নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তীর্থক

তীর্থক

71 আমার অস্তিত্ব, আমার স্বাধীনতা গান আমার জীবন, আমার বেঁচে থাকা কবিতা আমার inspiration, আমার পথচলা আর তুমি, আমার ভালোলাগা, আমার দীগন্ত বিস্তৃত ভালোবাসা ।

তীর্থক › বিস্তারিত পোস্টঃ

হরতাল, গুলি করে মানষ হত্যা, দেশ কোথায় যাচ্ছে?

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৩

হরতাল প্রতিহত করা হচ্ছে। করাই উচিৎ। কেন হরতাল ডাকা হলো, কোন কোন দল হরতাল ডাকলো এবং কারা কারা সমর্থন দিল আমরা তাদের চিন্হিত করে রাখলাম। সরকার পরিবর্তন হবে। আসবে নতুন সরকার (নতুন মানে তো আসলে সেই পুরানটাই আবার নতুন কইরা আসা। ৯১ থিকা ত তাই দেখতাছি)। হরতালের রাজনীতি চলতে থাকবে। আজ যারা হরতালের বিপক্ষে, সেদিন তারা কি বলবে আমরা দেখবো। আসলে দেখেছি ত অনেকবার। সরকারি দলে থাকলে হরতালের চাইতে জঘন্য কিছু হতেই পারেনা। আর বিরোধী দলে থাকলে জনগনের দাবী আদায়ে হরতালের কোন বিকল্প নাই। এইত বাস্তবতা।



হরতাল কে যদি প্রতিহত করাই হয় তাহলে কেন এটা আমাদের প্রজন্ম চত্বর থেকে ৭ম দফা হিসেবে সংযোজান করা হবে না? হরতাল নামক দেশ ধ্বংসকারি অস্ত্র থেকে কেন আমরা মুক্তি পাব না? আমাদের পোশাক শিল্প (যার উপরে দেশের অর্থনীতি দাড়িয়ে আছে আর আমরা প্রজন্ম চত্বর করতে পারছি) যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাতে কি হরতাল চিরতরে নিষিদ্ধ করা আমাদের জাতীয় দাবি নয়?



হরতাল হচ্ছে, হরতাল হবে, যারা হরতালের সুবিধা ভোগ করে ক্ষমতায় এসেছে এবং আসতে চায় তারা হরতাল দিতেই থাকবে। কিন্তু পুলিশ এগুলো কি করছে? এটা ত একদম নতুন মনে হচ্ছে। হরতালের নাশকতা বন্ধ করতে এলোপাথারি গুলি চালাচ্ছে আর মানুষ মরছে পাখির মত! এ কেমন হরতাল প্রতিরোধ? মানুষ মেরে যদি হরতাল প্রতিরোধ করতে হয় তাহলে আমাদের রাজনীতি আসলে কার স্বার্থে? গনতান্ত্রীক রাষ্ট্রে যদি মানুষ'কে হরতালের নামে সরকারি বাহিনীর গুলি খেয়ে মরতে হয় তাহলে সরকার থাকার দরকার কি? কে করাচ্ছে এসব?



মানুষ মেরে হরতাল প্রতিরোধ কোনও সমাধান হতে পারে না এবং সমর্থনযোগ্যও নয়। এর পরিনাম কখনোই ভালো হবে না। আমি জানিনা এই হত্যা আমাদের শেষ পর্যন্ত কোথায় নিয়ে যাবে। তবে আমরা যে হরতাল ডাকা আর হরতাল প্রতিরোধ করার নামে দেশ এবং দেশের মানুষকে ধ্বংসে'র পথে টেনে নিয়ে যাচ্ছি সে ব্যাপারে আমার অন্তত কোন সন্দেহ নেই।



প্রজন্ম চত্বরে'র বীরযোদ্ধাদের এখনই বিষয়টা ভেবে দেখার আহবান এবং অনুরোধ জানাচ্ছি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

ছোট্ট রাজকণ্যা বলেছেন: প্রজন্ম চত্বরে'র বীরযোদ্ধা(!)??? :|
যাদের কিনা সাধারণ জণগনের মতো গুলি খেয়ে মরার ভয় নেই। ফ্রি ফ্রি বিরিয়ানী খেয়ে, সরকারের পূর্ণ নিরাপত্তা পেয়ে যারা গলা ফাটিয়ে চিৎকার করছে তাদেরকে আর যাই বলেন বীরযোদ্ধা বলে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত বীরদের অসম্মাণ করবেন না আশা করি। সরকারের কুকর্মের কোন ইস্যু নিয়ে এদেরকে আন্দোলন করতে বলুননা... তারপর দেখা যাবে এদের বীরত্ব! রাজাকরদের ফাসি চাই বলে আমিও প্রজন্ম চত্বরে গিয়ে চিৎকার করে এসেছি ফাসি চাই ফাসি চাই বলে...কিন্তু তখনি এদের আসল রূপ দেখলাম যখন ফ্রি বিস্কুট আর পানি বিতরণ শুরু হলো! নিজেরি লজ্জা হলো!! এরা কি জীবণে বিস্কুট খায় নাই!!!
আবারো বলছি...এদেরকে বীরযোদ্ধা বলে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত বীরদের অসম্মাণ করবেন না। বীর হওয়া এত সহজ নয় ভাই... দুই চার দিন স্লোগান দিলেই কেউ বীর হয়ে যায়না! বীর কথাটা আরো অনেক বেশি "ওজনদার"।
আশা করি বুঝেছেন আমি কি বোঝাতে চেয়েছি। ভালো থাকবেন।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৭

তীর্থক বলেছেন: এতো কথা বুঝিনা। দল-মত নির্বিশেষে সকল যুদ্ধাপরাধীর ফাসি চাই।

জয় বাংলা...............।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.