নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন সংগ্রামে হেরে যাওয়ার মাঝে কোনো বীরত্ব থাকেনা; তাই জীবনের এই যুদ্ধ ক্ষেত্রে সাহসীকতার সাথে লড়াই করার মাঝেই জীবনের প্রকৃত বীরত্ব লুকিয়ে থাকে, আর ভাগ্য সবসময় সাহসীদের পক্ষেই কাজ করে।

নৈশ শিকারী

আমার এই জন্মভূমিকে খুব ভালোবাসি আর এমন দেশের স্বপ্ন দেখি যে দেশে দারিদ্র্যতা, ক্ষুধা আর পথশিশু থাকবেনা। আর এই প্রকল্প বাস্তবায়নে আমৃত্যু কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।

নৈশ শিকারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সত্যিই কি পৃথিবীর বাইরে অন্য কোন গ্রহে ঘুরে এসেছেন তাঁরা?

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২৮


পৃথিবীর বাইরে চাঁদে তো মানুষ কত আগেই ঘুরে এসেছে। আজকাল অন্য গ্রহে, মানে মঙ্গলে তো মানুষ বসবাস করার চিন্তা-ভাবনাও করে চলেছে। কিন্তু এতো গেল সামান্য কিছু হাতে গোনা মানুষের কথা যারা মহাকাশযানে চড়ে, বিশেষ নিরাপত্তা
নিয়ে তবেই গিয়েছেন পৃথিবীর বাইরে। কিন্তু পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষও আছেন যারা কিনা নিজের ঘরে বসেই চলে গিয়েছে অন্য গ্রহে! না, সিনেমায় নয়। একেবারে বাস্তবেই। অন্তত সেই মানুষগুলো সেটাই মনে করেন ও সবার কাছে দাবীও করেন। আসুন জেনে নিই এমন কিছু মানুষ আর তাদের অন্য গ্রহে ভ্রমনের বিচিত্র অভিজ্ঞতার কথা। বলাই বাহুল্য যে, সবগুলো অভিজ্ঞতাই অতিরঞ্জিত ও অতিকল্পিত। আর ভীষণ অদ্ভুতও বটে!

১. ডেনটন পরিবার:
ডেনটন পরিবারে কেবল এক বা দুইজন নয়, সবাই-ই কম বেশি ঘোরাঘুরি করে ফেলেছেন এ গ্রহে সে গ্রহে। তবে শুরুটা হয় মিঃ ডেনটনকে দিয়েই। তিনি এবং তার স্ত্রী এলিজাবেথ দুজনেই ঘুরে এসেছেন আর কোথাও নয়, এই পৃথিবীরই অতীতে। সেখানে বিশালাকার পতঙ্গও দেখেন তারা। তাদের বোন অ্যানে ক্রিজ পরবর্তীতে একটি লাভার টুকরো স্পর্শ করার সাথে সাথেই দেখতে পান বিশালাকার সমুদ্রকে। এছাড়াও এই পরিবার ও তাদের ছেলে শারমেন ঘুরে এসেছে শুক্র, বৃহস্পতি ও মঙ্গলেও। যেগুলোর ভেতরে মঙ্গলে প্রাণীর দেখা পায় তারা। কি বিচিত্র দাবী, তাই না?

২. এমান্যুয়েল সোডেনবার্গ:
সুইডিশ এই দার্শনিক বলেন তিনি স্রষ্টা আর পরীদের দ্বারা স্বর্গ, নরক আর বিশ্বব্রহ্মান্ড ঘুরে এসেছেন। চাঁদের ব্যাপারে তিনি জানান সেখানে সাত বছর বয়সী বাচ্চাদের মতন মানুষ বাস করে। শুক্রগ্রহের মানুষ দুই ধরনের। কিছু ভালো আর কিছু খারাপ। অন্যদিকে বুধ গ্রহের মানুষেরা অনেকটা পৃথিবীরই মতন। এছাড়াও বৃহস্পতি, শনি আর মঙ্গলগ্রহকে নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি। সেখানকার মানুষদেরকে নিয়ে নিজের মতামত জানান। বাকীগুলোর কথা তিনি জানতে পারেননি তার কারণ হয়তো এটা যে, তখনো সেগুলো আবিষ্কৃত হয়নি! বুঝতেই পারছেন, অতি কল্পনা ছাড়া এগুলো আর কিছুই নয়!

৩. হাওয়ার্ড মেনগার:
১০ বছর বয়স থেকেই হাওয়ার্ড অন্য পৃথিবীর সাথে যোগাযোগ করতে শুরু করেন। নিজের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে বলেন হাওয়ার্ড যে, একদিন বনের ভেতরে হাঁটবার সময় তার দেখা হয় বুধ গ্রহের এক মানবীর সাথে। যে কিনা তাকে জানিয়েছিল সে অন্যরকম এবং বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন। এরপর সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন হাওয়ার্ড। এরপর সেখান থেকে অবসর নিয়ে অন্য গ্রহ থেকে পৃথিবীতে ঘুরতে আসা মানুষগুলোকে সাহায্য করে দিন কাটাতে থাকেন। নিজের কাছে ঘুরতে আসা বুধ ও মঙ্গলের প্রানীদের কথা তিনি বলেন। একটা সময় বুধ গ্রহের এক নারীর সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠলে হাওয়ার্ড জানতে পারেন যে তিনি আসলে শনিগ্রহের সোল ডু নারু নামের এক প্রাণী। যে কিনা মৃত হাওয়ার্ড মেনগারের শরীরে বসবাস করছে! সত্যি হোক বা মিথ্যা, সায়েন্স ফিকশনের প্লট হিসাবে কিন্তু বেশ চমৎকার!

৪. ক্যাপ্টেন কায়ে:
২০১৪ সালে ক্যাপ্টেন কায়ে নামের একজন বাঁশিবাদক দাবী করেন তিনি তার ২০ বছর জীবনের ১৭ বছর কাটিয়েছেন মঙ্গলের সেনাবাহিনীতে। যেখানে এমডিএখ-এ ছিলেন তিনি। সেখানে মানব সমাজের রক্ষার জন্যে নিয়োগ করা হয়েছিল তাকে। কিন্তু পরবর্তী এক দূর্ঘটনায় গ্রহের ১,০০০ জন মারা যায় এবং তার দলের মাত্র ২৭ জন বেঁচে ফেরে। তাদের ভেতরে তিনিও একজন। কায়ের কথাকে সমর্থন করে মাইকেল রেলফে নামের একজন মানুষও জানান যে তিনিও ২০ বছর ধরে এমডিএফ-এ আছেন। পরবর্তীতে জানা যায় ক্যাপ্টেন কায়ের আসল নাম রেন্ডি ক্র্যামার, যিনি কিনা পরবর্তীতে আরো অনেক তথ্য সরবরাহ করেন। এখন দুই দুইজন ভিন্ন মানুষ একই কল্পনা করছেন, বিষয়টি একটু বিচিত্রই বটে!

৫. ডানা হাওয়ার্ড:
নিজের শুক্রগ্রহ ভ্রমণ নিয়ে বেশ কিছু বই লেখেন ডানা হাওয়ার্ড। সেগুলোর ভেতরে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- মাই ফ্লাইট টু ভেনাস, ডায়ানে: শি কেম ফ্রম ভেনাস, ওভার দ্যা থার্সহোল্ড এবং ভেস্তা-দ্যা আর্থবর্ন ভেনাসিয়ান। ১৯৩৬ সালে প্রথম ২৫০ সেন্টিমিটার লম্বা এক ভেনাসিয়ান ডায়ানের সাথে দেখা করেন ডানা। নিজের বইয়ে সেসবের বর্ণনা দেন তিনি। সেবার ডায়ানে চলে গেলেও পরবর্তীতে আবার দেখা হয় ডানার নারীটির সাথে। তাদের প্রযুক্তি, জীবন আর সবকিছু নিয়ে সেবারই পুরোপুরি কথা বলেন তিনি। বলাই বাহুল্য, ডানার কল্পনা শক্তি ছিল অসাধারণ। নতুবা এতগুলো বই লিখে পারতেন না তিনি।
তথ্যসূত্র: (প্রিয় ডট কম)

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৫৪

চলন বিল বলেছেন: মাস আল্লাহ

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৭

নৈশ শিকারী বলেছেন: মানুষ কল্পনা শক্তি দিয়ে কি না করতে পারে?

২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:০১

মহাপুরুষের ডায়েরী বলেছেন: হে হে !!!

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৪

নৈশ শিকারী বলেছেন: হা হা হা! কি বলবো, হাসির খোরাক হলেও তাদের কল্পনা শক্তির ব্যাপারটা আমাকে অবাক করেছে।

৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৯

এহসান সাবির বলেছেন: আমি ঘুরতে যাবো ভাবছি B-)

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০১

নৈশ শিকারী বলেছেন: হা হা হা! ভাই আমারেও নিয়া যাইয়েন! ;-)

৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বলৈন কি???

নাসা কি তবে খালি লুটপাট আর টাকা খাওয়ার মেমীন হঈয়া গলে নাকি!

নাসা তাদের সাথৈ যোগাযোগ করে নাই! ভ্রমনের সিস্টেম অটো ডেভেলপ হইয়া যাইত!!!! ;)

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৬

নৈশ শিকারী বলেছেন: আসসালামু ওয়ালাইকুম, ভাই অ্যাকচুয়ালি এই লেখাটা আমাকে খুব অবাক করেছে এবং তাদের কল্পনা শক্তি আমার কাছে প্রতিভার মতো মনে হয়েছে, এতোটা কল্পনা প্রবণ এই পৃথিবীর খুব কম মানুষই হতে পারে। আলবার্ট আইনস্টাইন আর গ্যালিয়র কল্পনা শক্তিও সম্ভবত তাদের কাছে হার মানবে।

৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৬

Emon hasan বলেছেন: কেউ আমারে মাইরা লা!!!!!!হা হা হা!!

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৬

নৈশ শিকারী বলেছেন: হাফ গ্লাস পানিতে চুবাইয়া মারলে কেমন হয় ভাই?

৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪৪

কালীদাস বলেছেন: এই মাসের শুরুতে জার্মানির চ্যান্সেলরের একজন উপদেষ্টার সাথে কথা হল (আমি খুবই নগণ্য একজন মানুষ, এক কনফারেন্সে দেখা হয়েছিল)। তার কাজের অংশ হচ্ছে চ্যান্সেলরের সাক্ষাতপ্রার্থীদের বক্তব্য শোনা, নোট নিয়ে চ্যান্সেলরকে ফরোয়ার্ড করা এবং আশস্ত করা যে বক্তব্য চ্যান্সেলরের কাছে যাবে এবং উপযুক্ত ব্যবস্হা নেয়া হবে। তাদের কাছে প্রায়ই ছবি, শব্দসহ প্রমাণ নিয়ে লোকজন আসে যে এলিয়েন আছে, জার্মানিতে আসে প্রায়ই এবং একজন নাকি দাবি করেছিলেন যে তাকে নাকি এক এলিয়েন কিডন্যাপ করে মঙ্গলগ্রহে নিয়ে গিয়েছিল। চ্যান্সেলর অবিলম্বে ব্যবস্হা না নিলে এরা পৃথিবী দখল করে ফেলবে।

আপনার পোস্ট দেখে জার্মানীর প্রতি এলিয়েনদের টানের কথা মনে পড়ে গেল =p~

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫

নৈশ শিকারী বলেছেন: "তিল" কে "তাল" বানানো মানুষের পুরানো স্বভাব কিন্তু আমরা তালের অস্তিত্ব না পেলেও তিলের অস্তিত্ব কিন্তু ঠিকই থাকে।

৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪৩

নতুন বলেছেন: আমাদের দেশেও আছে....

আমার খালা বাড়ির পাশে এক লোক কে জীন পানির নিজে নিয়ে গিয়েছিলো... তিনি ৮-১০ বছর ঐখানে ছিলো... পরে তাকে দিয়ে গেছে। ভদ্রলোক খুবই সহজ সরল... খেতে দৈনিক কামলা খাটে..... তিনি এতোই সহজ সরল যে তিনি বানিয়ে বলছিলেন তা মনে হয়নি। --- ( কিন্তু আমি বিশ্বাস করিনা যে পানির নিজে জীনের বসতি আছে)

এটা হয়তো এই সব মানুষের কল্পনা কিন্তু... তারা বিশ্বাস করে যে সত্যি এটা হয়েছিলো।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৬

নৈশ শিকারী বলেছেন: আসলে পৃথিবিতে ব্যাখ্যার অতীত অনেক কিছু ঘটে যা সাইন্স দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়না! আমিও এমন অদ্ভূত কিছু ঘটনার সাক্ষী হয়েছি যার ব্যাখ্যা আমি আজ পর্যন্ত পাই নাই!

৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:১০

শ্মশান বাসী বলেছেন: বিশ্বাস করেন ভাই ,এইমাত্র নেপচুন থাইকা আইলাম।।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৬

নৈশ শিকারী বলেছেন: ভাই আমার ঐখানে যাওয়ার খুব শখ! আমারে নিবেন ঐখানে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.