নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নির্বাসন এ একা

হাত, পা, মাথা থাকলেই মানুষ হওয়া যায় নাহ্রদয় ধ্বক ধ্বক করলেই বেচে থাকা হয় না

নির্বাসন এ একা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিজিটাল যুগের এনালগ মানুষগুলো

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:২৮

আজকাল কারো সাথে মন খুলে কথা বলাটাই দুষ্কর হয়ে পড়েছে,
হয়তো কারো কুশল জানতে দেখা করতে গেলাম তার সাথে
খুব আপ্যায়ন করে ঘরে তো ঢোকালো!
তারপর মোবাইলে ব্যস্ত হয়ে গেলো,
একটা ফোন রাখে তারপর একটা প্রশ্ন - কেমন আছ?
আমি উত্তর দেবার আগেই আবার মোবাইলটা বেজে ওঠে
এক মিনিট ভাইজান! বলেই মোবাইলটা কানে
সময়ের কাঁটা গড়ায় দশ বারো পনেরো মিনিট ধরে
আমি বসে থাকি, ঘরের সাজসজ্জা দেখি
এক সময় মোবাইল আলাপন শেষ হলে আরেকটা প্রশ্ন - এদিকে কোন কাজে?
আমি জবাব দেওয়ার আগেও মোবাইল স্ক্রিনটায় কারো চেহারা ভেসে ওঠে
ঝনঝন মোবাইল রিঙের শব্দে ড্রইং রুম মুখরিত,
ভাইজান এক মিনিট! বলেই আবার যথারীতি মোবাইলটা কানে
সময়ের কাঁটা গড়াতে গড়াতে ধৈর্যের কাঁটায় টান পড়ে
দশ মিনিট পরে মোবাইলটা রেখে - আর বলবেন না ভাই
এই মোবাইলটা যে কি যন্ত্রণার হয়েছে! - তারপর চা দিতে বলি?
বলতে বলতেই আবার মোবাইলে কল ঢুকে,
এবার আমিই বলি - হ্যাঁ ভাই, কথা বলে নেন এক মিনিট
আমার ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে,
উনি কথা বলতে বলতেই আমি উঠে যাই
উনিও কথা বলতে বলতেই উঠে এসে দরজা খুলেন
মোবাইলটা কানে লাগিয়েই বলেন - আরেকদিন এসেন কিন্তু!
আমি সিঁড়ি বেয়ে নামতে থাকি, পেছনে বন্ধ দরজার শব্দ কানে,
কুশল আর জানা হয় না আমার সামনাসামনি
কি আর করা! কোন একদিন জেনে নেব মোবাইল ফোনে!

এ কিন্তু শুধুমাত্র একটা ঘটনা একজনের
একদম একইরকম হাজারো ঘটনা আমাদের চারিপাশে
বাসা কিংবা অফিসে,
কারো কুশল জানতে হলে আজকাল সামনাসামনি দেখা করাই বিড়ম্বনা
তার থেকে ভালো মোবাইল ফোনে,
হয়তো কিছু সময় অপেক্ষারত দেখায় মোবাইল ফোনটা
তাতে কি?
সামনাসামনি বসে থেকে ঘড়ির কাঁটা গোনার বিড়ম্বনা এর চেয়ে অনেক অনেক গুন বেশী;

এটা ডিজিটাল যুগ, আমরা ডিজিটাল হয়েছি
সম্পর্কগুলোও যেন ডিজিটাল হচ্ছে ধীরে ধীরে
সন্তানরাই তো এখন কথা বলে ভিডিও কলে
মাঝে মধ্যে ওদের বাসায় দাওয়াত দেই খুব ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে হলে
কোন একটা সময় সন্তানও হয়তো বলে বসবে - কি সব যে ন্যাকামো করো না!
ভিডিও কলে তো দেখা হচ্ছেই তবুও কেন পুরনো সামনাসামনি ছুঁয়ে দেখার বায়না?

আহহারে! ওরা কি বুঝবে সামনাসামনি ছুঁয়ে দেখার আনন্দ!
ডিজিটাল যুগে সবটুকু এদের আজ শুধুই ভার্চুয়াল আনন্দ
আমি মাঝে মধ্যে নিজেকেই জিজ্ঞাসা করি
এই যে দুটো মানুষের একার জীবন! বাবা-মা নামক বুড়োবুড়ি
একজন মরে গেলে আরেকজনের কি হবে?
ধ্যাৎ! শোন নি আজকাল মহল্লা মহল্লায় বৃদ্ধাশ্রম হবে!

ডিজিটাল যুগের এটা কি আশীর্বাদ না অভিসম্পাত?
আয়না উত্তর দেয়, ওহে! তোমার এখনো এনালগ যুগেই বাস।



২৮ অক্টোবর, ২০২০

#কবিতা
ডিজিটাল যুগের এনালগ মানুষগুলো
- যাযাবর জীবন

ছবি: নেট থেকে সংগৃহীত।






মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৩১

আমি সাজিদ বলেছেন: চমৎকার

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:১৯

নির্বাসন এ একা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন।
সহজ সরল সত্য কথা লিখেছেন।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:১৯

নির্বাসন এ একা বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর

৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:০০

রাজীব নুর বলেছেন: ছবি লেখার শেষে নয়, লেখার প্রথমেই দিবেন।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:১৯

নির্বাসন এ একা বলেছেন: আচ্ছা
পরের লেখা থেকে প্রথমে দেব

৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫০

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: চমৎকার করে বলেছেন!

৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪৭

সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: নিদারুণ সত্য। ++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.