নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নির্বাসন এ একা

হাত, পা, মাথা থাকলেই মানুষ হওয়া যায় নাহ্রদয় ধ্বক ধ্বক করলেই বেচে থাকা হয় না

নির্বাসন এ একা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইটিসপিটিস পেম (রম্য)

২৬ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৮

ইটিসপিটিস পেম (রম্য)
- যাযাবর জীবন

বট তলায় মামুর চা এর দোকানে বইয়া আড্ডাবাজী করতেসিলাম।
হঠাত মিঠুরে দেহি বটগাছের মাতার দিকে চাইয়া চাইয়া আউলা চুলে উকুন আনতে আনতে উদাস হাইট্টা যাইতাছে।
ডাক দিলাম ঐ মিঠু, মিঠুউউউ।
কোন ভাবান্তর নাই শালার, যেন গাছেরে ডাকলাম।
এইবার উইঠঠা সামনে গিয়া হাউ কইরা চিল্লান দিলাম;
উদাস কবির ২৮ পাটি দাঁত বাইর হইয়া গেল, জড়াইয়া ধইরা জিগাইলো, কিরে কেমুন আছস দোস্ত?

ঐ গাধা, ছাড় ছাড়, মাতার উকুন আমার গামছায় দিস না।
হে হে, কি যে কস না দোস্ত;
দোস্ত মারাইস না, কত দিন আহস না এইদিকে, দোস্তের কি দোষ করছে?
আবার হে, হে।
শালা বলদের মত হে হে করিস না, আয় চা গিল।
আইচ্ছা গিলা।

জিগাইলাম, কি রে তরে এমুন ভ্যান্দার মত লাগতাছে কেন?
হে হে, কই?
এই যে কেমুন জানি কবি কবি ভাব, ঘটনা কি? ঝাইড়া কাশ তো দোস্ত।
আরে কিছু না।
ক না দোস্ত;
আইচ্ছা খাড়া আগে চা গিলা লই পড়ে কইতে আছি।
মামুরে কইলাম আমাগো ভ্যান্দা কবির লাইজ্ঞা স্পেশাল তুলসি চা।
চা এর লগে একটা কলা ছিল্লা দিয়া কইলাম এলা চায়ে ডুবাইয়া খাইতে খাইতে ঝাইরা কাশ তো দেহি।

হে হে করতে করতে কইলো, দোস্ত প্রেম করতে আছি।
আমিও হে হে করতে করতে কইলাম, হে তো মুই তরে দেইহাই বুইজ্জা গেছি।

বেচারা চায়ে কলা চুবাইয়া এক কামড় মারে আর ভাবে বুঁদ হইয়া একবার কইরা মাতায় হাত বুলায়।
আমি জিগাইলাম কিরে মাতায় বুঝি অনেক উকুন?
আবার হে হে করতে করতে কইল, আমার বেবির মাতায় উকুন মনে লয় বেবাক আমার মাতায় আইয়া পড়ছে।
কেন? বেশি ঘষাঘষি করছ বুঝি?
হে হে করতে করতে লাজুক হাসি দিল।
(আহহারে, মাইয়ামানুষ এই হাসি দেকলে নগদে আমার দোস্তের পেমে পইড়া যাইত)

জিগাইলাম, তা, হেতেনের নাম বেবি বুঝি?
আরে না দোস, কি যে কস! আমি আদর কইরা হেরে বেবি ডাহি। আর হেয় আমারে ডাহে জান।

খুব বালা, খুব বালা; হ তা তো ডাকবই, আজরাইল আর প্রেমিকা এই দুইজনই তো পুলাগো জানের ঠিকাদার।
ধ্যুর কি যে কস না তুই? কইয়া মাইয়া মাইনের মত চুল থাইক্কা ইলিবিলি কইরা ইয়ালাস একখান উকুন দুই আঙ্গুল দা আইন্না মনযোগ দা দেকতে লাগলো।

কিরে উকুন হাতে লইয়া বইয়া রইছাস কেন?
ভাবে চোখমুখ উল্টাইয়া কইলো, এইডা আমার বেবির মাতার উকুন, আমি কি ওরে মারতে পারি? কইয়া আস্তে কইরা মাডিত নামাইয়া দিয়া দুই হাতে ঘষঘষ কইরা মাতা খাউজ্জাইতে লাগলো।

আমি টাস্কি খাইয়া কইলাম ওরে শালা! এত্ত পিরিত? তা তর বেবিরে কোলে লস?
লজ্জা লজ্জা মুহে এইবার ৩২ পাটি দাঁত দেহা গেল।
হ দোস, যহন আদর করে এককালে কোলে চইড়া বহে।
আমি জিগাইলাম, প্যাম্পার পড়ায় লস না?
জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে চাইয়া রইল, বুঝলো না কিছু, মাতা খাউজ্জাইতে খাউজ্জাইতে কইল, কি কস?

আরে! তর বেবিরে যে কোলে লইয়া বইয়া থাহস যে কুনু টাইমে তো হিসু কইরা তর রংচডা জিন্সের প্যান্টটার তেইশ মাইরা দিব।

এইবার আমার দিকে ভয়াবহ একটা চাহনি দিয়া, দুই হাতে ঘষঘষ কইরা আউলা মাতা খাইজ্জাইয়া আউলা চুল আরো আউলা কইরা ফালাইয়া তোতলাইতে লাগল, দে দে দে দেক, ফাইজলামি করিস না কইল। মাইন্সের লগে ফাইজলামি করতে করতে তো টাক্কু হইয়া গেসস, ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ...............। তারপর রাগে আরো কি সব গজগজ করতে করতে অকথ্য (এইহানে লেহার অযোগ্য) ভাষায় আমারে গাইল্লাইতে গাইল্লাইতে বেঞ্চির থন লাফাইয়া উঠলো।

আমি কইলাম আরে দোস্ত থাম এলা, শান্ত হইয়া ব। ঐ মামু, হেরে কড়া কইরা আরেকটা চা দে, কইয়া রুচি মুড়ির প্যাকেট খুইল্লা হের হাতে ধরাইয়া দা কইলাম, তুই মুড়ি খা।

মিঠুরে কইলাম, শুন গাধা, মাত্রতো ইটিসপিটিস শুরু করছস;
প্রেমের গাছে সবেমাত্র গুটি আইছে, অহন তর উকুন মারার সময়; দুইন্যা রঙ্গিন।
কয়দিন পর প্রেম ডাসা হইব, তহন দেকবি মাতার গরমে উকুন সব পলাইছে; চোক্ষে আন্ধার।
তারও পর প্রেমে পাক ধরব, চুল সাদা হওয়ার আগেই দেকবি আপনার থাইক্কাই বেবাক পইড়া গেছে, আর নাইলে তর পরানের পরান 'বেবি' টাইন্না চান্দি ছিলা বানাইয়া দিসে; কইয়া আমি আমার খালি হইয়া যাওয়া চান্দিত হাত বুলাইতে বুলাইতে আমার পাইক্কা যাওয়া পেমের ভাবনায় চায়ের কাপে ডুইব্বা গেলাম।
আতকা স্টিলের বেঞ্চি থাইক্কা গরম খাইয়া লাফাইয়া উঠলাম।

কি রে কি হইলো তর?
কিছু না, বইলা চুপ মাইরা যাই।
(মাইনষেরে কেমনে কই শরমের কতা! আমারে বেবির কতা মনে আইলেই ১০০ মাইল দূর থাইক্কাও হের গরমে আমার বহনের চেয়ার বেঞ্চি বেবাকতানে আগুন ধইরা যায় আর আমি পিছে ছেকা খাইয়া রাস্তার মইধ্যে আতকা লাফাইতে থাকি, মাইনসে কয় পাগল নাকি?)


মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.