নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন সংগ্রামে হেরে যাওয়ার মাঝে কোনো বীরত্ব থাকেনা; তাই জীবনের এই যুদ্ধ ক্ষেত্রে সাহসীকতার সাথে লড়াই করার মাঝেই জীবনের প্রকৃত বীরত্ব লুকিয়ে থাকে, আর ভাগ্য সবসময় সাহসীদের পক্ষেই কাজ করে।

নৈশ শিকারী

আমার এই জন্মভূমিকে খুব ভালোবাসি আর এমন দেশের স্বপ্ন দেখি যে দেশে দারিদ্র্যতা, ক্ষুধা আর পথশিশু থাকবেনা। আর এই প্রকল্প বাস্তবায়নে আমৃত্যু কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।

নৈশ শিকারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বাধীনতার পিছনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাহেবের ব্যাক্তিগত স্বার্থ জড়িত ছিলো; নাকি জনগনের স্বার্থ জড়িত ছিলো?

১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৫০

আমি যে বিষয় গুলো এখানে আলোকপাত করেছি তা অনেকের কাছে অপ্রিয় হলেও ১০০% সত্যি। তাই, সত্য গুলো হজম করতে না পারলে অহেতুক অযৌক্তিক আর্গুমেন্ট না করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ রইলো। যদি পারেন আমাকে যুক্তি দিয়ে বুঝিয়েদিন, আপনার ব্যাখ্যা যৌক্তিক হলে আমি অবশ্যই মেনে নিব।
বঙ্গবন্ধু একজন মহান নেতা আমি স্বীকার করি, কিন্তু নেতা হিসেবে তিনি কি আসলেই তার দায়িত্ব পালন করতে পেরেছেন?

রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব এপর্যন্ত বলেই উনার কাজ শেষ এদেশের মানুষকে মুক্ত করার কাজটা কে করেছিলো বিবেক দিয়ে বলবেন। যুদ্ধের ঘোষনা দেয়ার পর তিনি গ্রেফতার এড়িয়ে আত্নগোপন করলেন না কেন? একটা গাধাও পরিস্থিতিটা বুঝত পারে যে তিনি অ্যারেস্ট হবেন।

দেশের ৭.৫কোটি বাঙ্গালীকে বিপদে ফেলে নিজের প্রান বাচানোর এটা কোন প্রকারের হীন প্রচেষ্টা? তৎকালিন সময়ে যদি তিনি গ্রেফতার এড়িয়ে বাঙ্গালিদের পাশে থাকতেন তাহলে আমাদের ৯মাসের বিজয় ৩মাসে হতো যার একটি ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় লাখ লাখ বাঙ্গালি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সেখানে তার সক্রিয় উপস্থিতি মানুষের প্রাণে কতোটা শক্তি জোগাত একবার চিন্তা করে দেখেছেন?

এইবার একটু শেখ সাহেবের পরিবারের দিকে লক্ষ্য করুণ, তার পরিবারের মধ্যে শেখ কামাল, শেখ জামাল সেই সময়ে উপযুক্ত ছিল, তারা যুদ্ধে অংশ গ্রহন করলোনা কেন? আমার বাবা ৭১ এ জামালের বয়সি ছিল আর আমার জেঠা শেখ কামালের বয়সি ছিল তারা উভয়েই সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তাহলে দেশের মানুষ শেখ পরিবারের কাছে কি এটা আশা করতে পারেনা যে তার পরিবারের কেউ যুদ্ধে অংশ গ্রহন করুক?

শেখ সাহেব তাহলে আমাদের কি উপহার দিলেন? না পারলেন সঠিক নেতৃত্ব দিতে না পারলেন সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে আর না পারলেন নিজের পরিবারের কাউকে যুদ্ধে অংশ গ্রহন করাতে, তিনি শুধু একটা ভাষন দিয়ে একটা জাতিকে অনিবার্য যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন নিজে পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হবার জন্য কিন্তু যুদ্ধের বিনিময়ে বাঙ্গালি জাতি পেল কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। স্বাধীনতার বিনিময়ে বাঙ্গালি জাতি শেখ সাহেবকে বানিয়ে দিলো সুপারহিরো প্রেক্ষাপটের গভীরতা চিন্তা না করেই। পরবর্তী কালে সাধারণ মানুষকে গণতন্ত্রের স্বপ্ন দেখিয়ে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য একনায়ক তন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাকাশাল বানিয়ে মুক্তিকামী সেনাদের হাতে ১৯৭৫সালের ১৫ই আগস্ট নিহত হলেন। এটাই ছিল শেখ সাহেবের জীবনের ইতিবৃত্ত।

বর্তমানে আমাদের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ সাহেবকে হিন্দুদের কাছে রামের অবতার সাদৃশ্য আর মুসলিমদের জাতির পিতা বানিয়ে দিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশের অপর নাম বুঝিয়েছেন। স্বাধিনতার জন্য অল্প সময়ের একটা ভাষন ছাড়া তিনি আমাদের আর কি দিয়েছেন যার জন্য উনাকে জাতির পিতা আর বাংলাদেশের অপর নাম মানতে হবে? আমাদের এই স্বাধীনতাকে আমরা অর্জন করেছি ৩০লক্ষ প্রান আর ২লক্ষ মা-বোনের সম্মানের বিনিময়ে, যেখানে শেখ পরিবারের কেউ ছিলনা। ৩০লক্ষ লাশকে একটার উপর একটা সাজালে মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতাকেও ছাড়িয়ে যাবে, চিন্তা করেন কি বিশাল পরিমান আত্নত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন হয়েছি যেখানে শেখ পরিবারের কারো রক্তের ১টা ফোটাও ছিলনা আর না ছিল যুদ্ধ ক্ষেত্রে তাদের কোন সক্রিয়তা। তবুও বলবেন তিনি সর্ব কালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি? একটা কথা মনে রাখবেন রক্তের দামে কিনেছি বাংলা কারো বাবার দানে নয়। আর সেই রক্তের অংশীদার শুধু আমরাই।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:২০

কলাবাগান১ বলেছেন: সব ত্যাগ করেছে গোলাম আযম!!!!!!!!!

৭১ সনে জামাল কামাল কোথায় ছিলেন, না জেনে গল্প ফেদে বসেছেন।

৫২-৭১ পর্যন্ত্য যত ভিডিও ফুটেজ আছে বংগবন্ধুর, তা দেখলেই বুঝবেন কি অসীম মমতায় তিনি বাংলাদেশ কে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার দিকে। ৬ দফার এক দফা তে ও যদি উনি ছাড় দিতেন, তাহেল বাংলাদেশ স্বাধীন হত না.. কনফেডেরেশন হত। প্রফেসর নুরুল ইসলামের ব্ই টা পড়ে দেখবেন তাতে বিস্তারিত দেওয়া আছে যে কি ভাবে ৬ দফার মাঝেই স্বাধীনতার বীজ বপন করা ছিল।

আপনাদের মত লোকেরা একটা ফুটেজ আনেন আপনাদের নেতার আহবানে দেশ স্বাধীন হয়েছিল

এই সমস্ত ফুটো খুজে বেড়ানো পোস্ট দিয়ে ই আপনাদের সকল চেস্টা পানিতে যাবে কেননা বাংগালীরা এখন ২০১৫ সনে সব দেখছে অনলাইনে/ভিডিও তে

এটা হিজবুল বাহার জেনেরেশান না যে ১৯৭১ সন ভুলে যাবে আর বংগবন্ধুর অবদান কে অস্বীকার করবে।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:৫৫

নৈশ শিকারী বলেছেন: ১৯৬৯ সালে আইউব ছাত্রদের গণঅভ্যুত্থানের কারণে আইয়ুব খান পদত্যাগ করেন এবং তার স্থলাভিষিক্ত হন জেনারেল ইয়াহিয়া খান। ইয়াহিয়া খানের প্রথম বেতার ভাষনে সমগ্র পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিলে পূর্ব পাকিস্তানে বিক্ষোভের অবসান হয়ে যায়।

১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের নির্বাচন এবং ১৭ ডিসেম্বর ১৯৭০ সালে অনুষ্ঠিত হয় যাতে পাকিস্তানের ৫টি প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়। উভয় পরিষদের নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ এবং প্রায় ৬৫% ভোট পড়েছে বলে
পাকিস্তান সরকার দাবী করেছিল। আওয়ামী লীগ প্রায় ৩৮% ভোটে ১৬০টি আসন পায় আর পাকিস্তান পিপলস পার্টি প্রায় ২০% ভোটে ৮১টি আসন। ৩০০টি আসনের বাকি ৫৯টি আসন বাদবাকি ৮টি দল পায় যার মাঝে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১৬টি আসন পেয়েছিল। পূর্ব পাকিস্তানে মাত্র ১ জন স্বতন্ত্র
প্রার্থী (রাজা ত্রিদীব রায় চৌধুরী) সদস্য নির্বাচিত হতে পেরেছিলেন। পাকিস্তান ন্যশনাল এ্যাসেম্বলী (PNA)তে আওয়ামী লীগ ১৬০টি আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। ফলে শেখ মুজিব সমগ্র পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে অধিষ্ঠিত হবার বৈধতা পেয়ে যান। কিন্তু পিপিপি-র প্রধান ও ক্ষমতালোভী ভুট্টো শেখ মুজিবের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে একের পর এক বাধা সৃস্টি করে যাচ্ছিলেন। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানও চেয়েছিলেন ভূট্টো একটা ঝামেলা লাগিয়ে রাখুক যাতে বাংগালীরা কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসতে না পারে। উপরে উল্লেখিত পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের একই সাথে প্রাদেশিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্থান
এ্যাসেম্বলীর ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৮৮টিতে জয়লাভ করে। পাকিস্তান পিপলস পার্টি পশ্চিম পাকিস্তানে ১৩৮টি আসনের ৮১টিতে জয়লাভ করে। ফলে পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভূট্টোর অবস্থান আরো নড়বড়ে হয়ে পড়ে। উনি তার ষড়যন্ত্রের ধারা বজায় রেখে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানকে কুবুদ্ধি দিতে থাকেন। ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) শেখ মুজিবের ০৭ মার্চ ১৯৭১ সালে বেলা ২:৩০ মিনিটে শুরু করে ১৯ মিনিট স্থায়ী ভাষন দেন। https://www.youtube.com/watch?v=rEsKhTHYr_c

এবার মূল কথায় আসি উনি যে ভাষন দিয়েছিলেন সেটা বাংলাদেশের স্বকীয় স্বাধীনতা প্রদানের উদ্দেশ্যে না, তিনি পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী হয়ে দেশের সেবা করার উদ্দেশ্যে দিয়েছিলেন, কিন্তু এই ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় সাধারণ জনতা উজ্জীবিত হয়, পরিনামে যুদ্ধ বেধে দেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। আর আপনার মন্তব্য আমার পোস্ট প্রসঙ্গের কৌতূহল দূর করতে পারেনাই, আশা করি আমার যুক্তি গুলোর সঠিক ব্যাখ্যা দিবেন নয়তো অপ্রাসঙ্গিক তর্কের দরকার নাই।

২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:৪০

আধারে আমি৪২০ বলেছেন: ভাই, জানাতে হলে জানতে হয়। আগে নিজে জানুন, তারপর অন্যকে জানান।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:০৫

নৈশ শিকারী বলেছেন: আমি জানানোর চেয়ে নিজে জানার চেষ্টাটাই বেশী করেছি, আমি যেই যুক্তি গুলো উপস্থাপন করেছি সেগুলোর গ্রহন যোগ্য ব্যাখ্যা দিয়ে আমার কৌতূহল নিবারণ করুণ আমি কৃতজ্ঞ থাকবো।

৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:৩৭

মাসূদ রানা বলেছেন: কেমন আছেন ভাই :)

১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:০৭

নৈশ শিকারী বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ ভাই, আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে ভালো আছি আপনি কেমন আছেন? @নতুন আপনার উত্তর সকালে দিচ্ছি, অনেক ঘুম অনুভূত হচ্ছে।

৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:৪৬

নতুন বলেছেন: যারে দেখতে নারি তার চলন বাকা << এই প্রবাদটা মনে হয়ে জানেন।

শেখ মুজিবর রহমা্‌নই পাকিস্তানকে এই পথে আসতে বাধ্য করেছে<<< যেখানে তারা মনে করেছে ২৫শে মাচ রাতে সবাইকে স্তব্দকরে দেবে। এবং সেটা আমাদের স্বাধীনতার দিকে নিয়ে গেছে।

যুদ্ধের ঘোষনা দেয়ার পর তিনি গ্রেফতার এড়িয়ে আত্নগোপন করলেন না কেন? একটা গাধাও পরিস্থিতিটা বুঝত পারে যে তিনি অ্যারেস্ট হবেন।

উনি যুদ্ধের ঘোষনা কবে দিলেন??? পরের দিন তার মিটিংএর কথা ছিলো।
আর উনি পালাবেন কেন? পাকিস্তান সরকার মুজিবরের মতন নেতাকে জাস্ট মেরে ফেলতে পারেনা। তাকে গ্রেপ্তার হয়ে তাদের হাতে বন্ধি থেকে তিনি খরবের শিরোনাম ছিলেন আর বিশ্বনেতাদের নজর ছিলো তার উপরে।

পালালে .. যেকোন বন্ধুক যুদ্ধে তাকে মেরে ফেলতো এবং সেই সময়ে তেমন নেতা আসতে অনেক সময় লাগতো।

তৎকালিন সময়ে যদি তিনি গ্রেফতার এড়িয়ে বাঙ্গালিদের পাশে থাকতেন তাহলে আমাদের ৯মাসের বিজয় ৩মাসে হতো

আপনি যখন পানিতে ডুবে যাচ্ছিলেন একজন আপনাকে উদ্ধার করে ৯ মিনিটে ডাঙ্গায় তুললো...
আপনি এখন তিনি কেন ৩ মিনিটে তুলতে পারতো তা নিয়ে সমালোচনা করছেন?
আপনার কৃতঙ্গতা বোধে অবাক হোলাম।

তার পরিবারের মধ্যে শেখ কামাল, শেখ জামাল সেই সময়ে উপযুক্ত ছিল, তারা যুদ্ধে অংশ গ্রহন করলোনা কেন? আমার বাবা ৭১ এ জামালের বয়সি ছিল আর আমার জেঠা শেখ কামালের বয়সি ছিল তারা উভয়েই সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।

সবাই হিরো হয়না। সবাই সমান সাহসি হয় না। সবাই দেশের জন্য জীবন বাজী রাখতে পারেনা। শেখ জামাল/কামাল পারেনাই ।
আপনার বাবা পেরেছিলেন তাকে আমার হাজার সালাম কারন তার মতন মানুষ যদি তখন দেশের জন্য জীবন বাজি না রাখতো তবে আজও দেশ স্বাধীন হতো কিনা সন্দেহ।

শেখ সাহেব তাহলে আমাদের কি উপহার দিলেন? না পারলেন সঠিক নেতৃত্ব দিতে না পারলেন সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে আর না পারলেন নিজের পরিবারের কাউকে যুদ্ধে অংশ গ্রহন করাতে, তিনি শুধু একটা ভাষন দিয়ে একটা জাতিকে অনিবার্য যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন নিজে পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হবার জন্য কিন্তু যুদ্ধের বিনিময়ে বাঙ্গালি জাতি পেল কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। স্বাধীনতার বিনিময়ে বাঙ্গালি জাতি শেখ সাহেবকে বানিয়ে দিলো সুপারহিরো প্রেক্ষাপটের গভীরতা চিন্তা না করেই। পরবর্তী কালে সাধারণ মানুষকে গণতন্ত্রের স্বপ্ন দেখিয়ে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য একনায়ক তন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাকাশাল বানিয়ে মুক্তিকামী সেনাদের হাতে ১৯৭৫সালের ১৫ই আগস্ট নিহত হলেন।

তিনিই সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধিন করেছেন।
তিনি হয়তো ভাল শাসক ছিলেন না। না হলেও স্বাধিনতার জন্য তার অবদান কমে যায়না এবং আমাদের ঐটুকুর জন্যই কৃতঙ্গতা প্রকাশ করা উচিত।
উনি যদি ভাল শাসক হতেন তবে সেটা আরো ভাল হতো ... কিন্তু বাকশালের যদি তার দোষই হয় কিন্তু জন্য তার অবদান কখনোই কমে যাবেনা।

একটা গল্প তৌরি করি আপনার পোস্ট পড়ে মনে হলো :-

এক গ্রামের কিছু মাতুব্বরা মিলে কয়েক জনকে একটি পুকুরের পানিতে ফেলে দিলো। সবার অবস্তাই খারাপ...কারন সাতার যানেনা। তখন মুজিবর নামের এক ভদ্রলোক ঐ মাতুব্বরদের সাথে আলোচনা/মিটিং করে ৯ মাসে তাদের উদ্ধার করলো।

এখন উদ্ধার পাওয়া মানুষেরা এখন সমালোচনা শুরু করেছে যে কেন তিনি ৩ মাসে তাদের উদ্ধার করতে পারলো না। মুজিবর লোকটা কোন কাজেরই না।

গ্রামে একটা প্রবাদ আছে:-- গাং পার হলে মাঝি কোন শালা ( অথ হইলো ... নদী পার হবার পরে মাঝির আর দরকার নাই...তাকে আর গুরুত্ব দেবার প্রয়োজন নাই)

১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:০৫

নৈশ শিকারী বলেছেন: "ভাইসাব তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো, মনে রাখবা রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ" মূল ভাষণের এই কয়েকটা লাইন পর্যালোচনা করলেই বুঝা যায় তিনি যুদ্ধের ঘোষনা দিয়েছেন না কি অন্য কিছুর ঘোষনা দিয়েছেন। যদি বুঝতে অসুবিধা হয় উনার ভাষণটা আবার ভালো করে শুনুন।

আপনার প্রশ্নটা তিনি পালাবেন কেন না হয়ে পালাবেন না কেন হওয়া উচিত ছিলো, কেননা তিনি যদি তখন আত্ন গোপন করে থাকতেন তাহলে তাকে রক্ষার জন্য আমাদের দেশের সেনা বাহিনী ৫০ স্তর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে রাখতো কারন উনার মতো নেতাকে কেউ হারাতে চাইতো না। আর আপনি একই ক্ষেত্রে স্ববিরোধী (প্যারাডক্স) কথা ব্যাবহার করেছেন যে, "পাকিস্তান সরকার মুজিব সাহেবকে এমনি মেরে ফেলতে পারেনা আবার তিনি পালালে বন্দুক যুদ্ধে মেরে ফেলতে পারে" যদি পাক বাহিনী তাকে মেরে ফেলতে চাইতো তাহলে ২৫মার্চের রাতেই অনেক সাধারণ মানুষের সাথে তাকে মেরে ফেলতো। তখনই সবচেয়ে ভালো সুযোগ ছিল। আর তিনি যদি আত্নগোপন করে থাকতেন তাহলে পাক বাহিনী তাকেই খুজতো নাকি যুদ্ধই করতো? আর যদি তিনি ধরাও পরতো তাহলে তাদের হাইকমান্ড কিছুতেই তাকে মেরে ফেলার মতো হঠকারি সিদ্ধান্ত দিতনা কারন তাতে জন আক্রোশ আরো বৃদ্ধি পেত আর ফলাফল স্বরূপ যুদ্ধে পরাজয় আরো নিশ্চিত হতো, যার একটা ভাষনে লক্ষ লক্ষ মানুষ হাসি মুখে প্রান দিতে পারে সেখানে তিনি মারা গেলে পরিস্থিতি কি হতো তা বলার আপেক্ষা রাখেনা।

আর আমি সাতার জানি তাই কোনও লোক আমার সামনে পানিতে পরলে তাকে বাঁচানোর জন্য সাথে সাথেই ঝাঁপিয়ে পরে তার প্রান রক্ষা করবো, সেই অপেক্ষা করবোনা যে তিনি আগে পানিতে ডুবে লিটার দশেক কাঁদাজল পান করুক পরে উদ্ধার করবো।

সারা জীবন দেখেছি যে বাঘের ঘরে বাঘই জন্ম হয়, শেখ সাহেবের মতো এমন তেজদীপ্ত ভাষন প্রদান কারি একজন নেতার যে এমন কাপুরুষ সন্তান থাকবে সেটা ভাবাই আমার জন্য কষ্ট কর, বাপকা বেটা সিপাহিকা ঘোড়া না হোক সিপাহিকা গাধা হয়ে দেশে থেকে মুক্তি যোদ্ধাদের সহায়তাতো করতে পারতো। যার জ্বালাময়ী ভাষন লক্ষ প্রাণকে যুদ্ধের জন্য উজ্জীবিত করতে পারে সেখানে তার নিজের সন্তানদেরকেই উজ্জীবিত করতে পারলোনা? নাকি এখানে শেখ সাহেবের স্বজন প্রীতির কারণে তারা কলিকাতায় আশ্রয় নিয়েছিল? যদি স্বজন প্রীতিই এখানে মুখ্য উদ্দেশ্য হয় তাহলে শেখ সাহেবের সন্তানদের প্রাণের মূল্যই সবার চেয়ে বেশী ছিলো? হাজার হাজার মা-বাবার সন্তানের প্রানের বিনিময়ে আমাদের এই স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে, আজ যদি শেখ সাহেবের পরিবারের কেউ যুদ্ধে নিজের প্রান দিতো তাহলে আমার মনে এই সংশয়ই সৃষ্টি হতো না।

আমি শেখ সাহেবের ভাষণের জন্য কৃতজ্ঞ, কিন্তু সেই ভাষন দেশের স্বকীয় স্বাধীনতার জন্য ছিলনা সেটা ছিল তিনি যেনো পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী হতে পারেন সেই লক্ষে, কিন্তু আবেগ প্রবণ বাঙ্গালি জাতি যুদ্ধ করে দেশই স্বাধীন করে ফেলেছিল, তিনি যদি দেশের একক স্বাধীনতার লক্ষে সেই ভাষন দিতেন তাহলে উনার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা বোধ আরো বেড়ে যেত। আমার দাদাজান যখন জীবিত ছিলেন তখন উনাকে আমি প্রশ্ন করেছিলাম যে দাদা ভাই, আপনারা যুদ্ধ কেন করেছিলেন? তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, "শেখ সাব কইছে হেল্লাইগা যুদ্ধ করছি, আমাগোর বাঁচন লাগবো হেল্লাইগা যুদ্ধ করছি, শেখসাব আমাগোর রাজা অইবো হেল্লাইগা যুদ্ধ করছি।" আমার দাদার মতো অনেকেই সেই ভাষন শুনে তার মর্মার্থ উপলব্ধি না করেই যুদ্ধ করেছিল।

৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৪৪

নকি৬৯ বলেছেন: নতুন আপনার সাথে সহমত। আমরা পিছিয়ে থাকার অন্যতম কারন হলো, কারো প্রাপ্য সম্মান আমরা দিতে জানিনা।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:১৮

নৈশ শিকারী বলেছেন: ভাই আর কতো সম্মান দিলে আপনাদের আত্নতৃপ্তি আসবে? এরচেয়ে বেশী সম্মান আর কিভাবে দেয়া যায়? জাতির পিতা বানিয়েছেন, সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি বানিয়েছেন, এখন কি বাঙ্গালি জাতির ঈশ্বর বানাতে চান শেখ সাহেবকে ?

৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:২৩

যোগী বলেছেন: নতুনের কথার অকাট্যা যুক্তি যখন মানছেন না তখন বুঝতে হবে আপনি কোন যুক্তি মানবেন। আসলে আপনার ব্রেন ওয়াস্ড জামাতি মৌলবাদিদের দ্বারা। পাকিস্থান পন্থি আপনার মন সব সময় চাইবে বঙ্গবন্ধুকে অপমান করতে কারন ৭১ এর পরাজয়ের জালা এখনো আপনাদের কাঁদায়।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩

নৈশ শিকারী বলেছেন: নতুনের কথার অকাট্যা যুক্তি যখন মানছেন না তখন বুঝতে হবে আপনি কোন যুক্তি মানবেন। আসলে আপনার ব্রেন ওয়াস্ড জামাতি মৌলবাদিদের দ্বারা। পাকিস্থান পন্থি আপনার মন সব সময় চাইবে বঙ্গবন্ধুকে অপমান করতে কারন ৭১ এর পরাজয়ের জালা এখনো আপনাদের কাঁদায়।

নতুনের কথার অকাট্য যুক্তি গুলোর যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক উধ্বৃতি দ্বারা খন্ডিত করেছি, চাইলে পুনরায় দেখতে পারেন, আর আমি জামাতি আপনি জানলেন কি করে? না জেনে কারো ব্যাপারে মন্তব্য করা উচিত না, আমি ইসলামের মৌলিক নিয়ম পালন করি যা সব মুসলিমেরই পালন করা উচিত সেই হিসেবে আমাকে মৌলবাদি বলতে পারেন কিন্তু অন্য কোনও অর্থে না, আর এই ব্যাপারে, 'মাইন্ড ইউর ল্যাংগুয়েজ' আমাকে ভুলেও স্বাধীনতার বিরোধী বলবেন না, আমি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। এবং এই মূহূর্তেও আমার দেশের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত, কারন আমার মুক্তি যোদ্ধা বাবার DNA আমার শরীরে এখনো অবশিষ্ট আছে।

৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৫৭

যোগী বলেছেন:
পড়েছি নতুনের কথার অকাট্য যুক্তি গুলোর যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক উধ্বৃতি দ্বারা খন্ডিত হয়নি।
আর রাজাকারের সন্তানেরা খুব বেশি বেশি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলে দাবি করে। শেষ সময়ে কুখ্যাত কাদের মোল্লাও নিজেকে নাকি মুক্তিযোদ্ধা বলে দাবি করেছিল।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৩১

নৈশ শিকারী বলেছেন: ঠিক আছে আপনি তাহলে যুক্তি যুক্ত বিশ্লেষণ করে বুঝিয়ে দেন আমি বোঝার জন্যই পোস্ট করেছি, আর আমি রাজাকারের সন্তান নাকি মুক্তি যোদ্ধার সন্তান সেটা আপনার কাছে অন্তত আমার বাবার মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট দিয়ে প্রমান করতে হবেনা, আশা করি পুনরায় পোস্ট প্রসঙ্গ বহির্ভূত আবালিয় এবং অপরিপক্ক মন্তব্য করবেন না, আর আমি পোস্টের প্রথমেই এই ব্যাপারটা উল্লেখ করেছি।

৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:০৪

যোগী বলেছেন: বললামতো বিচার শুরু হওয়ার পর কেও আর নিজেদেরকে রাজাকারের সন্তান পরিচয় দিতে চায় না। সবাই ইনিয়ে বিনিয়ে বলতে চায় তার বাবা মুক্তিযুদ্ধ করেছিল। কাদের মোল্লার ছানা পোনারাও নিজেদের কে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মনে করে আর বঙ্গবন্ধুকে হেয় করতে চায়। বঙ্গবন্ধু এটা করেনি কেন সেটা করেনি কেন নানান কথা তুলে। বঙ্গবন্ধু কোনটা কেন করেনি সেটা তিনিই ভাল জানতেন। তার অবর্তমানে সেটা নিয়ে কথা বলা একমাত্র রাজাকারদেরই কাজ।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:১৯

নৈশ শিকারী বলেছেন: আমি কই কি আমার সারিন্দায় বাজায় কি, পূর্বেও বলেছি আপনার কাছে এটা প্রমান করার দরকার নাই যে, আমি মুক্তিযোদ্ধার নাকি রাজাকারের সন্তান, পুনরায় আবালিয় মন্তব্য করে নিজের উল্লুকতাই প্রমান করলেন, আমার পোস্টের প্রাসঙ্গিকতা যখন রক্ষা করতে পারবেন না তাহলে আপনাকে আজাইরা মন্তব্য করতে কে বলছে? কারো যদি দোষ থাকে তার সমালোচনা হবেই সে যতই মহান ব্যক্তি হোক, আর সেই সমালোচনা হজম করার মানসিকতাও থাকতে হবে যদি হজম নাহয় মন্তব্য করা এবং পোস্ট আসার দরকার নাই, আর মন্তব্য করলে প্রাসঙ্গিক মন্তব্যই করবেন ধন্যবাদ।

৯| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:১৭

রামন বলেছেন:
বঙ্গবন্ধুর অন্তরে কি ছিল জানিনা তবে তিনি ৭১ এর মার্চের আগেও দেশ ভাগ তথা স্বাধীনতা নিয়ে জনসমক্ষে কিছু বলেন নি৷ তিনি চেয়েছেন বাংলার মানুষ- হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ সকল বাঙালি পশ্চিমা শোষক গোষ্ঠীদের নিস্পেষণ, গোলামী ও বৈষম্যের বেড়াজাল থেকে মুক্তি পাক৷ পরবর্তীতে প্রতিকুল পরিস্থিতি অনুধাবন করে তিনি স্বাধীনতার পথেই অগ্রসর হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন যা তার দেয়া ৭ ই মার্চের ভাষণে প্রতিফলিত হয়৷
বঙ্গবন্ধু আজীবন বাঙালিদের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই এবং ত্যাগ স্বীকার করে গেছেন। সংসার পরিজন ফেলে তাকে কাটাতে হয়েছে দীর্ঘ সময় কারাঘরে। বাঙালির শ্রেষ্ট সন্তান এবং অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবর রহমানের মত ত্যাগী ও নিঃস্বার্থ নেতা আরও একজন এদেশে জন্ম নিলে তা হবে বাঙালিদের জন্য সৌভাগ্যের বিষয়।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:১৬

নৈশ শিকারী বলেছেন: তৎকালিন সময়ে শেখ সাহেবকে সবায় এক বাক্যে নেতা মেনে নিয়েছিলেন আমার বাবাও উনাকে নেতা মানতেন কারন উনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন সেহেতু আমিও উনাকে নেতা হিসেবে মেনেছি কিন্তু আমার করা প্রশ্ন গুলোর সঠিক উত্তর তিনিও দিতে পারেন নাই। আমি এখানে শেখ সাহেবের কর্মের পরিধি বিবেচনা না করেই উনাকে নেতা মেনেছি কারন আমার বাবা যাকে নেতা মানেন তাহলে আমার তাকে নেতা মানতে দোষ কোথায়? কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে যখন আমার জ্ঞানের বিকাশ ঘটলো তখন আমি শেখ সাহেবের ১৯৭১সালের অবদান পর্যালোচনা করে দেখলাম এই ব্যাপারে খুব সামান্য অবদানই উনার রয়েছে আর তখন থেকেই উনার যোগ্যতা সম্পর্কে আমি সন্দিহান, উনাকে আমি নেতা ঠিকই মানি কিন্তু যোগ্য নেতা মানি না আর এযুগেও এমন স্ববিরোধী গুন যুক্ত অনেক নেতা রয়েছে; যারা নামে নেতা কিন্তু কাজে একেকটা পঁচা শামুক।

৭ ই মার্চের ভাষণের উদ্দেশ্য কি ছিলো তা ইতি পূর্বে উল্লেখ করেছি। মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১০| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৩২

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: "ভাইসাব তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো, মনে রাখবা রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ" মূল ভাষণের এই কয়েকটা লাইন পর্যালোচনা করলেই বুঝা যায় তিনি যুদ্ধের ঘোষনা দিয়েছেন না কি অন্য কিছুর ঘোষনা দিয়েছেন। যদি বুঝতে অসুবিধা হয় উনার ভাষণটা আবার ভালো করে শুনুন।

এটা যুদ্ধের ঘোষনা<<< তাইলে আপনি একটু বেশিই বোঝেন :)

ঐ টা যে যুদ্ধের ঘোষনা ছিলো তা এতো দিন পরে আপনি বুঝেছেন.. কারন ঐ ঘোষনার পরে কেউই যুদ্ধে ঝাপাইয়া পরে নাই। :((

{(ঐ দিন বাঙ্গালী সেনা/পুলিশ সবাই আশা করেছিলো যে তিনি স্বাধীনতার ঘোষনা দেবেন ( আমার চাচা যিনি ৭১এ আমিতে ছিলেন তার মতে তিনি যদি ঐদিন ঘোষনা দিতেন তবে খুবই সহজেই দেশ স্বাধীন হতে পারতো)}

হয়নাই কারন তিনি হয়তো যুদ্ধের পথে যেতে চাননি। ( সেটা তিনিই ভাল জানেন কেন সেই চেস্টা তিনি করেন নাই)

আর আপনি একই ক্ষেত্রে স্ববিরোধী (প্যারাডক্স) কথা ব্যাবহার করেছেন যে, "পাকিস্তান সরকার মুজিব সাহেবকে এমনি মেরে ফেলতে পারেনা আবার তিনি পালালে বন্দুক যুদ্ধে মেরে ফেলতে পারে" যদি পাক বাহিনী তাকে মেরে ফেলতে চাইতো তাহলে ২৫মার্চের রাতেই অনেক সাধারণ মানুষের সাথে তাকে মেরে ফেলতো। তখনই সবচেয়ে ভালো সুযোগ ছিল। আর তিনি যদি আত্নগোপন করে থাকতেন তাহলে পাক বাহিনী তাকেই খুজতো নাকি যুদ্ধই করতো? আর যদি তিনি ধরাও পরতো তাহলে তাদের হাইকমান্ড কিছুতেই তাকে মেরে ফেলার মতো হঠকারি সিদ্ধান্ত দিতনা কারন তাতে জন আক্রোশ আরো বৃদ্ধি পেত আর ফলাফল স্বরূপ যুদ্ধে পরাজয় আরো নিশ্চিত হতো, যার একটা ভাষনে লক্ষ লক্ষ মানুষ হাসি মুখে প্রান দিতে পারে সেখানে তিনি মারা গেলে পরিস্থিতি কি হতো তা বলার আপেক্ষা রাখেনা।

আপনার মস্তিস্ক ভাল কিন্তু কাজ করে উল্টা ভাবে। ( ব্রেন ওয়াস্ড সিনড্রম)

পাকিস্তান প্রচার করছে যে কোন সমস্যা নাই। মুজিব তার বাড়িতে মারা গেলো ক্রসফায়ারে এটা বিশ্বনেতাদের গেলানো সহজ না। যখন উনাকে গ্রেপ্তার করেছে তখন তাকে বিচার করতে হবে আইন অনুযায়ী... <<< যার ফলে তিনি খরবের শিরোনামে থাকলেন...

যেটা আমাদের দেশের জন্য ভালই হয়েছে।

আর আমি সাতার জানি তাই কোনও লোক আমার সামনে পানিতে পরলে তাকে বাঁচানোর জন্য সাথে সাথেই ঝাঁপিয়ে পরে তার প্রান রক্ষা করবো, সেই অপেক্ষা করবোনা যে তিনি আগে পানিতে ডুবে লিটার দশেক কাঁদাজল পান করুক পরে উদ্ধার করবো।

সাতারের গল্প আপনার এন্টিনায় ঠিক মতন ক্যাচ করেনাই।

আমি আমাদের বাংলার মানুষকে কঠিন সময়ে উদ্ধারকতা হিসেবে শেখ মুজিব কে বুঝিয়েছি যিনি চেস্টা করেছেন। এবং সফল হয়েছিলেন তাদের পাকিস্তানের হাত থেকে স্বাধীন করেছিলেন।

আপনি একটা বিষয় ভুল গেছেন সেটা হইলো সত্যটা কি???

আয়ামীলীগ শেখ মুজিবকে দেবতা/পিতা/ বিশ্বের সেরা নেতা বানাইতে চাইবে কারন তাতে তাদের ধান্দা ভাল হবে।

কিন্তু আসলে তিনিও মানুষ তারও ভুল ত্রুটি থাকতে পারে। ঐ সময়ে সবকিছু তার নিয়ন্ত্রনে ছিলো না। হয়তো তিনি ২৬ তারিখে মিটিংএর জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন। কিন্তু ২৫ তারিখে পাকিস্তানের যুদ্ধ শুরু করে<<< মেজর জিয়া তখন তার জায়গা থেকে স্বাধীনতার ঘোষনা দেন শেখ মুজিবরের নেত্রীতে। ( সেটা অবশ্যই অনেক বড় বীরের কাজ)

স্বাধিনতার পরে শেখ মুজিব প্রসিডেন্ট হিসেবে ভাল করতে পারেন নাই তার বড় কারন হইলো তিনি বড় মনের মানুষ ছিলেন। তিনি ধান্দাবাজি করতেন না। তাই তিনি তার পাশের চাটুকারের দলের খপ্পরে পরে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

তার পরেও আমি আমাদের স্বাধীনতার জন্য শেখ মুজিবকেই সবচেয়ে বেশি ক্রেডিট দেবো। কারন তিনিই ঐ সময়ে আমাদের সংগ্রামের হাল ধরে ছিলেন।

এখন যদি নদী পার হবার পরে আপনার মনে হয় যে মাঝি ভাল না...মাঝি এই করেছে..সেই করেছে.. সেটা আপনার বিষয়।

এই জন্যই গ্রামের মানুষ প্রবাদে বলে।'' গাং পার হইলে মাঝি কোন শালা''

১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:০২

নৈশ শিকারী বলেছেন: ১. বেশী বুঝিনা বোঝার চেষ্টা করতেছি, যুদ্ধে ঝাঁপাইয়া পরবে কার উপর পরবে? আমাদের উপর আক্রমন হলে তারপর প্রতি আক্রমনের ভূমিকা পালন করতে হবে, তাছাড়া আমরা পাকিস্তান শাসনের বিদ্রোহ করেছি আমাদের উপর আগে আক্রমন না আসলে আমাদের আক্রমনটা কোথা থেকে শুরু হবে সেই ব্যাপারেই দ্বিধা থেকে যায়। তিনি যুদ্ধের পথে যেতে না চাইলে জনগনের মনে জিঘাংসার বীজ বপন করলেন কেন উত্তেজক ভাষন দিয়ে? আর আমার উনার প্রতি আস্থাহীনতার মূল কারন এটাই যে উনি আসলে ঠিক কি চেয়েছিলেন জনগনকে আর পাকিস্তান সরকারকে উত্তেজিত করার মাধ্যমে।

২. আমার মস্তিস্ক ক্রিয়াকলাপকে যদি আপনার উল্টা মনে হয় আপনার মস্তিস্কের ক্রিয়াকেও আমার উল্টা মনে হতে পারে তাই বিপরীত প্রতিক্রিয়া ভেবে একটা মন্তব্য করা উচিত। শেখ সাহেব খুব ভালো করেই জানতে যে তাকে হত্যা করা হবেনা, তাই তিনি তৎকালিন লীগের প্রধান নেতা কর্মীদের আত্নগোপন করার পরামর্শ দিয়ে নিজে সেচ্ছায় আত্নসমর্পণ করে; স্বাধীনতার ঘোষনা দেয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিলেন না? তিনি খবরের শিরোনামে থাকার চেয়ে দেশের মানুষের পাশে থাকলে মানুষ আরো বেশী উপকৃত হতো, ঐ সময়ে দেশের ক্রান্তি কালীন সময়ে আত্নসমর্পণ করাটা একটা হঠকারি সিদ্ধান্ত ছাড়া আর কিছুই ছিলনা। কারন নেতা শূন্য জাতী উনার গ্রেফতারের পর দিশে হারা হয়ে গেছিল।

৩/পানিতে ডুবার গল্পের উধ্বৃতিটা আমিও রূপক অর্থে দিয়েছি কিন্তু এখন বুঝলাম ব্যাপারটা আপনার ভালো রূপে ধাতস্থ হয় নাই, যদি হতো তাহলে পুনরায় এই মন্তব্যটা করে আপনার বিজ্ঞানের পরিধি নিয়ে আমার মনে সন্দেহ জাগাতেন না, ওহ্ দুঃখিত আমি ভুলেই গিয়েছিলুম যে আপনার রূপক চরিত্র বুঝতে সমাস্যা হয়, আমার সাথে পূর্ববর্তী একটা ডিবেটেও আপনি একই ভুল করেছিলেন, যাই হোক আজ থেকে কথা দিলাম আপনাকে আর কখনো রূপকের জালে বিভ্রান্ত করবো না, শেখ সাহেবের জায়গায় থাকলে আমি কি করতাম সেই ব্যাপারটা আমি রূপক অর্থে বুঝিয়েছি, এখানে সাঁতার জানা মানুষটা আমি (শেখ সাহেবের ভূমিকায়) আর জলে পরা মানুষ টা আমার দেশ ও জাতির মানুষের অধিকার এখন সেই অধিকার আদায়ের জন্য আমি তাকে দীর্ঘ সময় প্রতিকূল অবস্থায় না রেখে যতো জলদি সম্ভব উদ্ধার করার চেষ্টা করবো। (আশা করি এইবার ৩মিনিট আর ৯মিনিটের পার্থক্যটা বুঝেছেন) কারণ সময় যতো অতিক্রম হবে দেশের স্বার্থ উদ্ধার ততো বিঘ্নিত হবে, কিন্তু অতি দুঃখ জনক ব্যাপার এটা যে, যেই সময়টায় উনাকে দেশের সবচেয়ে বেশী দরকার ছিলো ঐ সময়টায় তিনি গ্রেফতার হয়ে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎকে অনিশ্চিত করে দিয়েছিলেন। কিন্তু কেন উনি এটা করেছিলেন এই জবাবটা সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার পরেও বলেন নাই, যদি বলে যেত আজ আমি এই সংশয়ে থাকতাম না।

৪. আওয়ামি সরকারের চাতুরতার ব্যপারটায় আমি আপনার সাথে ১০০% সহমত, মানুষ যেহেতু ভুল হবে সেটা ঠিক আছে কিন্তু সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়াটাও ভালো নেতার গুন কিন্তু তিনি সেই সময় সঠিক সিদ্ধান্তটা নিতে না পেরে নিজের অযোগ্যতার প্রকাশ করেছেন, আপনার একটা ব্যাপার আমাকে পরিতৃপ্ত করেছে যে আপনি জিয়াউর রহমান সাহেবের অবদানটা স্বীকার করেছেন, বর্তমান আওয়ামি শাসকরা উনার এই অবদানটাকে স্বীকারই করেনা। যে ব্যাক্তি দেশের সবচেয়ে কঠিন সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে পারেন নাই, তিনি অন্যের কূট বুদ্ধি দ্বারা পরিচালিত হবেন সেটাই স্বাভাবিক।

৫. স্বাধীনতার জন্য আপনি কাকে বেশী ক্রেডিট দিবেন সেটা আপনার মনস্তাত্বিক ব্যাপার, আর আমি কাকে দেবো সেটাও আমার ব্যাপার, আপনি যে বললেন শেখ সাহেব আমাদের সংগ্রামের হাল ধরে ছিলেন কিভাবে ধরেছিলেন; পাকিস্তানের কারাগারে বসে ডাল রুটি খেয়ে? সেই হিসেবে এটা বলা যায় জিয়াউর রহমান সাহেব ২৭মার্চে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং বীরের মতো মুক্তি যুদ্ধ পরিচালনা করে দেশের মানুষের পাশে ছিলেন, শেখ সাহেবের মতো আত্ন সমর্পণ করে যুদ্ধকে এড়িয়ে যান নাই। "গাং পার হইলে মাঝি কোন শালা?" মাঝি হিসেবে শেখ সাহেব থাক্লেতো উনাকে দুলা ভাই ডাকবো! সবচেয়ে বড় কথা হলো আমরা যুদ্ধ করেছি সময়ের প্রয়োজনে, আর সময়ের এই আবর্তনে কাউকে হিরো আর কাউকে জিরো বানানোটাই সবচেয়ে বড় মূর্খতা, কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্যি এই সরকার জিয়াকে আর বিরোধী দলীয় সরকার শেখ মুজিবকে জিরো আর হিরো বানানোর প্রতিযোগিতায় নেমেছে যা আমাদের এবং আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত লজ্জা জনক।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৪২

নৈশ শিকারী বলেছেন: ভাই ৩নং পয়েন্টের "বিজ্ঞানের" জায়গায় জ্ঞানের হবে, স্পেইলিং মিসটেক।

আরেকটা কথা জিয়াউর রহমানের স্বাধিনতার ঘোষনাই যথেষ্ট ছিলনা মানুষকে যুদ্ধ ক্ষেত্রে যুদ্ধ করানোর জন্য, ৭ই মার্চের ভাষনের পরই মানুষের মনে আগুনটা লেগেছিল; জিয়াউর রহমান সাহেব সেই আগুনটা জাস্ট উস্কে দিয়েছলেন স্বাধীনতার ঘোষনা দেয়ার মাধ্যমে। অনেকটা এভাবে বলা যায় শেখ সাহেব একটা গাদা বন্দুকে ঠেসে বারুদ ভরেছেন আর জিয়াউর রহমান সাহেব ট্রিগার টেনে ফায়ারটা করেছেন।

১১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:২১

নামহীন পাপী বলেছেন: আমি হতাশ,আমি অবাক বাঙালি জাতির বাংলাদেশ হয়ে উঠার পিছনে যার অবদান কখনোই অস্বীকার করা যাবে না তাকে নিয়ে সমালোচনার নামে ভদ্র ভাষায় একরাশ ঘৃণা দেওয়া হচ্ছে ।
এইসব সুশীল দের ব্লগার ৩ প্রকার ভণ্ড ,ভণ্ডতর, ভন্দতম । আপনি কোনটা ভাই ?

১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৩

নৈশ শিকারী বলেছেন: আপনার উল্লেখিত ৩প্রকারের এক প্রকারও আমি না, আমি তৎকালিন সময়ে আমাদের এরিয়ার মুক্তিযোদ্ধার কমান্ডার আলি মনসুর সরকারের নাতি, জানে আলম সরকারের পুত্র, যে কিনা এযুগের স্বঘোষিত রাজাকার, শেখ সাহেবের সমালোচনা করলে যদি কেউ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের হলেও রাজাকার হয়ে যায় তাহলে আমি ১০০০বার রাজাকার।

১২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:৩২

কলাবাগান১ বলেছেন: @নামহীন পাপী

এবার এমন সার্বজনীন ভাবে বংগবন্ধুর জন্য শোক দিবস পালন করতে দেখে রাজাকারী মানসিকতার লোকজন উঠে পড়ে লেগেছে কি ভাবে এই দিবস টাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যায়।

সব রাজাকারি মানসিকতার লোকদের কেই দেখা যায় যে বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন - এই 'ছলনার' আশ্রয় নিয়ে পোস্ট করেন। একজন সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধার ছেলে/মেয়ে এমন বংগবন্ধুর বিরুদ্ধে এমন বিষ ভরা ছলনায় ভর্তি পোস্ট দিবে না

১৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:০০

লেখোয়াড়. বলেছেন:
আচ্ছা, নৈশ শিকারী..............

ধরেন আপনার কথা মতো স্বাধীনতার পিছনে বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তি স্বার্থ জড়িত ছিল, জনগণের কোন স্বার্থ জড়িত ছিল না।
তারপরও কি আপনি খুশি হবেন, আপনার মন ভরবে? যদি খুশি হন তো এইবার খেমা দেন।

আমি জানি, তাতে আপনি খুশ হতে পারবেন না!! কারণ অনেক...................!! সেটা আপনিও বোঝেন, তাই না বললেও চলবে।

আর আপনার প্রশ্নের অনেক উত্তর আপনার এই ছোট লেখার মধ্যেই আছে।
কিন্তু ব্লগে আপনি নিজের যে পরিচয় তুলে ধরেছেন, ধরছেন তাতে আপনি কিছুই মানবেন না।
তাই চিরদিন অন্ধকারেই থাকুন, আর মনে মানে জ্বলে পুড়ে ছারখার হোন।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৮

নৈশ শিকারী বলেছেন: স্বাধীনতার পিছনে অবশ্যই জনগনের স্বার্থ জড়িত আছে, কিন্তু স্বাধীনতার পিছনে একক ভাবে যার মূল্যায়নটা সবচেয়ে বেশী করা হয় আমি তার বিরোধিতা করেছি এবং তার অবদানের পরিধিটা তুলে ধরেছি। আর এখানে মন ভরা আর না ভরার কোনও বিষয় নাই, সত্যটা স্বীকার করা এবং মেনে নেয়ার ব্যাপার যা অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না তাই আর্গুমেন্ট বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জ্বলে পুড়ে ছাড়খাড় হওয়ার ব্যাপারটা আপনি কিভাবে বুঝলেন? নিজের মনের অবস্থাকে অন্যের উপর চাপানো কিছুতেই ঠিক না। আমি অন্ধকারে আছি নাকি আলোতে আছি সেটা আমিই ভালো জানি। ধন্যবাদ।

১৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৩

নামহীন পাপী বলেছেন: সব রাজাকারি মানসিকতার লোকদের কেই দেখা যায় যে বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন - এই 'ছলনার' আশ্রয় নিয়ে পোস্ট করেন। একজন সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধার ছেলে/মেয়ে এমন বংগবন্ধুর বিরুদ্ধে এমন বিষ ভরা ছলনায় ভর্তি পোস্ট দিবে না
কথা সত্য @ কলাবাগান ১

১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০২

নৈশ শিকারী বলেছেন: অহেতুক প্যাচাল, আমি যা না তা আপনারা লক্ষ বার বললেও আমি তা হয়ে যাবনা, আর আমি যা তা ১বার ও যদি না বলেন আমি তাই থাকবো।

১৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৮

প্রামানিক বলেছেন: সবার মন্তব্য পড়লাম। অনেক কিছু জানলাম

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৪

নৈশ শিকারী বলেছেন: জাযাকাল্লাহ, আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই।

১৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৯

স্যার এডলফ হিটলার (২) বলেছেন: ধন্যবাদ। খুব ভালো পোস্ট। সত্যটা সবার জানা উচিত। সবাই বই পড়ে ছোটবেলা থেকে একজনকে হিরো মানে, কিন্তু মাথা খাটিয়ে চিন্তা করে দেখে না। এটাই বাঙ্গালির সবচেয়ে বড় দোষ।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩৭

নৈশ শিকারী বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাই, মন্তব্যের প্রতিউত্তরে দেরি করার জন্য ক্ষমা প্রার্থি, ব্লগে আগের মতো সময় দিতে পারিনা ব্যাস্ততার কারণে, আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.