নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতি বাউন্ডুলে বালক,
ক্ষণে ক্ষণে মনে হচ্ছে আজকের দিনটা জীবনে না আসলে খুব ভাল হত, কিন্তু পরক্ষণেই মনে হচ্ছে , নাহ ভালই হয়েছে। আজকের দিনটা না আসলে সত্যিটা আমি জানতে পারতাম না। হয়তো জানতাম কিন্তু আরও পরে। তারচেয়ে বরং এই ভাল।
ঘর অন্ধকার। রুদ্র'র কবিতার ভাষায় বলতে গেলে এক গ্লাস অন্ধকার হাতে নিয়ে বসে আছি। বেশ আয়োজন করে তোমায় চিঠি লিখতে বসেছি টেবিল ল্যাম্পের আলোয়। অন্ধকার ঘরের চার দেওয়ালে আলো ছায়ার খেলা খেলতে খেলতে নিজের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে সে। পাশে রাখা টি পটে রয়েছে লেবু দেওয়া লাল চা, জানই তো আমি দুধ চা খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি। জানালা খুলে দিয়েছি, আকাশে চাঁদের ঘ্রাণ। এই যে এত কথা বলা হল অথচ চিঠির প্রথম লাইনটাই ঠিক করে লেখা হল না।
জানো কিছু কিছু মানুষ প্রবলভাবে ভালোবাসার ক্ষমতা নিয়ে জন্মায় । সেই ভালোবাসার জন্য তাদের কোনও কারনের প্রয়োজন হয়না। হঠাৎ কোনও কুয়াশা হয়ে অদৃশ্য ভালোবাসার চাদরে প্রিয় মানুষ টাকে জড়িয়ে রাখা কিংবা নিশাচর পাখি হয়ে সারারাত তার নিষ্পাপ মুখের দিকে তাকিয়ে থাকাতেই তারা আনন্দ পায়। নিজে রেইনকোট গায়ে দিয়ে প্রিয় মানুষ টাকে অবিরাম ভালবাসার বৃষ্টিতে ভিজতে দেখে তারা শিশুর মতো খুশি হয়। কিন্তু শত চেষ্টা করেও তাদের গায়ে সেই বৃষ্টির ফোঁটা তুমি ছোঁওয়াতে পারবে না। তারা ছায়ার মত, আছে আবার নেই। পৃথিবীর কোলাহলে তারা একলা হাটে। সম্ভবত আমি তাদের দলের একজন। তোমাকে আমি ভালবাসি কিনা জানি না। তোমার জন্য আমার অনুভুতি তার থেকেও বেশি কিছু। সব অনুভুতি কে তো ছকে ফেলা যায় না তাইনা?
চিঠি লিখতে বসে রাজ্যের আবর্জনা লিখে যাচ্ছি। অনেক আবর্জনা লেখা হয়েছে। ঘুমানো দরকার। আজকাল নিয়নের ফুটপাথে যখন স্বপ্নের ভোর হয় তখন আমি দরজার চৌকাঠে জমে থাকা আবেগের ধুলো ঝেড়ে ঘুমাতে যাই। বালক, তোমার চোখে আমার একটা শহর ছিল । সেই শহরে কাকভেজা রোদে আমি চুপি চুপি হাঁটতাম। কালো পিচ ঢাকা পথে আমার বন্দি স্বপ্ন গুলো আনমনে রোদে পোহাত। কখনও কখনও আততায়ী বিকেলে শহরের রাজপথে পরিপাটি ধুলোর সাথে রূপকথারা গড়াগড়ি খেতো। কিছু বোকা শব্দকে নেড়ে চেড়ে তোমাকে কিসব লেখার চেষ্টা করছি জানিনা, তোমার শত ব্যস্ততায় এ লেখা হয়তো কখনো তোমার চোখেও পড়বেনা। জানো তো কিছু কঠিন সত্য কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। কিন্তু তাই বলে রাগ করতে নেই। বরং একবুক অভিমান নিয়ে চুপচাপ ফিরে আসতে হয়............ বারবার বলতে চেয়েও বলা হয়নি-
খুব শক্ত করে হাতটা ধর, আমি হারাতে চাইনা।
ইতি,
এই আমি নিশা
সময়কাল -
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫
রাত ১১টা ২০ মিনিট
০৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:২৬
নিশা মাহমুদা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ
২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: কতরূপে যে ভালোবাসাকে জীবনের সাথে একাত্ম হতে দেখেছি তার ইয়ত্বা নেই। ভালো লাগল। অনুভূতির অসাধারণ বহিঃপ্রকাশ। পেছনের কষ্টগুলো প্রকট হয়ে উঠেছে। সাথে ভালোবাসার আকুতি। +
০৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:২৭
নিশা মাহমুদা বলেছেন: সবাই বুঝল, শুধু যার চিঠি সে বুঝল না ধন্যবাদ
৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৪
সোজা কথা বলেছেন: বাহ্ বাহ্! দারুণ চিঠি। সাংঘাতিক রোমান্টিকতা আছে!
০৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:২৮
নিশা মাহমুদা বলেছেন:
৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৪
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
দারুণ চিঠি।
রোমান্টিকতায় আক্রান্ত হলাম।
০৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:২৮
নিশা মাহমুদা বলেছেন: স্বার্থকতা
৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:১৪
রক্ত পলাশী বলেছেন: একবুক অভিমান নিয়ে চুপচাপ ফিরে আসতে হয় - এবং কান্নার শিশির দিয়ে সোনালী সকাল উপভোগ করতে হয়।
০৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৩০
নিশা মাহমুদা বলেছেন: এভাবে কান্না উপভোগ করেই অভিমানী বালিকাদের জীবন পার হয়ে যায় , অবুঝ বালকের তাতে কিছু এসে যায় না
৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০৮
মু. ইশরাত হোসেন লিপটন বলেছেন: দারুন...
০৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৩০
নিশা মাহমুদা বলেছেন: ধন্যবাদ
৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৩৭
সাইলেন্ট পেইন বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর ভালোবাসার অনুভূতির প্রকাশ।
১৫ ই জুন, ২০১৫ রাত ১২:৪৬
নিশা মাহমুদা বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ ভোর ৬:৫৮
জাফরুল মবীন বলেছেন: স্নিগ্ধ ভালোবাসায় পূর্ণ আবেগঘন একখানা চিঠি পড়লাম।
খুব ভালো লাগল।
ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
ভালো থাকুন এ শুভকামনা রইলো।