নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমালোচনা যদি গঠনমূলক হয়, তা অনেক বেশি শিক্ষণীয় হয়। তর্কের খাতিরে তর্ক করা এক অসহ্য অভিবেক্তি।

নুরুল পলাশ

অপাংথেয় বাঙ্গালী

নুরুল পলাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিকাশ এর অভিনব জালিয়াতি ! ! ! বাচতে হলে জানতে হবে।

০৬ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:২৭

কয়েকবছর আগে থেকে মোবাইলে এই ধরনের বিভিন্ন জালিয়াতি শুরু হয়েছে। মনে পড়ে মাত্র কয়েকবছর আগের কথা। একদিন গ্রামীনের একটি নাম্বার থেকে ফোন এলো। অত্যন্ত মার্জিত ও ভদ্র ভাষায় বললো --

"সুপ্রভাত স্যার। আপনি গ্রামীণ ফোনের খুবই ভাগ্যবান একজন গ্রাহক। সম্প্রতি মোবাইল ব্যবহারের উপর গ্রামীন ফোন একটি লটারী আয়োজন করেছে এবং আপনি তাতে বিজয়ী গ্রাহকদের মধ্যে একজন। এ বিষয়ে গ্রামীন ফোন অফিস হতে বিস্তারিত আপনাকে জানানো হবে এবং আপনার পুরস্কার টাকাঃ ৫,০০,০০০/- স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার কাছে পৌছে যাবে। এর জন্য কিছু ফরমালিটিজ আছে যা সম্পন্ন করার পরে আপনার পুরস্কার আপনি পাবেন। ফরমালিটিজ সম্পন্নের জন্য আপনি ০১৭................. নাম্বারে .....টাকা বিকাশ করুন এখনই। আজকের মধ্যেই আপনার পুরস্কারের টাকা অাপনি পেয়ে যাবেন"

সরল মানুষজন লোভে ও ধোকায় পড়ে চাহিত টাকা বিকাশ করার পরে যে নাম্বার থেকে কল এসেছিল তা বন্ধ হয়ে যায়। অর্থাৎ টাকা লোপাট হয়ে যায়। একদিকে টাকা পাঠিয়ে ধোকা খেয়ে একজন কাঁদে, অন্যদিকে ধোকাবাজ হয়তো ততখনে আনন্দ ফূর্তিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। যাকে বলে কারো পৌষমাস আর কারো সর্বনাশ। কিন্তু এই প্রক্রিয়াটি বেশ পুরানো হয়ে যাওয়ায় এবং অধিকাংশ মানুষজন তা বুঝতে শিখে গেছে বিধায় ধোকাবাজরা নতুন প্রক্রিয়া অবলম্বন শুরু করছে।

যদিও আমি এই ধোকায় আগে কখনোও পড়িনি, তাই হয়তো নিজেকে নিয়ে একটু গর্বই ছিল। কিন্তু আমার সেই আত্নগর্ব ধোকাবাজদের মনে হয় সহ্য হয়নি। তারা আরোও সুসংগঠিত এবং নিখুত প্ল্যান নিয়ে মনে হয় আমাকে টার্গেট করলো যখন আমি কোন একটি প্রোপার্টি বিক্রির জন্য অন লাইন এ্যাড দিলাম। ব্যস ! ! ! প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আমি একটি শিপিং কোম্পানীতে চাকুরী করি। তারা কি আমার সবকিছু খোজ খবর নিয়েই নেমেছিল না কি ! ! ! ! ! ! একদিন সকালে অফিস আওয়ারে মোবাইলে একটি ফোন এলো। লোকটি পরিচয় দিয়ে বলল আমি একটি বিদেশী জাহাজের বাংলাদেশী ক্যাপ্টেন। বর্তমানে বন্দরে জাহাজ থেকে মালামাল খালাস করছি। আমি আপনার অনলাইন এ্যাডটি দেখেছি এবং তা কিনতে চাই। আমি তাকে প্রোপার্টি ভালোমতো দেখতে বললাম এবং তারপরে বিস্তারিত কথা বলবো বলে জানালাম। ক্যাপ্টেন সাহেব বিকালে আবার ফোন দিলেন এবং বললেন আমি আপনার এলাকারই স্থানীয় বাসিন্দা এবং আপনার প্রোপার্টি আমার পছন্দ হয়েছে। মূল্য জানতে চাইলো প্রোপার্টির। মূল্য বলার পরে সে এক কথায় রাজী হয়ে গেল। তার কথা বার্তা এতো সপ্রতিভ ও আত্নবিশ্বাসী ছিল যে আমার মতো প্রফেশনাল লোকও বিন্দুমাত্র সন্দেহ করতে পারিনি। বিদেশী জাহাজের ক্যাপ্টেন যে মালদার হয় এবং প্রোপার্টির মূল্য যে তারজন্য কোন ব্যাপারই না এটা আমি জানতাম। যেহেতু টাকার প্রয়োজনে প্রোপার্টি বিক্রি করা আমার জন্য খুবই প্রয়োজন ছিল এবং যা যা চেয়েছিলাম সকল শর্তই ক্যাপ্টেন সাহেব সহজে মেনে নিলেন, তাই আমি তো মনে মনে খুশীতে আত্নহারা। যাক বাবা ! এতাদিনে আল্লাহ্ আমার দিকে যেন একটু মুখ তুলে চাইলেন আর প্রোপার্টিটি বিক্রি করে আমি অসহনীয় ও দম বন্ধ করা মানসিক অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছি অবশেষে। আচ্ছা ক্যাপ্টেন সাহেব কি আমার মনের ভাষা পড়তে পারছিলেন ! ! ! ! ! ! কি জানি ! তবু আমি তাকে যাচাই করে দেখার জন্য জানতে চাইলাম আপনি কোথা থেকে ক্যাপ্টেন্সী পাশ করেছেন এবং কোথায় কোথায় চাকুরী করেছেন ? উত্তরে সে একেবারে সঠিক জবাবটাই দিল যেন সে জানতোই আমি এগুলো জিগ্গাসা করবো। উপরন্তু সে আমাদের কোম্পানীর কোন কোন জাহাজে চাকুরী করেছে তাও বললো। আমাদের কোম্পানীর ভেতরকার বিভিন্ন বিষয় আমাকে বলে দিল যা আমার বিশ্বাস অনেক বাড়িয়ে দিল। একটা পর্যায়ে আমি আমার পরিচয় তাকে বিস্তারিত জানালে সে আমাকে আশ্চর্য করে দিয়ে বললো যে সে আমাকে চিনতে পেরেছে এবং সিনিয়র হিসেবে সে সাথে সাথেই আমাকে প্রফেশনালদের মতো তুমি তুমি করে বলতে শুরু করায় আমার সন্দেহ সম্পূর্ণ দূর হলো। এরপর সে আমাকে বললো সে জাহাজ নিয়ে ২ দিন পরে বন্দর হতে বিদেশ চলে যাবে, যেহেতু তার হাতে সময় নাই তাই আগামীকালই সে প্রোপার্টি রেজিস্ট্রি করে নিতে চায়। প্রোপার্টিটি সে তার বোনের জন্য কিনছে এবং বোনটি এখন ঢাকায় আছে। আমিও যেহেতু অন্য জেলায় আছি, তাই সে প্রস্তাব দেয় যে আমি যাতে তারই খরচে বিমানে ঢাকা চলে আসি এবং ঢাকা এয়ারপোর্টে তার বোন আমার জন্য অপেক্ষা করবে। ঢাকা হতে কানেকটিং ফ্লাইটে তার বোন কে নিয়ে আমি যেন সোজা গন্তব্যস্থলে পৌছে যাই। পরেরদিন রেজিস্ট্রি হবে। আমি তো খুশীতে আত্নহারা। প্লেনের খরচও ক্যাপ্টেন বহন করছে ! ! ! আমি বিকালের ফ্লাইটে কর্মস্থল থেকে যাতে রওনা হতে পারি, তাই সে NOVO AIR এ বুকিং দিল। আমাকে বললো এয়ারপোর্টে পৌছে আমি যাতে NOVO AIR এর অফিস হতে আমার ও তার বোনের টিকিট নিয়ে নিই। আমি বিন্দুমাত্র সন্দেহ না করে তার কথামতো দ্রুত অফিস হতে বেরিয়ে এয়ারপোর্টে রওনা দিলাম। প্রোপার্টিটি শেষ পর্যন্ত বিক্রি করতে পারছি এই আনন্দে আমি বিভোর হয়েছিলাম। একটু পরেই ক্যাপ্টেন সাহেবের কথা মতো আমার মোবাইলে NOVO AIR থেকে মেসেজ আসলো। ফ্লাইট নাম্বার, সিট নাম্বার, যাত্রার সময় ও তারিখ সবকিছূ হুবহু অরজিনাল মেসেজের মতো। মেসেজে আরো লেখা ছিলো কানেকটিং ফ্লাইটসহ ৩টি টিকিটের মোট মূল্য ২০,০০০/- এবং ডিসকাউন্ট ২,০০০/-। মোট ভাড়া ১৮,০০০/-। Paid ১০,০০০/- এবং Balance ৮,০০০/-। টিকিট সংগ্রহরে পূর্বে ৮,০০০/- টাকা আগামী আধঘন্টার মধ্যে বিকাশে পরিশোধ করতে হবে। আমি NOVO AIR থেকে মেসেজ পেয়েই ক্যাপ্টেন সাহেবকে ফোন দিলাম এবং বকেয়া ৮,০০০/- টাকার বিষয়টি জানালাম। ক্যাপ্টেন সাহেব আমাকে বললেন তুমি কোন চিন্তা করো না, NOVO AIR এ আমার একাউন্টে ১০,০০০/- টাকা ছিল, ওটা দিয়েছি আর বাকি টাকাটা (৮০০০/-) আপাতত তুমি দিয়ে দাও। ঢাকা এয়ারপোর্টে নামলেই আমার বোন তোমাকে ৮০০০/- টাকা দিয়ে দেবে। এতো আন্তরিক ও প্রফেশনালভাবে কথাগুলো বললো আমি সন্দেহ করতে পারিনি, কিংবা বলা যায় প্রোপার্টি বিক্রির আশায় আমি ঘোরের মধ্যে থাকায় কোন কিছু আন্দাজ করতে পারিনি। যা হোক NOVO AIR এর মেসেজ অনুযায়ী আমি যাত্রার মাঝপথে নেমে নির্ধারিত নাম্বারে বিকাশ করে ৮০০০/- টাকা পাঠালাম। ক্যাপ্টেন সাহেবকে ফোন করে তা জানালাম এবং ঢাকায় তার বোনের নাম ও নাম্বার দিতে বললাম। ক্যাপ্টেন মেসেজে তা দিচ্ছে বলে লাইন কেটে দিল। এরপরে এয়ারপোর্টে পৌছে NOVO AIR এর কাউন্টারে আমার মেসেজ দেখালাম এবং টিকিট চাইলাম। তারা চেকিং করে বললো আমাদের সব প্যাসেন্জারতো ইতোমধ্যে প্লেনে উঠে গেছে। তারা বুকিং চেক করে দেখলো আমার নামে সত্যিই টিকিট বুকিং ছিলো, কিন্তু তা আধ ঘন্টার জন্য। বুকিংয়ের আধঘন্টা পরে তা বাতিল করা হয় (অর্থাৎ আমি বিকাশ করামাত্র টাকা পেয়ে ওরা বুকিং বাতিল করেছে)। মোবাইলে আমার মেসেজ দেখে NOVO AIR কর্তৃপক্ষ বললো এটা একবারে অরজিনাল মেসেজের মতো, কিন্তু নাম্বারটা আমাদের না। আমরা বিকাশে পেমেন্ট নিই না। আপনাকে ধোকা দেয়া হয়েছে ! ! ! ! ! আমি একবারে "থ" হয়ে গেলাম। এতোটা বোকা জীবনে কোনদিন হইনি। এতো নিখুত প্ল্যান হয়তোবা আমার বিভোরতার কারনে টেরই পাইনি। আমি যদি এয়ারপোর্টে ফোন করে খোজ নিই, তাই তারা সত্যিই আমার নামে টিকিট বুকিং দিয়ে রেখেছিল যাতে কোন সন্দেহ না হয় আমার ! ! ! !

চরম ধোকা খেয়ে সমস্ত অবসাদগ্রস্থতা আমাকে ঘিরে ধরলো। যতটা না টাকার জন্য তারচেয়ে বেশি প্রোপার্টিটি এতো কাছে এসেও বিক্রি করতে না পারার জন্য। ধোকাবজির এতো নিখুত প্ল্যান দেখে বিস্মিত হয়ে গিয়েছি। কিন্তু খারাপ লাগছে এই ভেবে যে, যারা এতো স্টাডি করে এতো নিখুত প্ল্যান বানিয়ে সরল মানুষকে বোকা বানিয়ে মানুষের পকেট কেটে সর্বস্বান্ত করে দেয়, তারা যদি তাদের এই টেকনোলজি দেশের বা সমাজের অথবা নিদেনপক্ষে নিজের পরিবারের উন্নয়নে কোন সৎ পন্থায় ব্যবহার করতো, তাহলে দেশ অনেক এগিয়ে যেতো। আমার ধারনা আসন্ন ঈদে একই পন্থায় ওরা বাসের টিকিটের কথা বলে অনেকের পকেট কাটবে। তাই সাবধান ! ! ! !

বিঃদ্রঃ - অামি নিশ্চিত তারা আমার এ্যাড দেখে আগে ২/১ টি নাম্বার থেকে ফোন করে আমার সাথে প্রোপার্টি নিয়ে আলাপ করেছে। আমি কি করি, কোথায় থাকি এবং কোথায় চাকুরী করি সব কথাচ্ছলে জেনে নিয়েছে। ২/৩ দিন বিরতি দিয়ে মাস্টার প্ল্যান তৈরী করে তারপর মাঠে নেমেছে। ২/৩দিনের বিরতিতে আমিও ওদের কথা ভুলে গেছি। তাছাড়া অনেকেই ফোন করে, মনে রাখাটাও দুস্কর। এরপরে আমার অরগানাইজেশন সম্পর্কে খোজ নিয়েছে। মোট কথা পুরো বিষয়টিতে ওদের Time Spend & Brain Storming করতে হয়েছে প্রচুর। অবশেষে তারা আমাকে ধোকা দিয়ে বোকা বানিয়ে ৮০০০/- টাকা আত্নসাত করতে পেরেছে। প্রশ্ন হলো এতো Time Spend & Brain Storming যদি ওরা ভাল কোন Fruitful কাজে ব্যবহার করতো, তবে আমি নিশ্চিত ওরা মুসা ইব্রাহিমের মতো এভারেস্টে উঠতে না পারলেও জীবনে অনেক সফল হতো।

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:০৩

আলম৪৩৪ বলেছেন: এত নিখুতভাবে জালিয়াতি, বিমান টিকেট পর্যন্ত বুকিং! আমারতো বিশ্বাসই হচ্ছেনা।

০৬ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৪০

নুরুল পলাশ বলেছেন: অা‌মি নি‌জেই তো এখ‌নো পু‌রাপু‌রি বিশ্বাস কর‌তে পার‌ছিনা। টাকা প‌কেট থে‌কে গে‌ছে ব‌লে বিশ্বাস কর‌তেই হ‌চ্ছে।

২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:১৮

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: এত বড় প্ল্যান দিয়ে মাত্র ৮০০০ টাকা ধান্ধা ।

০৬ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৪৪

নুরুল পলাশ বলেছেন: অা‌মিও বি‌স্মিত। এ‌তো টাইম স্পেন্ড ক‌রে অার এতো ব্রেন ষ্টোর্ম ক‌রে মাত্র ৮০০০/-। ম‌নে হয় অা‌রো বে‌শি চাই‌লে অামার স‌ন্দেহ হ‌তো ব‌লে ও‌দের ধারনা ছিল

৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:২৭

মমতাজ চট্রগ্রাম বলেছেন: ডিজিটাল চুর বলে কথা। বাছলেন আমি তু মনে করছি এয়ারপোর্ট থেকে নামার পর গুম করে পেলবে আপনাকে।

০৬ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৪৮

নুরুল পলাশ বলেছেন: গুম ! ! ! অবশ্য বাংলা‌দে‌শে মানু‌ষের জীবন এখন ৫ টাকায় বি‌ক্রি হ‌চ্ছে। মশা মারা য‌তো কষ্ট, মানুষ গুম ক‌রে মারা তার‌চে‌য়ে অ‌নেক কম ক‌ষ্টের। ডি‌জিটাল বাংলা‌দেশ ব‌লে কথা ! ! !

৪| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:০১

নৈশ শিকারী বলেছেন: খুব খারাপ লাগলো আপনার ঘটনাটা পড়ে, তবে এতটুকু ভেবে আপাতত সন্তুষ্ট হন যে অল্পের উপর দিয়ে বেঁচে গেছেন, কারন আপনি ঐ চিটারকে যেভাবে বিশ্বাস করেছেন তাতে আরো বড় অ্যামাউন্ট চাইলেও না করতে পারতেন না।

০৬ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:১৪

নুরুল পলাশ বলেছেন: অাপ‌নি ঠিকই ব‌লে‌ছেন। অাল্লাহর কা‌ছে শুক‌রিয়া

৫| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: জালিয়াতরা ৩দফা চেষ্টা করেও আমার কাছে কিছু নিতে পারেনি।
তবে আপনারটায় পাইলে কি হত বলতে পারি না।

০৬ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৭

নুরুল পলাশ বলেছেন: কখ‌নোও কখ‌নোও ম‌ান‌সিক অ‌চেতনা বু‌দ্ধিমান‌ মানুষ‌কেও বোকা বা‌নি‌য়ে ফে‌লে

৬| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০১

আলী আকবার লিটন বলেছেন: প্রতারনার অনেক কৌশল জানা গেল । কিন্তু আপনার ওই ৮০০০ টাকার জন্য খুব খারাপ লাগছে ...

০৬ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৯

নুরুল পলাশ বলেছেন: ‌কি অার করা। জীবন তো অার ৮০০০ টাকার জন্য থে‌মে থাক‌বে না

৭| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০২

কাবিল বলেছেন:

আপনার ঘটনাটা পোস্ট করে খুব ভাল করেছেন।
আপনার ৮০০০/= টাকার বিনিময়ে হাজার হাজার মানুষ সচেতন হবে এটাই কম কিসের।

বাঁচতে হলে জানতে হবে।

এমন ঘটনায় কেও পরতে পারেন।

০৬ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১১

নুরুল পলাশ বলেছেন: মানুষ‌কে স‌চেতন করার জন্যই পোষ্ট‌টি লেখা। অাপনার পোস্ট‌টিও বেশ কার্যকর। অাশা কর‌ছি সবাই স‌চেতন হ‌বে

৮| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: :(( :((

৯| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫১

সুমন কর বলেছেন: শেয়ার করাতে ভালো হলো, সবাই জানতে পারলাম।

০৬ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮

নুরুল পলাশ বলেছেন: সা‌থে থাকার জন্য ধন্যবাদ

১০| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৫৩

এহসান সাবির বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়ে সাবধান হয়ে থাকলাম।

সুপ্রভাত স্যার। আপনি গ্রামীণ ফোনের খুবই ভাগ্যবান একজন গ্রাহক। সম্প্রতি মোবাইল ব্যবহারের উপর গ্রামীন ফোন একটি লটারী আয়োজন করেছে এবং আপনি তাতে বিজয়ী গ্রাহকদের মধ্যে একজন। এ বিষয়ে গ্রামীন ফোন অফিস হতে বিস্তারিত আপনাকে জানানো হবে এবং আপনার পুরস্কার টাকাঃ ৫,০০,০০০/- স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার কাছে পৌছে যাবে। এর জন্য কিছু ফরমালিটিজ আছে যা সম্পন্ন করার পরে আপনার পুরস্কার আপনি পাবেন। ফরমালিটিজ সম্পন্নের জন্য আপনি ০১৭................. নাম্বারে .....টাকা বিকাশ করুন এখনই।

এই ঘটনা ঘটেছিল আমার সাথেও

০৭ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:০৩

নুরুল পলাশ বলেছেন: ধন্যবাদ

১১| ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:১৭

বোকামানুষ বলেছেন: সুমন কর বলেছেন: শেয়ার করাতে ভালো হলো, সবাই জানতে পারলাম।

যদিও আপনার জন্য খারাপ লাগসে তবুও আল্লাহর রহমত বড় ক্ষতির হাত থেকে বেছে গেসেন

০৭ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:০৩

নুরুল পলাশ বলেছেন: আল্লাহ ভরসা। এদের হাত থেকে আল্লাহ সবাইকে রক্ষা করুন।

১২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:২৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধন্যবাদ বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় শেয়ার করেছেন।

০৭ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:০৪

নুরুল পলাশ বলেছেন: সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

১৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:৩৬

সুফিয়া বলেছেন: যারা এতো স্টাডি করে এতো নিখুত প্ল্যান বানিয়ে সরল মানুষকে বোকা বানিয়ে মানুষের পকেট কেটে সর্বস্বান্ত করে দেয়, তারা যদি তাদের এই টেকনোলজি দেশের বা সমাজের অথবা নিদেনপক্ষে নিজের পরিবারের উন্নয়নে কোন সৎ পন্থায় ব্যবহার করতো, তাহলে দেশ অনেক এগিয়ে যেতো।

একদম ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।

০৭ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫

নুরুল পলাশ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

১৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯

সরদার হারুন বলেছেন: সমস্ত পৃথিবীটাই প্রতারণায় ডুবে আছে।অপনার ঘটনাটা যদি সাহিত্য সত্য না হয় তাহলে আমারা সাবধাস হলেম.। আপনাকে ধন্যবাদ।

০৭ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:০৭

নুরুল পলাশ বলেছেন: ঘটনাটি আপনার সাথেই ঘটেছে। মাত্র ২ সপ্তাহ আগে।

১৫| ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:০৮

এসএতুিহন বলেছেন: রক্তে নোংরা মানুষ দ্বারা নোংরামিই সম্ভব ভালো কিছু নয়। তাদের অভিনব বুদ্ধিকে স্বাগত জানানোর কিছুই নেই। এ বুদ্ধি সাময়িক কাজে লাগলেও পরক্ষেনেই স্বার্থানেষী ও ধংসাসী হয়। লোভ, অজ্ঞতা, চক্ষু লজ্জা বা ভদ্রতার মাসুলে অনেকেই দৈনন্দিন জীবনে ছোট বড় প্রতারিত হচ্ছি। সামাজিক অবস্থা ও সম্পদের বৈসম্য, অনিশ্চিত ভবিষ্য, অপ্রতিকুল পরিস্থিতিই আমদের অভিশপ্ত ও নোংরা করছে। অল্প বা অর্ধ শিক্ষিত মানুষের থেকে শিক্ষিত মানুষ দ্বারা এ সমাজে সবচেয়ে বেশী নির্যাতিত। দাতা বা বিচারকই আজ শোষক।

০৭ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:০৯

নুরুল পলাশ বলেছেন: সহমত। নিজস্ব বিবেক জাগ্রত আর সৎ না হলে সমাজের ভবিষ্যৎ অমানিশায় ভরে যাবে

১৬| ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৪০

িনলাকাশ বলেছেন: ভাই, এইখানে বিকাশ জালিয়াতি টা করল কই? জালিয়াতি করল তো লোকটা। হেডলাইন দেখে তো মনে হয় সব দোষ বিকাশের।

০৭ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:১৭

নুরুল পলাশ বলেছেন: বিকাশ অর্থ লেনদেন এর একটি জনপ্রিয় মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। তাই বিকাশ কর্তৃপক্ষ যত্রতত্র একাউন্ট না খুলে যদি ব্যাংকের ন্যায় জাতীয় পরিচয় পত্র, ছবি, যাবতীয় ঠিকানাসহ রেকর্ড সংরক্ষণ করতো তাহলে মানুষ প্রতারিত হলে প্রতারকের একাউন্টের তথ্য নিয়ে পুলিশে জানানোর সুযোগ পেতো। কিন্তু মোবাইল কোম্পনীর মতো কোন যাচাই বাছাই না করে শুধু ব্যবসার কথা মাথায় রেখে ব্যাঙের ছাতার মতো একাউন্ট খোলায় গ্রাহক প্রতারিত হলেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না।

১৭| ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:১২

মহাজাগতিক পাগল বলেছেন: এত প্লান প্রোগ্রাম আর স্টাডি করে জালিয়াতি করলে মানুষ যত বুদ্ধিমান ই হোক কিছু করার থাকে না । আপনার জন্য রইল সমবেদনা । তবে আপনার পোষ্ট এর শিরনাম দেখে ভড়কে গিয়েছিলাম । ভেবেছিলাম জালিয়াতি টা খোদ বিকাশ করছে । পরে বুঝলাম জালিয়াতি টা বিকাশের মাধ্যমে হচ্ছে । আমার মনে হয় শিরনামে কিছুটা পরিবর্তন আনা উচিত । আর উপরে একটি কমেন্টে আপনি অভিযোগ করেছেন যে " বিকাশ কর্তৃপক্ষ যত্রতত্র একাউন্ট না খুলে যদি ব্যাংকের ন্যায় জাতীয় পরিচয় পত্র, ছবি, যাবতীয় ঠিকানাসহ রেকর্ড সংরক্ষণ করতো তাহলে মানুষ প্রতারিত হলে প্রতারকের একাউন্টের তথ্য নিয়ে পুলিশে জানানোর সুযোগ পেতো। "

আপনার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে বিকাশ কর্তৃপক্ষ জাতীয় পরিচয় পত্র, ছবি, যাবতীয় ঠিকানাসহ রেকর্ড সংরক্ষণ করে । এই ডকুমেন্ট ছাড়া বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলা যায় না ।

০৮ ই জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:১৪

নুরুল পলাশ বলেছেন: মন্ত‌ব্যের জন্য অাপনা‌কে ধন্যবাদ।
অামাার প্রশ্ন হ‌চ্ছে য‌দি বিকাশ না হ‌য়ে কোন ব্য‌ক্তির ব্যাংক একাউন্টে প্রতারক টাকাটা পাঠা‌তে বল‌তো তাহ‌লে তো প্রতারক‌কে সহ‌জেই ধরা যে‌তো। তাহ‌লে বিকা‌শে কেন তা পার‌ছি না ? বিকাশ কেন তা‌দের লেন‌দেন ব্যাং‌কের ম‌তো সি‌স্টে‌মে কর‌ছে না? ? কেন অপরাধী‌কে প্রতারনা করার সু‌যোগ ক‌রে দি‌চ্ছে ? ? ? ?

১৮| ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৫০

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: বেশ কিছুদিন আগে আরেকজন ব্লগার এমন ধোকায় পরছিলো !

১৯| ০৮ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:২৪

মুরাদ খান বলেছেন: সাধু সাবধান

০৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:২০

নুরুল পলাশ বলেছেন: সময় থাকতেই

২০| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:১৫

আনিস শাবি বলেছেন: আমার ধারনা আসন্ন ঈদে একই পন্থায় ওরা বাসের টিকিটের কথা বলে অনেকের পকেট কাটবে। তাই সাবধান

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.