নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেটা নই যেটা আপনি ভাবছেন..!! আমি সেটাই যেটা আপনি ভাবছেন না.!! আমাকে ভাবা যায় না..!! বুঝতে হয়.!!

আর. এন. রাজু

আমি একদিন মারা যাব, এই সত্যটা নিয়ে আমার খুব বেশি আক্ষেপ নেই। তবে, আমার মৃত্যুর পর আরও অসংখ্য অসাধারণ সব বই লেখা হবে, গান সৃষ্ট হবে, চলচিত্র নির্মিত হবে। কিন্তু আমি সে সব পড়তে, শুনতে কিংবা দেখতে পারবো না। এই সত্যটা আমাকে খুব যন্ত্রণা দেয়।

আর. এন. রাজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাঙা একটি পাত্র এর কর্ম। (উপদেশমূলক গল্প)

২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৩

অনেক কাল আগের কথা।
একজন দরিদ্র লোক একটি দুর্গম
পাহাড়ী এলাকায়
পানি বহনের কাজ করত।
তার দুইটি পাত্র ছিল, একটি লাঠির
দুই
প্রান্তে পাত্র
দুটি ঝুলিয়ে কাঁধে নিয়ে সে পানি বহন
করত।
রোজ অনেকটা পথ
তাকে হেঁটে পাড়ি দিতে হত।
দুটি পাত্রের একটি কিছুটা ভাঙ্গা,
আরেকটি ত্রুটিহীন।
পানি নিয়ে যেতে যেতে ভাঙ্গা পাত্রটি প্রায়
অর্ধেক
খালি হয়ে যেত। অপর
দিকে ত্রুটিহীন
পাত্রটি প্রতিদিন
সুন্দরভাবে কানায় কানায়
ভরে পানি পৌছেদিত।
এভাবে দরিদ্র লোকটি রোজ তার
মনিবের
বাড়িতে এক পাত্র আর অর্ধেক
অর্থাৎ দেড় পাত্র
পানি পৌছে দিত।
স্বাভাবিক ভাবেই,
ভালো পাত্রটি তার এ কাজের
জন্য খুব গর্বিত ও আনন্দিত থাকত।
অপরদিকে ভাঙ্গা পাত্রটির মন খুব
খারাপ থাকত।
সে খুব লজ্জিত আর বিমর্ষ থাকত।
কেননা তাকে যেকাজের জন্য
বানানো হয়েছিল সে তার
সেই কাজ
পুরোপুরিভাবে করতে পারছিল না ।
ত্রুটিপুর্ণ পাত্রটি এভাবে অনেক
দিন পানি বহনের
কাজ করার পর একদিন আর
সইতে না পেরে লোকটির
কাছে তার ব্যর্থতার জন্য
ক্ষমা চাইলো।
সে বলে উঠলো,
“আমি আমাকে নিয়ে লজ্জিত ও
হতাশ,আমি তোমার
কাছে ক্ষমা চাই”।
দরিদ্র
লোকটি জানতে চাইলো “কেন
তুমি লজ্জা পাচ্ছো” ?
“তুমি কত কষ্ট করে রোজ
আমাকে বয়ে নিয়ে যাও,
নদী থেকে আমাকে পানি দিয়ে পূর্ণ
করেনাও, অথচ
আমি তোমার মনিবের
কাছে যেতে যেতে অর্ধেক
পানি ফেলে দিই, আমার এক
পাশে ফাটল, ঐ ফাটল
দিয়ে অর্ধেক
পানি ঝরে পরে যায়”। লোকটি তার
পাত্রটির প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন
করলো,
বলল,“মনখারাপ করো না।
হয়তো এরমাঝেও ভাল
কিছু আছে যা তুমি এখন
বুঝতে পারছো না”।
ভাঙ্গা পাত্রটি তবু তার অপরাধ
বোধ আর
লজ্জা থেকে মুক্তি পেল না যদিও
স্বান্তনার
বাণী শুনে কিছুটা শান্তি পেল। মন
খারাপ
করে সে প্রতিদিনের মতো আজকেও
লোকটির
কাঁধে চড়ে পানি বয়ে নিয়ে যেতে লাগলো,
আর পথ
চলতে চলতে ফাটল
দিয়ে চুইয়ে চুইয়ে পানি পরতে লাগলো,
কান্নার
সাথে মিলে মিশে এক
হয়ে ঝরতে লাগলো।
পাত্রটি পথে যেতে যেতে আশেপাশে দেখতে লাগলো,
সবাই কত ভালো আছে সুখে আছে,
কি চমৎকার
রৌদ্রজ্জ্বলসকাল, পাহাড়ি পথের
পাশে নাম
না জানা কত শত ফুল ফুটে রয়েছে।
সকালের রোদে,
মন ভোলানো কোমল হাওয়ায়
তারা হেলছে, দুলছে,
খেলছে।
“অথচ আমার মাঝে এত কষ্ট কেন” ।
পাত্রটি ভাবতে ভাবতে রোজকার
মত
আজওধনী লোকটির
বাড়িতে অর্ধেক
পানি পৌছে দিল।
ফিরতি পথে আবারও তারব্যর্থতার
জন্য দরিদ্র
লোকটির কাছে সে ক্ষমা চাইলো।
তার মন খারাপ
দেখে লোকটি একটু থেমে পথের
পাশে ফুটে থাকা কিছু
পাহাড়ি ফুল ছিঁড়ে এনে দিল
তাকে।
“দুঃখ করো না। আমি আগে থেকেই
তোমার এ ত্রুটির
কথা জানতাম,তাই যাবার
বেলা প্রতিদিন
তোমাকে আমার কাঁধের একই
দিকে বয়ে নিয়ে যেতাম।
আর যেতে যেতে তুমি তোমার
ফাটল
দিয়ে পানি ঝরিয়ে ঝরিয়ে যেতে,
কখনো কাঁদতেও।
এভাবে পথের এক
পাশে তুমি প্রতিদিন
পানি দিতে,দেখো পথের ঐ
দিকে চেয়ে ! কত শত
সুন্দর ফুল ফুটে রয়েছে ! তুমিই
তো তাদেরকে পানি দিয়েছো,
অথচ পথের অপর
পাশে চেয়ে দেখো! ধূলো পাথর
ছাড়া কিচ্ছু নেই,
কোনো ফুলও ফোটেনি”।.
আমরা আমাদের ছোট ছোট সৎকর্ম।
দ্বারা পৃথিবীকে সুন্দর
করতে পারি ।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:০৪

*পড়ুয়া* বলেছেন: বাহ। গল্পের মোরালটা খুব ভাল।

সবারই কোন না কোন অবদান থাকে কোনদিক দিয়ে। হয়তো নিজের উপর আরোপকৃত কাজটা পুরোপুরি করতে পারে না, কিন্তু না জেনেই অন্য কোন উপকার করে ফেলে।

হতাশ হতে নেই কোন কিছুতেই।

২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:২০

আর. এন. রাজু বলেছেন: হ্যা ধন্যবাদ আপনার কমেন্টের জন্য।

খুব সুন্দর হয়েছে আপনার কমেন্ট।

২| ২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:০৫

বিজন রয় বলেছেন: আমরা আমাদের ছোট ছোট সত্কর্ম
দ্বারা পৃথিবীকে সুন্দর
করতে পারি ।

সহমত।
আর ওখানে সৎকর্ম হবে।

২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:১৯

আর. এন. রাজু বলেছেন: ভাইয়া আমি অভ্র ব্যবহার করি তাই ভুলটা হল, ক্ষমা করবেন এবং আপনার মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

৩| ২৪ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৮

শায়মা বলেছেন: মুগ্ধ হলাম!!!!

২৪ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫

আর. এন. রাজু বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:০৫

অনিন্দিতা দাশ বলেছেন: ভালো লিখেছেন রাজু।
গল্পের শেষ দিকটা খুব ভালো হয়েছে এবং ভালো লেগেছে।
আশা করি পরবর্তীতে এরকম পোষ্ট দিয়ে আমাদের জানাবেন। B-)

২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:০৮

আর. এন. রাজু বলেছেন: আপনাকেও এক তোড়া গোলাপ ফুলের শুভেচ্ছা।
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।

৫| ২৫ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:




উপদেশমুলক বলে মনে হয়নি; লজিক্যালী, একদিকের পানি 'অর্ধেক' পড়ে গেলে বহনকারীর ব্যালেন্স থাকবে না; পাহাড়ী পথে বিনা ব্যালেন্সে পানি হন মোটামুটি সম্ভব নয়।

গল্প নিজেই খোঁড়া

২৫ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৮:৫৬

আর. এন. রাজু বলেছেন: কেন সম্ভব নয়.??

৬| ২৫ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৩০

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার লাগলো।

২৫ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:১০

আর. এন. রাজু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.