নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখক নই, কথক।
মানুষটির ধর্ম কি তা জানতে চাওয়ায় বললেন_আমি ক্ষুধার্ত !
নাম জানতে চাইলে বললেন,_ শেষবার গত পরশু খেয়েছিলাম !
দুঃখ প্রকাশ করে আর একবার পরিচয় জানার চেষ্টা করে উত্তর _একটু রুটি-পানি দেবেন? একটু!
বিরক্তি নিয়ে ফিরে আসার সময় ক্ষুধার্থ ক্ষীণ স্বরের প্রশ্ন আসলো_ যাচ্ছেন? তাড়া না থাকলে বলবেন কে আপনি?
দৃষ্টিটা মর্তমুখী করে দেয় হল উত্তর _কেউ 'মানবতা' বলে, কেউবা আবার ডাকে 'সভ্যতা' নামে আর 'পুঁজিবাদী' বলে ডাকে হিংসুটেরা ।
ক্ষুধাটা যেনো কিছুটা সময়ের জন্য উবে গেলো, সম্মোধন পাল্টে সরোষে মন্তব্য করে আগন্তুককে লক্ষ্য করে_তুমিই সেই! যে আমার কঙ্কালসার দেহের আলোকচিত্র প্রদর্শন করো কিন্তু দু'টো শুকনো রুটিও ছুড়ে দিতে পারো না।
নিরুত্তর আগন্তুক আর না দাড়িয়ে নিজের চিরায়ত পথে পা বাড়ায়, কিন্তু? পিঠে কারো অবাক দৃষ্টির আঘাত যার স্পর্শ পায় ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়, তা কি এড়িয়ে যেতে পারে.....
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:০২
নোমান প্রধান বলেছেন: কি জানি কি হয়েছে, তবে এতে তো আর কারো ক্ষুধা মেটবে না। যা হয় হোক
২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:৫৬
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
খাবারের অভাবে ভোগা মানুষের সংখ্যা কম নেই।
আবার সবাইকে খাওয়ানোও যায় না। যাদের কাজ করার সামর্থ্য আছে তারা হাত পাতলেই বিরক্তিই লাগে। এদের সাহায্য করা উচিৎও না। এরা চাইলেই যে কোন কাজ করতে পারবে।
তবে, বাচ্চা বা অতিরিক্ত বুড়ো - এদেরকে কখনো ফিরিয়ে দেওয়া উচিৎ না। কারণ, তারা নির্ভরশীলই। মাঝে মাঝে নিজের বাবা-মা/সন্তানের উপর, আবার মাঝে মাঝে ক্ষুধার তাড়নার উপর।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:৩০
নোমান প্রধান বলেছেন: পুজিবাদ সমাজ ব্যাবস্থা বাড়িয়ে দিচ্ছে হতদরিদ্র মানুষ
৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:১৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
যাদের কাজ করার সামর্থ্য আছে তাদের সাহায্য করা দরকার নেই। এরা চাইলেই যে কোন কাজ করতে পা্রে।
এই ছবিগুলো পাকিস্তানের, লেখকও পাকি নাকি।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:৩৪
নোমান প্রধান বলেছেন: আসলে আমি হতদরিদ্র সমাজ আর ধনাট্য সমাজের একটা রূপক কথোপকথন লিখেছি।
আর ছবি গুলো পাকিস্থানের নয়, সিরিয়ার। লেখক মনে প্রাণে বাঙ্গালী।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
বেশী রূপক, বেশী সাহিত্যিক বিষয় হয়ে গেছে, মনে হচ্ছে!