নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমালোচনা যদি গঠনমূলক হয়, তা অনেক বেশি শিক্ষণীয় হয়। তর্কের খাতিরে তর্ক করা এক অসহ্য অভিবেক্তি।

নুরুল পলাশ

অপাংথেয় বাঙ্গালী

নুরুল পলাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অভিনব প্রতারণা এবং আমাদের সচেতন ব্রেইন!

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৪৯

অভিনব প্রতারণা এবং আমাদের সচেতন ব্রেইন!
----------------------------------------------------

নেহায়তই সত্যি ঘটনা।

নিশি এবং তার স্বামী দু'জনই আমার সহপাঠী এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আমেরিকা থেকে ঈদ করতে এসেছে ঢাকায়। দু'জনেরই হাইটেক কোম্পানীতে চাকুরী। ব্যস্ত জীবন। ঢাকায় এসে এখনো জেটলেগ কাটেনি। তবে গতকাল ভোরে তাদের ঘুম ভাঙ্গে আমাদের আরেক ঘনিষ্ঠ বন্ধু কণিকার মা'র ফোনে।

কণিকাও আমাদের সহপাঠি এবং কাছের মানুষ। থাকে আমেরিকায়, কাজ করে একটি হাইটেক কোম্পানীতে। কিছুদিন হলো বিয়ে করেছে। মি. রাইট-কে পায়নি বলে এতোদিন আর বিয়ে করা হয়ে ওঠেনি। বুয়েটে এবং তারপর আমেরিকায় লেখাপড়া করা তুখোড় ছাত্রী কণিকার রুচিবোধ এবং চিন্তাভাবনা সাধারণের চেয়ে অনেক উন্নত - অন্তত আমার কাছে তাই মনে হয়। বুয়েটের ছেলেমেয়েরা সাধারনত বাস্তব জীবনে বুয়েটের বাইরে আসতে পারে না। বুয়েট থেকে পাশ করে বিশাল দুনিয়াতে প্রবেশ করলেও, বেশিরভাগের জীবন আটকে থাকে বুয়েট বলয়ে। সেই বলয় থেকে কেউ কেউ বের হতে পারে বটে। কণিকা তার ভেতর একজন।

কণিকার মা-বাবা উচ্চ শিক্ষিত। ওর বাবা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। বর্তমানে অবসর যাপন করছেন। থাকেন নিজের বাড়ি উত্তরায়। তাদের বয়স হয়েছে। শরীর সবসময় নিজের কথা শোনে না। মেয়ে বিয়ে করছে না দেখে তাদের যা দুঃখ ছিল, সেই দুঃখের শেষ দেখতে তারা ঢাকা থেকে আমেরিকা যেতে পারেন নি। মেয়ে এবং জামাইকে একসাথে দেখতে পাওয়ার দুঃখ তাদের নিশ্চই এখনও কাটেনি। যেটকু দেখা, তার কৃতিত্ব পুরোটাই স্কাইপের।
২.

গতকাল ভোর বেলা কণিকার মা-বাবার বাড়িতে আসেন একজন নারী; পোষাকে অত্যন্ত স্মার্ট - ব্যবহারেও তাই। একটি লাল রঙের গাড়িতে করে তিনি এসেছেন। সিড়ি বেয়ে চার তলায় উঠেই তিনি কণিকার মাকে জড়িয়ে ধরেন। বলেন, খালাম্মা আমি কণিকার বন্ধু, আমেরিকায় থাকি। ওর বিয়েতে তো আপনাদেরকে দেখিনি। খুব খারাপ লেগেছে। আমরা ঈদ করতে ঢাকায় এসেছি। তাই ভাবলাম আপনাকে একটু দেখে যাই।

কণিকার মা খুবই নরম টাইপের একজন নারী। আমাদের সাথে টেলিফোনে মেয়েকে নিয়ে কথা বলার সময়ও কেঁদে ফেলেন। সেই মেয়ের আরেক বন্ধু যখন আমেরিকা থেকে বেড়াতে এসে তাকে দেখতে গিয়েছে, তাতে তিনি কতটা খুশি হয়েছেন তা আমি দূরে বসেও বুঝতে পারি। খালাম্মা খুশিতে কেঁদে ফেললেন।

মেয়েটি খালাম্মাকে জড়িয়ে ধরে বললো, কণিকার খুব ভালো বিয়ে হয়েছে। আমরা তো বিয়েতে অনেক মজা করেছি। আপনারা যেতে পারলে আরো মজা হতো।

খালাম্মা আঁচলে চোখ মুছে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার নাম কী মা?
মেয়েটি বললো, শিল্পী। আমি নিশি'র মামাতো বোন। আমরা অনেক দিন ধরেই আমেরিকায় থাকি। আপনার সাথে কখনো দেখা হয়নি।
খালাম্মা আবারো জিজ্ঞেস করলেন, তোমার হাসব্যান্ড কী করেন?
শিল্পী উত্তর দেয়, ও ডাক্তার। বেশ নামকরা ডাক্তার। ওখানে সবাই চেনে ওকে।
খালাম্মার পরের প্রশ্ন, তোমার হাসব্যান্ড আসে নাই?
শিল্পী খালাম্মাকে সাথে করে ভেতরের ঘরে চলে গেলো। তারপর বিছানার উপর বসে বললো, এসেছে খালাম্মা। আমার ছেলে আইসক্রিম খেতে চেয়েছে। ওর বাবা ওকে নিয়ে আইসক্রিম কিনতে গিয়েছে। একটু পরেই আপনাকে দেখতে আসবে।

খালাম্মা আরো খুশি হয়ে যান। তার ছেলেমেয়ের বন্ধুরাও তার ছেলেমেয়ের মতো। আমরা কখনও তার বাসায় গেলে না খেয়ে আসতে দেন না। পাশে বসিয়ে নিজ হাতে তুলে খাওয়াবেন। একজন পরিপাটি বাঙ্গালী মা বলতে যা বুঝায়, তার চেয়েও বেশি করেন তিনি। মেয়ের বন্ধু এবং তার স্বামী তাদেরকে দেখতে এসেছে। খুশি হওয়ারই কথা। খালাম্মা জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের বাসা কোথায়?
শিল্পী উত্তর দিল, উত্তরায়। এই ব্লকেই। রাস্তার উল্টো দিক।
খালাম্মা আবার জিজ্ঞেস করেন, তোমরা কতদিন থাকবে?
শিল্পী হাসতে হাসতে বললো, এই মাসের আটাশ তারিখে চলে যাবো। আপনি যদি কণিকা কিংবা জামাইয়ের জন্য কিছু পাঠাতে চান তাহলে আমাকে দিতে পারেন। আমাদের বাচ্চা আছে তো। লাগেজ বেশি পাই। স্যুটকেসে জায়গা আছে। অসুবিধা হবে না।
খালাম্মা আরো খুশি হয়ে যান। বলেন, ঈদে মেয়েটাকে কিছু পাঠাতে পারলাম না। আর নতুন জামাই। জামাইকেও কিছু দিতে মন চায়। তুমি নিতে পারলে খুব খুশি হবো, মা। আল্লাহ তোমাদের সুখে রাখুক। তোমাদের ঈদের কেনা-কাটা শেষ?
শিল্পী মুখ কালো করে বললো, না খালাম্মা। খুব ঝামেলায় পড়ে গেছি। আমরা তো ডলার নিয়ে এসেছিলাম। এখন তো কোথাও ডলার ভাঙ্গাতে পারছি না। ঈদের ভেতর ড্রাইভার আর বুয়াদের টাকা দেবো, সেটাও পারছি না। এখন ওদের ঈদটাও মাটি হবে।

কণিক এবং ওর পরিবার হলো এমন যে, ওরা ওদের বাসার কাজের মানুষ, ড্রাইভার তাদের ছেলেমেয়েদেরকে লেখাপড়া করায়। আর সেখানে তাদের ঈদ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে! খালাম্মার মন আরো গলে গেল। তিনি বললেন, বলো কী!
শিল্পী আরো মন খারাপ করে বললো, দ্যাখেন না খালাম্মা! কী বিপদে পড়েছি। এখন এমন সময়, কোথায় গিয়ে যে ডলার ভাঙ্গাবো বুঝতে পারছি না। আপনার কাছে কিছু ডলার দিয়ে দেই। অল্প কিছু টাকা দিতে পারবেন খালাম্মা। তাহলে খুব উপকার হয়। লজ্জার হাত থেকে বাঁচি।
খালাম্মা বললেন, আমার কাছে তো তেমন কোনও টাকা থাকে না।
শিল্পী অনুরোধ করে বললো, দ্যাখেন না খালাম্মা। দু-তিন শ' ডলার হয় কি না? বিশ পচিশ হাজার টাকা হলেও ঈদ পর্যন্ত চলে যাবে। এই বলে শিল্পী ব্যাগ থেকে ডলার বের করে দেয়।
খালাম্মাকে আমি যতটুকু চিনি, তাকে গিয়ে যদি আমি বলি যে আমি বিপদে পড়েছি, একটু সাহায্য করেন - আমার ধারনা তার কাছে টাকা না থাকলে নিজের গয়না এনে আমার হাতে তুলে দেবেন। এখানেও তিনি তাই করলেন। তিনি শিল্পীকে বসতে বলে চলে গেলেন নিজের ঘরে। সেখানে ঈদের খরচের জন্য কণিকার বাবা কিছু টাকা ব্যাংক থেকে তুলে এনেছেন। খালাম্মা জানেনও না সেখানে কত টাকা আছে। তিনি টাকার বান্ডলটি নিয়ে এসে শিল্পীর সামনেই গুনতে থাকেন।
খালাম্মার টাকা গুনতে সমস্যা হচ্ছিল। সেটাই স্বাভাবিক। তার উপর টাকার বান্ডেল শক্ত করে স্ট্যাপল করা। শিল্পী বললো, খালাম্মা আমাকে দেন, আমি গুনে নিচ্ছি। আমি তেইশ হাজার নিচ্ছি। আর আপনাকে তিনশ' ডলার দিচ্ছি। ব্যাংককে গেলে আরেকটু বেশি পেতাম। কিন্তু আপনি উপকার করছেন, তাতেই খুশি।
খালাম্মা বললেন, আমি এতো হিসাব বুঝি না। তুমি গুনে নাও। বলেই টাকার বান্ডেলটি শিল্পীর হাতে তুলে দিলেন।
শিল্পী টাকা গুনতে শুরু করে। তখন হঠাৎ করেই ব্যাগ থেকে মোবাইলটা বের করে কথা বলে শিল্পী। মোবাইল ফোনটা রেখে দিয়ে বলে, খালাম্মা আমার হাসব্যান্ড এসে গেছে। আপনি একটু তাড়াতাড়ি কাপড়টা চেঞ্জ করে নেন।
খালাম্মার কী যেন মনে হলো। তিনিও কাপড় চেঞ্জ করতে নিজের ঘরে চলে গেলেন। একটু পর ফিরে এসে দেখেন, শিল্পী আর ঘরে নেই। টাকার বান্ডেলও নেই। ডলারও নেই!
মুহুর্তেই তিনি চিৎকার করে ওঠেন, এই এটা কী হলো! মেয়েটা কই গেল?
খালাম্মার চিৎকারে পাশের রুম থেকে খালু বের হয়ে এসে বললেন, কী বলছো তুমি, কিসের মেয়ে?
খালাম্মা ততক্ষণে বুঝতে পারেন, কী ভুলটাই তিনি করে ফেলেছেন। খালু বারান্দা দিয়ে দাড়ওয়ানকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন কোনও মেয়ে বাইরে গেছে কি না?
ততক্ষণে মেয়েটি অনেক দূর চলে গেছে।
৩.

নিশি আমাকে ঘটনাটি বর্ণনা করে, তারপর একসাথে অনেকগুলো প্রশ্ন ছুড়ে দিল, যা সে খালাম্মাকেও করেছে। তার একটির সঠিক উত্তরও পাওয়া যায়নি।
ক). মেয়েটি বলেছিল, সে কণিকার বন্ধু; এবং নিশির মামাতো বোন। কণিকার কোনও বন্ধুকে খালাম্মা চেনেন না, তা হবার নয়। কিন্তু তিনি সেটা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন নি। তারপর নিশি নিজেও এখন ঢাকায়। সেটা খালাম্মা জানেন। তাহলে তার ভেতর প্রশ্ন জাগেনি, নিশির মামাতো বোন ডলার ভাঙ্গাতে নিশির বাসায় না গিয়ে তার বাসায় এসেছে কেন? নিশি'র বাসাও উত্তরায়।

খ). শিল্পী নামে নিশি, কণিকা কিংবা আমাদের চারপাশে কোনও বন্ধু নেই। তাহলে খালাম্মা আরো কিছু নিশ্চিত হলেন না কেন?

গ). তার মেয়ের বিয়ে হয়েছে, এবং সেটা আমেরিকাতে - সেটা শিল্পী জানলো কিভাবে? কণিকার বন্ধুর নাম নিশি, সেটাও সে জানলো কিভাবে?

ঘ). মেয়ের বিয়েতে তারা উপস্থিত থাকতে পারেন নি, সেটা শিল্পী নামের মেয়েটি জানলো কিভাবে?

ঙ). মেয়েটি বলেছিল, তার হাসব্যান্ড ছেলেকে নিয়ে আইসক্রিম কিনতে গিয়েছে। এতো ভোরে আইসক্রিম কিনতে যাবে কে?

চ). আমরা কণিকাদের বাসায় গেলে বাইরে ড্রয়িং রুমে বসি। কিন্তু শিল্পী খালাম্মাকে নিয়ে ভেতরের দিকে কণিকার ঘরে চলে গিয়েছিল। খালাম্মা এতো সহজেই একজন নতুন মানুষকে ভেতরের ঘরে যেতে দিলেন কিভাবে!

ছ). কণিকার বাবা ঠিক পাশের রুমেই ছিলেন। তিনি কোনও কিছু ঘুনাক্ষরেও টের পেলেন না! সে কারণেই কি ভোর বেলাটাকে বেছে নেয়া হয়েছিল?

জ). টাকার বান্ডেল খালাম্মা মেয়েটির সামনে নিয়ে এলেন কেন? আর আনলেনই যখন, তখন মেয়েটির হাতে দিয়ে নিজে কাপড় চেঞ্জ করতে ভেতরে চলে গেলেন কিভাবে? শিল্পীর হাসব্যান্ড বাড়িতে আসলে বাইরের ঘরে বসবে। তাড়াহুড়ো করার তো কিছু নেই!

ঝ). শিল্পী যাই বলছিল, খালাম্মা মন্ত্রমুগ্ধের মতো সেই ইনস্ট্রাকশন ফলো করছিলেন। খালাম্মাকে কি হিপনোটাইজ করা হয়েছিল? তাহলে কিভাবে?

ঞ). এতো দ্রুত মেয়েটি বের হয়ে গেলো কিভাবে? ট্রেনিং?
৪.

ঘটনাটি শোনার পর চারপাশের মানুষকে জিজ্ঞেস করলাম। এমন অসংখ্য ঘটনা প্রায় সবাই জানে। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় এভাবে সংঘবদ্ধ একটি গোষ্ঠি প্রতারণার নতুন কৌশল অবলম্বন করে এভাবে মানুষকে ঠকাচ্ছে। পুলিশের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বললাম। তারা জানালো, এমন ঘটনার কথা তারাও মাঝে মাঝে শুনতে পান, কিন্তু এগুলো সাধারণত থানা পর্যন্ত আসে না। কেউ হয়তো আর বাড়তি ঝামেলায় জড়াতে চান না। তবে পুলিশ আরেকটি ভয়ংকর তথ্য দিল। আমরা মাঝে মাঝে শুনি, বিভিন্ন বাসায় খুন হয়েছে। অনেকক্ষেত্রে এই ধরনের এনকাউন্টারে তারা খুন করে পালিয়ে যায়। শিল্পী নামের মেয়েটি যে রিস্ক নিয়ে অন্য আরেকটি বাসায় ঢুকে পড়েছে; তার নিজের ধরা পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। এবং সে একা এই কাজের সাথে জড়িত তা তো নয়। যখন সে অপারেশনে যায়, বাড়ির নিচেই হয়তো তাদের অন্যান্য কর্মীরা থাকে। যখন ধরা পরার মতো অবস্থা তৈরী হয়, তখন কাউকে মেরে হলেও তারা পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। রাজধানীর অনেক খুনই হয়তো এভাবে হয়ে থাকে।
৫.

আমার কাছে মনে হয়, ফেসবুক তথ্য চুরির একটি বড় জায়গা। ফেসবুকে আমরা এতো প্রাইভেট বিষয়গুলো সবার সাথে শেয়ার করি, সেখানে খুব সহজেই বুঝে ফেলা সম্ভব, আপনি কে, আপনার বন্ধুরা কে, আপনার মা-বাবা কোথায় থাকেন, আপনি কবে বিয়ে করেছেন, আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড কী, ইত্যাদি। এতো সব তথ্য যদি হাতের কাছে থাকে, তাহলে সেখান থেকে কাউকে কাউকে টার্গেট করে তথ্য নিয়ে গল্প ফাঁদা তো খুব কঠিন কিছু নয়।

যারা প্রবাসে থাকেন, তাদের জন্য ছোট একটি পাদটিকা। আপনার কর্মকান্ডের জন্য বাংলাদেশে আপনার মা-বাবার জীবন ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। তাদেরকে জানিয়ে রাখুন, আপনাদের নাম বলে কেউ তাদের কাছে সাহায্য চাইতে গেলে কিংবা কোনও কিছু বলতে গেলে, তারা যেন বিষয়টি ভেরিফাই করেন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৫

আজমান আন্দালিব বলেছেন: হুমম..চিন্তার কথা...প্রতারণার অভিনব প্রথা!

২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:০৭

নিউ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ, খুবই গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট দিয়েছেন।

খালাম্মাদের বাসায় খুব সম্ভবত টিএনটি লাইন আছে আর উনারা টিএনটি তে আমেরিকায় কথা বলে থাকে। আমার খুব কাছের রিলেটিভ ও একই ঘটনার শিকার। উনাদের বাসায় যেই মেয়ে এসেছিল, সে খুবই স্মার্ট, নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়েছিল। মেয়েটির উচ্চতা প্রায় ৫'১০" হবে। পরে অনেক এনালাইজ করে বোঝা যায় যে, এ গ্রুপগুলো টিএনটি লাইন ট্র্যাক করে ইনফরমেশন হাতিয়ে নেয়, এরপর অপারেশনে নামে।
যাদের রিলেটিভস দেশের বাইরে থাকে তাদের সতর্ক হওয়া দরকার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.