নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেটা নই যেটা আপনি ভাবছেন..!! আমি সেটাই যেটা আপনি ভাবছেন না.!! আমাকে ভাবা যায় না..!! বুঝতে হয়.!!

আর. এন. রাজু

আমি একদিন মারা যাব, এই সত্যটা নিয়ে আমার খুব বেশি আক্ষেপ নেই। তবে, আমার মৃত্যুর পর আরও অসংখ্য অসাধারণ সব বই লেখা হবে, গান সৃষ্ট হবে, চলচিত্র নির্মিত হবে। কিন্তু আমি সে সব পড়তে, শুনতে কিংবা দেখতে পারবো না। এই সত্যটা আমাকে খুব যন্ত্রণা দেয়।

আর. এন. রাজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

সম্মান

১৪ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৩১

আমাদের দেশের জীবিকা নির্বাহের জন্য পুরুষ লোকেরাই শ্রম করে থাকেন । পরিবারের চাহিদা মেটানোর জন্য বিভিন্ন কাজ করে থাকেন । একজন পিতা তাঁর ছেলে-মেয়েদের ভরণপোষণের জন্য ঠেলাগাড়ি চালিয়ে তাঁদের সমাজের সাথে তাল মিলিয়ে চলানোর চেষ্টা করছে । কিন্তু একসময় দেখা যাচ্ছে সেই ছেলেই সমাজের বড় মাস্তান হিসেবে আখ্যায়িত পাচ্ছে ।
-
একজন ভিখারিনী ভিক্ষা করে তাঁর ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা করাচ্ছে । তাঁর চোখে অনেক স্বপ্ন যে, "তাঁর ছেলে-মেয়ে একদিন পুলিশ হবে, ডাক্তার হবে, আমার নাম উজ্জ্বল করবে" । কিন্তু পরমুহুর্রতে দেখা যাচ্ছে যে, ভিখারিনীর ইচ্ছে পূরণ হচ্ছে ঠিক-ই কিন্তু তারা (ছেলে-মেয়ে) পরিবর্তন হয়ে গেছে । তাদের ব্যবহারে পরিবর্তন আসার কারণটা সেই ভিখারিনীর বুঝতেও সমস্যা হলো না ।
-
ছোট্ট ছেলেটির পিতা মারা গেছে ছোটবেলায়-ই । তার মা তাকে অনেক কষ্টে বড় করেছে এর-ওর বাড়ি কাজ করে । তাকে লেখাপড়া করে যোগ্য মানুষ হিসেবে বিশ্বের কাছে দাঁড় করিয়েছেন তাঁর কিডনী বিক্রি করে । কিন্তু ছেলেটি জানেনা যে, "তার মা কিডনী বিক্রি করে তাকে ডাক্তার বানিয়েছে" ।
মা যখন কিডনী বিক্রি করে একটা হাসপাতালে গিয়ে তখন একজন ডাক্তার তাঁকে (মা'কে) প্রশ্ন করেন সে, - "আপনি কেন কিডনী বিক্রি করছেন । আপন তো একটা কিডনী দ্বারা বেশিদিন বাঁচতে পারবেন না । কয়েকবছর ভালো যাওয়ার পর আপন শরীর ধীরে ধীরে দূর্বল হয়ে পড়বে । কেনোনা আপনার শরীর এখন-ই অনেকটাই দূর্বল" । উত্তর মা বলেছিলেন, - "সমস্যা নেই ডাক্তারবাবু, চিন্তা করবেন না । আমার ছেলেকে আমরা ডাক্তারি লাইনে পড়াচ্ছি । বাবা, একদিম তোমার মতো আমার ছেলে এরকম সাদা পোষাক পড়ে থাকবে । আমার তো গর্বে বুক ভেসে যাবে তখন । ছেলেকে নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন ডাক্তারবাবু । ছেলেকে এখন কিডনী বিক্রি করে ডাক্তার বানাবো, তখন আমার ছেলেটা ডাক্তার হয়ে গেলে সে নিজেই আমাকে একটা কিডনী লাগিয়ে দিবে ডাক্তারবাবু" ।
এখন মা'র ছেলেটি ডাক্তার হয়েছেন । কিন্তু মা আজ মৃত্যুশয্যায় শায়িত । ছেলেটি সেই কবে ডাক্তার হয়েছে, কিন্তু সেই যে শহরে গিয়েছিলো আর ফিরে আসেনি । লোকমুখে শুনেছেন ছেলেটি অনেক বড় হয়েছে । তার অনেক নাম-ডাক-যশ-খ্যাতি ।
-
একটি মেয়ে কষ্ট করে গার্মেন্টসে কাজ করছে জীবিকা নির্বাহ করছে । বাসায় তাঁর বাবা অসুস্থ । মা ও কিছুটা অসুস্থ । ভাই-বোনের লেখাপড়ার খরচ চালানোর জন্য গার্মেন্টসে গিয়ে কাজ করছে মেয়েটি । চোখ আর হাত জীর্ণ করে একনাগাড়ে সেলাই করে যাচ্ছে । সে এই কাজের প্রেক্ষিতে কেমন মর্যাদা পেয়ে থাকে জানেন?
মেয়েটি গার্মেন্টসে চাকরী করে, মেয়েটির স্বভাব চরিত্র কখনোই ভালো হতে পারেনা, কারণ মেয়েটি গার্মেন্টসকর্মী ।
-
(লেখাটি এখানেই শেষ করছি । হতে পারে আমার লেখনীতে অনেক ভুল থাকতে পারে । ভুল থাকলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন । আসলে আমি আমার লেখনী দ্বারা এটাই বুঝাতে চেয়েছি যে, আমাদের পিতা-মাতা আমাদের অনেক কষ্টে লালন-পালন করে আমাদের বড় করেছেন । আমরা যেন তাঁদের কষ্টের মূল্য দিই । আমরা অনেকেই সভ্য সমাজে থেকেও টাকার লোভে, খারাপ লোকেদের খপ্পরে পড়ে, খারাপ লোকেদের খারাপ যুক্তি নিয়ে আমাদের মা-বাবাদের ভুলে যাই, ভুলে যাই তাঁদের কষ্টের কথা । একদিন আমাদেরও সন্তান হবে, আমরাও তাদের কষ্ট করে লালন পালন করব । তারাও যে আমাদের এভাবে অবহেলা করবে না তার কি গ্যারান্টি? তাই বলছি কী, নিজের বাবা-মায়ের সাথে যেমন ব্যবহার করবেন, ভবিষ্যতেও আপনিও সেটার ভালোই ফল পাবেন ।)

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৩৫

লাবণ্য ২ বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।

১৪ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০৭

আর. এন. রাজু বলেছেন: ধন্যবাদ আপুণি।

২| ১৪ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:১১

কাইকর বলেছেন: ভাল লাগলো পড়ে।সুন্দর লিখেছেন++++

১৪ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০৭

আর. এন. রাজু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া ।

৩| ১৪ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: ঋত্বিক ঘটকের বন্ধু প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মৃণাল সেনের 'আমি ও আমার সিনেমা' বইতে একটা চমৎকার ও বিস্ময়কর তথ্য পেলাম-ঋত্বিক ঘটক একসময় প্রচণ্ড মদের বিরোধী ছিলেন অথচ এই মদই শেষাব্দি ঋত্বিককে গিলে খেলো।

১৪ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০৮

আর. এন. রাজু বলেছেন: দাদাভাই, এই বাক্যদ্বারা কী বুঝাতে চেয়েছেন একটু খোলসা করে বলবেন ।

৪| ১৪ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: শুধু পুরুষ নয়, নারীরাও সংসার চালানোর জন্য অনেক পরিশ্রম করে, কেউ ঘরে, কেউ বাইরে।
তবে শেষ লাইনটির সাথে একমত।
ধন্যবাদ ভাই।

১৪ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০৮

আর. এন. রাজু বলেছেন: হ্যাঁ.
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।

৫| ১৪ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:১৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: পিতা মাতার অবদান কখনো পূরণ করা যাবে না...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.