নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার আল্লাহ আমাকে একজন নারী হিসাবে সৃষ্টি করেছেন আর আল্লাহর সিন্ধান্তে আমি সন্তুষ্ঠ আছি।

ওমেরা

শালীনতাই সৌন্দর্য্য

ওমেরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

—-ভুত কখনো দেখিনি তবে পাহাড় দেখে ভয় পেয়েছি—-

২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:২০



( এটা পাঁচ বছর আগের ঘটনা )
একদিন আমাদের ক্লাসে কয়েকটা মেয়ে ঘোষনা দেয় ওরা এবারের সামারে নরওয়েতে জব করতে যাবে । কেউ আগ্রহী হলে ওদের সাথে যেতে পারে, ওরা কয়েকজন গত সামারে গিয়েছিল।
জব হল হোম সার্ভিস,কোন কঠিন কাজ না। ( বুড়েদের বাসায় যেয়ে তাদের মেডিসিন দিতে হবে আর কারো কারো খাবার গরম করে দিতে হবে তিনবেলা।
কয়েকজন বল্ল, সামারে কাজ তো আমরা এখানেই করব, ওখানে যাব কেন?তখন তারা বর্ণনা করল।
সুইডেনের চেয়ে নরওয়েতে ডবল স্যালারী। ট্যাক্স সুইডেনের চেয়ে বেশী হলেও আমরা স্টুডেন্ট তাই বছর শেষে সেটা ফিরত পাব।থাকার জন্য কোম্পানি বাসা দিবে, গাড়ি দিবে ( গাড়ি শুধু কাজের সময়ের জন্য) শুধু খাবারটা নিজেদের।তুমি ফ্রীতে থাকতে পারছ ও অন্য দেশে কাজ করার তোমার একটা অভিজ্ঞতা হবে ।

আরেক জন প্রশ্ন করল ভাষা তো একটা প্রবলেম ? তারা বল্ল এটা খুব সমস্যা হয় না, (সুইডিশ) ইসবেঞ্চকা ও নর্ষ্কা ( নরওয়েজীয় ) ভাষায় কিছুটা মিল আছে আর কিছুটা ইংলিশকার সাহায্য নিতে পারব। এটা খুব সমস্যা হবে না ।
আমার কাছে আইডিয়াটা ভালই লাগল আর টাকার অঙ্কটা হিসাব করে দেখলাম ছয়সপ্তাহে ৫০ হাজার ক্রনার ( ট্যাক্সসহ )তবু তখনই কিছু বল্লাম না, কারন বাসা থেকে রাজী হবে কিনা জানি না। অনেক দেন দরবার করে বাসা থেকে অনুমতি আদায় করে ওদের বল্লাম আমিও যাব কখন কি করতে হবে তোমরা আমাকে জানিও।কারন তখন ছিল জানুয়ারী মাস।

ওদের সাথে একই কম্পানিতে এ্যপলিকেশন করলাম মার্চে । এটা নরওয়ের একপ্রান্তে তবে দূর্গম পাহাড়ি এলাকা না বলে সুগম পাহাড়ি এলাকা বলাই যায় । পাহাড় কেটে কেটে এত সুন্দর রাস্তা করেছে দেখতে খুবই মনোরম। ওসলো থেকে ট্রেনে যেতে ১২ ঘন্টা সময় লাগে।
এর পর ইন্টারভিও হল টেলিফোনে , বিভিন্ন কাগজ পত্র আদান প্রদান করা হল মেইলে, মে মাসের শেষে কন্ট্রাট পেপারে সাইন করি জুনের শেষ সপ্তাহ থেকে আগষ্ট এর প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ওদের ওখানে আমরা কাজ করবো ।

দিন গড়িয়ে মাস পেরিয়ে অবশেষে আমাদের যাওয়ার সময় ঘনিয়ে এল জুন এর পঁচিশ তারিখ আমরা ছয়জন সন্ধ্যা ছয়টায় স্টকহোমের অরল্যান্ডা থেকে মাত্র এক ঘন্টায় ওসলো এসে পোঁছলাম মানে সাতটায়। আমাদের ট্রেন ছাড়বে রাত সোয়া দশটায়। আমরা এয়ার পোর্ট থেকে বের হয়ে ট্রেন ষ্টেশনের পাশে একটা রেষ্টোরেন্টে রাতের খাবার খেয়ে আরো একটু ঘুরে ফিরে সারে নয়টার দিকে ট্রেনে যেয়ে বসলাম।
ঠিক সময়েই ট্রেন চলতে শুরু করলো।রাত বারোটা পর্যন্ত সবাই মিলে গল্প করলাম এর পর একে একে ঘুমের রাজ্যে পারি দিতে লাগলো বাসে ট্রেনে আগে যত যার্নি করেছি দিন বা রাত আমার ঘুম আসে না, আজকে তো মনে আরো নানা চিন্তা ———-আমরা ছয়জন ট্রেন ইষ্টিশন থেকে আলাদা হয়ে যাব, আমরা ভিন্ন ভিন্ন এলাকাতে কাজ করবো ও যে যেই এলাকাতে কাজ করবো তার বাসা সেই এলাকাতে, তবে আমাদের মেইন অফিস একটা সেখানে আমাদের দেখা হবে সকাল ও সন্ধ্যায় । অফিসে আমাদের তেমন কাজ নেই শুধু সকালে নাম সাইনইন করে এ্যাড্রেস ও গাড়ি নিয়ে আমারা চলে যাব, আবার বিকালে কাজ শেষে সাইন আউট করে গাড়ি রেখে আসব। অচেনা অজানা জায়গা, ভাষা একটা প্রবলেম , এ্যাড্রেস খুঁজে বের করতে পারবো তো!

চোখ বন্ধ করে এসব ভাবতে ভাবতেই,সকাল সারে দশটায় ট্রেন আমাদের গন্তব্যে এসে পৌঁছল।আমাদের রিসিপ করার জন্য কোম্পানী থেকে লোক আসবে, তাদের পেতে খুব বেশী দেরী হল না।আমাদের নেওয়ার জন্য ছয়জন লোকই এসেছে। উনাদের সাথে প্রাথমিক কথা বার্তার পর জানাল আমরা কে কার সাথে যাব উনারা আগেই এটা ঠিক করে রেখেছিলেন। এবার আমরা একে অপরের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে যার যার গাড়িতে যেয়ে বসলাম। মনটা খুব খারাপ লাগতেছিল,চোখে দিয়ে কিছু পানিও আস্তে চাচ্ছিল অনেক কষ্ট করেই আটকে রেখেছিলাম।
ট্রেন ইষ্টিশন থেকেও পয়তাল্লিশ মিনিট লেগেছে আমার বাসায় আস্তে আসার সময় ভদ্রলোক আমাকে আমাদের অফিস, সেন্টরুম দেখিয়ে নিয়ে এসেছে আরো অনেক কথাই হল কাজের ব্যাপারে। উনি বেশ উৎসাহ আর সাহস দিচ্ছিলেন, এতে কিছুটা ভালো ফিল করছিলাম ।
এই জায়গাটা সম্পর্কে ওদের কাছ থেকে কিছু জেনেছি আর নেট থেকে ও কিছু জেনেছি খুব সুন্দর জায়গা, পানিও খুব সুন্দর তবে মানুষ খুবই কম এখানে যারা থাকে বেশীর ভাগই বুড়ো মানুষ , রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে তার কিছুটা নিদর্শন পাচ্ছিলাম। আসলেই খুব সুন্দর।আর
বাসার ভিতর ঢুকে মনটা পুরো ভালো হয়ে গেল এত সুন্দর একটা বাসা!! উনি বাসার দরজা খুলে চাবিটা আমার হাতে দিয়ে মুচকি হেসে বল্লেন এটাই তোমার টেম্পুরারি সংসার । উনি আর কথা না বাড়িয়ে আগামী কাল অফিসে কথা হবে বলে চলে গেলেন।

এক বেড রুম,ড্রয়িংরুম,ছোট একটা কিচেন,আরো ছোট একটা ব্যালকনি । বাসার ডিজাইন থেকে ফার্নিচার সবই নিউ মডেলের এত সাজানো গোছানো ও যেখানে যে জিনিসটা প্রয়োজন সেখানে ঠিক সেটাই আছে ছোট বাসা ঘুরে দেখে মুগ্ধতায় আমার মন ভরে যাচ্ছে এত খুশী, এত খুশীতে বেড রুমে এসে যেই জানালার পর্দা সরিয়েছি ওমা গো এটা কি ?????????????——-বলে এমন বিকট এক চিৎকার দিয়েছি আমি নিজেও বুঝতে পারি নি।

কিছুক্ষন পর কিছুটা হাল্কা হয়ে ভয় আর আতংক নিয়ে জালানার পর্দাটা আস্তে আস্তে সরালাম চোখ কচলিয়ে ভালো করে তাকিয়ে দেখি অ —নে—-ক উঁচু কালো একটা পাহাড় আকাশটাকে ঢেকে ফেলছে কি ভয়ংকর! আমি এখানে থাকবো কেমন করে আমার সব ভালো লাগা নিমিষেই নিঃশেষ হয়ে গেল।অনেকক্ষন বিছানায় শুয়ে থাকলাম।বুকের ভিতর তখনো ধুক পুক ধুক পুক করছে। তবু উঠে ওয়াশ রুমে যেয়ে ফ্রেশ হয়ে আসলাম। ক্ষুধা বেশ লেগেছে টের পেলাম, আস্তে আস্তে কিচেনে গেলাম , সেখানে হাড়ি পাতিল গ্লাস প্লেট সবই আছে কিন্ত কোন খাবার নেই । আপেল,কলা,ব্রেড ,কর্ণফ্লেক্স, ওট এসব সাথে নিয়ে এসেছি, ট্রেনে সকালের নাস্তা কলা ব্রেড দিয়েই করেছি এখন আর এগুলো খেতে ইচ্ছা করছে না, তবু একটা আপেল খেয়ে নিলাম । মনে মনে ভাবলাম হাটতে হাঁটতে সেন্টরুমে যাই রাস্তা ঘাটও চেনা হবে কিছু খাবারও কিনে নিয়ে আসি।

তাছাড়া আজকেই বাজার করতে হবে কাল সকালে তো কাজই শুরু করবো যদিও দুইদিন ইন্ট্রো করবো। আসার সময় যে সুপারশপটা দেখেছি খুব বেশী দুরে না আমার ধারনা হেঁটে যেতে আমার পনর,বিশ মিনিট লাগবে । বাজারের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হলাম।
বের হয়ে মুক্ত হাওয়ায় প্রান ভরে নি:স্বাস নিলাম আর চারপাশটা এত এত সুন্দর মন প্রান জুরিয়ে যায় আমি আমার ভয়ের কথা ভুলে মনের আনন্দে সামনে আগাতে লাগলাম।

আমার বিস্বাস ঐ ভদ্রলোক আমাকে যেই রাস্তা দিয়ে নিয়ে এসে ছিলেন আমি সেই রাস্তা ধরেই যাচ্ছি কিন্ত পনের মিনিটের বেশী হাঁটার পর মনে হল আমি কেমন যেন একটা নিরিবিলি রাস্তায় চলে এসেছি রাস্তায় লোকজন তো নেই ই গাড়িও তেমন নেই আশে পাশে ঘর বাড়িও দেখা যাচ্ছে না। আরো কিছুক্ষন আগানোর পর নিজেকে আবিস্কার করলাম একেবারেই নির্জন এলাকা বড় বড় রাস্তা আছে শুধু, না আছে কোন মানুষ, না কোন গাড়ি আশে পাশে কোন বাড়ি ঘরের চিহ্নও নেই। সামনে তাকাই আকাশ ছোয়া কালো পাহাড় ডানে বামে যেদিকেই তাকাই আকাশছোয়া কালোপাহাড় ভয়ে দৌড় দেওয়ার জন্য পিছন ফিরেছি তাও দেখি আকাশ ছোয়া কালো পাহাড় কেমন যেন একটা আলো আঁধারি পরিবেশ, তাকালেই মনে হচ্ছে পাহাড় গুলো আমার দিকে ছুটে আসছে, এখনি আমাকে পিশে ফেলবে ভয়ে আমি তব্দা হয়ে গিয়েছি।পা যেন আটকে আছে, না পারছি সামনের দিকে আগাতে না পিছন দিকে। মরার আগে শেষ চেষ্টা তো করতেই হবে পিছন দিকে ফিরে এমন দৌড় দিলাম , কিন্ত আমার পা আটকে আটকে যাচ্ছে তবু থামছি না কোন দিকে তাকাচ্ছিও না কিন্ত কোন মানুষজন , ঘরবাড়ি পাচ্ছি না, মনে হচ্ছে আমি যেন পাহাড়ের চোরাবলিতে পরে হাবুডুবো খাচ্ছি — সর্ব শক্তি দিয়ে দৌড়াচ্ছি তো দৌড়াচ্ছি।

আমি জানি না কতটা সময় দৌড়িয়েছি তবে ভয় ও অস্থিরতার মাঝেও আমি আমার এলাকাতে কি ভাবে এলাম আমি জানি না,একটু পরিচিত মনে হলে দাড়ালাম হাঁপাতে হাঁপাতে হাঁটতে লাগলাম হ্যা এইতো আমার বাসা খুশীতে সামনের দিকে আগাচ্ছি আশেপাশে চেয়ে দেখি এখানকার সবগুলো বাড়ি একই মডেলের এখন বুঝতে পারছি না আমার বাসা কোনটা!! এত ভয়ে আমি বাসার নাম্বার ভুলে গিয়েছি ।অনেকটা হতাশ হয়ে ঘাসের উপর বসে আছি চোখ দিয়ে পানি পরছে আর ভাবছি, ( মোবাইল,নেট কোনটাই বাসায় ইন না করা পর্যন্ত কাজ করবে না )কি করবো এখন আমি !! হঠাৎ কারো পায়ের শব্দে তাকাতেই দেখি এক ভদ্রলোক আমার দিকেই আসছে আমি উঠে তার দিকে এগিয়ে যেতেই সেই জিগেস করল, কোন সমস্যা ?
আমি বল্লাম জী বিরাট সমস্যা ! আমি আজকেই এখানে একটা বাসায় উঠেছি, বাহিরে গিয়েছিলাম এখন বাসা চিনতেছি না নাম্বার ভুলে গিয়েছি।
- লোকটা হেসে, তোমার সমস্যার সমাধান তোমার হাতেই আছে । আমি অবাক হয়ে আমার হাতে!
- ভদ্র লোক, হ্যা তোমার হাতে , তোমার চাবির সাথে যে পোপ আছে এটাতেই তোমার বাসার নাম্বার লিখা আছে ।
কিছুটা লজ্জাই পেলাম- লোকটাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাসায় আসলাম। কি আর করবো কলা, রুটি খেয়েই রাত পার করলাম। পরের দিন কাজ শেষে বাজার করে বাসায় ফিরলাম।এর পর বাকী দিন গুলো ভালোভাবেই পার করেছি। ছয় সপ্তাহ খুব বেশী সময় না কিন্ত অনেক শিক্ষা নিয়ে নিজ দেশ সুইডেনে ফিরত আসলাম।

মন্তব্য ৭৩ টি রেটিং +১৮/-০

মন্তব্য (৭৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩৬

ঢুকিচেপা বলেছেন: নতুন চাকরীর অভিজ্ঞতা খুব মজার ছিল।
ওখানে কি খুব বেশী পাহাড় ?

২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪২

ওমেরা বলেছেন: প্রথম মন্তব্য আর লাইকে অনেক ধন্যবাদ। এটা নতুন চাকরী না তবে অন্যদেশে এটাই নতুন ছিল ।

২| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: নরওয়েতে শুনেছি ছয় মাস দিন আর ছয় মাস রাত। তুমি কোন সময় গিয়েছিলে? আমার নাতনি, মানে নয়নতারার একটা ছবি দেখ। হাজার হলেও সে তোমার বোন।

২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪৮

ওমেরা বলেছেন: সুইডেনের মতই শীতে রাতগুলো অনেক বড় দিনগুলো ছোট আর সামারে দিনগুলো অনেক বড় রাতগুলো ছোট । আমি সামারে গিয়েছিলাম।
মাশাহআল্লাহ! নয়নতারা কত বড় হয়ে গিয়েছে আর কত সুইট হয়েছে দেখতে। ওকে আমার আদর আর শুভেচ্ছা দিবেন দাদু ভাইয়া।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৯৮০ সালে জাহাজে নরওয়েতে গিয়েছিলাম, এত সুন্দর দেশ বিশ্বে খুবই কম।

২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১০

ওমেরা বলেছেন: আসলেই এত সুন্দর দেশ খুব কমই আছে আমার কাছে তাই মনে হয়েছে । ধন্যবাদ আপনাকে ।

৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩৭

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: সুইডেনে বসবাস করে নরওয়ের ভাষা ও পাহাড় নিয়ে ভীতি কিছুটা মজার ব্যাপারই বলা যায়। দুই দেশের ভাষা হিন্দি-উর্দুর মতো বুঝতে সমস্যা হয় না। ভালো একটা অভিজ্ঞতা হলো আপনার।

২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:২৩

ওমেরা বলেছেন: দুই দেশের ভাষা হিন্দি-উর্দুর মতো বুঝতে সমস্যা হয় না। জী ঠিক, তবে আমরা নর্ষ্কা যতটা বুঝতে পারি ওরা আমাদের ইসবেঞ্চকা বেশ ভালো বুঝে। দেশ বিদেশ ঘুরলে অভিজ্ঞতা আসলেই হয়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে কষ্ট করে লিখাটা পড়ার জন্য।

৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: মনে হলো ভ্রমন কাহিনী পড়লাম।

২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৩২

ওমেরা বলেছেন: জী এটা তো ভ্রমন কাহিনী। পড়র জন্য ধন্যবাদ।

৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:০৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অনেক কিছু জানা যায় লেখা পড়ে

২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৪৭

ওমেরা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।

৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: ওমেরা,




আপনার দৌড় দেয়ার মতোই এক দৌড়েই পড়ে ফেললুম লেখাটা। লেখাটা নরওয়ের পাহাড় কেটে কেটে করা সুন্দর রাস্তার মতোই মসৃন।
ভুত দেখেন নি। তবে আপনার ছিমছাম সুন্দর অস্থায়ী বাসাটায় একজন পাহারাদার লাগতো যদি নরওয়ের পাহাড়ে একটা ভুতও দেখতেন। B-)

২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৫৬

ওমেরা বলেছেন: হি হি —— তাহলে তো আপনিও আমার মত হাঁপিয়ে উঠেছেন ভাইয়া। তাহলে ভুত না দেখেই ভালো হয়েছে ওরা তো আমাকে পাহারাদার দিত না ।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:০৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: স্বপ্নে এমন হয়।
বাকি সময় এই ভয় আপনাকে ছেড়ে গিয়েছিলো এটাই বাস্তব।

২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:০৩

ওমেরা বলেছেন: আমি কিন্ত স্বপ্নে দেখি নাই পগলা ভাইয়া এটা একেবারেই বাস্তব। আমার যেই সাহস ভয় থাকবে কেমন করে ।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে লিখা পড়ে কমেন্ট করার জন্য।

৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:১৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: উপর উপর বেশ লাগলো আপু। আরো ভালো করে পড়তে আবারো আসবো।

২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:১৩

ওমেরা বলেছেন: কি জানি কি বল্লেন বুঝতে পারলাম না তাও ধন্যবাদ ভাইয়া।

১০| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:২৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আপনার সকল লেখার মাঝে এটি আপনার অন্যতম লেখা। খুবই গোছানো লেখা। শুভ কামনা রইলো।

২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:১৬

ওমেরা বলেছেন: লিখতে লিখতে নাকি মানুষ লেখক হয় , আমি হয়ত লেখক হতে পারবো না তবু কিছুটা উন্নতি তো হবেই ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১১| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:২৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অভিজ্ঞতার চমৎকার শেয়ার !
নরওয়েতে শুনেছি ছয় মাস দিন আর ছয় মাস রাত। এটা কি সঠিক নয়?

২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:৩১

ওমেরা বলেছেন: নরওয়ে ও সুইডেন একই রকম । সামারে মানে জুন, জুলাই, আগষ্ট এই তিন মাস দিন গুলো বেশী বড় মানে সূর্য উঠে রাত দুইটায় আবার সূর্য ডুবে রাত সারে দশটায় আর উইন্টারে মানে ডিসেম্বর,জানুয়ারী,ফেব্রয়ারী এই তিনমাস দিনগুলো খুব ছোট সকাল আটটায় সূর্য উঠ আড়াইটায় ডুবে যায়। এটাকেই বলে ছয়মাস দিন আর ছয়মাস রাত। তবে অন্ধকার আর অতি আলো এসব দেশে কাজ কর্মের কোন সমস্যা হয় না ঘড়ির কাটায় সব চলে ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

১২| ২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৩২

শেরজা তপন বলেছেন: :) বেশ বেশ ভুত না হোক ভুত পাহাড়-ই বা কম কি!

সবমিলিয়ে ভাল লাগল

২৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৫৮

ওমেরা বলেছেন: ভয় থেকেই ভুতের জন্ম হয় ।আপনার ভালো লাগায় আমি খুশী আছি ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।

১৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৫৫

রামিসা রোজা বলেছেন:
ডানে-বামে কালো পাহাড় দেখে থেমে যাননি, ভাগ্য ভালো
হোঁচট খেয়ে একবারই পড়ে যান নাই আমি বুঝাতে চাচ্ছি
আপনি আপনার সমস্ত দায়-দায়িত্ব সুন্দরভাবে পালন করে এসেছেন ।
অদ্ভুত ঘটনার মাঝে অন্যরকম ভাললাগা রইলো।

২৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:০৭

ওমেরা বলেছেন: থেমে গেলে হেরে যাব , আমি তো হারতে চাইনি আপু । আপু আপনার মন্তব্য অনেক সুন্দর হয় ।
অনেক ধন্যবাদ আপু ।

১৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৩:০৮

কল্পদ্রুম বলেছেন: এটা তো ভূতের চেয়েও বেশি ভয়ের।স্টিফেন কিং এর উপন্যাসের প্লট যেন।বৃদ্ধদের জন্য এরকম হোম সার্ভিস কি সরকারিভাবে ব্যবস্থা করা হয়?

২৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৫৭

ওমেরা বলেছেন: ভুত তো দেখিনি তাই ভয়টা কেমন জানিনা পাহাড় দেখে আমি খুবই ভয় পেয়েছিলাম , জানালা দিয়ে যখন প্রথম দেখি তখন বুঝিও নি ওটা যে ।আপনার মন্তবে অনেক খুশী হয়েছি ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।

৩১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:১৫

ওমেরা বলেছেন: আপনার প্রশ্নের জবাব দিতে আমি ভুলে গিয়েছি। সরকারী - বেসরকারি দুইটাই আছে । এগুলো কোন কিছুই ফ্রী না নিজের টাকা দিয়েই হেল্প নিতে হয়, যার টাকা নেই সে শুধু ফ্রী । এটা নিয়ে আমি একটা পোষ্ট দিব তখন আমি যতটুকু জানি ততটুকু জানতে পারবেন।

১৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:২৬

অনল চৌধুরী বলেছেন: জীবনে বহু রোগ-আতংকের নাম শুনেছি। কিন্ত Mountain Phobia ই প্রথম শুনলাম!!! তবে এটা হয়েছে একা থাকার জন্য।
বাংলাদেশের লোকদের উচ্চতা ভীতি দূর করে তাদের পাহাড়ে উঠতে উৎসাহিত করার ব্যাপারে ভূমিকা রেখেছি।
১৯৯৯ এ প্রকাশিত সেই বইটা পড়লে এইসব ছোটো পাহাড় দেখে ভয় লাগতো না।

২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৪১

ওমেরা বলেছেন: আচ্ছা তাহলে আপনার বইটা পাঠিয়ে দেন দেখি সাহস একটু বাড়ে যদি তখন আপনাকে না হায় অনেক গুলো ধন্যবাদ দিব এখন একটাই ধন্যবাদ আপনার জন্য আমার পক্ষ থেকে।

১৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:১৮

জুন বলেছেন: ওমেরা আমি তো পাহাড়কে ছবিতে দেখেই ভয় পেয়েছি আপনার কাহিনী পড়ার আগেই :-&
এই সব জিনিস নিয়েই বোধহয় অতীতে রূপকথার রাক্ষসের কল্পনা করতো লেখক রা ।
সুন্দর বর্ননা আপনার ভ্রমনের ।
চাবির কথায় মনে পরলো আমার এক অভিজ্ঞতা। রোমে আমি যেই বাসায় থাকতাম উনি আমার হাজবেন্ডের কলিগ ইতালীয় মহিলা । সকাল বেলা তারা দুজন অফিসে চলে যেত আর মহিলার হাজবেন্ড আরেকটু পরে । আমি ১০টার দিকে বের হয়ে সামনেই অস্থায়ী (সকাল থেকে ১টা ) কাচা বাজারে যেতাম । একদিন ফিরে এসে দেখি আমার কাছে নীচের মেইন গেটের চাবি নেই। দুপুর হয়ে এসেছে, হাতে টাকাও নেই, খিদেয় অস্থির, আমি তো সাংঘাতিক ভয় পেয়ে গেলাম , ওরা সবাই ফিরবে সন্ধ্যায় আর ঐ বিল্ডিং থেকে কেউ বেরও হচ্ছে না, ঢুকছেও না। আমার কান্না পাচ্ছিলো এই অবস্থায় । বার বার হাতের চাবি দেখছি, ঘরে ঢোকার চাবি আছে নীচেরটা না নেই । শেষ বারের মত তাকাতেই দেখি ঐ রিং এর মাঝেই নীচের মেইন দরজার চাবি :) মনে হলো যেন লটারীর টিকিট হাতে পেয়েছি । এই অভিজ্ঞতা আমি জীবনেও ভুলবো না ।

২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৫৭

ওমেরা বলেছেন: আপু আমি কিন্ত যতটা কেঁদে ছিলাম ততটা লিখাতে প্রকাশ করি নাই তাহলে ব্লগের সবাই তো আমাকে কত ভীতু মনে করবে তাই। :D
আসলেই একেক সময় আমরা এত বোকা হয়ে যাই হাতে জিনিস রেখেই খুঁজতে থাকি। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।

১৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: সবার মন্তব্য গুলো পড়তে আবার এলাম।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৫৭

ওমেরা বলেছেন: মন্তব্যগুলো পড়ে কি বুঝলেন?

১৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:২৪

ইসিয়াক বলেছেন: আমি তো ভাবলাম আপনি হারিয়ে যাবেন :( । বেশ টেনশন হচ্ছিলো। যাক অবশেষে নিরাপদে বাসাতে ফিরতে পেরেছেন সেটা জেনে ভালো লাগলো।চমৎকার বর্ণনা। পোস্টে ভালো লাগা।শুভকামনা।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০০

ওমেরা বলেছেন: হারাবো কেন ! শুধু একটু ভয় পেয়েছিলাম। আপনাদের ভালো লাগা আমাকে উৎসাহিত করে লিখতে। অনেক অনেক ধন্যবাদ জানবেন।

১৯| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২২

অজ্ঞ বালক বলেছেন: বেশ মজার কাহিনী, লেখা আর বর্ণনায় পেলাচ। ভালো কথা, ন্যাচার হরর বইলা একটা জনরা আছে, যেমন কিং এর পেট সেমেটারি। কাজেই পাহাড় হইতে-ও সাবধান!!!

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১

ওমেরা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ।

২০| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১৩

করুণাধারা বলেছেন: ভালো লাগলো নরওয়ের এই গল্প। এটা ঠিক ভূতের গল্প হলো না, তবুও পড়তে ভালো লেগেছে।

শিরোনামে ভূত কখনো দেখেনি, নাকি ভূত কখনো দেখিনি হবে?

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৯

ওমেরা বলেছেন: জী আমি তো কখনো ভুত দেখিনি । তবে ভুত দেখে তো সবাই ভয় ই পায় তাই আমি যা দেখে ভয় পেয়েছি তাই নিয়েই লিখলাম। ভুলটুকু খেয়াল করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু ।

২১| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৫৮

শুভ_ঢাকা বলেছেন: ওমেরা,

পাহাড়টা দেখতে জানি কেমন। গা ছমছম করে। লেখাটা ছিল থ্রিলারের মত। এক নিমিষে পড়ে শেষ করলাম। দারুণ লেখা হয়েছে। নরওয়েতে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল। ইন্টারেস্টিং কিছু থাকলে আর তে লিখলে আগ্রহ নিয়ে পড়বো।। শুভ কামনা রইল।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪৬

ওমেরা বলেছেন: আপনার আগ্রহ জেনে ভালো লাগলো , শুভ কামনার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।

২২| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:২৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




পোষ্টের শিরোনাম যতার্থ হয়েছে ।
ভাল লাগল পাঠে । এই পোষ্ট
পাঠের সময় নরওয়ের হেলথ কেয়ার
সার্ভিস এর কিছু খুটিনাটি বিষয় জানার
জন্য অন্তরজালে ঘুরেছি অনেকক্ষন ।
অনেক আজানা প্রয়োজনীয় তথ্য
জানতে পেরেছি আপনার পোষ্টের
কল্যানে । সেজন্য আপনার প্রতি রইল
বিশেষ ধন্যবাদ ।

শুভেচ্ছা রইল

৩১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:১৯

ওমেরা বলেছেন: ওরে মা, তাহলে তো ভাইয়া আমার কারনে আপনার কষ্ট হয়ে গেল অনেক ! অবশ্য আপনি জ্ঞানি মানুষ আরো একটু বৃদ্ধি হল আপনার জ্ঞানের পরিধি।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

২৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৩:২৫

অনল চৌধুরী বলেছেন: এখন তো আপনার সাহস হয়েই গেছে। আর কোন ঠিকানায় পাঠাবো? অনলাইনে সব আছে।
তবে আপনার কথা শৃুরন একটা কথা মনে পড়লো।
২০০৪ এর ডিসেম্বরে জিঞ্ঞ্জিরা দ্বীপে বেড়াতে গিয়েছিলাম ।সেখানকার সমুদ্রের পানি নীল, শান্ত। কক্সবাজারের মতো ঘোলা বা উত্তাল না ।আর সৈকতও অনেকটা পরিস্কার।
প্রথম দিনে অনেকের সাথে সমুদ্রে নেমে গোসল করলাম। কিন্ত পরের দিন সকাল ৯ টার দিকে যখন পানিতে নামি,তখন আর কেউ ছিলো আমার মনে হচ্ছিলো, দূর থেকে সমুদ্রে ঢেউ যেনো আমাকে গিলতে আসছে !!!
আমি প্রচন্ড সাহসী লোক। সবাই সেটা জানে। দেশ-বিদেশের বহু পাহাড়-সমুদ্রে একা অভিযানে গিয়েছি।কিন্ত এর আগে কোনোদিন ভয় পাইনি। সমুদ্র থেকে নেমে হোটেলে ফিরে এসেছিলাম।
২ ঘন্টা পর আবার সৈকতে এসে দেখি, সেখানে অনেক মানুষ। তখন আর পানিতে নামতে ভয় লাগেনি।
দুইজনের ঘটনাই যখন একইরকম,তখন মনে হচ্ছে , মানুষ একা থাকলে হয়তো প্রকৃতি তাকে ভয় দেখায়। অথবা একা থাকার কারণেই সে ভয় পায়।
*** আপনার এই নতুন বড় ছবিটা আরো ভয়ংকর !!! তবে কাঞ্চনজঙ্ঘার বরফে ঢাকা চূড়া দেখে কেউ ভয় পেতো না।

৩১ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৪৫

ওমেরা বলেছেন: আপনার বই আমার লাগবে না।জী আপনি মনে ঠিক বলেছেন একা থাকলে ভয় লাগে তবে একাকীত্ব মানুষকে অনেককিছু শিখতে সাহায্য করে । আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।

২৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:১১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আসলে শেখার কোন শেষ নাই। আপনার এই লেখাটা পড়ার আগে জানতামই না যে, কোন কোন পাহাড় নড়া-চড়া করতে পারে। দৌড় দেয়ার জন্যে পেছনে ফিরেও পাহাড় দেখলেন, ওটার উপর দিয়েই কি এসেছিলেন, নাকি পাহাড়টা আপনাকে অনুসরণ করছিলো!!! :P

আরেকটা কথা, যে বা যা যখন আসতে চায়, তাকে বাধা দিবেন না। আসতে দিবেন। আপনার চোখের পানির কথা বলছিলাম। বিদায় নেয়ার সময়ে চোখের পানি আসতে চাচ্ছিল.......আসতে দেয়া উচিত ছিল আপনার। ;)

পাহাড়ের দিকে তাকানোর সময়ে চোখে মুগ্ধতা রাখবেন। ভয় নিয়ে তাকালে পাহাড় আপনাকে ভয় দেখাবেই!!! :)

৩১ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১৩

ওমেরা বলেছেন: ভূয়া ভাইয়া পাথর যদি চলতে পারে পাহাড় কেন পারবেনা ! :D না পাহাড়ের উপর দিয়ে আসি নাই তো, সেটা অনেক দুরে ছিল কিন্ত খোলা জায়গায় দাড়ালে মনে হয় একেবারেই কাছে ভূয়া তো যেন বোকা মানুষ এটাও বুঝে না :D :D
নিজের আপনজন হলে আসতে দেওয়াই উচিত অবশ্য সেই মূহুর্তে তাদেরকে আমার আপনজনই মনে হয়েছিল। যেই কালো পাহাড় আর বড় আপনি দেখলেও ভয় পাবেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

২৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৩২

আখেনাটেন বলেছেন: নরওয়ের পাহাড়ভূত ভালো লাগল। আপনার সাহস আছে বলতেই হবে........ :D

৩১ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১৬

ওমেরা বলেছেন: আমি শুধু সাহসী না , ঝগড়ু, রাগস্যু, হিংসুক ( অবশ্য এগুলো শুধু একজনই বলত আমাকে :D । অনেক ধন্যবাদ নিবেন ভাইয়া।

২৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৪১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আসলে সেদিন শুরুতে আমি ভূত খুঁজে পাইনি। যেকারণে জানালার পর্দা সরিয়ে হঠাৎ আপনার চিৎকার করারটা আমার কাছে রহস্যের লেগেছিল। কমেন্টে আমি সেটাই বলতে চেয়েছিলাম যে উপর উপর ভালো লেগেছে। তবে সত্যিই গল্পে ভূত দেখতে পরে আবার আসার কথা বলেছিলাম।পরে অবশ্য বুঝতে পারলাম দৈত্যাকার পাহাড় ভূত সেদিনের আপনার দুশ্চিন্তার কারণ ছিল।
শুভকামনা জানবেন আপু।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:২৯

ওমেরা বলেছেন: ভুত পাবেন কোথায় ভাইয়া , ভুত তো আমি দেখেনি বলেই দিয়েছি!
জী জী বুঝেছি এবার আপনার কথা।
আপনার পরিবারের সবার জন্য আমার পক্ষ থেকেও শুভ কামনা ভাইয়া ।

২৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:০০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: পাহাড়ের বর্ণনা যেন চোখের সামনে দেখা গেলো। বিশ্বাস করেন ওমেরা আপা আপনার ভয় যেন আমার মাঝেও অনুভব হলো। বুঝতে পারছি কেমন ভয় পেয়েছিলেন আপনি।

বেশ কিছুদিন পর লেখা দিয়েছি। কাল দেখলাম আমার ওখানে ঢু মারলেন। নতুন পর্ব এতদিন লিখতে পারিনি। সময় পাইনি।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:৩২

ওমেরা বলেছেন: আপু একটা কথা বলি , আপনাকে না আমার খুব পরিচিত মনে হয় , মানে আপনার লিখা খুব পরিচিত মনে হয় আরো পরেছি ।
জী আপু খুবই ভয় পেয়েছিলাম ।
জী আপু লিখা পরেছি ।
অনেক ধন্যবাদ আপু ।

২৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:১৩

মুক্তা নীল বলেছেন:
ওমেরা আপা ,
আপনার গল্প লেখা সার্থক কারণ শুরুতেই আপনি যে ছবিটা দিয়েছেন , সেটা দেখে আমি কিছুটা আতঙ্কিত কারণ ছবিটা
ভয়ঙ্কর । এটাতো পাহাড়ের ছবি নয় লাগছে যেনো সাক্ষাৎ
কোন দৈত্য দানব। ভয়ের সাথে ভালো লাগলো আপনার
কাজের অভিজ্ঞতা। আর বাকি অন্যান্য জনেরাও কি আপনার
মতোন ভয় পেয়েছিলেন ?
ধন্যবাদ রইলো।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:৪৬

ওমেরা বলেছেন: নীল মুক্তা নিশ্চয় ভালো আছেন ?জী আপু প্রথম আমি বুঝতেই পারি নাই সেটা যে একটা পাহাড় খুবই ভয় পেয়েছিলাম। অন্য ভয় পেয়েছিল কিনা জানি না কেউ কিছু বলেনি আমার ভয়ের কথাও আমি ওদের বলিনি লজ্জায়। ওরা এবারও গিয়েছিল , এবার দুই সপ্তাহ বেশী থাকতে হয়েছে কারন সুইডেন থেকে যাওয়ার পর দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয় অবশ্য সেই দুই সপ্তাহ কাজ না করেও বেতন পেয়েছে , এতে আমার খুব আফসোস লেগেছে আমি কেন গেলাম না ।
আল্লাহ আপনাকে ভালো রাখুন সুস্থ্য রাখুন । ধন্যবাদ আপু।

২৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৮

আমি সাজিদ বলেছেন: নতুন পরিবেশ আর সুপার শপের যাওয়ার তাড়ায় আপনার মন অশান্ত ছিল বোধহয়। নির্জন সুন্দরের মধ্যে একাকী এমন ভৌতিক অভিজ্ঞতা আসলেই ভয় পাওয়ার মতোই৷

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:৪৮

ওমেরা বলেছেন: একা একা নতুন পরিবেশ নতুন জায়গা নতুন জব সব কিছু মিলিয়ে কালো পাহাড় আমাকে ভয় দেখিয়েছি । অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৩০| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:২৭

অনল চৌধুরী বলেছেন: রাগ কলেন কেনো বুঝলাম না।
ঠিকানা না দিলে পাঠাবো কিভাবে?

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:৫০

ওমেরা বলেছেন: আপনার সাথে রাগ করিনি তো। বই দিতে হবে না বলেছি শুধু । ধন্যবাদ আপনাকে।

৩১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:৫৫

অনল চৌধুরী বলেছেন: মেয়েরা রেগে গেলে এধরণের কথা বলে।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:৫৯

ওমেরা বলেছেন: শুনেন আমি কিন্ত শুধু রাগী না ঝগরাটেও তাই আমার থেকে দুরে দুরে থাকেন ।

৩২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হাউ মাউ খাউ ভূতের গন্ধ পাও - ভূতেদের দিনরাত্রী


আমারটা দিলাম পড়তে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৬

ওমেরা বলেছেন: জী আপু আপনার হাউ মাউ খাও ভুতের গন্ধে গিয়েছিলাম।

৩৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৩

সাগর শরীফ বলেছেন: দারুন! নতুন জায়গায় গেলে কিছুটা প্রবলেম হয়। কিন্তু এরকম প্রবলেম জীবনে কখনো শুনিনি।
যাই হোক, পড়ে খুব ভাল লাগল।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৯

ওমেরা বলেছেন: জী কত রকমের প্রবলেমই না হয় মানুষের জীবনে সব তো আর আমরা জানি না ভাইয়া । আপনার ভালো লাগা জেনে আমারও ভালো লাগলো । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৩৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৩

কাতিআশা বলেছেন: আহারে আপু কত ভয় পাইছিলা!!!!!!!!!!!!! আমিও একবার এরকম কালো, গম্ভির পাহারের কাছে যেয়ে কেমন যেন অস্বস্তিকর অনুভূতি হয়েছিল---ওটা ছিল ওরেম নামক শহরে, আমেরিকার ইউটা রাজ্যে..

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৩

ওমেরা বলেছেন: সত্যি আপু খুব ভয় পেয়েছিলাম। এর এরকম কালো পাহাড় আমি দেখিনি ।
আপু ভালো ভালো আছেন নিশ্চয় । অনেক ধন্যবাদ আপু।

৩৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ওরে বেশ ভয় পেয়েছিলে সেটা লেখাতেই উঠে এসছে !
তবে এসব কিছুতে তোমার যে দারুণ কিছু অভিজ্ঞতা হল, সেও কম না।
সুন্দর লেখা :)

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৯

ওমেরা বলেছেন: জী আপুনি অভিজ্ঞতাটাই অনেক বড় ভয়ে যেহেতু মরে টরে যাইনি । হি হি হি
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপুনি ।

৩৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫০

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভয়ের একটা পরিবেশ সার্থকভাবে সৃষ্টি করতে পেরেছেন গল্পে। সুন্দর লিখেছেন। + +
শিরোনামের ছবিটাকেও বেশ ভয় উদ্রেককারী বলে মনে হয়।
এসব অভিজ্ঞতার কথা বহুদিন আপনার স্মরণে থাকবে নিশ্চয়। বিশেষ করে বুড়োদের সাহায্য করে পুণ্য এবং অর্থ, দুটোই অর্জন করার সুখময় স্মৃতির কথা।
সেন্টরুম কী? কোন শপিং মল বা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর জাতীয় কিছু?
জুন এবং ভুয়া মফিজ এর মন্তব্যদুটো ভালো লেগেছে। আপনার অনেকগুলো প্রতিমন্তব্যু চমৎকার হয়েছে।
পোস্টে অষ্টাদশ প্লাস। + +

৩৭| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৩০

রানার ব্লগ বলেছেন: পাহাড়টা ভীতিজনক, ভয় পাওয়াটাই স্বাভাবিক !!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.