নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তীর্থক

তীর্থক

71 আমার অস্তিত্ব, আমার স্বাধীনতা গান আমার জীবন, আমার বেঁচে থাকা কবিতা আমার inspiration, আমার পথচলা আর তুমি, আমার ভালোলাগা, আমার দীগন্ত বিস্তৃত ভালোবাসা ।

তীর্থক › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুদ্ধাপরাধী/রাজাকার আর ভারতে'র দালালদের জন্য ১০০ নম্বরে'র হালাল প্রশ্ন?

০৮ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:০১

আমার কিছু খোলা-মেলা প্রশ্ন যুদ্ধাপরাধী/রাজাকার আর ভারতে'র দালালদের জন্য। পুর্নমান ১০০, পাস মার্ক ৩৩ ;-)



১) আচ্ছা ভাইজান, কেউ আমারে একটু বুঝান, মাহবুবুল আলম হানিফ বললেন, আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী (পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি) অত্যন্ত সুকৌশলে কোন রকম রক্তপাত এড়িয়ে হেফাজতিদের শাপলা চত্ত্বর থেকে সরে যেতে বাধ্য করেছে। এই বক্তব্য কত % সত্যি?



২) এইবার বলেন, এই সুকৌশলটা রাত ২:৩০ এর পরে করতে হইল কেন? দিনে কিংবা অন্তত সন্ধা রাতে করা যাইত কি না? নাকি রাত বাড়লে যেমন আমাদের মেশিন গরম হয় তেমনি আমাদের নেতাদের মাথা গরম হয় আর সুকৌশল বাইর হইতে থাকে?



৩) তারপর বলেন বাতি সব নিভাইয়া দেয়ার দরকার পরল কেন? সাংবাদপত্র এবং টিভি মিডিয়া'র লোকজন সরাইয়া দেয়া হইল কেন?

দুইটা টিভি চ্যানেল বন্ধ করা হইল কেন?

তাহলে কি ধরে নিব যা ঘটছে তাকে হালাল করার জন্যই এটা করা হইছে?হালাল করতে যেয়ে হারাম হয়ে গেল না তো?

আর যদি রক্তপাত এড়িয়ে হেফাজতিদের সরানই হয়ে থাকে তাহলে কি মিডিয়া'কে সাথে রাখাই উচিৎ ছিল না যাতে গোটা দেশ এবং গোটা বিশ্ব স্বচোক্ষে সেই সুকৌশল দেখতে পায় এবং বুঝতে পারে কোন গনহত্যা হয়নি সেখানে। শুধু ছর্রাগুলি, টিয়ার সেল, সাউন্ড গ্রেনেড আর রাবার বুলেট মেরে ভয় দেখিয়েই সরিয়ে দেয়া হয়েছে হেফাজতিদের? (যারা বলবেন নিরাপত্বার কারনে সাংবাদপত্র এবং টিভি মিডিয়া'র লোকজন'কে সরাইয়া দেয়া হইছিল তাদের বলি, দিনের আলোতে কোনও নিরাপত্বা বিঘ্নিত হলনা যেখানে দিনেই ৩ জন মারা গেল সেখানে রাতের রক্তপাতহীন অভিজানে নিরাপত্বার প্রশ্ন কেন?)



৪) এখন বলেন, হেফাজতের প্রথম সমাবেশে কোনও ঝামেলা হইল না অথচ কালকে বিনা উস্কানিতে সারাদিন মারামারি আর আগুন জ্বালান চলল। কোনও খটকা লাগেনা? প্রথম আলোর ৫ মে অনলাইন সংস্করন যদি কেউ পড়ে থাকেন তাহলে দেখবেন সেখানে পরিস্কার সুদ্ধ বাংলায় লেখা আছে ছাত্রলীগে'র সোনার ছেলেরা (সোহেল রানা'র তার ছোটো ভাইয়ের গ্রুপের ছেলেরা হয়ত) প্রথমে হেফাজতিদের উপরে হামলা চালায়। হেফাজতিরা তখন পাল্টা হামলা চালায় ছাত্রলীগের উপরে। পুলিস এসে হেফাজতিদের উপরে টিয়ার সেল নিক্ষেপ করা সুরু করে। তখন হেফাজতিরা বিভিন্ন গলিতে ঢুকে যায় এবং পুলিশের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা শুরু করে। এর জবাবে পুলিশ হেফাজতিদের উপরে বৃষ্টির মত টিয়ার সেল নিক্ষেপ করা সুরু করে। বিনা বাতাসে গাছের পাতা নরে কি?



৫) এবার আসেন পবিত্র কোরআন শরিফে আগুন দেয়ার প্রসঙ্গে। আমরা জানি যে হেফাজতিরা পবিত্র কোরআন শরিফে আগুন দিয়েছে। কে কে বিশ্বাস করেন? যারা বিশ্বাস করেন না তারা কেন করেন না। আর যারা বিশ্বাস করেন তারাই বা কেন করেন। টিভি দেখে নাকি সংবাদপত্র পড়ে? ভুলে যাবেন না আমরা কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশে বাস করি। ব্লগার রাজীব খুন হওয়ার সাথে সথে আমাদের প্রধানমন্ত্রী তার বাসায় ছুটে গিয়েছেন। তার পরিবার কে বুকে টেনে নিয়েছেন এবং বলেছেন রাজীব বাংলাদেশের দ্বীতিয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ। যদিও তিনি নাড়ায়নগন্জের ত্বকি হত্যার পরে বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন তাই আজও ঐ প্রসঙ্গে কোনও কথা বলেন নি। লোকে বলে ত্বকি হত্যা নাকি মেয়র নির্বাচনে আওয়ামিলীগে'র সুযোগ্য প্রার্থী শামিম ওসমানের কাজ। যদিও আমরা বিশ্বাস করিনা। শামিম ওসমানে'র মত একজন সৎ, নিষ্ঠাবান, দেশ প্রেমিক লোককে লোকে কিনা আন্ডার গ্রউন্ডের গডফাদার বলে কুৎসা ছড়ায়। ছি! তার পক্ষে এসব করা সম্ভব?

তাহলে খুন করল কে? আর কেই বা দিল পবিত্র কোরআন শরিফে আগুন?

মিলিয়ে দেই? আচ্ছা এত বই থাকতে পবিত্র কোরআন শরিফেই আগুন দেয়ার দরকার পরল কেন? হেফাজতিরা কি ভেবেছিল যে তারা পবিত্র কোরআন শরিফে আগুন দিলে মুসলিম অদ্ধুসিত বাংলার জনগন তাদের প্রচুর বাহবা দিবে? (মুর্খ ছেলের দল, হয়ত তাই ভেবেছিল)। নাকি তারা চাচ্ছিল পবিত্র কোরআন শরিফে আগুন দিয়ে গোটা দেশকে বুঝিয়ে দিতে যে তারা আসলে একটি জঙ্গী দল, তাদের সুকৌশলে তাড়িয়ে দেয়াই সঠিক সিদ্ধান্ত? (খাটের তলায় কে রে, আমি কলা খাই না ;-)



৬) এরপরে আসেন হেফাজতের সমাবেশ প্রসঙ্গে। ৬ই মে দেশে বিএনপি এবং আওয়ামিলীগ দুই দল সামাবেশ ডাকল। পুলিস দিল ১৪৪ ধারা। পরিনতি দুই দলেরই সমাবেশ মুলতবি। কেন দেয়া হইল এই ১৪৪ ধারা? সম্ভাব্য সংঘাত এড়াতে। তো এই ১৪৪ ধারা ৪মে এবং ৫মে দিলে সম্ভাব্য সংঘাত এড়ান যেত কি না? না কি সংঘাতই চাইছিল সরকার?



৭) হেফাজতে ইসলামের প্রথম ঢাকা সমাবেশের আগে সরকার সারাদেশ থেকে ঢাকামুখি দুরপাল্লার গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিলেন। এবারের সমাবেশ সম্পর্কে হেফাজতিরা তাদের প্রথম সমাবেশেই বলেছিল যে ১৩ দফা না মানা পর্যন্ত তারা ঢাকা অবরোধ করে রাখবে। এটা যেনেও সরকার তাদের সঙ্গবদ্ধ হতে দিল কেন? উৎস স্থলেই তাদের ছত্রভঙ্গ (সুকৌশলে ;-)) করে দেয়া যেত কি না? ঢাকামুখি দুরপাল্লার গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়া যেত কি না? তাদের জোনাল নেতাদের গ্রেফতার করে অবরোধের প্রক্রিয়ার মুল গোড়াতেই উৎপাটন করা যেত কি না? নাকি তখন রাতে তারা সুকৌশলের চিন্তা না করে গড়ম মেশিনে পরটা ভেজেছেন আর নাকে খাঁটি সরিষার তেল দিয়ে ঘুমিয়েছেন?



৮) ৫মে হেফাজতিরা ৬টি পয়েন্টে ঢাকা অবরোধ করল। সেদিন ছিল সপ্তাহের প্রথম কর্ম দিবস (রবিবার)। এমন একটা দিনে সরকার ঢাকা শহরের প্রানকেন্দ্র শাপলা চত্বরে হেফাজতিদের বেলা ৩টা থেকে বিশাল সমাবেশ করার অনুমুতি দিলেন। অফিস-আদালত সব চালু অথচ লাখ লাখ লোক শাপলা চত্বর'কে কেন্দ্র করে বন্যার জলের মত সারা দেশ থেকে ধেয়ে আসছে! মানা যায়? অফিস-আদালতে'র অসংক্ষ কর্মকর্তা - কর্মচারি কি করে বাসায় ফিরবে সেটা ভাবার কি কোনও প্রয়োজন ছিলনা? হেফাজতিরা সমাবেশ করলেন, শাপলা চত্বর হল রনক্ষেত্র, আর সাধারন মানুষ পরল অফিসে আটকা। তাদের পরিবার সম্ভাব্য বিপদের ভয়ে কুকরে রইল। হেফাজতি আর প্রতিরক্ষা বাহিনি ছাড়া যেসব সাধারন মানুষ নিহত হয়েছে তার দায় তাহলে কার?



৯) হেফাজতিদের ঢাকায় প্রবেশ তাদের অবরোধকৃত ৬টি পয়েন্টেই থামিয়ে দেয়া যেত কি না। সুকৌশলে (ছর্রাগুলি, টিয়ার সেল, সাউন্ড গ্রেনেড আর রাবার বুলেট মেরে) ৬টি পয়েন্টেই তাদের নিস্কৃয় করা যেত কি না? আর তাতে করে এত ধংসযগ্য এড়ান যেত কি না? না কি ধংসযগ্য হোক এটাই ছিল আসল পরিকল্পনা মানে সুকৌশলের মুল অংশ। মুরগি ধরার ফাঁদ পাতা হল, সেই ফাঁদে বোকা মুরগিগুল পা ফেলতেই খপ করে ধরে জবাই করে হাড়িতে তুলে দেয়া হল ;-)

কিন্তু এই সুকৌশল আরও দু-একদিন পরে চালান যেত কি না? হেফাজতি নেতাদের সাথে আরো নেগসিয়েশান করার চিষ্টা করা যেত কি না? যে কয়জন মানুষই মরেছে তার সংক্ষা আরও কমিয়ে আনার জন্য সরকার শেষ চেষ্টা করতে পারত কি না? এ বিষয়ে সরকার আদৌ আন্তরিক ছিল কি না?



১০) এবার আসি শেষ প্রশ্নে। সাভার ট্রাজিডি আর শাপলা চত্বর ট্রাজিডি'র মধ্যে কেউ কি কোনও মিল খুজে পান? রানা প্লাজায় ফাটল দেখা দিল। প্রশাসন থেকে সবাইকে সতর্ক করা হল ঐ ভবনে প্রবেশ না করতে। তবুও রানা সাহেব (উনি আওয়ামিলীগ বা যুবলীগ বা ছাত্রলীগের কেউ না। খোদার কছম ;-)) আর তার লোকেরা মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে গার্মেন্টস কর্মীদের কাজ যোগদিতে অনুপ্রনিত করলেন। অথচ বিএনপি'র গুন্ডারা পিলারগুলো নারাচার করে বিল্ডিংটা ধসিয়ে দিল (রেফারেন্স ম খা আলমগীর, ২৪ এপ্রিল, বিবিসি)। মারা পড়ল এখন পর্যন্ত পাওয়া সরকারি তথ্যমতে +৭৫০।

অন্যদিকে হেফাজতিরা ঢাকা অবোধ করবে এটা তারা তাদের প্রথম সমাবেশে জানিয়েছিল। সরকারকে বলা হল ১৩ দফা মেনে নিন নয়ত অবরোধ চলবে। অথচ সরকার তাদের শাপলা চত্বরে সমাবেশের অনুমুতি দিল মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে। হেফাজতিরা পবিত্র কোরআন শরিফে আগুন দিয়ে সব লন্ডভন্ড করে দিল ;-) (রেফারেন্স সকল দৈনিক সংবাদপত্র এবং দিগন্ত ও ইসলামিক টিভি ব্যাতিত সকল টিভি মিডিয়া )। মারা পড়ল এখন পর্যন্ত পাওয়া সরকারি তথ্যমতে .....। কত জন?



শেষ হইয়াও হইল না শেষ। আচ্ছা সরকার হঠাৎ গন জাগরন মন্চ্ঞটা বন্ধ করল কেন? এখন ডাক্তার সাহেব কি আবার নিজ পেশায় ফিরা যাবেন? না কি অপেক্ষায় থাকবেন কবে আবার আলু পুড়বে আর উনি লবন দিয়ে পোড়া আলু খাবেন ;-) যুদ্ধাপরাধিদের বিচার চাইতে আইসা উনি বিশাল নেতা হইছেন। যারা মন্চ্ঞ'র জন্ম দিল তারা বেশিরভাগই অবশ্য শেষ পর্যন্ত নেতা হতে পারেন নাই। ডাক্তার সাহেব নিজ যোগ্যতা বলে মুখপাত্র হয়ে প্রমান করে দিয়েছেন যোগ্যতা থাকলে সব সম্ভব ;-)



জয় বাংলা................

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯

এ জাফর বলেছেন: সব প্রশ্নের উত্তর তো দেয়া সম্ভব না, তয় আমি পরথম প্রশ্নটার উত্তর দিতে পারি।
প্রশ্নঃ মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী (পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি) অত্যন্ত সুকৌশলে কোন রকম রক্তপাত এড়িয়ে হেফাজতিদের শাপলা চত্ত্বর থেকে সরে যেতে বাধ্য করেছে। এই বক্তব্য কত % সত্যি?
উত্তরঃ উপরোক্ত বক্তব্য ১০০% সত্যি। কারন উনি বা উনার নেত্রী জীবনে কোনদিন মিছাকথা বলেন নাই, আর বলতে পারেন ও না। তিনি তো দেশরত্ন। দুঃখ হয় আপনাদের জন্য আপনারা তাকে চিনতে পারলেন না।

১১ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৫৪

তীর্থক বলেছেন: কে কয় চিনি নাই?

২| ০৮ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:৫৫

ইউআরএল বলেছেন: সালা চালাকচোদা ....আর কতো বোকাচোদা.....বানাবি আমাদের।

১১ ই মে, ২০১৩ রাত ১:১৬

তীর্থক বলেছেন: আপনার জন্য পেপসোডেন্ট হাসি......................

৩| ০৮ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:০১

এইচ. ইমরান বলেছেন: valo bisoy +

১১ ই মে, ২০১৩ রাত ১:১৯

তীর্থক বলেছেন: ধন্যবাদ। তবে পরীক্ষায় অংশ নিলে পারতেন।

৪| ০৮ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৫১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহা.. ৪ মাস ধরে গণজাগরন মঞ্চ জনগনের ট্যাক্সের টাকা শ্রাদ্ধ করে পাহারা দিল...
রাত ভর লাইভ দেখানো হলো, কন্ট্রোল রুম বসানো হল...
যেই মিডিয়া ভবন ধ্বসে মৃত্যুপথযাত্রীর মূখের কাছে মাইক নিয়ে প্রশ্ন করতে পারে- আপনার অনুভূতি কেমন?! সেই মিডিয়ারা সব ঘুমে কাতর হয়ে গেল!!

মাত্র একটা রাত থাকলে কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যেত???

গত সমাবেশে এবং এই দিনও মাঝরাত পর্যন্ত কোন খবরে কোন ছবিতে দেখা গেলনা হেফাজতিরা রোড ডিভাইডার ভেঙ্গেছে, গাছ উপরে ফেলেছে.....

অথচ অপারেশন মিডনাইটের শেষে এক ভয়াবহ ধ্ভংস চিত্র, লুটপাট, ব্যংকের বুথ ভাংচুর, এসব কারা করল? যৌথ বাহিনীর সাথে অলিখিত আরেক যে বাহিনী তান্ড চালীয়েছৈ তারা কোন সোর্সে সেখানে গেল? কোন সাংবিধানিক অধীকারে তারা হত্যাধিকার পেল????????

সব প্রশ্নের উত্তরই সশয় দেবে। শুধূ রাজনীতির ইতিহাসকে কলংকিত করে রাখা হলো অন্ধ ক্ষমতার লোভে!!!!

হিটলার মুসোলিনীর পাশে নতুন নাম যুক্ত হলো মাত্র!!!!

১১ ই মে, ২০১৩ রাত ১:২১

তীর্থক বলেছেন: ইতিহাস সময়মত ঠিকই কথা বলবে।

৫| ০৮ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: কাউকে হতাহত না করে হেপাজতের মত একটা জংগী সংগঠনের লাখ লাখ কর্মীকে হটান নি:সন্দেহে বাংলার ইতিহাসে একটি বিরাট সাফল্য ।

১২ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:০৩

তীর্থক বলেছেন: পড়লাম..................

৬| ০৮ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:১৫

নতুন বাঙ্গাল বলেছেন: ১।এটা অর্ধ সত্য। কারন প্রতিরক্ষা বাহিনী (পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি) অত্যন্ত সুকৌশলে অভিজান চালালেও সেটা পুরোপুরি রক্তপাতহীন ছিলনা।

২।কর্মদিবস ও অফিসপাড়ায় বহুলোক ছিল তাই সন্ধা কিংবা দিনে অভিজান চালালে সাধারন মানুষের ক্ষতি বাড়তো।তাছাড়া সন্ধায় অভিজান শুরু করলে অনেকেই বলতো কেন তাদেরকে আর একটু সময় দেয়া হল না।

৩।এই বিষয়টা ঠিক ছিলনা। কারন যদি লাইভ দেখানো হত তাহলে আসলে কি ঘটেছে সেটা নিয়ে মানুষের এখনকার গুজব বিভ্রান্তির সুযোগ থাকতো না।এটা সবচেয়ে অগ্রহনযোগ্য কাজ হয়েছে।তবে মিডিয়ার কিছু ভিডিও প্রমান করে তারা সেখানে ছিল। কিন্তু পুরো অভিজানের ভিডিও চিত্র কেউই দেখাচ্ছেনা যেটা ধ্রুমজাল তৈরি করছে।এবিষয়ে আপনার সাথে একমত।

৪।এই সংঘর্ষের দায় হেফাজত এড়াতে পারেনা। কারন মিডিয়াতে দেখা গেছে তারা ভাংচুর করছে, আগুন দিচ্ছে।আপনি যে প্রশ্ন করেছেন, সেই প্রশ্ন কিন্তু পাল্টা করা যায় হেফাজতকে, আগের সমাবেশ এ ছা্ত্রলীগ কিছু করলো না , এবার করতে গেল কেন?মোট কথা দোষ এড়ানোর এই সাংস্কৃতি খুব খারাপ।সেটা হেফাজত করুক আর আওয়ামি লীগ , বিএনপি করুক।দেখেন হরতালে গাড়ি কারা ভাংগে সেটা আমরা সবাই জানি কিন্তু বিএনপি কে জিন্ঘেস করেন বলবে সরকার করছে।এটা খুব হাস্যকর।দেশের ক্ষতি করে যেকোন কর্মসুচি ঘৃন্য।

৫।একই কথা , কেউই এই ঘৃন্য কাজের দায় এরাতে পারেনা। আমার বাড়ির বিয়ের অনুস্ঠানে ঘটিত যেকোন ঘটানার দায় আমার থাকবে।এমনকি সেটা যদি বহিরাগত কেউ করেও থাকে।আর নোংড়া রাজনীতিতে আমাদের সব রাজনৈতিক দলই খুব পটু।

৬।এই সমাবেশ যদি বন্ধ করত তাহলে আপনি বা আমি হয়ত পোস্ট দিতাম সরকার শান্তিপুর্ন সমাবেশ করতে দিতে চায়না, বাকশাল কায়েম করছে ইত্যাদি।

৭।একই কথা এটা করলে আমি আপনি সহ দেশের বহু সুশীলের চোখ দিয়ে পানি না রক্ত ঝরতো মায়া কান্নায়। আলেমদের কে কেন বাধা দেয়া হচ্ছে, তারা তো কোন অশন্টিময় কাজ করে নাই আগের বার।

৮।দেখুন হেফাজতের কিন্তু করমসুচি ছিল অবরোধের , হটাত করে আগের দিন সন্ধায় তারা আবদার শুরু করলো টারা সমাবেশ করবে, তো যদি সরকার সমাবেশ এর অনুমতি নাও দেয় তারপর ও তারা সেটা করবে।আর সরকার যদি অনুমতি না দিত তাহলে আমি আপনি হায়তো বলটাম সরাকার যদি অনুমতি দিত তাহলে ওরা হয়তো এই ভাংচুর করতো না।

৯।দেখুন অবরোধ করার অধিকার ওদের আছে আর যেহেতু তারা সমাবেশ করে চলে যাওয়ার কথা বলছে।তাই অবরোধ পয়েন্টে তাদেরকে আটকাতে গেলে হয়তো সারা ঢাকায় তারা ভাংচুর করতো, তখন আপনি আমি বলতাম ওদের কেন সমাবেশ এ করে চলে যেতে দেয়া হলনা।
আর সময় দিয়ে নিগোসিয়েশন করার কথা যেটা বলছেন , সেটা হয়ত করতে পারতো কিন্তু তাতে লাভ হত বলে মনে হয় না। কারন যেহেতু তারা সিধান্ত নিয়েই ফেলেছে তারা মতিঝুল ছেড়ে যাবে না, সো একরাত পাড় করার পর সে সিধান্ত পরিবর্টন করার মত কোন কারন ছিলনা। বড়ং এক রাত পার করলে তাদের সাহস আরও বাড়ত এবং সহিংসতা সারা ঢাকা , এমনকি সারাদেশে ছড়িয়ে পরতো।এবং সেটা যদি হেফাজত নাও করতো অন্য যেকেউ করে সেটার সুবিধা নেয়ার চেস্টা করত।লাভ যারই হোক ক্ষতি হত আমার আপনার মত সাধারন মানুষের।

১০।এই প্রশ্নের সম্ভাব্য কোন উত্তর আছে বলে মনে হয়না। আসলে রাজনিতীবিদরা দেশটাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে যে , সবকিছুই অনিশ্চয়তার মধ্যে চলে যাচ্ছে।আমরা ধারনাও করতে পারি না আসলে আমরা কোন দিকে যাচ্ছি , চার পাশে কি ঘটছে, কেন ঘটছে, কাল কি ঘটবে।সবমিলিয়ে এদের দুস্ট খেয়ালে আমরা বন্দি জিবন যাপন করছি।

১২ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪

তীর্থক বলেছেন: ১) প্রথম কথা হচ্ছে রক্তপাতহীন ছিল কি ছিল না সেটা মানতে হচ্ছে আমাদের রাজনীতিবিদদের কথার উপরে ভরসা করে। কিন্তু আমরা খুব ভালো করেই জানি আমাদের দল মত নির্বিশেষে রাজনৈতিক নেতারা মিথ্যাচার করতে কতটা পছন্দ করেন। নিজেদের স্বার্থে তারা দিন'কে রাত এবং রাত'কে দিন করতে কোনও দিধাই করে না। (কারও নাম উল্লেখ করে বিতর্ক ছড়ালাম না)।

২) প্রথমত কর্মদিবসে শাপলাচত্ত্বরের মত জায়গায় সমাবেশ করার অনুমুতি দেয়াটাই কি ভুল সিদ্ধান্ত না? একটা এরকম মারাত্বক ভুল সিদ্ধান্তের মাশুল খুব সহজে কি হয়?

আর সাধরন মানুষের কি ক্ষতি হত? সরকার ত কোন গুলিই ছোড়েনি। কোনও রকম হতাহত এড়িয়ে সুকৌশলে........।

তাছাড়া সরকার আর একটু না, আরও অনেক সময় দিতে পারত। নেগোসিয়েশান অনেক আগেই সরকার পক্ষ থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। সুতরাং মাঝরাত পর্যন্ত আসলে সময় দেয়া হয়নি; সুকৌশলের
মন্ঞ তৈরি করা হয়েছে।

৩) সমস্যা হয়েছে জামাত-শিবির এটার সুবিধা নিতে চেষ্টা করছে। মিডিয়া ছিলনা মানেই হচ্ছে ভয়ংকর কিছু হয়েছে। এই সুযগে জামাত-শিবিরের লোকজন ইনটারনেট থেকে ভুয়া ছবি নামিয়ে ৬ মে হত্যাকন্ড বলে চালিয়ে দিচ্ছে। আর এটা করার সুযোগ দিয়েছে সরকার। সুকৌশলে...............

একমত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

৪) দোষ এড়ানোর সংস্কৃতি'র বিষয়ে আপনার যুক্তির সাথে সম্পুর্ন একমত। কিন্তু আমি ঠিক কি বলতে চেয়েছি সেটা হয়ত আপনি ধরতে পারেন নি।
আমি বলতে চেয়েছি হেফাজতের প্রথম সমাবেশে কোনও ঝামেলা যে হলনা এটা কার কৃতিত্ব? নিশ্চয়ই হেফাজতের। কেননা তারা সুশৃঙ্খল ছিল এবং তাদের কে যে কেউ উস্কানি দেয়নি সেটাও কিন্তু সরকারের কৃতিত্ব না। হতে পারে সরকারের তার সংগঠনগুলোকে এবং জোটগুলোকে উস্কানি না দিতে করা নির্দেশ দিয়ে রেখেছিল।
কিন্ত ৫মে র সমাবেশে এত মারামারি, আগুন দেয়া আর প্রানহানি ঘটার দায় কি আগে সরকারে উপরে আসে, না কি হেফাজতের উপরে? সারা বাংলাদেশ থেকে তারা এসেছে কিন্তু কোথাও কোনও মারামারি, আগুন দেয়া আর প্রানহানি'র ঘটনা ঘটেনি। তার অর্থ কি এই যে তাদের পরিকল্পনাই ছিল যা কিছু করবে সব মতিঝিলে এসে করবে? কোনও উস্কানি কি ছিল না? না কি উস্কানি ছিল এবং সেটাও ছিল সরকারে সুকৌশলের অংশ?

৫) দোষ এড়ানর রাজনীতির বিষয়ে আপনার সাথে সম্পুর্ন একমত। তবে হেফাজতিরা আগে কখনও কোথাও পবিত্র কোরআন পুড়িয়েছে কি না আমার জানা নেই। আসলে কোরআন পোড়ানো ব্যাপরটার সাথেই আমরা নতুন করে পরিচিত। যে দলের সমর্থনই করি না কেন কিংবা কারও সমর্থন না করলেও কোরআন পোড়ানো (যে কোনও ধ্রমগ্রন্থ পোড়ানো) কোনও ভাবেই সমর্থন যোগ্য নয় আর মানতে কষ্ট হচ্ছে (সেই সঙ্গে সন্দেহও হচ্ছে) যে হেফাজতিরা কোরআন পুড়িয়েছে।

৬) আপনার এই মতের সাথে সম্পুর্ন দ্বিমত পোষন করছি।
প্রথমত কর্ম ব্যস্ত দিনে শাপলা চত্বরে সমাবেশ করতে দেয়ার সিদ্ধান্ত কখনই সঠিক হতে পারে না। সরকার হেফাজতিদের শুক্রবার সমাবেশ করার প্রস্তাব দিতে পারত।
দ্বীতিয়ত সমাবেশ করার অনুমুতি যেহেতু দেয়াই হল সেহেতু সম্ভাব্য সংঘাত এড়াতে অবস্যই অপিস-আদালতের লোকজনকে সমাবেশ শুরুর আগেই সম্পুর্ন এলাকা ত্যাগ করে নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া উচিৎ ছিল। কারন, হেফাজতিরা বলেই এসেছিল দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা অবস্থান করবে। এর অর্থই হচ্ছে সাংঘাতিক কিছু ঘটতেও পারে। সরকারের অবস্যই সতর্কহওয়া উচিৎ ছিল।
আমাকে বলুনত, হেফাজতের নাশকতার পরিকল্পনা আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা টের পায়নি কেন? কখনও টের পায়না কেন? বিডিআর বিদ্রোহের কাথাই ধরুন। সরকার কি কিছু জানত? গোয়েন্দা সংস্থা কি কিছু টের পেয়েছিল। নাকি গোয়ন্দা সংস্থা সবই টের পায় কিন্তু সরকারের সুকৌশলের কাছে মার খেয়ে যায়।
আর ১৪৪ ধারা জাড়ি করে সরকারি দলের এবং বিএনপির সামবেশ বন্ধ করা গেল, হেফাজতিদেরটা ব্ন্ধ করা যেত না?
বাকশাল তো অলরেডি কায়েম হয়ে আছে ভাই। তা না হলে ২টি চ্যানেল বন্ধ, একটি সংবাদপত্র বন্ধ আর বাতি নিভিয়ে মিডিয়া কর্মিদের সরিয়ে অপারেশন কখনই সম্ভব হত না।
ভাইজান, সংকট তৈরি করে তারপর সমাধানের চাইতে সংকট সৃষ্টির আগেই তা তৈরি না হতে দেয়ার পরিকল্পনা কি বেটার অপসন নয়?

৭) আপনার এই মতের সাথেও দ্বিমত পোষন করছি।
হেফাজতের প্রথম সমাবেশের আগে সরকার কিন্তু ঢাকামুখি দুরপাল্লার গাড়ি চলাচাল বন্ধ করেছিল। ফলে হেফাজতিরা ঢাকায় আসতে আসতেই সংক্ষায় এবং শক্তিতে দুর্বল হয়ে পরেছিল। এর উপরে যদি ১৪৪ ধারা থাকত তাহলে আরও দুরবল হত। এই কৌশলগুলো করে যদি ৬মে কে এড়ান যেত তাহলে কি সেটা সুশিল-কুশিল সমাজের মায়া কান্নার চাইতে বড় সাফল্য হত না?
আর শুশিল সমাজের কান্না'কে কোন সরকার কবে কেয়ার করেছে একটু বলবেন কি? যদি কেয়ার ই করত তাহলে বিএনপি আর আওয়ামিলীগে'র আজকের রাজনৈতিক সংকট আর গোড়ামির কারনে দেশ এবং দেশের মানুষ যেভাবে সাফার করছে তা অবস্যই করত না। একমত?

৮) আবারও আপনার মতের সাথে দ্বিমত পোষন করতে হচ্ছে।
হেফাজতের কর্মসুচি ছিল অবরোধের। কিন্তু সেটাও তো কোনও গ্রহনযোগ্য কর্মসুচি নয়। তাই না? লাগাতার অবরোধ মানে রাজধানী গোটা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন। সেটা করার অনুমুতি সরকার কি করে দেয়? যে সুকৌশলে প্রানহানী এড়িয়ে হেফাজতিদের ঢাকা থেকে বিতারিত করা হল সেই একই সোকৌশলে তাদের কে ঢাকা পর্যন্ত আসা কি বন্ধ করা যেত না?
মোদ্দাকথা সরকার হয় পুরো ব্যাপারটা নিয়ে সেরিয়াস ছিল না অথবা সুকৌশলটা আগে থেকেই ঠিক করা ছিল না.............

৯) সমাবেশ করে চলে যাবে এমন কিছু বলেছিল কি না সেটা আমার জানা নেই।
আমিতো অবরোধ করতে দেয়ারই পক্ষে না। তাই অবরোধ পয়েন্টে তাদেরকে আটকাতে গেলে কি হত সেটা ভাবা অবান্তর। আর অবরোধ পয়েন্টগুলো ঢাকার বাইরে ছিল। সারা ঢাকায় কভাবে ভাংচুর করত বুঝলাম না।
সময় নিয়ে নেগোসিয়েশান করলে লাভ হত না কি ক্ষতি হত সেটা কিন্তু আপনি বা আমি কেউই জানি না। কিন্তু সময় নিয়ে নেগোসিয়েশান করলে একটা জিনিস অন্তত হত আর তা হচ্ছে জনসাধারন দেখত সরকার সম্ভাব্য সংঘত এড়াতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে।
আর অন্যকেউ সুবিধা নেয়ার কথা বলছেন, অন্যকেউ কি এখন সুবিধা নিচ্ছে না বা নেয়ার চেষ্টা করছে না?

১০) সহমত। উই নিড এ মাহাতির। উই নিড সামওয়ান হু উইল লাভ দা কান্ট্রি অ্যাবাভ অল এন্ড এভরিথিং।

জয় বাংলা..................।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.