নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার আল্লাহ আমাকে একজন নারী হিসাবে সৃষ্টি করেছেন আর আল্লাহর সিন্ধান্তে আমি সন্তুষ্ঠ আছি।

ওমেরা

শালীনতাই সৌন্দর্য্য

ওমেরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

পথে চলতে চলতে ( পর্ব ৫)

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৩৭



সুইডেন আসার পর এদেশটাকে দেখে মুগ্ধ ও অবাক হয়েছিলাম সেই ছোটবয়সে। রাস্তা-ঘাট,ঘরবাড়িগুলো এত সুন্দর প্লান করে বানানো ! প্রতিটা বাড়ির সামনে বাচ্চাদের খেলার পার্ক,প্রতিটা রাস্তার সাথেই ফুটপাত , সাইকেলের জন্য আলাদা লেন আছে । গহীন জংগলের ভিতরেও কত সুন্দর হাঁটার রাস্তা ! একটু পরপর বেঞ্চ পাতা ও ময়লার বিন রাখা আছে। যেখানে যেই জিনিটার দরকার সেখানে ঠিক সেই জিনিসটাই আছে। রাস্তা-ঘাট, বাসাবাড়ি,অফিস আদালত গুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন। ট্রেন ষ্টেশনগুলো ঝকঝক করছে | বাস ট্রেনের সিটে ছেড়া ফুটা বা ময়লা নেই। রাস্তার ধারে ময়লা পলিথিনের স্তূপ নেই।

প্রথম যেদিন আমাদের প্রতিবেশী এভার সাথে হাঁটতে বেরিয়েছি সাথে তার কুকুর। কুকুর একটু পর পায়খানা করেছে।সেটা রাস্তায় ছিল না জংগলের ভিতরে ছিল,কিন্ত আমি অবাক হয়ে ছিলাম,দেখি এভা তার জ্যাকেটের পকেট থেকে ছোট কালো পলেথিন বের করে পায়খানা তুলে পাশেই ময়লা ফেলার বিনে ফেল্ল। এভার সাথে যখনই হাঁটতে যেতাম তাকে দেখতাম রাস্তায়, গাছের কোন ডাল,বা কোন কাগজ পেলে সেটা তুলে জায়গা মত ফেলে দিত।রাস্তায় গারির জ্যাম নেই, দোকান পাটে ভির নেই। বাসার ভিতর মশা, মাছি নেই | পানি যায় না, কারেন্ট যায় না। সব কিছুই চলছে সুশৃংখল ভাবে, সবাই সব নিয়ম কানুন সঠিক ভাবে মেনে চলছে ,এমনকি এস্কেলেটর দিয়ে উঠা- নামা করার সময়ও সবাই নিয়ম মেনে চলছে।যত তাড়াই থাক কেউ কাউকে টপকে আগে যাচ্ছে না। আমাদের দেশে যেন নিয়ম ভাংগাই নিয়ম । আমরা দেশের মানুষগুলোও এসব দেশে এসে ভদ্র হয়ে যাই,সব নিয়মই মেনে চলি কিন্ত এই আমরাই দেশে যেয়ে আবার নিয়ম ভঙ্গ করি।

আমাদের অনেক কিছু নেই | আমাদের বিত্ত বৈভব এই দেশগুলোর মতো না, টেকনোলজিতে আমরা অনেক বছর পিছিয়ে ।আরো অনেক কিছুতেই আমাদের দেশের সাথে এদের কোনো তুলনা চলে না ।| কিন্তু একটা জায়গায় আমরা কিন্তু এদের চেয়ে এগিয়ে আছি বলেই আমার ধারণা । সেটা হলো সামাজিকতায় আর ভালোবাসায় । এদেশে আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু ঘটনা বলি ।|

ক্লাস সিক্স থেকে ক্লাস নাইন পর্যন্ত স্টেফিনা নামে একটা মেয়ের সাথে আমি বেশ মিশতাম ।অন্যদের চেয়ে তাকেই আমার একটু ভাল মনে হত যদিও ক্লাসে আরো বিদেশী বা মুসলিম মেয়েও ছিল | স্টেফিনার সাথে মিশার আমার একটাই উদ্দেশ্য ছিল তার কাছ থেকে আমি সঠিক উচ্চারনে সুইডিশ শিখতে পারব । তবে সেটাও যে খুব বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল তাও বলা যাবে না । ক্লাস নাইনের শেষ দিকে সেই আগ্রহ করে বল্ল , আমাদের তো স্কুল শেষ হয়ে যাচ্ছে আমরা দুইজন কলেজে চলে যাচ্ছি হয়ত আমাদের আর দেখা হবে না, চল আমরা একদিন এক সাথে খাই । আমি তো কারো বাসায় যাই না, তাহলে একদিন তুমি আমাদের বাসায় আস ? সে বল্ল, না কারো বাসায় যাব না , আমরা এক সাথে রেস্টুরেন্টে খাব । আমি বললাম, ‘ঠিক আছে’। তখন স্টেফিনা নামী দামী এক সুইডিস রেস্টুরেন্টে নাম বলে আমাকে বললো, ‘শনিবার সন্ধ্যায় তুমি ওখানে এস’।

আমি শনিবার দিন একটু আগেই বের হয়ে তার জন্য একটা গিফ্ট কিনলাম (যেহেতু সে আমাকে খাওয়াবে তাই তার জন্য গিফট কেনা একটা সাধারণ সৌজন্য)। রেস্টুরেন্টে পৌঁছে দেখি সে আমার আগেই এসেছে। ‘আস, আস আমরা খাবার নিয়ে আসি’ । লাইনে সে আগে আমি পিছনে দাঁড়িয়েছি |
তার সিরিয়াল আসলে সে খাবার অর্ডার করে টাকা পেমেন্ট করে, আমাকে বলে তুমি তোমার মত খাবার পছন্দ করে পেমেন্ট করে এদিকে এস খাবার নেওয়ার জন্য । তার কথায় আমি এতটা সারপ্রাইজড হয়েছিলাম, যা কখনো ভুলব না । কিন্ত সমস্যা হল আমি যে খাবার অর্ডার করলাম ( যদি ঐ রেস্টুরেন্টের সব চেয়ে কম দামী খাবার) আর তার যা বিল আসল সে টাকাও আমার কাছে নেই । রাগে আর লজ্জায় আমার চোখে পানি আসার অবস্থা । কিন্ত এত মানুষের সামনে তো এটা করা যাবে না ! তখন তার কাছ থেকেই বাকী টাকাটা ধার করলাম। আমিও কি কম নাকি ! তার জন্য কেনা গিফ্টটা তাকে না দিয়ে পরের দিন সেটা দোকানে ফিরত দিয়ে টাকা নিয়ে সেই টাকাই তাকে দিয়ে দিলাম। হা হা হা !

আমাদের প্রতিবেশী এভা’র তার স্কুলে খুব ঘনিষ্ট এক বান্ধুবী ছিল এখনো আছে, তখন তাদের একটা কমিটমেন্ট ছিল তারা যতদিন বেঁচে থাকবে যত ব্যাস্ততা আর যেখানেই থাক ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় তারা একটা রেস্টুরেন্টে তারা খাবে ও কিছুটা সময় তারা একত্রে কাটাবে। খুবই আশ্চার্য লাগে এখনও (১৫-৬২ বছর) তারা একবারের জন্যও এটা মিস করে নাই, যদিও তারা দুজন দুই শহরে বাস করে বছরে হয়ত তেমন কথাও হয় না। তাকে একদিন জিজ্ঞেস করে ছিলাম, আচ্ছা তোমরা কি ভাবে খাও, এক বছর সে তোমাকে খাওয়ায়, আরেক বছর তুমি তাকে খাওয়াও এভাবে ? এভা না, তা কেন হবে, সে তার টাকা দিয়ে খায় আমি আমার টাকা দিয়ে খাই। একসাথে বসি কিছুক্ষন গল্প করি এই আর কি।
তখন মনে মনে ভাবলাম তাহলে ইষ্টেফিনা ঠিকই আছে আমার সাথে তো বন্ধুত্ব তো এতটু নয় আর সে তো বলেছে আমারা একত্রে খাব, সে আমাকে খাওয়াবে তাতো বলে নাই। আমারই বুঝার ভুল ছিল।আসলে বয়স কম ছিল তো এই সব ছোট খাট বিষয়গুলো মনে দাগ কাটত।

বিদেশে থাকি বলেই যে আমার দেশের প্রতি মায়া বা ভালবাসা অন্য অনেকের চেয়ে বেশি আমি সেটা কখনোই বলিনা বা দাবি করি না | তবে আমার দেশ সম্পর্কে কেউ খারাপ কিছু বল্লে আমার খুব কষ্ট হয়, একেবারে আমার বুকের ভিতরে লাগে সেটা। মানুষের জন্য আমাদের ভালোবাসার ক্ষমতা এই দূর বিদেশে আমাকে দেশকে নিয়ে আরো একবার গর্বিত হবার সুযোগ কর দিলো কিছুদিন আগে |

স্কুলে আমার প্রোগ্রামের পড়ার অংশ হিসেবে একবার এক ডাক্তারের সাথে এপয়েন্টমেন্ট করতে হলো | ডক্টর ডবিড | তার সাথে কিছুদিন কাজ করতে হবে যদি সুযোগ পাওয়া যায় | সে শুরুতেই আমাকে প্রশ্ন করে তুমি কোন দেশ থেকে এসেছ? ডক্টর ডবিড
-‘বাংলাদেশ’। আমি বলি ।
-‘হ্যা, হ্যা এই দেশটাকে আমি চিনি,মানে টিভিতে দেখেছি | খুব গরীব আর ছোট একটা দেশ, অনেক মানুষ প্রতি বছর বন্যা আসে তাতে অনেক মানুষ মারা যায়’ উনি বলেন ।
-‘আচ্ছা তুমি কি ড: ইউনুসের নাম শুনেছ’? মেজাজটা করে আমি জানতে চাই ।
-ড: ইউনুস !! ওহ্ হ্যা, তুমি কি নবেল লরিয়েট ড: ইউনুসের কথা বলছ?
- ‘জী, সে কিন্ত আমার দেশের’।
-‘সুইট গার্ল তুমি কি আমার কথায় মাইন্ড করেছ’? উনি আমার চেহারা দেখে জিজ্ঞেস করেন।
-আচ্ছা আমি যদি তোমার পরিচয়ে বলি তোমাদের দেশের লোকেরা ভাইকিং ছিল, বা এখন তোমাদের দেশের নাম্বার ওয়ান আয়ের উৎস ( গোপন অস্ত্র রফতানী) তাহলে কি তুমি মাইন্ড করবে?
-‘আরে মেয়ে তুমি তো দেখি ভাল মাইন্ড করেছ’ ! ডক্টর ডবিড এবার বেশ জোরে হেসে বললেন |
-দেখ মাইন্ড করি বা না করি আমি তোমার সাথে কাজ করব না | আমি আমার সুপারভাইজার হিসাবে অন্য কাউকে চাই | উনি অবশ্য খুশী মনেই এটা হ্যান্ডওভার করে দেন এলিসা মানের এক মহিলা ডাক্তারের কাছে।

অক্টোবরের প্রথম দিকে(যখন আমার দেশে রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয়) একদিন ক্লাস শেষে স্কুলের পার্কিং লটের দিকে যাচ্ছি | গাড়ি ড্রাইভ করে বাসায় ফিরতে হবে | হঠাৎ শুনি ইয়ং লেডী, ইয়ং লেডী বলে কেউ ডাকছে । পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি একজন ভদ্রলোক আমার দিকে তাকিয়ে হাত নাড়ছেন । আমি তাকাতেই হাত ইশারায় কাছে যেতে ডাকছেন । আমি দূর থেকে প্রথমে তাকে চিনতে না পারলেও কাছে এসেই চিনতে পারলাম। ডক্টর ডবিড ! আর উনি এবারও বেশ উচ্ছসিত হয়েই বললেন, ‘ইয়ং লেডী, আমি তোমার দেশকে আর একটা রুপে দেখতে পেয়েছি যদিও তাও টিভিতেই ।কাজেই আমার ধারনাটা এখন পরিবর্তন হয়েছে, তোমার দেশ আয়তনে ছোট হলেও মানবিকতার দিক দিয়ে অনেক বড়’। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার ব্যাপারে আরও অনেক প্রশংসাই করলেন ডক্টর দবিদ । আমি এবার একটু গর্বের হাসি দিয়েই বললাম, আমাদের দেশ হতে পারে অনেক ধনী না, প্রতিবছর বন্যা হয় কিন্তু তবুও মানুষের জন্য আমাদের দেশের মানুষের ভালোবাসা হারিয়ে বা ভেসে যায় নি।আর আরেকটা কথা, আমার ধারনা কিন্ত তোমার সম্পর্কে সেই রকমই আছে’।

মন্তব্য ৭১ টি রেটিং +১৮/-০

মন্তব্য (৭১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৪৫

মলাসইলমুইনা বলেছেন: ওমেরা: খুব সুন্দর হয়েছে পথে চলতে চলতে-র এই পর্ব | বিদেশের প্রত্যেক দিনের জীবনে ঘটা ছোট ছোট কিছু ঘটনাকে স্মৃতির সাজানো ঘর থেকে তুলে এনে অসাধারণ করে কানেক্ট করেছেন হাজার মাইল দূরে ফেলে যাওয়া নিজের দেশের সাম্প্রতিক একটা অনন্যসাধাৰণ ঘটনার সাথে | হ্যা, সত্যি হাজার মাইল দূরে রেখে যাওয়া নিজের দেশটার অনেক বিত্ত বৈভব নেই ঠিকই কিন্তু মানবিকতার ডাকে সাড়া দিতে এই ছোট দেশটা সব সময়ই এগিয়ে গেছে নিজেদের শত সীমাবদ্ধতা থাকার পরেও | ইউওরপের উন্নত একটা দেশের বাসিন্দা হয়েও আপনি হাজার মাইল দূরে রেখে যাওয়া নিজের দেশকে নিয়ে আপনার এখনো যে গর্বটা অনুভব করেছেন সেটা অসাধারণ করে বলেছেন এই লেখায় | মুগ্ধতা মাখা লেখায় ভালোলাগা অনেক অনেক |

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৫৮

ওমেরা বলেছেন: ভাপু প্রথমেই এত সুন্দর একটা কমেন্ট করলে আমি কিন্ত চা,কফি দিতে পারব না !! তবে একটা না অনেকগুলো ধন্যবাদ আপনার জন্য আমার পক্ষ থেকে ভাপু ।

২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৫৩

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: দারুণ লাগলো আপু। নিজ দেশে পজেটিভ কিছু শুনলে সবারই গর্বে বুক ভরে ওঠে, এত সমস্যা থাকলেও দেশটাতো আমাদের ই।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:০১

ওমেরা বলেছেন: জী ভাইয়া ঠিক বলেছেন, হোক না ধুলা- বালির গন্ধে ভরা তবু তো আমার দেশ আমার জন্মভূমি। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৫৮

আমি মুরগি বলেছেন: এত ভাল লাগল! আমি অন্য পর্বগুলো পড়িনি! ভাবছি পড়ে নিব।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:০৬

ওমেরা বলেছেন: আচ্ছা, এর চেয়ে সুন্দর কোন নিক নেইম আপনি খুঁজে পাননি ? ভাল লাগার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:০৬

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: ব্লগ পোস্ট হিসেবে পোস্টটা একটু বড়ই ছিলো!

তবে পড়তে গিয়ে ক্লান্ত হয়নি!!

স্টেফিনার দোষ দিয়ে লাভ নেই! ওটাই যে ওদের কালচার!! আপনর বোঝার ভুলও আমি বলছিনে! কারন ওটাই আপনার কালচার!!


ড. ডবিজের ধারনার জন্য আমরাই অনেকটা দায়ী! আমাদের কারনেইতো আমরা নেতিবাচক হিসেবে মিডিয়ার শিরোনাম হচ্ছি!

আপনার শেষের ম্যাসেজটুকু দারুন(এর থেকে ভালো বিশেষণ মনে করতে পারছিনে) ছিলো! :)


++

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:১০

ওমেরা বলেছেন: লিখাটা মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন,দারুন পর্যালাচনা করেছেন তার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনার অবশ্যই প্রাপ্য । অনেক ধন্যবাদ।

৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:১৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাল লিখেছেন ওমেরা।
নিজের দেশ সবার কাছেই প্রিয়।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:১৪

ওমেরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সোহেল ভাইয়া।

৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:১৪

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: আপু ওমেরা,

আমরা যখন ঐসব দেশে অবস্থান করি তখন ভদ্রই থাকি। এদেশে এসে ভদ্র থাকতে না পারার কারণ পারিপার্শ্বিকতা। পাশের জন অভদ্রতার সাহায্যে আমার চেয়ে এগিয়ে গেলে আমার মাঝেও অভদ্রতা জেঁকে বসে। তখন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে অকে হারাতে আমিও অভদ্র হয়ে যাই; এটা স্বাভাবিক। ঐ দেশে এখানকার মত অভদ্র পারিপার্শ্বিকতা না থাকায় প্রভাব নেই, তাই আমি ভদ্র থাকি।

স্টেফিনা কোন চাপ ছাড়াই এমন ব্যবহার আপনাকে দিল কিন্তু বিপরীতে বাঙালি মানসিক চাপ ভুগ করার পর তার উপর প্রতিশোধ নেয়ার মত আনন্দ উপভোগ করলো। এমন ঘটনা বাঙালি প্রায়ই করে। তবে আপনার ঘটনা কিছুটা আনন্দ দিল, সেই সাথে আপনার ঐ সময়ের অবস্থার কথাও ভাবছিলাম।


খুব ভাল লেখার ভঙ্গি। ভালোলাগা থাকলো নিরন্তর।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:২৫

ওমেরা বলেছেন: ভাইয়া আপনি এক্কেবারে ঠিক বলেছেন এমন ঘটনাই ঘটেছে এবার আমি যখন দেশে গিয়েছিলাম।

আমার চোখে সমস্যা, চশমা ছারা চোখে তেমন দেখি না। এবার দেশে যাওয়ার সময় দুটো চশমা নিয়ে গিয়েছি, একটা আমার এক খালামনির বাসায় ফেলে এসেছি আরেকটা ভাইয়ার ছোট ছেলে আছার দিয়ে ভেংগে ফেলেছে।
ভাইয়ার এক বন্ধু চোখের ডাক্তার। আমাদের বাসার খুব কাছেই উনার চেম্বার । ভাইয়াই আমাকে ও ভাবীকে নিয়ে গেলেন। ওয়েটিং রুমে আরো বেশ কিছু লোক বসে আছে। আমার ভাইয়া ওয়েট না করে সরাসরি ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকে যাচ্ছে।ভাইয়াকে পিছন থেকে টেনে ধরলাম, ঘটনা কি? তুমি ভিতরে যাচ্ছ কেন সিরিয়াল দেও।

ভাইয়া, সিরিয়াল দেয়া লাগবে না সে তো আমার বন্ধু! আমি আশ্চার্য হয়ে তাতে কি ! তোমার বন্ধু তাই তুমি সুযোগ নিবা এইযে লোকগুলো বসে আছে তারা কি দোষ করেছে, তাদের সময়ের দাম নেই !
ভাইয়াকে টেনে সোফায় বসিয়ে দিয়েছি ।

একটু পর এক মহিলা কাউন্টারে এসে কত নাম্বার আছে ডাক্তারের চেম্বারে? ৩ নাম্বার ।
আমি গতকালকে সিরিয়াল দিয়ে রেখেছি ১ নাম্বারে।

রোগী দেখা শুরু হয়েছে চারটায় আপনি দেরী করেছেন।
মহিলা খুব চিল্লাচিল্লি করছে তখন কাউন্টার থেকে, ঠিক আছে এই রোগী বের হলে আপনাকে দিব।

আমার এত রাগ লাগছে, কেন উনাকে দিবেন কেন? সে সময় মত আসেনি তার জরিমানা হওয়া উচিত ( আমাদের এখানে এটাই হয়) আপনারা কেন তাকে আগে দিবেন ?
সে গতকালকে সিরিয়াল দিয়েছে ! তাতে কি !! সে সাতদিন আগেও যদি সিরিয়াল দেয় কিন্ত সে যদি সময়মত না আসে তার সে সিরিয়াল বাতিল হয়ে যাবে, তাকে ন
তুন সিরিয়াল নিতে হবে। মহিলা আমার উপর খুব রেগে, এই মেয়ে তুমি এসব বলার কে?
আমি কেউ না, আপনার সিরিয়াল ব্রেক না হলে আমার বলার কিছু ছিল কিন্ত এখন আপনি আগে যেতে পারবেন না।
মহিলা তুমি কই থেকে আসছ, আমাকে নিয়ম শিখাতে আসছ ,তুমি জান এই মহল্লা আমার ভাইয়ের ইশারায় চলে।
আমি আর বেশী কথা না শুধু বল্লাম, আমি আপনার আগে যাব পারলে আপনার ভাইকে এসে ঠেকাতে বলেন।
তখন ভাইয়াকে বল্লাম ভাইয়া এবার তুমি তোমার লাইনে কাজ করতে পার।ভাইয়া এবার হেসে এবার বুঝেছ আপুনি এটা বাংলাদেশ।


অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

৭| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৩৮

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: ওখানকার কিছু ছবি দিতে পারতেন?
জাপানেও খাবার বিল নিজেকেই পে করতে হয়।
বাঙালীরা অতিথি পরায়ন। বর্তমানে এখানে ১১ লাখ শরণার্থী, যা অনেক দেশের জনসংখ্যার চাইতেও বেশী। কিন্তু ইদানিং মানুষের বন্ধন দুর্বল হচ্ছে, সবাই আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৪০

ওমেরা বলেছেন: পাঠকের প্রতিক্রিয়া বেশ ভাল লাগল। অনেক ধন্যবাদ নিবেন ।

৮| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৫৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার লিখেছ ওমেরা !!
অনেক অনেক ভালোলাগা।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:০৪

ওমেরা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপুনি ।

৯| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:১২

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
হা হা হা হ হাসি হাসি কাঁদি আমার দেশের জন্য। শুধু দীর্ঘশ্বাস...

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:১৫

ওমেরা বলেছেন: জী, জী ভাইয়া ঠিক তাই!! আবারও ধন্যবাদ ভাইয়া।

১০| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৪০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: একেই বলে শিকড়ের টান।হাজার মাইল দুরে থেকেও মায়ের ডাকে সাড়া দিতে অসুবিধা হয় না।সাধেই বোধহয় মাইকেল মধূসুদন বলেছিলেন,'হে বঙ্গ ভান্ডারে তব বিবিধ রতন'
আর রোহিঙ্গা সমস্যা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকা অত্যন্ত মানবিক। তবে শুধু আবেগ দিয়ে এ সমস্যা মোকাবিলা করা যাবে না।দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার উপর এর চাপ পড়তে বাধ্য।রোহিঙ্গাদের সংখ্যাটা এক্ষেত্র উদ্বেগের।কুটনৈতিক বিষয় যাই হোক অতিথী পরায়ন বাংলাদেশের ভূমিকা প্রশংসার দাবি রাখে।
সর্বশেষে দিদিভাই ভাল আছেন নিশ্চয়? একজন সাধারন পাঠক হিসাবে মনে হল ,কলকাতায় বসেও যেন সুইডেনে ঘুরে এলাম।শুভেচ্ছান্তে।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৩২

ওমেরা বলেছেন: আলহামদুল্লিলাহ !ভাল আছি । আপনি কেমন আছেন ভাইয়া?
বড় লিখা ধৈর্য ধরে পড়ার জন্য আপনাকে বহু ধন্যবাদ ভাইয়া ।

১১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:২৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ওমেরা আপু
দারুন একখান গল্প পড়ার সুযোগ দিলেন।
ধন্যবাদ আপনাকে, সাথে বোনাস শুভেচ্ছা।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৫

ওমেরা বলেছেন: লিখটা একটু বড় কষ্ট করে পড়ার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

১২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:০০

সাহসী সন্তান বলেছেন: হাসি কান্নায় সংমিশ্রিত সুন্দর স্মৃতিকথা! গিফট ফিরাইয়া দিয়া সেই টাকায় মেয়েটার ঋণ শোধ করার জন্যই পোস্টে একটা লাইক দিলাম! আপনার জায়গায় আমি হইলেও হয়তো সেটাই করতাম, যেটা আপনি করছেন... B-))

পোস্টে ভাললাগা! শুভ কামনা জানবেন!

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৫১

ওমেরা বলেছেন: আপনার তো বলা উচিত ছিল ,” সে অধম বলিয়া আপনি কেন উত্তম হইলেন না” তবে না ভাবতাম আপনি ভাল মানুষ !! এখন তো মনে হচ্ছে আপনিও আমার মতই সংকীর্ণমনা।


অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।
আপনার লেখা পড়ে আরাম পাওয়া যায়।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:০২

ওমেরা বলেছেন: আচ্ছা!! আপনি কি ক্লাস ফাইবের ছাত্র ?? না,না এমনি বল্লাম, কিছু মনে করিয়েন না । অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ডঃ ডবিড-এর সাথে তোমার কথোপকথন পড়ে তোমার দেশপ্রেমের প্রশংসা না করে পারছি না। দেশকে এভাবেই সারাজীবন ভালোবেসে যেও।

ধন্যবাদ ওমেরা বুবু।

তোমার ছোট বোন নয়নতারা ভালো আছে। তেরো দিন বয়সেই একটু একটু দুষ্টামি শিখে গেছে। হাঃ হাঃ হাঃ।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৪১

ওমেরা বলেছেন: দোওয়া করবেন দাদুভাইয়া আমার জন্য। নয়নতারা ভাল আছে জেনে ভাল লাগল। আমার বোন তো দুষ্টমনি হবেই। অনেক ধন্যবাদ দাদু ভাইয়া।

১৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২০

কাতিআশা বলেছেন: দারুন উপলব্ধি আপনার দেশ সম্পর্কে..খুব ভালো লাগলো!

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৪২

ওমেরা বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।

১৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৩৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আপ্যায়নের ক্ষেত্রে আপনার ধারণাটাই বোধকরি পোষণ করেন বেশিরভাগ বাঙালি। এবং এটাই সঠিক মনে হয়।
দেশের প্রতি আপনার এতো অনুরাগ ভালো লাগলো।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:০৬

ওমেরা বলেছেন: দেশের প্রতি অনুরাগ কতটুকু তা জানি তবে দেশের খারাপ কিছু শুনলে কষ্ট লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।

১৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৪০

শুভ_ঢাকা বলেছেন: সূচনার প্যারাগ্রাফ এবং পরবর্তীতে কয়েকটি ঘটনা এক সূত্রে গেঁথে সুন্দর একটা লেখা দাঁড় করিয়েছেন।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৩১

ওমেরা বলেছেন: সুন্দর একটা ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভ ভাইয়া।

১৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৪৩

শুভ_ঢাকা বলেছেন: ক্রমান্বয়ে আপনার লেখার উন্নত ও পরিণত হচ্ছে। শুভকামনা রইলো ওমেরা।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৫

ওমেরা বলেছেন: শুভ ভাইয়ার শুভ কামনায় খুশী হয়েছি , তার জন্য আরও একটা ধন্যবাদ দিলাম ।

১৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:১০

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ১-২-৩-৪ নং পর্বের লিংক এই পর্বে যোগ করে দিতে পারতেন। এতে আমার (হয়তো বা অন্য কারও কারও) খাটুনি কমতো।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭

ওমেরা বলেছেন: যদি পড়তে চান ভাইয়া, আমার ব্লগে গেলেই পাবেন,বেশী খাটতে হবে না ভাইয়া, আমার ব্লগে খুব বেশী লিখা নেই ।

ধন্যবাদ ভাইয়া ।

২০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:২৬

মাআইপা বলেছেন: একটা শহরের সুন্দর্য্যতার বর্ণনা এমন ভাবে দিয়েছেন যে চোখ বন্ধ করলেই একটা স্বপ্নময় সুন্দর শহর দেখতে পাচ্ছি।
আপনার মত অনেকেই দেশে এসে ভদ্রতা দেখাতে গিয়ে হোঁচট খায়। সিরিয়াল সংক্রান্ত যত সিরিয়াল আছে তার কোনটাই ভদ্রলোকের জন্য না।
স্টেফিনার ব্যাপারটা আমার কাছে একেবারে অবাক করা বিষয়, যদিও পরে বুঝলাম এটাই ওদের কালচার। বহু বছর আগে আমার এক বন্ধুর কাজে রাত ১/২ টার দিকে গহীন গ্রামে গিয়েছিলাম। যে বাড়ীতে উঠেছিলাম তারা অত্যন্ত গরীব। তা সত্ত্বেও ঐ রাতে পোষা মুরগী জবাই করে পোলাও রান্না করে আমাদের খাইয়ে বিদায় দিয়েছেন, এই হলো আমারদের আতিথেয়তা।
ফাইনালী ডক্টর ডবিডকে একহাত দেখিয়ে দেয়ার জন্য আপনাকে সংগ্রামী সালাম।
খুব ভাল হয়েছে লেখা।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২৭

ওমেরা বলেছেন: আপনার কমেন্টে পরে খুব ভাল লাগল। এরকম ঘটনা আমি আব্বু- আম্মুর কাছে অনেক শুনেছি । অনেক ধন্যবাদ নিবেন ভাইয়া।

২১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:২৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এক নজর দেখায় ভাললাগা জানিয়ে গেলাম । পরে সময় করে এসে ভাল করে পাঠ করব ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২৮

ওমেরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

২২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৫৩

কোলড বলেছেন: You are living in Sweden and you appear to be an immigrant there. Still you are stating Bangladesh as your home. Sorry to say but you are not being loyal to Sweden. But you are not alone!

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২২

ওমেরা বলেছেন: কে বল্ল আমি সুইডেনের প্রতি অনুগত নই!! আমি তো সুইডেনের একজন নাগরিক হিসাবে পূর্ণ আনুগত্য পালন করে যাচ্ছি। একজন নাগরিক হিসাবে সুইডিস সরকার যতটুকু সুবিধা দিচ্ছে কখনো না করি না এগুলো নিব না। হা হা হা———-

এবার কষ্টের কথা বলি, আসলে আমার কোন দেশই নেই বাংলাদেশ আমারদেশ বলতে পারি না কারন সেখানে আমি থাকি না বা কখনো ফিরে যাওয়ার চিন্তাও করি না আবার সুইডেনকে থাকি বা থাকব তবু এদেশক মনে প্রানে আপন করে নিতে পারছি না। তাই আমার কোন দেশই নেই, আবার ভাবি সারা দুনিয়ায়ই আল্লাহর। আমি আল্লহর নগন্য এক বান্দি হিসাবে সারা দুনিয়াই আমার।

আমাদের দেশে একটা কথা আছে ,” নিজে মারতে ছাড়ব না, পরে মারতে দেখব না” তেমনি বাংলাদেশকে অন্য কেউ খারাপ বল্লে আমার কষ্ট লাগে তেমনি সুইডেনকেও আমার সামনে খারাপ বল্লে আমার খারাপ লাগবে । জানি না আপনাকে কতটুকু বুঝাইতে পারলাম ।

ধন্যবাদ অনেক আপনাকে।

২৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:১৫

জুন বলেছেন: প্রাঞ্জল লেখনীতে প্রানবন্ত একটি লেখা ওমেরা । আজকাল পাশ্চাত্যে শুধু খাওয়া দাওয়া ছাড়াও অন্যকিছুতেও বন্ধুবান্ধবদের মাঝে শেয়ারিং হয় এমনকি তা স্বামী স্ত্রীর মাঝেও দেখেছি আমি নিজ চোখে ।
খুব ভালোলাগলো আপনার সুইডেন ডায়রী ।
+

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২৪

ওমেরা বলেছেন: জী আপু ঠিকই বলেছেন আর এটা এখন আমাদের ভিতরেও চলে আসছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু ।

২৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:১৮

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আপনার এই লেখাটায় বেশ পরিপক্কতার ছাপ পাওয়া গেল। ও দেশের সৌন্দর্যের চমৎকার বর্ণনা, ওদের আতিথেয়তার (আই মিন স্টেফিনার) কালচার, তারপর আপনার ইটের জবাব পাটকেলে দেয়া (আমাদের দেশের কালচার) ইত্যাদি খুবই সুন্দরভাবে বর্ণনায় উঠে এসেছে। আর ডঃ ডবিডের হামবড়া ভাব, আপনার দেশের জন্য বুকের ভেতর সযত্নে লালন করে আসা অকৃত্রিম টান আর ভালবাসা, অতঃপর ডঃ ডবিডের আত্মঅহংকারকে গুঁড়িয়ে মাটিতে মিশিয়ে দেয়া আপনার মোক্ষম জবাব সত্যিই অসাধারণ লাগল! এত সুন্দর একটা লেখায় প্লাস না দিয়ে কি পারা যায়? কী বলেন?

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:৫৫

ওমেরা বলেছেন: আমি আর কি বলব সম্রাট ভাইয়া আপনি এত সুন্দর আমার লিখার পর্যালাচনা করলেন আমি ও লাইক না দিয়ে পারলাম না । হি হি হি ———- অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

২৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:২১

নতুন নকিব বলেছেন:



অনেক সুন্দর লাগলো। আহ! বিদেশের মাটিতে পড়ে থাকলেও মনটা জুড়ে থাকে স্বদেশের প্রেম।

অনেক ভাল থাকুন।

০২ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:১৫

ওমেরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

২৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪০

আহমেদ জী এস বলেছেন: ওমেরা ,





দারুন একটি স্পোর্টিং লেখা ।
নিয়মকানুন মেনে চলার বেলায় বলি --- আমরা স্বাধীন । তাই নিজের খেয়াল খুশিমতো চলবো, নইলে স্বাধীন হলাম কেন ? !:#P
আর মানবতার বেলায় বলি ---- এখানে আমরা ফার্ষ্ট । আসলেই মনের দিক থেকে আমরা অনেক মানবিক ।

ভালো লাগলো ।

০২ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:১৬

ওমেরা বলেছেন: সুন্দর কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

২৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:২৫

তারেক ফাহিম বলেছেন: এই নিয়ে ৪ বার পড়ছি।

মন্তব্য করার অাগে ব্যস্ত হয়ে উঠি।

নিজ দেশের ভালো দিক (গুনাবলি) শুনলে ফুলিকত হই।

০২ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:১৭

ওমেরা বলেছেন: আপনার কমেন্টে আমিও খুশী হয়েছি। অনেক ধন্যবাদ রইল।

২৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৩৫

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আপনার পোষ্টের অপেক্ষায়! ----- পাঠক

০২ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:১৮

ওমেরা বলেছেন: অপেক্ষা করতে সমস্যা নাই,করেন অপেক্ষা। ধন্যবাদ

২৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো লাগা জানবেন,
সময় মতো পড়তে পারিনা, দেরি হয়ে যায়!

০২ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:১৯

ওমেরা বলেছেন: কোন সমস্যা নেই ভাইয়া যখন আপনার সময় হবে তখনই আসবেন। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

৩০| ০২ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৪৫

সোহানী বলেছেন: ভালো লাগলো শেয়ারিং। হাঁ এ ধরনের বিড়ম্বনার মধ্যেই আমাদের দিন পার করতে হয়। +++++

০৩ রা মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৬

ওমেরা বলেছেন: জী আপু ঠিকই বলেছেন এই সব বিড়ন্বনার মধ্য দিয়েই কেটে যাবে আমাদের দিন রাত্রি। অনেক ধন্যবাদ আপু ।

৩১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ১:০৬

জাহিদ অনিক বলেছেন:

বাহ ! পথ চলতে চলতে আমরাও চলছি ওমেরার সাথে-----------
ভালো লাগলোল

০৩ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৫৫

ওমেরা বলেছেন: চলেন এক সাথে, অসুবিধা নেই তবে সাবধান ধাক্কা যেন না লাগে ।
অনেক ধন্যবাদ অনিক আপনাকে ।

৩২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:০৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আরে এইটা তো কবিতা নয় :(

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ রাত ২:১৯

ওমেরা বলেছেন: এটা যদি কবিতা না হয় তাহলে বলতে হয় আপনি কবিতা বুঝেন না !!!! ধন্যবাদ।

৩৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:০৭

মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: আপনার দিনলিপি থেকে উঠে আসা কথা ভাল্লাগ্লো অনেক ।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৫৬

ওমেরা বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩৪| ০৯ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০

সুমন কর বলেছেন: লেখা ভালো লাগল। সবাই কিন্তু নিজের দেশের গর্ব করতে অানন্দিত হয়।

০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৩৮

ওমেরা বলেছেন: আপনি যখন আমার লিখা ভাল বলেন ভাইয়া আমার খুব ভাল লাগে কারন তখন আমার মনে হয় লিখাটা সত্যি ভাল হয়েছে।

তাতো অবশ্যই ভাইয়া নিজের দেশ বলে কথা । অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

৩৫| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:২৯

শুভ_ঢাকা বলেছেন: কেমন আছ বোন। আচ্ছা এই বোন ডাকাটা কি খুব বেশী হয়ে যাচ্ছে! :) একটা তথ্য দেই আমার নিজের কোন বোন নেই। তবে কাজিন বোনরা আমাকে অসম্ভব ভালবাসে।

আচ্ছা যে কথা বলার জন্য ব্লগে আসলাম। নতুন লেখা দিচ্ছো না কেন। তোমার পথে চলতে চলতে সিরিজটা আমার বেশ প্রিয়। খুব ভাল থাকো।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬

ওমেরা বলেছেন: আলহামদুল্লিলাহ । আমি ভাল আছি ভাইয়া ।আমাকে বোন ডাকবেন না তো কি ডাকবেন, আমি তো বোনই ভাইয়া তো নই।
ছোট একটা বোন থাকা ভাল বিভিন্ন সময় ভাইয়াদের দরকারে লাগে ।
পোষ্ট ইনশা আল্লাহ ! তাড়াতাড়িই দিব ।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।

৩৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম দুটো অনুচ্ছেদ পড়ে ভাবছি, কি সুন্দর সে দেশটা! আমি যতগুলো দেশ ঘুরে দেখেছি, তার মধ্যে প্রায় বেশিরভাগই এতটা না হলেও এর প্রায় কাছাকাছি সুন্দর এবং নিয়মতান্ত্রিক। এটা সম্ভব হয় সুপ্রশাসন এবং মানুষের পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সুশিক্ষার কারণে। জিনগত কারণে কারো কারো মধ্যে নিয়ম ভাঙ্গার প্রবণতা থাকলেও, সুপ্রশাসন এবং আইনের কঠোর ও নিরপেক্ষ প্রয়োগের কারণে ওরা তা করতে সাহস পায় না। আচ্ছা, আমরা নিজেরা বিদেশের মাটিতে এত ভদ্র আচরণ করলেও দেশে কেন তা করতে পারি না, বলতে পারেন?

মলাসইলমুইনা'র মন্তব্যটা ভালো লেগেছে। +
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম এর মন্তব্যটা পড়ে মনটা স্মৃতিকাতর হয়ে উঠলো। কি সুন্দর গল্প লিখতেন তিনি, কত চমৎকার, সরস আড্ডা দিতেন সামু পাগলার ব্লগে, এবং আপনাকে কতটা স্নেহভরে 'বুবু' সম্বোধন করতেন! একই রকমের অনুভূতি নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন এর মন্তব্য পড়েও হলো।

পোস্টে প্লাস। + +

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.