নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন সংগ্রামে হেরে যাওয়ার মাঝে কোনো বীরত্ব থাকেনা; তাই জীবনের এই যুদ্ধ ক্ষেত্রে সাহসীকতার সাথে লড়াই করার মাঝেই জীবনের প্রকৃত বীরত্ব লুকিয়ে থাকে, আর ভাগ্য সবসময় সাহসীদের পক্ষেই কাজ করে।

নৈশ শিকারী

আমার এই জন্মভূমিকে খুব ভালোবাসি আর এমন দেশের স্বপ্ন দেখি যে দেশে দারিদ্র্যতা, ক্ষুধা আর পথশিশু থাকবেনা। আর এই প্রকল্প বাস্তবায়নে আমৃত্যু কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।

নৈশ শিকারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশ মায়ানমারের সাথে যুদ্ধে জড়ানোর ফলাফল কি হতে পারে???

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৩


বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত এবং সমালোচিত বিষয় হচ্ছে মায়ানমারের রোহিঙ্গা নিধন ইস্যু। বিশ্বের সমস্ত চাপকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে মায়ানমার আর্মি তাদের হত্যাযজ্ঞ এখনো অব্যাহত রেখেছে যা অত্যন্ত দুঃখ জনক। আপাতদৃষ্টিতে একটা ব্যাপারে সবায় একমত যে, রোহিঙ্গা সম্প্রদায় শুধু মাত্র মুসলিম হওয়ার অপরাধে তাদের উপর এই নির্যাতন জারী আছে; কিন্তু বাস্তবতা পর্যবেক্ষণ করলে আরো অনেক সত্য আমাদের সামনে আসে যা হয়তো অনেকের চিন্তারও বাহিরে। এবিষয় নিয়ে আমি আপনাদের সামনে আমার নিজস্ব কিছু ভাবনা ও মতামত উপস্থাপন করছি, যা হয়তো আপনাদের চক্ষুপর্দা উন্মোচন করতে সক্ষম হবে।

মায়ানমারে বর্তমানে যে গণহত্যা চলছে তা কিন্তু শুধু মায়ানমারের একার সিদ্ধান্ত না এটা আমরা সহজেই অনুমান করতে পারি, কেননা তাদের এই গণহত্যায় পশ্চিমা বিশ্বের নিস্তব্ধতা আমাকে এটা ভাবতে বাধ্য করেছে। আমরা জানি যে, আমেরিকা, ইসরাইল এবং রাশিয়ার মতো পশ্চিমা দেশ গুলোর অন্যতম প্রধান ব্যবসাই হচ্ছে অস্ত্র ব্যবসা। তাই সমগ্র বিশ্বের কোথাও না কোথাও অস্থিতিশীল যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টি করা তাদের ব্যবসারই একটা অংশ। সহিংসতা মুক্ত পৃথিবী মানে পশ্চিমা বিশ্বের অর্থনীতি ধ্বংস হওয়া সেজন্য তারা আলকায়দা, আইএস এর মতো কথিত সংগঠন গুলো তৈরি করে নিজেদের অস্ত্র ব্যবসাকে চাঙ্গা রেখেছে। এখন মূল কথায় আসি, মায়ানমার মূলত রোহিঙ্গাদেরকে তাদের মাথা ব্যাথা মনে করে অনেক আগে থেকেই, কিন্তু রোহিঙ্গাদেরকে সমূলে বিনাশ করার চিন্তা আগে কখনোও তাদের মাথায় আসেনি কেন? আর বর্তমান সময়ে হঠাৎ করে সবাইকে গণহত্যা করা এবং খেদিয়ে বাংলাদেশের দিকে পাঠানোটা অত্যন্ত রহস্যময় বিষয় না? আবার ইসরাইলীরাও একই সময়ে মায়ানমারের কাছে অবাধে অস্ত্র বিক্রয় করছে; পাঠকবৃন্দ সম্ভবত এতক্ষনে বুঝে গেছেন যে, রোহিঙ্গা নিধনের ইঙ্গিত কোথা থেকে আসছে! আর উক্ত গণহত্যায় আমেরিকা, চীন, ভারত, কোরিয়া এবং রাশিয়ার মতো শক্তিশালী দেশগুলো মৌন সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। ইহদী গোষ্ঠীর এক হঠকারী কুপ্ররোচনার ফলে লাভবান হচ্ছে ইসরাইলীরা, উগ্র মুসলিম বিরোধিরা সহ আরও অনেকে।

পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে আবেগ প্রবন জাতি সম্ভবত বাঙ্গালিরাই। এটা বলার কারন আমরা শক্তি সামর্থ না থাকা সত্যেও শুধু দেশপ্রেমের আবেগে তাড়িত হয়ে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন এবং স্বাধীনতার সংগ্রাম করেছি যার সুফল আজ পুরো জাতি ভোগ করছে। মায়ানমারের বর্তমান হত্যাযজ্ঞের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলে দেখতে পারবেন যে, তাদের সেনারা রোহিঙ্গাদের গুলি করে হত্যার পাশাপাশি নৃশংস ভাবে শরীর গুলোকে টুকরো টুকরো করছে, আগুন দিয়ে পোড়াচ্ছে অথবা জীবন্ত চামড়া ছাড়িয়ে নিচ্ছে! তারা কি একটু কম নিষ্ঠুরতা অবলম্বন করে এই হত্যাযজ্ঞ চালাতে পারতো না? তাদের এই নিষ্ঠুরতা কি তাদের জাতিগত নিষ্ঠুরতা? নাকি এই নিষ্ঠুরতা প্রয়োগ করে মুসলিম বিশ্বের সুপ্ত চেতনাকে জাগিয়ে তাদেরকে যুদ্ধের দিকে ধাবিত করতে চাচ্ছে; কিংবা মুসলিম বাঙ্গালি তথা আমাদেরকে এবং আমাদের আবেগ প্রবন সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ হিসেবে যুদ্ধের আহবান জানাচ্ছে? আর মায়ানমার যে আমাদের যুদ্ধের উস্কানি দিচ্ছে তার প্রমাণ আমরা পাই বারবার তারা আমাদের আকাশ সীমা লঙ্ঘন করছে তা থেকে। যদি যুদ্ধের আহবান জানিয়েও থাকে তাহলে কেন তাদের এই চাওয়া? এই ব্যাপারটি খোলাসা করার আগে আপনাদের সামনে আরো কিছু বিষয় আলোকপাত করা একান্ত প্রয়োজন।

সাম্প্রতিক সময়ে একটা সংবাদ আমার খুব চিন্তার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে আর তা হল, মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক তেলের মজুদ গুলো ফুরিয়ে আসছে! বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বেশী তেলের মজুদ রয়েছে সৌদিতে। ২০১১ সালের জরিপ অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল উৎপাদক কোম্পানি আরামকোর তথ্যানুসারে সেখানকার বর্তমান তেলের মজুত প্রায় ২৬৮ বিলিয়ন ব্যারেল! যা সারা পৃথিবীর আবিষ্কৃত তেলের মজুতের ৫ ভাগের একভাগ। এত বড় তেলের মজুত থাকা সত্যেও তা কিন্তু অফুরন্ত নয় কেননা বৈশ্বিক চাহিদা পূরণের জন্য তাদের প্রতিনিয়ত তেল রপ্তানি করা লাগছে; আর এভাবে চলতে থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে তাদের তেলের মজুত প্রায় শেষ হয়ে যাবে। বর্তমানে সৌদি থেকে সবচেয়ে বেশী তেল আমদানি কারক দেশ আমেরিকা! আমেরিকার সার্বিক উন্নয়নের চাবিকাঠি এই তেল। তেল ছাড়া তাদের দেশের শিল্প এবং বানিজ্যের চাকা সচল রাখার জন্য বিকল্প কোন রাস্তাও নাই। তাছাড়া সৌদি সরকারও নিজের দেশের চাহিদা মেটানোর জন্য সংরক্ষণের নিমিত্তে অতি সত্তর তেল রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাই আমেরিকা তাদের দেশের উন্নয়ের চালিকাশক্তি অব্যাহত রাখার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।

আমেরিকা যে তেলের জন্য সন্ত্রাসবাদ দমনের অজুহাতে পৃথিবীর ইতিহাসে কলঙ্কিত দুই যুদ্ধ রচনা করেছিল তা ওপেন সিক্রেট বিষয়। স্বীয় সৃষ্টকৃত উসামা বিন লাদেন নামের জঙ্গি সম্রাটের কাঁধে বন্দুক রেখে টুইনটাওয়ার হামলার ছক সাজিয়ে ছিল আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা সি আই এ এবং তৎকালিন বুশ প্রশাসন নিজে। সাম্প্রতিক কালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একটা সাক্ষাতকারে এই ঘটনার সত্যতার প্রমাণ আরো দৃঢ় হয়; মি. পুতিন দাবী করেন যে তার কাছে এমন একটি গোপন ভিডিও আছে যা দিয়ে তিনি প্রমাণ করতে পারবেন যে, ৯/১১ হামলার দায় সম্পূর্ণ আমেরিকার!! এই হামলাকে পুঁজি করে মুসলিমদেরকে বিশ্বের কাছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী প্রমাণ করে; মূলত তেলের জন্য আফগানিস্তানে যুদ্ধ করাই আমেরিকার আসল উদ্দেশ্য ছিল। আবার ইরাক যুদ্ধের দিকে তাকালেও আপনারা একই ব্যাপার উপলব্ধি করতে পারবেন। যে দেশ নিজের অর্থনীতির চালিকাশক্তি অব্যাহত রাখার জন্য নিজের দেশেই টুইনটাওয়ারে হামলার মাধ্যমে প্রায় তিন হাজার মানুষের প্রান নিতে পারে, একই ইস্যুকে কেন্দ্র করে আফগানিস্তান এবং ইরাকের মত শান্তিপ্রিয় মুসলিম রাষ্ট্রে যুদ্ধ পরিচালনার মাধ্যমে লাখো বেসামরিক মুসলিমকে হত্যা করে তাদের রক্ত নিয়ে হোলি খেলতে পারে, সেই দেশের পক্ষে কি তেলের বিকল্প অফুরন্ত গ্যাসের প্রাচুর্য সহ আরো নানা খনিজ সম্পদে পরিপূর্ণ আমার সোনার বাংলাদেশে, মায়ানমারের রোহিঙ্গা নিধনের প্রতিবাদ স্বরূপ পদক্ষেপের দায়ে আমাদেরকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে খনিজ সম্পদের জন্য যুদ্ধ পরিচালনা করার চিন্তা করাটা কি অসম্ভব??? একবার চিন্তা করে দেখুন!

ইসরাইলী সরকারের রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে একটি কূটচাল আমাদের দেশকে দ্বিমুখী সমাস্যায় ফেলেছে। মায়ানমার আন্তর্জাতিক ভাবে এটা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে যে, রোহিঙ্গারা সন্ত্রাসবাদ কায়েমকারী জঙ্গিগোষ্ঠী এবং তাদেরকে হত্যা করাটা অত্যন্ত জরুরী আর পশ্চিমা বিশ্বের নিস্তব্ধতা এটা বোঝাচ্ছে যে, তারা এই মিথ্যাচার মেনেও নিয়েছে। এমতাবস্থায় মানবতার খাতিরে আমরা যখন তাদের গণহত্যার প্রতিবাদ জানাবো কিংবা তাদের শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবো তখন আমরাও হব জঙ্গিবাদ সমর্থনকারী এবং জঙ্গিদের আশ্রয়দাতা জাতি। এর ফল স্বরূপ আমেরিকার মত পশ্চিমা দেশগুলো আমাদের দেশে তাদের কু-লিপ্সা চরিতার্থ করার প্রয়াসে যুদ্ধ করার একটা জায়েজ তরিকা পেয়ে যাবে। আমেরিকা যদি আমাদের দেশে যুদ্ধ করার চিন্তা করে তাহলে হয়তো আমাদের কথিত বন্ধুরাষ্ট্র, আমেরিকার অন্যতম গুণগ্রাহী ভারত সার্বিক ভাবে তাদের সমর্থন এবং সহায়তা করবে এতে কোন সন্দেহ নাই। আবার আমেরিকা পক্ষীয় অনেক মুসলিম দেশ সহ পশ্চিমা বিশ্বের অধিকাংশ মিত্র রাষ্ট্রও এই অন্যায়ের সমর্থন দিবে। পক্ষান্তরে আমেরিকা বিরোধি শক্তি গুলোও কিন্তু বসে বসে আঙ্গুল চুষবে না, তারা চিন্তা করবে হাজার মাইল দূর থেকে আমেরিকা এসে আমাদের পার্শ্ববর্তী সম্পদে হাত দিবে তা কি করে হয়? এরচেয়ে বরং আমরাই এই সম্পদ ভোগ করতে পারি বাংলাদেশকে যুদ্ধে সাহায্যের বিনিময়ে! তখন চীন, উত্তর কোরিয়া, পাকিস্তান এবং রাশিয়ার মতো দেশগুলো আমেরিকার বিপক্ষীয় শক্তি রূপে আমাদের পাশে দাঁড়াবে নিজেদের নোংরা স্বার্থ হাসিলের জন্য। ফলাফল স্বরূপ দ্বিমুখী চাপে পরে আমাদের ১৭ কোটি মানুষের সোনার বাংলাদেশ পরিণত হবে কয়লা এবং পোড়া ছাইয়ের বাংলাদেশে!ব্যাপারটা শুধু এখানেই থেমে থাকবেনা বরং এটা ধীরেধীরে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের রূপও লাভ করতে পারে।

এমতাবস্থায় এই সমাস্যার প্রতিকার আসলে কি? কিংবা কিভাবে আমরা এর থেকে পরিত্রাণ পাবো? উল্লেখিত প্রশ্নদ্বয়ের উত্তর দেয়া বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত কঠিন এবং এই সমাস্যার সমাধান পরিপূর্ণ রূপে করা হয়তো বাস্তবিক ভাবে সম্ভবও না; কেননা আমাদের দেশের খনিজসম্পদের উপর পশ্চিমাদের লোলুপ দৃষ্টি অনেক আগে থেকেই, তাই বর্তমান সংকট সমাধান করলেও পরবর্তীতে কোন না কোন নতুন ষড়যন্ত্রের জাল তারা বিছাবেই। তবে আমরা এই প্রক্রিয়াটাকে ধীর গতির করতে পারি কৌশলের মাধ্যমে। বর্তমানে মায়ানমারের রোহিঙ্গা সমাস্যা যেহেতু আমাদের সামনে এসেছে তাই অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সাথে এর মোকাবেলা করতে হবে। কোন ভাবেই কোন প্রকার আবেগ প্রবন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাবেনা, কারণ একটা ভুল সিদ্ধান্তের জন্য সারা বাংলাদেশ মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। যার যত টুকো সাধ্য আছে ঠিক ততো টুকু দিয়েই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাহায্য করতে হবে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এটা প্রমাণ করতে হবে যে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী কোন ভাবেই কোন প্রকার জঙ্গি তৎপরতার সাথে জড়িত না এবং তারা শান্তিপ্রিয় বেসামরিক জনগণ।

পশ্চিমাদের লোভি ষড়যন্ত্রের কাছে মানবতাকে কোন ভাবেই হেরে যেতে দেয়া চলবে না, বরং আমাদের দেশের মিডিয়া সহ আন্তর্জাতিক নিরপেক্ষ মিডিয়ার কাছে মায়ানমার আর্মির নৃশংসতা তুলে ধরতে হবে; বিশেষ করে রোহিঙ্গা নারী এবং শিশুদের উপর হয়ে যাওয়া বর্বরোচিত অত্যাচারের চিত্র গুলো সারা পৃথিবীর সর্বস্তরের জনগণের কাছে আরো বেশী করে তুলে ধরতে হবে। আমাদের মনে রাখতে জনগনের চেয়ে বড় ক্ষমতার উৎস পৃথিবীতে আর কিছুই হতে পারেনা, এমনকি এসব জনগণকে যারা শাসন করে তারাও যতই ক্ষমতাশালী হোকনা কেন কেউই কিন্তু জনশক্তির উর্ধে নয়। তাই সমগ্র বিশ্বের মানবতাবাদী হিন্দু, মুসলিম, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়কে এক প্লাটফর্মে দার করিয়ে সকলে একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পশ্চিমা ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ছিন্ন করতে হবে। যতই উস্কানি আসুক না কেন কোন ভাবেই আমাদের যুদ্ধে জড়ানো চলবেনা, অহিংস এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে এসব উস্কানির সমাধান করতে হবে। আর মায়ানমার সহ তাদের মদতদানকারী দেশগুলো চায় যেকোন ভাবেই হোক আমরা যেন আগে তাদের উপর আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ গ্রহণ করি, এরফলে আমাদের উপর তাদের একটা যৌথ অভিযান চালানোর মোক্ষম সুযোগ পাবে। তাই আমাদের কোন অবস্থাতেই আগে আক্রমণ করার চিন্ত করা উচিত হবেনা। তবে মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিশালী মুসলিম দেশগুলো সহ অন্যান্য শক্তিধর দেশ একত্রে যদি মায়ানমারের উপর আগে প্রত্যক্ষ আক্রমণ চালায় তখন আমরা তাদের সাথে যৌথ অভিযানে অংশ গ্রহন করতে পারি, এর ফলে আমাদের দেশের উপর সহিংসতার ঝুঁকিও কমবে আবার অন্যায়ের সমুচিত জবাবও দেয়া হবে। আমাদের বুঝতে হবে যে, ১৯৫২সালের প্রেক্ষাপট, ১৯৭১ এর প্রেক্ষাপট আর বর্তমান প্রেক্ষাপট মোটেই এক নয়! তাই ১৭ কোটি বাঙালির জীবন হুমকির মুখে পরে এমন সব সিদ্ধান্ত আমাদের এড়িয়ে চলতে হবে। লক্ষ শহীদের বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলার বিরুদ্ধে সকল প্রকার ষড়যন্ত্রের কালোহাত আমরা এভাবেই ভেঙ্গে দিব ইনশাআল্লাহ।

বিঃদ্রঃ এই লেখাটি সম্পূর্ণ আমার নিজের বিবেক, বুদ্ধি এবং চিন্তাশক্তি থেকে লিখেছি। যদি উক্ত লেখাটিতে কোন অসংলগ্নতা এবং ভুল পরিলক্ষিত হয় তাহলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং মন্তব্য করে আমার ভুলগুলো শুধরে দিবেন। আরেকটি কথা, দয়া করে কার্টেসি ব্যতিত লেখাটি কেউ কপি করবেন না; তবে চাইলে শেয়ার করতে পারেন, ধন্যবাদ।

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৯

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: সম্পূর্ন পোস্টই অসাধারণ অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণের ফল। ধন্যবাদ ++++++

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৫

নৈশ শিকারী বলেছেন: দীর্ঘ লেখাটি ধৈর্য সহকারে সময় নিয়ে পড়ে মূল্যবান মন্তব্য করেছেন সেজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ এবং শুভকামনা রইলো আপনার প্রতি।

২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অবাস্তব কিছু নয়।
সম্ভাবনার অনেক বাস্ত ভিত্তিক উপাত্ত আমাদের চোখের সামনেই মজুদ!

দেখা যাক।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৭

নৈশ শিকারী বলেছেন: সহমত জ্ঞাপনের জন্য ধন্যবাদ, আমাদের এই ব্যাপারে সচেতন হওয়া আবশ্যক; কেননা কি থেকে কি হয়ে যায় তা আমাদের অজ্ঞাত বিষয়।

৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২০

মেমননীয় বলেছেন: যুদ্ধে জড়ানোর কোন কারন নেই!


পার্বত্য এলাকায় অবাঙালী লোক সংখ্যা কত?

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৮

নৈশ শিকারী বলেছেন: যুদ্ধে জড়ানোর কারণ নেই এটা ভাবা ভুল, কেননা প্রতিনিয়ত যেভাবে মায়ানমার আর্মি মানবতা লঙ্ঘন করে হত্যাযজ্ঞ চালালাচ্ছে তাতে মানবীয় বিকেক থাকলে প্রতিবাদ না করে পারবেন না, আর আমাদের প্রতি মায়ানমারের উস্কানি মূলক তৎপরতারর কথা নাহয় বাদই দিলাম।

৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩২

নাসরীন খান বলেছেন: বিশ্লেষন ধর্মি লেখা ।তবে যুদ্ধের কারন মনে হয়।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩০

নৈশ শিকারী বলেছেন: যুদ্ধের উস্কানি যেখানে আসছে সেখানে যদি তারা পায়ে পায়ে পারা দিয়ে লাগতে আসে তখন যুদ্ধ এড়ানো অনেক কঠিন হবে।

৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৪

আবু তালেব শেখ বলেছেন: আমার মনে হয় লেখাটা যথাযত যুক্তিপূর্ণ। গভীর ভাবে আলোচনা হয়েছে

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩১

নৈশ শিকারী বলেছেন: কষ্টকরে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, শুভ কামনা রইলো।

৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


বাস্তব বিশ্লেষণ...

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩২

নৈশ শিকারী বলেছেন: সহমত প্রদর্শনের জন্য ধন্যবাদ।

৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৫

বিলুনী বলেছেন: ধন্যবাদ নীজের ভাবনা চিন্তা প্রকাশের জন্য । একটি বিষয় পরিস্কার সামরিক নয় কুটনৈতিক পন্থায় রোহিঙ্গা সমস্যাটির সমাধান করতে হবে । রোহিঙ্গা সমস্যাকে ব্যবহার করে দেশ বিদেশে কোথাও যেন কোন অপরাজনীতি না হয় সে বিষয়টি সকলের খেয়াল রাখতে হবে । রোহিঙ্গাদের বিষয়ে মানবিক বিপর্যয় নিয়ে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পাশাপাশি সমগ্র বিশ্ব এবং জাতিসংঘ যে ব্যাপক তৎপরতায় কাজ করছে সে দিকটা সকল লেখায় তুলে ধরতে হবে পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে । রোহিঙ্গা সমস্যা জাতিগত সমস্যা, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদে ফেরত পাঠানো এবং নিরাপত্তা মর্যাদার সঙ্গে তাদের নিজ দেশে পুনর্বাসনই এ সমস্যার একমাত্র সমাধান। এজন্য তাদের দেশে নিরাপত্তা ও শান্তি নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। আর এ লক্ষ্যে সামরিক নয়, কূটনৈতিক তৎপরতায় বেশি প্রয়োজন ।

দ্বিপক্ষীয় কূটনীতির সঙ্গে আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় তথা আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সমাধানের যে পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ সে পথটিকেই সাফল্য মন্ডিত করার জন্য সকলের প্রচেষ্টা হওয়া প্রয়োজন। বিশ্ব বিবেক এখন প্রকাশ্যে মৌখিকভাবে হলেও দেখা যায় বাংলাদেশের সঙ্গে আছে । আশা করা যায় সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শরণার্থীদের নিরাপদে প্রত্যাবাসন করা সম্ভব হবে। রোহিঙ্গা সমস্যার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক বহুমাত্রিকতা থাকলেও বাংলাদেশ মানবতা ও মনুষ্যত্বকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে রোহিঙ্গাদের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে সবার ঐক্যবদ্ধ থাকা একান্ত প্রয়োজন।

মিয়ানমার আমাদের প্রতিবেশী। প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ক এবং প্রতিবেশীর অভ্যন্তরীণ সমস্যার ফলে উদ্ভূত উদ্বাস্তু সমস্যাকে কূটনৈতিক মুন্সিয়ানার সঙ্গে মোকাবেলা করাই বেশী জরুরী । মানবিক সঙ্কটকে পুঁজি করে যে কোন অপরাজনীতি না হয় সে দিকটা সকলের খেয়াল রাখতে হবে । যারা এ ধরনের কোন অপরাজনীতি করবে তারা রোহিঙ্গাদের শত্রু, দেশের শত্রু, মানবতার শত্রু।

যে কোন মুল্যে সামরিক উত্তেজনা সৃষ্টির উস্কানি রোধ করতে হবে। কুটনৈতিক পদক্ষেপ সর্বোতকৃষ্ট পন্থা । কূটনৈতিক পদক্ষেপ গুলির মধ্যে জাতি সংঘের সাবেক মহাসচিব কোফি আনান কমিশনের সুপারিশমালার পূর্ণ বাস্তবায়ন, গণহত্যা তদন্তে জাতিসংঘ কমিটি গঠন করা অব্যাহত সংলাপ, সকল আন্তর্জাতিক সংস্থাকে আরও সক্রিয় করে তোলার পদক্ষেপ নিতে হবে ।

প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী সে দেশের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর ভয়াবহ গণহত্যা ও নির্যাতন চালিয়ে গত ৩ সপ্তাহে প্রায় ৪ লাখ মিয়ানমার নাগরিক বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য করেছে তার সচিত্র তথ্যমালা সমগ্র বিশ্ববাসির সম্মুখে তুলে ধরতে হবে । মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর অকথ্য নির্যাতনে যেসব নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের সকলের আত্মার শান্তি কামনা করে তাদের পরিজনদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশের পাশাপাশি জাতিগত নির্মূলের চক্রান্ত ও নিষ্ঠুর গণহত্যার তীব্র নিন্দা এবং ঘৃণা প্রকাশ অব্যাহত রাখতে হবে ।

উল্লেখ্য মিয়ানমারের এ সমস্যা নতুন নয়। মিয়ানমারের রয়েছে সামরিক জান্তার জাতিগত নিপীড়নের এক কলঙ্কজনক ইতিহাস। ১৯৬২ সালে সামরিক জান্তারা ক্ষমতা দখল করলে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়তে থাকে। এরপরও বাংলাদেশের প্রতিবেশী হিসেবে মিয়ানমারের সঙ্গে রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যা ছাড়া আর কোনো সমস্যা নেই। বঙ্গোপসাগরে সমুদ্র সীমানা নিয়ে বিরোধটি সরকার মিয়ানমারের সঙ্গে কূটনৈতিকভাবে মীমাংসা করেছে। উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সালের মাঝামাঝি মিয়ানমার সরকার পরিচালিত ‘অপারেশন ড্রাগন’ নামে পরিচালিত অভিযানে সহিংসতার শিকার হয়ে ২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী। পরে তাদের অধিকাংশকেই প্রত্যাবাসন করা হয়। এরপর ১৯৯২ সালে প্রায় তিন লাখ শরণার্থী আসে। এদের মধ্যে অধিকাংশই ফেরত যায়। এবং এর পরে বিভিন্ন সময় একই ধরনের সহিংসতার শিকার হয়ে ক্রমাগতভাবে চার লাখ মিয়ানমার নাগরিক বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। রোহিঙ্গাদের ইতোপূর্বে ফেরত নেয়ার মাধ্যমে তারা যে মিয়ানমারের নাগরিক, সে বিষয়টি সুস্পষ্ট।

আন্তর্জাতিক কূটনীতির ফলে ইতোমধ্যেই তুরস্কের ফাস্ট লেডি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করেছেন। এর সঙ্গে এ যাবত জাপান, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কাতার, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, ভাটিক্যান, রাশিয়া, মালয়েশিয়া, ফ্রান্স, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, নরওয়ে, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জাতিসংঘ মহাসচিব, জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার, জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা ও আই সি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে যেখানে রোহিঙ্গা নির্যাতনে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ; অনতিবিলম্বে মিয়ানমারে সহিংসতা বন্ধ, বাংলাদেশের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় এবং মানবিক সহায়তা প্রদানের প্রশংসা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য যে মুসলিম রোহিঙ্গা বলেই নয়, মিয়ানমারের খ্রিষ্টান, কাচিন, এমনকি বৌদ্ধ তারাংদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে একটি আন্তর্জাতিক গণ-আদালতে শেষ পর্বের শুনানি গতকাল সোমবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে শুরু হয়েছে। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী, পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীই শুধু নয়, দেশটির প্রধান ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) এবং এর আলোচিত নেত্রী অং সান সু চি যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইতিমধ্যে অভিযুক্ত হয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের করা এজাহারের ভিত্তিতে অভিযোগপত্র গত মার্চে লন্ডনের কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত রোমভিত্তিক পারমানেন্ট পিপলস ট্রাইব্যুনালের (পিপিটি) সূচনা অধিবেশনে গৃহীত হয়েছে।

উল্লেখ্য, এই পিপিটি ষাটের দশকে ভিয়েতনাম যুদ্ধের পটভূমিতে প্রখ্যাত ব্রিটিশ দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলের আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধের ধারণায় প্রতিষ্ঠিত। ইতালির বোলোগনাতে ১৯৭৯ সালে এর যাত্রা শুরু। তবে ব্যতিক্রমধর্মী এই গণ-আদালতের ইতিহাসে সম্ভবত এই প্রথম জেনারেলদের পাশাপাশি শান্তিতে নোবেল বিজয়ী কেউ নৈতিকভাবে দণ্ডিত ও দোষী সাব্যস্ত হতে চলেছেন।

পিপিটির সমাপনী অধিবেশন কুয়ালালামপুরের মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে শুরু হয়েছে। ১৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান বন্ধে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানানোর প্রেক্ষাপটে এই অধিবেশনের আয়োজন করা হয়েছে। অধিবেশনে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল অংশগ্রহণ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ম্যাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোসাইড স্টাডিজ অ্যান্ড প্রিভেনশনের গবেষক অধ্যাপক গ্রেগরি স্ট্যানটন ট্রাইব্যুনালে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেছেন, ১৯৬২ সালে নে উইনের নেতৃত্বাধীন সামরিক জান্তা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে রোহিঙ্গা, কাচিন, শান, কারেন এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুর বিরুদ্ধে নির্যাতন চলমান রয়েছে। জাতিগত বর্মিরা একচেটিয়াভাবে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক ক্ষমতা কুক্ষিগত করার ফল হিসেবে যারা জাতিগতভাবে বুর্মন সম্প্রদায়ভুক্ত নয়, সেসব সংখ্যালঘুর বিরুদ্ধে দেশটিতে পদ্ধতিগত নিপীড়ন চলছে। অধ্যাপক স্ট্যানটন তাঁর জবানবন্দিতে রোহিঙ্গা ও কাচিনদের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনী ও পুলিশ কীভাবে গণহত্যা চালিয়েছে, তার সাক্ষ্যপ্রমাণ তুলে ধরেছেন।

পিপিটি মালয়েশীয় সাংগঠনিক কমিটির সভাপতি চন্দ্র মোজাফফর বলেছেন, পাঁচ দিনের অধিবেশনে বিচারকেরা প্রসিকিউশনের যুক্তিতর্ক বিশেষজ্ঞ সাক্ষীদের মতামত, ভুক্তভোগীদের জবানবন্দি বিচার-বিশ্লেষণ করবেন। শুক্রবার সকাল ১০টায় তাঁরা রায় ঘোষণা করবেন। তিনি জানিয়েছেন, বিচারকদের এই রায় ও পর্যবেক্ষণ জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন ও গোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।

মিয়ানমার ও তার নেতাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে প্রসিকিউশনের নেতৃত্বে রয়েছেন অস্ট্রেলীয় মানবাধিকার আইনজীবী দোরিন চেন। পাঁচ দিনের এই অধিবেশন খ্রিষ্টান, কাচিন ও বৌদ্ধ তারাংরাও তাদের জবানবন্দিতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার বিষয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছেন। পিপিটির অধিবেশনে চন্দ্র মোজাফফরের ইন্টারন্যাশনাল মুভমেন্ট ফর আ জাস্ট ওয়ার্ল্ড ছাড়াও দ্য সেন্টার ফর হিউম্যান রিসার্স অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি এবং দ্য ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম অন বুড্ডিস্ট-মুসলিম রিলেশন রয়েছে।

মিয়ানমারের উপর এতসব আন্তরজাতিক কর্মকান্ড দেখে কুটনৈতিক তৎপরাতার মাধ্যমেই সমস্যাটির সমাধানের বিষয়ে জোড়ালো প্রচার ও বিশ্ব জনমত গঠন বেশী প্রয়োজন । যুদ্ধ কারো জন্য মঙ্গল বয়ে আনেনা । অহিংস শান্তি প্রচেষ্টাই কেবল স্থায়ী শান্তি আনতে পারে ।


১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৮

নৈশ শিকারী বলেছেন: " যুদ্ধ কারো জন্য মঙ্গল বয়ে আনেনা । অহিংস শান্তি প্রচেষ্টাই কেবল স্থায়ী শান্তি আনতে পারে" । ১০০% ভাগ সহমত আপনার এই কথাটির সাথে, আমিও মনেপ্রাণে চাই যুদ্ধমুক্ত ভাবে এসমাস্যার সমাধান হোক। রোহিঙ্গা নিধনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের পদক্ষেপ অত্যন্ত প্রশংসনীয় তবে জাতিসংঘ সহ অন্যান্য রাষ্ট্র শুধু উদ্বেগই প্রকাশ করছে কিন্তু সরাসরি কোন ক্রিয়াকলাপে আগাচ্ছে না, এর ফলাফল স্বরূপ প্রতিদিনই রোহিঙ্গা হত্যা অব্যাহত আছে যা অত্যন্ত দুশ্চিন্তার বিষয়। তাই জাতিসংঘ সহ প্রতিবাদকারী প্রত্যেকটা দেশের উচিত যা করার তা তড়িৎ গতিতে করা। আপনার তথ্যসমৃদ্ধ মূল্যবান মন্তব্যের জন্য, এবং আমার লেখার এড়িয়ে যাওয়া ভুল সংশোধনের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪৪

শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: ধন্যবাদ,খুবই সুন্দর ও যুক্তিসংগত লেখা আলোকপাত করার জন্য।
সাপ যদি কাউকে কামড়াতে আসে অথবা সাপকে কেউ যদি তাড়াতে থাকে তাহলে একসময় পাল্টা আক্রমন অবশ্যই ঘটতে পারে-এটা জগতের নিয়ম। আজ শিক্ষা ব্যবস্থা সহ বিভিন্ন প্রতিষ্টানের মাধ্যম সৃষ্টি করে-মানুষের মধ্যে একধরনের জ্ঞান ঢুকে গিয়ে যে বিপদগ্রস্থ হয়ে আসছে পৃথিবী ও পৃথিবীর মানুষ,সেটা সমাধানের জন্য ক্ষতিকর সকল পারমানবিক শক্তি নিস্কৃয় করার প্রযুক্তির আবিস্কার করতে হবে। অথবা সায়েন্সের ক্ষতিকর দিকগুলো বাতিল করতে হবে। নচেৎ বড়ভাই মেজভাই যতই বেশি ভাল করে বেচে থাকার জন্য কৌশলী হোক বা গোলযোগ সৃষ্টি করুক না কেন তাদের উপলব্ধি করা উচিত যে আগুন লাগলে খোদার ঘরও টিকে থাকেনা।
আতএব মানব জাতিকে টিকিয়ে রাখতে ও পৃথিবীকে বাচিয়ে রাখতে নির্বোধ ও উত্তেজিত রাষ্ট্র,মন্ত্রি ও জনগনকে শান্তিপ্রিয় হতে হবে। নইলে চরম বিপদ ও ধংশ প্রত্যেকেই অনুভব করবে-কিছুদিন আগে আর পরে।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৮

নৈশ শিকারী বলেছেন: "আজ শিক্ষা ব্যবস্থা সহ বিভিন্ন প্রতিষ্টানের মাধ্যম সৃষ্টি করে-মানুষের মধ্যে একধরনের জ্ঞান ঢুকে গিয়ে যে বিপদগ্রস্থ হয়ে আসছে পৃথিবী ও পৃথিবীর মানুষ,সেটা সমাধানের জন্য ক্ষতিকর সকল পারমানবিক শক্তি নিস্কৃয় করার প্রযুক্তির আবিস্কার করতে হবে। "

১০০ভাগ সহমত আপনার চিন্তার সাথে, মূল্যবান মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, শুভকামনা রইলো।

৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৬

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: প্রথমেই বলবো আমেরিকা যখনই দেখে তার ডলর মার খাচ্ছে তখনই সে "বিকল্প"পথ খুজে নেয়।। সাথে থাকে বিভিন্ন বাহানা।।
"টুইন টাওয়র" আজ বিতর্কিত।। কিন্তু এতদিনে তাদের অস্ত্র ব্যাবসায় রমরমা।। বসন্ত বিপ্লবের সূফলও সেসব দেশের জনগন ভোগ করতে শুরু করছে!!
এখানে আমেরিকা না থাকলেও আছে, কাউন্টার দেয়ার অন্য দুই পরাশক্তি।। সুতরাং এটা কি বলা যায় না যে, পাটাপুতায় ঘষাঘষি, মরিচের দফা শেষ।।
তবে বর্তমান সমস্যার সমাধানে, কুটনৈতিক সমাধানই আমার চাওয়া।।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২০

নৈশ শিকারী বলেছেন: "পাটাপুতায় ঘষাঘষি, মরিচের দফা শেষ " এখানে আমাদের মত নিরীহ আর শান্তিকামীরাই কেন মরিচের স্থানে পরে থাকি? আর কতোদিনইবা পরে থাকবো সেটাই অজানা বিষয়। এই ব্যাবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাবার পথ হলো অহিংস শাসন তৈরি করা এবং পারমাণবিক অস্ত্র মুক্ত পৃথিবী গড়া। বর্তমানে মায়ানমার সমাস্যার কুটনৈতিক সমাধানের আমিও পক্ষপাতী কিন্তু যখন মানবতা রক্ষার চিন্তা আসে তখন এই বর্বর পিশাচদের বিরুদ্ধে সামরিক ডলা দেয়ার বিকল্প কিছু ভাবতে পারিনা। সুচিন্তিত মূল্যবান মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, শুভরাত্রি।

১০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৭

এ আর ১৫ বলেছেন: আপাতদৃষ্টিতে একটা ব্যাপারে সবায় একমত যে, রোহিঙ্গা সম্প্রদায় শুধু মাত্র মুসলিম হওয়ার অপরাধে তাদের উপর এই নির্যাতন জারী আছে;
এক মত হতে পারলাম না বলে খুব দু:খিত কারন ------
মায়ানমারের মোট জনসংখ্যার ধর্মীয় ভিত্তিতে 4.3% লোক মুসলিম। আবার জাতিগত ভিত্তিতে মোট জনসংখ্যার 4% রাখাইন। রাখাইন রাজ্যে মুসলিমের বসবাস আনুমানিক 20%, যা দেশের টোট্যাল জনসংখ্যার 0.89% প্রায়। তারমানে টোট্যাল 4.3% মুসলিমদের ভেতর 0.89% লোক নির্যাতন, উচ্ছেদ ও হত্যাকান্ডের শিকার। বাদবাকি মুসলিমগন অন্যান্য রাজ্য সমুহে বহাল তবিয়তে পর্যাপ্ত সম্মান ও নিরাপত্তা নিয়ে বসবাস করেন এবং ব্যবসা-বানিজ্য করেন। মুসলিমরা বিভিন্ন সম্মানজনক পেশায় এবং স্থানীয় সরকার ও সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন।
রহিংগাদের অবস্থাটা অনেকটা ইরাণ ইরাক তুরস্কের কুর্দিদের মত তারা মুসলমান কিন্তু তাদের কেউ পছন্দ করে না ।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২৩

নৈশ শিকারী বলেছেন: আপনি একমত না হলেও অনেকেই মোটামুটি এ বিষয়ে একমত, আরকান প্রদেশের এই নিন্মবৃত্ত নিরীহ মানুষ গুলো কি অপরাধ করেছে যে তাদের উপর এভাবে গণহত্যা আর নির্যাতন করতে হবে? আরাকান ছাড়া অন্যান্য প্রদেশে যে মুসলিমরা রয়েছে তারা যে সম্পূর্ণ নাগরিক সুবিধা ভোগ করছে তা আপনি কোন সূত্রের ভিত্তিতে বলেছেন তা আমার জানা নেই। মায়ানমারে যারা সম্ভ্রান্ত মুসলিম রয়েছে তারা হয়তো ব্যবসায়ীক স্বার্থে উক্ত নির্যাতন থেকে বেঁচে যাচ্ছে কিন্তু এটাও শতভাগ নিশ্চিত বলা যায়না যেহেতু আমরা সরজমিন প্রত্যক্ষ করি নাই। আজ রোহিঙ্গারাই শুধু নিপিড়নের স্বীকার হবে কেন? শুধু অর্থনৈতিক ভাবে দূর্বল বলে? এখানে ধর্মিয় কারণ ছাড়া আর কোন কারণই যুক্তিযুক্ত বিবেচনা পায়না। আজ বিশ্বের কোন দেশে সংখ্যালঘু মুসলিমরা নির্যাতিত হচ্ছেনা? আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে মুসলিমদের চেয়ে গরুর দাম বেশী, চীনে মুসলিমদের রোজা রাখতে এবং মুসলিম নাম রাখতে দেয়া হয়না, এমন হাজারটা উদাহরণ দেয়া যায়। সবায় উপরে উপরে ধর্ম নিরপেক্ষতার ভান দেখায়, এবং বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করে মুসলিম হত্যার, কিন্তু প্রকৃত পক্ষে সবায় মুসলিম বিদ্বেষী। আর এটাই বাস্তবতা।

১১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৮

এ আর ১৫ বলেছেন: ? এখানে ধর্মিয় কারণ ছাড়া আর কোন কারণই যুক্তিযুক্ত বিবেচনা পায়না।

প্রশ্ন : বার্মা সরকার কর্তৃক রহিঙ্গা নিপীড়ন কি ধর্মীয় কারনে নহে ??

উত্তর : নহে পুরো বিষয়টা ধর্মীয় বিদ্বেষ নহে বরং জাতিগত বিদ্বেষ । যেমন ধরুন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা শহিদ হয়েছিল তাদের ৯০% ছিল মুসলমান তাই বলে ওটাকে কি মুসলিম নিধন বলবেন নাকি বাঙ্গালী জাতি নিধন বোলবেন ? ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিদের টারগেট ছিল বাঙ্গালী নিধন এবং তার ধর্ম যাই হোক না কেন ঠিক একই ভাবে বার্মার সংখ্যা গরিষ্ঠ অংশ যাদের বেশির ভাগ বৌদ্ধ ধর্মালম্বি তারা নিপীড়ন করছে রহিঙ্গা জাতির উপর । এই রহিঙ্গারা যদি হিন্দু বা বৌদ্ধ বা অন্য কোন ধর্মের হোত তাহোলে ও নিপীড়ন চলতো ।

প্রশ্নকারি : জ্বি না রহিঙ্গারা বৌদ্ধ হোলে নিপীড়ন চলতো না !!!!!

উত্তর : জাতিগত বিদ্বেষ বা সংঘাতে ধর্ম কোন ইসু নহে । ১৯৭১ সালে পাকি জাতি যাদের ৯৯.৯৯৯৯ % মুসলমান তারা বাংলার মুসলমানদের কে হত্যা করতো না । আই এস আই রা মুসলমানদের হত্যা করতো না । সুতরাং রহিঙ্গারা বৌদ্ধ ধর্মের হোলেও জাতিগত নিপীড়ন বন্ধ হোত না । এক জাতির মুসলমানরা অন্য জাতির মুসলমানদের হত্যা করতো না । ১৯৭১ সালের গণহত্যা যেমন ছিল জাতিগত বিদ্বেষ ঠিক একই ভাবে বার্মার রহিঙ্গা হত্যা ও জাতিহত বিদ্বেষ ।
যদি এইটা শুধু সম্প্রদায়িক ধর্মীয় নিধন হোত তাহোলে বার্মায় অন্য জাতি গোস্ঠির ভিতর যে বিপুল সংখ্যক মুসলমান আছে তারা ও নিপীড়নের শিকার হোত কিন্তু রহিঙ্গারাই শুধু আক্রমণের শিকার হয়েছে । সুতরাং এইটা ধর্মীয় নিধন নহে তবে বাংলাদেশে ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় যে নিধন হয়েছে সেটা সম্প্রদায়িক ধর্মীয় নিধন , রামুতে যা হয়েছে সেটা সম্প্রদায়িক ধর্মীয় নিধন , ভারতের গুজরাটে যা হয়েছে সেটা সম্প্রদায়িক ধর্মীয় নিধন ।
প্রশ্নকারি : না না না বৌদ্ধ ভিক্ষুরা অংশ গ্রহন করেছে এটা ধর্মীয় বিদ্বেষ মোটেও জাতিগত বিদ্বেষ নহে !!!!!

উত্তর : তাই নাকি !!!!!! এটা বুঝি আপনার কাছে ধর্মীয় বিদ্বেষ জাতিগত নহে !!!!!! তাহোলে মগ চাকমা মার্মা বা অন্য সব গোস্টি বা জাতিতে যে বিপুল সংখ্যক মুসলমান আছে তারা কেন নিপীড়নের শিকার হয় না ? কেবল মাত্র কিছু ভিক্ষুর অংশ গ্রহন করার কারনে যদি এটা জাতিগত বিদ্বেষ না হয়ে সম্প্রদায়িক বিদ্বেষ হয় তাহোলে ১৯৭১ সালের বাঙ্গালী নিধন ছিল ধর্মীয় বিদ্বেষ জাতিগত বিদ্বেষ নহে কারন রাজাকার আলবদর জামাত কাট মোল্লারা মানুষ নিধনে অংশ গ্রহন করেছিল , সুতরাং ১৯৭১ সালের পাকি রাজাকার আলবদর কাটমোল্লা কর্তৃক হত্যা কান্ড ছিল ধর্মীয় নিপীড়ন জাতিগত নহে এবং একি ভাবে বৌদ্ধ রাজাকারদের কারনে ঐটা মোটোও জাতিগত নিপীড়ন নহে বরং ধর্মীয় নিপীড়ন !!!!!!!

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২০

নৈশ শিকারী বলেছেন: সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং অপ্রাসঙ্গিক কিছু বিষয় টেনে এনে পরিবেশটাকেই হাস্যকর করে তুলেছেন, আমি যদি মেনেও নিই যে এটা জাতিগত নিধন তাহলেও আপনার কাছে প্রশ্ন রইলো কেন এই জাতিগত বিদ্বেষ? ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা কামী হওয়ার কারেনে পাকিরা আমাদের উপর গণহহত্যা চালিয়েছিল, কিন্তু রোহিঙ্গারা তা চায়নি, শুধু একটু সম্মানজনক ভাবে বেঁচে থাকতে চেয়েছে এই অপরাধে তাদের উপর নিধনযজ্ঞ চালানো কোন দিক থেকে যুক্তিযুক্ত? মায়ানমারের অন্যত্র বসবাসকারী মুসলিমরা খুব সুখে আছে তা আপনি এত নিশ্চিত ভাবে কোন সূত্রের ভিত্তিতে বলছেন? ১৯৭১ সালের প্রেক্ষাপটের সংগে বর্তমান প্রেক্ষাপ্ট মিলানো কোন দিক থেকে যৌক্তিক? স্পষ্ট ভাবে যেখানে অহিংসা পরম ধর্ম প্রাচার কারি বৌদ্ধধর্মাবলম্বী জনগণ যেখানে সেনাবাহিনীর সাথে যৌথভাবে ভাবে মানবতার গলা কাটছে সেখানে আপনি বিশ্লেষণ করতে আসছেন এটা ধর্মিয় না জাতিগত নিধণ, ভাবতে আশ্চর্য লাগে আপনাদের বিবেচনাবোধ দেখলে। আপনার একার এই অপক্ক মতামতে সবার বিশ্বাসে সামন্য পরিমাণ চিরও ধরবেনা, কেননা রোহিঙ্গাদের জাতিগত নিধনের কারণই আপনি ব্যাখ্যা করতে পারেন নি।ইসলাম জঙ্গিবাদ সমর্থন কোন ভাবেই করেনা, নাহলে বিশ্বের ১৫৭ কোটি মুসলিম একত্রিত হয়ে পৃথিবীটাকে নরক বানিয়ে দিত, আমাদের ধর্মের কিছু আগাছা ধর্মকে অপবেক্ষা করে জঙ্গিবাদ কায়েম করে, তার জন্য পুরো মুসলিম জাতিকে সন্ত্রাসের তকমা দেয়া অযৌক্তিক। আর এই বিষয়টা আমার পোস্ট বহির্ভূত তবুও এই ব্যাপারে মন্তব্য করে নিজের বোকামি প্রকাশ করেছেন। আসলে ইসলাম বিদ্বেষীরা যতই ভদ্রতার মুখোশ পরিধান করুক না কেন শেষ পর্যন্ত তাদের কুৎসিত রূপটা আপনা থেকেই বেড়িয়ে আসে তাদের কর্মের মাধ্যমে।

১২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৫

এ আর ১৫ বলেছেন: আজ বিশ্বের কোন দেশে সংখ্যালঘু মুসলিমরা নির্যাতিত হচ্ছেনা?

আজ বিশ্বের কোন দেশে সংখ্যালঘু বা গুরু মুসলিমরা সন্ত্রাস চালাচ্ছে না ধর্মের নামে ???
নিজেদের কুকর্মের কারনে রুহিংগারা অনেক আগেই আরব মুসলিম দেশের সহানুভতি হারাইয়াছে। আর ওদের মানুষ পরিচয় ছেড়ে মুসলিম পরিচয় দিয়া আমাদের বেকুব জিহাদি ছাগুদের লাফালাফির কারনে এরা পশ্চিমা সভ্য সেকুলার দেশগুলির সহানুভুতি থেকেও বঞ্চিত। তাই বলতে গেলে তাদের পাশে কেহই নাই
আরাকান ছাড়া অন্যান্য প্রদেশে যে মুসলিমরা রয়েছে তারা যে সম্পূর্ণ নাগরিক সুবিধা ভোগ করছে তা আপনি কোন সূত্রের ভিত্তিতে বলেছেন তা আমার জানা নেই।

সেটা আপনার জানার কোন দরকার নাই ।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৪

নৈশ শিকারী বলেছেন: আন্দাজে বলার অভ্যাস বাদ দিলে ভাল হয়, যেটা আমার জানার দরকার নাই তাহলে সেই বিষয়ে আজাইরা মন্তব্য করেছেন কেন?

১৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৬

উচ্ছল বলেছেন: বিশ্লেষণ গুলো যৌক্তিক মনে হয়েছে।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২২

নৈশ শিকারী বলেছেন: ধন্যবাদ শুভকামনা রইলো

১৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৩

তারেক ফাহিম বলেছেন: বিশ্লেষণ সত্যতার ৬০% ভাগ দেখতে পাচ্ছি,

দেখা যাক কি ঘটে, মগের মুল্লুক কথাটির সাথে পুণরায় পরিচিত হওয়ার আশংকা বিদ্যমান।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৬

নৈশ শিকারী বলেছেন: মূল্যবান মন্তব্য প্রকাশের জন্য অনেক ধন্যবাদ

১৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩২

ইমরান হাসা৪৩২ বলেছেন: Thanks For sharing. Its look there are new & very Formative Post Here.
Go Ahead, we are always with You. and Share More & More Updates Like This
কিভাবে Viewcash এ প্রতিদিন কমপক্ষে 3$-20$ ইনকাম করা যায়(Money Brings Money)

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৯

নৈশ শিকারী বলেছেন: Our success will be confirmed if you are beside us. Thank you very much for the valuable comments.

১৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এআর১৫ সঠিক, যুক্তিযুক্ত।

মুলত
স্থানীয় রহিংগারা নিরিহ, কারো সাতে-পাচে নেই।
তারা কখনো রাজনীতি করে নি, করেও না। তাদের কোন নেতাও নেই।
ঝামেলা করেছে বহিরাগত আরব-পাকি জঙ্গিরা। মাত্র ১২ জন মগ পুলিশ মেরে ৭ লক্ষ নিরিহ মুসলিমকে সচেতনভাবে মৃত্যুর মুখে ফেলেছে।
৭ লাখ মুসলিমকে পরক্ষভাবে গৃহহারা, জমিহারা করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে পথের ভিকিরি বানিয়েছে।
যতবার বহিরাগত জঙ্গিরা হামলা করেছে ততবারই স্থানীয় রহিংগারা বার্মিজ জান্তারল আক্রোশের শিকার হয়েছে।
বাংলাদেশকেও চরম বিপদে ফেলেছে।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৩

নৈশ শিকারী বলেছেন: এতে কিন্তু জাতিগত নিধনের যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা দাড়ালোনা, কে বা কারা কি করেছে, তা যদি আপনি আমি বুঝি তাহলে মায়ানমার প্রশাসন বোঝেনা? আর এর জন্য রোহিঙ্গাদের জাতিগত নিধন কেন করতে হবে?

১৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৫

এ আর ১৫ বলেছেন: ১৯৭১ সালে আমরা সাধীনতা চেয়েছি আর রহিংগারা চায় নাগরিক অধিকার। পাকিরা নেমেছিল বাংগালী নিধনে, বার্মিজরা নেমেছে রহিংগা নিধনে এবং রহিংগা হিন্দুরা যারা সংখ্যায় খুব অল্প তারাও বাধ যায় নি।
১৯৮২ সালে বার্মা সরকার রহিংগাদের নাগরিকত্ত বাতিল করে কিন্তু অন্য জাতির সিটিজেনসিপ বাতিল করে নি। অন্য জাতি গুলোতে যে সমস্ত মুসলমান আছে তারা ঐ দেশের নাগরিক এবং তারা ইথনিক ক্লিনসিং এর শিকার হচ্ছে না। তাদের মধ্যে কেউ কেউ খুব ভালো আছে কেউ কেউ খারাপ কিন্তু সবাই ওই দেশের নাগরিক।
রহিংগাদের মানুষ হিসাবে উত্থাপন না করে মুসলমান হিসাবে উত্থাপন করায় তাদের যে ক্ষতি করা হয়েছে তা পুরনিয় নয়। পশ্চিমা দুনিয়া তাদের সাহায্য করছে না এবং মেরু দন্ডহীন মুসলিম দেশ গুলো কিছুই করবে না এবং এর আগে সিরিয়ান রিফুজিদের কিছু করেনি।
সিরিয়ান দেরকে যদি মুসলিম রিফুজি হিসাবে প্রচার করা হোত তাহোল্র তারা ও ক্খনো পশ্চিমা দেশ গুলোর সাহায্য পেত না।
আপনারা রহিংগাদের জাতিগত নিধনকে মুসলিম নিধন বলে প্রচার করার কারনে তাদের যে বারটা বাজাইছেন সেটার পুরনিয় নহে।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৩৬

নৈশ শিকারী বলেছেন: আবার সেই অসামঞ্জস্য তুলনা, স্বাধীনতা আর নাগরিকত্ব এই দুই শব্দের পার্থক্য বুঝেন? ডায়নোসরেরও লেজ আছে আবার টিকটিকিরও লেজ আছে তাই বলে টিকটির লেজের তুলনা ডাইনোসরের লেজের সাথে দিবেন? আপনি আর কিছু না পারলেও ব্যাপক বিনোদন দিচ্ছেন এটা অনস্বীকার্য। আপনি বারবার এই ব্যাপারটা এড়িয়ে যাচ্ছেন যে, রোহিঙ্গাদের উপর গণহহত্যা চালানোর মোটিভটা কি? সামান্য নাগরিকত্ব চাওয়ার অপরাধে এই নিধনযজ্ঞ হওয়া কিভাবে যৌক্তিক? সারাদিন জাতিগত নিধন বলে চিল্লাইতাছেন কিন্তু এই জাতিগত নিধনের কারন কেন উল্লেখ করছেন না? যেহেতু কারণ উল্লেখ করতে পারছেন না তাহলে কোন কারনে আমি আপনার কথা মানবো? আপনার বিশ্বাস কিন্তু আমার বিশ্বাসে সামান্য পরিমান চিরও ধরাতে পারছেনা তাহলে হুদাই এখানে কেন চিল্লাচ্ছেন?

আগেও প্রশ্নটি করেছি সঠিক উত্তর পাইনি, মায়ানমারের অন্যান্য মুসলিমরা খুব ভাল আছে বলে গান গাইতাছেন কিন্তু কোন তথ্যসূত্র থেকে এত নিশ্চিত ভাবে এটা বলছেন? রোহিঙ্গাদের মুসলমান বললে সমাস্যা কই? মুসলমানরা কি মানুষ না? আপনাদের মতো পশ্চিমা মতানুসারীরা মানবাতা না দেখে মুসলমান আগে দেখেন আবার নির্লজ্জের মতো বলেন মুসলমান পরিচয় দেয়ার কারনে পশ্চিমারা সাহায্য করছেনা ছিঃ! তাহলে স্পষ্ট ভাবেই আপনাদের বলা যায় মানবতার মুখোশধারি মুসলিম বিদ্বেষী।

আরেকটা হাস্যকর যুক্তি খাড়া করাইছেন সিরিয়ানদের মুসলিম পরিচয় দিলে তাড়াও সাহায্য পেতোনা!!

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৪২

নৈশ শিকারী বলেছেন: আরে মিয়া কানার ভাই অন্ধও জানে সিরিয়া মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশ, আর সেখান থেকে চলে যাওয়া শরণার্থীরাও মুসলমান।

১৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৫০

এ আর ১৫ বলেছেন: ছাগোলের ও দাড়ী আছে আপনার দাড়ী আছে কিন্তু আপনাদের বলা হয় ছাগু সম্প্রদায়। ডায়নোসারের বড় লেজ নিয়ে নির্মুল কিন্তু ছোট লেজ নিয়ে টিকটিকি আজ ও জীবিত। সাধীনতাকামি আর নাগরিক অধিকার কামিদের নিধন প্রক্রিয়া কিন্তু এক।

 জাতিগত নিধন বলে চিল্লাইতাছেন কিন্তু এই জাতিগত নিধনের কারন কেন উল্লেখ করছেন না? যেহেতু কারণ উল্লেখ করতে পারছেন না তাহলে কোন কারনে আমি আপনার কথা মানবো? আপনার বিশ্বাস কিন্তু আমার বিশ্বাসে সামান্য পরিমান চিরও ধরাতে পারছেনা তাহলে হুদাই এখানে কেন চিল্লাচ্ছেন? 
----- আপনি যে ছাগু তাই বুঝেন নি। রহিংগাদের নাগরিক অধিকার বাতিল হয় ১৯৮২ সালে। মুসলমান হিন্দু রহিংগারা নিপিরনের শিকার । বার্মার অন্য জাতির মুসলমানরা ঐ দেশের নাগরিক এবং নিপিরনের শিকার নহে। রহিংগাদের উপর কেন বার্মীজরা ক্ষেপা সেটার বড় ইতিহাস আছে।

আগেও প্রশ্নটি করেছি সঠিক উত্তর পাইনি, মায়ানমারের অন্যান্য মুসলিমরা খুব ভাল আছে বলে গান গাইতাছেন কিন্তু কোন তথ্যসূত্র থেকে এত নিশ্চিত ভাবে এটা বলছেন?
------ ভালো আছে মানি নিধনের শিকার হচ্ছে না দেশ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে না এবং তারা ঐ দেশের নাগরিক। হিন্দু মুসলিম উভয় রহিংগা নিধনের শিকার।
রোহিঙ্গাদের মুসলমান বললে সমাস্যা কই?
------ সমস্যা পলিটক্যাল ইসলামের জন্য অন্য ধর্মের মানুষ মুসলমানদের পচ্ছন্দ করে না তাই মুসলমান মুসলমান বলে চিৎকার কোরলে কেউ সারা দেবে না ক্ষতি হবে। যেহেতু এটা জাতিগত নিধন তাই মুসলিম নিধন বলাটা মিথ্যাচার এবং তাদের জন্য ক্ষতিকর

মুসলমানরা কি মানুষ না?
----- তারা মানুষ তাই তাদের মানুষ রুপে পরিচয় দিতে হবে
আপনাদের মতো পশ্চিমা মতানুসারীরা মানবাতা না দেখে মুসলমান আগে দেখেন আবার নির্লজ্জের মতো বলেন মুসলমান পরিচয় দেয়ার কারনে পশ্চিমারা সাহায্য করছেনা ছিঃ!
------ মুসলমান পরিচয়ের কারনে মুসলমানরাই সাহায্য করে না যেমন সিরিয়ানদের বড় লোক মুসলমান দেশ জায়গা দেয় নি

তাহলে স্পষ্ট ভাবেই আপনাদের বলা যায় মানবতার মুখোশধারি মুসলিম বিদ্বেষী।
------ পলিটিক্যাল ইসলাম এই বিদেষ তৈরী করেছে। মুসলমানদের জন্য যে প্রচারনা ক্ষতিকর এবং জাতিগত নিধনকে যারা মুসলিম নিধনের মিথ্যা প্রচার করছে তারাই আসল ইসলামের শত্রু এবং পলিটক্যাল ইসলামের সেবা দাস

আরেকটা হাস্যকর যুক্তি খাড়া করাইছেন সিরিয়ানদের মুসলিম পরিচয় দিলে তাড়াও সাহায্য পেতোনা!!
----- অবশ্যই পেত না যেমন এখন রহিংগারা পায় না। আপনারা কি কারনে সিরিয়ার নিধনকে মুসলমান নিধন বলেন নি। তারা কি মুসলমান না অতচ রহিংগাদের জাতিগত নিধনকে মুসলিম নিধন বানাইছেন অতচ হিন্দু রহিংগারা ও আক্রান্ত। বার্মার অন্য জাতির মুসলমানরা নিধনে আক্রান্ত নহে।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১২

নৈশ শিকারী বলেছেন: কথায় বলেনা বেহায়া বলে রাজ্যটাই আমার আপনিও কি সেইরকম কোন রাজ্যের রাজা নাকি? শুনেছি এধরনের রাজাদের জুতা দিয়ে পিটালেও মানসম্মান কমেনা। আরেকটা কথা আছেনা রতনে রতন চিনে চোরে চিনে চোর, আর ছাগলে চিনে ছাগল!!! স্বাধীনতা আর নাগরিকত্ব দাবিকারিদের এক বিবেচনা করা কোন ধরনের কাঠাল পাতাখোর প্রাণির তা পাঠকই বিবেচনা করবে। ডাইনোসর আর টিকটিকির রূপক মর্মার্থ বোঝার মত জ্ঞান যার নাই সে কিভাবে কিভাবে নিজেকে মানুষ আর অন্যকে ছাগু বলার সাহস পায়? আসলে সবচেয়ে বড় ছাগুতো সে যার এটুকু বোঝার জ্ঞান নেই।

আপনি যে ছাগু তাই বুঝেন নি। রহিংগাদের নাগরিক অধিকার বাতিল হয় ১৯৮২ সালে। মুসলমান হিন্দু রহিংগারা নিপিরনের শিকার । বার্মার অন্য জাতির মুসলমানরা ঐ দেশের নাগরিক এবং নিপিরনের শিকার নহে। রহিংগাদের উপর কেন বার্মীজরা ক্ষেপা সেটার বড় ইতিহাস আছে।

#বার্মার অন্য স্ট্যাটের মুসলিমরা নিধনের স্বীকার হচ্ছেনা তা আপনি জানলেন কিভাবে? আরকানের খবরের চাপে অন্যদিকের খবর নাও পৌঁছুতে পারে, তথ্যসুত্র না দিয়ে পশ্চাৎদেশ দিয়ে পাহাড় ঠেলা যুক্তি কেউ গ্রহণ করেনা। যেখানে মায়ানমার সরকার রোহিঙ্গা মুসলিমদের হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেখানে অন্যান্য স্টেটে উগ্রপন্থী বৌদ্ধরা যে এই সুযোগে মুসলিম হত্যা করছে না তার গ্যারান্টি কি?

ভালো আছে মানি নিধনের শিকার হচ্ছে না দেশ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে না এবং তারা ঐ দেশের নাগরিক। হিন্দু মুসলিম উভয় রহিংগা নিধনের শিকার।

#তথ্যসূত্র চাই, আপনি আন্দাজে বললে আমি বিশ্বাস করবো না।

- সমস্যা পলিটক্যাল ইসলামের জন্য অন্য ধর্মের মানুষ মুসলমানদের পচ্ছন্দ করে না তাই মুসলমান মুসলমান বলে চিৎকার কোরলে কেউ সারা দেবে না ক্ষতি হবে। যেহেতু এটা জাতিগত নিধন তাই মুসলিম নিধন বলাটা মিথ্যাচার এবং তাদের জন্য ক্ষতিকর

#আরে আজব!! কি ধরনের গাঁজাখুরি যুক্তি এটা? মুসলিম হবার অপরাধে মানবতা বিপন্ন হবে এইজন্য? শাক দিয়ে কোনদিন মাছ ঢাকা যায়? আমি সারাদিন ওদের মানুষ বলে চিল্লামু কিন্তু তাই বলে ওদের মুসলিম পরিচয় ঘুচে যাবে? যেখানে এই জাতির সিংহভাগ মুসলিম সেখানে তাদের রোহিঙ্গা মুসলিম বলতে সমাস্যা কই?

তারা মানুষ তাই তাদের মানুষ রুপে পরিচয় দিতে হবে

# অবশ্বই তারা মানুষ এবং মুসলিমও তাই তাদের ধর্মীয় রুচিবোধের দিকে দৃষ্টি না দিয়ে মানবতার দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।

মুসলমান পরিচয়ের কারনে মুসলমানরাই সাহায্য করে না যেমন সিরিয়ানদের বড় লোক মুসলমান দেশ জায়গা দেয় নি

#মুসলমান পরিচয়ের কারনে তাদের স্থান দেয়নি কোন সূত্রের ভিত্তিতে বললেন? ধনী মুসলিম দেশ আমেরিকার মত অন্যান্য পশ্চিমা দেশের দালালি করে ব্যবসায়ীক সম্পর্কের কারনে তাই পশ্চিমা দাদারা যা বলে তাই তারা করে।

পলিটিক্যাল ইসলাম এই বিদেষ তৈরী করেছে। মুসলমানদের জন্য যে প্রচারনা ক্ষতিকর এবং জাতিগত নিধনকে যারা মুসলিম নিধনের মিথ্যা প্রচার করছে তারাই আসল ইসলামের শত্রু এবং পলিটক্যাল ইসলামের সেবা দাস

#ইসলাম শান্তির ধর্ম কিছু মুষ্টিমেয় জঙ্গি আগাছার জন্য পুরো মুসলিম জাতি বিদ্বেষী হওয়া মানুষিক বিকারগ্রস্ততার প্রমাণ, আমারা মোটেই মিথ্যাচার করছিনা অধিকাংশ রোহিঙ্গারা রোহিঙ্গা হওয়ার সাথে সাথে মুসলিমও।কিন্তু মিথ্যাচার করছেন আপনাদের মত লোক যারা তাদের মুসলিম পরিচয় গোপন করে মানুষ পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করতে চাইছেন।

অবশ্যই পেত না যেমন এখন রহিংগারা পায় না। আপনারা কি কারনে সিরিয়ার নিধনকে মুসলমান নিধন বলেন নি। তারা কি মুসলমান না অতচ রহিংগাদের জাতিগত নিধনকে মুসলিম নিধন বানাইছেন অতচ হিন্দু রহিংগারা ও আক্রান্ত। বার্মার অন্য জাতির মুসলমানরা নিধনে আক্রান্ত নহে।

আমরা শুধু সিরিয়ান না, বিশ্বের যেকোনো যায়গায় মুসলিম নিধন হলে হলে আমরা সেটাকে বলতে এবং স্বীকার করতে কুণ্ঠিত বোধ করিনা। মেজরিটি আর মাইনরিটির ব্যাপার আছে।

বিঃদ্রঃ পরবর্তীতে অশালীন এবং ব্যক্তিগত আক্রমনাত্বক মন্তব্য করলে সোজা ঘার ধাক্কা দিয়ে পোস্ট থেকে বাহির করবো।

১৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১০

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: @ এ আর ১৫ সবসময়ই অশালীন এবং ব্যক্তিগত আক্রমনাত্বক মন্তব্য করে। সুতরাং ঘার ধাক্কাটাই ওর প্রাপ্য।






ধন্যবাদ। ভালো থাকুন নিরন্তর।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৮

নৈশ শিকারী বলেছেন: যথার্থই বলেছেন ভাই, সহমত জ্ঞাপন এবং মূল্যবান মন্তব্য রাখার জন্য আনেক ধন্যবাদ, আপনিও ভাল থাকুন এবং সুস্থ থাকুন এই দোয়াই করি।

২০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩১

এ আর ১৫ বলেছেন: #বার্মার অন্য স্ট্যাটের মুসলিমরা নিধনের স্বীকার হচ্ছেনা তা আপনি জানলেন কিভাবে
--------- কারন কোন মিডিয়াতে কেউ দাবি করেনি এবং বলা হচ্ছে শুধু মাত্র রহিংগারা নিপিড়নের শিকার ।
# আরকানের খবরের চাপে অন্যদিকের খবর নাও পৌঁছুতে পারে, তথ্যসুত্র না দিয়ে পশ্চাৎদেশ দিয়ে পাহাড় ঠেলা যুক্তি কেউ গ্রহণ করেনা।
------- কানারে বোধ হয় হাইকোর্ট দেখান , বর্তমান যুগে বড় কোন বা ছোট কোন ঘটনা কেউ কি গোপন করতে পারে
# যেখানে মায়ানমার সরকার রোহিঙ্গা মুসলিমদের হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেখানে অন্যান্য স্টেটে উগ্রপন্থী বৌদ্ধরা যে এই সুযোগে মুসলিম হত্যা করছে না তার গ্যারান্টি কি?
------ বার্মা সরকার রহিংগা জাতিকে নিধন করছে এবং তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করেছে ,হিন্দুদের মারছে ৩১ শে ২০১৭ বিভিন্ন সংবাদ পত্রে এই নিউজ আছে --- জনকন্ঠ,প্রথম আলো তে নিউজ হয়েছে কিন্তু ব্যাক ডেটের নিউজ গুলো পাওয়ার অপশন ঐ পত্রিকাতে কাজ করছেনা তাই অন্য লিংক দিলাম ---- রাখাইন রাজ্য ছাড়ছেন হিন্দুরাও
এই বার আপনে অন্য জাতির মুসলমানরা ইথনিক ক্লিনসিং এর শিকার হচ্ছে তার পক্ষে প্রমাণ আনেন । অন্য কোন জাতির মুসলমানরা ঘরবাড়ী ফেলে দেশ ত্যাগ করছে একটা ভুয়া সোর্স থেকে নিউজ দেখান দেখি

#আরে আজব!! কি ধরনের গাঁজাখুরি যুক্তি এটা? মুসলিম হবার অপরাধে মানবতা বিপন্ন হবে এইজন্য?
------ মুসলমান নহে রহিংগা হওয়ার অপরাধে মানবতা বিপন্ন হবে এইজন্য ?
#শাক দিয়ে কোনদিন মাছ ঢাকা যায়?
----- সেইটাই তো আপনারা করতেছেন , জাতিগত নিধন হয়ে গেছে মুসলমান নিধন যদিও হিন্দুরা মারা যাচ্ছে অন্য রাজ্যের মুসলমানরা ইথিনিক ক্লিনসিং এর শিকার হচ্ছে না ।
# আমি সারাদিন ওদের মানুষ বলে চিল্লামু কিন্তু তাই বলে ওদের মুসলিম পরিচয় ঘুচে যাবে?
------ তাহোলে সিরিয়ান রিফুজীদের বেলায় মুসলমান মুসলমান বলে চিল্লাইলেন না কেন ?
# যেখানে এই জাতির সিংহভাগ মুসলিম সেখানে তাদের রোহিঙ্গা মুসলিম বলতে সমাস্যা কই?
--- সিরিয়ানদের সিংগভাগ মুসলমান তখন মুসলমান মুসলমান করেন নি কেন । ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সিংগভাগ মুসলমান তখন মুসলমান মুসলমান নিধন বলেন নি কেন । আপনার তো স্বাধীনতা সংগ্রাম আর রহিংগাদের নাগরিক অধিকার নিয়ে পেরেসন আছেন , এখন ১৯৭১ সালে বাঙ্গালীদের স্বাধীনতা সংগ্রামকে মুসলমানদের স্বাধীনতা সংগ্রাম কেন বলতেছেন না কারন বেশির ভাগতো মুসলমান ছিল !!! আপনার মতে রহিংগাদের নাগরিক অধিকার সংগ্রামের নাম মুসলমানদের নাগরিক অধিকার সংগ্রাম নহে কেন ? রহিংগা নিধন যখন আপনার কাছে মুসলিম নিধন , তাহোলে রহিংগাদের নাগরিক অধিকার সংগ্রাম তো মুসলমানদের নাগরিক অধিকার সংগ্রাম হওয়ার কথা ---- এই ক্ষেত্রে সংগ্রামের আগে মুসলমান লাগান না কেন ? বাহ বাহ সংগ্রামের নাম রহিংগাদের অধিকার সংগ্রাম ( মুসলমানদের নহে) , নির্যাতনের নাম মুসলমনা নির্যাতন রহিংগা নির্যাতন নহে ।

#মুসলমান পরিচয়ের কারনে তাদের স্থান দেয়নি কোন সূত্রের ভিত্তিতে বললেন? ধনী মুসলিম দেশ আমেরিকার মত অন্যান্য পশ্চিমা দেশের দালালি করে ব্যবসায়ীক সম্পর্কের কারনে তাই পশ্চিমা দাদারা যা বলে তাই তারা করে।
------- এই তো স্বীকার কোরলেন ধনী মুসলিম দেশ গুলো কেন সাহায্য করে নি বা করবে না । তাহোলে গরিব মুসলমানদেশ তো করবেই না , বাংলাদেশ ঠেলায় পড়ে বাধ্য হয়েছে । তাহলে একটা জাতি নিধনকে মিথ্যা মুসলিম নিধন টাইটেল দিয়ে প্রচার করে কেন রহিংগাদের ১২টা বাজাইতেছেন । মুসলমানদেশ গুলো কোন সাহায্য করবে না এবং অমুসলিম দেশে গুলো তো না । তাহোলে কারা রহিংগা জাতির শত্রু ? পলিটিক্যাল ইসলাম আর বার্মা সরকার ! বার্মা সরকার দেশ থেকে তাড়াইতেছে আর পলিটিক্যাল ইসলমা দুনিয়ার কোথাও যেন জায়গা না পায় তার ব্যবস্থা করতেছে ।

#ইসলাম শান্তির ধর্ম কিছু মুষ্টিমেয় জঙ্গি আগাছার জন্য পুরো মুসলিম জাতি বিদ্বেষী হওয়া মানুষিক বিকারগ্রস্ততার প্রমাণ,
------ ইসলাম শান্তির ধর্ম আর জংগিরা অশান্তির মূলমন্ত্র !!!!! এইটা হিউম্যান সাইকোলজি , কয়েক জনের জন্য গোটা কমনিটিকে গাল শুনতে হয় । কয়েক জন রহিংগার চুরি চামারির জন্য সব রিহিংগাদের দোষ হয় । আপনার কি এইটা থেকে মুক্ত -আপনার তো বলেন বার্মার বৌদ্ধরা মুসলমানদের মারে , বার্মার সরকার কেন বলেন না । কিছু উগ্র হিন্দু ভারতে গরু হত্যার জন্য মুসলমানদের মারছে তাই গোটা হিন্দু সম্প্রদায়কে দোষ দেন ,এর আগের কমেন্টে বলছেন ভারতে মুসলমানদের থেকে গরুর দাম বেসি ।
#আমারা মোটেই মিথ্যাচার করছিনা অধিকাংশ রোহিঙ্গারা রোহিঙ্গা হওয়ার সাথে সাথে মুসলিমও।
--- সাথে সাথে তারা হিন্দুও
#কিন্তু মিথ্যাচার করছেন আপনাদের মত লোক যারা তাদের মুসলিম পরিচয় গোপন করে মানুষ পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করতে চাইছেন।
------- মানুষ পরিচয়ে দিলে পশ্চিমা বিশ্ব তাদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসবে তাই, মুসলিম বিশ্ব কিছুই করবে না ।

#বিঃদ্রঃ পরবর্তীতে অশালীন এবং ব্যক্তিগত আক্রমনাত্বক মন্তব্য করলে সোজা ঘার ধাক্কা দিয়ে পোস্ট থেকে বাহির করবো।

---- নিজেরে আগে বাহির করেন , বেয়াদপি তো আপনি শুরু করেছেন ,,, ডায়নিসারের লেজ টিকটিকির লেজ ইত্যাদি , হাসি আসে কথা শুনলে ইত্যাদি । ঘার ধাক্কা দিবেন ----- এইটা কি ভদ্র লোকের কথা না বেয়াদপের কথা । আপনি শুরু করেছেন ব্যক্তিগত আক্রমনের । আপনি আমারা ঘার ধাক্কার মুরোদ দেখান , আমি আপনার দৃষ্ঠতার রিপোর্ট করতে পারি ।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৬

নৈশ শিকারী বলেছেন: আবারো প্রমাণ করলেন বেহায়া বলে রাজ্যটাই আমার এই কথাটা আপনার ক্ষেত্রে সত্য। অযৌক্তিক, মুসলিম বিদ্বেষী এবং গাঁজাখুরি যুক্তি আপনার কাছেই শুনতে হচ্ছে। এত্ত কঠোর ভাষায় বলার পরেও যার লজ্জা হয়না তাকে কোন ভাষায় বলবো আমার জানা নাই। আপনার আজাইরা তেনাবাজির উত্তর একটা কথাতেই দেয়া যায় আর তা হল, রোহিঙ্গা নিধনকে জাতিগত নিধন বলার পাশাপাশি মুসলিম নিধন বলায় কোন ভুল নাই কারণ তাদের সিংহভাগই যেখানে মুসলিম। একটা রূপক উদাহরণ দেই, ধরেন পদ্মানদীতে জেলেরা ইলিশ মাছ ধরার জন্য জাল ফেলেছে, এখন ইলিশ মাছের সাথে অন্যান্য প্রজাতির কিছু মাছ উঠেছে,এমতাবস্থায় জেলেরা কিন্তু বলেনা আমরা মৎস জাতি ধরতে গিয়েছি বরং এটা বলে যে, আমরা ইলিশ মাছ ধরেছি। এরপরেও না বুঝলে সুইসাইড খান, আর লজ্জাবোধ থাকলে এখানে আর মন্তব্য করতে আসবেন না।

-------- কারন কোন মিডিয়াতে কেউ দাবি করেনি এবং বলা হচ্ছে শুধু মাত্র রহিংগারা নিপিড়নের শিকার ।

#এখন পর্যন্ত কোন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া সেখানে স্বাধীন ভাবে ঘুরে প্রতিবেদন তৈরি করতে পারছে? যেখানে প্রথমেই রোহিঙ্গাদের হত্যার ব্যাপারটাই প্রথমে মায়ানমার অস্বীকার করার চেষ্টা করেছে।

------কানারে বোধ হয় হাইকোর্ট দেখান , বর্তমান যুগে বড় কোন বা ছোট কোন ঘটনা কেউ কি গোপন করতে পারে

আরকানের রোহিঙ্গা নিধনের খবরেই দুনিয়া তোলপাড় অন্য যায়গার মুষ্টিমেয় মুসলিমদের কি হাল সেই খবর কে নিচ্ছে? আন্তর্জাতিক মিডিয়া প্রবেশেই যেখানে বাঁধা প্রয়োগ করা হচ্ছে।

- ----বার্মা সরকার রহিংগা জাতিকে নিধন করছে এবং তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করেছে ,হিন্দুদের মারছে ৩১ শে ২০১৭ বিভিন্ন সংবাদ পত্রে এই নিউজ আছে --- জনকন্ঠ,প্রথম আলো তে নিউজ হয়েছে কিন্তু ব্যাক ডেটের নিউজ গুলো পাওয়ার অপশন ঐ পত্রিকাতে কাজ করছেনা তাই অন্য লিংক দিলাম ---- রাখাইন রাজ্য ছাড়ছেন হিন্দুরাও
এই বার আপনে অন্য জাতির মুসলমানরা ইথনিক ক্লিনসিং এর শিকার হচ্ছে তার পক্ষে প্রমাণ আনেন । অন্য কোন জাতির মুসলমানরা ঘরবাড়ী ফেলে দেশ ত্যাগ করছে একটা ভুয়া সোর্স থেকে নিউজ দেখান দেখি

#ঐযে প্রথমেই বললাম জেলেদের ইলিশের গল্প বুঝে নিয়েন, আরেকটা ব্যাপার হয়ত আপনি জানেন না যে, কোন রোহিঙ্গা যদি নিজেকে বৌদ্ধ বলে পরিচয় দেয় তাঁদেরকে হত্যা করা হয়না, শুধুমাত্র জাতিগত নিধন হলে বৌদ্ধ রোহিঙ্গাদের কেন হত্যা করা হচ্ছেনা?

----সেইটাই তো আপনারা করতেছেন , জাতিগত নিধন হয়ে গেছে মুসলমান নিধন যদিও হিন্দুরা মারা যাচ্ছে অন্য রাজ্যের মুসলমানরা ইথিনিক ক্লিনসিং এর শিকার হচ্ছে না ।

#অন্য রাজ্যের মুসলিমরা নিধনের স্বীকার হচ্ছেনা! এবং তারা ভাল আছে, এই ব্যাপারে এই ব্যাপারে আপনি একটা নিউজ লিঙ্ক দেন; অথেনটিক না হলেও চলবে।

----- মুসলমান নহে রহিংগা হওয়ার অপরাধে মানবতা বিপন্ন হবে এইজন্য ?

#রোহিঙ্গাদের অপরাধি হবার মোটামুটি গ্রহনযোগ্য একটা যুক্তিও পেশ করতে পারেন নি, শুধু নাগরিকত্ব চাওয়ার অপরাধে এতবড় হত্যাযজ্ঞ সম্পাদিত হবার কোন কারণ দেখিনা।

------তাহোলে সিরিয়ান রিফুজীদের বেলায় মুসলমান মুসলমান বলে চিল্লাইলেন না কেন ?

#আপনাকে কে বললো সিরিয়ান শরণার্থী দের আমরা মুসলিম বলিনি?

# যেখানে এই জাতির সিংহভাগ মুসলিম সেখানে তাদের রোহিঙ্গা মুসলিম বলতে সমাস্যা কই?
--- সিরিয়ানদের সিংগভাগ মুসলমান তখন মুসলমান মুসলমান করেন নি কেন । ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সিংগভাগ মুসলমান তখন মুসলমান মুসলমান নিধন বলেন নি কেন । আপনার তো স্বাধীনতা সংগ্রাম আর রহিংগাদের নাগরিক অধিকার নিয়ে পেরেসন আছেন , এখন ১৯৭১ সালে বাঙ্গালীদের স্বাধীনতা সংগ্রামকে মুসলমানদের স্বাধীনতা সংগ্রাম কেন বলতেছেন না কারন বেশির ভাগতো মুসলমান ছিল !!! আপনার মতে রহিংগাদের নাগরিক অধিকার সংগ্রামের নাম মুসলমানদের নাগরিক অধিকার সংগ্রাম নহে কেন ? রহিংগা নিধন যখন আপনার কাছে মুসলিম নিধন , তাহোলে রহিংগাদের নাগরিক অধিকার সংগ্রাম তো মুসলমানদের নাগরিক অধিকার সংগ্রাম হওয়ার কথা ---- এই ক্ষেত্রে সংগ্রামের আগে মুসলমান লাগান না কেন ? বাহ বাহ সংগ্রামের নাম রহিংগাদের অধিকার সংগ্রাম ( মুসলমানদের নহে) , নির্যাতনের নাম মুসলমনা নির্যাতন রহিংগা নির্যাতন নহে ।

#আবার সেই আঁতেলিয় যুক্তি, আমরা একটি শোশক গোষ্ঠীর কাছ থেকে স্বাধীনতা আদায়ের লক্ষ্যে সংগ্রাম করেছি, আমাদেরকে রুখার জন্য পাকি শয়তানরা গণহত্যা চালিয়েছিল সেখানে তারা হিন্দু, মুসলিম, খ্রিষ্টান কাউকেই বাছেনি তখন স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার তাকিদে তাদের প্রতিরোধ করা আমাদের জাতিগত দায়িত্ব ছিল, তাই সেই যুদ্ধটা আমাদের জাতিগত যুদ্ধছিল। আজ যদি আরকান রাজ্য স্বাধীন করার জন্য রোহিঙ্গারা আন্দোলন করতো তাহলে তাদের সাথে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের তুলনা দিতে পারতেন। আর আমিও দ্বিধাহীন চিত্তে রোহিঙ্গাদের নিধনকে শুধু জাতিগত নিধন হিসেবে মেনে নিতাম, নাগরিকত্ব আর স্বাধীনতার পার্থক্য বোঝার ঘিলুটুকুও আপনার মাথায় নাই?

------- ইসলাম শান্তির ধর্ম আর জংগিরা অশান্তির মূলমন্ত্র !!!!! এইটা হিউম্যান সাইকোলজি , কয়েক জনের জন্য গোটা কমনিটিকে গাল শুনতে হয় । কয়েক জন রহিংগার চুরি চামারির জন্য সব রিহিংগাদের দোষ হয় । আপনার কি এইটা থেকে মুক্ত -আপনার তো বলেন বার্মার বৌদ্ধরা মুসলমানদের মারে , বার্মার সরকার কেন বলেন না । কিছু উগ্র হিন্দু ভারতে গরু হত্যার জন্য মুসলমানদের মারছে তাই গোটা হিন্দু সম্প্রদায়কে দোষ দেন ,এর আগের কমেন্টে বলছেন ভারতে মুসলমানদের থেকে গরুর দাম বেসি ।

#বার্মিজ বৌদ্ধরা কি মুসলিমদের মারছে না? হয়তো কিছু সংখ্যক বৌদ্ধ এই কাজে অংশ নিচ্ছে কিন্তু অন্যান্য বৌদ্ধরা কিন্তু এই যজ্ঞে সমর্থন দিচ্ছে, তার প্রমাণ আমরা পাই এই থেকে যে সারা বিশ্বের জনগণ যেখানে রোহিঙ্গা হত্যার প্রতিবাদ জানাচ্ছে সেখানে মায়ানমারের কোন নাগরিক এই ব্যাপারে একবারও প্রতিবাদ জানায়নি। আজ ভারতে যদি গরু খাওয়ার কারনে মুসলিম হত্যার প্রতিবাদ সাধারণ জনগণ করতো তাহলে পুরো ভারতকে আমি দোষারোপ করতাম না কিন্তু মুসলিম নাম ধারি জঙ্গি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আমরা হামেশাই প্রতিবাদ জানাই। এটাই হচ্ছে মুসলিম বিদ্বেষীদের সাথে আমাদের পার্থক্য।

------ এই তো স্বীকার কোরলেন ধনী মুসলিম দেশ গুলো কেন সাহায্য করে নি বা করবে না । তাহোলে গরিব মুসলমানদেশ তো করবেই না , বাংলাদেশ ঠেলায় পড়ে বাধ্য হয়েছে । তাহলে একটা জাতি নিধনকে মিথ্যা মুসলিম নিধন টাইটেল দিয়ে প্রচার করে কেন রহিংগাদের ১২টা বাজাইতেছেন । মুসলমানদেশ গুলো কোন সাহায্য করবে না এবং অমুসলিম দেশে গুলো তো না । তাহোলে কারা রহিংগা জাতির শত্রু ? পলিটিক্যাল ইসলাম আর বার্মা সরকার ! বার্মা সরকার দেশ থেকে তাড়াইতেছে আর পলিটিক্যাল ইসলমা দুনিয়ার কোথাও যেন জায়গা না পায় তার ব্যবস্থা করতেছে ।

#আমরা আমাদের ধর্মের দালাল রাষ্ট্রের সমালোচনা করতে মোটেই পিছপা হইনা, এক রাষ্ট্র সহায়তা না করলে আমাদের কিছুই আসে যায়না, আরো বহু রাষ্ট্র আছে যারা সহায়তা করছে এবং করবে। আপনার আবালিয় যুক্তির আরেকটা অংশ হচ্ছে যে, তাদের মুসলিম বলে পরিচয় দিলে পশ্চিমারা সাহায্য করবেনা, তাহলে স্বীকার করলেন পশ্চিমারা ইসলামের শত্রু? আর তাদের রোহিঙ্গা পরিচয় দিলেই কি তাদের মুসলিম পরিচয় পশ্চিমারা জানবে না? আপনি কি মনে করেন পশ্চিমারা এটা জানেনা যে, রোহিঙ্গারা মুসলিম? ভাইরে পশ্চিমারা কিন্তু কাঁঠাল পাতা ভক্ষন করেনা।

--- সাথে সাথে তারা হিন্দুও

#তারা হিন্দু হবার সাথে সাথে বৌদ্ধও কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে আর্মিরা রোহিঙ্গা বৌদ্ধদের মারছে না।

----- মানুষ পরিচয়ে দিলে পশ্চিমা বিশ্ব তাদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসবে তাই, মুসলিম বিশ্ব কিছুই করবে না ।

#পশ্চিমারা জানে, রোহিঙ্গারা অধিকাংই মুসলিম, তারা রোহিঙ্গাদের ব্যপারে আপনার আমার চেয়ে অনেক বেশী ওয়াকিবহাল। মুসলিম বিশ্বের কয়েকটি দালাল দেশ কিছু করছেনা এটা সত্য কিন্তু অন্যরা বসে নেই তারা অনেক কিছুই করছে।
-
---- নিজেরে আগে বাহির করেন , বেয়াদপি তো আপনি শুরু করেছেন ,,, ডায়নিসারের লেজ টিকটিকির লেজ ইত্যাদি , হাসি আসে কথা শুনলে ইত্যাদি । ঘার ধাক্কা দিবেন ----- এইটা কি ভদ্র লোকের কথা না বেয়াদপের কথা । আপনি শুরু করেছেন ব্যক্তিগত আক্রমনের । আপনি আমারা ঘার ধাক্কার মুরোদ দেখান , আমি আপনার দৃষ্ঠতার রিপোর্ট করতে পারি ।

আমার লেখা পোস্ট থেকে আমাকে বাহির করতে আসছেন কোন সাহসে? আপনি এখানে ছেবলার মত গায়ে পরে তেনাবাজি করতেছেন আবার বড় কথা কন। আর আমি বেয়াদবি শুরু করলাম কখন প্রমাণ দেন? ডায়নোসরের লেজ আর টিকটিকির লেজ কোন অর্থে ব্যবহার করছি সেটা বোঝার মত ঘিলু আপনার মাথায় থাকা লাগবেতো, বুঝলে বোকার মত হাসতেন না। ঘার ধাক্কা দেয়া যদি বেয়াদবের কথা হয় তাহলে আমার দাড়ি কে ছাগলের দাড়ির সঙ্গে তুলনা দেয়া কোন ধরনের ভদ্রলোকের ভাষা? আমাকে সরাসরি ছাগু বলা কোন ধরনের সভ্যপল্লির ভাষা? আমি কখন আগে ব্যাক্তিগত আক্রমণ করছি প্রমাণ দেন, আমিও আপনার এসব অশালীন বাক্য প্রয়োগের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করতে পারতাম কিন্তু করুণা করে রিপোর্ট করলাম না। আপনার অশালীন বাক্য প্রয়োগের যোগ্য জবাব দিতে গেলে শুধু ঘার ধাক্কা না আরো অশালীন কিছু বলা আমার উচিত ছিল, কিন্তু আমার পরিবার এসব শিক্ষা দেয়নি।

২১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৬

এ আর ১৫ বলেছেন: লিংক কেন যাচ্ছে না বুঝলাম না --- নিউজ
রোহিঙ্গা মুসলমানদের পাশাপাশি এবার মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য ছাড়ছেন সে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরাও।

গত কয়েক দিনে রাখাইন রাজ্যে ফকিরাবাজারে বসবাসকারী ৭৫টি হিন্দু পরিবারের ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৮৬ জন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

রাখাইন রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে আসা ৪১২ জন হিন্দু নারী-পুরুষ-শিশু কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির থেকে দুই কিলোমিটার দূরে পশ্চিম হিন্দুপাড়ার একটি মুরগির খামারে আশ্রয় নিয়েছেন।

তাঁরা সবাই রাখাইনের মংডুর ফকিরাবাজার গ্রামের বাসিন্দা। নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের জিরো পয়েন্টে অবস্থান করছেন আরও দুই শতাধিক হিন্দু। তাঁরাও বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় আছেন।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পশ্চিম হিন্দুপাড়ার ওই মুরগির খামারে গিয়ে দেখা গেছে, চার শতাধিক নারী-পুরুষ-শিশু গাদাগাদি করে মেঝেতে পড়ে আছেন। স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা মিয়ানমার থেকে আসা হিন্দুদের এ খামারে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।

পালিয়ে আসা হিন্দুরা জানান, রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের আশপাশের গ্রাম চিকনছড়ি, ফকিরাবাজারসহ কয়েকটি গ্রামে হিন্দুরা বসবাস করেন। তাঁদের পেশা স্বর্ণালংকার তৈরি ও মাটি দিয়ে বাসনকোসন তৈরির কাজ করেন। অনেকে নদীতে মাছ আহরণ ও চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।

কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে মুখোশধারী কিছু সশস্ত্র লোক তাঁদের গ্রামে হামলা করছে। আগুন দিয়ে ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছে। গুলিতে অনেকে হতাহত হচ্ছে। নারী-শিশুদের অমানুষিক নির্যাতন করা হচ্ছে। প্রাণভয়ে অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে পাহাড়, ধানখেতে ও বনজঙ্গলে লুকিয়ে আছেন। কিছু হিন্দু পরিবার বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। কিন্তু বাধা ও ভয়ের কারণে অনেকে ঢুকতে পারছেন না।

স্থানীয় হলদিয়া পালং ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও পশ্চিম হিন্দুপাড়ার বাসিন্দা স্বপন শর্মা বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে ১৬ জন হিন্দু মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে এ গ্রামে আশ্রয় নেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পালিয়ে আসেন আরও ৩৯৬ জন হিন্দু।

মোট ৪১২ জনকে তাঁদের গ্রামের পাশে একটি পরিত্যক্ত মুরগির খামারে রাখা হয়েছে। দুপুরে কক্সবাজার জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কয়েকজন নেতা খামারে এসে আশ্রিত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেন।

রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের কোয়াছং হিন্দুপাড়া থেকে স্ত্রী ও চার ছেলেমেয়ে নিয়ে পালিয়ে আসা স্বর্ণকার দীজেন্দ্র শর্মা বলেন, গত ছয়-সাত দিনে ফকিরাবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় গুলি ও আগুনে পুড়ে ৮৬ জন হিন্দুর মৃত্যু হয়েছে।

ফকিরা বাজার থেকে পালিয়ে আসা মিলন মল্লিক বলেন, রোহিঙ্গা মুসলমানদের সঙ্গে তাঁদের (হিন্দুদের) কোনো বিরোধ নেই। অতীতে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কোনো দাঙ্গাহাঙ্গামাও হয়নি। গত বছরের ৯ অক্টোবর রাখাইন রাজ্যে তিনটি সীমান্তচৌকিতে হামলার পর টানা তিন মাস রাখাইন রাজ্যে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালায় সেনা ও পুলিশ।

এ সময় কয়েক শ রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়। ধর্ষণের শিকার হন বহু রোহিঙ্গা নারী। এ সময় ৯০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা রাখাইন রাজ্য ত্যাগ করে বাংলাদেশ আশ্রয় নিলেও তখন কোনো হিন্দু পরিবার দেশ ত্যাগ করেনি। কিন্তু এবার একযোগে সীমান্তচৌকিতে হামলার জন্য হিন্দুদেরও সন্দেহ করছে মিয়ানমার। তাই এত অত্যাচার-নির্যাতন। উদ্দেশ্য রাখাইন রাজ্য ত্যাগ করা।

মুরগির খামে আশ্রিত হিন্দুদের মিয়ানমারের নাগরিক দাবি করে কক্সবাজার জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক প্রিয়োতষ শর্মা চন্দন, সহসাধারণ সম্পাদক চঞ্চল দাশগুপ্ত বলেন, রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি সংখ্যালঘু হিন্দুরাও রাখাইন রাজ্যে অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। ঘরবাড়ি হারিয়ে পালিয়ে আসা হিন্দুরা থাকা ও খাওয়া নিয়ে চরম কষ্টে আছেন। তাঁরা আশ্রিত হিন্দুদের তাৎক্ষণিকভাবে ২৫ হাজার নগদ অর্থসহায়তা দিয়েছেন।

মংডুর চিকনছড়ির কুলালপাড়া থেকে পালিয়ে আসা বকুল বালা (৪৫) বলেন, গত বুধবার রাতে মুখোশধারী কিছু সশস্ত্র লোক তাঁর বাড়িতে ঢুকে অত্যাচার শুরু করে। একপর্যায়ে তাঁর স্বামী কালু রুদ্র, মেয়ে সন্ধ্যাবালা ও নাতি বাপ্পুকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাঁদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানতে পারেন তিনি।

ওই রাতে তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। তাঁর দাবি, যারা হামলা চালিয়েছে, তারা বৌদ্ধ ভাষায় কথা বলেছে। তবে তারা সেখানকার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য কি না জানা নেই। একই এলাকার বিজয় রাম পাল (৩৬) বলেন, তিনি মংডুর চিকনছড়ি গ্রামে হাল চাষ করতেন।

২৪ আগস্ট রাখাইন রাজ্যের ২০টির বেশি সীমান্তচৌকিতে একযোগে সন্ত্রাসী হামলার পর হিন্দুদের সঙ্গেও রোহিঙ্গাদের মতো আচরণ করতে শুরু করে সে দেশের সেনা ও পুলিশ সদস্যরা। রোহিঙ্গাদের মতো হিন্দুদের ঘরবাড়িতেও অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। রাম পাল বলেন, ‘বলা হচ্ছে, হিন্দুরা বাংলাদেশ থেকে আগত বাঙালি। অথচ আমরা জন্মসূত্রে মিয়ানমারের নাগরিক।’

কক্সবাজার জেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা বলেন, রাখাইন রাজ্যে এখন হিন্দুরাও হামলার শিকার হচ্ছেন। এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ দরকার।

উখিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের বলেন, ৪১২ হিন্দুর বেশির ভাগই নারী-শিশু। রাতের বেলায় তাঁদের পুলিশি পাহারায় রাখা হয়েছে। কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে থাকার জায়গা নেই বলে হিন্দুদের এই খামারেই কিছুদিন থাকতে হবে। একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার লোকজন খামারে আশ্রিত হিন্দুদের বিস্কুট বিতরণ করেছে।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক বলেন, হিন্দুপাড়ায় আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের হিন্দু পরিবারগুলোর নিরাপত্তাসহ খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৯

নৈশ শিকারী বলেছেন: কিছু সংখ্যক হিন্দু রোহিঙ্গাদের মায়ানমার সেনাবাহিনী এবং বৌদ্ধরা হত্যা এবং দেশত্যাগী হতে বাধ্য করেছে এটা আমি একবারও অস্বীকার করিনি, অনেক আর্মি তাদের হিন্দুত্বের পরিচয় না যেনেই হত্যা করেছে মুসলিম পল্লিতে বসবাস করার কারনে।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪২

নৈশ শিকারী বলেছেন: দেখুনঃ আগস্ট রাখাইন রাজ্যের ২০টির বেশি সীমান্তচৌকিতে একযোগে সন্ত্রাসী হামলার পর হিন্দুদের সঙ্গেও রোহিঙ্গাদের মতো আচরণ করতে শুরু করে সে দেশের সেনা ও পুলিশ সদস্যরা। রোহিঙ্গাদের মতো হিন্দুদের ঘরবাড়িতেও অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। রাম পাল বলেন, ‘বলা হচ্ছে, হিন্দুরা বাংলাদেশ থেকে আগত বাঙালি। অথচ আমরা জন্মসূত্রে মিয়ানমারের নাগরিক।’

#এইখবরের রচয়িতাই রোহিঙ্গা আর হিন্দুদের আলাদা করে দিয়েছে আমি আর কি বলবো

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫০

নৈশ শিকারী বলেছেন: দেখুনঃ এ সময় কয়েক শ রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়। ধর্ষণের শিকার হন বহু রোহিঙ্গা নারী। এ সময় ৯০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা রাখাইন রাজ্য ত্যাগ করে বাংলাদেশ আশ্রয় নিলেও তখন কোনো হিন্দু পরিবার দেশ ত্যাগ করেনি। কিন্তু এবার একযোগে সীমান্তচৌকিতে হামলার জন্য হিন্দুদেরও সন্দেহ করছে মিয়ানমার। তাই এত অত্যাচার-নির্যাতন। উদ্দেশ্য রাখাইন রাজ্য ত্যাগ করা

জাতিগত নিধন হলে হিন্দু জনগোষ্ঠী থেকে যাওয়ার সাহস কিভাবে পেয়েছিল? সংবাদটির লেখকই তার তথ্যে স্বীকার করেছেন আগে মুসলিম নিধন শুরু হয়েছে।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৯

নৈশ শিকারী বলেছেন: দেখুনঃ মুরগির খামে আশ্রিত হিন্দুদের মিয়ানমারের নাগরিক দাবি করে কক্সবাজার জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক প্রিয়োতষ শর্মা চন্দন, সহসাধারণ সম্পাদক চঞ্চল দাশগুপ্ত বলেন, রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি সংখ্যালঘু হিন্দুরাও রাখাইন রাজ্যে অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। ঘরবাড়ি হারিয়ে পালিয়ে আসা হিন্দুরা থাকা ও খাওয়া নিয়ে চরম কষ্টে আছেন। তাঁরা আশ্রিত হিন্দুদের তাৎক্ষণিকভাবে ২৫ হাজার নগদ অর্থসহায়তা দিয়েছেন।

আপনাদের ঐক্যের লোকরাই রোহিঙ্গাদের মুসলিম বলে মেনশন করছে, আর হিন্দুদের সংখ্যালঘু বলে আখ্যায়িত করছে। এতে তারা স্পষ্টতই এটা বোঝাচ্ছে যে, রোহিঙ্গা মানেই মুসলিম আর হিন্দুরা আলাদা সম্প্রদায়

২২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:০৩

এ আর ১৫ বলেছেন:

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪২

নৈশ শিকারী বলেছেন: সাম্প্রতিক বিশ্বে ঘটে যাওয়া বেশীর ভাগ হত্যাযজ্ঞই, মুসলিমদের উপর হয়েছে, নির্যাতিতদের তালিকায় বর্তমানে মুসলিমরাই শীর্ষে অবস্থান করছে। তাই প্রতিবাদ করলে তাদের ব্যাপারটাই আগে সামনে আসবে এটাই স্বাভাবিক। আপনার ছবিটির দাবি অনুযায়ি বিশ্বে কোথায় মুসলিম ছাড়া অন্য কোন ধর্মের হাজার হাজার মানুষের উপর বর্বরোচিত গণহত্যা হয়েছে? আর মানুষ হত্যা হলে হলে আমরা অবশ্বই প্রতিবাদ করি তা সে যে ধর্মের লোকই হোকনা কেন। কিন্তু কোন জিহাদি,জঙ্গি মারা গেলে আমরা মোটেই প্রতিবাদ করিনা, বরং এটা ভাবি যে, মুসলিম নাম ব্যবহার কারি একটা কিংবা কিছু আগাছা দমন হলো। সাধারণ নিরীহ মুসলিমদেরকে মুসলিমরাই মারুক কিংবা অন্য ধর্মাবলম্বীরা মারুর এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সৎসাহস আমাদের সবসময় ছিল এবং এখনো আছে। আমার পূর্ববর্তী মন্তব্যে আপনাকে উদ্দেশ্যে করে বলেছিলাম পরবর্তীতে আমার পোস্টে অহেতুক তেনাবাজি করতে আসলে আপনার নামের পূর্বে কিছু প্রোনাউন যোগ হবে সেটা কি ভুলে গেছেন? ভুলে গিয়ে থাকলে দেখে আসুন। আর মুসলিম বিদ্বেষী মনোভাব পরিহার করে সত্যিকারের মানুষ হওয়ার চেষ্টা করুন। পরবর্তীতে হায়াহীন হয়ে আজাইরা তেনাবাজি না করার জন্য অগ্রিম ধন্যবাদ।

২৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৭

কাউয়ার জাত বলেছেন: লেখক, আপনি সামু ব্লগের স্বীকৃত পাগলটার সাথে বিতর্কে নেমেছেন।
ফলাফল: সময় নষ্ট।
আরে ভাই কুত্তার লেজ কি সোজা করা যায়?

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৭

নৈশ শিকারী বলেছেন: ভাই কুত্তার লেজ সোজা করা যায়না কিন্তু কেটে ফেলা যায়, এই ধরনের লোকদের জুতিয়ে চামড়া তুলে ফেললেও লজ্জা হয়না।

২৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০২

কাউয়ার জাত বলেছেন: বাম পাশেতো পাকিস্তানের ম্যাপ দেখতেই পাচ্ছি। ডানপাশের ছবিটাতো আপনার মি. এ আর ১৫?

ধন্যবাদ ব্লগে নিজের পরিচয় প্রকাশ করার জন্য। বোঝাই যাচ্ছে আপনি শুধু পাগলই নহেন। পাগলা কুত্তাও বটে।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৪

নৈশ শিকারী বলেছেন: সহমত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.