"পতিতা"

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৭

“পতিতা”
লিখাঃ- Raju Das Rudro

আমার লিখতেও খারাপ লাগছে, তবুও বলতে হচ্ছে । সময় করে পড়ে নিবেন ।

যে ছেলের মুখ থেকে এখনো মায়ের দুধের গন্ধ যায় নি,
সেই ছেলের মুখে এখন সিগারেট । সিগারেট ছাড়া তাঁর এক মুহূর্ত চলে না । ষে সিগারেট খায় তাঁর মনের জ্বালা মেটানোর জন্য ।

যে কচি মেয়েটার এখনো মাসিক শুরু হয়নি,
শুরু হলেও যে মেয়েটা মাসিকের সময় বের হওয়া রক্ত দেখে ভয়ে চিৎকার করে উঠার কথা,
সেই মেয়েই আজ তাঁর ভাইয়ের বয়সি ছেলের সাথে একসাথে ঘুরে, ঝড়িয়ে ধরে চুমু খাচ্ছে ।

আমাদের ক্লাস নাইন-টেনের বই-তে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যৌনতার রাস্তা ।
ছেলেমেয়েরা পাঠ্য বই হাতে নিয়ে প্রথমেই খুলছে শারীরিক শিক্ষা বই অথবা বিজ্ঞান বই ।
বয়ঃসন্ধিকাল কালের পাঠে ছেলেমেয়েদের শারীরিক সমস্যা শিখাতে গিয়ে তাঁদের মাথায় ডুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে নোংরামি । ক্লাসে বসে সবাই একসাথে পড়ছে গ্রুপ মিলে । আর একটু পর পর তাকাচ্ছে পাশের সিটের মেয়েটির দিকে । আর কামনায় মরছে তাঁরা । একজনের দিকে তাকিয়ে আরেকজন মিটিমিটি হাসছে । বইতে তাঁরা জানছে এই এই ঘটলে তুমি বুঝতে পারবা তোমার বয়ঃসন্ধিকাল চলছে ।এসময় কেউ কারো দিকে তাকিয়ে লজ্জা পাবে না । বরং তৃপ্তি চাইবে । আস্তে আস্তে বন্ধু-বান্ধবীর সাথে শেয়ার করবে । কিসের লজ্জা? হ্যাঁ তাঁদের বয়ঃসন্ধিকাল সময়টা আসার আগেই সব সেরে ফেলছে ।

এরাই এখনকার যুগের প্রজন্ম । যারা এখনো জানেনা অপারেশন সার্চলাইট কি । জানেনা স্বাধীনতা কি । স্বাধীনতা দিবস কবে, কে জাতীয় সঙ্গীতের রচিয়তা । ওরা এখনকার যুগের শিল্পীদের নাম-টাম সব চিনে । Justin Bieber এর Baby গান শুনবে ।

এ যুগের ছেলেমেয়েদের ইন্টারনেট ব্রাউজিং হিস্ট্রি চেক করে দেখুন । দেখতে পাবেন সব আজগুবি সাইটে তাঁদের প্রবেশ । শিক্ষা বিষয়ক, অজানা তথ্য সার্চের বদলে ওরা সার্চ করবে সানি লিওনের সেক্স ভিডিও । সার্চ করবে মিয়া খলিফার উলঙ্গ ছবি কীভাবে দেখা যায় । একবার ভেবে দেখছেন এই ছেলেমেয়েগুলো আজকের দিনে কতটা এগিয়েছে, আমাদের দেশ কতটা এগিয়েছে?

মেয়েটা ক্লাস এইট থেকে প্রেম করা শুরু করেছে । ক্লাস এইটের প্রেম ছিল ক্লাস, প্রাইভেট ফাঁকি দিয়ে বয়ফ্রেন্ডের সাথে ঘুরাঘুরি । সুযোগ পেলে বুকে ঝড়িয়ে ধরে মেয়েটির বুকের আঁচ পাওয়া । ক্লাস নাইন-টেনে উঠে মেয়েটি অন্য ছেলের সাথে প্রেম করা । সুযোগ পেলে সেই ছেলেটি ঝড়িয়ে ধরে আড়ালে কিস করা । আর বিশেষ কোনো দিনে ছেলেটি আবদার করে বসলো তাঁকে আরো কাছে করে পেতে চায় । মেয়েটিও না করতে পারলো না । ছেলেটির মনের ইচ্ছা, চাহিদা পুরণ হলো শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে । মেয়েটি এখন এস.এস.সি দিবে তাই এখন রিলেশন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, তাই ষে এই ছেলের সাথে রিলেশন ব্রেক নিলো । এতে ছেলের কিইবা এসে যায় । যা পাওয়ার তা ষে পেয়ে গেছে । মেয়েটি কলেজে উঠে প্রথম দিন কলেজে গেল । সেজেগুজেই যায় । কিছুদিন পর দেখা গেলো যে কয়েকজন বাইকওয়ালা তার পিছনে ঘুরে । কয়েকজনের থেকে একজন বাইকওয়ালাকে বেছে নিল সে প্রেম করা জন্য । রিলেশনের ৩ মাস পর সেই ছেলেটিও শিখিয়ে দিলো লিটনের ফ্ল্যাট । ছেলেটির নেশায় পরিণত হয় গেল । ছেলেটা যতবার চায়, মেয়েটা ততবারই বিলিয়ে দেয় তার ব্যবহৃত শরীর । আস্তে আস্তে মেয়েটির অভ্যাস হয়ে গেলো যার তার সাথে , যেখানে – সেখানে সেক্স করা । নেশায় পরিণত হলো মেয়েটির । কলেজের বড় ভাই সেকেন্ড বর্ষে পড়ে । সেই ভাইয়াটি মেয়েটিকে এতটাই পটিয়ে ফেললো যে, মেয়েটি সব বাদ দিয়ে চলে গেল তার কাছে । বড় ভাই স্থানীয় না । তাই সে ভাড়া ফ্ল্যাটে থাকে । মেয়েটা যখন ইচ্ছা তখন ছেলেটির ফ্ল্যাটে যায় । সেখানে কি হয় নতুন কর নাইবা বললাম । ছেলেটির সাথে রিলেশন ৩ বছর । এখন মেয়ে অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে । এর মধ্যে মেয়েটি কতবার বড় ভাইটার ফ্ল্যাটে গেছে তা অজানাই রইলো । সহবাসের পরেই তাঁদের ভাড়া করা ডাক্তারের কাছে চলে গেল । আজকালকার কিছু ডাক্তার ও লোভের বশবর্তী হয়ে মেয়েটিকে একবার বাজিয়ে নেয় । পড়ে হাতে পিল ধরিয়ে দেয় । মেয়েটাও খুশি মনে নিয়ে চলে এলো । এরপর থেকে ফ্রিতেই ট্রিটমেন্ট হতো ।
আজ মেয়েটির বাসা থেকে চাপ দিচ্ছে বিয়ে দেওয়ার জন্য । তাঁদের চোখে অনেক স্বপ্ন ভালো একটা ঘরে মেয়েকে বিয়ে দিবেন । কেনোনা, তাঁদের মেয়ে ভালো স্বামী পাওয়ার যোগ্য । কিন্তু তাঁরা জানেনা যে মেয়েটি কত ভালো । কলেজের ভাইটাকে বললো যেন তাঁকে বিয়ে করে । কিন্তু ছেলেটি সোজা না করে দিল যে সে এখন বিয়ে করতে পারব না । কারণ এখনো তার পড়াশোনা শেষ হয় নি । ব্যাস এ কথা শোনার পর এখানেই রিলেশন খতম!!
বাবা মার পছন্দ করা ছেলের সাথেই বিয়ে ঠিক হলো । মেয়েটিও রাজি হলো । সুন্দর দেখে একটা ছেলের সাথে বিয়ে হলো তাঁদের দুজনের পারিবারিকভাবে । বিয়ের রাতেই বর টের পেল মেয়েটি আগেই কুত্তা দিয়ে ফাটিয়ে নিয়েছে । অন্য ছেলেরা ভোগ করে নিয়েছে । ছেলেটা কিছু না বলে পরেরদিন ভোর হতে না হতেই মেয়েটির হাতে ব্যাগ ধরিয়ে দিলো ।

এখন কিছু কথা,
এই মেয়ে তুমি তোমার বরের অন্য কি রেখেছো?
তুমি তো তোমার সবকিছু এর আগেই অন্য ছেলেকে দিয়ে ভোগ করিয়েছো ।
স্বামীর জন্য কি রাখলে? ব্যবহৃত জিনিস?
তুমি কি রাস্তার পণ্য নাকি যে তোমাকে যেকোনো ছেলে ভোগ করবে, তুমি ভোগ বিলাসের পণ্য হবে?
তোমার শরীর তোমার বরের গচ্ছিত ধন ছিলো, তা তুমি কুত্তা দিয়ে ভোগ করিয়েছো ।
এহকালে তো মাফ পাবা না;
পরকালেরটা জমা থাক ।

বিঃদ্রঃ- লিখাগুলো উপরে উল্লেখিত চরিত্রের মেয়েদের জন্য ।
সবাই এক না,
ভালো মেয়েদের আমি শ্রদ্ধা করি, প্রণাম জানাই।

৩ টি +০/-০