নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন সংগ্রামে হেরে যাওয়ার মাঝে কোনো বীরত্ব থাকেনা; তাই জীবনের এই যুদ্ধ ক্ষেত্রে সাহসীকতার সাথে লড়াই করার মাঝেই জীবনের প্রকৃত বীরত্ব লুকিয়ে থাকে, আর ভাগ্য সবসময় সাহসীদের পক্ষেই কাজ করে।

নৈশ শিকারী

আমার এই জন্মভূমিকে খুব ভালোবাসি আর এমন দেশের স্বপ্ন দেখি যে দেশে দারিদ্র্যতা, ক্ষুধা আর পথশিশু থাকবেনা। আর এই প্রকল্প বাস্তবায়নে আমৃত্যু কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।

নৈশ শিকারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার জীবনে ঘটে যাওয়া ভয়ংকর এবং সত্যিকারের কিছু ভৌতিক ঘটনা!!! (পর্বঃ১)

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৬


ঘটনা ১ঃ ১৯৯৬ এর মাঝামাঝি সময় সেটা কোন মাস ছিলও মনে নাই, তখন আমি একটা হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র, কোরানের মধ্যে কিছু সূরার আমল লেখা থাকে; সেখানে একটা আমলে পেয়েছিলাম যে সূরা জ্বীন ৭০০বার পাঠ করলে সমগ্র জ্বীন জাতি তার বশীভূত হয়। তাই আমিও আমল শুরু করেছিলাম তাছাড়া দিনটা বৃহস্পতি বার ছিলও আর পরের দিন উস্তাদকে সবক শোনানোর ঝামেলাও ছিলনা বলে সেদিন দুপুরের পর থেকেই আমল শুরু করেছিলাম, মোটামুটি রাতের নয়টা পর্যন্ত প্রায় চারশো বারের মতো পড়ে ফেলেছিলাম, বাড়ি ফিরার সময় আমার কোরান শরিফটা বুকে নিয়ে আরেক হাতে তসবি নিয়ে সূরাটা পড়তে পড়তে বাড়ির কাছে চলে আসছি এমন সময় আমার চেয়ে প্রায় ৩গুন লম্বা একটা লোকের মুখোমুখি হয়েছিলাম, লোকটা আমার তসবি ধরা হাতটা চেপে ধরে প্রশ্ন করেছিল তুই কি পড়তাছছ? বলে রাখা ভালও লোকটার গায়ে এমন একটা পোশাক ছিলও যে ঐরকম পোশাক আমি কোনদিন কোনও মানুষকে পড়তে দেখি নাই।

অন্ধকারের মধ্যেও লোকটার চোখ, মুখ, চেহারা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল উজ্জল ভাবে! মোটা মোটা ভ্রু, কয়লার আগুনের মতো চোখ দুটি যেনো আমাকে সম্মোহিত করে ফেলেছিল। আমি তার প্রশ্নের উত্তরে এমন গগনবিদারি চিৎকার দিয়েছিলাম যে, যদি আমার চিৎকারের অনুভুতি তার উপর কাজ করতো তাহলে আমি নিশ্চিত তার কানের পর্দা ফেঁটে যেতো। আমি চিৎকার করার পর লোকটা আমার হাত ছেড়ে দিয়ে বলেছিল, যা চলে যা এখান থেকে; আর কোনদিন এইসব পড়বিনা। ছাড়া পাওয়া মাত্র আমি এক দৌড়ে ঘরের দরজার সামনে গিয়ে পরেই অজ্ঞান। আর অজ্ঞান হওয়ার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত কোরান শরিফটা বুক থেকে ছাড়ি নাই। পরের দিন থেকে আমার এমন জ্বর শুরু হয়েছিলো যে ১মাস পর্যন্ত ভুগে
পরে সুস্থ হয়েছিলাম।


ঘটনা ২ঃ উপরোক্ত ঘটনার সময় আমার বয়স ১৩বছর ছিল। তারও প্রায় ৩বছর পর একটা ছাত্র একা এসে আমাদের মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছিল। তার নাম ছিলো মোক্তার দেখতে আমাদের বয়সিই ছিল। সে আসার পর থেকে তার আচরণে অদ্ভুত কিছু ব্যাপার লক্ষনিয় হতে লাগলো; সে তেমন কারও সাথে মিসতোনা আর সবসময় একা থাকতো, আমাদের খাওয়ার সময় সে কোথায় যেনো চলে যেত, জিজ্ঞেস করলে বলতো আমি বাহিরে খেয়েছি এখানকার খাবার আমার ভাল লাগেনা, এমন আরো কিছু আজব ব্যাপার ছিল তার চরিত্রে। যাই হোক মূল ব্যাপারে আসি, আমাদের উস্তাদের কঠর নিষেধ ছিল রাত ১১টার পর কারও টয়লেটে যাওয়ার দরকার হলে সে যেন একা না যায়, প্রয়োজনে অন্য কোনও ছাত্রকে যেন অবশ্যই সাথে নিয়ে যায়। একদিন রাত বারোটার দিকে আমার এক বন্ধু আওলাদ হোসেনকে নিয়ে টয়লেটে গেলাম; গিয়েতো দুজনেরই চক্ষু ছানাবড়া! দেখি মসজিদের বারান্দায় বসে মোক্তার কোরান পড়তেছে!

টয়লেটে আসার সময় নিজের চোখে দেখেছি যে, ও হাসান ভাইয়ের সাথে ঘুমাচ্ছে! ২জায়গায়ই এক জনকে দেখে খুব অবাক হয়েছিলাম, পরে মোক্তারকে ডাক দিয়ে বললাম তুমি এখানে আসলা কিভাবে? (তাকে যে মাদ্রাসায় ঘুমাতে দেখেছিলাম ব্যাপারটা দুজনেই চেপে গিয়েছিলাম ভয়ে) মজার ব্যাপার হলোও মোক্তার আমাদের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে সে হাতে পায়ে ধরে কান্নাকাটি করেছিলো আর বলছিল ভাই তোমরা হুজুরকে কিছু বলো না উনি জানলে আমাকে মাদ্রাসা থেকে বের করে দিবে, পরে আমি বললাম, ঠিক আছে বলবোনা তুমিও আর এমন করোনা। পরবর্তীতে আমি কথা রাখলেও আওলাদ কথা রাখতে পারেনি। সে পুরো ঘটনার বৃত্তান্ত অনেকের কাছে প্রকাশ করে দিয়েছিল। এরপর ব্যাপারটা ২কান থেকে ৬কান হতে বেশী সময় লাগে নাই কিন্তু আমাদের সবায় যে ঘটনাটা যেনে গিয়েছিলাম এটা মোক্তার জানতো না।

তার কিছুদিন পর আমাদের সকলের সিনিয়ার ইমরান ভাই আমাদের উস্তাদের কাছে ব্যাপারটা জানান আর তিনি আরো কয়েকবার নিজে পরীক্ষা করে দেখেছিলেন যে দরজা বন্ধ থাকা অবস্থায় মোক্তার গায়েব সেটাও জানান। পরে হুজুর মাগরিব নামাজের পরে ইমরান ভাইকে দিয়ে সবাইকে জানিয়ে দেন যে, আজ সবায় যেন জেগে থাকি আজ মোক্তারকে ধরা হবে হাতেনাতে! রাত ৯:৩০ মিনিটে খেয়ে সবায় ১০:৩০ এর মধ্যে শুয়ে ঘুমানোর ভান করে পরেছিল। ছোট ২/১জন ছাড়া প্রায় সবায়ই জেগে রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করছিলাম মোক্তারের কান্ড সরাসরি প্রত্যক্ষ করার জন্য। ঠিক রাত ১:২০মিনিটে আমার চোখ লেগে আসছিল এমন সময় ডিমলাইটের আলোয় স্পষ্ট দেখলাম মোক্তারের বিছানা থেকে একটা আলো প্রকাশিত হচ্ছে পরে আলোটা প্রায় মানবের আকৃতি ধারণ করে ধীরে ধীরে দরজার দিকে যেতে দেখছিলাম। মনে মনে ভাবছিলাম যে ভুল দেখছিনা তো? আমার পাশের বিছানার আওলাদকে কনুই দিয়ে খোঁচা দিলাম, ও ইশারায় আমাকে চুপ থাকতে বললো।

আশ্চর্য জনক ব্যাপার হলোও মোক্তারের দেহটা আমরা তখনও শুয়ে থাকতে দেখছিলাম ওর বিছানায়! মানব আকৃতি যুক্ত আলোটা যখন দরজা ভেদ কর বেড়িয়ে গেল তখন ইমরান ভাই আর হাসান ভাই আমাদের সবাইকে অবাক করে দিয়ে তাদের বেড এর তোষক দিয়ে ঘুমন্ত মোক্তারকে চেপে ধরলো! এর মধ্যে আমাদের উস্তাদ লাইট এর সুইচ দিয়ে দিল। পুরো মাদ্রাসার মধ্যে হৈচৈ শুরু হয়ে গেলো আর অধির আগ্রহে সবায় অপেক্ষা করছিলাম ইমরান ভাই আর হাসান ভাইয়ের তোষকের নিচে কি আছে সেটা দেখার জন্য। তারা দুজনই তখন তাদের তোষক দিয়ে মোক্তারের বিছানা চেপে ধরে ছিল। পরে হুজুর এসে বললো তোষক সরাতে; তোষক সরানোর পর সবায় দেখলাম বিছানা মোক্তার শূন্য!!! সবায় অবাক হয়ে বসে রইলাম আর ভাবতে লাগলাম এটা কি হলোও? তারপর থেকে আর আমরা কোনদিন মোক্তারকে দেখতে পারি নাই।


ঘটনা ৩ঃ মোক্তারের ঘটনার ১বছর পরের কথা। শুক্রবার দিন সকাল ৭টা পর্যন্ত ক্লাস হয় পরে ছুটি হয়ে যায়; আর সেই দিনটাও শুক্র বার ছিল, ছুটি দিয়ে হুজুর একটু বাহিরে গিয়েছিলেন । এর মধ্যে আমি আওলাদ সহ ৬/৭জন বন্ধু গল্প করছিলাম, হঠাৎ আওলাদ চেচিয়ে উঠে বললো এই আমার মাথায় কে মারলো? আমি মারের আওয়াজ শুনলেও কে মেরেছে দেখি নাই, ভেবেছিলাম আমাদের মধ্যেই কেউ হয়তো দুষ্টামি করছে তাই ব্যাপারটা পাত্তাও দেই নাই। ৪/৫মিনিট যেতে না যেতেই দেখলাম আওলাদ শুধু চেঁচাচ্ছে আর বলছে আমারে মাইরা ফালাইলো আমারে বাঁচাও। আমরা অবাক হয়ে দেখছিলাম ওর নাকে মুখে স্পষ্ট আঘাতের চিহ্ন কিন্তু আঘাত কারিকে আবিষ্কার করতে পারছিলাম না। আঘাতের আওয়াজ শুনছি, চিহ্ন দেখছি অথচ আঘাত কারিকে দেখতে পারছিলাম না, কিভাবে সাহায্য করবো তা ও বুঝতে পারছিলাম না।

এরমধ্যে দেখলাম মেঝের উপর দিয়ে ওকে যেনো কেউ টেনে হিঁচড়ে দরজারদিকে নিয়ে যাচ্ছে, বুঝতেই পারি নাই যে এরচেয়ে অবাক করা কিছু দেখা আমাদের কপালে ছিলও। দেখলাম আওলাদ যখন দরজার প্রায় কাছে পৌঁছে গেছে তখন সে ধীরে ধীরে শূন্যে ভেসে উঠছে!! আওলাদ যখন চিৎকার করে বললো আমারে লইয়া গেলগা! আমারে লইয়া গেলগা!! তখন আমি সহ আমার আরো ৩ বন্ধু দৌড়ে গিয়ে ওর দুহাত টেনে ধরে থামানোর চেষ্টা করছিলাম। কি পরিমান অসুরিক শক্তি ওকে টানছিল দেখতে না পারলেও তার শক্তি অনুভব করছিলাম। এর মধ্যে হুজুর এসে এই ঘটনা দেখে কালবিলম্ব না করে ৩৩আয়াতের আমল শুরু করে দিলেন; আমলের সাথে সাথে সেই শক্তির মাত্রা কমতে কমতে এক সময় শেষ হয়েছিল। আওলাদের সুস্থ হতে পুরো এক সপ্তাহ অপেক্ষা করা লেগেছিল। সুস্থ হওয়ার পর আওলাদ আমাদের মাদ্রাসা ছেড়ে চলে গিয়েছিল। এগুলো ছাড়াও আরো কিছু প্যারানরমাল ঘটনার সাক্ষী আমি হয়েছি যার ব্যাখ্যা আমি আজও পাইনাই; সময় পেলে পরবর্তী পর্বে ইনশাআল্লাহ আপনাদের মাঝে সেগুলো শেয়ার করবো।

মন্তব্য ৫৭ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৫৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৮

সিপন মিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩১

নৈশ শিকারী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৭

আমিই মিসির আলী বলেছেন: হা হা হা

হাসি পাইতাছে

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৯

নৈশ শিকারী বলেছেন: ব্যাপারটা আপনার কাছে হাস্যকর হলেও আমার কাছে খুউব পেইনফুল, কারন এই ঘটনা গুলোর কোন ব্যাখ্যা আমি আজও পাইনাই!

৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


মাদ্রাসায় পড়লে এরকম অনেক সমস্যা মগজে আসে।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৪

নৈশ শিকারী বলেছেন: হা হা হা! তাহলে আপনিও কি মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন নাকি? তা না হলেতো এত সুন্দর ব্যাখ্যা দিতে পারতেন না!

৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০২

নতুন বলেছেন: এই গুলি কি আপনার ব্যাক্তিগত অভিঙ্ততা?

আপনার ৩য় ঘটনা কি এই ঘটনার মতন? তাকে কি সম্পূ`ন ভাসমান হতে দেখেছেন?
https://www.youtube.com/watch?v=xoVQs0GLlUg

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৬

নৈশ শিকারী বলেছেন: জ্বি ভাই এগুলো আমি বাস্তব ভাবে প্রত্যক্ষ করেছি, ব্যাপারটা এমন ছিল যে আমরা ৪জন আওলাদের হাত ধরে নিচের দিকে টানছিলাম আর ওর দুটি পায়ে ধরে কেউ উপরের দিকে টানলে ঠিক যেমন হয় ব্যাপারটা অনেকটা তেমন ছিলো।

৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৫

সাইলেন্স বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:
মাদ্রাসায় পড়লে এরকম অনেক সমস্যা মগজে আসে। রকস

৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:

"লেখক বলেছেন: হা হা হা! তাহলে আপনিও কি মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন নাকি? তা না হলেতো এত সুন্দর ব্যাখ্যা দিতে পারতেন না! "

-বড় দু:খ ও ক্ষোভের বিষয় যে, আমাদের দরিদ্র শ্রেণীর ছেলেমেয়েগুলোকে মাদ্রাসায় যেতে হয়েছে; তারা সঠিক জীবন থেকে বন্চিত হয়েছে। সৌদীরা ও পাকীরা চায়, মানুষ মাদ্রাসায় পড়ুক, ওরা সেটার জন্য টাকা দেয়; ওরা ভালো মানুষ নয়।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৭

নৈশ শিকারী বলেছেন: অনেক দরিদ্র পরিবারের সন্তানরা মাদ্রাসায় পড়ে সেটা আমি মানি, তাই বলে শুধু দরিদ্ররাই মাদ্রাসায় পড়ে সেটা ভাবা ভুল। আমার পরিবার দরিদ্র ছিলনা। তাছাড়া আমার দাদা সহ আমার পুরো পরিবার পাকিস্তানের ঘোর বিরোধী ছিল এবং ৭১এ আমার দাদা, জেঠা এবং আমার বাবা বীরত্বের সাথে মুক্তি যুদ্ধ করেছেন।

৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৪

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: জ্বি ভাই এগুলো আমি বাস্তব ভাবে প্রত্যক্ষ করেছি, ব্যাপারটা এমন ছিল যে আমরা ৪জন আওলাদের হাত ধরে নিচের দিকে টানছিলাম আর ওর দুটি পায়ে ধরে কেউ উপরের দিকে টানলে ঠিক যেমন হয় ব্যাপারটা অনেকটা তেমন ছিলো।

দেখলাম আওলাদ যখন দরজার প্রায় কাছে পৌঁছে গেছে তখন সে আস্তে আস্তে শূন্যে ভেসে উঠছে!!

অনেক সময় মাদ্রসার পড়ালেখার চাপ সইতে না পেরে অনেকেই এমন কাজ করে যাতে পরিবার থেকে তাকে নিয়ে যায়। আপনার আওলাদও মনে হয় তেমন কেউই ছিলো। সে এই ঘটনার পরে আর মাদ্রাসায় পড়া কন্টিনিউ করে না।

এখন তাকে পেলে পশ্ন করে দেখতে পারেন। হয় তো ঐ ঘটনার অন্যরকমের ব্যাক্ষা দেবে।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৩

নৈশ শিকারী বলেছেন: ভাই সে মাদ্রাসাটা শুধু চেঞ্জ করেছিল কিন্তু মাদ্রাসায় পড়া বন্ধ করে নাই; পরবর্তীতে সে একজন উচুমানের হাফেজ হয়েছিল। তাছাড়া সে এমন শক্তিশালী কেউ ছিলনা যে আমাদের ৪জনের ঘাম ছুটাতে পারে, আর তার পুরো শরীর সহ নাকে মুখে যে আঘাতের চিহ্ন গুলো ছিলো সেগুলো কাউকে কেউ নির্মম ভাবে পিটালেই হওয়া সম্ভব।

৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভালো লেগেছে ।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৭

নৈশ শিকারী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৯| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৭

চলন বিল বলেছেন: সব বাজে গল্প

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৭

নৈশ শিকারী বলেছেন: বাজে লাগলে পোস্ট এড়িয়ে জান, আপনাকে কষ্ট করে কে মন্তব্য করতে বলেছে?

১০| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩২

চলন বিল বলেছেন: এইসব ভুয়া গল্প মানুষের সামনে সত্যি হিসেবে দেখাচ্ছেন, কুসংস্কার বাড়াচ্ছেন।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০১

নৈশ শিকারী বলেছেন: এই ব্লগ একটা স্বাধীন মতামতের প্লাটফর্ম, আমি আমার মনের ভাব জীবন ধর্মী কথা শেয়ার করতেই পারি, আমেরিকার মতো উন্নত দেশেও প্রাইভেট প্রপার্টিতে প্যারানরমাল এক্টিভিটি দূর করার জন্য হান্টেড টিম আছে। তাছাড়া অনলাইনে সার্চ দিয়ে দেখেন বহু রিয়েল ছবি এবং ভিডিও আছে, তাহলে এমন একটা ব্যাপারতো একেবারে উড়িয়েও দেয়া যায়না। হয়তো ব্যাপারটা সাইন্স দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়না, এছাড়াও এমন বহু ব্যাপার আছে যা সাইন্স দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়না আবার অস্বীকারও করা যায়না। আর এখানে আমি এক বিন্দুও মিথ্যাচার করি নাই। আমার এই ঘটনা গুলো কেউ বিশ্বাস করুক বা না করুক সেটা তার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। কিছু না হোক মানুষ ব্যাপারটা বিনোদনের উপকরন হিসেবেতো নিতে পারে তাইনা?

১১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৩৭

বাঘ মামা বলেছেন: সাধারানত যারা ভুত জ্বীন দেখেছে বা এরা মানুষের অভ্যান্তরে প্রবেশ করে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এমন বিশ্বাসী বক্তব্য দেয় সেখানে আমি মন্তব্য করিনা,কিন্তু আপনার মন্তব্যের জবাব গুলো আমার ভালো লেগেছে বলে কিছু বলতে ইচ্ছে করলো।

একজন মুসলিম হিসেবে কোরাআনে বর্নীত জ্বিনের বিষয় অবিশ্বাস করিনা, তবে এটাও জানি যে মানুষ হলো সৃষ্টির সেরা জীব।এই দুনিয়াতে অনেক শক্তিশালী জীব ছিলো আছে, এরা সরাসারি মানুষকে আক্রমণ করে হত্যা করে খেয়ে ফেলে। কিন্তু আল্লাহ এমন কোন জীব পৃথিবীতে পাঠাননি যা মানুষের মধ্যে প্রবেশ করে তার ইন্দ্রীয় গুলো নিয়ন্ত্রণ করবে।তার ইচ্ছা শক্তিতে মানুষ চলবে এবং বলবে এমন ক্ষমতা কাউকে দেননি বিধাতা।এবং নবীজি বা সাহাবাদের গোটা জীবনি ঘেটে দেখলেও এমন নজীর পাওয়া যাবেনা যেখানে তারা জার ফু দিয়ে মানুষ থেকে জ্বীন কে বের করে এনেছে।নবীজি জ্বীনদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদে বিচার করেছেন এমন ইতিহাস আছে কিন্তু কোন ব্যক্তিকে জ্বীন নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং নবিজী তা থেকে মুক্ত করেছেন আমি পাইনি।
এমন হলে দুনিয়াতে মানুষ এবং জ্বীনের মধ্যে বিশাল সংঘাৎ সৃষ্টি হতো,সারা দুনিয়াতে জ্বীন মানুষের যুদ্ধ সৃষ=টি হয়ে যেতো।

মানুষের মস্তিষ্ক এতটাই জটিল যে একটা ভয় মানুষকে এলোমেলো করে দিতে পারে, যাইহোক আমি সাইন্স দিয়ে এসবের ব্যাখ্যা করতে যাবোনা,কারণ জ্বীনকে যেমন বিশ্বাস না করা মানুষ আছে তেমনি সাইন্সের সব কিছু মেনে না নেয়ার মানুষও আছে।আমি বাস্তবতা থেকে বলবো।
আপনি উপরে একটা মন্তব্যে বলেছেন উন্নত বিশ্বে এসবের প্রচলন আছে, ভিবিন্ন টিভি চ্যানেলে এবং ন্যাশানাল জিওগ্রাফিতেও এমন ঘটনা এখন অহরহ, হুম কথা সত্য। এসবে কারণ কি জানেন? প্রথমত হান্টার কাহীনি গুলো দিয়ে চ্যানেল গুলো লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে, পরের বিষয় হলো আমাদের ইসলামে আধ্যাতিক ভাবে কোরাআণের ব্যবহার করছে। সুরা পড়ে ফু দিয়ে রোগ বালাই থেকে শুরু করে জ্বিন ভুত তাড়ানো সহ অনেক মোজেজা মানুষ দেখাচ্ছে ,এসব ক্ষেত্রে অন্যান্য ধর্ম গুলো পিছিয়ে পড়েছে। তাই তারা চিন্তা করলো তারা কেন পিছিয়ে পড়বে তাদের ধর্ম এবং ধর্মের প্রতিক গুলোকে কাজে লাগাতে শুরু করোলো, যেমন খ্রিষ্টানদের ক্রস,এবং হিন্দুদের ক্রুশ,এই দুটোর শক্তি ক্ষমতা পদর্শনে নেমে গেলো।এবং সেই আলোকে দেব দেবি ক্রুশ ক্রস এসবের ব্যবহার নিয়ে নানা কল্প কাহীনি ভিডিও বাজারে ছেড়ে দিয়েছেন।

এই হান্টার বিষয় নিয়ে আমার নিজের দেখা নরওয়ে ওসলোর জেসিম নামের একটা যায়গায় একটা ভবনের নিচের তলায় ভুত কাহিনীি সাজিয়ে সেই ভবনকে পরিত্যক্ত বানিয়ে পড়ে সেটা এক পক্ষ দখল করে দিব্যি ব্যবসায় করছেন,তবে তারা এখনো নিচের তলাকে সাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছেন।যাইহোক সেই ঘটনা বিস্তারিত যাবোনা,কারণ এর পুরো ঘটনায় আমি ছিলামনা।

এবার এমন ঘটনা শুনেন যেখানে আমি জড়িত, ব্লগে এই ঘটনা আমি আরো একবার বলেছি মনে হয়, তবুও আপনার জন্য বলি আবার-
আমার পাশের বাড়ির এক বড় ভাই পেশাগত ভাবে মাছ ধরা বিক্রি করে জীবন চালায়, জন্ম থেকেই তাকেএই পেশায় দেখেছি, বিশেষ করে বর্ষাকালে তার জমির পাশে বয়ে যাওয়া ছোট নদি যাকে খাল বলে সেখানে তিনি বাধ দিয়ে মাছ ধরতেন।একদিন ভোরে আমি নামাজ পড়ে বের হয়ে দেখি তার বউ হাউ মাউ করে কাঁদছেন আর তার স্বামীকে খুজছেন ধানের জমির মধ্যে হেটে হেটে, হাতে হ্যরিকেন তখনো আলো হয়নি ততটা। আমি গিয়ে দেখালাম যেখানে তিনি মাছ ধরতেন সেখান থেকে ওনাকে টেনে হিসরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যার জন্য ধান গাছ গুলো মাড়িয়ে গেছে, আমি সেই পথ ধরে হেটে হেটে ওনাকে অনেক দুরে পেলাম যেখানে তিনি উপর হয়ে পড়ে আছেন।গলায় গামছা জড়ানো,দেখে মনে হলো খুব শক্তিশালী কেউ তাকে গলায় গামসা দিয়ে বেধে টেনে এখানে নিয়ে এসে বেধড়ম মেরেছে। উনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন, বিষয়টা দেখে সবাই এক বাক্য বলে বসলো ভুত বা জ্বীন ।যুক্তি হিসেবে তারা বলছেন পাশেই কবর স্থান আর মাছ ভুত জ্বীন খুব লাইক করে,।
তারপর হুজুরকে খবর দেয়া হলো, তিনি কি একটা গাছে ডাল দিয়ে পেটাচ্ছেন আর নাকের মধ্যে শরিষার তৈল দিচ্ছেন। আর ওনার একটা আন্গুলেকে দুটো কাঠ দিয়ে চেপে ধরেছেন। উনি ব্যথায় চিৎকার করছেন, লেখক এখানে আপনাকে একটু বলি, যদি কলম থাকে আপনার পাশে তাহোলে দুটো কলম নিয়ে আপনার যে কোন একটা আঙ্গুল ছেপে ধরুন এখনি, এরপর বলুন আপনার কেমন লাগছে,এইভাবে যদি আমি আপনাকে ধরি তো এই দেশে যত খুন হয়েছে তা আপনি করেছেন এটা বললেও আপনি মেনে নিয়ে বলবেন হ্যা আমি করেছি,।

যাইহোক অবশেষে ঐ বড় ভাই ব্যথায় যন্ত্রণায় কাতর, এবং হুজুর যা যা বলছেন তা তিনি মেনে নিচ্ছেন,একসময় অজ্ঞান হয়ে গেলো আবার,তখন হুজুর বললো - অনেক বজ্জাত জ্বীন ,আমাকে কাহিল করে ফেলেছে,তাকে বতলে ঢুকিয়েছি সেটা আমি মাটির নিচে পুতে ফেলবো। হুজুরকে টাকা দিলো হুজুর চলে গেলো। আমি সেসব নীরবে দেখছি,কিছু বলছিনা কারণ বলে লাভ নেই,এখানে একটা মানুষও নেই যে আমার কথা শুনবে,উল্টো আমাকে জ্বীন বলে বতলে ঢুকিয়ে ফেলবে, যাইহোক এই ঘটনার ৩মাস পর। আমাদের বাড়ির পাশে একটা চা দোকান আছে যেখানে সবাই মিলে রাতে আড্ডা দেয় তাস খেলে এবং নেশা করে, আমি ঢাকা থেকে বাড়ি আসার পথে সেই দোকানের সামনেই দাড়িয়ে এক চাচার সাথে কথা বলছিলাম,রাত তখন ১২ টা হবে, এক সময় ভিতর থেকে কালাম নামের এক লোকের উচ্চ স্বরে কথা আসছে ।আমি এবং চাচা কথা বন্ধ করে তার কথা গুলো শুনছিলাম, সে নেশা করে তাস খেলছে আর তার সাথের বন্ধুদের বলছে- হুদা কে সেদিন মেরেই ফেলতাম আমি, তার বউ বাচ্ছার কথা মনে হওয়াতে ছেড়ে দিলাম, তাকে আমি বার বার বলেছি হুদা তুই এখানে খালের মধ্যে বাধ দিসনা, পানির স্রোতে আমার জমিটা ভেঙে যায়, আমি অনেক কষ্টে ভরাট করি, ঐপাশের জমিটা তোর কিন্তু খালের এই পাশের জমিটাত আমার। তোর মাছ ধরার কারণে আমার জমিটা ভেঙ্গে খালের মধ্যে পড়ে যাচ্ছে, সে আমার কোন কথাই শুনলোনা, সেদিন গলায় গামছা বেধে টেনে হিছরে দক্ষিন মাঠে নিয়েছিলাম, জানে মারিনাই তবে ভিতরে খবর করে ফেলেছি।কালাম তাকে অন্ধকারে পিছন থেকে এসে প্রথমে তার গায়ের শার্ট দিয়ে মুখ চোখ বেধে ফেলেছে, এবং হ্যারিকেন খালের মধ্যয়ে ফেলে দিয়েছে। তারপর হুদার গলার গামছা দিয়ে তাকে বেধেছে।

এখন দেখুন হুজুরটা সেদিন যা বললো করলো সবতো মিথ্যা।তিনি বলেছেন জ্বিনটা অনেক খারাপ, তার ১০ টা সন্তান, সে এই কবরস্থানে ২০ বছর ধরে থাকে, হুদার কাছে মাছ চেয়েছে সে দেয়নি। সে সারা রাত হ্যরিকেন জ্বালিয়ে রাখে যা জ্বিনের সমস্যা হয়।তাই তাকে ধরে মেরেছে, এবং হুজুর তাকে বোতলে ঢুকিয়েছেন।

(আরেকটা ঘটনা নিয়ে আসতেছি আবার )


১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৩

নৈশ শিকারী বলেছেন: আসসালামু ওলাইকুম! আপনি যে বললেন জ্বীনের ক্ষমতা নাই মানুষের শরীরে প্রবেশ করার এই ব্যাপারটা ভুল। জ্বীনদের মধ্যে বেশ কয়েকটা প্রজাতি আছে ভালো মন্দ ভিন্ন গুন সম্পন্ন। যারা ভালো তারা সাধারণত মানুষের ক্ষতি করেনা তবে খারাপরা ক্ষতি করতে পিছপা হয়না। আর আপনি যে সংঘর্ষের কথা বললেন সেটা অযৌক্তিক কেননা মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব এবং জ্বীনদের নিয়ন্ত্রণ করার চাবি কাঠি মানুষের কাছেই আছে যেমন, আয়াতুল কুরসি, সূরা ইয়াসিন ইত্যাদি। খলিফা উমর (রা: ) একজন সম্মানিত সাহাবি ছিলেন যাকে স্বয়ং শয়তান পর্যন্ত ভয় পেতো সেখানে সাধারণ জ্বীনের কি সাধ্য ছিলো কোনও সাহাবিকে আক্রমন করার? তবে অনেকে জ্বীন ছাড়ানোর নামে ভন্ডামি করে এটা সত্য কিন্তু সবায় না। আমার আপন বোন এপর্যন্ত ৫বারের বেশী এই সংক্রান্ত সমাস্যায় আক্রান্ত হয়েছে, প্রথমে আমি আর আমার মামা ভাবছিলাম যে, মাল্টিফুল পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার নামের মানুষিক রোগ হয়েছে। কিন্তু উন্নত হাসপাতালে ১মাস রাখার পরও যখন ও সুস্থ হলোনা তখন একজন আলেমের স্বরনাপন্ন হয়ে চিকিৎসা করাই, আল্লাহ চাহেতো আলেমের তদবিরের পরের দিন থেকেই ও সুস্থ হয়ে উঠে। এই ব্যাপারে বিস্তারিত গল্পের দ্বিতিয় পর্বে লিখব। আমি আপনাকে জ্বীনের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে কয়েকটা তথ্য সূত্র দিচ্ছি একটু দেখে নিয়েন। Click This Link http://pnsnews24.com/news/islam/42759 Click This Link

১২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৭

নতুন বলেছেন: বাঘ মামর সাথে সহমত...

আমার নানা খুবই সাহসী ছিলেন এবং গ্রামে রাত বিরাতে নদীতে মাছ মারতে যেতেন বষ`ার সময়...

তার কাছেও ভুতের গল্প সুনতাম...

কিন্তু তিনিও স্বীকার করেছেন যে তিনি নিজে কখনোই এই সব ঘটনার সম্মখিন হন নি। কেবল মানুষের মুখে শুনেছেন।
আর একবার এক জনকে লঙ্চঘাটে তুলে দিয়ে মাঠের মাছে হাতির মতন...উপরে আগুন জ্বলে এক ভুতের মতন তার দিকে আসতে দেখেছিলো... তিনিও লুঙ্গি কাছা দিয়ে হাতে খড়ম নিয়ে ওটার সাথে মারামারি করার জন্য তৌরি হয়েছিলো কিন্তু কাছে আসার পরে দেখে এক বৃদ্ধ, কুজো এবং হাতে হুক্কা টানছিলো.. তাই দুর থেকে মনে হচ্ছিলো হাতির মতন সুড় দুলিয়ে আগুন জ্বালীয়ে কিছু একটা আসছিলো।

যখন কিছু ব্যাক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ে তখন মানুষ তাকে অলৌকিক বলে ধারনা করে নেয়।

১৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৪

প্রামানিক বলেছেন: আমার জীবনেও দু'একটি ঘটনা আছে যার কোন ব্যাখ্যা পাই নাই। ধন্যবাদ

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৮

নৈশ শিকারী বলেছেন: আসলে এযুগের যুব সমাজ নাম মাত্র বিজ্ঞান জেনে নিজেকে অনেক বড় বিজ্ঞান মনস্ক মনে করে। কিন্তু সাইনসের ওই পাশেও যে একটা জগৎ আছে সেটা তারা মানতে চায়না। আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ; শুভ কামনা রইলো।

১৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যারা জ্বীনকে অস্বীকার করে তারা মূলত আল্লাহর আয়াতকেই অস্বীকার করে! তাদের সাথে বাদানুবাদ বৃথাই কেবল।

আমার ব্যাখ্যায় আসেনা বলেইই যে কোন ঘটনা মিথ্যা এটাও একটা চরম মূর্খতার দাবী! কারণ যিনি দাবী করছেন তিনি কি সর্ববিদ্যায় পারদর্শী !

আর বিজ্ঞানের ব্যাখ্যার দোহাই দিযে যারা চরম পরম কিছু সত্যকেও হেসে উড়িয়ে দিতে চায়, কু০সংস্কার বলে ঝাপিয়ে পড়ে নিজেদের খুব হামবড়া জ্ঞানী কেউকেটা কিছূ ভাবধরে থাকে তাদেরও সালাম!

জ্বিন ও ইনসান আল্লাহর ইবাদতের জণ্য সৃষ্টি এ আল্লাহর ঘোষনা। আমি মুসলিম হিসাবে তা অন্তর থেকেই মানি। তারা মানুষের ভেতন যেতে পারেনা বলে যারা বলে তা কেবলই অজ্ঞতা! কারন শয়তান যখন অভিশপ্ত হয়েছিল সে আল্লাহর কাছে যে ৩টি ক্ষমতা চেয়ে এনেছিল তার অন্যতম হল মানুষের শিরায় শিরায় প্রবিষ্ট হয়ে তাদের কু-মন্ত্রনা দিতে পারার ক্ষমতা!
আর অভিশপ্ত শয়তান যে জ্বনি জাতির ছিল তাওকি বলে দিতে হবে?
তার উত্তরপুরুষরাও সেই কাজেই ব্যাস্ত।
আবার আল্লাহ এও বলে দিয়েছেন আমার বিশ্বাসী সত্যবাদী মুমিনদের ধারে কাছেও জ্বিনরা ঘেষতে পারবে না।

তাই তারা সাধারনত মানুষকে এড়িয়েই চলে। মাঝে মাঝে সংঘর্ষ হয়ে যায় তাই আলোচনায় আসে।

আবার জ্বিনদের মধ্যে অনেকেই মানুষের বশিভুত হয়, বন্ধুও হয়।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫

নৈশ শিকারী বলেছেন: আসসালামু ওলাইকুম, সুন্দর এবং শিক্ষণীয় মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।

১৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: =p~ গেট ওয়েল সুন।

১৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০২

এইচ তালুকদার বলেছেন: শেক্সপিয়ার আঙ্কেল ও বলেছেন "দেয়ার আর মেনি থিংস ইন হেভেন এন্ড আর্থ"

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৪

নৈশ শিকারী বলেছেন: চাচা মিঁয়া যথার্থই বলেছেন ভাই! ধন্যবাদ, শুভ কামনা রইলো।

১৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৭

মোঃ ইয়াসির রহমান বলেছেন: এইধরনের নানান গল্প লোক মুখে শুনেছি, কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ পর্যন্ত বাস্তবে তো দেখলামনা কিছুই।তবে এ ধরনের অভিজ্ঞতা বিশেষ একটা শ্রেণির লোকদের কাছেই বেশি শুনতে পাওয়া যায়। তাদের কেউ গ্রামাঞ্চলের সহজ-সরল মানুষ, আর বাকিরা মসজিদ-মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট।
আমার নিজের এলাকাতেও এমন জনস্রুতি ছিল একটি বাড়িকে নিয়ে, তবে আমি কোনও ঘটনারই সত্যতা পাইনি । আমার বাড়ির পাশের বাড়িটিকে হাজী বাড়ি বলে লোকে চেনে। অনেক বড় জায়গা নিয়ে বাড়িটা। হাজী সাহেব ও তার স্ত্রী বহুদিন আগেই মারা গেছেন, আর তার ছেলে-মেয়েরা; দুইজন বাদে ( একজন লন্ডনের সিটিজেন এবং চোখের ডাক্তার, অন্যজন মূল শহরের ভেতর তাদের যে বাড়িটা আছে সেখানে থাকে ) বাকি সবাই ঢাকায় থাকে , কশ্মিকালেও এখানে আসেনা। অর্থাৎ বাড়িটি প্রায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে থাকে। একজন কেয়ারটেকার আছে, যে শুধু দিনের বেলা বাড়িটার দেখাশোনা করে (আসলে মোটেও করেনা, মাঝে মাঝে আসে)। খালি বাড়ি, দেখার কেউ নেই, ফাঁকিবাজি আরকি! লন্ডন প্রবাসী ডাক্তার সাহেব ( যাকে আমি মামা ডাকতাম )এক-দুই বছর পরপর আসতেন দুই-চার দিনের জন্য।
আমি যে সময়টার কথা বলছি, সেটা ৯৬-৯৭ সালের কথা। বাবার রিটায়ারমেন্টের পর আমরা যখন বাড়ি করি তখন থেকেই ঐ হাজী বাড়ি নিয়ে নানান রটনা শুনেছি। ওখানে নাকি খারাপ জ্বীন থাকে, রাতে একা গেলে আর রক্ষা নেই, সন্ধ্যায় তো ঐ বাড়ির দিকে তাকানোও ঠিক না ইত্যাদি ইত্যাদি। কাছেই ছিল আমার নানার বাড়ি, তখন নানা বাড়ির সামনে বড় বড় আম গাছ ছিল।আমি গাছে উঠে আম পেড়ে খেতাম আর নারকেল গাছ থেকে নারকেল-ডাব। হাজী বাড়ির বড় পুকুরটায় মনের সুখে সাতার কেটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গোসল করতাম।ঐ বাড়িটাতেও অনেক বড় আর পুরানো আম গাছ, শিমুল গাছ, তেতুল গাছ ছিল, যেগুলো এলাকাবাসীদের ভাষায় "খারাপ"। ছোট বেলায় কিছুটা বাউন্ডুলে গিরি কমবেশি সবাই করেছি নিশ্চয়ই? আমিও সামান্য করেছি। ভূতে ভয়ডর এম্নিতেই নাই। তবে মুসলমান যেহেতু জ্বীনে বিশ্বাসটা পরিবার থেকেই পাওয়া। কিন্তু তারপরও কেন যেন ভয় লাগত না, কারন কেন ভয় পাওয়া উচিৎ তাই মাথায় ঢুকতোনা। যাই হোক,আমি ঐ বাড়ির আম গাছ থেকে আম, বিশাল তেতুল গাছটায় উঠে তেতুল চুরি করে খেয়েছি, তাও ঘোর সন্ধ্যাবেলায়। কারন দিনে পাহারাদার থাকত। কিন্তু কোনদিন কিচ্ছু দেখিনি। অথচ ওখানকার অনেকে নাকি তেতুল গাছের নিচ দিয়ে যাবার সময় তেতুল গাছে আগুনের গোলক দেখেছে, গনগনে আগুনের গোলা(!), তাদের অনেকে আবার জ্বীনে আক্রান্ত হয়েছে। পানি পরা, ওঝা ইত্যাদির দৈব চিকিৎসায় নাকি ভালো হয়েছে । কি জানি বাপু, সত্য-মিথ্যা আল্লাহ তায়ালাই ভালো বলতে পারবেন।
ব্লগার ভাইদের সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, কাল্পনিক ও বানানো গল্প ব্লগে লিখে দয়া করে মানুষের মনে বিভ্রান্তি ছড়াবেন না। সবার জন্য শুভকামনা রইল।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৬

নৈশ শিকারী বলেছেন: আস সালামু ওলাইকুম! ভাই আপনি দেখতে পারেন নাই সেটা আপনার সফলতা নাকি ব্যার্থতা সেটা আমি জানিনা! আপনি দেখেন নাই বলে অন্য কেউ দেখে নাই সেটা ভাবাও ভুল। বিশ্বাস করা বা না করা সম্পূর্ণ আপনার ব্যাপার কিন্তু তাই বলে একজনের জীবনের ঘটে যাওয়া বিষয়কে মিথ্যাচার বলে আখ্যায়িত করতে পারেন না।

১৮| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৫

জাতি_ধর্ম_বর্ণ বলেছেন: ঐশী মুসলমানের মাইয়া হয়ে এমন কাজ করতে পারলো? ছি ছিঃ

১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৯

নৈশ শিকারী বলেছেন: ভাই আপনি কি সাইকো? প্রসঙ্গ বহির্ভূত মন্তব্য করা মানসিক সুস্থতার লক্ষন না। অপরাধ কি খালি মুসলিমরাই করে? ঐশি মুসলমানের ঘরে জন্ম নিলেও সত্যিকারের মুসলিমদের শিক্ষা আর সংস্কৃতি পায় নাই তাই তার দ্বারা এধরনের কাজ করা অসম্ভব কিছুনা, ইসলামের সংস্কার পাওয়ার পরও অনেক মানুষ ব্যাপক পরিমান বাজে কাজ করে থাকে তাই বলে কিছু মুষ্টিমেয় লোকের জন্য পুরো একটা জাতি অথবা ধর্মকে দোষারোপ করা কোন শ্রেনীর যৌক্তিকতার মধ্যে পরে? একমাত্র ইসলাম বিদ্বেষী উগ্রপন্থি সাইকোদের দ্বারাই এধরনের মিথ্যা দোষারোপ করা সম্ভব।

১৯| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৯

জনাব মাহাবুব বলেছেন: জ্বীনকে বশে আনার জন্য আমিও একবার ৭০০ বার সুরা জ্বীন পড়ার শুরু করেছিলাম। কিন্তু কয়েকবার পড়ার পর আর পড়া হয়নি। তবে আমি বিশ্বাস করি, ৭০০ বার পড়লে নিষ্চয়ই আমলের প্রতিফল পেতাম। আমি ভীরু মানুষ তাই এখনও সাহস পাই নাই সেই সূরাটি পড়ার :D

ধন্যবাদ আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য। ব্লগে অনেকে বাজে মন্তব্য করতে পারে, সেটাতে কারও বিশ্বাসে হেরফের হবে না বলে আমার বিশ্বাস। :)

যারা বিশ্বাস করে না, তাদের কোনভাবেই বিশ্বাস করানো যাবে না। অতএব, আপনার নিজের বিশ্বাসে অটুট থাকুন।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩১

নৈশ শিকারী বলেছেন: এই জ্বীন বশে আনার চেষ্টাটা না করাই ভালো, পূর্বের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি যে, ব্যাপারটা অত্যন্ত বিপদ জনক। জাযাকাল্লাহু খাইরান আমি আমার বিশ্বাসে সম্পূর্ণ আস্থা রাখি, কারো কোন প্রকার কু-প্ররোচনা আমাকে আমার বিশ্বাস থেকে টলাতে পারবেনা ইনশাআল্লাহ। আমার জন্য দোয়া করবেন। সুন্দর পরামর্শ মূলক মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, শুভ কামনা রইলো।

২০| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ধন্যবাদ। যদি সত্যি এটা আপনার জীবনের ঘটনা হয়ে থাকে তাহলে সেই পুরাণো কথাটাই বলতে হবে বিজ্ঞানের মাধ্যমে সবকিছুকে ব্যাখা করার মত জায়গায় মানুষ পৌঁছায় নি এবং মানুষের পক্ষে কখনোই সবকিছু জেনে ফেলা সম্ভব না।

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫৬

নৈশ শিকারী বলেছেন: "তাহলে সেই পুরাণো কথাটাই বলতে হবে বিজ্ঞানের মাধ্যমে সবকিছুকে ব্যাখা করার মত জায়গায় মানুষ পৌঁছায় নি"

১০০% সহমত; সুন্দর এবং গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।

২১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২১

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: জটিল বাস্তবতার সম্মুখিন হয়েছেন অাপনি।

জ্বিন আছে অঅমি এটা অবশ্যই বিশ্বাস করি তবে মানুষের কাছে অাে বা ক্ষতি করে তা জানতামনা। তবে নিজে বাড়ির পাশে এক নারিকেল গাছে অনেক রাতে একবার দীর্ঘক্ষন অালো জ্বলতৈ দেখেছি।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪০

নৈশ শিকারী বলেছেন: মানুষের মধ্যে যেমন ভালমন্দ আছে ঠিক তেমনি জ্বীনদের মধ্যেও আছে। আর খারাপরা মানুষের ক্ষতিও করে। আপনার অভিজ্ঞতাটাও দারুণ ছিল, ধন্যবাদ মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।

২২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০১

আবু তালেব শেখ বলেছেন: মোক্তারের নিরুদ্দেশের পরে তার কোন হদিস না পেলে তার বাড়ি অথবা ঠিকানায় যোগাযোগ করা হয়েছিল? তারতো অবশ্যই একটা ঠিকানা ছিল না হলে কিভাবে পড়তো মাদ্রাসা য়? এই ঘটনাটা অসম্পন্ন মনে হচ্চে

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৭

নৈশ শিকারী বলেছেন: লেখার বারম্বারতার জন্য মোক্তারের পরবর্তী অনুসন্ধানের কথা উল্লেখ করিনি, আমাদের মাদ্রাসাটা তৎকালীন সময়ে মফস্বলের অবৈতনিক একটা মাদ্রাসা ছিল, একটি আরব সংস্থা এই মাদ্রাসার ব্যয় বহন করতো, আরেকটা ব্যাপার হলো যে কোন ছাত্রই এখানে ভর্তি হতে পারতো অভিভাবক ছাড়া যদি মাদ্রাসায় আসন থাকতো। আর আমাদের ঐ মাদ্রাসায়য় নাম মাত্র ফর্মালিটির পরে ভর্তি হওয়ার পর কোন ছাত্র তার ব্যাপারে আর তথ্যানুসন্ধান করতো না শুধু মৌখিক পরিচয় হওয়া ছাড়া, এরচেয়ে বেশী কিছুর প্রয়োজনও মনে করতো না, এটাই স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল। তবে আমার লেখায় উল্লেখ্য, ইমরান ভাই মোক্তারের ভর্তি ফরমের তথ্যানুযায়ী ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায়য় খোঁজ নিয়েছিল কিন্তু সেই ঠিকানাই মোক্তার নামের কেউ ছিলনা, মোটকথা ঠিকানাটাই ভুল ছিল।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৯

নৈশ শিকারী বলেছেন: যৌক্তিক সমালোচনার জন্য ধন্যবাদ।

২৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৮

রানার ব্লগ বলেছেন: ভাই মদ্রাসায় কি বিনা পরিচয় বা বিনা ঠিকানায় ভর্তি করা হয়, যেমন ধরুন আমার ইচ্ছে হল মাদ্রাসায় ভর্তি হবো ওমনি আমি কোন মাদ্রাসায় গিয়ে বললেই হবে ? তারা কি আমার আইডি প্রুফ চাইবে না? বা তারা কি আমার নাম ঠিকানা পরিচয় বা অভিভাবকের পরিচয় জানতে চাইবে না? একদম এতিম যিনি তার ও একটা ঠিকানা থাকে, অলিখিত অভিভাবক থাকে, তাদের নাম তো থাকবে আপনার মদ্রাসায়, উচিৎ ছিল মোক্তার নিরুদ্দ্যেশ হওয়ার পর উক্ত ঠিকানায় যোগাযোগ করা ।

আপনার প্রথম ভয়ের ঘটনায় বিশ্লেসানে আসি। আপনি জীন জাতিকে নিজের হাতের মুঠয় নেয়ার জন্য ৭০০ বার সূরা জীন পড়তে চেয়েছেন। এটা কি যথেষ্ট হাস্যকর নয়, কোরআনে কোথায় লেখা আছে মাত্র ৭০০ বার সূরা জীন পড়লে পুরো একটি জাতি আপনার হাতের মুঠোয় চলে আসবে। যদি এমন সত্যি হত বিশ্বাস করেন পুরো জীন জাতির মালিকানা কোটি ছারিয়ে যেত। বেচারাদের লোক জনকে ভয় দেখানর বদলে ফাইফরমাশ খাটতে খাটতে দিন চলে যেত। আমার মনে হয় ব্যাপারটা এত সহজ নয়।

সময়টা ছিল সন্ধ্যা বেলা। আপনি জীন সূরা ৪০০ বার পড়ে ফেলেছেন। গ্রামে রাত ৯ টা মানে হোল অনেক রাত আপনি অত রাতে একা যাচ্ছেন সাথে শুধু মাত্র আপনার কোরআন শরীফ। মুখে সেই সূরা জীন। স্বাভাবিক ভাবে আপনার ভিতর এক ধরনের পরিস্থিতি কাজ করছে। আর সেই সময় যা হওয়া স্বাভাবিক আপনার সাথে তাই ঘটছে। একে বলে আজগুবি দৃশ্য দর্শন। মস্তিষ্ক খুবি সেন্সেটিভ ওকে আপনি যে সাজেশান দিবেন সে ঠিক তাই আপনার সামনে হাজির করবে। আপনি ভয় পেয়েছে, অনেক দিন অসুস্থ ছিলেন এটা আমাকে পিঁড়া দেয়। অমুলক এক ভয় থেকে বেরিয়ে আসুন। জীন বা এইধনের ব্যাপারে সাহসী হন দেখবেন অনেক সমস্যা থেকে দূরে থাকবেন, কেন জানি সাহসী লোকদের জীন খুব ডরায়।

সব ঘটনা মাদ্রাসায় কেন ঘটে, জীনদের আনাগোনা কেবল মদ্রাসায় কেন হবে, তারা কি আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে চায় না? আপনার উল্ল্যেখিত বাকি দুটি ঘটনার অনুরুপ ঘটনা অনেক শুনেছি। সবই কেবল মাদ্রাসায় হয়, স্কুল কলেজ গুলতে তো হাহাকার পরে যাবে। একটা জীন যদি কেমেস্ট্রি, ফিজিক্স, বা ম্যাথ পড়ত, কি মজাই না হত ওকে দিয়ে অনেক কাজ হত, জীন রা খালি আলেম হয় বিজ্ঞানী কেন হয় না, বিজ্ঞানী হলে অনেক অলৌকিক আবিস্কার হতো। যা মানুষের কাজে লাগতো। স্কুল কলেজ বা ইউনিভারসিটিতেও জীনদের পড়া উচিৎ। জীনরা হয়ত আবিস্কার করে ফেলতে পারত হাইড্রজেন বোমা মারলে কি ভাবে অক্সিজেন মিসিয়ে ওই হাইড্রজেন বোমাকে পানিতে রূপান্তর করা যায়। এতে দেশ ও দশের লাভ হতো। যে ভাবে কোরিয়া বোমটোম ফাটাচ্ছে, ভয়ই হয়।

****** আমার এই উক্তি কিন্তু অবিশ্যাস থেকে নয়। আত্ম জিজ্ঞাসাও বলতে পারেন।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৩

নৈশ শিকারী বলেছেন: ১/লেখার বারম্বারতার জন্য মোক্তারের পরবর্তী অনুসন্ধানের কথা উল্লেখ করিনি, আমাদের মাদ্রাসাটা তৎকালীন সময়ে মফস্বলের অবৈতনিক একটা মাদ্রাসা ছিল, একটি আরব সংস্থা এই মাদ্রাসার ব্যয় বহন করতো, আরেকটা ব্যাপার হলো যে কোন ছাত্রই এখানে ভর্তি হতে পারতো অভিভাবক ছাড়া যদি মাদ্রাসায় আসন থাকতো। আর আমাদের ঐ মাদ্রাসায়য় নাম মাত্র ফর্মালিটির পরে ভর্তি হওয়ার পর কোন ছাত্র তার ব্যাপারে আর তথ্যানুসন্ধান করতো না শুধু মৌখিক পরিচয় হওয়া ছাড়া, এরচেয়ে বেশী কিছুর প্রয়োজনও মনে করতো না, এটাই স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল। তবে আমার লেখায় উল্লেখ্য, ইমরান ভাই মোক্তারের ভর্তি ফরমের তথ্যানুযায়ী ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায়য় খোঁজ নিয়েছিল কিন্তু সেই ঠিকানাই মোক্তার নামের কেউ ছিলনা, মোটকথা ঠিকানাটাই ভুল ছিল

২/ আপনি হয়তো কোরআন ঠিক মত পড়েন নাই, নয়তো প্রত্যেকটা সূরার শানেনুযুল আপনার দৃষ্টি এড়াতো না, শানেনুযুলের মধ্যেই পবিত্র সূরা নাজিলের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এবং ব্যবহার দেয়া থাকে। উদাহরণ স্বরুপ বলি, রাসূল সাঃ যখন কালোজাদু দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলেন তখন সূরা নাস এবং সূরা ফালাক অবতীর্ণ হয়েছিল এর প্রতিকারার্থে। আরেকটা ব্যাপার আপনার জানা দরকার তা হল আপনি চাইলেই কিন্তু ৭০০ বার সূরা জ্বীন পাঠ করতে পারবেন না, এর জন্য অনেক নিয়ম মানার প্রয়োজন হয়, লেখার আধিক্য হতে পারে তাই বর্জন করলাম, আর পড়ার জন্য আপনাকে অনে সাহসী হতে হবে এবং শুদ্ধ উচ্চারনে পড়তে হবে। জ্বীনরা যে মানুষের অনুগত্ব স্বীকার করে তার প্রমাণ হজরত সোলাইমান আঃ এর জীবনি পড়লে জানতে পারবেন। আর ব্যাপারটা যে সহজ নয় এই ব্যাপারে আমি আপনার সাথে একমত।

৩/ আমি যেখানে বড় হয়েছি সেটা একদম পন্ডগ্রাম না, মেইনরোড থেকে আমাদের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছুতে একটা নির্জন রাস্তা পার হতে হত এই যা, আর ঐখানে আমার হ্যালুসিনেশন হয়নি এই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত আর আমি মনের দিক থেকে অনেক মজবুত ছিলাম আর সব জিনিস যদি আমি বাদও দেই ঐ জিনিসটার খসখসে আর গরম স্পর্শ চিনতে আমার ভুল হবার কথা না।

৪/ এসব ব্যাপার শুধু মাদ্রাসায়ই হয় এটা ভাবা ঠিকনা কারণ আমি অনেক পরিবারের ছেলেমেয়েকেও জ্বীন দ্বারা আক্রান্ত হতে দেখেছি এবং তাদের চিকিৎসায় সাহায্যও করেছি। আমি মাদ্রাসা ছেড়ে যখন ইস্কুলে পড়েছি তখনও স্কুলের কয়েকজন ছাত্রীকে জ্বীন দ্বারা আক্রান্ত হতে দেখেছি এমনকি আমাদের ইংরেজি শিক্ষকের স্ত্রীও একবার এই সমাস্যায় পরেছিলেন, জ্বীনদের জীবন চরিত্র আমাদের কাছে এখনো রহস্যময় তাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে আমরা খুব বেশী কিছু জানিনা।

২৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১২

টারজান০০০০৭ বলেছেন: মাদ্রাসায় পড়িলে মগজ থেইকা জীন বাইর হয়, আর পশ্চিমা শিক্ষায় বুদ্ধুজীবী হইলে এলিয়েন বাইর হয় ! জীন নাই , তয় এলিয়েন কিন্তুক আছে ! এক্কেরে নিজ্যস সত্যি! ঘোড়ার মুখের কতা !

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫১

নৈশ শিকারী বলেছেন: হাসাইলেন ভাই জ্বীন আছে বিশ্বাস করেন না, কিন্তু এলিয়েন বিশ্বাস কেমনে করেন? এলিয়েনের অস্তিত্বের কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ আছে? কিন্তু ইউটিউবে প্যারানরমাল লিখে সার্চ দিয়ে দেখেন বহুত কিছু দেখতে পারবেন। তবে আপনার মত আমিও কিন্তু এলিয়েন বিশ্বাস করি, আর জগতের সব কিছু প্রমাণ সাপেক্ষে বিশ্বাস করতে হবে এমন কোন কথা নাই।

২৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৮

টারজান০০০০৭ বলেছেন: আমি কই কি , আর আমার সারিন্দা বাজায় কি ! :(

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৯

নৈশ শিকারী বলেছেন: আপনি যেমন বুঝাইছেন তেমন উত্তরই দিয়েছি, মাদ্রাসায় পড়লেই সবায় অজ্ঞ হয়না, উল্টাপাল্টা মন্তব্য করা বুদ্ধিমানের পরিচায়ক না।

২৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:১৮

কানিজ রিনা বলেছেন: আমি অনেক চেষ্টা করি ভুত দেখার জন্য
কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনও ভুত দেখলাম না।
তবে কি জানেন আমার জীবনে অনেক
আলৌকিক কিছু ঘটেছে। এসব ঘটনা আমি
এক বুজুর্গ মানুষের কাছে বলেছিলাম। তিনি
বলেছিলেন আমাকে নাকি সমস্ত বিপদ থেকে
ফেরেস্তারা উদ্ধার করেন। এটাও আমি বিশ্বাস
করিনাই কারন আমি তেমন কোনও পরহেজগার মানুষ না। জ্বীনে বিশ্বাস করি
কোরআনে জ্বীনের বর্ননা আছে।
এইতো মাত্র কয়েক মাস আগে ঠিক সন্ধায়
ঘরের ভিতরে মৃত লাশের গন্ধ পাচ্ছিলাম।
তিন দিন পরেই জানতে পারলাম আমার
বৌমার পাঁচ মাসের বাচ্চাটা পেটের ভিতর
মারা গেছে। কেন এমনটা গন্ধ পেলাম
জানিনা। অনেক কষ্ট পেয়েছি কারন এটা
আমার ছেলের প্রথম সন্তান। শুধু আল্লাহকে
বল্লাম আল্লাহ্ তুমি আমাকে আগেই জানিয়েছ।

আমি ছোট কালে গাছে গাছে থাকতাম দুর্দান্ত
ডান পিটা মেয়ে বলেই সবাই আমাকে জানত
একবার গাছের অনেক উঁচু থেকে পড়ে গিয়ে
মনে হোল স্পঞ্জের গদীর উপর পড়লাম।
আজও বিশ্বাস করতে পারিনা আসলে কি।
এরকম অনেক ঘটনা আমার জীবনে
ঘটেছে। বা এখনও ঘটে যা বললে আমাকে
মানুষ পাগল বলবে। আমি ভুতে বিশ্বাস করিনা
তবে কিছু কিছু ঘটনা যা ঘটতে দেখেছি
সাইন্স তার ব্যাক্ষা দিতে পারবে না।
যেমন পারে নাই স্টার দ্বীপের মূর্তীগুল কে বা
কারা বানিয়েছিল আজও বিজ্ঞান অনুসন্ধান
করতে পারে নাই। তবে বিচ্ছিরি ছবিগুল না
দিলে ভাল হোত। বিদ্রোহী ভৃগুর সাথে একমত
ধন্যবাদ।

২৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:৩৩

স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: হাসান মাহবুব বলেছেন: =p~ গেট ওয়েল সুন।

২৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:৩৪

মাগুরগিয়াসাইবারফোর্স বলেছেন: মেলানিয়া ট্রাম্প বলেছে যে যদি তারা বলে যে তারা শিকার হয় তবে নারীদের 'প্রমাণের প্রয়োজন'

২৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:৪৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: প্রথম ঘটনা ওটা আপনার ডিল্যুশন
দ্বিতীয় ঘটনা মোক্তার সমকামী

আর পড়তে ইচ্ছা করলো না। এসব ফাঁকি বাজী বানানো কাহিনী পড়লেই ফাঁকিবাজ ধরা পড়ে।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০৮

নৈশ শিকারী বলেছেন: আমার চোখের ভুল সেটা আপনি বুঝবেন কিভাবে? আপনার চোখ দিয়ে নিশ্চয় আমি দেখিনি আর ফাকি বাজি বানানো কাহিনী হলে টু দ্য পয়েন্ট ফাঁকিবাজি গুলো ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন হামবড়া ভাব নিয়ে কমেন্ট করলেই বড় হয়ে যাওয়া যায় না।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১৩

নৈশ শিকারী বলেছেন: মোক্তার সমকামী সেটা আপনি কি করে নিশ্চিত ভাবে বললেন? এমন ভাবে বললেন যেন মনে হয় আমি না আপনি মোক্তারের ক্লাসমেট ছিলেন, যতসব হাস্যকর যুক্তি!

৩০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:২৬

কানিজ রিনা বলেছেন: সবার মস্তিস্ক সমান ভাবে সৃষ্টি না। জ্ঞানের
পরিধিও কারও সমান না। স্টিফিন হকিন্স
এলিয়ান নিয়ে কিছু বিশ্বাসের আশ্বাস দিয়েছেন
বিজ্ঞানিরা যখন শেষ বয়সে এসে উপস্থিত
হন তখন হয়ত সে চোখে কম দেখেন বা
হাত পা অবশ হয়ে যায় ঠিক তখন তারা
সৃষ্টি কর্তার বিশ্বাসে উপস্থিত হন। কারন
তারা বুঝেন অরিজিনাল চোখ হাত বানানো
কোনও বিজ্ঞানীর সক্ষমতা নাই।

৩১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:২৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সুস্থতা কামনা করি

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩২

নৈশ শিকারী বলেছেন: নিজের মন্তব্য কিংবা বিশ্বাসকে সম্পূর্ন নির্ভুল ভাবাটাই সবচেয়ে বড় অসুস্থতার লক্ষন, আমিও আল্লাহ তায়ালার রহমতের দারস্থ হয়ে আপনার সার্বিক সুস্থতা কামনা করছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.