওয়া যদি আদি মানুষ হয়... তবে এখন কার এতো রং/গোত্র/শারিরিক বৈশিস্টের মানুষ আসলো কিভাবে? এটাকি মানুষের বিবতন নয় কি?

নতুনকে বলতে চাই, মানুষের বডিতে ২৩ জোরা কেরেক্টার নির্ধারনী ক্রোমোসোম থাকে এটা হয়তো আপনার জানা আছে । সুতরাং আদম (আ) ও হাওয়া (আ) এর দেহেও অন্তত ২ টা ২ টা ৪ টা বর্ন নির্ধারনী ক্রোমোসোম থাকার কথা । সুতরাং চারটা ক্রোমোসোম ২ ধরনের আলাদা বর্ন ধারন করলেই সেটা মানুষের বর্ন বৈচিত্রের জন্য যথেষ্ট । তাহলে সমস্যা কোথায় ?

২২ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:০১

নৈশ শিকারী বলেছেন: ভাই আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ সঠিক সময়ে সঠিক পয়েন্ট ধরিয়ে আমাকে খুব সাহায্য করেছেন। মনে হই মনে হই করেও মনে হচ্ছিলনা ২৩ জোড়া ক্রোমোসমের ব্যাপারটা।

৯| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:০৬

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভাই নতুন আমি খুব সাধারণ একজন মুসলিম, বিলাশ বহুল জীবন যাপন আমার কাছে অধরা, আমার স্মার্ট ফোন বা পিসিও নাই যে আপনাদের মত ৫মিনিটে একটা কমেন্ট লিখতে পারব, আমার ফোনে বাংলা কিবোর্ডও নাই www।banglatext.com দিয়ে লিখে কপি করে বহু কস্টে ব্লগে লিখি এবং কমেন্ট করি তাই দয়া করে আমাকে একই বিষয়ের পুনরাবৃত্তি করাইয়েন না, অনেক কষ্ট হয়!

হুম অবশ্যই আপনাকে কস্টে ফেলবো না।

আধুনিক বিজ্ঞান সম্পকে জানতে হলে আপনাকে একটু কস্টকরতেই হবে। নেটে ঘুরে দেখতে হবে যে বিজ্ঞানিরা কি কি নতুন বিষয়ে আলোচনা করলো।

এখন বুঝতে পারলাম কেন আপনি উপরের ক্যাটম্যানের কমেন্টের উত্তরে অনুমান বলছেন। উনি যা বলেছেন তা বতমানের বিজ্ঞানিদের মতামত এবং অনেকেই তা সমথন করে। উপরের বিষয়গুলি নিয়ে জানুন তবে আর অনুমান মনে হবেনা।

২২ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:০১

নৈশ শিকারী বলেছেন: ভাই আপনার কি ধারনা নূন্মতম বিজ্ঞান সম্পর্কে ধারনা না থাকলে আপনাদের সাথে তর্কে জড়িয়েছি? আমার পরিবার অনেক উচ্চবিত্ত সম্ভ্রান্ত একটা মুসলিম পরিবার। আমার জীবনের কিছু ভূলের কারণে তাদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে বাধ্য হয়েছি তাই বলে এটা ভাববেন না তারা আমাকে শিক্ষা দেন নাই, এযুগের বিজ্ঞানীরা বিগ ব্যাং, কসমোলজিকাল বিবর্তন এবং প্রানি দেহের বিবর্তনের ব্যাপারে যে তথ্য প্রদান করেছেন সেগুলো শতভাগ গ্রহন যোগ্য না কারন তারা গাণিতিক হিসেব করে অনুমানিক ভাবে এগুলো নির্ধারন করেছেন, তারা কি সেই যুগে বসে এগুলো গবেষনা করেছিলেন যে সেটা শতভাগ দিধাহীন ভাবে গ্রহন করতে হবে? আমাদের প্রজন্ম হয়ত এগুলো মানছে কিন্তু পরবর্তী প্রজন্ম যে এই মতবাদ গুলু ভূল প্রমান করবে না তার নিশ্চয়তা কি?

ভাই এযুগের বিজ্ঞানীরা মহা বিশ্বের তুলনায় অতি সামান্য পৃথিবির অনেক দৃশ্য মান রহস্যই উদঘাটন করতে পারে নাই যেমন, (আপনার প্রদত্ত তথ্য মতে, পিরামিড, মাচু পিচু, বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল, ডেভিল সি ইত্যাদি) আর সমগ্র মহা বিশ্বের একটা কাল্পনিক ছক কেটে গাণিতিক হিসেব করে নির্ভুল একটা তত্ত্ব বানিয়ে ফেললো ব্যাপারটা হাস্যকর না? জ্ঞান আহরণের জন্য আমি যেকোন কষ্ট করতে রাজি, তবে সেটা স্রষ্টাকে অস্বীকার করে নয়।

১০| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৫

ক্যাটম্যান বলেছেন: একাধিক কমেন্টের ফিডব্যাক এর জন্য এই কমেন্টরা অনেক বড় হবে। আশা করি একটু সময় নিয়ে পড়বেন। ধন্যবাদ নৈশ পথিক, নতুন আর মাসুদ রানা ভাইকে।

নৈশ শিকারির আমার দ্বিতীয় কমেন্টের রিপ্লাই এর উত্তর

অনুমান নির্ভর কথাটা বলতে বুঝিয়েছি বৈজ্ঞানিকদের অনুমানিক এবং কাল্পনিক বিশ্লেষণ কে, যা আপনি প্রয়োগ করেছেন। বিগব্যাং সম্পর্কিত তথ্য বিজ্ঞানিরা যেভাবে বিশ্লেষণ করেছেন সেটা ১০০% নির্ভরশীল কি করে হয়? যেখানে আজ অবধি বিজ্ঞানিরা নতুন বৈশিষ্ট সম্পন্ন বিভিন্ন নতুন গ্রহ আবিষ্কার করতেছেন সেখানে কিভাবে সমস্ত গ্রহ নক্ষত্রের গাণিতিক হিসেব বের করে ১৩.৮ বিলিয়ন বছর নির্ধারন করলো এবং সেটা কতটা নির্ভরশীল? বিগব্যাং এর কথা বাদ দেন সাধারণ একটা ছায়াপথ অথবা একটা ব্লাকহোল এর আয়তন নিরূপণ করলেও অঙ্কের শেষে একটা 'প্রায়' ব্যাবহার করে যা আপনি ব্যাবহার না করে নিশ্চিত করে বলেছিলেন।

খেয়াল করলাম। প্রায় না বলে থাকলে ভুল ছিল। কারন ১৩.৮ এর পিছনে বেশ কিছু ডেসিম্যাল পয়েন্ট হবে। আপনি কথাগুলো "আনুমানিক" বা "কাল্পনিক" বলে আমার কথার সত্যতাকে হাল্কা করার চেষ্টা করছেন, সেটাও বুঝতে পেরেছি। ১০ কে ৩ দিয়ে ভাগ করলে প্রায় ৩.৩৩৩৩৩ হয়। এটাকে যতবড় ডেসিম্যাল পয়েন্ট দিয়ে বড় করানো যাবে পিছনে ৩৪ লাগায় দিলে গাণিতিকভাবে ভুল হয়ে যাবে। এখন আপনি বলতে পারেন ৩.৩৩৩ মানি না কারন এটা কাল্পনিক, আনুমানিক। তাহলে তো বিজ্ঞানিরা যেকোন ফলাফলের ক্ষেত্রে যেকোন কিছু লাগাতে পারতো। তারা এটাও বলতে পারতো " ধুর, ভাল্লাগে না ১০ ভাগ ৩ মানে ৫.৫৫ । " এমন কেন বলছে না? আনুমানিক বা কাল্পনিক হলে সেটাও বলতে পারতো। ১০ ভাগ ৩ এর ক্ষেত্রে আপনি এটাকে আপেক্ষিক বলতে পারেন। তবে সব গাণিতিক জিনিস সমান নয়। ১০ ভাগ ৫ যদি ২ হয় তখন সেটাকে কি বলবেন ? সেটা তো আপেক্ষিকও না। একবারে ১০০% সঠিক। হ্যাঁ এটা সত্য যে বিজ্ঞানের অনেক এক্সপ্লেনেসনে আপেক্ষিকতা আছে। যেমন ৩.৩৩ এর ব্যাপারটা। তবে এটাকে ৩.৩৪ বললেও ভুল হবে, অন্য যেকোন কিছু বললেও ভুল হবে। সবচেয়ে কাছাকাছি সঠিক এখানে ৩.৩৩-ই। মহাবিশ্ব এর বয়স আপেক্ষিক কারন প্রতি মুহূর্তে এর ডেসিম্যাল পয়েন্ট পরিবর্তন হচ্ছে, কারন সময় বাড়ছে। তবে এটাকে কাল্পনিক বা অনুমাননির্ভর বলা হাস্যকর শুনলায়। সঠিক শব্দ চয়ন করুন।

আপনি 'কারন' সৃষ্টির ব্যাপারে যেই শূণ্য মাধ্যমের এবং সময়ের শূন্যতার কথা বলেছেন সেটা সেটা স্রষ্টার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে পারেন না কারন তিনি সৃষ্টির ক্ষেত্রে প্রয়োগ যোগ্য সমস্ত ক্রিয়াকলাপের উর্ধে, আর সম্ভব অসম্ভব ব্যাপারটা সৃষ্টি তথা আমি, আপনি, গ্রহ নক্ষত্র সময় অথবা সময়ের শূন্যতা এই সবকিছুই সৃষ্টির নিয়মের মধ্যে পরে। আর সময়ের শূন্যতায় দাড়িয়ে সবকিছুর নিয়ন্ত্রনের ক্ষমতার ব্যাপারটা এমন একটা বিষয় যা মানবীয় বুদ্ধি দিয়ে নির্ধারন সম্ভব না।
এটা আপনি কিভাবে বুঝলেন? প্রমান দেন। এটা কি কাল্পনিক বা অনুমাননির্ভর হল না ? ভাই ইসলাম কিন্তু ধর্মীয় ভাবে বিজ্ঞান চর্চায় বাঁধা প্রদান করে নাই তাহলে সত্যের অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে বাঁধাটা কোথায়? ধর্ম না মেনেই বিজ্ঞানি হওয়া যায়; আর ধর্ম মানলে কি বিজ্ঞানী হওয়া যায়না?

বিজ্ঞান কোথাও সেই অদৃশ্য শক্তির প্রমান পায়নি। "অদৃশ্য" বলতে যদি বুঝিয়ে থাকেন "এমন কিছু যা জগতের মধ্যে সেই কিন্তু প্রভাব/ নিয়ন্ত্রনে ভুমিকা রাখছে"। এটা অনেকটা ২ +২ = ৪ হয়েছে । যতদিন ৪ থাকবে কতদিন তার প্রভাবকে ০ বলেই ধরে দেয়া যায়। যেদিন যোগফল ৫ হবে সেদিন অদৃশ্য ধ্রুবক মেনে নেয়া যায় । কারো ইচ্ছা নাই মিথ্যা মেনে চলার,ধামিক ছাড়া। আপনি যেহেতু ধার্মিক তাই আপনি মনে মনে বুঝে রেখেছেন এটা ৫ হবে । আমার ২ + ২ = ৪ আপনার কাছে কাল্পনিক মনে হয়। ঠিক এই কারনে ধর্ম মানলে বিজ্ঞানের অনেক বিষয় মেনে নেয়া যায় না। তাই আপনি মানতে পারছেন না।

বিজ্ঞানের শূন্যতায় ইশ্বরকে বসাবেন না সেটা আপনাদের ব্যাপার, তবে বিজ্ঞান কোনদিন সেই গ্যাপে পৌঁছতে পারবে কিনা সেটাই প্রশ্ন বিদ্ধ বিষয়। হ্যাঁ আমি স্রষ্টার প্রতি অবিচল বিশ্বাস রাখি তাই বলে বিজ্ঞানকেও অস্বীকার করিনা।
এই ব্যাপারটায় আমি একমত। সাইন্স এরও একটি হরাইজন আছে। যার কারনে আমি বারবার বলছি "বিজ্ঞানের মতে"। আমি জানি না স্রষ্টা আদৌ আছে কি নেই। কেউ যদি আমাকে জিজ্ঞেস করে স্রষ্টা আছে কি না। এটার উত্তর হচ্ছে আমি জানি না। যেমনটা আমি জানি না ১০০০ আলোকবর্ষ দূরে মানুষের মত দেখতে কেউ আছে কিনা। খুব সৎ এক লোক আমাকে যদি বলে হ্যাঁ আছে, সেটাও আমার কাছে গ্রহনযোগ্য হবে না, কারন এটা আস্থানির্ভর, প্রমান নির্ভর নয়। তবে যদি কোন নভোযান অখানে গিয়ে প্রমান নিয়ে আসে তখনই আমার মানতে পারবো।

আমার, আপনার আর নাস্তিকদের মধ্যে পার্থক্যই এটা যে আপনি আস্থা নিয়ে মানছেন, এখন পর্যন্ত যে জ্ঞান এসেছে এটা থেকে নাস্তিকরা এই উপসংহারে গিয়েছে যে স্রষ্টা নেই,আর আমি এখনো কোন উপসংহারে যাইনি।

চাঁদের পৃথিবিতে ছিটকে যাওয়ার ঘটনাটার সত্যতা সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা কি শতভাগ নিশ্চিত চিলেন? নাকি এই বিষয়টাও বিগব্যাং তত্বের মতো অনুমানিক অংক কষার মতো বিষয়? /sb]
Apollo Mission এর সময় চাঁদের আগে oxyzen isotope পাওয়া গিয়েছিল যা পৃথিবীর সাথে মিল। চাঁদেরও ছোট আইরন ম্যাগনেটিক কোর আছে পৃথিবীর মত, তার চাঁদের গতিবিধিও ও পৃথিবী থেকে দূরত্ব দেখে বুঝা যায় যে, কোন সমপরিমান ভরের উপগ্রহ যদি পৃথিবী থেকে ৪ বিলিয়ন বছর আগে ধাক্কা লাগে তাহলেই এই গতি, এই দূরত্ব পাবে। আরও অনেক কারন আছে সেটা প্রমান করে চাঁদের সংঘর্ষের।
আর যদি এটা সত্যিও হয়ে থাকে সেটা তখনকার যুগের জন্য কোন ব্যাপার ছিলনা কারন তখন সেটা সৃষ্টির প্রাক কালীন সময় ছিল আর পৃথিবীতে তখন প্রাণিকূলের বিপর্যয়েরও সম্ভাবনা ছিলনা, স্রষ্টার অস্তিত্ব না থাকলে বিষয়টা এযুগেও ঘটতে পারতো কেননা এযুগের প্রানের অস্তিত্ব রক্ষার ব্যাপারে মাথা ঘামানোর জন্য কারো কিছু আসত যেতনা আর এমন ঘটনা ঘটতেই পারতো।
এ যুগে ঘটে এটা আপনাকে কে বলেছে। এটা আমাদের সৌভাগ্য বড় কোন দুর্যোগ আসেনি বিগত কয়েজ সহস্রাব্দিতে যেটা Mass Extinction আনবে। তবে প্রতিনিয়ত আমাদের বিলুপ্ত না হওয়ার লড়াই করতে হয়েছে, হচ্ছে। বরফ যুগ, প্লেগ মহামারি, বন্যা, অগ্নিউৎপাত, ভূমিকম্প, আর উল্কা তো প্রতিনিয়তই পড়ছে, মানুষও মরছে। কোন রক্ষাকারির নিয়ন্ত্রন থাকলে যুগের পর যুগে কোটি কোটি প্রাণী, অসহার মানুষ, জীব বাচতে পারত। হয়তো এখন চিন্তা বলছেন "স্রষ্টার অজানা কারন আছে"। আপনাদের সব কথা এক কথাই।

এই মহাবিশ্ব স্রষ্টার মতো অবিনশ্বর না কিন্তু এর একদিন ধ্বংস অনিবার্য যাকে আমাদের ধর্মে কিয়ামত বলে, তাই এই মহা বিশ্বের ভবিষ্যৎও ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে, আর ধ্বংসের পূর্বে সূর্যের Red Dwarf Stage এই পর্যায়টা আসবে, এই ব্যাপারে পবিত্র কোরানেও উল্লেখ আছে, এই ব্যাপারে ব্লগটি পড়ে দেখতে পারেন, Click This Link

সেটা হবে ৭ বিলিয়ন বছর পর। আর পৃথিবী সূর্যের মাইল দূরে থাকতেই ধ্বংস হয়ে যাবে। পৃথিবীর সমুদ্র, প্রান কব কিছু মহাশূন্যের কাছে হারিয়ে যাবে অনেক আগে। সূর্য থেকে পৃথিবীর কয়েক হাত দূরত্ব থাকা ফিজিক্সের সাথে সাংঘরসিক। ধর্ম নিয়ে আমি কথা বলি না, কখন কার মনে আঘাত আসবে পরে আমার খুলিতে চাপাতি দিয়ে আঘাত করবে কে জানে। আমি টপিকটা বিজ্ঞানেই রাখি। বিজ্ঞানের সাথে অনেক সাংঘরসিক ও অপব্যবহৃত বিষয় আছে ব্লগটিতে। ওহ...আরেকটি কথা, গতকাল আপনি বিবর্তন নিয়ে একটি ব্লগের লিঙ্ক দিয়েছিলেন সেটা কি হাস্যরসাত্মক ব্লগ ছিল নাকি বিজ্ঞান বিসয়ে ব্লগ ছিল আমি খুব কনফিউসড হয়ে গিয়েছিলাম। যদি হাস্যরসাত্মক ব্লগ হয়ে থাকে তাহলে ভাই অনেক হাসিয়েছেন, তার জন্য ধন্যবাদ। আর যদি বিজ্ঞানবিষয়ক ব্লগ হয়ে থাকে তাহলে বিবর্তনকে এত ভুলভাবে ব্যাখ্যা আমি আগে কখনো দেখিনি। সেটার জন্যও ধন্যবাদ, ধার্মিকরা আসলে বিবর্তনকে কি ভাবে নেয় সেটা তো জানলাম। অধিকাংশ তো এটাকে "হাইপথেসিস" বানিয়ে প্রসঙ্গ বন্ধ করে দেয়।


আমি আগেও বলেছি স্রষ্টা সকল জাগতিক সৃষ্টিশিল নিয়মের উর্ধে তাই স্রষ্টাকে চালানোর ব্যাপারটা এখানে প্রযোজ্যই হয়না। চালানোর নিয়মটা শুধু সৃষ্টির ক্ষেত্রেই হতে পারে।
কল্পনানির্ভরতার আরেকটি নজির। "হতে পারে" আবার কি।

যেই স্রষ্টা এতো নিয়ম মাফিক ভাবে সমগ্র ব্রহ্মাণ্ড পরিচালনা করতে পারেন তার পক্ষে সামান্য পৃথিবির প্রাণিকুলকে নিখুঁত ভাবে বানানো কি করে অসম্ভব হয়? আর সবচেয়ে বড় কথা হলোও আমি বিবর্তনবাদকেই বিশ্বাস করিনা। আর স্রষ্টার এই বিকলাঙ্গ পশু সৃস্টির ব্যাপারে কোন রহস্য লুকায়িত আছে তা আমাদের ব্রাইন এখনো পুরোপুরি আবিষ্কার করতে পারেনাই, তবে সম্ভাব্য কারন হতে পারে ভ্রুণের বিকাশে বাঁধা, উপযুক্ত পরিবেশের অভাব, আঘাত জনিত কারন ইত্যাদি।

কল্পনানির্ভরতার আরেকটি নজির। ব্রহ্মাণ্ডের শৃঙ্খলতা ফিসিক্সের চারটি ফোরসের জন্য হয়। এটাকে আপনি স্রষ্টার নিয়ম মাফিক বলে স্রষ্টাকে যদি সুনাম করতে পারেন তাহলে কেন বিকলঙ্গের জন্য তিরস্কার করতে পারেন না ? নাকি তার খারাপ জিনিসগুলো "সেই ভাল জানে" বলে মেনে নেন।

কিছুদিন আগে এক রিক্সাওয়ালাকে একলোক গাড়ি থেকে নেমে পিটাতে দেখেছিলাম জিগাতলায়। আমরা কয়েকজন এসে লোকটাকে থামাই, কারন জিজ্ঞেস করি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হয়। বাকিরা শুধু ভির করে দেখছিল। তাদের মাথায় যদি এসে থাকে "বড়লোকটা নিশ্চয়ই অনেক বেশি সঠিক বুঝে, সে তো আমাদের ঊর্ধ্বে" তাহলে তাদের সঠিক বুদ্ধিমত্তা নিয়ে প্রশ্ন জাগবে। এখন কথা আসতে পারে স্রষ্টা তো কোন মানুষ না? সে সৃষ্টির ঊর্ধ্বে। কোন যুক্তিই তো ইতিমধ্যে সেই বিষয়টা প্রমান করতে পারলো না। বারবার নতুন আর্গুমেন্ট আসে আর ধার্মিকরা বার বার বলে উঠে "সে কি চিন্তা করে তা আমাদের জানি না"। সেটা আমি গত কমেন্টে বলেছে আবারও বলছি, স্রষ্টার প্রয়োজন নির্ভর করে জ্ঞানের উপর। এটাই সব ধর্মের ভিক্তি "God of the Gaps"।

যেহেতু আমি বিবর্তনবাদ মানিনা সেহেতু নিয়ন্ডারথালের ব্যাপারটাও আমার মানতে কষ্ট হয় যে তারা মানুষের প্রায় সমবুদ্ধির ছিল কারন DNA গত কাছাকাছি মিল থাকলেও তারা যে মানুষের প্রায় সম পর্যায়ের ছিল এটা ভূলও হতে পারে যেমন এযুগের হনুমানের সাথে আমাদে DNA প্রায় ৯৮% মিললেও তারা আমাদের থেকে অনেক পিছিয়ে, আর জেনেটিক ব্যাপারে খুব সামান্য অমিলও অনেক বড়ও ফ্যাক্ট হয়ে দাঁড়ায়। সবচেয়ে বড় কথা হলো মানুষের বিবেক বোধও বুদ্ধি এই জিনিস গুলোই আমাদের অন্যান্য প্রানি কূল থেকে আলাদা করেছে আশ্চর্য লাগে পৃথিবির এত প্রজাতির প্রাণির মধ্যে আমারাই কেন পোশাক পরিধান কারি সভ্য প্রানি হলাম? অদৃশ্য শক্তির নিদ্রিষ্ট উদ্দশ্য ছাড়া আমারা এমন হতে পারতাম না এটা আমার বিশ্বাস।

আপনার বিশ্বাস আপনার কাছে থাক। তবে আপনি বললেন না "আমি স্রষ্টার প্রতি অবিচল বিশ্বাস রাখি তাই বলে বিজ্ঞানকেও অস্বীকার করিনা।" সেটা আর বলবেন না। মিথ্যা বলা হবে। আপনার আর আমার পার্থক্য এটাই আমি প্রমানে বিশ্বাস করি, আপনি আস্থায়। আমি সত্য মানার সময় স্বাধীন। আপনি ধর্মের সাথে মিলে না এমন সত্যকে না মানার জন্য অনেক অজুহাত বের করতে হয়।

বুদ্ধু ধর্মে প্রাণিকুলের প্রতি সহানুভূতি শীল হতে বলা হলেও এযুগে সেটা অনেকেই মানেনা যেমন, চীন; সম্ভবত তারা পৃথিবির সবচেয়ে অদ্ভূত খাদ্য গ্রহন কারি জাতি যারা মানব ভ্রুণ খেতেও ঘৃনা করেনা
আপনি মনে হয় বুদ্ধধর্ম সম্পর্কে জানেন না। মানবভ্রুন বা যেকোন প্রাণী খাওয়া সেই ধর্মে নিষেধ, মহাপাপ । ব্যাক্তিক/স্থানীয় বৈশিষ্ট্যকে ধর্মের সাথে মিলানো (যেটা স্বয়ং ধর্মের সাথে সাংঘরসিক), এমন যুক্তি দেয়া খুবই অনৈতিক ঠেকাচ্ছে।

আর জৈন ধর্মের নিয়ম বর্তমান যুগের অনেকেই মানেনা যদিও মানবতার অনেক কথা গুরু নানক বলে গিয়েছিলেন। আর ক্যাথলিক বলার কারন এই দুই ধর্মের এক ধর্মও পরকাল কেন্দ্রিক না।
অনেকেই মানে না এটার পিছনে অনেক ঐতিহাসিক, যৌক্তিক ব্যাপার আছে। আমিও মনে করি না মানার প্রয়োজনও আছে। এখন খ্রিস্ট ধর্ম সবচেয়ে বেশি মানুষ মানে এর অর্থ তো এই দাঁড়ায় না যে তারা সঠিক, তাই না? আর ধর্ম হচ্ছে জীবনযাপন করার এক কাঠামোবদ্ধ বিধান ও বিশ্বাসের সমষ্টি। অনেক ধর্ম পরকালের লোভ-ভয় ব্যবহার করে মানুষের নৈতিকতাকে ভারসাম্য রেখেছে, অনেক ধর্ম পরকারবোধ ছাড়াই সেটা করে।


মাসুদ রানার প্রশ্নের জবাব
ক্যাটম্যানের কাছে আমার প্রশ্ন : কেন সময় বা স্থানের ঊর্ধ্বে থেকে "নিয়ন্ত্রন" করা অসম্ভব ? আপনি কি নিজে কখোনো এটা পরীক্ষা করে দেখেছেন নাকি অনুমান নির্ভর হয়ে বলছেন ?
এটা আসলে খুব পুরানো আর্গুমেন্ট, যাই হোক। অনেকে কম্পিউটার সিমিউলেশনের উদাহরন দেয় স্রষ্টার এই "ঊর্ধ্বে" বৈশিষ্ট্যকে বুঝানোর জন্য। যেকোন পরিবেশে "ঐচ্ছিক" পরিবতন আনার জন্য অবশই বাহ্যিক উপাদান দরকার। এমনকি পার্টিক্যাল এক্সযেলেরেটরে, যেখানে পরীক্ষা করা হয় ভেকিউমের ভিতর, সেখানে পদার্থের পরিবর্তনের জন্য বাহ্যিক বিদ্যুৎ-চৌম্বকীয় আবেশ তৈরি করা দরকার পরে। এখন আপনি যেহেতু বলছেন স্রষ্টা সময় আর স্থানের ঊর্ধ্বে থেকে বিগব্যাঙ করিয়েছে আর নিয়ন্ত্রন করছে তাহলে তো পদার্থের প্রকৃতির মধ্যে আমরা এক বড় অজানা প্রভাব দেখতাম। হয়ত "God's Factors" বা এমন কোন নাম দিয়ে দিতাম। এমন কিছু তো দেখছি না। এখন কি স্রষ্টা এতই ঊর্ধ্বে হয়ে গেল যে কোন প্রভাবও রাখলো না? তাহলে তো তার অস্তিত্ব আছে বলে ক্লেইম করা তো আস্থার উপরই নির্ভরশীল হয়ে গেল।

২২ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:২১

নৈশ শিকারী বলেছেন: আপনার কথার সারমর্ম এটাই দাড়ায় আমরা অনুমান নির্ভর আর বিজ্ঞানীরা প্রত্যক্ষদর্শি, আমি গর্বিত চিত্তে স্বীকার করি আমি অদৃশ্য সত্তা আল্লাহ পাক কে বিশ্বাস করি, তাই বলে আপনারা কাল্পনিকতায় বিশ্বাস করেন না এটা সম্পূর্ণ ভূল, ১৩.৮ বিলিয়ন বছর আগের বিগব্যাং তাঁরপর কসমোলজিকাল বিবর্তন, পৃথিবীর আদি অবস্থা, তাঁরপর ১কোষী একটা এমিবা থেকে বর্তমান পর্যন্ত র‍্যান্ডম মিউটেশনের ফলে সমগ্র প্রাণিকূলের সৃষ্টি এই সবই কি আপনারা প্রত্যক্ষ করেছেন? জানি একটা বিষয়ও প্রত্যক্ষ করেন নাই অথচ বিজ্ঞানীদের কিছু বিশ্লেষণের পর বিচার্য বিষয় গুলোর উপর বিশ্বাস এনেছেন আর যেই বিষয় গুলোর ব্যাখায় পৌঁছতে পারেননি সেগুলোকে বিজ্ঞানের গ্যাপ বলে চালিয়ে দিয়েছেন। ভাই এই মহাবিশ্বের তুলনায় আমাদের এই পৃথিবি মনে হয় একটা অনুজীবের চেয়ে বড় না তাহলে চিন্তা করেন মানুষ সেই তুলনায় কতটা ক্ষুদ্র আর মানুষ এতো ক্ষুদ্র হলে মানুষের মস্তিষ্ক কতটা ক্ষুদ্র হতে পারে, তুলনা করলে প্রায় অস্তিত্ব হীনই বলা যায়; আর সেই ব্রেইন দিয়ে এতো বড় মহা বিশ্বের সৃষ্টি কর্তার অস্তিত্বের প্রত্যক্ষ প্রমান খোঁজাটা আধিক্ষেতার চেয়ে বেশী কোনও শব্দ থাকত সেটা দিয়ে বিশেষায়িত করলেও কম হবে।

আর বৈজ্ঞানিক তত্ব পরিবর্তনশীল, আজকের মতবাদ যে কাল পরিবর্তন হবেনা তার নিশ্চয়তা কি? আপনি নতুনের শেষ মন্তব্যে আমার প্রতি উত্তরটা একটু দেইখেন।

আর সবকিছুর পিছনে যে প্রমান খোঁজেন আপনার বিজ্ঞান কি সব বিষয়ের প্রমান খুজে পেয়েছে? মহাবিশ্বের বারম্বরে যাবনা এই পৃথিবিতে ঘটে যাওয়া বহু বিষয় আছে যার ব্যাখ্যা বা প্রমান দিতে পারেনাই তাহলে সেই বিজ্ঞানীরা এতো বড় মহা বিশ্বের সৃষ্টির প্রাক কাল থেকে আজ পর্যন্ত যেসকল তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করেছে তা নির্দিধায় কিভাবে গ্রহন যোগ্য হয়?

স্রষ্টা মানুষের ভাগ্য সব অংশেরও নিয়ন্ত্রণ করেন না কিছু অংশ মানুষের কর্মের মাঝে লুকায়িত থাকে, যদি আল্লাহ পাক সব ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন তাহলে পৃথিবিতে মানুষেকে পাঠানোরই দরকার ছিলনা কারন তাহলে মানুষের কোনও পাপই থাকতো না।

আর সদালাপের এবং সামুর যেই ব্লগ দুটির লিংক আপনাকে দিয়েছি সেগুলো অনেক নামজাদা শিক্ষিত ব্যাক্তি দ্বারা পরীক্ষিত তারা কেউই এর বিরোধিতা করেন নাই আর আপনি এক ঝটাকায় ভূল বলে ফেললেন?

আমার কিছু যুক্তি আপনি বিজ্ঞানের গ্যাপ বলে চালিয়ে দিচ্ছেন আর আপনার যুক্তি গুলো আমার কাছে ১০০% গ্রহন যোগ্য মনে হচ্ছেনা তাই আমার মনে হয় আমাদের থামা উচিত, আমাদের এই তর্কের ভবিষ্যৎ নাই কারন আপনিও আপনার মতামত বদলাবেন না আর আমিও আমার মতামতকে বদলাব না আর আমদের এই তর্কেরও সমাপ্ত হবেনা। শেষে একটা কথাই বলতে চাই বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন এতো বড় বিজ্ঞানী হয়েও স্রষ্টার অস্তিত্বকে অস্বীকার করেন নাই আর আপনি আমি মনে হয় উনার চেয়ে বড় হয়ে যাই নাই, আর আপনি ড.মরিস বুকাইলির বই পড়তে পারেন তাহলে আরেকটু পরিষ্কার হতে পারবেন।
আর আপনি যখন স্রষ্টা তত্ব নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তায় আছেন; সেহেতু আল্লাহ পাক আপনার মনের সংশয় দূর করুক সেই দোয়া করি, আপনার সাথে বিতর্কে অনেক ভাল লেগেছে সেজন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার বিতর্কের স্টাইলও অনেকের চেয়ে আলাদা লেগেছে।

সব ধর্মে মানব ভ্রুণ খাওয়া নিষেধ থাকলেও বুদ্ধ ধর্মের অনুসারী অনেক চাইনিজরা এটা মানেনা, link: Click This Link Click This Link

১১| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:০৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

২ঃ ৬৫ ( তোমরা তাদেরকে ভালরূপে জেনেছ, যারা শনিবারের ব্যাপারে সীমা লঙ্ঘণ করেছিল। আমি বলেছিলামঃ তোমরা লাঞ্ছিত বানর হয়ে যাও। )

৫ঃ ৬০ ( বলুনঃ আমি তোমাদেরকে বলি, তাদের মধ্যে কার মন্দ প্রতিফল রয়েছে আল্লাহর কাছে? যাদের প্রতি আল্লাহ অভিসম্পাত করেছেন, যাদের প্রতি তিনি ক্রোধাম্বিত হয়েছেন, যাদের কতককে বানর ও শুকরে রূপান্তরিত করে দিয়েছেন এবং যারা শয়তানের আরাধনা করেছে, তারাই মর্যাদার দিক দিয়ে নিকৃষ্টতর এবং সত্যপথ থেকেও অনেক দূরে। )

৭ঃ ১৬৬ ( তারপর যখন তারা এগিয়ে যেতে লাগল সে কর্মে যা থেকে তাদের বারণ করা হয়েছিল, তখন আমি নির্দেশ দিলাম যে, তোমরা লাঞ্ছিত বানর হয়ে যাও। )

এই বিবর্তন গুলো কিভাবে হয়েছে বা হবে ?? জানতে চাই।

আল্লাহ কুন বলেন আর হয়ে যায় জানেন তো ? একটা ক্রোমোজোমের পরিবর্তন, এ আর এমন কি ?

জানেন কি একটাই কোষ থেকে, একি রকম ক্রোমোজোমের বিন্যাস নিয়ে, প্রতিটা মানুষ (এবং সকল অন্যান্য প্রানী) বিলিয়ন কোষের একটা অর্গানিজমে পরিনত হয়, যেগুলোর একেকটা অঙ্গের একেক রকমের কোষ, একি দেহে মিলিয়ন মিলিয়ন বিচিত্র , অথচ ক্রোমোজোম সব কোষেরই এক। জানেন কি, বিজ্ঞান এখনো ঠিক মত জানেনা, ইনফ্যাক্ট কিছুই জানেনা কেমনে কি হয়। ভাই , কুরয়ানে কি মানব সৃষ্টির প্রতিটা স্টেপ স্পষ্ট আছে? নাকি হাদিসে আছে? যদি না থাকে তাহলে সবাই এত কনফিডেন্ট কেন, যে বিবর্তন সম্ভব না? আল্লাহ কি কুন বলেন, আর হয়ে যায় না?

ঠিক আছে বিবর্তন সম্ভব না, কিন্তু এর শিক্ষা কিন্তু অনেক গুরুত্ত পূর্ন।

ঠিক আছে বিবর্তন বলতে কিছু নাই। ঐ আয়াত গুলোর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা করুন।

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৫৬

নৈশ শিকারী বলেছেন: ভাই মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, এখানে আমার চেয়ে ক্যাটম্যান সাহেবের কনফিডেনস লেভেল অনেক বেশী, তিনি পুরো মহা বিশ্ব সম্পর্কে সমস্ত কিছু বিজ্ঞান দিয়ে যেনে ফেলেছেন, আর যেখানে অজ্ঞতা রয়েছে সেখানে বিজ্ঞানের গ্যাপ বলে চালিয়ে দিয়েছেন, এযুগের বিজ্ঞান যেখানে মহাবিশ্বতো দূরের কথা পৃথিবির দৃশ্যমান অনেক কিছুর ব্যাপারে ব্যাখ্যা করতে পারে নাই সেখানে পুরো ব্রহ্মাণ্ডের অদেখা সমস্ত কিছুর ব্যাখ্যা নির্ভুল ভাবে করেছে বলে উনি দাবি করেন, এটা কতোটা যুক্তি যুক্ত? সৃষ্টি তত্ব মানলে, যেই স্রষ্টা এতো বড় মহাবিশ্বর সৃষ্টি কর্তা তার পক্ষে অসম্ভব আবার কি? হোক সেটা মানুষ থেকে অন্য যেকোন প্রাণীতে রূপান্তর। আল্লাহ পাক মানুষকে কিভাবে সৃষ্টি করেছেন তার বর্ণনা পবিত্র কোরানে দিয়েছেন এই ব্লগটা পড়লে বুঝতে পারবেন, Click This Link

১২| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৩১

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

একাধিক পৃথিবীর কথা কিন্তু কুরয়ানে আছে।

৬৫;১২ঃ ( আল্লাহ সপ্তাকাশ সৃষ্টি করেছেন এবং পৃথিবীও সেই পরিমাণে, এসবের মধ্যে তাঁর আদেশ অবতীর্ণ হয়, যাতে তোমরা জানতে পার যে, আল্লাহ সর্বশক্তিমান এবং সবকিছু তাঁর গোচরীভূত। )

নভোমণ্ডলেও প্রানী আছে, কুরয়ান তাই বলে।

৪২;২৯ঃ ( তাঁর এক নিদর্শন নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সৃষ্টি এবং এতদুভয়ের মধ্যে তিনি যেসব জীব-জন্তু ছড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি যখন ইচ্ছা এগুলোকে একত্রিত করতে সক্ষম। )


কুরয়ান নিয়ে কথা বলতে, বিজ্ঞানের শিক্ষা জরুরী হোক তা পদার্থ বিজ্ঞান কিংবা সামাজিক বিজ্ঞান। নবীজী সাঃ বা তাঁর সাহাবীরা কেউ বেচে থাকলে, বিজ্ঞানীদের বিরুদ্ধে কথা বললে আমাদের শাস্তি হত বলেই আমার মনে হয়। আমাদের নবীজী সাঃ ছিলেন প্রগতিবাদী আর আমরা আস্তিকেরা আজ ঘাড়তেরা।

বিজ্ঞান কি নাস্তিকের একার সম্পদ ?

আসসালামুয়ালাইকুম।

১৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:০১

ক্যাটম্যান বলেছেন: ধরেন সমুদ্রতীরের বালু ঘেসে একজন গিয়েছে যার পায়ের ছাপ পড়েছে কাদাবালির উপর। একটু পর আপনি এসে দেখলেন পায়ের ছাপ। আপনি বিনাদ্বিধায় বলতে পারবেন এখানে আগে একজন ছিল। কাদামাটি পরখ করে কতক্ষণ আগে সে এসেছিল সেটাও বলতে পারবেন। এখন একজন এসে আপনাকে বলল " না ,কেউ আসেনি। কারন আপনি নিজ চোখে দেখেন নাই। আরে আপনি নিজে যে হেটে এসেছেন কত কদম হেটে এসেছেন সেটাই গুনতে পারেন নাই তাহলে সেটা কিভাবে জানবেন ? এই সব কাল্পনিক। কারন আমরা সবাই ১০০% সঠিকটা জানি। সঠিকটা হচ্ছে স্রষ্টা অদৃশ্যভাবে মাটিকে এভাবে রেখেছেন। তাই এটা এমন। এমন হতেই হবে। আপনার উত্তর যদি ভিন্ন হয়, যত প্রমান যুক্তি নিয়েই আসেন না কেন, সেটা আধিক্ষেতার চেয়ে বেশী কোনও শব্দ থাকত সেটা দিয়ে বিশেষায়িত করলেও কম হবে "
তখন আপনার যেমন লাগবে আমার তেমনই লাগছে।

ক্লাসিকাল ফিজিক্সের মৌলিক ধর্ম কখনো পরিবর্তন হয় না। সেটার উপর ভিক্তি করে কিছু করা হলে সেটাও সঠিক হবার দাবিদার। বিগ ব্যাঙ, বিবর্তন,মধ্যাকর্ষণ এগুলো এবসলুক সত্য। সাইন্টিফিক ফ্যাক্ট। আপনি ভুল বললে প্রমান নিয়ে আসুন। বিজ্ঞান ধর্মের মত ভুল জিনিস মাথায় ধরে বসে থাকে না। সত্যকে স্বাগতম জানায় বিজ্ঞান। Extra-Ordinary Claims need extra ordinary evidence. আর আমি এখানে এমন কিছু বলি নাই যেটা পরিবর্তনশিল। আমি তো এলিয়েন, ব্ল্যাকহোল নিয়ে তো বলি নাই যেটার ব্যাখ্যা পরিবর্তন ও উন্নত হবে। বিজ্ঞানের কিছু জিনিস উন্নতির দাবি রাখে ও পরিবর্তন হবে। সেই বলে আপনি সব কিছুতে বিজ্ঞানকে পরিবর্তনশীল বললে সেটা ভুল হবে।

যে লিঙ্কগুলো দিয়েছেন তার কমেন্টও পরেছি। সেগুলো পরে আরও মজা পেয়েছি। নামজাদা শিক্ষিত কাদের বলছেন জানি না তবে বিবর্তনবাদকে বিকৃতভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ধর্মে যদি মধ্যাকর্ষণকে ভুল বলতো তাহলে এ ধরনের ব্লগারটা বলতো মধ্যাকর্ষণকে ভুল ব্যাখ্যা করে বলতো পাখি উড়ে কিভাবে আকাশে উড়ে তাহলে। কোনদিন এমন বিবর্তনের পোস্ট সামুতেও দিয়েন। কমেন্ট পেয়ে যাবেন। তবে অনুরোধ রইল দয়া করে আগে বিবর্তনের বেসিকস পড়ে নিয়েন।


আইনস্টাইন ধার্মিক ছিলেন না। যখন তাকে জিজ্ঞেস করা হয় সে আপনি কি নাস্তিক নাকি উনি তখন নিজেকে Spinoza's God এ বিশ্বাসী বা Pantheists হিসেবে পরিচয় দেন ( উৎসঃ Einstein: His Life and Universe)। Pantheism মানে হচ্ছে সবকিছুই স্রষ্টা। মানে মহাবিশ্ব হচ্ছে স্রষ্টা। এখন আপনি যদি স্রষ্টাকে সজ্ঞায়িত করেন এভাবে তাহলে হ্যাঁ অবশই স্রষ্টা আছে কারন মহাবিশ্ব আছে। অনেকে তার একটা Quote ব্যবহার করে "God doesn't play dice" মানুষকে এটা বুঝানোর জন্য যে সে আসলে ধার্মিক, যেটা তিনি নন। তাকে ইজরাইলের প্রধান হওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল কিন্তু সে কোন ধর্মের সাথে কোনভাবেই এফলিয়েটেড হতে কখনো চাননি। আর ড.মরিস বুকাইলির কথা যদি বলি, উনি "Bible, Quran and Science" নামের বইটি লিখেছিলেন। এই বইতে ধর্মের সেইসব কথাই শুধু বলা আছে যেটা ধর্মের সাথে মিলে, তিনি অনেক হাইপথেসিস ব্যবহার করেছিলেন আর ধর্মীয় গ্রন্থেরও নতুন exegesis বানিয়েছিলেন ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের মিল করানোর জন্য। তাকে নিয়ে বেশি কিছু বলবো না কারন টপিক ধর্মের দিকে টান খাবে। শুধু এটা বলবো বর্তমান সময়ের ডঃ জাকির নায়েকের মত বুদ্ধিমান ইসলামিক ডিবেটর ও স্কলাররা তার বইয়ের রেফারেন্স দেয় না, অবশই এর পিছনে একটা কারন আছে।

শেষের লাইনটা বলা আপনার দরকার ছিল না। ওটার উত্তর আমার আগের কমেন্টেই আছে।

বিজ্ঞানকে আরও অনেক দূর যেতে হবে। আপনি এই ব্যাপারে ঠিক যে আমরা অনেক ছোট, তুচ্ছ। এর মানে এই না যে আমরা শুধু ছোটই চিন্তা করবো। এই ছোট বুদ্ধি দিয়ে আমরা চাদ এ গিয়েছি, আমাদের যান সৌর জগতের বাইরে পাঠিয়েছে , আরও দূরে পাঠাবো। আপনি মানুষের ক্ষমতাকে ছোট বলে আমার উত্তরকে হাল্কা করার চেষ্টা করছেন, তবে ভুল প্রমান করতে পারেননি। যা যা ক্লেইম করেছে বিজ্ঞানিরা সব কিছুর পিছনে যুক্তি ও প্রমানসহ ব্যাখ্যা আছে। আপনি ভুল বললে জথাজুক্ত প্রমান ও ব্যাখ্যা দিয়েই বলবেন। যোগ্যতা প্রশ্ন অনেক পরে। একটা ছোট বাচ্চা আমাকে যদি প্রমান দেয় যে এক মিনিটে সে রুবিক কিউব মিলাতে পারে তাহলে আমি থাকে অযোগ্য বলবো না কারন সে একটা পিচ্ছি। এই হিতজ্ঞান আমাদের থাকা উচিত।

আপনি যেহেতু আর বিতর্ক করতে চাচ্ছেন না তাহলে এখানেই মনে হয় ইতি। তবে এটা আমি আপনাকে কনভিন্স করার জন্য বলিনি। আমি নিজে কনভিন্স হবার যোগ্য উত্তরের সন্ধান পাচ্ছিলাম। নতুন ও যুক্তিযুক্ত কিছু পেলাম না। তবে এই ব্লগ থাকবে, কমেন্টও আশা করি আপনি মুছে ফেলবেন না। বিবেগবান মানুষ কমেন্ট পরে নিজেদের পথ খুজে পাবে এই আশা রইল। শুভ কামনা রইল। আপনার সাথে কথা বলে অনেক ভাল লাগলো।

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:৪০

নৈশ শিকারী বলেছেন: সমুদ্র তীরের বেলার ভূমির উপর পদ চিহ্নের ব্যাপারটা আপনি রূপক অর্থে বুঝালেও এখানে কথা থাকে, সেটা হলোও পায়ের চিহ্ন থাকলেও সেটা সমুদ্রের একটা বড় ঢেউ মুছে দিতে পারে এই সম্ভাবনার কথাটা একবারও বলেন নাই, আর সময়টাকেও ক্ষনিকের হিসেব করে আখ্যা দিয়েছেন কিন্তু ব্যাপারটা আসলে তা না, যদি ব্যাপারটা কয়েক কোটি বছরের হতো একটা কথা ছিল, যেখানে ১০০০কোটি বছরের সময়কাল সেখানে রুপক অর্থে শুধু সামুদ্রিক ঢেউ না একটা সাইক্লোনও সেই পদ চিহ্ন মুছে দেয়ার কথা, কিন্তু বাস্তবিক অর্থে বিজ্ঞানীরা সমুদ্র তীরের সেই পদ চিহ্ন কয়েক ঘন্টা না প্রায় ১বছর পর খোজার চেষ্টা করেছে যা প্রায় অসম্ভব। বিগ ব্যাং এর পর কিভাবে কি হয়েছে কতো গুলো ঘাত প্রতিঘাতের পর মহা বিশ্বের জন্ম হয়েছে সেটা সঠিক এবং নির্ভুল ভাবে বের করা মরুভুমির বালু রাশির মধ্যে একটা সর্ষে দানা খোজার মত বিষয়।

আমি মানুষকে ক্ষুদ্র প্রমাণ করতে চেয়েছি শুধু মাত্র স্রষ্টার ক্ষমতার সরাসরি অস্তিত্বের চিন্তার ক্ষেত্রে, সৃষ্টির ক্ষেত্রে না, মানুষ গ্রহ নক্ষত্র এগুলো সৃষ্টি রহস্য জানার চেষ্টার ক্ষেত্রে আমি একবারও বিরোধিতা করি নাই, বিজ্ঞানীরা এখনো মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে গবেষনা করছে যদি গবেষণার বিষয়টা শেষ হতো তাহলে একটা চুড়ান্ত বিশ্বাস করলে মানাত, কিন্তু আপনি সেই বিষয়টা এখনই ১০০% বিশ্বাস করে বসে আছেন। ভাই স্রষ্টার অসতিত্ব যদি সৃষ্টি সরাসরি সংজ্ঞায়িত করতে পারতো তাহলে সৃষ্টি আর স্রষ্টার মাঝে কোনও পার্থক্যই থাকতো না। আর সদালাপের বিবর্তনবাদ সম্পর্কিত যেই ব্লগটার কথা বলেছিলেন সেই ব্লগটা বহু জন সিকৃত, আর ঐ ব্লগে গ্রহন যোগ্য এবং মান সম্মত তথ্য ছাড়া কোনও লেখাই প্রকাশ হয়না।

আমার আপনার সাথে আরো তর্ক্ করার ইচ্ছে ছিলো কিন্তু আমার ডিভাইস টার কারণে পারছিনা, কারন এটা (nokia 110)দিয়ে আপনার এতো বড় বড় কমেন্টের উত্তর দেয়া অনেক কঠিন হয়ে যায়, শুভ রাত্রি ভালও থাকবেন।

১৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:০৬

ইমরান আশফাক বলেছেন: অনেকদিন পর আস্তিক-নাস্তিক সরাসরি বাদানুবাদ, যুক্তি পাল্টা যুক্তি। আশা করি এরমধ্যে অন্য কেউ কোন ফালতু মন্তব্য করে পরিবেশটা বিষিয়ে তুলবেন না। বাদানুবাদটি উপভোগ করুন।

১৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:২৩

জিয়া চৌধুরী বলেছেন: প্রিয় ক্যাটম্যান-
বর্তমান সময়ের যেকোন ১০০টি প্রাণী বিবর্তিত হওয়ার আগে কোন প্রাণী ছিল একটু বলে যান
১০০টা না পারলে যতটা পারবেন বলুন।
প্রাণীগুলো ঠিক কত বছর আগে বিবর্তিত হয়েছে সেটাও বলবেন।
কত বছর পর পুনরায় বিবর্তিত হতে পারে তাও বলবেন।
বিবর্তিত হয়ে তারা কোন প্রাণীতে পরিণত হবে তাও বলবেন।
অর্ধ বিবর্তিত প্রাণীদের একটা তালিকা দেন।

১৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৩৫

ক্যাটম্যান বলেছেন: প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ @ জিয়া চৌধুরী

বিবর্তন প্রতি নিয়ত হচ্ছে। অর্ধবিবর্তিত বলতে কিছু আছে বলে মনে হয় না। তবে সময়ের সাথে সাথে অঙ্গগুলো মিউটেশন ও ন্যাচারাল সিলেকশনের মাধ্যমে আসতে আসতে পরিবর্তিত হয়। মানুষের পায়ের কনিষ্ঠ আঙ্গুলের কথা চিন্তা করুন। আমাদের দৈনজীবনে কোন কাজে লাগে না। কয়েক লক্ষ বছর আগে এর আকার আরও বড় ছিল। আসতে আসতে ছোট হয়ে এসেছে। আমাদের জেনেটিক কোড কম ব্যবহ্রত অর্গানে কম জোড় দেয়। মানুষের ক্ষেত্রে এই আঙ্গুল আগামী অনেক লক্ষ বছর পর আর নাও থাকতে পারে। আমাদের কাজের অধিকাংস বিষয় চোখের উপর নির্ভরশিল হবে, আমাদের চোখের আকার বড় হয়ে আসবে। অন্য প্রানিদের মাঝেও পরিবর্তন আসবে। যেমন মশা প্রজাতির প্রানির শরীরে আরও বেশি এন্টিবডি থাকব, কুকুর বিড়ালের মধ্যেও অনেক পরিবর্তন আসবে আর্টিফিশিয়াল সিলেকশনের কারনে। এটা ঠিক বলা মুশকিল আগামী লক্ষ বছরে কি কি পরিবর্তন আসবে পরিবেশে তবে যেটা প্রানিদের খাদ্যঅভ্যাস,প্রাকৃতিক ঝুকি ইত্যাদির সাথে মানানসই হবে বাইয়কেমেস্ত্রি সেটার ফেবারের যায়।

দুঃখিত ভাই, আমি নাস্তিক নই। মন্তব্য দেখিয়া বিভ্রান্ত হইবেন না। @ ইমরান আশফাক

ওয়ালাইকুম আসসালাম । উত্তরগুলো জানা আছে তবে ধর্ম নিয়ে আমি কথা বলি না। আপনি আমার কথার প্রতিউত্তর দিলে আমার খারাপ লাগবে না। সত্য হলে মেনেও নিব। তবে আমি বললে আপনার অনুভুতিতে গিয়ে লাগবে, যুক্তি দিয়ে বললেও। পরে ৮৪র লিস্ট এ ৮৫ নাম্বার ঢুকে যাবে। দরকার নাই। দুঃখিত, আশাহত করলাম। আশা করি অন্য কেউ উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবে। ধর্মীয় সম্প্রীতি ও বাকস্বাধীনতার জয় হোক। @মুদ্‌দাকির

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:০৫

নৈশ শিকারী বলেছেন: আরেকটু বাম হাত ঢুকাই, মানুষের চেয়ে অনেক আদি এবং পুরানো প্রানি আছে প্রায় ডাইনোসর যুগের কাছা কাছি সময়কার তারা কেন বিবর্তিত হচ্ছেনা? যেমন কুমির, নীল তিমি, বাদুড় ইত্যাদি। এত কোটি বছরে পূর্ণ বিবর্তিত না হোক অর্ধ বিবর্তন তো হওয়ার কথা তাইনা?

১৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:৪৫

মাসূদ রানা বলেছেন: @নৈশ শিকারী - যাযাকাল্লাহ ভাই :)

@ক্যাটম্যান

এখন আপনি যেহেতু বলছেন স্রষ্টা সময় আর স্থানের ঊর্ধ্বে থেকে বিগব্যাঙ করিয়েছে আর নিয়ন্ত্রন করছে তাহলে তো পদার্থের প্রকৃতির মধ্যে আমরা এক বড় অজানা প্রভাব দেখতাম। হয়ত "God's Factors" বা এমন কোন নাম দিয়ে দিতাম। এমন কিছু তো দেখছি না।

আপনি হয়ত জানেন না মানুষের শারীরিক অরগানসমুহের (কর্ন,চক্ষু,মস্তিষ্ক)একটা নির্দৃষ্ট সীমাবদ্ধতা রয়েছে । মানব শ্রবনক্ষমতা ২০-২০০০০ হার্য এর মধ্যে সীমাবদ্ধ । অনেক আলোক রশ্মি রয়েছে যা মানব চোখ ডিটেক্ট করতে সক্ষম নয় ।এমন অনেক গানিতিক ফ্যাক্টর রয়েছে যা মানব মস্তিষ্ক নির্নয়ে সক্ষম নয় । কখনো সক্ষম হবেও না ............ এই সীমিত ক্ষমতাসম্পন্ন অংগবিন্যাস নিয়ে যদি আপনি আশায় বসে থাকেন স্রষ্টার নিদর্শন দেখবেন তাহলে আপনি বোকার রাজ্যে বাস করছেন :)

আল্লাহ পাক আপনাকে বোঝার তৌফিক দিন ।

আরেকটা কথা বললেন, বিবর্তন হয়ে মানুষের পায়ের কনিষ্ঠ আংগুল ভেনিশ হয়ে যাবে ? :D

আপনের হয়তো জানা নাই দাড়াবার সময় ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য মানুষের পায়ের প্রত্যেকটি আংগুলই অপরিহার্য । সুতরাং মানুষের আংগুল কমার তো প্রশ্নই আসে না উপরন্তু দুইয়েকটা আংগুল বেড়ে যাবার কথা ........ পরিবেশে অবস্থান আরো সুসংহত করার তাগিদে, কি বলেন ?

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:১৮

নৈশ শিকারী বলেছেন: মাশাআল্লাহ! অতীব সুন্দর উদাহরন দিয়েছেন ভাই, সহযোগিতার জন্য পুনরায় ধন্যবাদ।

১৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:৫৫

মুদ্‌দাকির বলেছেন:
@ ক্যাটম্যান ঃ আপনাকে উদ্দেশ্য করে আমি এখন পর্যন্ত কোন মন্তব্যই করি নাই। তাই কোন কিছুই নিজের ঘাড়ে চাপানোর দরকার নাই।

@ লেখকঃ কোন প্রশ্নেরই উত্তর দিলেন না। বরং বললেন," সৃষ্টি তত্ব মানলে, যেই স্রষ্টা এতো বড় মহাবিশ্বর সৃষ্টি কর্তা তার পক্ষে অসম্ভব আবার কি? হোক সেটা মানুষ থেকে অন্য যেকোন প্রাণীতে রূপান্তর। "
মানে আল্লাহের দেয়া জ্ঞান দিয়ে, মানব বিজ্ঞানীরা যদি বলে বিবর্তনের সম্ভাবনার কথা, তাহলে আপনি তা মিথ্যা আর ভিত্তিহীন বলে ঊড়িয়ে দেন। আর কুরয়ানের আয়াতের মধ্যেই এরকম কিছু দেখালে আপনি বিবর্তন না খালি রূপান্তরও মেনে নেন। কি অদ্ভুত ? ডাবল স্টেন্ডার্ড!!! আরে বিজ্ঞানের সমালচনা করার আগে কুরয়ান তো জানুন!!!
আর কুরয়ানের কোথায় আপনি মানুষের/বা অন্যকোন প্রানির সৃষ্টির ধাপ গুলো পেয়েছেন??? মানুষের ডেভলপমেন্টের ধাপ আছে কিন্তু কিভাবে আদি মানুষ তৈরি হল, তা কৈ পাইলেন ????

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:১১

নৈশ শিকারী বলেছেন: ভাই আল্লাহ পাকের গজব স্বারূপ মানব থেকে বানরে রূপান্তর আর ১ টা অ্যামিবা থেকে পুরো সৃষ্টির বিবর্তন এক কথা কথা না, যেখানে আল্লাপাক পবিত্র কোরানে বলেছেন,
"পাঠ করুন আপনার পালনকর্তার নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে।" ৯৬:১-২
"We made from water every living thing" সূরা আম্বিয়া ২১:৩০
"তিনিই পানি থেকে সৃষ্টি করেছেন মানবকে, অতঃপর তাকে রক্তগত, বংশ ও বৈবাহিক সম্পর্কশীল করেছেন। তোমার পালনকর্তা সবকিছু করতে সক্ষম।" সূরা ফোরকান ২৫:৫৪
"We created man from sounding clay, from mud moulded into shape; " সূরা হিজর ১৫:২৬
"তিনি ফোটা বীর্য থেকে সৃষ্টি করেছেন। এতদসত্বেও সে প্রকাশ্য বিতন্ডাকারী হয়ে গেছে।" সূরা নাহল ১৬:৪,
"মানুষ কি স্মরণ করে না যে, আমি তাকে ইতি পূর্বে সৃষ্টি করেছি এবং সে তখন কিছুই ছিল না।" সূরা মরিয়ম ১৯:৬৭ উক্ত আয়াত গুলোর মধ্যে আল্লাহ পাক মানব কিভাবে সৃষ্টি তার স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন যেখানে বিবর্তনের মাধ্যমে মানব সৃষ্টির নুন্মতম আভাসও দেয়া হয়নাই।

১৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:০৭

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

জানি কোন উত্তরই দিবেন না। কারন দিতে হলে জানতে হবে। সেই সময় কৈ? তবুয় নিচে উল্লেখ করা কুরয়ানের আয়াত গুলো সম্পর্কে আপনার জ্ঞান বা অভিমত বা মতামত কী জানতে চাই।

৯৫;৪,৫ঃ ( আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতর অবয়বে। অতঃপর তাকে ফিরিয়ে দিয়েছি নীচ থেকে নীচে। )

২৯;১৯,২০ঃ ( তারা কি দেখে না যে, আল্লাহ কিভাবে সৃষ্টিকর্ম শুরু করেন অতঃপর তাকে পুনরায় সৃষ্টি করবেন? এটা আল্লাহর জন্যে সহজ। বলুন, তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর এবং দেখ, কিভাবে তিনি সৃষ্টিকর্ম শুরু করেছেন। অতঃপর আল্লাহ পুর্নবার সৃষ্টি করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু করতে সক্ষম। )

নিজের লেখাতেই প্রথম লাইনে বলেন যে নিজে তত জ্ঞানী না, আবার ইসলাম নিয়ে লিখেন, কেন লিখেন? ইসলাম কি মূর্খের জন্য সহজ বিষয়? নাকি বিজ্ঞান?

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫

নৈশ শিকারী বলেছেন: আমি তাফসিরুল কুর্‌আন না, তবু এই ব্যাপারে কিছু বলার চেষ্টা করবো, এখানে আল্লাহ পাক নিজেই ঘোষনা করেছেন তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন সুন্দর অবয়বে কিন্তু বিজ্ঞানীদের মতে মানব সৃষ্টির প্রাক কালে বানর রূপি প্রাইমেট পর্যায়ে ছিলও সেখানে সুন্দর রূপ বলতে যদি আপনি বর্তমান মানুষ রূপকে না বুঝে প্রাইমেট রূপকে বুঝেন তাহলে আমার বলার কিছু নাই, আর "নিচ থেকে নীচে" বলতে আপনি যদি সরাসরি বিবর্তনকে বুঝেন তাহলে ভুল করবেন কেননা "নিচ থেকে নীচে" কথাটা অনেক অর্থে ব্যাবহারিত হতে পারে যেমন, আদম (আ: ) ও হাওয়া (আ: ) প্রথমে জান্নাতে ছিলেন তারপর আল্লাহ পাক উনাদেরকে নিচে অর্থাৎ পৃথিবিতে প্রেরণ করেছেন, আরেক অর্থও হতে পারে সেটা মানুষের ভিতর লুকায়িত পৈশাচিকতা এবং খারাপ কাজ জা মানবীয় গুনের নীচতা প্রকাশ করে; আর এটাকেও "নিচ থেকে নীচে বলা যায়।"

সৃষ্টির নিয়মই ধ্বংস এবং পুন: সৃষ্টি আর এটা অনাদি কাল থেকে চিরন্তন সত্য রূপে গৃহীত হয়ে আসছে, এই পৃথিবির প্রাক কাল থেকে আল্লাহ পাক বিভিন্ন কিছু ধ্বংস এবং সৃষ্টি করেছেন, এখন সৃষ্টিকে যদি পুনরায় সৃষ্টি করেন সেটাকে কি আপনি বিবর্তন বলে চালিয়ে দিবেন? এই পৃথিবি প্রথমে গ্যাসীয় রূপে ছিলও তারপর আল্লাহ পাক এর কাঠিন্য প্রদান করেছেন, অতঃপর পৃথিবিকে গরম থেকে ঠাণ্ডা করেছেন, এরপর পৃথিবীতে পানির উৎস তৈরী করেছেন, এরপর বায়ু স্তর তৈরী, এরপর প্রানের উৎপত্তি ঘটিয়েছেন এগুলো কি একবার সৃষ্টির পর পুনরায় সৃষ্টির উদাহরন না? তাছাড়া প্রানিকুল থেকে প্রানিকূলের সন্তানদের জন্ম দানের সুনিয়ন্ত্রিত ব্যাবস্থা এগুলো পরোক্ষ পুন: সৃষ্টির উদাহরন না? আধুনিক বিজ্ঞানীরা মানব বিবর্তনের যেই নিয়ম ব্যাখ্যা করে থাকেন সেটা এই টিউনের Click This Link ব্যাখ্যাটার মতোও হতে পারে, (টিউনটা অবশ্যই পড়বেন।)

"যে ব্যাক্তি নিজের সমলোচনা করতে পারে সেই সর্বাপেক্ষা বুদ্ধি মান" (আল হাদীস)
আমাকে আবার এতো বুদ্ধিমান ভাবার কোনো কারন নাই, কারণ আমি আপনার চেয়েও অনেক বোকা।
আমাদের ধর্ম বলে, "দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত জ্ঞান অর্জন করো" আমিও তাই করার চেষ্টা করছি এজন্য এই পোস্টটা করেছি, তবে আপনার ব্যাবহার আমাকে নিরাশ করেছে! @ক্যাটম্যান একজন সংশয় বাদি হয়েও বিরক্তি প্রকাশ না করে আদর্শ শিক্ষকের মতো বুঝিয়েছেন কিছু ধর্মীয় বিষয়ে তিনি আমার সহমতও জ্ঞাপন করেছেন যদিও আমার কিছু তত্বকে তিনি বিজ্ঞানের গ্যাপ বলেছেন তাতে কি? বিতর্কের খাতিরে তর্ক আসতেই পারে, তিনি ধৈর্য সহকারে আমাকে কোটেশন করে উত্তর দিয়েছে বিনা বিরক্তিতে অথচ আপনি মুসলিম হয়ে আমাকে উৎসাহিত না করে থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করতেছেন যা আমার জন্য অত্যন্ত বেদনা দায়ক , যাই হোক শুভ কামনা রইলো ভালো থাকবেন।

২০| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:০২

জিয়া চৌধুরী বলেছেন: আপনার উত্তরটা গোঁজামিল টাইপের হয়ে গেল ভাই।

বানর বিবর্তিত হয়ে মানুষ যদি হতে পারে অন্য কিছুও বিবর্তিত হতে পারে। হওয়া উচিত।

প্রজাপতি কোন প্রাণী থেকে বিবর্তিত
জেব্রা, ঘোড়া এসব আগে কি ছিল?
জেব্রার গায়ের ডোরা কাটা, কিংবা বাঘের ডোরা কাটা প্রকৃতির কোন বৈশিষ্ট্যের সাথে মিল রেখে বিবর্তিত হয়েছে। আগে কোন রং ছিল?
আমগাছ, কাঠাল গাছ আগে কোন গাছ ছিল?

২১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৮

ক্যাটম্যান বলেছেন: @মাসূদ রানা
ধন্যবাদ, আপনার ফিডব্যাকের জন্য। আমাদের ইন্দ্রের সিমাবদ্ধতা আছে, তবে বিজ্ঞান সেই সিমাবদ্ধতাকে দূর করে। আপনি আলোকরশ্মির ব্যাপারে যেটা বললেন, আমার ধারনা আপনি ইনফাররেড রশ্মির, এক্স-রে রশ্মির কথা বলছেন। এটা আপনি কিভাবে জানলেন ? অবশই সাইন্স থেকে। বিজ্ঞারিরা ইন্দ্রিয় সীমাবদ্ধতা থাকার পরও তো এটা জানতে পেরেছে। বিজ্ঞানিরা গ্লাসের ইসপেক্ত্রামের মাধ্যমে আলোকে বিভিন্নি রশ্মিতে পৃথক করে প্রতিটি রঙ এর বৈশিষ্ট্য বের করার সময় এই রশ্মি উদ্ঘাতন করে। হ্যাঁ আমাদের শারীরিক সীমাবদ্ধতা আছে, তার মানে এই না যে আমাদের ক্ষমতা নেই যে ইন্দ্রিয় সীমাবদ্ধতার বাইরে কিছু জানতে পারবো না। আপনি কম্পিউটারের কথাই চিন্তা করেন, সেকেন্ডে হাজার হাজার অংক করার ক্ষমতা রাখে। আপনি এখন বলতে পারেন পৃথিবীর সবচেয়ে বুদ্ধিমান লোকও সেকেন্ডে ২টা অংক করতে পারে না তারা স্রষ্টার ক্ষমতাকে কোন যুক্তিতে নির্ণয় করার যোগ্যতা রাখে। অথচ শুধু এই ছোট বিষয়েই বোঝা যায় ক্লেইমটা কত হাজারগুন ভুল। আমরা খালি চোখে দেখে বিজ্ঞান বানাইনি। ব্যবহার করছি অত্যাধুনিক জন্ত্র যেটা আমাদের ইন্দ্রকে কোটি গুনে হান মানায়। আরও উন্নত হচ্ছে আমাদের গবেষণার যন্ত্র। এখন কথা আসতে পারে এরপরও কি এটা যুক্তিজুক্ত যে, স্রষ্টার অস্তিত্ব সম্পর্কে আমরা উপসংহারে যেতে পারব? এটা নির্ভর করে আপনার উপর। অনেকে মনে করে এখনও কোন তথ্য আসেনি যেটা প্রমান করে স্রষ্টার শক্তিকে। তাই যতদিন না সেই তথ্য আসবে ততদিনের জন্য স্রষ্টার অস্তিত্বকে না মানাই যুক্তিজুক্ত। আপনি ভাবছেন " আপনার ধর্ম যেহেতু বলেছে স্রষ্টা আছে, এখন বিজ্ঞান যাই বলুক না কেন আমি মানবো যেটা আমার ধর্ম বলে।আর মানুষের ক্ষমতাই কতটুকু " এটাই পার্থক্য, আর কিছু না। তবে এটা শুধু মানুষের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার দোহাই দিয়ে শূন্য জ্ঞানে স্রষ্টাকে বসানো হবে।

আর প্রানির ভবিষ্যৎ বিবর্তন কি হবে সেই ব্যাপারে আমি সম্ভাব্যতার কথা বলেছি ও বিবর্তনের জন্য নির্ভরশীল বিষয়গুলোর কথা বলেছি। বিবর্তিত হয়ে অন্য প্রজাতিতে রুপ নিতে লক্ষ লক্ষ বছর চলে যায়। এভাবে বলা মুশকিল যে কিভাবে বিবর্তিত হবে। তবে বইওলজিস্টরা এই দুটি বিষয়ের শক্ত সম্ভাবনার বলেছে অনিবার্য পরিস্থিতি বিবেচনা করে, তাই এখানে উল্লেখ করলাম।


লেখকের জবাব
মানুষের চেয়ে অনেক আদি এবং পুরানো প্রানি আছে প্রায় ডাইনোসর যুগের কাছা কাছি সময়কার তারা কেন বিবর্তিত হচ্ছেনা? যেমন কুমির, নীল তিমি, বাদুড় ইত্যাদি। এত কোটি বছরে পূর্ণ বিবর্তিত না হোক অর্ধ বিবর্তন তো হওয়ার কথা তাইনা?

এটাই বিবর্তনের সবচেয়ে ভুল ধারনাগুলোর একটা। তারারাজি যেমন স্থির নয় ঠিক তেমনই কোন প্রানের মাঝে বিবর্তনের ছোঁয়া না থাকাও অসম্ভব। এখন সে কুমির, তিমি, বাদুড় দেখছেন সেটাও বিবর্তনের ফল। এমনকি অধিকাংশ বিবর্তনবিরোধীরা বলে থাকে যে বানর থেকে মানুষের কথা। সেটাও ভুল। বর্তমান বানর প্রজাতির কোন প্রাণীই সবসময় এমন ছিল না। তারাও লক্ষ লক্ষ বছরে পরিবর্তিত হয়েছে। পার্থক্য হচ্ছে হমিনিডরা বা মানুষের পূর্বপুরুষরা অন্যভাবে জীবনজাপন করত, অন্যভাবে পরিবেশে খাপ খাইয়েছে তাই তাদের বিবর্তন হয়েছে ভিন্নভাবে , বানর বিবর্তিত হয়েছে অন্যভাবে। "বানর থেকে মানুষ হওয়া" আর "এপ থেকে মানুষ হওয়া"র মধ্যে হাজার মাইলের পার্থক্য আছে। নীল তিমির বিবর্তনের কাহিনি অনেক সুন্দর ও বৈচিত্র্যময়। আপনাকে একটা লিঙ্ক দিচ্ছি, আশা করি, এটা সাহায্য করবে।


@জিয়া চৌধুরী

ধন্যবাদ আপনার প্রশ্নের জন্য । এ ধরনের প্রশ্ন ব্লগগুলোতে আসলে করা উচিত। খুবই কম দেখা যায় এমন বুদ্ধিদিপ্ত প্রশ্ন।

পরিবেশের ভিন্নতার কারনে লক্ষ লক্ষ বছর আগে পর্যায়ক্রমে এপ থেকে হমিনিড আলাদা হয়েছে। কারন সেই সময় পরিবেশকে এই প্রজাতিগুলো ভিন্নভাবে গ্রহন করেছে। এখন আমাদের সভ্যতার অনেক পরিবর্তন এসেছে। অবশই মানুষ থেকেও ভবিষ্যতেও আরও অনেক শাখা বের হবে। এর ভাল নজির হতে পারে আফ্রিকা থেকে বিভিন্ন জায়গায় চলে যাওয়া মানুষের শারীরিক পার্থক্য। যদি গ্লবালাইজেসন না আসতো আর বিভিন্ন স্থানের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ না থাকতো তাহলে এই সব বিভিন্ন স্থানের মানুষ ভিন্নভাবে তাদের পরিবেশের সাথে খাপ খেয়ে বিবর্তিত হত। অন্য প্রজাতি হতে লক্ষ লক্ষ বছর লাগে। তবে গ্লোবাল কমিউনিকেশনের প্রক্সিমিটি বিষয়টাকে আরও জটিল করে দিয়েছে। যার কারনে এখন বিবর্তন ভিন্ন দিকে বাক খাবে। যাই হোক, মেইন কথা হচ্ছে পরিবেশ, জেনেটিক পরিবর্তনের সাথে মিল রেখে পরিবর্তন হয়। বানর থেকে অন্য প্রাণী হয়নাই এটা ভুল ধারনা। বানরের মধ্যেও ২০০র উপরে প্রজাতি আছে, তারা ভিন্নভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। তবে সেভাবেই পরিবর্তিত হয়েছে যেটা নিরভরশিল বিষয়গুলো হতে দিয়েছে (পরিবেশ,খাদ্য, জীবনযাপনের পদ্ধতি,প্রাকৃতিক ঝুকি,জলবায়ু ইত্যাদি) । জেব্রা ও বাঘ ভিন্ন প্রজাতির মাধ্যমে বিবর্তিত হয়েছে। তাদের মধ্যে চামড়ার প্যাটার্ন ছাড়া আর কিছু মিলে না। তবে এর পিছনে আরকেটি কারন আছে। বিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফল হচ্ছে কেমোফালজ। মানে পরিবেশের সাথে মিলে যাওয়া। যে কারনে অনেক কীট দেখতে পাতার মত, যা তাদের উপরের খাদ্যস্তরের প্রানিদের ধোঁকা দিতে পারে, শিকারি প্রাণীর ক্ষেত্রেও বিষয়টা ঠিক উলটো। জেব্রা ও বাঘের ক্ষেত্রে ঠিক সেটাই হয়েছে। পরিবেশের তাগিয়ে সেই প্রাণীই টিকে ছিল যে শিকারি/খাদ্যকে ধোঁকা দিতে পারে। তাদের জীবিত থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে, আর তাদের জেনেটিক এডভান্টেজগুলো প্রজননের মাধ্যমে পরের জেনারেশনকে দিয়ে যায়। এভাবে আসতে আসতে সেই বৈশিষ্ট্যগুলো টিকে যায় যা শিকারি/শিকারকে ধোঁকা দিতে পারে। এটা হতে লক্ষ লক্ষ বছর লেগে গিয়েছে। আপনি তাদের পূর্বপুরুষের ক্ষেত্রে যত দূরে যাবেন ততই তাদের সাথে অমিল পাবেন, রঙের ক্ষেত্রেও। আমি সঠিক বলতে পারবো না আম ও কাঁঠালগাছ এর পূর্বের অবস্থা কি ছিল। বাংলাদেশের উদ্ভিদ ও প্রানিদের ইভলিউশন ট্রি নিয়ে বিশ্লেষনের কোন প্রকল্প নেয়া হয়েছে বলে আমার জানা নেই।

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৬

নৈশ শিকারী বলেছেন: আর ধরেন আমি আপনার কথা মেনে নিলাম যে বাদুড়, কুমির, তিমির বিবর্তনের পরের রূপে টিকে আছে, কিন্তু তাদের আগের রূপ গুলো কি ছিল? আর তাহলে তাদের বিবর্তনতো থেমে থাকার কথানা তাহলে উল্লেখ যোগ্য বিবর্তনের লক্ষন কেন এই প্রাণীদের মধ্যে পরিলক্ষিত হচ্ছেনা? বর্তমানে ডিসকভারি চ্যানেল ডাইনোসরের ফসিল উদ্ধার করে তার উপর এমন ভাবে অ্যানিমিশন তৈরী করে যে, মনে হয় বিজ্ঞানীরা তাদের সমাজে বসে লাইভ ভিডিও করছে অথচ ব্যাপারটা পুরোপুরি কল্পনা নির্ভর।
দুঃখিত ভাই আপনার দেয়া ভিডিওটা আমার ডিভাইসে প্লে হচ্ছেনা।

আমার আরও কিছু প্রশ্ন আছে সেগুলো হলোও, প্রান হীন পৃথিবিতে জড় পদার্থ থেকে কি করে একটা প্রানের উৎপত্তি হলো? আর সেই প্রানটা অর্থাৎ অ্যামিবাটা কি করে একি সাথে উদ্ভিত এবং পশুর লিঙ্গ নির্ধারন সহ শরীরের বিভিন্ন জটিল অঙ্গ গঠন পূর্বক; সম্পূর্ণ প্রানি কূলের মিউটেশন ঘটালো? ঐ ১কোষী জীবটারতো মস্তিষ্ক বা বিবেক ছিল না; তাহলে সে একই সাথে প্রকৃতির প্রয়োজন অনুভব করে কিভাবে (পশু এবং উদ্ভিদের) এই মিউটেশন ঘটালো? আর অ্যামিবার পরবর্তী বিবর্তিত রূপটা কি ছিলো বলে বিজ্ঞানীরা ধরণা করেন? ( পরবর্তী 1-5 এর মধ্যে হলেও হবে) আর অ্যামিবাটার মধ্যে কি উদ্ভিদ এবং প্রাণির উভয়েরই DNA সংরক্ষিত ছিলো? আর যদি থেকে থাকে তাহলে এই ১কোষি কিভাবে কারো সহায়তা ছাড়া নিজে নিজে জন্ম নিলো প্রকৃতিকে সাজানোর এই অপরূপ বৈশিষ্ট নিয়ে? আর যদি এই এক কোষিটি একসাথে ২প্রকার বৈশিষ্টের অধিকারি না হয় তাহলে কোন উদ্ভিদ থেকে পশু অথবা কোন পশু থেকে উদ্ভিদের জন্ম দিল? আর সেটা ন্যাচারাল সিলেকশনের কোন পর্যায় ছিলো?

২২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৫৩

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

আসলে দুঃখতো পেয়েছিই, একটু ইমশানালও হয়ে গিয়েছিলাম। মুসলমানদের অপদস্ত হতে দেখলেই ইমশানাল হই। প্রথমত আপনার পোষ্টের শিরোনামে দাম্ভিকতা। দ্বিতীয়ত, পোষ্টের বিষয় বস্তুতে ফ্যাক্টেরচেয়ে বেশী সামাজিক বিজ্ঞান আর ধর্ম। তৃতীয়ত, কিছু কিছু প্রতি উত্তর দেখে মনে হল আপনি বিজ্ঞানই জানেন না। চতুর্থত, আপনি সৃষ্টি নিয়ে কথা বলেছেন, কিন্তু আমার উল্লেখ করা কুরয়ানের একটা আয়াতও ভালো ভাবে স্টাডি করা আছে বলে মনে হল না। থাকলে আমার প্রশ্নের উত্তরেই আমার উল্লেখ করা আয়াত ব্যাবহার করতে পারতেন। আসলে ওদের(অন্য ধর্মের কেউ বা নাস্তিক কেউ) উদ্ধেশ্যে কোন কিছু লিখলে, যুক্তি গুলো অকট্ট হলে ভালো হয়। খালি আপনি বা আমি লিখলাম তারপরে ওদের প্রশ্নের উত্তর ঠিক মত না দিয়ে বরং সমমতের লোকের হাততালি যাঝা আর বাহাবা নিলাম। উদ্দেশ্য কি সফল হল??? আপনি কি একজন নাস্তিক কেও কনভিন্স করতে পারলেন??? কিছু মনে করবেন না। একটা জিনিস বিশ্বাস করা আর অন্যকে বিশ্বাস করানো এক ব্যাপার নয়। ফলে বেশীর ভাগ এই ধরনের পোষ্টে, আপনারা নিধার্মিকদের কাছে এমন ভাবে অপদস্ত হন যে বলার মত না। এগুলো আর দেখতে ভালো লাগে না, কোন ব্যাপার ছিলনা যদি শুধু আপনারাই হতেন, কিন্তু তা হয় না সাথে আপনার আমার প্রিয় ইসলাম, কুরয়ান হাদিস সবই হয় , এগুলা দেখতে আর ভালো লাগে না। আপনাকে অফেন্ডেড করেছি, করতে চেয়েছিলামও, শুধুই কুরয়ানের আয়াত ব্যাবহার করেছি, গালিতো দেই নি। কিন্তু পারলে মাফ করে দিয়েন। আল্লাহ আপনার উদ্ধেশ্য সফল করুন।

মন্তব্যাটা ডিলিট করে দিয়েন। পারলে আমার অন্য মন্তব্য গুলোও ডিলিট করে দিয়েন। আপনার কি মনে হয় "নতুন" ভাই একজন নাস্তিক ?

আল্লাহ আপনার উদ্দেশ্য সফল করুন।

২৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৫৬

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

যা লিখবেন ভালো করে যেনে লিখুন। নিজের সমালোচনা করুন, নিজের পোষ্টের সমালোচনা করুন। যদি সত্যিই ইসলাম নিয়ে লিখতে চান তো।

আসসালামুয়ালাইকুম।

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬

নৈশ শিকারী বলেছেন: ওয়ালাইকুমাস সালাম, আপনার পরামর্শ গুলো আমার জীবনে শিক্ষার উপকরন হয়ে থাকবে, আপনার ইষৎ ভৎসনা আমাকে আরো গভীর ভাবে ভাবার সুযোগ দিয়েছে সেজন্য আমি আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ প্রকাশ করছি আর আপনার দুঃখিত হওয়ারতো প্রশ্নই আসেনা।

আপনি অপদস্থ হওয়াকে কিভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন আমি জানিনা তবে আমার মনে হয় @ক্যাটম্যান আমাকে অপদস্থ করার চেয়ে আধুনিক বিজ্ঞান এবং বিবর্তন সম্পর্কে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন।

পোস্টের শিরোনামে দাম্ভিকতা কোথায় দেখলেন? ভদ্র ভাবে কারো কাছে কিছু জানতে চাওয়া দাম্ভিকতা হয় সেটা জানতাম না, আমি শিরোনামের শেষে যদি ব্যাবহার করতাম, "কোনও নাস্তিক আছে যে আমার প্রশ্ন গুলো জবাব দিতে পারবে?" তাহলে আপনি দাম্ভিকতা বলতে পারতেন।

আপনি আর ক্যাটম্যান আমার চেয়ে ঢের বেশি বিজ্ঞান জানেন সেটা আমি স্বীকার করি তাই বলে আমি বিজ্ঞানের কিছুই জানিনা এটা ভাবা একদম ভূল, যদি তাই হতো আমি একটা বিষয়েরও প্রতি উত্তর দিতে পারতাম না।

আমি কিছু ক্ষেত্রে সমাজ বিজ্ঞান বা ধর্মীয় বোধের উদাহরন দিয়েছি যেগুলো বিজ্ঞান নিশ্চিত ব্যাখ্যা করতে পারেনাই। যদি অধিকাংশ জায়গায় বলেন তাহলে আপনি আমার সব গুলো প্রতি উত্তর ভাল ভাবে পড়েনই নাই।
আমার পোষ্টের উদ্দেশ্য কোনও নাস্তিক কে আস্তিক বানানো না আমি শুধু এই ব্যাপারে তাদের ভাশ্যমত জানতে চেয়েছি।

আপনি একটা জিনিস সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখবেন যে আমার প্রশ্ন গুলোর বিষয়কে শুধু বিস্তারিত করা হয়েছে কিন্তু এর গোড়ার রহস্যের কেউ ১০০% গ্রহন যোগ্য ব্যাখ্যা দিতে পারেনাই, আর আমার প্রশ্নের অকাট্য যুক্তি গুলোকে বিজ্ঞানের গ্যাপ বলে চালিয়ে দেয়া হয়েছে, সেটা আপনি আমার প্রতিউত্তর গুলো মনোযোগ দিয়ে পরলেই বুঝতে পারবেন। এখন আমার কথা হলো যেই বিজ্ঞান সৃষ্টি রহস্যেরই সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারে নাই সেই বিজ্ঞান স্রষ্টার অস্তিত্বের সঠিক ব্যাখ্যা কিভাবে দিবে?

@নতুন সাহেব একজন নাস্তিক না হলেও আস্তিক নয়, উনাকে নির্দিধায় সংশয় বাদি বলা চলে। আর অনেক ক্ষেত্রে লেখক তার লেখার ভুল বুঝতে পারেনা, সেজন্য কিন্তু কমেন্ট বক্স সবসময় আপনার আমার সবার জন্য খোলা রয়েছে, আশা কোরি সবায় এর সদব্যাবহার করবে আর আমি আপনার মন্ত্যব্য গুলো ডিলেট করবো না কারন বিতর্কের সমালোচনারও আবশ্যকতা রয়েছে। আপনার প্রতি শুভ কামনা রইলো আর মূল্যবান পরামর্শের জন্য পুনরায় ধন্যবাদ।

২৪| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৪৭

ক্যাটম্যান বলেছেন: আর ধরেন আমি আপনার কথা মেনে নিলাম যে বাদুড়, কুমির, তিমির বিবর্তনের পরের রূপে টিকে আছে, কিন্তু তাদের আগের রূপ গুলো কি ছিল? আর তাহলে তাদের বিবর্তনতো থেমে থাকার কথানা তাহলে উল্লেখ যোগ্য বিবর্তনের লক্ষন কেন এই প্রাণীদের মধ্যে পরিলক্ষিত হচ্ছেনা?
আপনাকে একটা বই সাজেস্ট করতে পারি প্রথমে The Ancestor's Tale- Richard Dawkins. এখানে প্রাণী বিবর্তন হওয়ার টাইমলাইন, প্রাণীর গঠন,পরিবর্তিত অবস্থা, পরিবেশের কোন কোন ফ্যাক্তরের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়েছে সব খুব বিস্তর ব্যাখ্যাসহ দেয়া আছে। বানরের আগের অবস্থায় কেমন ছিল সেই ফসিল এভিডেন্সসহ সবকিছু দেয়া হয়েছে। আসলে আপনি "বানর" "কুমির" বা "বাদুর" বলতে কি একটি প্রাণী বুঝাচ্ছেন কি না জানি না। তবে পৃথিবীতে ২০০রও বেশি প্রজাতির বানর আছে যারা বিবর্তিত হয়ে এই অবস্থায় এসেছে । তাছাড়া বাদুড়ও কুমিরেরও অনেক প্রজাতি আছে। একটু কষ্ট করে নেটে দেখে নেন। বিবর্তন অনেক বড় একটা বিষয়। একটা ব্লগের উত্তরে সব উত্তর দেয়া কঠিন হয়ে যাবে। তবুও সংক্ষেপে বোধগম্য ভাষায় দেয়ার চেষ্টা করছি ।

বর্তমানে ডিসকভারি চ্যানেল ডাইনোসরের ফসিল উদ্ধার করে তার উপর এমন ভাবে অ্যানিমিশন তৈরী করে যে, মনে হয় বিজ্ঞানীরা তাদের সমাজে বসে লাইভ ভিডিও করছে অথচ ব্যাপারটা পুরোপুরি কল্পনা নির্ভর।
দুঃখিত ভাই আপনার দেয়া ভিডিওটা আমার ডিভাইসে প্লে হচ্ছেনা।

পৃথিবীর অসংখ্য ঐতিহাসিক ব্যাক্তিত্ত, ধর্মীয় ঘটনা নিয়ে অনেক ডকুমেন্টারি-মুভি বের হয়, ডাইনোসরের আনিমেশনও ঠিক একই উদ্দেশ্যে করা। সাধারন মানুষকে সহজে বোঝানোর জন্য। তাদের শারীরিক গঠন,জেনেটিক এলগরিদম দেখে বিজ্ঞানিরা সেই সময়ের প্রাণীর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে পারে আর ডকুমেন্টারিগুলোতে সেগুলোই চিত্রায়িত করার চেষ্টা করেছে। একটা ছোট বাচ্চার কথা চিন্তা করুন, তাকে যদি Cercopithecoidea বা Plesiadapis এর মত কঠিন কঠিন জিনিসের বৈশিষ্ট্যগত উদ্ঘাতন যদি ডকুমেন্টারিরে দেখানো তাহলে সে কিছুই বুঝবে না, এগুলো বানানো সময় সাধারন আইকিউর মানুষের জন্য , ইনটেলেকচুয়ালদের জন্য বানালে হয়তো এমন এনিমেশন দরকার হত না । আমি অবশই মুভি-ডকুমেন্টারি দেখে কোন ঘটনা-ব্যাক্তিত্তকে বিচার করা যুক্তিযুক্ত মনে করবো না। সত্যকে পরখ করতে চাইলে আপনি এভিডেন্স দেখে পরখ করুন, ডকুমেন্টারি দেখে না।

প্রান হীন পৃথিবিতে জড় পদার্থ থেকে কি করে একটা প্রানের উৎপত্তি হলো?

বিজ্ঞানীদের কাছে এখনো এই বিষয়টা পরিস্কার না যে, প্রথম প্রান কিভাবে এসেছিল। তবে শক্ত এভিডেন্স আছে বিষয়টা প্রায় ৪ বিলিয়ন বছর আগে হয়েছিল আর পানিতে হয়েছিল। বিজ্ঞানিরা পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ করে দেখেছে এটার পিছনে chemical evolution দায়ি। অ্যামোনিয়া, ফরফোরিক লবন, আলো, বজ্রপাত এই বিষয়গুলো প্রাথমিক ডিএনএ কমিনেশন করার জন্য প্রয়োজন ছিল, যা পৃথিবীর লাভাযুগের অস্তালগ্নে (গ্রহানু একত্রিত হওয়ার প্রায় ৬৫০ মিলিয়ন বছর পর) যথেষ্ট ছিল। তবে একটি মাত্র জীব থেকেই যে সব হয়েছে সেটা বলা মুশকিল। পরিস্থিতি অনুকূল ছিল একাধিক এককোষী একাধিক জায়গায় গঠিত হওয়ার।

আর সেই প্রানটা অর্থাৎ অ্যামিবাটা কি করে একি সাথে উদ্ভিত এবং পশুর লিঙ্গ নির্ধারন সহ শরীরের বিভিন্ন জটিল অঙ্গ গঠন পূর্বক; সম্পূর্ণ প্রানি কূলের মিউটেশন ঘটালো? ঐ ১কোষী জীবটারতো মস্তিষ্ক বা বিবেক ছিল না; তাহলে সে একই সাথে প্রকৃতির প্রয়োজন অনুভব করে কিভাবে (পশু এবং উদ্ভিদের) এই মিউটেশন ঘটালো? আর অ্যামিবার পরবর্তী বিবর্তিত রূপটা কি ছিলো বলে বিজ্ঞানীরা ধরণা করেন? ( পরবর্তী 1-5 এর মধ্যে হলেও হবে)
সেই সময় ছিল বিবর্তনের সবচেয়ে সময় সাপেক্ষ সময়। প্রথম সে জীব ছিল যা এতটাই সিম্পল ছিল যে বর্তমান সময়ের উদ্ঘাতিত সবচেয়ে সরল ভাইরাসও সেই জীব থেকে অনেক গুন জটিল। প্রান ও জড়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য ছিল না বললেই চলে। তখন লিঙ্গও ছিল না। সেই সময় প্রজননটা অনেক সরল ছিল, রেপ্লিকেশন। রিচারড ডওকিনস তার "Selfish Gene" বইতে বিষয়টির বিল্লেসনসহ বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন। সেই সময়ে মিউটেশন অনেক ধীরে চলেছে। আমরা পরবর্তীতে অন্য ধরনের জীবের প্রমান পাই আরও বিলিয়ন বছর পরে। সেই সময় একটা সিম্পল রিপ্রডাকশন ছিল তা হল আসেপাশের গ্রহণযোগ্য যৌগ থেকে খাদ্য দিয়ে নিজেকে রেপ্লিকেট করা। তাই রিচারড ডওকিনস সেই প্রাণীকে Replicators আখ্যা দেন। পরবর্তীতে রেপ্লিকেটেড জীবগুলো নিজেদের সাথে মিশ্রিত হয়, সাধারণ কেমিক্যাল যৌগের মত। সেখান থেকেই মিউটেশন শুরু হয়। নতুন যৌগ থেকে জীবগুল নতুন বৈশিষ্ট্য পায়। আর পরিবেশের সাথে আরও খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করে। সেই মিউটেশন চলতে থাকে, জীব আরও জটিল হতে থাকে আগের জীব থেকে। পানি সেই জীবকে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় জীবগুলো বিভিন্নভাবে বিবর্তিত হওয়া শুরু করে। কিছু প্রাণী স্রোতের টানে কম পানিযুক্তি জায়গায় চলে যায়। কম পানিতে অন্যভাবে বিবর্তিত হয়। কিছু পানিতে ভাসমান অবস্থায় বিবর্তন হয়, কিছু তলের সাথে লাগা অবস্থায়। এই ছোট পার্থক্য অনেক বড় পরিবর্তন নিয়ে আসে। যেই জীব মাটির সাথে যুক্ত ছিল তারা সেই যৌগ গুলো গ্রহন করতে পারতো যা ভাসমান অবস্থায় ছিল না। যার কারনে তাদের গঠন,খাদ্য ভিন্ন হতে লাগলো। ভাসমানদের ক্ষেত্রে ভিন্ন। এভাবে প্রাণী ও উদ্ভিতের পার্থক্য বিলিয়ন বছরে তৈরি হয়েছে।

আর অ্যামিবাটার মধ্যে কি উদ্ভিদ এবং প্রাণির উভয়েরই DNA সংরক্ষিত ছিলো? আর যদি থেকে থাকে তাহলে এই ১কোষি কিভাবে কারো সহায়তা ছাড়া নিজে নিজে জন্ম নিলো প্রকৃতিকে সাজানোর এই অপরূপ বৈশিষ্ট নিয়ে? আর যদি এই এক কোষিটি একসাথে ২প্রকার বৈশিষ্টের অধিকারি না হয় তাহলে কোন উদ্ভিদ থেকে পশু অথবা কোন পশু থেকে উদ্ভিদের জন্ম দিল? আর সেটা ন্যাচারাল সিলেকশনের কোন পর্যায় ছিলো?

আগের উত্তরে হয়তো বুঝতে পেরেছেন উদ্ভিত আর প্রাণীর মত কমপ্লেক্স ব্যাপারটা কত পরে এসেছে, ন্যাচারাল সিলেকশনের ব্যাপারতা আগের উত্তর থেকেই অনুধাবন করার কথা। আপনি আশা করি জানেন তারপরও DNA এর কিছু সাধারন ব্যাপার বলি ,এটা হচ্ছে "Deoxyribonucleic acid"। মানে একটা এসিড যৌগ বা মলিকিউল। হাইড্রোজেন, নাইট্রোজেন, ফসফরাস, কার্বন ও অক্সিজেনের একটা কম্পিনেশন যেটা আমাদের জেনেটিক তথ্য বহন করে। এখন প্রথম যে প্রান ছিল তার জেনেটিক তত্ত খুবই খুবই সরল ছিল। সেটার মধ্যে প্রকৃতি সাজানোর বৈশিষ্ট্য থাকা অসম্ভব। সময়ের সাথে সাথে নতুন যৌগ যখন যুক্ত হয় তখন ডিএনএতে কিছু পরিবর্তন আসে। সেটা পরবর্তী জীব বহন করে। সেটা চলতে থাকে, আর পরিবর্তিত হয়। যেই জীবগুলো ভিন্ন পরিবেশ পেয়েছে তাদের ডিএনএ'র জেনেটিক এলগরিদমে পরিবতন আসে। প্রতিটি একক প্রাণীর মধ্যেই এই পরিবর্তন হয়।
একটা উদাহরন দিলে হয়তো পরিস্কার হবে। আমার মা'র সাথে আমার ডিএনএ অনেক অনেক অনেক মিল। কিন্তু কিছু ভেরিয়েসন আছে। কারন রিপ্রডাকশনের সময় যে জিন ডিএনএ কপি করতে যায় সে একটু ভুল করেই। এটাই মিউটেশন। এখন আমার, আমার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সব কোড আমার মা অবশই ধারন করে নাই। ঠিক তেমনই সেই প্রথম প্রানও বিলিয়ন বছরের জীব বৈচিত্র্যকে ডিএনএ তে ধারন করে আসেনি।

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:০৪

নৈশ শিকারী বলেছেন: আমি তিমি, কুমির, বাদুড়কে এক পর্যায়ের প্রানি বলি নাই, এখানে আপনার বোঝার ভুল হয়েছে আমরা জানি কুমির এবং বাদুড়ের বিভিন্ন প্রজাতি আছে কিন্তু তাদের বাহ্যিক রূপ কিন্তু প্রায় একই রকম এবং এই অবস্থায় তারা প্রায় ২০কোটি বছর যাবৎ টিকে আছে কিন্তু তাদের পরবর্তী মিউটেশনের কোনও লক্ষন কেনো দেখা যাচ্ছেনা? এতো কোটি বছর কি বিবর্তিত হওয়ার জন্য যথেষ্ঠ নয়? আরেকটু পরিষ্কার করে বলি এখন তাদের যেই রূপ আছে সেই রূপ কি আর পরিবর্তন হবেনা? নাকি তাদের বিবর্তন থেমে গেছে?

ভাই ব্যাপারটা মাত্র ৪০০কোটি বছরের পুরানো পৃথিবি কেন্দ্রিক ব্যাপার, সেখানেই বিজ্ঞানীরা অনিশ্চিত যে প্রানের অস্তিত্ব ঠিক কিভাবে হয়েছিল, অথচ আপনি দাবি করেন এরচেয়ে বহু পুরানো মহা বিশ্বের ঘটনার বিবরন বিজ্ঞানীরা নিখুঁত ভাবে দিয়েছেন; ব্যাপারটা খুব হাস্যকর মনে হলো।

যেহেতু মিউটেশনের প্রথম পর্যায় গুলো খুব ধীরে হয়েছিল তাই এই ব্যাপার গুলোর শক্ত রেকর্ড বিজ্ঞানীদের কাছে থাকা উচিত ছিলো, কিন্তু তা নেই এটা কি বিজ্ঞানীদের সীমাবদ্ধতা না? তারা প্রথম রেকর্ড হিসেবে আন্দাজে ১কোষ প্রাণির কথা বললো অথচ পরবর্তী রেকর্ড গুলো রাখলোনা লুল।

বর্তমান প্রোটোজোয়া পর্বের প্রানি গুলো অনুকুল পরিবেশ থাকা সত্যেও মিউটেশন করে অন্য প্রাণীতে বিবর্তিত হচ্ছেনা কেন? তারাও তো আদি কোষ অ্যামিবার মতো; বরং অ্যামিবার চেয়ে উন্নতও বলা চলে।

প্রানি বিবর্তনের সবেচেয়ে উল্লেখ যোগ্য এবং গুরুত্ব পূর্ণ পর্ব ছিল পশু এবং উদ্ভিদের পৃথক পর্যায়ে বিবর্তিন হওয়া, অথচ এর কোন রেকর্ড বিজ্ঞানীদের কাছে নেই কেনো? নিশ্চয় বলবেন এটাও বিজ্ঞানের গ্যাপ!

সরল DNA যুক্ত প্রানের যে গঠনগত পরিবর্তন হলো এবং সরল কোষ থেকে জটিলতর হল এখানে কোন শক্তির প্রভাবে এমন হলো? যদি বলেন প্রকৃতি শক্তি তথা natural selection এর কথা তাহলে এই natuaral selection এর সূক্ষ্ম বিষয়ের পরিচালনা কারি কে?

আর আপনার তথ্য মতে আকাশের গ্রহ নক্ষত্র যেমন স্থির নয় তেমনি প্রাণির বিবর্তনও স্থির নয় তাহলে, পশুর মধ্যে প্লাটিপাস, রাজ কাঁকড়া, ল্যাং ফিস আর উদ্ভিদের মধ্যে সাইকাস সেই প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে আজ পর্যন্ত কেন বিবর্তিত নতুন রূপ লাভ করলো না? আপনি জানেন কিনা জানিনা; এই প্রানি গুলোকে বিজ্ঞানীরা জীবন্ত জীবাশ্ন নাম দিয়েছেন। তাহলে কি এই প্রানিদের ক্ষেত্রেও বিবর্তনের নিয়ম প্রযোজ্য না?

যেখানে বিজ্ঞান আজ পর্যন্ত বহু সীমাবদ্ধতার মধ্যে ডুবে আছে তা ও সাধারণ পৃথিবি কেন্দ্রিক সৃষ্টির রহস্য নিয়ে, সেখানে পুরো মহাবিশ্বের নিখুঁত পর্যালোচনা কি তারা আসলেই করতে পেরেছে? আজও নিউজে দেখলাম নাসার কেপলার মহাকাশ যানটি প্রায় পৃথিবির মত একটা গ্রহের সন্ধান পেয়েছে আমদের পৃথিবি থেকে ১৪০০ আলোক বর্ষ দূরে, এমন হাজারটা গ্রহের সন্ধান তারা প্রতিনিয়ত পাচ্ছে তাহলে বিগব্যাং এর ১৩৮০ কোটি বছর তারা এত সুনিদৃষ্ট ভাবে কি করে নির্ধারন করলো? যেহেতু সমস্ত গ্রহ থেকে নির্গত গামা-রে আর অবস্থানের গাণিতিক হিসেব করে এই ১৩৮০কোটি বছর নির্ধারন করেছে। যেখানে সব গ্রহের আবিষ্কারই আজ পর্যন্ত শেষ হয়নাই সেখানে এই হিসেব কতোটা নির্ভুল তা বলারই অপেক্ষা রাখেনা। এইতো গেল কেবল সৃষ্টি রহস্য যা এখনো পুরপুরি শেষ হয়নাই আর স্রষ্টার রহস্য আপনার বিজ্ঞান বের করে ফেলবে বলে আপনি চ্যালেঞ্জ করেন কিভাবে? আগে সৃষ্টির সব রহস্যের জবাব বিজ্ঞান দিক তার পর স্রষ্টা রহস্য খোজার বহু অবসর পাবে, আর ততদিনে হয়তো আপনি আমি থাকবনা এই পৃথিবিতে। যেদিন মানুষ স্রষ্টার রহস্য উন্মোচিত করবে সেদিন স্রষ্টা আর মানুষের পার্থক্যই থাকবেনা যা কখনো সম্ভব নয়, হয়তো তার আগেই স্রষ্টা মহা প্রলয় দান করবেন, আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে বোঝার তৌফিক দান করুক আমিন।

২৫| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:২১

মাসূদ রানা বলেছেন: @ক্যাটম্যান
ধন্যবাদ, আপনার ফিডব্যাকের জন্য। আমাদের ইন্দ্রের সিমাবদ্ধতা আছে, তবে বিজ্ঞান সেই সিমাবদ্ধতাকে দূর করে। আমাদের ইন্দ্রের সিমাবদ্ধতা আছে, তবে বিজ্ঞান সেই সিমাবদ্ধতাকে দূর করে।

আপনাকেও ধন্যবাদ মার্জিত ভাষায় আপনার মতামত উপস্থাপনের জন্য .......

কতটুকু দূর করে ? মানুষের সীমিত ইন্দ্রিয় সৃষ্ট বিজ্ঞানেরও যে সীমাবদ্ধতা রয়েছে সেটা আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় ।

আমার ধারনা আপনি ইনফাররেড রশ্মির, এক্স-রে রশ্মির কথা বলছেন। এটা আপনি কিভাবে জানলেন ? অবশই সাইন্স থেকে।

মহাবিশ্বের সাইন্সের কাছে আমাদের সাইন্স বড়ই আনাড়ি ভাই ক্যাটম্যান । আপনাকে একটা তথ্য দিই ...... আপনি হয়ত বিজ্ঞান সম্পর্কে অনেক উচ্চ ধারনা পোষন করেন ........ কম্পিউটার অনেক জটিল জটিল গানিতিক সমস্যা সমাধান করে ইত্যাদি ইত্যাদি । কিন্তু আপনি জানেন কি ? কম্পিউটার মানুষের চেয়ে বেশি কিছু জানে না ? মানে মানুষ কম্পিউটারের মগজে যে মেথডসমুহ প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে ঢুকিয়ে দেয়, কম্পিউটার ঠিক সেই সেই মেথড অনুসরন করে গানিতিক সমস্যা সমাধান করে থাকে । একটা কম্পিউটারের সাথে একজন মানব মস্তিষ্কের বেসিক তফাত হচ্ছে কম্পিউটার মানুষের তুলনায় অধিক নির্ভুল আর দ্রুততম সময়ে একাধিক সমস্যা সমাধান করতে পারে, এর বেশি কিছু নয় ........

আবার মহাবিশ্বে ইনফাররেড রশ্মি, এক্স-রে রশ্মি, গামা-রে ছাড়াও এমন আরো অসংখ বিভিন্ন টাইপের আলোক রশ্মি রয়েছে যেগুলো বিজ্ঞানের অধম চোক্ষে ধরা পড়ে না ..........তাই না?

সুতরাং বিজ্ঞান পূর্নাংগ নয় । বরংচ আমরা বিজ্ঞানকে যতটুকু মেচিউরড ভাবি, বিজ্ঞান তার ১০০ ভাগের .০০ ভাগও নয় । ঠিকছে ?

ক্যাটম্যান বলেছেন : বিজ্ঞানিরা পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ করে দেখেছে এটার পিছনে chemical evolution দায়ি।

ক্যাটম্যানের কাছে আমার প্রশ্ন : chemical evolution এর মাধ্যমেই যদি প্রান উদ্ভাবন সম্ভব হয় ....... তাহলে পরে আমাদের বিজ্ঞানীরা এখনও কেন টেস্ট টিউবে chemical evolution ঘটিয়ে প্রান উদ্ভাবনে সক্ষম হচ্ছেন না ? আপনার সুবিধার্থে এব্যপারে একজন কেমিস্টের গবেষনাউত্তর পর্যবেক্ষন তুলে ধরলাম :: আশা করি উপকৃত হবেন ।

Evolution Hopes You Don't Know Chemistry: The Problem of Control by Charles McCombs, Ph.D. *

ধন্যবাদ ।

২৬| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:৩৭

ক্যাটম্যান বলেছেন: @মাসূদ রানা
রেশলান প্রশ্নগুলোর জন্য ধন্যবাদ।

কতটুকু দূর করে ? মানুষের সীমিত ইন্দ্রিয় সৃষ্ট বিজ্ঞানেরও যে সীমাবদ্ধতা রয়েছে সেটা আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় ।

একটা উদাহরন দেই, আপনি পরিস্কার পানিতে তাকিয়ে দেখলেন কোন মাছ নাই। পানির গভিরতা আপনি জানেন। সমস্যা আছে আপনি এত গভীরে ডুব দেয়ার ক্ষমতা এখনও আপনার হয়নাই। এখন আপনি নিজের চোখে যতক্ষণ না দেখবেন ততক্ষণ মানবেনই না যে মাছ নাই। আর যখন কেউ আপনাকে বলবে যে মাছ তো নাই, তখন আপনি বলবেন," আচ্ছা ভাল কথা মাছ দেখা যায় না, কিন্তু আমি শেষ মাথা পর্যন্ত ডুব দেইনি এখনও। তাই মাছ যে নাই ,এটা আপনার কাছে বিশ্বাসযোগ্য না। আরেকজন ইতিমধ্যে প্রাপ্ত তথ্য থেকে এটা মেনে নিল মাছ নেই। সাথে সাথে এটাও বলল যখন মাছ পাওয়া যাবে তখন মেনে নিব। মন দিয়েই বিশ্বাস করব, কিন্তু আগে মাছ থাকতে হবে। " এখানে মাছ বলতে রুপক হিসেবে স্রষ্টার অদৃশ্য প্রভাবকে বুঝিয়েছি, স্রষ্টাকে না। সেই প্রভাব এখনো দেখা যায়নি। তাই " মাছ আছে "এটা বলা যুক্তিযুক্ত না।


কম্পিউটারের কথা যেটা বললেন সেই প্রসঙ্গে বলি, ইনফাররেড ডিরেক্টরের কাজ আলোকরশ্মিকে আমাদের দৃষ্টিযোগ্য কোন আলোকে কনভার্ট করে দেখানো যাতে আমরা বুঝতে পারি কোথায় ইনফাররেড রশ্মি আছে। এটাও মানুষই বানিয়েছে। কিন্তু মানুষের ক্ষমতা নেই সরাসরি সেই আলো দেখার। আমাদের স্ব ক্ষমতা দিয়েই আমাদের পুরো ক্ষমতা বিচার করা ন্যায্য নয়। কম্পিউটারের অনেক কাজ আছে যেটা মানুষ কখনো করতে পারবে না, যদিও নির্দেশনা মানুষেরই দেয়া। হ্যাঁ আপনি আগের মন্তব্যে ঠিক বলেছেন "সীমিত ক্ষমতাসম্পন্ন অংগবিন্যাস নিয়ে যদি আপনি আশায় বসে থাকেন স্রষ্টার নিদর্শন দেখবেন তাহলে আপনি বোকার রাজ্যে বাস করছেন " । আমাদের দরকার নাই তো অঙ্গ দিয়ে দেখার, কারন আমাদের কাছে আমাদের অঙ্গ থেকে কোটি গুন উন্নত জন্ত্র আছে।

তাহলে পরে আমাদের বিজ্ঞানীরা এখনও কেন টেস্ট টিউবে chemical evolution ঘটিয়ে প্রান উদ্ভাবনে সক্ষম হচ্ছেন না ?

খুবই খুবই খুবই ধন্যবাদ প্রশ্নটা করার জন্য। আমি আশায় ছিলাম কখন লেখক প্রশ্নটা করবে। আপনি আগে করে দিলেন ভালই হল। খুবই আনন্দের ব্যাপার হচ্ছে বিজ্ঞানিরা এটা করতে সক্ষম হয়েছে। তাও আজকে নয়। আরও ৫ বছর আগে। এমনকি আমাদের দেশেরও স্বনামধন্য পত্রিকাগুলোতেও সেটা এসেছিল। ক্রেগ ভ্যানটার ও তার টিম ২০১০ সালে কৃত্তিম ভাবে ডিএনএ তৈরি করে সিনথেটিক লাইফ ফর্ম তৈরি করেছিল। আপনাকে কিছু আন্তর্জাতিকভাবে সনামধন্য নিউজ সোর্সরের লিঙ্কও দিয়ে দিচ্ছি।
The Telegraph
The Guardian

আপনার সুবিধার্থে এব্যপারে একজন কেমিস্টের গবেষনাউত্তর পর্যবেক্ষন তুলে ধরলাম :: আশা করি উপকৃত হবেন ।
বিতর্কে হার মানানোর জন্য গুগলে সার্চ দিয়ে তখন তথ্য সংগ্রহ করবেন তার আগে অবশই তথ্যপ্রদারকারি সম্পর্কে জেনে নিবেন। তাহলে আশা করি সমৃদ্ধ ও প্রাসঙ্গিক উত্তর দিতে পারবো। Institute for Creation Research আমেরিকার সবচেয়ে কুখ্যাত বিজ্ঞানের অপব্যাখ্যাকারি সংস্থাগুলোর একটি। তারা বাইবেলের সাথে মিল রেখে তাদের সাইন্টেফিক জার্নালগুলো প্রকাশ করে। বাইবেলের Exegesis কেও পরিবর্তন করে বিজ্ঞানের সাথে মিল রাখার মত বিষয়ও আছে তাদের নামের সাথে। এমনকি তাদের তারা যখন রিসার্চ করার জন্য নিয়োগ দেয় তখন তাদের সংস্থা চুক্তি করে নেয় যে যা কিছু প্রকাশ করবে সবকিছু বাইবেলের মোতাবেক যেন হয়। খুজে দেখেন পৃথিবী যে ৬০০০ বছরে তৈরি হয়েছে এমন আর্টিকেলও পাবেন।

ধন্যবাদ আপনাকে।

২৭| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:৩৯

ক্যাটম্যান বলেছেন: শেষ লাইনে
*৬০০০ হাজার বছর আগে হবে

২৮| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৬:১১

মাসূদ রানা বলেছেন: আমাদের দরকার নাই তো অঙ্গ দিয়ে দেখার, কারন আমাদের কাছে আমাদের অঙ্গ থেকে কোটি গুন উন্নত জন্ত্র আছে।

আমাদের অঙ্গ থেকে কোটি গুন উন্নত যে যন্ত্রের কথা আপনি বলছেন, সেটা আমাদের তুলনায় কুটি কুটি গুন উন্নত বটে কিন্তু মহাবিশ্বের রহস্য ভেদ করার ক্ষেত্রে ঠিক ততটাই অনুন্নত,সেকেলে। উদা ::

ইনফাররেড ডিরেক্টরের কাজ আলোকরশ্মিকে আমাদের দৃষ্টিযোগ্য কোন আলোকে কনভার্ট করে দেখানো যাতে আমরা বুঝতে পারি কোথায় ইনফাররেড রশ্মি আছে।

ইনফারেড রে নিয়ে বলছেন, ইনফারেড রে ডিটেক্টর মেশিন এনারজি (টেমপ্যারাচার) আছে এমন সব আলোক রশ্মি ডিটেক্ট করতে সক্ষম ........ কিন্তু যেসকল আলোক রশ্মির কনাসমুহ কোন প্রকার টেমপ্যারাচার কিংবা এনারজি ধারন করে না, সেগুলোকে কি ডিটেক্ট করতে পারে ? পারে না ........ তাহলে এসব ডিটেক্টর মেশিন দিয়ে আপনি কিভাবে এনারজিহীন আলোক রশ্মি দেখার আশা করতে পারেন ?

কম্পিউটারের অনেক কাজ আছে যেটা মানুষ কখনো করতে পারবে না, যদিও নির্দেশনা মানুষেরই দেয়া।

দেখুন, কম্পিউটারের দক্ষতা আমাদের আধুনিক সভ্যতার এক অসামান্য মাইলফলক, তবে সেটা আমাদের এই ছোট্ট পৃথিবীরই ৯৯.৯৯ ভাগ সমস্যা সমাধানেরই অযোগ্য, মহাবিশ্বের সমস্যা তো সেই দূরের হিসাব । উদাহরনস্বরুপ, কম্পিউটার কখনো মহাবিশ্বের প্রান্তসীমা নির্নয় করতে পারবে না । কিংবা মহাবিশ্বের সঠিক তারকারাজি গ্রহ নক্ষত্রের সংখা হিসাব করতে পারবে না । আরে ভাই আমাদের বিজ্ঞান তো আমাদের ওঠোনের গ্রহগুলোতে প্রানের অস্তিত্ব আছে কিনা সেটা নিয়েই চূরান্ত সিদ্ধান্ত দিতে পারছে না । আর মহাবিশ্বের খবরদারি এই নাদান মেশিন কেমনে দিবে ?

ক্রেগ ভ্যানটার ও তার টিম ২০১০ সালে কৃত্তিম ভাবে ডিএনএ তৈরি করে সিনথেটিক লাইফ ফর্ম তৈরি করেছিল।

হাহাহাহা ......... আপনি সম্ভবত নিউজগুলো ভালোভাবে পরেন নাই । জনাব ভ্যানটার সাহেব আসল কাহিনি কি করেছেন সেটা একটু খুলে বলি আপনাকে, ভুল ধারনা দূর হয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ । ভ্যানটার সাহেব প্রথমে একটা ব্যাকটেরিয়ার জিনোম থেকে জিন সংগ্রহ করেন এবং সেখান থেকে একটা ডিএনএ আলাদা করেন। পরবর্তীতে তিনি কম্পিউটারে বিভিন্ন সফটওয়্যারের মাধ্যমে সেই ডিএনএর এক রেপ্লিকেটেড ফরম তৈরী করেন । এবং পূনরায় সেই ব্যাকটেরিয়ার সেলে ঢুকিয়ে দেন । ব্যাকটেরিয়ার বডিতে সেই ডিএনএকে সক্রিয় হতে দেখা যায়...........

এটাকে প্রান সৃষ্টি বলে চালিয়ে দিচ্ছেন কোন দৃষ্টিকোন থেকে ? এটা অনেকটা গাছের ডাল কেটে কলম চারা উতপাদনের মতই ব্যপার । আশা করি যথাযথ উত্তর পাব ......... ধন্যবাদ ।

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৫৫

নৈশ শিকারী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাসুদ রানা ভাই, ক্যাটম্যান সাহেবের লজিক গুলকে খণ্ডন করার জন্য, তবে ক্যাটওম্যানকে আরো কিছু প্রশ্ন করবো আমার লজিকের পক্ষে।

২৯| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৬:১৩

মাসূদ রানা বলেছেন: @ক্যাটম্যান

৩০| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৭

ক্যাটম্যান বলেছেন: @মাসূদ রানা
ধন্যবাদ উত্তরের জন্য।


ক্রেগ ভ্যানটার এর সম্পর্কে যা বললেন। আপনি মরা মানুষ জীবিত করা আর জীবিত অসুস্থ মানুষকে সুস্থ করার মধ্যে পার্থক্য আশা করি বুঝেন। ক্রেগ মৃত প্রাণীতে প্রান এনেছেন, কৃত্তিমভাবে ডিএনএ প্রবেশ করিয়ে। আর আপনি উদাহরন হিসেবে দেখালেন উদ্ভিদের মত ইন্ডিপেন্ডেন্ট কমপ্লেক্স অরগানিজমের সাথে যেটার শরীরের কোন অংশে খাদ্য গেলে সেটা আলাদাভাবে বাচতে পারে। এটাকে আমি অনৈতিক না বলে অজ্ঞতাই মনে করলাম।

ভাই, আপনি বারবার একই জায়গায় আটকে আছেন। আমি বুঝতে পারছি না, আগের লেখাই কপি করে দিব নাকি। যাই হোক, সিম্পলভাবে বলি। কোন বিজ্ঞানিও বলেনি আর আমিও একবারও বলিনি যে, বিজ্ঞান পরিপূর্ণ। অবশই সীমাবদ্ধতা আছে। আর সীমাবদ্ধতা কোথায় আছে সেটাও আমাদের জানা আছে। । তবে বিজ্ঞান কখনোই স্রষ্টার সমস্যা সামধানের যোগ্যতা রাখে না সেটা মনে করা অন্ধবিশ্বাস ছাড়া আর কিছুই না। এখন আপনি সেই "সীমাবদ্ধতা" কে অপব্যবহার করে বিজ্ঞানকে তুচ্ছ ও বিশ্বাস অযোগ্য বলতে চান এটা আপনার ব্যাপার। ২এ ২এ ৪ হয়। যেদিন ৫ এর খোঁজ পাওয়া যাবে, সেদিন Deist হিসেবে নিজেকে অবশই পরিচয় দিব।

৩১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৪৯

নতুন বলেছেন: ক্রেগ ভ্যানটার কি করেছেন তা তার কাছেই শুনুন:: - Click This Link

উনারা যেটা নিয়ে কাজ করছে অনেক নতুন চমকই নিয়ে আসবে।

৩২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৫০

ক্যাটম্যান বলেছেন: আমি তিমি, কুমির, বাদুড়কে এক পর্যায়ের প্রানি বলি নাই, এখানে আপনার বোঝার ভুল হয়েছে আমরা জানি কুমির এবং বাদুড়ের বিভিন্ন প্রজাতি আছে কিন্তু তাদের বাহ্যিক রূপ কিন্তু প্রায় একই রকম এবং এই অবস্থায় তারা প্রায় ২০কোটি বছর যাবৎ টিকে আছে কিন্তু তাদের পরবর্তী মিউটেশনের কোনও লক্ষন কেনো দেখা যাচ্ছেনা? এতো কোটি বছর কি বিবর্তিত হওয়ার জন্য যথেষ্ঠ নয়? আরেকটু পরিষ্কার করে বলি এখন তাদের যেই রূপ আছে সেই রূপ কি আর পরিবর্তন হবেনা? নাকি তাদের বিবর্তন থেমে গেছে?
বিবর্তন থেমে থাকিনি। তবে পরিবেশ ও পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে বিবর্তনের গতি কম বেশি হয়। কেমনটা প্রথম এককোষী প্রাণীর ক্ষেত্রে অনেক সময় লেগে গিয়েছিল।

যেহেতু মিউটেশনের প্রথম পর্যায় গুলো খুব ধীরে হয়েছিল তাই এই ব্যাপার গুলোর শক্ত রেকর্ড বিজ্ঞানীদের কাছে থাকা উচিত ছিলো, কিন্তু তা নেই এটা কি বিজ্ঞানীদের সীমাবদ্ধতা না? তারা প্রথম রেকর্ড হিসেবে আন্দাজে ১কোষ প্রাণির কথা বললো অথচ পরবর্তী রেকর্ড গুলো রাখলোনা লুল।
রেকর্ড আছে। আর আমি বলেছি পরবর্তী স্তরের প্রমান পাওয়া যায় আরও বিলিয়ন বছর পরে। এর মানে এই না যেঁ বিলিয়ন বছরের কোন রেকর্ড তাদের আছে নাই। তারা সেই বিলিয়ন বছরের প্রানের প্রমানও পেয়েছে তবে তা সেই এককোষী প্রাণীর বা তার খুবই কাছাকাছি প্রাণীর। উল্লেখযোগ্য পার্থক্য দেখা যায় প্রায় বিলিয়ন বছর পর

বর্তমান প্রোটোজোয়া পর্বের প্রানি গুলো অনুকুল পরিবেশ থাকা সত্যেও মিউটেশন করে অন্য প্রাণীতে বিবর্তিত হচ্ছেনা কেন? তারাও তো আদি কোষ অ্যামিবার মতো; বরং অ্যামিবার চেয়ে উন্নতও বলা চলে।
মুদ্‌দাকির আপনার ব্যাপারে কিছু ঠিক বলেছিল। যাই হোক। ধরেন, ২ জমজ ভাই একজন বাড়িতে থাকে আরেকজন দেশবিদেশ ঘুরে। ঘরে থাকা ভাইয়ের পরবর্তী লক্ষ প্রজন্ম আসলো তাদের মধ্যে কিছু আবার বাইরেরও গেল। এখন সেই প্রাণীর বিবর্তন সবচেয়ে কম হবে যেঁ পূর্ণপুরুষের পরিবেশ,খাদ্য, পরিস্থিতির থেকে সবচেয়ে কম পৃথক হবে। "বর্তমান" প্রোটোজোয়া পর্বের প্রাণীগুলোর আগের জেনারেশন বিবর্তনের শাখার অন্য প্রজাতি থেকে কম প্রথক হয়েছে পূর্বপুরুষের পরিবেশ থেকে। ২টা বইয়ের কথা বলেছি আগের কমেন্ট এ। সেখানে এই ব্যাপারটা আরও সুন্দর করে বলা আছে।


প্রানি বিবর্তনের সবেচেয়ে উল্লেখ যোগ্য এবং গুরুত্ব পূর্ণ পর্ব ছিল পশু এবং উদ্ভিদের পৃথক পর্যায়ে বিবর্তিন হওয়া, অথচ এর কোন রেকর্ড বিজ্ঞানীদের কাছে নেই কেনো? নিশ্চয় বলবেন এটাও বিজ্ঞানের গ্যাপ!
যথেষ্ট রেকর্ড আছে। তবে সেটা বিলিয়ন বছর আগ পৃথক হওয়ার ইভেন্ট। এপ থেকে মানুষ হওয়ার যেঁমন শক্ত প্রমান আমাদের আছে রেকর্ডের প্রক্সিমিটি সেখানে এত বেশি নয়।

সরল DNA যুক্ত প্রানের যে গঠনগত পরিবর্তন হলো এবং সরল কোষ থেকে জটিলতর হল এখানে কোন শক্তির প্রভাবে এমন হলো? যদি বলেন প্রকৃতি শক্তি তথা natural selection এর কথা তাহলে এই natuaral selection এর সূক্ষ্ম বিষয়ের পরিচালনা কারি কে?
natural selection না এখানে কাজ করে মিউটেশন। মিউটেশনের পিছনে কাজ করে জিন। যা ডিএনএকে রেপ্লিকেট করে।রেপ্লিকেশনে রেন্ডম ভুল হয় সেখান থেকেই মিউটেশন হয়, জটিলতা আসে। মিউটেশনের পর নতুন প্রান যেঁ শারীরিক ভিন্নতা গ্রহন করে সেটা যদি পরিবেশে অপেক্ষাকিত বেশি টিকে থাকার দাবি রাখে তাহলে সেই মিউটেশন তার পরবর্তী প্রজন্মকে সেই জেনেটিক ইনফো পাস করতে পারে। এখানে পরিচালনাকারির দরকার নেই।


আর আপনার তথ্য মতে আকাশের গ্রহ নক্ষত্র যেমন স্থির নয় তেমনি প্রাণির বিবর্তনও স্থির নয় তাহলে, পশুর মধ্যে প্লাটিপাস, রাজ কাঁকড়া, ল্যাং ফিস আর উদ্ভিদের মধ্যে সাইকাস সেই প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে আজ পর্যন্ত কেন বিবর্তিত নতুন রূপ লাভ করলো না? আপনি জানেন কিনা জানিনা; এই প্রানি গুলোকে বিজ্ঞানীরা জীবন্ত জীবাশ্ন নাম দিয়েছেন। তাহলে কি এই প্রানিদের ক্ষেত্রেও বিবর্তনের নিয়ম প্রযোজ্য না?
প্রথম ও দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরের আশা করি এটা পাবেন।

যেখানে বিজ্ঞান আজ পর্যন্ত বহু সীমাবদ্ধতার মধ্যে ডুবে আছে তা ও সাধারণ পৃথিবি কেন্দ্রিক সৃষ্টির রহস্য নিয়ে, সেখানে পুরো মহাবিশ্বের নিখুঁত পর্যালোচনা কি তারা আসলেই করতে পেরেছে? আজও নিউজে দেখলাম নাসার কেপলার মহাকাশ যানটি প্রায় পৃথিবির মত একটা গ্রহের সন্ধান পেয়েছে আমদের পৃথিবি থেকে ১৪০০ আলোক বর্ষ দূরে, এমন হাজারটা গ্রহের সন্ধান তারা প্রতিনিয়ত পাচ্ছে তাহলে বিগব্যাং এর ১৩৮০ কোটি বছর তারা এত সুনিদৃষ্ট ভাবে কি করে নির্ধারন করলো? যেহেতু সমস্ত গ্রহ থেকে নির্গত গামা-রে আর অবস্থানের গাণিতিক হিসেব করে এই ১৩৮০কোটি বছর নির্ধারন করেছে।
দুটি খুবই ভিন্ন ব্যাপার আর খুবই ভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্ধারণ করা হয়েছে। আপনি বিস্তারিত জানতে চাইলে একটু কষ্ট করে সার্চ দেন কিভাবে বয়স নির্ধারণ করলো।যেখানে সব গ্রহের আবিষ্কারই আজ পর্যন্ত শেষ হয়নাই সেখানে এই হিসেব কতোটা নির্ভুল তা বলারই অপেক্ষা রাখেনা। এইতো গেল কেবল সৃষ্টি রহস্য যা এখনো পুরপুরি শেষ হয়নাই আর স্রষ্টার রহস্য আপনার বিজ্ঞান বের করে ফেলবে বলে আপনি চ্যালেঞ্জ করেন কিভাবে? আগে সৃষ্টির সব রহস্যের জবাব বিজ্ঞান দিক তার পর স্রষ্টা রহস্য খোজার বহু অবসর পাবে, আর ততদিনে হয়তো আপনি আমি থাকবনা এই পৃথিবিতে।
এটা অনেকটা এমন বলা হল, তোমার বয়স তুমি আসলে জান না কারন তুমি এটাই জান না তোমার শরীরে কয়টা লোম আছে।

যেদিন মানুষ স্রষ্টার রহস্য উন্মোচিত করবে সেদিন স্রষ্টা আর মানুষের পার্থক্যই থাকবেনা যা কখনো সম্ভব নয়, হয়তো তার আগেই স্রষ্টা মহা প্রলয় দান করবেন, আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে বোঝার তৌফিক দান করুক আমিন।

আবেগ যেখানে বাসা বাধে যুক্তি সেখানে পরাজিত। সত্য তখন মাথার উপর নিয়ে যায়। মনের মাঝে তখন একটা কথাই বারবার আসে যেঁ যাই বলুক "আমিই সঠিক"

২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:১২

নৈশ শিকারী বলেছেন: প্রথম ১কোষি যখন জন্ম হয়েছিল তখন না হয় পৃথিবির পরিবেশ পরিস্থিতি অনকূলে ছিলনা বিবর্তিত হওয়ার জন্য, কিন্তু কুমির, বাদুর, রাজ কাঁকড়া, প্লাটিপাস, সাইকাস কিন্তু পূর্নাঙ্গ প্রানি ছিল এবং বিবর্তিত হওয়ার জন্য তখন পরিবেশও অনুকুল ছিলো তাহলে তারা বিবর্তিত কেনো হলোনা? অথচ তাদের সম সাময়িক অনেক প্রানিরই বিবর্তন হয়েছিল আপনাদের বিবর্তনের তথ্য মতে, শুধু তাদেরই বিবর্তন কেনো হলোনা?

আমি তো সেই পার্থক্যটাই জানতে চাচ্ছি যে বিলিয়ন বছরে ১কোষী থেকে কোন রূপে বিবর্তিত হয়েছে, আমি এটা জানি যে পরিফেরা পর্বের প্রাণি প্রথম জটিল বৈশিষ্ট সম্পন্ন প্রাণি, তাই এই জটিল বৈশিষ্টের আগের রূপটা আমি জানতে চেয়েছি।

বিজ্ঞান আদি প্রানের উদ্ভাবন কিভাবে ঘটেছিল সেটা সঠিক ভাবে বলতে পারেনাই অথচ, আপনারা এক কোষী থেকে বিবর্তিত হয়ে সমস্ত প্রানি কূলের জন্ম হয়েছে এটা নিশ্চিত ভাবে বলেন, ব্যাপারটা অনেকটা এমন হয়ে গেলনা যে, আমার মগজ আছে কিন্তু মাথা নাই!!!

মুদ্দাকির আমার সম্পর্কে বলেছে আমি বিজ্ঞান জানি না হয়তো আমি আপনার মতো অথবা মুদ্দাকিরের মতো বিজ্ঞান জানি না তাই বলে একেবারে অজ্ঞ ভাবারও কারন নাই, আমার প্রশ্নটার ধরনটা আপনি সম্ভবত বুঝেন নাই আর নয়ত এক ভাই ঘরে আরাক ভাই বাহিরে এই উদাহরন দিয়ে গোঁজামিল দেয়ার চেষ্টা করেছেন, প্রথম আদি কোষ যদি সেই সময়কার এতো প্রতিকূল পরিবেশের সাথে লড়াই করে প্রকৃতি থেকে শক্তি আহরণ করে নিজেকে সরল থেকে জটিল করতে পারে তাহলে এযুগের এতো অনুকুল পরিবেশ এবং খাদ্যের প্রাচুর্য থাকা সত্যেও তারা উল্লেখ যোগ্য বিবর্তন ঘটিয়েও উন্নত প্রাণীতে রূপ লাভ করেছেনা? পরিবেশের অনুকুলতা এবং খাদ্যের প্রাচুর্যতো তাদের বিবর্তনের গতি শতগুন বাড়িয়ে দেয়ার কথা।

DNA কে রেপ্লিকেট করার পিছনে রেন্ডম ভুল করার জন্য যে জিন দায়ি সেটা কোন শক্তির প্রভাবে কাজ করে?

আর দুটি ভিন্ন ব্যাপার হলেও সেটা বিজ্ঞানইতো তাইনা? হয়তো শাখাটা ভিন্ন হতে পারে, আর আপনিই আমাকে আগের একটা কমেন্টে বলেছিলেন বিগব্যাং এর বয়স নির্ণয়ের আমার উল্লেখিত পদ্ধতির কথা।

আমার গায়ের লোম কয়টা সেটা জানা ও হয়তো কোন ব্যাপার না কারন কোন প্রযুক্তি ব্যাবহার করে জানতে পারবো, আর বয়সের ব্যাপারে বলাটাতো বলাই বাহুল্য, কিন্তু ব্যপারটা যদি হয় বাংলাদেশে বসে আফ্রিকার কোনও লোকের বয়স নির্ধারন করতে হবে, তা ও শুধু দূরবীণ ব্যাবহার করে তাহলে ব্যাপারটা কেমন লাগবে? তার উপর যদি যোগ হয় গায়ের লোম নির্ধারনের ব্যাপার তাহলে বুঝতে পারবেন কতো ধানে কতো চাল। এযুগের বিজ্ঞান ও মহাকাশের ব্যাপারে একই রকম পদ্ধতি অবলম্বন করতেছে আর তারা কবে নাগাদ সফল হবে তা অনিশ্চিত।

আপনি নিজে স্বীকার করেছেন যে বিজ্ঞানেরও সীমাবদ্ধতা আছে, তাহলে সেই সীমাবদ্ধ বিজ্ঞান দিয়ে সব কিছু জয় করে ফেলেছেন এটা ভাবা সম্পূর্ণ ভুল, আপনার চিন্তা ধারাকে আরো পরিবর্তন করতে হবে। আরেকটা কথা আমি পজিটিভ ভাবে বলতেছি আপনি আবার নেগেটিভ ভাবে নিয়েন না, আপনার মা আপনাকে পরিচয় করে দিয়েছেন আপনার বাবার সাথে, আর আপনি বিশ্বাসও করেছেন তিনি আপনার বাবা; কিন্তু আপনি কি কোনদিন DNA টেষ্ট করার চিন্তা করেছেন এটা প্রমান করার জন্য যে তিনিই আপনার বাবা? আমাদের স্রষ্টাকে বিশ্বাসের ভিত্তিটাও ঠিক এমন।

আর আপনি সূক্ষ্ম ভাবে আমার নিন্মোক্ত প্রশ্নটা এড়িয়ে গিয়েছিলেন, "প্রানি বিবর্তনের সবেচেয়ে উল্লেখ যোগ্য এবং গুরুত্ব পূর্ণ পর্ব ছিল পশু এবং উদ্ভিদের পৃথক পর্যায়ে বিবর্তিন হওয়া, অথচ এর কোন রেকর্ড বিজ্ঞানীদের কাছে নেই কেনো? নিশ্চয় বলবেন এটাও বিজ্ঞানের গ্যাপ!"
আপনি @মাসুদ রানা ভাইয়ের প্রশ্নের উত্তর এখনও দেন নাই।

৩৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৫৮

ক্যাটম্যান বলেছেন: ### আগের কমেন্টের শেষের অংশগুলো একটু মিশে গিয়েছিল তাই আবার দিলাম

যেখানে বিজ্ঞান আজ পর্যন্ত বহু সীমাবদ্ধতার মধ্যে ডুবে আছে তা ও সাধারণ পৃথিবি কেন্দ্রিক সৃষ্টির রহস্য নিয়ে, সেখানে পুরো মহাবিশ্বের নিখুঁত পর্যালোচনা কি তারা আসলেই করতে পেরেছে? আজও নিউজে দেখলাম নাসার কেপলার মহাকাশ যানটি প্রায় পৃথিবির মত একটা গ্রহের সন্ধান পেয়েছে আমদের পৃথিবি থেকে ১৪০০ আলোক বর্ষ দূরে, এমন হাজারটা গ্রহের সন্ধান তারা প্রতিনিয়ত পাচ্ছে তাহলে বিগব্যাং এর ১৩৮০ কোটি বছর তারা এত সুনিদৃষ্ট ভাবে কি করে নির্ধারন করলো? যেহেতু সমস্ত গ্রহ থেকে নির্গত গামা-রে আর অবস্থানের গাণিতিক হিসেব করে এই ১৩৮০কোটি বছর নির্ধারন করেছে।
দুটি খুবই ভিন্ন ব্যাপার আর খুবই ভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্ধারণ করা হয়েছে। আপনি বিস্তারিত জানতে চাইলে একটু কষ্ট করে সার্চ দেন কিভাবে বয়স নির্ধারণ করলো।

যেখানে সব গ্রহের আবিষ্কারই আজ পর্যন্ত শেষ হয়নাই সেখানে এই হিসেব কতোটা নির্ভুল তা বলারই অপেক্ষা রাখেনা। এইতো গেল কেবল সৃষ্টি রহস্য যা এখনো পুরপুরি শেষ হয়নাই আর স্রষ্টার রহস্য আপনার বিজ্ঞান বের করে ফেলবে বলে আপনি চ্যালেঞ্জ করেন কিভাবে? আগে সৃষ্টির সব রহস্যের জবাব বিজ্ঞান দিক তার পর স্রষ্টা রহস্য খোজার বহু অবসর পাবে, আর ততদিনে হয়তো আপনি আমি থাকবনা এই পৃথিবিতে।
এটা অনেকটা এমন বলা হল, তোমার বয়স তুমি আসলে জান না কারন তুমি এটাই জান না তোমার শরীরে কয়টা লোম আছে।

যেদিন মানুষ স্রষ্টার রহস্য উন্মোচিত করবে সেদিন স্রষ্টা আর মানুষের পার্থক্যই থাকবেনা যা কখনো সম্ভব নয়, হয়তো তার আগেই স্রষ্টা মহা প্রলয় দান করবেন, আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে বোঝার তৌফিক দান করুক আমিন।

আবেগ যেখানে বাসা বাধে যুক্তি সেখানে পরাজিত। সত্য তখন মাথার উপর নিয়ে যায়। মনের মাঝে তখন একটা কথাই বারবার আসে যেঁ যাই বলুক "আমিই সঠিক"

৩৪| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:৩৮

মাসূদ রানা বলেছেন: ক্যাটম্যান বলেছেন : ক্রেগ ভ্যানটার এর সম্পর্কে যা বললেন। আপনি মরা মানুষ জীবিত করা আর জীবিত অসুস্থ মানুষকে সুস্থ করার মধ্যে পার্থক্য আশা করি বুঝেন।

ক্রেগ ভ্যানটারের ব্যাকটরিয়ার ডিএনএ অনুলিপন সংক্রান্ত আর্টিকেলটি আপনার আরো ভালো ভাবে পড়া উচিত । অনুমানের উপর ভিত্তি করে প্রচার প্রপাগান্ডা অনভিপ্রেত ।

ক্রেগ ভ্যানটার যে সেল এ তার ডিএনএ অনুলিপি প্রবেশ করিয়েছেন, সেটা মৃত এমন ধারনা হবার কারন কি ? ডিএনএ অপসারনের সাথে সাথেই কোন অনুজীন মারা যায় না । তাছাড়া আর্টিকেলটির কোথাও এমনটা বলাও হয় নাই যে ক্রেগ ভ্যানটার মৃত একটা ব্যাকটেরিয়াল সেলে ডিএনএ ইনজেক্ট করেছেন । এটাকে আমি অনৈতিক না বলে অজ্ঞতাই মনে করলাম।

তিনি যেটা করেছেন সেটা খুবই সিমপল .......... একটা ব্যকটেরিয়ার জিনোম থেকে ডিএনএ কালেক্ট করেছেন , অতপর সেলটি মারা যাবার পূর্বেই পূর্ব নির্ধারিত ডিএনএ টা সেলে ঢুকিয়ে দিয়েছেন ........ এটা অনেকটা মানব দেহে কিডনী প্রতিস্থাপনের অনুরুপ ।

আশা করি এটার একটা গ্রহনযোগ্য ব্যাখ্যা পাবো :)

ভাই, আপনি বারবার একই জায়গায় আটকে আছেন। আমি বুঝতে পারছি না, আগের লেখাই কপি করে দিব নাকি। যাই হোক, সিম্পলভাবে বলি।

হাহাহাহা ....... দেখেন ভাই , আমরা দুজনেই বাংগালী বাংলায় কথা বলি । অথচ ভাবের আদানপ্রদানে দূরত্ব কত অসীম !
এতোগুলো কমেন্ট করেও আপনাকে আমার ভাবখানা বোঝাতে পারছি না ........ আমার ব্যর্থতা । যাই হোক, আপনার কথা আমি ঠিক ধরতে পেরেছি ।

আপনি বলতে চাচ্ছেন ::

বিজ্ঞান আজকে কিছুটা দূর্বল কিন্তু ভবিষ্যতে এটা সৃষ্টিকর্তার ব্যপারে উপসংহারে আসতে পারবে । এখন পর্যন্ত বিজ্ঞান যতটুকু আবিষ্কার করতে পেরেছে আমাদের ততটুকুই এগোনো উচিত । যখন বিজ্ঞান ২্+২=৫ প্রমান করতে পারবে তখন না হয় তাই বিশ্বাস করা যাবে ।

আপনি আরেকটা পশ্নের উত্তর নিয়ে খোজাখুজি করছেন, মহাবিশ্বে সৃষ্টিকর্তার নিদর্শন কোথায় ?


ঠিক কিনা ?

এবার দেখুন আমার কথাগুলো বোঝেন কিনা ?

প্রথমত, বলি বিজ্ঞান কখোনো সেই উ্চ্চতায় পৌছতে সক্ষম হবে না ....... কারনটা নিচের উদাহরনটা পরলে বোঝবেন আশা করি ::

ধরুন একটা পিপড়া আটলান্টিক মহাসাগড়ে ভাসমান একটা কাচের ফুটবলে ভাসছে .......... পিপড়াটা যদি তার আশেপাশে থাকা সমস্ত কাচ ইভেন গোটা ফুটবলটাকেই ভেংগে কাচগুলোকে নিয়ে একটা দূরবীন বানায়, তাহলেও কি সেটা দিয়ে সে সমুদ্রের তলদেশের ১০ ফুট দুরত্বের বেশী দেখার সৌভাগ্য পাবে ? আর আশেপাশের দশ ফূট এলাকা পর্যবেক্ষন করেই যদি পিপড়াটা এই সিদ্ধান্তে আসে যে সাগরটিতে কোন মাছ নেই, গাছপালা নেই, তলা নেই ইত্যাদি ইত্যাদি সেটাকি যৌক্তিক ?

ব্যপারটা রেশনাল্লি ভাবুন ......... মানব সভ্যতা যদি গোটা পৃথিবীর সমস্ত লোহা, সোনা,কাচ ব্যবহার করেও উন্নত প্রযুক্তি তৈরী করে ......... সেটা নিয়ে সর্বোচ্চ তার আশেপাশের নিকটস্থ ছায়াপথে পৌছলেও পৌছতে পারে । তার বেশী কিছু করার ক্ষমতা আমাদের এই সামান্য মানব সভ্যতার নেই । কেননা মানব মস্তিষ্কের একটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে ।

২+২=৫ হয় না এটা আপনাকে কে বলেছে ভাই ? ডিজিটাল লজিক সিস্টেম বলে একটা কোর্স পড়ানো হয় ইন্জিনিয়ারিং এর ছাত্রদের ....... ওখানে ২+২=৫ হয় । কিভাবে হয় সেটা নিয়ে কৌতুহল থাকলে সেটা নিয়েও বলবো ইনশা আল্লাহ । তবে আমার প্রশ্নটির একটা গ্রহনযোগ্য উত্তর আসা করেছিলাম :: আমাদের আধুনিক রে ডিটেক্টরগুলো এনারজিহীন রে কে ডিটেক্ট করতে সক্ষম নয় ........ তাহলে পরে এসব মেশিন দিয়ে ওসব এনারজিহীন রে না দেখা যাওয়ায় এনারজিহীন রে বলে কিছু নেই এই সিদ্ধান্তে পৌছানি কি বুদ্ধিদীপ্ত ?

আরেকটা কথা বললেন :: আল্লাহ পাকের নিদর্শন কোথায় ?

আকাশের তারকারাজি, গ্রহ উপগ্রহ এসবকিছু কি এমনি এমনিই হলো ? এগুলোই তো মহান সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের সবচেয়ে বড় নিদর্শন ............ এগুলো দেখেও যাদের বোধ কাজ করে না তারা স্বয়ং আল্লাহ পাককে দেখলেও বললে " আমাদের মতিভ্রম হয়েছিল ...... আসলে আমরা সৃষ্টিকর্তাকে দেখিই নি ! "

ভালো থাকুন ।

@নৈশ শিকারী, নিশ্চই ! আন্তরিকভাবে দুঃখিত মাঝখানে ঢুকে পড়ার জন্য ........ আপনি আলোচনা চালিয়ে যান, আমরা দেখছি :)

ধন্যবাদ ।

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৩১

নৈশ শিকারী বলেছেন: ভাই দুঃখিত হওয়ার কোন কারন নাই, আপনার এই সুচিন্তিত মতামত যথেষ্ঠ প্রাসঙ্গিক ছিল, এতো সুন্দর এবং সুচিন্তিত মতামতের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, ভাই আমি হিসাব বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলাম তাই বলে যে বিজ্ঞানের কিছুই জানিনা তা ভূল, আমি বিজ্ঞান নিয়ে এখনো স্টাডি করি এবং যতদিন বেঁচে থাকব করে যাব। বিজ্ঞান যে এখনও হাত, পা, মাথা শূন্য তার প্রমান আমরা ইতিমধ্যে পেয়েছি, অথচ এখানে অনেকে দাবি করে বিজ্ঞান পরিপূর্ণ আর তা দিয়ে স্রষ্টার অস্তিত্বও বের করে ফেলবে, আপাতত আমরা এই ব্যাপারটা নিয়ে হেসেই তৃপ্ত হই সেটাই শোভনীয়, আর ক্যাটম্যানের উত্তরে কিছু গোজামিল পূর্ণ দিক খুজে পেয়েছি এই ব্যাপারে পরে জবাব দিবো, আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো, আমার পাশে থাকবেন এবং দোয়া করবেন এই আশা করি ভাই।

৩৫| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮

নতুন বলেছেন: B-) বিজ্ঞান যে এখনও হাত, পা, মাথা শূন্য তার প্রমান আমরা ইতিমধ্যে পেয়েছি, অথচ এখানে অনেকে দাবি করে বিজ্ঞান পরিপূর্ণ আর তা দিয়ে স্রষ্টার অস্তিত্বও বের করে ফেলবে, আপাতত আমরা এই ব্যাপারটা নিয়ে হেসেই তৃপ্ত হই সেটাই শোভনীয়,

কবুতরে চিঠি পাঠানোর সময় থেকে এখন ইন্টানেটে বসে ইমেইল, ভিডিওচ্যাট,ফোনে কথা বলছেন।

সামান্য ইনফেকসন/ডায়রিয়ায় মারা যাবার থেকে এখন মানুষের শরিরের অঙ্গ বানানোর গবেষনা চললে।

মঙ্গলে বসতির চিন্তা ভাবনা চলছে।<< ক্যাপলার ২ দুরের তারায় পৃথিবির মতন গ্রহ খুজে পেয়েছে।

আর আপনি বলছেন যে ""বিজ্ঞান যে এখনও হাত, পা, মাথা শূন্য তার প্রমান আমরা ইতিমধ্যে পেয়েছি""

আপনার বতমানের দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের কতটুকু প্রভাব আর ধমের কতটুকু সুবিধা নিচ্ছেন। প্রতিটা মুহুতে যা আপনি ব্যবহার করছেন তার পেছনে বিজ্ঞানের অবদান কতটুকু ভুলে যাচ্ছেন?

এটা সম্প্রতিক কয়েক শত বছরের বিজ্ঞান অগ্রগতি... হাজার বছর পরে কি হবে?

ধমের কিন্তু আর কোন নতুন সংস্করন আসবেনা। ( সেটা দরকারও নাই আপনাদের মত)

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩

নৈশ শিকারী বলেছেন: বিজ্ঞানের অবদান আমি অস্বীকার করি নাই, কিন্তু বিজ্ঞান যতটুক আবিষ্কার করেছে ততোটুকু স্রষ্টাকে আবিষ্কারের জন্য যথেষ্ঠ বলে আপনি মনে করেন? আমি হাত, পা, মাথা শূন্য বলেছি এই কারনে যে বিজ্ঞান এখন ১০০% পূর্ণতা পায় নাই, কারন এখন বিজ্ঞান বহু সীমাবদ্ধতায় ডুবে আছে, আগে সেই সীমা বদ্ধতা দূর করে সমগ্র সৃষ্টি জগতের রহস্য দূর করুক তারপর আপনি বিজ্ঞানকে পরিপূর্ণ বলতে পারবেন। আপনাদের বিবর্তন তত্ব অনুযায়ীই রূপক ভাবে বলতে গেলে, বিজ্ঞান এখন হোমোইরাক্টাস পর্যায়ে আছে আরো বহু পথ বাকি আছে হোমসেপিয়েনস পর্যন্ত পৌঁছতে।

আল কোরান এবং ইসলাম মানব জাতির সর্বশেষ বিধান যার রহস্য এখন পুরোপুরি উৎঘাটিত হয়নাই, আগে এর পূর্ণ রহস্য উৎঘাটিত হোক তার পর বলা যাবে এই ধর্মের আপগ্রেড করার দরকার আছে কিনা, ততদিন পর্যন্ত এই ব্যাপারে মন্তব্য না করাই ভাল।

৩৬| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:১৫

জাতি_ধর্ম_বর্ণ বলেছেন: সবই আল্লাহ'র ইচ্ছা, তাঁর হুকুম ছাড়া দুনিয়াতে কিছুই হয় না।

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:১৮

নৈশ শিকারী বলেছেন: হুমমম! কিন্তু অনেকেই ভাবে সব এমনি এমনি পরিচালিত হচ্ছে।

৩৭| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২২

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: <<<<<<
আল কোরান এবং ইসলাম মানব জাতির সর্বশেষ বিধান যার রহস্য এখন পুরোপুরি উৎঘাটিত হয়নাই, আগে এর পূর্ণ রহস্য উৎঘাটিত হোক তার পর বলা যাবে এই ধর্মের আপগ্রেড করার দরকার আছে কিনা, ততদিন পর্যন্ত এই ব্যাপারে মন্তব্য না করাই ভাল।


রহস্যটা যেহেতু শুরু থেকে....আর বিলিওন বছরের..সেটার উত্তর আগামী কালই পাওয়ার আশা করাকি ঠিক?

বিজ্ঞানের গবেষনা বাড়ছে প্রতিদিন... কিন্তু ধমের গবেষনা কমছে প্রতিদিন। কমবে প্রতিদিন।

এই ধর্মের আপগ্রেড করার দরকার আছে কিনা, ততদিন পর্যন্ত এই ব্যাপারে মন্তব্য না করাই ভাল।

ধমের আপগ্রেড কি হচ্ছে না? এখনকি রাসুলের সা: জামানার ধম প্র্যাকটিস প্রচলিত আছে?

সামনের সময়ে আরো অনেক কিছুই পরিবতন হবে। পুরানো ধমের অবস্তা দেখলে বুঝতে পারবেন। হয়তো ইসলামের পরিবতন একটু আস্তে আস্তে হবে।

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:০২

নৈশ শিকারী বলেছেন: ধর্মের রহস্য কি বিলিয়ন বছর যাবৎ পৃথিবিতে আছে? আপনার এই কথাটার সারমর্ম বুঝলাম না,
বিজ্ঞানের গবেষনা বাড়ছে আর ধর্মের গবেষনা কমছে আপনি বুঝলেন কেমনে? যদি ধর্মের গবেষনা কমে যেত তাহলে সাম্প্রতিক সময়ে ১৩৭০বছরের পুরানো কোরানই উদ্ধার হতোনা। মাওলানা আশরাফ আলি থানবির মতো লোকরা কোরান গবেষনা করে আমাদেরকে নতুন দিশা দিত না, আর বর্তমানে, জাকির নায়েকের মতো লোকরা কোরানের নতুন রহস্য উন্মোচন করতো না।

এইটা কি বললেন ভাই? ইসলামের মৌলিক ৫টি বিষয়ের কি কোনও পরিবর্তন হয়েছে? কালেমা, নামাজ, রোযা, হজ্ব, যাকাত এগুলোর কি কোন পরিবর্তন আসছে? শুধু কিছু বিদআত যোগ হয়েছে এটা বলতে পারেন, আর মুল ইসলাম আগে যা ছিলো এখন তাই আছে।

৩৮| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:২৮

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধর্মের রহস্য কি বিলিয়ন বছর যাবৎ পৃথিবিতে আছে? আপনার এই কথাটার সারমর্ম বুঝলাম না,

মানে সৃস্টির রহস্য বিজ্ঞানের মতে এই মহাবিশ্বের সৃস্টি ১৪বিলিওন বছর আগে।

এইটা কি বললেন ভাই? ইসলামের মৌলিক ৫টি বিষয়ের কি কোনও পরিবর্তন হয়েছে? কালেমা, নামাজ, রোযা, হজ্ব, যাকাত এগুলোর কি কোন পরিবর্তন আসছে? শুধু কিছু বিদআত যোগ হয়েছে এটা বলতে পারেন, আর মুল ইসলাম আগে যা ছিলো এখন তাই আছে।

নামাজ কতজন মানুষ ৫ ওয়াক পড়ে? ( মসজিদে গিয়ে জামাতে পড়ার কথা বাদই দিলাম)
হজ্জের আর যাকাত কতজন ঠিক মতন করে? কতজন যাকাত ঠিক মতন দেয়??

আরবি নাম থাকলেই কি মুসলমান হয়? যদি আমি ঠিক মতন ধমের নিয়ম ফলো না করি তাকে কি মুসলমান বলে?

রাসুলের সা: জামানায় এখন মুসলমানের মাঝে বিরাট এভুলুসনারি চেন্জ হয়েছে। সেটা কি বুঝতে পারছেন? আরো হবে।


২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:৫৫

নৈশ শিকারী বলেছেন: আপনার প্রশ্নের বিষয় ছিলো ইসলাম ধর্মের কোনও কিছু আপগ্রেড হয়েছে কিনা! এখানে কে পালন করলো অথবা কে করল না সেটা মুখ্য বিষয় না! আর এই ব্যাপারটা ইসলাম আপগ্রেড হওয়া না হওয়ার সাথেও সামজ্জস্য পূর্ণ না।

৩৯| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:১৭

মাসূদ রানা বলেছেন: @নতুন
নামাজ কতজন মানুষ ৫ ওয়াক পড়ে? ( মসজিদে গিয়ে জামাতে পড়ার কথা বাদই দিলাম)
হজ্জের আর যাকাত কতজন ঠিক মতন করে? কতজন যাকাত ঠিক মতন দেয়??


ধর্মের আপগ্রেড হওয়া মানে ধর্মের মূলনীতিতে পরিবর্তন ঘটা । ইসলামের মূলনীতিতে কি এমন কোন পরিবর্তন ঘটেছে " নামাজ না পড়লেও চলবে কিংবা যাকাত হজ্জ আদায় না করলেও চলবে ? "

ধন্যবাদ নৈশ শিকারী .........কিন্তু ক্যাটম্যানকে তো ধারে কাছে কোথাও দেখা যাচ্ছে না, আমাদের কমেন্টগুলো পড়ে নিজের ভুল বোঝতে পেরেছেন হয়তো :D

২৬ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:২২

নৈশ শিকারী বলেছেন: যথার্থ বলেছেন ভাই, এখানে ক্যাটম্যান সাহেব বৈজ্ঞানিক উধ্বৃতি দিতে দিতে ব্লগটাকে বিজ্ঞান কোষ বানিয়ে ফেলেছেন, আর এই পোস্টের মূল বিষয় ছিলো আমার প্রশ্ন গুলোর গোড়ার উত্তর দেয়া অথচ তিনি আমার প্রতিটা প্রশ্নকে দীর্ঘায়িতই করেছেন মাত্র, কিন্তু এর গোড়ার দিকের মূল ব্যাপার গুলো বিজ্ঞানের গ্যাপ বলে চালিয়েছেন, আমার কথা হলোও যেই বিজ্ঞান এতো গ্যাপ পূর্ণ সেই বিজ্ঞান দিয়ে সৃষ্টি কর্তার রহস্য উন্মোচন করার দাবি তিনি রাখেন কিভাবে? যে সৃষ্টি তত্ত্বের বহু ব্যাপারই এখনো পর্যন্ত বিজ্ঞানের অধরা তা ও সেগুলো শুধু পৃথিবি কেন্দ্রিক। আর মহা বিশ্বের বারম্বরে না হয় না ই গেলাম।

৪০| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৫৯

নতুন বলেছেন: ধর্মের আপগ্রেড হওয়া মানে ধর্মের মূলনীতিতে পরিবর্তন ঘটা । ইসলামের মূলনীতিতে কি এমন কোন পরিবর্তন ঘটেছে " নামাজ না পড়লেও চলবে কিংবা যাকাত হজ্জ আদায় না করলেও চলবে ? "

আপগ্রেড একদিনে হয়না। এখন মানুষ ধীরে ধীরে নামাজ পড়ছে না।... ধমে নামাজ না পড়ার জন্য শাসনের বিধান আছে...পিতামাতা কতটুকু করে??

যাকাত এখন কাপড় কিনে দেবার দিকে চলে যাচ্ছে।<<

বিজ্ঞান সামনের দিকে আপগ্রেড হচ্ছে... আর ধম যাচ্ছে গুটিয়ে যাবার দিকে...

হাজার বছর আগে জোরোআস্টেক একটা ধম চালু করেছিলো... হয়তো এখনো তার কিছু ফলোয়ার আছে... তেমনি সব ধমেরই কিছু না কিছু ফলোয়ার থাকবে।

এখনো অনেকের নামের পেছনে জমিদারী টাইটেল ব্যবহার করে... কিন্তু জমিদারী প্রথা অনেক আগেই শেষ...

আপনি আপনার ছোট বেলায় যেই পরিমান ধমের ভীরুতা এবং প্রাকটিস দেখেছেন...এখন তারচেয়ে অনেক কম দেখছেন.... বুড়ো বয়সে আরো অনেক কমপ্রাকটিস দেখবেন সেটা গেরান্টি দিতে পারি।

৪১| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৫৭

ক্যাটম্যান বলেছেন: @মাসুদ রানা
প্রানের মৌলিকতা হচ্ছে তার ডিএনএ। এটা না থাকা মানে সেটা প্রান না। সমস্যা হচ্ছে আমরা যখন "প্রান" কে সজ্ঞায়িত করতে যাই, বিশেষ করে সাধারন মানুষ, আমাদের কল্পনায় বারবার আমাদের হৃদপিণ্ড বা মস্তিষ্ক আসে পরে। একটা ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে এটা খুবই সরল ও ভিন্ন । শরীরের একটা অংশকে রিপ্লেস করা আর একটা ডিএনএহীন সেলে কৃত্তিমভাবে ডিএনএ ঢুকানোও কোন এক কথা না। সে আর্টিকেলগুলো দিয়েছি আপনি ঠিকভাবে পরেছেন কি না জানি না। সিনথেটিক ডিএনএ কি,ডিএনএ কাকে বলে, ডিএনএ'র কাজ কি এই বেসিক জিনিসগুলো জেনে তারপর আমাদের এই বিষয়ে বলা উচিত।

প্যারাডক্স ব্যবহার করে ২+২ আপনি ৫ বানাতে পারবেন, তবে সেটাকে এখানে কোন যুক্তিতে আনলেন সেটা বুঝলাম না। প্যারাডক্স ব্যবহার করে তো আপনি অসীম সংখ্যক স্রষ্টা বা একটা সাপের বয়সকেও অনন্তকাল বানাতে পারবেন।

ব্যস্ততার কারনে দেরি হয়েছে। "কিন্তু ক্যাটম্যানকে তো ধারে কাছে কোথাও দেখা যাচ্ছে না, আমাদের কমেন্টগুলো পড়ে নিজের ভুল বোঝতে পেরেছেন হয়তো" । ভাই নিজের মনে মনে কথা বানায় নেয়া উম্মাদের কাজ।

@লেখক
আপনি যেঁ যেঁ বিষয়গুলো বারবার জিজ্ঞেস করছেন সে কেন সেই অবস্থায় আসে, সেটা আগের কমেন্টেই সুন্দর করে বলার চেষ্টা করেছি। আপনি একটু কষ্ট করে ধর্মীয় ব্লগগুলো থেকে বিবর্তনের ধারনা না নিয়ে যদি সাইন্স বিবর্তন নিয়ে কি বলে, বিবর্তন কিভাবে কাজ করে এই বিষয়গুলো দেখতেন তাহলে এত বেসিক লেভেলের প্রশ্ন করতেন না। ব্লগটা বিশ্বকোষ হয়ে গিয়েছে কারন আপনি প্রসঙ্গ থেকে সরে গিয়ে বিরতনকে জানার চেষ্টা করেছেন। আমি চেষ্টা করেছি উত্তর দিতে কোন রকম কার্পণ্য না করার। তবে এত দূর আসার পর বিবর্তন সম্পর্কে এত বেসিক প্রশ্ন করার পর মনে হচ্ছিল বিবর্তন সম্পর্কে আপনার ধারনা আপনার বিশ্বাসের উপর বেশি নির্ভরশীল, জ্ঞানের উপর না।তাই আমার মনে হয় আপনার কিছু জিনিস নিজে থেকে জেনে নেওয়া উচিত বিতর্ক শুরু করার আগে। Quora খুব ভাল একটা সাইট, সেটায় বিবর্তন নিয়ে অনেক বিজ্ঞানি উত্তর দিয়ে থাকে, সেখান থেকে সাহায্য নিতে পারেন।

আশা করি আমার ভিউ, ধার্মিকদের ভিউ আর নাস্তিকদের ভিউ কমপক্ষে এই ব্যাপারে একমত যেঁ বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা আছে। আমি বা আপনি জানি না যেঁ সেই সীমাটা কোথায়। আপনি বারবার বলছেন স্রষ্টাকে প্রমান করতে পারবে না, যোগ্যতা নেই ইত্যাদি ইত্যাদি। আমার উত্তর হচ্ছে আমি জানি না বিজ্ঞানের সীমা কই। তবে দাবি করা যেঁ বিজ্ঞান কোন একটা বিষয়ে কখনোই যোগ্যতা রাখবে না এটা বলাটা সুধুই বিশ্বাস। অনেকটা আপনার ডিএনএ টেস্টরের মত, আপনার বাবা আপনাকে অনেক ভালবাসে তাই আপনি বিশ্বাস করে নিয়েছেন সে আপনার জেনেটিক ফাদার। এটা বিশ্বাস, আর বিশ্বাস কখনও নিশ্চয়তা দেয়না।
দালাই লামা একবার একটা কথা বলেছিল, " বিজ্ঞান যদি আমার ধর্মকে ভুল প্রমান করে তাহলে ধর্মকেই বদলাতে হবে"।

২৮ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:২৩

নৈশ শিকারী বলেছেন: আপনি আগের কমেন্টে যেই উত্তর গুলো আমাকে দিয়েছেন বলে দাবি করতেছেন সেগুলো গোঁজামিল পূর্ণ এবং অগ্রহন যোগ্য মনে হয়েছে কেন হয়েছে তার ব্যাখ্যা আমার প্রতি উত্তরে দিয়েছি।

আমি শুধু ধর্মীয় ব্লগ থেকে ধারনা নিয়ে আপনার সাথে বিবর্তন বাদ প্রসঙ্গে তর্ক্ করছি সেটা আপনি জানলেন কিভাবে? আমি শুধু ধর্মীয় ব্লগ দিয়ে আধুনিক বিবর্তনবাদের ধারনার তুলনা করেছি মাত্র, নিজের মনে মনে কথা বানিয়ে নেয়া উন্মাদের কাজ হলে আপনি আমার ধারনা সম্পর্কে মনে মনে যা বানিয়ে নিলেন সেটা কি সুস্থ মানুষের কাজ হলো? আমার এই বেসিক লেভেলের প্রশ্ন গুলো করার কারন আপনার বিজ্ঞান এখানেই আটকে আছে অথবা নিজের মনগড়া একটা আজগুবি উধ্বৃতি দিয়ে চালিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছে আর কোনও যুক্তিতে না পৌঁছতে পারলে বিজ্ঞানের গ্যাপ বলে চালিয়ে দিয়েছে।

আবার হাসাইলেন, আমি আমার ব্লগের কোন প্রসঙ্গ থেকে সরে আসছি? আপনি মন্তব্য করতে করতে হয়তো ভূলে গেছেন যে আমার ব্লগে দ্বিতীয় প্রশ্নটাই ছিল বিবর্তনবাদ প্রসঙ্গে। আপনি কষ্ট করে আমাকে বিবর্তনবাদ সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছেন সেজন্য আমি কৃতজ্ঞ কিন্তু আপনি যা যা আমাকে বুঝিয়েছেন তার অধিকাংশই আমি জানতাম।
আর আপনি আমাকে এপর্যন্ত যতগুলো উত্তর দিয়েছেন তার কোনটাই স্রষ্টা নাই এটা বোঝাতে ১০% ও সক্ষম হয় নাই, আর কেন হয় নাই তা আমার পূর্বের বহু প্রতি উত্তরে প্রকাশ করেছি, আপনি আমার ব্লগে করা সারাংশ টাইপের প্রশ্ন গুলোকেই প্রবন্ধ রচনায় রূপান্তরিত করেছেন আর গোড়ার যুক্তি গুলোকে বিজ্ঞানের গ্যাপ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। সত্যি কথা বলতে কি, আপনার বিজ্ঞানের প্রতি অগাধ বিশ্বাস দেখে মনে হচ্ছে আপনি বিজ্ঞানের ব্যাপারে যুক্তির চেয়ে বিশ্বাসের উপর বেশী আস্থাশীল। পার্থক্য শুধু এতটুকুই আমি স্রষ্টার সীমা বদ্ধতা মানিনা আর আপনি বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা মানেন।

তাছাড়া বিজ্ঞান যেহেতু এখনো সৃষ্টির মধ্যেই বিভিন্ন সীমাবদ্ধতায় পরিপূর্ণ তাই আগে সেই সীমাবদ্ধতা দূর করুক পরে স্রষ্টা আছে কি নাই তার গবেষনা করুক, আর সবচেয়ে বড় কথা হলো স্রষ্টা নিয়ে গবেষনা বিজ্ঞানের কাজ না কারন স্রষ্টা তত্ত্ব বিজ্ঞানের সকল তথ্য প্রযুক্তির উর্ধে, আর পৃথিবিতে এই বিষয় নিয়ে গবেষনা করার ল্যাব আছে বলেও আমার জানা নাই, কিন্তু ধিক্কার দিতে মনে চায় ঐসব মুক্তমনাদের যারা বিজ্ঞান দিয়ে ধর্মকে অপমান করার চেষ্টা করে।

"বিশ্বাস কখনো নিশ্চয়তা দেয়না" এই কথাটা বলে আপনিই আপনার জেনেটিক পিতার প্রতি অনিশ্চয়তার আঙ্গুল তোললেন, যদিও কথাটা শ্রুতি কটু। আর কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিশ্চয়তা খোঁজাটা সুস্থ মানসিকতার পরিচয় দেয় বলে আমার মনে হয়না, আমার পিতাকে আসল প্রমান করার জন্য আমার DNA টেস্টের দরকার নাই কারন আমার বিশ্বাসই আমার নিশ্চয়তা।

শেষে শুধু এতটুকুই বলতে চাই, সব ক্যানসারের চিকিৎসা থাকলেও মনের মধ্যে যদি অনিশ্চয়তার ক্যানসার হয় তার কোনো প্রকার কেমথেরাপি দিয়ে চিকিৎসা হয়না, তার একমাত্র চিকিৎসা মনকে অনিশ্চয়তা মুক্ত করে আস্থাশীল হওয়া। আপনাকে এখানে অনেক ব্যাপারে প্রশ্ন করে বিরক্ত করেছি সেজন্য আমি দুঃখিত, আমার ইশ্বর আল্লাহ আমি এই বিশ্বাস নিয়েই সুখি থাকতে চাই, আপনার ইশ্বর বিজ্ঞান আপনিও তাকে নিয়ে সুখি হউন। আমার আদি পিতা হযরত আদম (আ: ) এটাই আমার মনের সন্তুষ্টি, আপনার আদি পিতা বানর গোত্রীয় প্রাইমেট আপনিও এটা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকুন। আমার ধর্ম ইসলাম আর আপনার ধর্ম বিজ্ঞান। আমার ধর্ম গ্রন্থ আল কোরান, আর আপনার ধর্ম গ্রন্থ ফিজিকস, কেমেস্ট্রি, বায়োলজি, জুয়োলজি ইত্যাদি। এইবার আপনি আপনার ধর্ম নিয়ে ভাল থাকেন আর আমিও আমার ধর্ম নিয়ে সুখী থাকি এটাই হয়তো উভয়ের জন্য মঙ্গল। শুভ কামনা রইলো, ভালো থাকবেন।

৪২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:০৭

জিয়া চৌধুরী বলেছেন: আমি দুঃখিত বড় বড় বাকচাতুরি পূর্ণ কথার জবাব দিতে না পারার জন্য। কারণ আমি আমার প্রশ্নের গ্রহণযোগ্য কোন উত্তর পাইনি। শুধু কিছু চাতুরিপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে যে পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে গিয়েই প্রাণী জগতে বিবর্তন হচ্ছে।
তাহলে এত লক্ষ বছর পানিতে কাটানোর পরও কেন তিমি বা তিমি গোত্রীয় প্রাণী ফুসফুস দিয়ে নিশ্বাস নিচ্ছে বা ডিম না পেড়ে সন্তান প্রসব করছে। বা কেন তারা স্থলে উঠে আসছেনা। কেন বাদুড় দিনে দেখতে পায়না, মান্ধাতার আমলের সাউন্ড সিস্টেমে পথ চলে। কেন সাপ কানে শোনেনা কিংবা গরু কালার ব্লাইন্ড?

২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৮

নৈশ শিকারী বলেছেন: ভাই তিমির কথা না হয় বাদই
দিলাম, আপনি ল্যাং ফিসের কথা চিন্তা করে দেখুন মাছ হওয়া সত্ত্বেও সেই প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে আজ পর্যন্ত তাদের বিবর্তন হয়নাই + এখন পর্যন্ত তারা নিশ্বাস নিতে ফুসফুস ব্যাবহার করে। এর ব্যাখ্যা কি বিবর্তন দিতে
পেরেছে? @জিয়া চৌধুরী

৪৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:১৮

জিয়া চৌধুরী বলেছেন: আমার প্রশ্নগুলোর সোজা সাপটা উত্তর আশা করছিলাম। ঘুরানো প্যাচানো উত্তর নয়। আগের প্রশ্নগুলো সহ সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলে দিবেন। ঘোরানো প্যাচানো উত্তর না দেয়ার জন্য অগ্রীম ধন্যবাদ।

৪৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৭:১৩

মাসূদ রানা বলেছেন: @নৈশ শিকারী,

আমিও তাই বলি । ক্যাটম্যানের কথাগুলো আমার কাছে বরাবরই অপরিপক্ক মনে হয়েছে , গোজামিল টাইপের ;)

@ক্যাটম্যান

সিনথেটিক ডিএনএ কি,ডিএনএ কাকে বলে, ডিএনএ'র কাজ কি এই বেসিক জিনিসগুলো জেনে তারপর আমাদের এই বিষয়ে বলা উচিত।

নিশ্চই, আপনিই বলুন সিনথ্যাটিক ডিএনএ কি ও ডিএনএর কাজ কি ?

@নতুন,
আপগ্রেড একদিনে হয়না।

যেদিন আপগ্রেডেড হবে সেদিন না হয় বলবেন ইসলাম আপগ্রেডেড হয়েছে । দয়া করে এখনই এসব বলা থেকে বিরত থাকুন :)

২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬

নৈশ শিকারী বলেছেন: জাঝাকাল্লাহ ভাই পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

৪৫| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৫৫

ক্যাটম্যান বলেছেন: @জিয়া চৌধুরী
তিমি মাছ আগে একপ্রকার উভচর প্রাণী থেকে বিবর্তিত হয়েছে। তাদের শরীরে এখনও অনেক অংগ আছে যা ডাঙ্গার প্রাণীর মধ্যে থাকে। লক্ষ লক্ষ বছরের বিব্রতনের কারনে তাদের চামড়ার পরিবর্তন এসেছে। তাদের ডানার মধ্যেও আপনি উভচর প্রাণীর পায়ের মত কংকাল দেখতে পারবেন। যা কালের বিবর্তনে আসতে আসতে মিশে যাচ্ছে। আমি উপরে তিমির বিবর্তন নিয়ে একটি ভিডিও লিঙ্ক দিয়েছি অখানে পরিস্কার করে বলা আছে। বাদুড়ও দেখতে পায় দিনে। এটা একটা ভুল পারসেপ্সন। তারা রাতে আশেপাশের আকার বোঝার জন্য আওয়াজ ব্যবহার করে যখন আলো কম থাকে। অতিতে অন্ধকারে শ্রবণশক্তি ব্যবহার করে যারা পথ খুজে নিতে পারতো তাদের বেচে থাকার সম্ভাবনা বেশি ছিল। লক্ষ লক্ষ বছরে সেই গুন তাদের জেনেটিক ইনফোরমেশনে বহন হতে থাকে। সেই বৈশিষ্ট্যগুলো বিকাশ প্রায় তাদের প্রজন্মের পর প্রজন্মে। সাপের ইনফাররেড দৃষ্টি আছে, তাদের তাদের খাদ্য আহরণের জন্য শ্রবণ হয়ত প্রয়োজন পড়েনি তাই কোটি কোটি বছরে সেই জেনেটিক ইনফো বহন হয়নি। পৃথিবীর প্রতিটি প্রানের ক্ষেত্রেও একই নিয়মে ঘটে। সময় পেলে একটা ব্লগ লিখব বিবর্তন নিয়ে।

@মাসূদ রানা
গুগল নামের একটা সার্চ ইঞ্জিন আছে। আশা করি সুনার কথা। আমরা যখন কোন কিছু না জানি তখন অখানে খুজে এরপর অথেনটিক সোর্স থেকে তথ্য জেনে লই। কোন লেখনি নিয়ে আলাপ করতে আসেন অথচ বর্ণমালাই যদি না জানেন এটা আপনার অজ্ঞতা। আমার কাজ লেখনি নিয়ে আলাপ করা আপনাকে বর্ণমালা শিখানো না।

৪৬| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৫:০৬

মাসূদ রানা বলেছেন: @ক্যাটম্যান, আপনাকে একটা প্রশ্ন করা হয়েছে । উত্তর না দিলে সবাই ভাববে আপনি জ্ঞানের দরিদ্রতা প্রকাশ হয়ে যাবার ভয়ে ভগিজগি কথা বলে এড়িয়ে যেতে চাচ্ছেন ।

গুগল নামের একটা সার্চ ইঞ্জিন আছে। আশা করি সুনার কথা। আমরা যখন কোন কিছু না জানি তখন অখানে খুজে এরপর অথেনটিক সোর্স থেকে তথ্য জেনে লই।

শব্দটি "সুনার" হবে না "শোনার" হবে । এই লেভেলে এসে এতো মারাত্মক ভুল করলে চলবে ? পড়াশোনা কোন ক্লাস অব্দি ?

আর গুগলের পড়াশোনা ও একাডেমিক পড়াশোনার মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে । আপনি যদি একাডেমিকভাবে জিনেটিকস নিয়ে গবেষনা না করেন, তাহলে এসব ব্যপার সম্পর্কে অনেক মিসকনসেপ্ট পেতে পারেন।

গুগল থেকে জেনে জেনে ডাক্তারী করা যেমন রিস্কি, জিনেটিকস সম্পকে জানার চেষ্টাও তেমন রিস্কি .......... এতে করে জানার পরিবর্তে অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী হবার চান্সই বেশী।

ভালো থাকুন ।

৪৭| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:২৮

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: চমৎকার যুক্তি-পাল্টা যক্তি চলছে...পোস্টের থেকে কমেন্টগুলোই অধিকতর আকর্ষনীয় ;) চলতে থাকুক।

তবে আমি বলি কি, বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা সময়ের সাথে সাথে বিজ্ঞানীরা ন হয় দূর করবেন কিন্তু ধর্মের (সকল ধর্ম) সীমাবদ্ধতা দূর করবে কে? সময়য়ের সংগে সংগে ধর্ম এবং বাস্তবতার (আমি বিজ্ঞান বলছি না) বিরোধ বাড়তেই থাকবে। আর যদি বলেন, ধর্মে কোন সীমাবদ্ধতা নেই, তবে তো কথা শেষ।

উভয়পক্ষকে ধন্যবাদ।

২৯ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৮

নৈশ শিকারী বলেছেন: মন্ত্যব্যের জন্য ধন্যবাদ, অন্য ধর্মের ব্যাপারে জানিনা, তবে ইসলাম ধর্ম একটা প্রগতিশীল ধর্ম, এই ধর্মের রহস্য শতভাগ যেদিন উন্মোচন হবে সেদিন দেখবেন ইসলাম বিজ্ঞানের সাথে মোটেই সাংঘরসিক না। বর্তমানেও পবিত্র কোরানের বহু বৈজ্ঞানিক উধৃতি আছে যেগুলো আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে সামজ্জস্য পূর্ন।

৪৮| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ২:৫৬

নতুন বলেছেন: মাসূদ রানা বলেছেন: << @নতুন,
আপগ্রেড একদিনে হয়না। যেদিন আপগ্রেডেড হবে সেদিন না হয় বলবেন ইসলাম আপগ্রেডেড হয়েছে । দয়া করে এখনই এসব বলা থেকে বিরত থাকুন


ভাই এইখানে লিখতে গিয়ে আধুনিক বিজ্ঞানের অনেক সুবিধা নিয়েও যদি লেখক বলে যে তিনি এখনো বিজ্ঞানের হাত/মাথা কিছুই পায়নাই.... তিনি সেটা বলতে পারলে ধমের আপগ্রেডের কথা বলা যাবেনা?

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: চমৎকার যুক্তি-পাল্টা যক্তি চলছে.<<< আর যদি বলেন, ধর্মে কোন সীমাবদ্ধতা নেই, তবে তো কথা শেষ।


আমরা যারা বিজ্ঞানের পক্ষে বলছি তারা কিন্তু সব সময়েই স্বীকার করি যে বিজ্ঞানই পারে সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করতে এবং সময়ের সাথে আরো পরিপূন হবে বিজ্ঞান। কিন্তু ধামিকরা তো তালগাছ ধরেই বসে থাকবে। এবং সেটা অবশ্যই বাস্তব দুনিয়া থেকে তাদের অনেক দুরে ঠেলে দেবে।

৩০ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:২৭

নৈশ শিকারী বলেছেন: আপনার মন্তব্যটা পড়ে @মাসুদ রানা ভাইয়ের এই,
"ধরুন একটা পিপড়া আটলান্টিক
মহাসাগড়ে ভাসমান একটা কাচের
ফুটবলে ভাসছে .......... পিপড়াটা যদি
তার আশেপাশে থাকা সমস্ত কাচ ইভেন
গোটা ফুটবলটাকেই ভেংগে কাচগুলোকে
নিয়ে একটা দূরবীন বানায়, তাহলেও কি
সেটা দিয়ে সে সমুদ্রের তলদেশের ১০ ফুট
দুরত্বের বেশী দেখার সৌভাগ্য পাবে ?
আর আশেপাশের দশ ফূট এলাকা
পর্যবেক্ষন করেই যদি পিপড়াটা এই
সিদ্ধান্তে আসে যে সাগরটিতে কোন
মাছ নেই, গাছপালা নেই, তলা নেই
ইত্যাদি ইত্যাদি সেটাকি যৌক্তিক ?" মন্তব্যটার কথা মনে পরে গেল। আমরা বিজ্ঞানের হাজারও সুবিধা ভোগ করছি এটা সত্য কিন্তু বিজ্ঞানের এই আধুনিকতা পৃথিবীর বাহিরের তথা মহাবিশ্বের সর্ব রহস্য উন্মোচনের ক্ষেত্রে কতোটা আধুনিক; যেখানে বিজ্ঞান মহাশূন্যের সীমানাই নির্ধারন করতে পারে নাই। পৃথিবীর বহু রহস্যেই যেখানে বিজ্ঞান এখনো সর্ব সমাধান করতে পারে নাই সেখানে এতো ওভার কনফিডেনট্ হওয়ার কিছু নাই। একটা পিপড়ার সর্বোচ্চ ক্ষমতা আছে টিলা দেখার; হিমালয় পর্বত দেখার ক্ষমতা পিপড়ার নাই। বিজ্ঞান আগে টিলা অর্থাৎ (পৃথিবী) জয় করুক তারপর হিমালয় (মহাবিশ্ব) জয় করতে পারে কিনা সেটা দেখার বিষয়। আশা করি এখন আরো পরিস্কার হয়েছেন কেন বিজ্ঞানকে হাত,পা,মাথা শূন্য বলেছি।

৪৯| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭

নতুন বলেছেন: আপনারা বিশ্বাসী যে বিজ্ঞানের ক্ষমতা নাই যে সৃস্টির রহস্য উন্মোচন করবে কারন মানুষের লিমিটেসন আছে।

এই মহাবিশ্বে এখন পযন্ত মানুষই তার লিমিটেসন অতিক্রম করতে পারবে। এবং করছে।

আর আপনার পিপড়ার গল্প???? << আরো একটু এড করুন তবেই দেখবেন গল্পটি পরিস্কার হয় কিনা।

ঐ পিপড়াটি সাগরের ভাসমান অবস্হায় কাচ দিয়ে একটি সংকেত প্রদানের যন্ত্র বানায় ( যদি যে দূরবীন বানাতে পারে তবে যেকোন কিছুই পারবে)

তখন পাড়ে থাকা কাউকে সূযের আলো প্রতিফলন করিয়ে মোস কোডের মাধ্যমে সাহাজ্য চইবে। তখন তার জন্য সাবমেরিন পাঠাবে যেটা দিয়ে পুরো সাগর পযবেক্ষন করতে পারবে।
* যেই সাবমেরিন যতদিন ইচ্ছা পানির নিচে থাকতে পারবে।
* সাগর থেকে জ্বালিনী/খাদ্য/অক্সিজেন সংগ্রহ করবে।

মানুষের শরীরের গঠনের সীমাবদ্ধতার জন্য মানুষের পক্ষে হিমালয়ের চুড়ায় উঠা কস্ট সাধ্য<<< তাও জয় করেছে।
মানুষের শরীরের গঠনের সীমাবদ্ধতার জন্য মানুষের পক্ষে সাগরের গভীরে ম্যারিয়ানা ট্রেন্ঞে যাওয়া অসম্ভভ<< কিন্তু তা গিয়েছে
মানুষের শরীরের গঠনের সীমাবদ্ধতার জন্য মানুষের পক্ষে মহাশুন্যে ভ্রমন বা চাদে যাওয়াও অসম্ভব<< কিন্তু এখন খুবই সম্ভব

এতো কিছুর পরেও আপনারা পিপড়া/বামন আর কলসী/কাক আর কলসীর কাহিনি বানান???

মানুষই পারে তার সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করতে। মানুষই পারবে মিলিওন বিলিওন আলকবষ ভ্রমন করার মতন স্পেসসীপ বানাতে এবং ভ্রমন করতে।

কবুতর দিয়ে চিঠি দেওয়ার কথা আপনি শুনেছেন..চিঠি,টেলিগ্রাম,ফ্যাক্স দেখেছে(এখন প্রায় বিলুপ্ত)...ইমেইল করছেন<<< সামনে আরো কি কি হতে পারে???

আমরা বিজ্ঞানের হাজারও সুবিধা ভোগ করছি এটা সত্য কিন্তু বিজ্ঞানের এই আধুনিকতা পৃথিবীর বাহিরের তথা মহাবিশ্বের সর্ব রহস্য উন্মোচনের ক্ষেত্রে কতোটা আধুনিক; যেখানে বিজ্ঞান মহাশূন্যের সীমানাই নির্ধারন করতে পারে নাই। পৃথিবীর বহু রহস্যেই যেখানে বিজ্ঞান এখনো সর্ব সমাধান করতে পারে নাই সেখানে এতো ওভার কনফিডেনট্ হওয়ার কিছু নাই। একটা পিপড়ার সর্বোচ্চ ক্ষমতা আছে টিলা দেখার; হিমালয় পর্বত দেখার ক্ষমতা পিপড়ার নাই। বিজ্ঞান আগে টিলা অর্থাৎ (পৃথিবী) জয় করুক তারপর হিমালয় (মহাবিশ্ব) জয় করতে পারে কিনা সেটা দেখার বিষয়। আশা করি এখন আরো পরিস্কার হয়েছেন কেন বিজ্ঞানকে হাত,পা,মাথা শূন্য বলেছি।

৩০ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:২৮

নৈশ শিকারী বলেছেন: "ঐ পিপড়াটি সাগরের ভাসমান অবস্হায়
কাচ দিয়ে একটি সংকেত প্রদানের যন্ত্র
বানায় ( যদি যে দূরবীন বানাতে পারে
তবে যেকোন কিছুই পারবে)
তখন পাড়ে থাকা কাউকে সূযের আলো
প্রতিফলন করিয়ে মোস কোডের
মাধ্যমে সাহাজ্য চইবে। তখন তার জন্য
সাবমেরিন পাঠাবে যেটা দিয়ে পুরো
সাগর পযবেক্ষন করতে পারবে।
* যেই সাবমেরিন যতদিন ইচ্ছা পানির
নিচে থাকতে পারবে।
* সাগর থেকে জ্বালিনী/খাদ্য/
অক্সিজেন সংগ্রহ করবে।"

যা কিছু বানাক না কেন সেটা তার কাচের বলের মধ্যকার উপকরন দিয়েই বানাতে হবে; আর সেই উপকরন কতোটা পর্যাপ্ত সমগ্র মহা সমুদ্র জয়ের ক্ষেত্রে? আরেকটু পরিস্কার করে বলি, সমগ্র ব্রহ্মান্ডের তুলনায় পৃথিবীর আয়তন একটা অনুজীব সদৃশ্য সেখানে এই অনুজীবের ব্যবচ্ছেদ করে এর ভিতর স্থিত জিন বা তার চেয়ে ক্ষুদ্র উপকরন দিয়ে সমগ্র মহাবিশ্বের পোস্টমর্টেম করার চিন্তা করা আর আদার ব্যাপারি হয়ে জাহাজের খবর নেয়ার মত ব্যাপার না? তবে হ্যা সেই উপকরন দিয়ে কিছু অংশের অথবা আমাদের গ্যলাক্সি বা তার আশেপাশের কিছু অংশের তথ্য উৎঘাটন করতে পারবে, তবে সেটার আয়তন একটা মার্বেলের চেয়ে বড় হবেনা, আর এতটুকু আবিস্কার করে যদি আপনারা মনে করেন যে সর্বজয় করে ফেলেছেন তাহলে ব্যাপারটা খুব হাস্যকর লাগে।

আর বললেন যে মোস কোডের সাহাজ্য চাইবে কার কাছে সাহজ্য চাইবে? আর সাবমেরিনটা কে পাঠাবে? আপনি সম্ভবত ঘটনার রূপক মর্মার্থ বোঝার ব্যপারে একটু কাচা। আর আপনারা মহাবিশ্বকে কি একটা বাদামের খোসা মনে করেন কিনা জানিনা! কারন যত সহজ ভাবে বলেন মনে হয় ব্যপারটা আপনাদের নখদর্পনে।

আমি হিমালয়ে মানুষ চড়ার কথা বলিনি, আমি পিপড়া চড়ার কথা বলেছি রূপক অর্থে, এখানে আমি "টিলা" কে পৃথিবীর সাথে তুলনা করেছি আর "হিমালয়কে" মহাবিশ্বের সাথে তুলনা দিয়েছি, এখানেও আপনি ভাবার্থ বোঝার অপরিপক্কতা প্রকাশ করেছেন, মূলভাব না বুঝে ভাবসম্প্রসারন করাকে আমি আপাতত অপরিপক্কতা বলেই আখ্যায়িত করলাম তবে ভবিষ্যতে...........

৫০| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৬

নতুন বলেছেন: আপনাদের জন্য একটা গল্প মনে পড়ে গেলো:-

জামাল আর কামাল কেউ কাউকে দেখতে পারেনা। একবার জামালের গিন্নি খবর দিলো যে কামালের ছেলে হয়েছে<<

জামাল বললো যে ঐ ছেলে বাচবে না আর বাচলেও মূখ থাকবে, মানুষ হবেনা। <<কিছুদিন পরে গিন্নি খবর দিলো যে ছেলে স্কুলে যায়
জামাল বললো যে প্রাইমারা পাশ করতে পারবেনা। << কিছুদিন পরে গিন্নি খবর দিলো যে প্রাইমারী পাশ করেছে

জামাল বললো যে এসএসসি পাশ করতে পারবেনা। << কিছুদিন পরে খবল পেলো এসএসসি পাশ করেছে

জামাল বললো যে পাশ করেছে তো কি হয়েছে চাকুরী পাবেনা<< কিছুদিন পরে খবর পেলো চাকুরি পেয়েছে

জামাল বললো যে চাকুরী পেয়েছে তো কি হয়েছে বেতন পাবেনা<< গিন্নি খবর দিলো ও নাকি বেতন পেয়েছে

জামাল বললো যে বেতন পেয়েছে?? দেখো গিয়ে ঐটাকা জাল টাকা :)

৩০ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৩৬

নৈশ শিকারী বলেছেন: বিজ্ঞানের পুর্নাংগ জয় দেখার আশায় রইলাম, আমার পক্ষ থেকেও শুভ কামনা রইল, যতদিন জয় সাধিত না হয় ততদিন আজাইরা চিল্লাচিল্লি না করাই ভাল।

৫১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৪২

নতুন বলেছেন: এখানেও আপনি ভাবার্থ বোঝার অপরিপক্কতা প্রকাশ করেছেন, মূলভাব না বুঝে ভাবসম্প্রসারন করাকে আমি আপাতত অপরিপক্কতা বলেই আখ্যায়িত করলাম তবে ভবিষ্যতে...........

ভাই আপনারা অবশ্যই বেশিপক্ক সেই বেপারে দ্বীমতপ্রকাশ করবো না। আর তালগাছ নিয়ে আমি কখনোই ঝামেলায় যায়না। ঐটা আপনাদেরই থাক।

ভাই আমি মানুষের সীমাবদ্ধতার কথা বলেছে এবং বিজ্ঞান কিভাবে সেটা অতিক্রমে সাহাজ্য করছে তা বলেছি।

আপনি ধরেই নিয়েছেন যে মানুষের পক্ষে সীমাবদ্ধতা অতিক্রম সম্ভবনা। কিন্তু আমারা প্রমান দেখছি যে বিজ্ঞানের সাহাজ্য মানুষের সীমাবদ্ধতা অতিক্রম সম্ভব...এবং সামনে হাজার বছরে...লাখ বা মিলিওন বছরের পরের প্রযুক্তিতে মানুষ মহাকাশে ভ্রমন করবে আশাকরি।

৩০ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:১১

নৈশ শিকারী বলেছেন: তালগাছটা আমারই থাক আর বিচারটাও আপনারই থাক, কারন কথার প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনা করলে বিচার আর তালগাছের সময়টাই উপস্থিত হয়নাই, যখন উপস্থিত হবে তখন হয়তো কেউ বিচার এবং তালগাছের ব্যপারটা জ্ঞান বা বিবেক নামের কষ্ঠী পাথর দিয়ে পরীক্ষা করে সমাধানে পৌঁছবে; সেই দিন দেখার জন্য ততদিনে আপনি আমি এই পৃথিবিতে থাকবনা।

সৃষ্টি সীমার রহস্য মানুষ উদ্ধার করতে পারবেনা সেটা আমি বলিনাই, আমি বলেছি পুরোপুরি উদ্ধার করতে পারবেন কিনা সেই ব্যাপারটা। আর যতদিনে মানুষ এই মহা বিশ্বের সীমাবদ্ধতার দাড়প্রান্তে পৌঁছানর মত সক্ষম হবে সেদিন এই মহা বিশ্বের অস্তিত্ব থাকবে কিনা সেটাই আমার সন্দেহ। এটাতো গেল কেবল সৃষ্টি সীমার এতো প্রতিকূল সম্ভাবনার কথা, এখানে অনেকে দাবি করেন যে গড ডিটেক্টর বানিয়ে ইশ্বরের অস্তিত্বকে ধরে ফেলবে (কথাটা রূপক অর্থে ব্যাবহার করেছি) যেই স্রষ্টার সৃষ্টির রহস্যই এত বৈচিত্রময় সেখানে যেই অর্বাচিনরা দাবি করে যে, এর স্রষ্টাকে ধরে ফেলবে তাদেরকে আমি কোন নামে বিশেষায়িত করবো আমি নিজেই ভেবে পাইনা।

"সংসার সাগরে সুখ দুঃখ তরঙ্গের খেলা, আশাই তার একমাত্র ভেলা"
হ্যাঁ আমরা আশাই করতে পারি; এই একটা ব্যাপারে আমি আপনার সাথে একমত আর সেটা হচ্ছে 'আশা' আমিও সেই আশা করি এবং সেই আশা বাস্তবায়ন হোক তার জন্যও শুভ কামনা করি কারন অজানার প্রতি আগ্রহ থাকাটা মানুষেরই ভূষন, আর আমিও সব মানুষ থেকে ভিন্ন নই। শুভ কামনা রইলো; ভাল থাকবেন।

৫২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৪৭

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: বিজ্ঞানের পুর্নাংগ জয় দেখার আশায় রইলাম, আমার পক্ষ থেকেও শুভ কামনা রইল, যতদিন জয় সাধিত না হয় ততদিন আজাইরা চিল্লাচিল্লি না করাই ভাল।

এটা সুন্দরর কথা বলেছেন। কারন দিনের প্রায় প্রতিটা মূহুতে বিজ্ঞানের সকল সুবিধা নিয়েও যদি বিজ্ঞানের উপরে ভরসা না পান তবে মানুষ উপরের গল্পটাই শোনাবে।

ভাল থাকবেন।

৫৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ২:০৩

মাসূদ রানা বলেছেন: @নতুন

কনফিডেন্ট থাকা ভালো । মাগার ওভারকনফিডেন্ট কিংবা অন্ধবিশ্বাসী থাকা বেকুবের লক্ষন। আশা করি বোঝাতে পেরেছি । ভালো থাকুন :)

@নৈশ শিকারী,
যাদের জ্ঞানে লিমিটেশনস থাকে তারা সেই লিমিটের বাইরে ভাবতে সক্ষম না । মানব সভ্যতা যদি পৃথিবীস্থ মেটারিয়াল ম্যাগনিফাই করে করে শেষ সীমায় পৌছাতে পারে এবং কিছুই না পায় তখন না হয় তা মানা যাবে, সে ভবিষ্যতের ব্যপার । কিন্তু যেহেতু "বর্তমান বিজ্ঞান" শেষ সীমায় পৌছে স্রষ্টার শস্য রহস্য এখনো বের করতে পারে নি, তাই স্বদ্বাবীকারী বিজ্ঞানমনাদের কি উচিত নয় একটু সবুর করা ?

এ সিদ্ধান্তে আসতে কোন সমস্যা হয় না পৃথিবীসহ গোটা মহাবিশ্ব এমনি এমনিই পয়দা হয়ে গেল ! এ সিদ্ধান্তে আসতেও কোন সমস্যা নেই, পৃথিবীর বাইরেও আরো প্রানী থাকতে পারে । মাগার সৃষ্টিকর্তা ? কিভাবে কি ?

৩১ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৪২

নৈশ শিকারী বলেছেন: জাজাকাল্লাহ ভাই, সৃষ্টি তত্বের সম্পূর্ন রহস্য উৎঘাটন না হওয়া পর্যন্ত অবশ্যই সবুর করা উচিত যে স্রষ্টা আছে কি নাই, আজাইরা স্রষ্টা নাই বলে চিল্লাচিল্লি করা উল্লুকতারই নামান্তর।

আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো তারা সবই মানতে পারে শুধু ইশ্বর ছাড়া, আসলে আল্লাহ পাক তাদের অন্তরে মোহর মেরে দিয়েছেন; নয়তো স্রষ্টার অস্তিত্বের এতো নমুনা দেখার পরও কেন বিশ্বাস করেনা?

৫৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৪০

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: জাজাকাল্লাহ ভাই, সৃষ্টি তত্বের সম্পূর্ন রহস্য উৎঘাটন না হওয়া পর্যন্ত অবশ্যই সবুর করা উচিত যে স্রষ্টা আছে কি নাই, আজাইরা স্রষ্টা নাই বলে চিল্লাচিল্লি করা উল্লুকতারই নামান্তর।

বিজ্ঞান কখনোই বলেনাই যে স্রস্টা নাই। তারা বলে যে এখন পযন্ত স্রস্টা আছে বলে কোন প্রমান তারা পায়নাই।

ক্রিয়েসনিস্টরাই প্রমান ছাড়াই স্রস্টার দাবী করে। যার মুল ভীত হলো বিশ্বাস।

আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো তারা সবই মানতে পারে শুধু ইশ্বর ছাড়া, আসলে আল্লাহ পাক তাদের অন্তরে মোহর মেরে দিয়েছেন; নয়তো স্রষ্টার অস্তিত্বের এতো নমুনা দেখার পরও কেন বিশ্বাস করেনা?

বিজ্ঞান যেদিন স্রস্টার প্রমান পাবে সেইদিন অবশ্যই স্রস্টাকে মেনে নেবে।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৫৭

নৈশ শিকারী বলেছেন: কেমিকেল এভুলেসনের মাধ্যমে প্রথম
প্রাণের উৎপত্তি হয়েছে এই ব্যাপারে
বিজ্ঞানের কাছে ১০০% প্রমান আছে?
তাহলে বিবর্তনবাদ বিশ্বাস করেন কেন?
এতো যুক্তি তর্কের পরে আপনার এই
কমেন্টের মধ্যে হুদাই আজাইরা তেনা
প্যাঁচানোর গন্ধ পেলাম। গুগুলের মাধ্যমে
বৈজ্ঞানিদের কিছু উধৃতি পড়ে
নিজেকেও মিনি সাইনটিস্ট ভাবা ঠিক
না। স্রষ্টার অস্তিত্ব আছে কি নাই এই
ব্যাপারে বহু যুক্তি তর্ক্ এবং তথ্য
উপাত্তের অবতারণা হইছে, এখানে
আপনার এই মন্তব্যের আবশ্যকতাই
ছিলনা।

৫৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:০১

নতুন বলেছেন: এতো যুক্তি তর্কের পরে আপনার এই
কমেন্টের মধ্যে হুদাই আজাইরা তেনা
প্যাঁচানোর গন্ধ পেলাম। গুগুলের মাধ্যমে
বৈজ্ঞানিদের কিছু উধৃতি পড়ে
নিজেকেও মিনি সাইনটিস্ট ভাবা ঠিক
না। স্রষ্টার অস্তিত্ব আছে কি নাই এই
ব্যাপারে বহু যুক্তি তর্ক্ এবং তথ্য
উপাত্তের অবতারণা হইছে, এখানে
আপনার এই মন্তব্যের আবশ্যকতাই
ছিলনা।


রাগ হইতেছেন কেন? ( যদিও আপনার এই কমেন্টের পরে আর কমেন্ট করবো না আপনার পোস্টে, এটাই শেষ কমেন্ট)

শুধু আপনাদের ভুল ধারনা সম্পকে উল্লেখ করছি।
লেখক বলেছেন: কেমিকেল এভুলেসনের মাধ্যমে প্রথম
প্রাণের উৎপত্তি হয়েছে এই ব্যাপারে
বিজ্ঞানের কাছে ১০০% প্রমান আছে?
তাহলে বিবর্তনবাদ বিশ্বাস করেন কেন?


বিজ্ঞান কি কখনো বলেছে এভুলুসন একটা ফ্যাক্ট??? এটা একটা থিউরি এবং এখন পযন্ত এই থিউরিটাই যুক্তিযুক্ত মনে হয়। এটা Law of Evolution না। যদি সামনে কেউ প্রমান সহ নতুন কিছু নিয়ে আসে তবে সবাই সেটাই মানবে।

আপনাদের মতন প্রমান ছাড়া সৃস্টিকতায় বিশ্বাসীরা এটা বুঝতে পারবেনা।

ভাল থাকবেন। আর গুগুলে আরো একটু বেশি করে পড়ুন তবে হয়তো বিজ্ঞান কি বলেছে তা বুঝতে পারবেন। তখন একটা থিউরির কাথে ১০০% সত্য কিছু খুজতে যাবেন না।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:০৯

নৈশ শিকারী বলেছেন: আপনেরা থাকেন আপনাদের ভ্রান্ত মনের আজগুবি টাইপের সঠিক ধারনা নিয়ে, আপনাদের অন্ধ মন আলোর ধার দিয়ে গেলেও সেটা অন্ধকারই ভাববে, আমরা সৃষ্টির খুব সাধারণ একটা প্রাণির নিখুঁত দৈহিক গঠন এবং নির্ভুল জীবন চক্র পর্যালোচনা করেই এর পরিচালনার পিছনে ইশ্বরের অস্তিত্ব বুঝতে পারি, আর আপনারা পুরো মহা বিশ্বের নিখুঁত এবং সুনিয়ন্ত্রিত ক্রিয়া কলাপ দেখলেও ভাবেন সব এমনি পরিচালিত হচ্ছে পার্থক্যটা এখানেই।

মানলাম কেমিকেল এভুলেশন একটি থিউরি, তাহলে বিবর্তনবাদটাকেও একটা থিউরি হিসেবেই মানেন কেননা প্রথম প্রানের উৎস সম্পর্কে না জেনে বিবর্তনবাদ মানা আর বহু শাখা প্রশাখা যুক্ত শিকড়হীন একটা গাছকে কল্পনা করা একই কথা। আর আমি গুগোল থেকে জানতে পারলেই সুখী, আপনাদের মতো মিনি সাইন্টিস্ট হওয়ার ইচ্ছে আগ্রহ কোনোটাই আমার নাই, আর আমি গুগলের চেয়ে বই ম্যাগাজিন আর পত্রিকার উপর বেশী নির্ভরশীল। আগেও এই কথাটা অনেকবার বলেছি এখনো বলছি, আগে সৃষ্টি রহস্য বের করে পরে স্রষ্টার রহস্যের পিছনে ছুটেন নয়তো আম ছালা ২টাই হারানোর রিস্ক আছে কেননা ২ নৌকায় পা দিয়ে নদী পার হওয়া যায়না, রুঢ় ব্যাবহারের জন্য দুঃখিত, ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.